আওয়ামী লীগই তো বিগত বছরগুলোতে স্লোগান দিয়েছে যে, কোনো রক্তই বৃথা যায় না। তারা যখন নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করছে তখন তারা তাদের শেখানো স্লোগানের বাণী একবারও কি স্মরণ করছে?
লিখেছেন লিখেছেন মানবতা ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৩:০৭:২৫ দুপুর
ইংরেজিতে বলা হয়, ‘The battle line has been drawn.' অর্থাৎ সমর রেখা টানা হয়েছে। এই রেখার দুধারে দু'টি দল। মাঝখানে আর কেউ নাই। এখানে নিরপেক্ষতারও কোনো সুযোগ নাই। আমার মনে আছে, আমেরিকা যখন ওসামা বিন লাদেন প্রশ্নে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালায় তখন আমেরিকার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিচার্ড আর্মিটেজ পাকিস্তানে এসে ছিলেন। তিনি পাকিস্তানকে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন যে, আফগান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানে এখন পরিষ্কার দু'টি পক্ষ। একটি মার্কিন পক্ষ। আরেকটি আল কায়েদা ও তালেবান সমন্বয়ে আফগান পক্ষ। মাঝখানে আর কোনো পক্ষ নাই। এই দুটি পক্ষের মধ্যে এখন পাকিস্তানকে যেকোনো একটি পক্ষ বেছে নিতে হবে। পাকিস্তানের পক্ষে এখন নিরপেক্ষ থাকার আর কোনো সুযোগ নাই। যদি পাকিস্তান আফগানিস্তানের পক্ষে যায় তাহলে মার্কিন বাহিনী তাদের ওপর এমন প্রচন্ড বোমাবর্ষণ করবে যে পাকিস্তান প্রস্তর যুগে ফিরে যাবে। আমেরিকার এই হুমকির পর সকলেই জানেন যে, পাকিস্তান আমেরিকার পক্ষ অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছিল।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অনেকটা সেই রকমই। একদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাম ও সেক্যুলার দলগুলোকে নিয়ে ভারতের তাঁবেদার ইসলামবিরোধী শিবির। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ইসলামবিরোধী হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং ইসলামকে হেফাজত করার জন্য ইসলাম হেফাজতের শিবির। এই দু'টি শিবিরের বাইরে আর কোনো শিবির বা পক্ষ নাই। দু'একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা এধারেও নাই ওধারেও নাই। অর্থাৎ ধরি মাছ না ছুঁই পানি। ঐ যে সেই গানের ভাষার মতো, ‘মেয়েটি পানিতে নামবে কিন্তু চুল ভেজাবে না'। ‘‘চুল ভেজাবো না/ আমি বেনী ভেজাবো না/ আমার যেমন বেনী তেমন রবে/ চুল ভেজাবো না।’’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন একটি উত্তপ্ত কড়াই। আওয়ামী লীগ সরকার এমন একটি স্পর্শকতার ইস্যু নিয়ে মাঠ-ঘাট উত্তপ্ত করেছে যেটি দেশের আর সমস্ত ইস্যুকে ছাই চাপা দিয়েছে। দুঃখের বিষয়, এই পরিস্থিতিটি সঠিকভাবে উপলব্ধি করেছে বিদেশের অনেকগুলো নামকরা মিডিয়া। আফসোস হয়, যখন দেখি যে বাংলাদেশের মিডিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য শ্রেণী হয় এই বিষয়টি এখনো উপলব্ধি করতে পারেনি অথবা উপলব্ধি করলেও জ্ঞান পাপীর মতো বুঝেও না বোঝার ভান করছে। গত শুক্রবার সারা বাংলাদেশ মুসল্লীদের বিক্ষোভ কেঁপে ওঠে। বাংলাদেশের ৬৪ টা জেলাতেই এই আলোড়ন অনুভূত হয়। এই বিশাল আলোড়নের কারণটি অত্যন্ত সহজ সরল এবং স্পষ্ট। যুদ্ধাপরাধের ফাঁসির দাবিতে ‘ব্লগার্স এ্যান্ড অন লাইন এ্যাকটিভিস্ট' নামে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগ চত্বরে একটি সমাবেশ শুরু হয়। আগের দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা আইসিটি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দন্ডিত করেন। এই কারাদন্ড আওয়ামী লীগের পছন্দ হয়নি। তাই তারা কিছু তরুণ ব্লগারকে শাহবাগে নামিয়ে দেয়। ওদের কণ্ঠে স্লোগান ধরিয়ে দেয় যে, কাদের মোল্লার যাবজ্জীবনের রায়ের বদলে তাকে ফাঁসি দিতে হবে। শুধু কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিলেই চলবে না, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যাদের বিচার হচ্ছে তাদের সকলকেই ফাঁসি দিতে হবে। ফাঁসি ছাড়া আর কোনো রায় দেয়া চলবে না।
দুই
প্রথম ২/৩ দিন এভাবেই চলছিল। শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে আওয়ামী লীগ সরকার এই আন্দোলনটি স্পন্সার করেছে। তাই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল এই আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্য আরোপ করেনি। কিন্তু ভেতরে তাদের ছিল একটি গভীর ষড়যন্ত্র। কথায় বলে যে, ধর্মের কল নাকি বাতাসে নড়ে। ওদের কলও বাতাসেই নড়ে উঠেছে। ওদের মধ্যে যারা ব্লগার তারা অধিকাংশই কট্টর মুসলমান ও ইসলামবিরোধী। সেটি বেরিয়ে আসে শাহবাগ সমাবেশের অন্যতম সংগঠক রাজিব হায়দার শোভনের হত্যাকান্ডের পর। তার সম্বন্ধে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায় যে, সে শুধুমাত্র শাহবাগ আন্দোলনের সংগঠকই ছিল না, সে অনেক দিন থেকেই ব্লগ লিখছে আর সেই ব্লগে সে মহান আল্লাহতায়ালা, আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ), তার স্ত্রীগণ এবং পবিত্র ইসলাম সম্পর্কে জঘন্য ও কদর্য মন্তব্য করে। এই ইতর ব্যক্তিটি সভ্যতা ও শালীনতার সমন্ত সীমা ছাড়িয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পারিবারিক জীবন সম্পর্কে কদর্য ও কদাকার মন্তব্য করে। তার এই ইতরামী ও নোংরামির বিরুদ্ধে সাধারণ মুসলমান ও ওলামায়ে মাশায়েখরা ক্ষোভে এবং উত্তেজনায় ফেটে পড়েন। সেটারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গত শুক্রবার বাদ জুম'আ মুসল্লিদের সারা দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে।
খবরের কাগজে প্রেস রিলিজ দিয়ে এবং বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের উদ্যোক্তারা এটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ঐ সমাবেশ ডেকেছেন ১২টি সমমনা ১২টি ইসলামী দল। জামায়াতে ইসলামী ঐ ১২টি সমমনা দলের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এই কর্মসূচিকে জামায়াতের উদ্যোগ বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। অথচ উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন মওলানা আহম্মদ উল্লাহ আশরাফ এবং মওলানা ইসহাকের নেতৃত্বাধীন খিলাফত মজলিসের উভয় অংশ, চরমোনাইয়ের হুজুরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন, মওলানা মহিউদ্দিন খানের জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, খিলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম প্রভৃতি দল রয়েছে। অথচ সংকীর্ণ দলীয় অনুগত্যের কারণে সমস্ত মুসল্লির আন্দোলনকে জামায়াতে ইসলামীর সন্ত্রাস বলা হয়েছে। লক্ষ মুসল্লির এই বিক্ষোভ সমাবেশে ওনারা সন্ত্রাস পেলেন কোথায়? আসলে সন্ত্রাস আবিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনে যতটুকু সংহিসতা হয়েছে তার জন্য তো মুসল্লিরা দায়ী নন। দায়ী হলেন সরকার এবং তার পেটোয়া পুলিশ বাহিনী। মুসল্লিরা নামায আদায় করার জন্য বায়তুল মোকাররমে ঢুকবেন। কিন্তু তার আগেই কয়েকটি গেটে পুলিশ তালা মেরেছিল কেন? মুসলমানদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং তার পরিবারবর্গ সম্পর্কে রাজিবসহ আওয়ামী ব্লগারদের জঘন্য মন্তব্যে বাংলাদেশের মুসলমানদের হৃদয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ক্ষোভের প্রকাশের জন্য তাদেরকে সভা এবং শোভাযাত্রা করতে দেয়া হয়নি কেন?
