রাজাকার মন্ত্রীদেরও বিচার করতে হবে : এম কে আনোয়ার
লিখেছেন লিখেছেন সাদা মনের মানুষ ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:২৪:৪১ বিকাল
নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে স্বাধীনতা ফোরাম গতকাল জাতীয় প্রেস কাবের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে : নয়া দিগন্ত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার করলে তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আওয়ামী লীগের মধ্যে যেসব যুদ্ধাপরাধী আছে সবার আগে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
গতকাল রোববার সকালে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী গুমের ১০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে তার সন্ধান না দেয়ার প্রতিবাদে এবং তার সন্ধান দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এম কে আনেয়ার বলেন, প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিএনপিও চায়। কিন্তু বিচার হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরপে। আর নিরপেক্ষ বিচারের পরিবর্তে রাজনৈতিক উদ্দেশে বিচার করলে তা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে হলে আওয়ামী লীগের মধ্যে যেসব যুদ্ধাপরাধী আছে এবং সরকারে যেসব রাজাকার মন্ত্রী আছেন সবার আগে তাদের বিচার করতে হবে। সরকার এ বিচারের উদ্যোগ নিলে আমরা তাতে সমর্থন জানাব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে কতজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আছেন তার হিসাব আমরা জানতে চাই। আর বিএনপির মধ্যে কতজন মুক্তিযোদ্ধা আছে তার হিসাব দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, শাহবাগের জমায়েতে শুধু তরুণরা নয়, চিহ্নিত রাজাকার নুরু মাওলানাও সংহতি জানিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সর্বেেত্র ব্যর্থ হয়ে এখন তাদের ‘চাপা’র জোরে গালাগাল করছে, যা আমরা করতে পারি না। কিন্তু তাদের ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে ইতোমধ্যে জনগণ তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এসবের জন্য তাদের একদিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে মুখটা সামলান। অন্যথায় জনগণ আপনাদের ছাড় দেবে না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে এম কে আনোয়ার বলেন, আপনার ছেলেমেয়ে, বোন কেউ এ দেশে নেই। তাই সময় হলে হাতব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাবেন। কিন্তু জনগণ আপনাকে পালাতে দেবে না।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনপ্রিয়তা যাচাই করতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করে নির্বাচন দিন।
স্বাধীনতা ফোরাম সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপি নেতা রফিক সিকদার, খালেদা ইয়াসমিন, স্বাধীনতা ফোরাম নেতা ইশতিয়াক আহমেদ বাবুল, এ বি এম খালিদ হাসান প্রমুখ
বিষয়: বিবিধ
৯৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন