১৭তম দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরআন প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশী বালক প্রথম।
লিখেছেন লিখেছেন এমদাদুছ্ল হক এমরান ৩১ জুলাই, ২০১৩, ১২:১৯:২৮ দুপুর
দুবাই মাত করেছে বাংলাদেশী বালক নাজমুস সাকিব। সুমিষ্ট কণ্ঠের জন্য সে জিতেছে সাড়াজাগানো এক পুরস্কার। ১৭তম দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরআন অ্যাওয়ার্ড জিতেছে সে। সারা বিশ্বের ৯০ প্রতিযোগীকে টপকে সে জিতে নিয়েছে সুমিষ্ট কণ্ঠের পুরস্কার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ।
এতে আরও বলা হয় অনুষ্ঠানের প্রধান প্রতিযোগিতা কোরআন তেলাওয়াতের পুরস্কারটিও জিতে নেয়ার অন্যতম দাবিদার হিসেবে এ বাংলাদেশীর উপরই এখন সবার নজর। গতকালই বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার কথা। কোরআন তিলাওয়াতে সারা বিশ্বের ৯০ জন প্রতিযোগী যোগ দেয়। শনিবার সব থেকে সুকণ্ঠ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটি শেষ হয়। এতে অংশগ্রহণকারী ১৩ জন প্রতিযোগীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। অসাধারণ শ্রুতিমধুর কিছু তিলাওয়াতের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করে নেয় খুদে বাংলাদেশী প্রতিযোগী নাজমুস সাকিব।
পুরস্কার জেতার পর সাকিব স্বভাবতঃই উচ্ছ্বসিত এবং কোরআন তেলাওয়াতের বড় পুরস্কারটি জেতার ব্যপারেও সে আশাবাদী। সাকিবের পিতাও তার অর্জনে আনন্দিত। তিনি নিজেই অক্লান্ত শ্রম আর প্রশিক্ষণ দিয়ে সাকিবকে প্রস্তুত করেছেন। সাকিবও তার পিতার আশা পূরণ করতে পেরে গর্বিত। সেরা কণ্ঠের প্রথম পুরস্কার হিসেবে ৫০০০ দিরহাম জিতে নিয়েছে সাকিব। ২য় পুরস্কার ৪০০০ দিরহাম জিতেছে ইয়েমেনের ইব্রাহিম আহমাদ সাঈদ। যৌথভাবে ৩য় স্থান অর্জন করেছে মিশরের মোহাম্মাদ আশরাফ এবং ইন্দোনেশিয়ার উলুল আমর জেইন আল দ্বীন। তাদের প্রত্যেকে ২০০০ দিরহাম দেয়া হয়েছে। ৪র্থ স্থান অর্জন করে ১০০০ দিরহাম পুরষ্কার পেয়েছেন আফগানিস্তানের আহমাদ বাহের।
কয়েক বছর আগে ডিআইএইচকিউএ প্রতিযোগিতার মধ্যে সুকণ্ঠ প্রতিযোগিতাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সুকণ্ঠ বিচারের মানদণ্ড হলো- কণ্ঠের তারতম্য ও নিয়ন্ত্রণ, সঠিক বাক্বিন্যাস, কণ্ঠস্বরের যথাযথ উত্থান-পতন। অসাধারণ তিলাওয়াত করে প্রধান পুরস্কার জেতার দাবিদার হিসেবে বাংলাদেশি নাজমুস সাকিবের পাশাপাশি রয়েছে মিশরের মোহাম্মদ আশরাফ, ইয়েমেনের ইব্রাহিম আহমাদ সাঈদ, নাইজারের মোহাম্মদ বেল্লো আম্মা এবং আরবে আমিরাতের জায়েদ আলি আল জাবেরি। কোরআন তেলাওয়াতের ১ম পুরস্কার জয়ী পাবে আড়াই লাখ দিরহাম।
১ম রানার আপ পাবে ২ লাখ দিরহাম, ২য় রানার আপ দেড় লাখ দিরহাম। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিযোগী কমপক্ষে ২০,০০০ দিরহাম ও একটি ওমরাহ প্যাকেজ পাবে। এ বছরের ডিআইএইচকিউএ অনুষ্ঠানে ইসলামিক পার্সোনালিটি অব দ্য ইয়ার পুরস্কার দেয়া হবে প্রখ্যাত বক্তা ভারতের ড. জাকির নায়েককে।
উল্লেখ্য, ডিআইএইচকিউএ প্রথমে মিশরের আল আজহার মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল তায়েবকে এ পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু মিশরে রাজনৈতিক সংঘাতের ফলে নিরাপত্তা অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আহমেদ আল তায়েবের দুবাই ভ্রমণ করার মতো কোন পরিস্থিতি নেই। সে কারণে এবছর ড. জাকির নায়েককে ইসলামিক পার্সোনালিটি অব দ্য ইয়ার পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় ডিআইএইচকিউএ। গত বছর এ পুরস্কার পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শেখ ইউসুফ এসতেস। ইসলামিক পার্সোনালিটি অব দ্য ইয়ারকে ১০ লাখ দিরহাম দেয়া হয়।
তথ্য সুত্র- মানবজমিন
বিষয়: বিবিধ
২৪৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন