পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলতে কাকে বুঝি?
লিখেছেন লিখেছেন এমদাদুছ্ল হক এমরান ১৬ মার্চ, ২০১৩, ১১:৫৫:২৬ সকাল
আমরা প্রায়ই একটা কথা শুনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। এটা শুনে মনে প্রশ্ন জাগে আর জানতে ইচ্ছে হয় স্বাধীন দেশে মু্িক্তযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আরার কি? এটা কি জিনিস?
আমি মনে করি স্বাধীন দেশে সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। বেশির ভাগ মানুষ মুক্তির পক্ষে ছিল বলেই বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে পরে হয়ত দল তৈরি হয়েছে- কিন্তু কোন দল যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিপক্ষের বলে ডাক ঢোল বাজায় এটা আমার কাছে বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না। তারপরও পক্ষে বিপক্ষে বলার আগে একটা হিসাব থাকা দরকার। এই প্রশ্ন থেকেই সেদিন একটা হিসাব কষতে শুরু করলাম -
হিসাবটা হল ফোরকাস্ট পদ্ধতি পরিসংখ্যান অবলম্বনে একটা ধারাবাহিক পর্যালোচনা যা নিম্নরুপ-
উপরোল্লিখিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী কোয়ালিটিটিভ পদ্ধতিতে যদি আনসার্টেন্ট ভেরিয়েশান (মানে ২০০৮ আর ২০০৬) বাদ দেই (বাদ দিতে হবে কারন ধারাবাহিক নির্বাচন ও গনতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যহত, রাজনৈতিক টানাপোড়ন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিপিড়ন ২০০৮ একবারেই আনসার্টেন্ট ছিল) তাহলে ধারাবাহিক পর্যালোচনায় (Trend Analysis) ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপির আসন সংখ্যা বেশি। সে হিসাবে বেশির ভাগ জনগন বিএনপির পক্ষে ছিল, যেহেতু বেশির ভাগ মানুষ মুক্তির পক্ষে ছিল বলেই বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলতে বিএনপি কেই বুঝানো উচিত।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে তবলা বাজিয়ে দেশাত্ববোদক গান করলেই পক্ষের শক্তি বুঝাচ্ছে আর যারা দুহাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশের কল্যান কামনা করে তাদেরকেও যদি পক্ষের শক্তি মনে করি তবেই সব দল সমানভাবে গ্রহন যোগ্যতা পাবে। পক্ষে বিপক্ষের বলতে কিছুই থাবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১৩০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন