একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমিও রাজাকারদের ফাঁসি চাই

লিখেছেন লিখেছেন যুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ জিয়া ০১ মার্চ, ২০১৩, ১০:১২:৪০ রাত

একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমিও রাজাকারদের ফাঁসি চাই। তবে রাজাকার নিশ্রিত সরকার কিভাবে বিচার করবে সেটি ভেবেই বড় চিন্তায় আছি। আর শাহবাগে শয়তানি কীর্তিকলাপের লাফালাফি, ঝাপাঝাপি, নাচগান, হিন্দুয়ানী ঢোলের বাড়ী, কালমার্কস, লেমিনবাদী নিয়মের ছড়াছড়ি, রমনা পার্কের কাছের জায়গায় রমনীয় হিসেবের গড়াগড়ি এ আন্দোলনে একবারও আল্লাহর দরবারে সাহায্য কামনা না করা, রাজাকারের ফাঁসি চেয়ে কোন দোয়া ও মোনাজাতের ব্যবস্থা না রাখা, আমাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছে যে, এ আন্দোলন মুসলিমদের চেয়ে বাম ও রামদেরকে সফল করছে। এমনটি যেন না হয়ে যায় গৃহস্থের চেয়ে চোর অনেক সাধু। আর সংখ্যাধিক্য নিয়ে বিচলিত হবার কিছু নেই। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সবসময়ই সাধারণ এবং আম জনতা। আর এ আম জনতাকে কিছুলোক নেপথ্যে থেকে তাদের নিয়মে আম খাওয়াচ্ছে।.

একই আন্দোলন মুসলিমদের দ্বারা পরিচালিত হলে কিহতো? শাহবাগে একটি অস্থায়ী মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে রাজাকারের ফাঁসি চেয়ে আল্লাহর দরবারে সালাতুল হাজত নামাজ, দোয়া, তাসবিহ, ইস্তেগফার করা হতো। আর এতে আল্লাহ তায়ালা আন্দোলনকারীদের মনোবাঞ্চা পুরণ করতে পারতেন। মুসলিমরা সবার আগে আল্লাহ তায়ালার কাছে চায় এরপর এ চাওয়াকে ব্যপককরার জন্য একত্র জমায়েত হয়। একজন ঈমাম এ সকল বিষয়ে নেতৃত্ব দিতেন।.

গৃহস্থতো এতিমের সম্পদ জোর করে হরন করেছে এবং আরো নানা জালিয়াতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছে আর চোর নিজের পেট চালানোর জন্য নিত্বান্ত দায়ে পড়ে চুরি করেছে এবং এ কৃত অপরাধে সে অনুতপ্ত হয়েছে। আপনি কাকে ভালো বলবেন?

আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালাকে সর্বময় উপস্থিতির পক্ষে কথা বললে আমাকে রাজাকারের সন্তান উপাধী দেয়া হবে তাহলে আমি নিজেই রাজাকার। একটি হাদিস বলি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,কাফের এবং মুসলমানের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ(বুখারী এবং মুসলিম), এবং যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পরিত্যাগ করল সে কুফুরীতে লিপ্ত হলো(বুখারী, মুসলিম ও ইবনেমাজা) এ হাদিস গুলো একটু হাদিস শরীফে পড়–ন। আপনার অবস্থান নিজেই নির্ধারন করুন। হাদিসে কুদসীতে আছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে নিজেকে চিনে সে তার রবকে চিনে। যারা আল্লাহু আকবার তাকবির ধ্বনিকে ঘৃনা করে আল্লাহ তাদের ঘৃনা করেন এবং তাদের জন্যই তৈরী রাখা আছে, হুতামার ন্যায় বিশাল জাহান্নাম।.

একটা নাস্তিককে প্রকাশ্যে নিকৃষ্ট শাস্তি দানের মাধ্যমে হত্যা করা; তার জানাযা না আদায় করা এবং তার কবরের পাশে দাড়িয়ে আল্লাহর নিকট মাগফিরত না চওয়া ( নাস্তিকদের কবর দেওয়া যাবে । তবে সে কবর কোনো ইসলামীক নিয়ম অনুসারে হবে না ) এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদের জন্য কোরানের নিন্মক্ত দুইটি আয়াতই যথেষ্ট !

(i) ''নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তার রসুলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় আর পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করার জন্য চেষ্টা করে, তাদের শাস্তি এই যে তাদের হত্যা করা হবে অথবা শুলে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত ও পা বিপরীত দিক হতে কেটে ফেলা হবে । দুনিয়াতে এটা তাদের প্রতিদান আর আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি ।''

[সূরা মায়েদা-৩৩]

(ii) "ওদের (মুনাফেক, নাস্তিক, মুরতাদ) মধ্যে কোনো লোকের মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার (জানাযার) নামায পড়ো না, কখনো তার কবরের পাশে তুমি দাড়িয়ো না; কেননা এ ব্যক্তিরা নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসুলের সাথে কুফরী করেছে; এরা না-ফরমান অবস্থায় মরেছে ।

[সূরা তওবা-৮৪]

-মুক্তিযোদ্ধা হতে পারিনি তাই যুক্তিযোদ্ধা হয়েছি। আপনাদেরকেউ যুক্তিযোদ্ধা হতে আহবান জানাচ্ছি। যুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ জিয়া, চেয়ারম্যান-বাংলাদেশ যুক্তিযোদ্ধা দল(পরিবর্তিত ন্যাশনাল লেবার পার্টি) assalamo alaikum porun please. http://www.pathodhara24.com/, http://www.cdnews24.com/?p=36098 http://prdnews24.com/?p=9130, http://www.cdnews24.com/?p=37434, http://newsvisionbd.com/?p=9456, http://abdullahzia.blog.com/, http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/bloglist/2835/Abdullahzia

বিষয়: রাজনীতি

১২১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File