অথচ সেই একই সরকার এবং একই পুলিশ বাহিনী শাহবাগের উদ্যোক্তাদেরকে ১৭ দিন ধরে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে, চারদিকের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়ে সভা করতে দিয়েছে। ওরা দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ধরে সেখানে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছে, উত্তেজনা ছড়িয়েছে এবং খতম করা ও জবাই করার উস্কানি দিয়েছে। তারপরেও তাদেরকে জামাই আদরে রাখা হয়েছে। ১৭ দিন ধরে ওদেরকে লাখ লাখ খাওয়ার প্যাকেট দেয়া হয়েছে, লাখ লাখ বোতল মিনারেল ওয়াটার ওদেরকে দেয়া হয়েছে। আর সরকারের এই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা পেয়ে ওরা শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছে, বেগম জিয়া সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিম, অধ্যাপক আসিফ নজরুলসহ সম্মানিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য রেখেছেন। শুধু তাই নয়, সরকারের প্রটেকশন এবং আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে মনের সুখে পবিত্র ইসলামের ডুগ ডুগী বাজিয়েছেন (নাউজুবিল্লাহ্)। এমন নগ্ন এবং উৎকট দ্বৈত নীতি পৃথিবীর আর কোথায় দেখা যায়?
তিন
এই সরকারের ইসলাম বিরোধিতা এবং ইসলাম বিরোধীদের প্রশ্রয় দেয়ার নজির এখানেই শেষ নয়। হলিউডি কমরেড হাসানুল হক ইনু সারা জিন্দেগী রাজনীতি করে ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যানও হতে পারেননি। সেই ইনু বার্ধক্যে এসে শেখ হাসিনার পায়রবী করে, বহুত কষ্টে নৌকার একখান টিকেট যোগাড় করে এবার এমপি হয়েছেন। সারা জীবন যে বাম রাজনীতি করলেন সেই আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি মন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সাম্প্রতিক নির্বাচনে একজন সদস্যও হতে পারেননি। সেই ইনু সাহেব ব্লগারের ধর্মদ্রোহিতাকে কেমন সুকৌশলেই ডিফেন্ড করে গেলেন। আর যারা নাস্তিক ও মুরতাদদের ধর্মদ্রোহিতাকে ফাঁস করে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কি তর্জন-গর্জনই না করেছেন। ব্লগ লিখে যারা আল্লাহ রাসূলকে কটাক্ষ করেছে তাদের গ্রেফতার এবং শাস্তির কথা না বলে শেখ হাসিনার তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন যে, যারা ব্লগারদের ঐসব লেখা মিডিয়ায় প্রকাশ করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা রাসূলের (সাঃ) অবমাননা করলো তাদের একজনের কেশাগ্রও স্পর্শ করেনি এই সরকার। অথচ যারা সেই কারণে ক্ষুব্ধ হয় এবং বিক্ষোভ করে তাদের একজন দু'জন নয়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে সরকার মামলা ঠুকে দিয়েছে ও দিচ্ছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এই কলাম লেখার সময় জানা গেল যে, জাগরণমঞ্চে হামলা করার অভিযোগে শুধু একটি মাত্র জেলা শহর বগুড়ায় ১৪ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রাজশাহীতে ৫ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে এবং আরো অনেক জেলা শহরে হাজার হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
যাদেরকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য সরকারের এই হিংস্র আচরণ তাদের স্বরূপটি কি? যে ব্লগার রাজিবকে ‘শহীদ' নামে মহিমান্বিত করা হচ্ছে, যে রাজিবের নামে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার সেই রাজিব শুধুমাত্র ধর্মদ্রোহীই ছিল না, সে ছিল নারীমাংসাসী এক চরিত্রহীন ব্যক্তি। পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট থেকে দেখা যায় যে, নিহত রাজিবের হাতের মধ্যে রমণীর মাথার লম্বা কেশ ধরা ছিল। তার সাথে তার প্রেমিকার দেখা হয় রাত সাড়ে ৮টায়। নিহত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয় রাত সাড়ে ৯টায়। সুতরাং ধারণা করা হয় যে, সে নিহত হয়েছে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে। মৃত্যুর সময় অথবা মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তানজিলা নামের ঐ তরুণীটি কি তার সাথে বা আশপাশে ছিল? তানজিলা এবং বগুড়ার সাতমাথা নিবাসী রাফি- এই দুই তরুণীই পুলিশ হেফাজতে ছিল বা এখনো আছে। দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশ তাদেরকে জেরা করেছে। জেরার ফলাফল কি? পুলিশ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরবতা অবলম্বন করছে আর কোনোরূপ তথ্য প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে জামায়াত-শিবিরের ওপর রাজিব হত্যার দায় চাপাচ্ছে।
চার
প্রধানমন্ত্রীর দ্বৈতনীতি সর্বত্র। বিশ্বজিৎকে ছাত্রলীগের ছেলেরা কুপিয়ে হত্যা করে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ এটা দেখেছে এবং সমস্ত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এটি প্রকাশ ও সম্প্রচার করেছে। সেই প্রধানমন্ত্রী বিশ্বজিতের পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য বিশ্বজিতের বাসায় যাননি এবং বলেননি যে, ছাত্রলীগের রাজনীতি করার অধিকার নাই। অথচ তিনি নিহত হওয়ার পর দিনই রাজিবের বাসায় ছুটে যান। কোনোরূপ তথ্য-প্রমাণ ছাড়া বলেন যে, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।
আওয়ামী সরকার জমায়াত-শিবির তথা ইসলামী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের রক্ত পিপাসায় পাগল হয়েছে। শুধুমাত্র গত শুক্রবারের বিক্ষোভে পুলিশ শত শত রাউন্ড গুলী ছুঁড়েছে। পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ মিলে কেড়ে নিয়েছে ৫টি প্রাণ। গতকাল শনিবার দুপুর বেলা টেলিভিশনে দেখা গেল, পাবনায় হরতালে ২ ব্যক্তি শাহাদৎ বরণ করেছেন। এই নিয়ে শুধুমাত্র শুক্র এবং শনিবারে শহীদ হলেন ৭ জন আদম সস্তান। এর আগের দু'টি হরতালে আরো ৭ জন শহীদ হয়েছেন। হিসাব করলে দেখা যাবে, বিগত দুই মাসে অন্তত ২০ জন ইসলামী কর্মী শহীদ হয়েছেন।
সচেতন জনগণের আজ জিজ্ঞাসা, অনেক রক্তপান করেছে এই সরকার। আর কতো রক্ত চায় তারা? আওয়ামী লীগই তো বিগত বছরগুলোতে স্লোগান দিয়েছে যে, কোনো রক্তই বৃথা যায় না। তারা যখন নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করছে তখন তারা তাদের শেখানো স্লোগানের বাণী একবারও কি স্মরণ করছে?source:sangram
বিষয়: রাজনীতি
১৩৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন