নবী করিম (স.), যাঁর প্রতিটি কদম মোবারক বিজ্ঞানময়
লিখেছেন লিখেছেন টাংসু ফকীর ১৪ জুলাই, ২০১৫, ০৩:১৩:১৩ রাত
(সম্প্রতি বাংলাদেশে নতুন একটি ফেতনা চালু হয়েছে যে, ‘‘বিজ্ঞান মনষ্ক ব্লগার’’ আর যারা ইসলামের কথা বলে তারা বিজ্ঞান মনষ্ক নয় বেশ কিছু দিনের মধ্যে কয়েকজন ব্লগার খুন হলে তাদের উত্তরসূরীরা বিভিন্ন আয়েজনের মাধ্যমে এটা বলার চেষ্টা করে থাকে যে, তারা ছিল বিজ্ঞান মনষ্ক আসলে কিন্তু তা নয় তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামকে অবমাননা করা এ ছাড়া আর কিছুই নয় এবনে গোলাম সামাদ স্যার একটি প্রবন্ধ লিখেছেন ‘‘বিজ্ঞাস মনষ্কতা ও ব্লগারেরা’’ এই প্রবন্ধ পড়ে দেখতেন পারেন বিজ্ঞানের যে মৌলিক গবেষণা আছে আর আবিষ্কার আছে বা নতুন কিছু উদ্ভাবন করার বিষয় আছে সে গুলোর ধারে কাছেও তারা যায় না তাদের শুধু লক্ষ্য বস্তু হচ্ছে ইসলামইসলামকে অবমাননা করে কিছু লিখলেই হয়ে যায় বিজ্ঞান মনষ্ক কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে, ইসলামই হচ্ছে এক এবং একমাত্র ধর্ম যাকে বিজ্ঞানই অনুসরণ করে প্রতি পদে পদে বিজ্ঞান ইসলামের পদাঙ্ক অনুসরন করে মানব জাতির কল্যাণ সাধন করে ইসলাম বিজ্ঞানকে অনুসরণ করে না বিজ্ঞানই ইসলামকে অনুসরন করে ড. মরিস বুকাইলির ‘‘কোরান বিজ্ঞান ও বাইবেল’’ বইতে সহজ যুক্তিতে এটা প্রমাণ করা হয়েছে)
এক.
রাসুল (স.) এর কথা কাজ, আচার আচরণ, ইশারা ইঙ্গিত, মৌন সম্মতি, তথা সকল কর্ম কান্ডকে শরীয়তের পরিভাষায় সুন্নত বলা হয় নবী করিম (স.) বিদায় হজ্জের ভাষণে দৃঢ় কন্ঠে ঘোষণা করেছেন, আমি তোমাদের মধ্যে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যত দিন পর্যন্ত এ দুটি জিনিসকে আঁকড়ে ধরে থাকবে, তত দিন পথভ্রষ্ট হবেনা একটি হচ্ছে আল্লাহর কোরআন, অপরটি হচ্ছে আমার সুন্নাত নবী করিম (স.) এর জীবনে এমন কোন কর্ম কান্ড নেই যা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ক্ষতি কর বা ফায়দাহীন সাধারণ মানুষের জ্ঞানের পরিধির কারণে কোন কোন বিষয় বুঝতে হলেও প্রকৃত পক্ষে তা শতভাগ বিজ্ঞান সম্মত আল্লাহর রাসুল (স.) উম্মতের জন্য ছিলেন রহমতে ভান্ডার
সুন্নাতে খাৎনা বা মুসলমানী হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত এটা পুরুষাঙ্গের ক্যানসার প্রতিরোধ করে আজ সারা বিশ্বের চিকিৎসকগণ এ ব্যাপারে এক মত যে খাৎনা হচ্ছে একটি বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক ব্যবস্থা যা পুরুষকে জন্মের শুরতেই নিরাপদ রাখে মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের অনেক দেশেই শিশু জন্মের পর পরই খাৎনা করে দেয়া হয়
নবী করিম (স.) ঢিলে ঢালা পোশাক পড়তেন বিজ্ঞান বলে ঢিলে ঢালা পোশাক পড়লে শরীরে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে এর দ্বারা অনেক চর্ম রোগ হইতে রক্ষা পাওয়া যায় হৃদরোগ ডাক্তারগণ রোগীদের ঢিলেঢালা পোশাক পড়তে বলেন
নবী করিম (স.) এর বিছানা ছিল চামড়ার, নিচে ছিল খেজুরের ছাল এতে বিছানাটি বেশ শক্ত হতো, আজকের বিজ্ঞান বলে নরম বিছানার চেয়ে শক্ত বিছানায় শোয়া উপকারী শক্ত বালিশে শোয়াও স্বাস্থ্যকর, শরীরের অনেক বাত ব্যথ্যা নিরাময় হয় শক্ত বিছানা ও বালিশে বসে বসে পানি পান করা একটি সুন্নত, তিন ঢুকে পানি করা সুন্নত বিজ্ঞান বলে দাড়িয়ে পানি পান করলে সারা শরীরে এক বারে চাপ পড়ে, এতে কিডনিতে চাপ পড়ে, স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে আর বসে পান করলে বা থেমে থেমে পানি পান করলে প্রাণীর নিঃশ্বাস ও ফুঁকের সঙ্গে কার্বনডাই অক্সাইড বের হয় আর এই কার্বনডাই অক্সাইড যখন পানির সঙ্গে মিশে, তখন তা থেকে কার্বলিক এসিড বের হয় যা মানব শরীরের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর
নবী করিম (স.) বলেছেন তোমরা পেট ভর্তি করে খাবার খেয়োনা, কেননা এতে তোমাদের অন্তরে আল্লাহর আলো নিষ্প্রভ হয়ে যাবেখাবার সময় পেটকে তিন ভাগ করে, একভাগ পানি, এক ভাগ খাবার আর একভাগ খালি রেখো” বর্তমান যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, পেট ভর্তি করে খাবার খেলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ইত্যাদি হতে পারে
নবী করিম (স.) ডান কাত হয়ে শুতেন, আর ডান হাত রাখতেন ডান গালের নিচে সাহাবীদেরকেও তিনি এভাবে শুতে বলতেন গবেষণায় দেখা গেছে ডান কাতে শুয়াই অধিক স্বাস্থ্য সম্মত এতে হৃদপিন্ডের উপর চাপ কম পড়ে পেটের ভিতর ভারি যকৃত ঝুলে থাকনো ফলে পাকস্থলির উপর চাপ পড়ে না পাকস্থলির স্বাভাবিক নড়াচড়া ঠিক থাকে এবং পাকস্থলির ভেতরের খাদ্যদ্রব্য হজমের উপযোগী হয়ে সহজেই খাদ্যনালীর পরবর্তী অংশে চলে যায়
মুসলিম শরীফের হাদিস থেকে জানা যায় পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ এর একটি দিক হল এসতেঞ্জা এটি পানি বা মাটির ঢেলা উভয়টি দ্বারা করা উচিৎ এর বিপরীতে টয়লেট পেপার ব্যবহার করা ক্ষতিকর যা থেকে লজ্জাস্থানের ক্যান্সার, ফিস্টুলা, ও চর্মের ইনফেকশন হতে পারে
আর নবী করিম (স.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হচ্ছে মেসওয়াক যা এন্টি সেপটিকের কাজ করে এমন কিছু জীবানু আছে যা প্রচুলিত ব্রাশ বা টুথপেষ্টে দুর হয় না কিন্তু মেসওয়াকের দ্বারা তা দুর করা সম্ভব এতে আরো সত্তরের বেশি সওয়াবও হয়মোট কথা সুন্নত পালনের মধ্যেই মানব জীবনের কল্যাণ সাধিত আর সুন্নত পালন না করার মধ্যে আছে অনিষ্ঠতা সুন্নতের বরখেলাফের জন্য আসে মানব জীবনে বিপর্যয় বিজ্ঞানের এ যুগে নবী করিম (স.) এর সুন্নতকে সর্বাধুনিক ও সর্বোত্তম বিজ্ঞানময় বলে প্রমাণীত হয়েছে সুখ-শান্তি , সমৃদ্ধি চাইলে আমাদের অবশ্যই আল্লাহর রাসুলের (স.) সুন্নতকে ঐক্যবদ্ধভাবে আকড়ে ধরে থাকতে হবেআল্লাহ রাব্বানা এই দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন, তিনি মানুষকে সর্বোচ্চ প্রযুক্তি শিখিয়ে দিবেন না এ কথা কোন মুর্খছাড়া আর বিশ্বাস করতে পারে? মানুষ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন [সুরা আলাক: ১]
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। [সুরা আলাক: ২]
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, [সুরা আলাক: ৩]
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, [সুরা আলাক: ৪]
عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। [সুরা আলাক: ৫]
كَلَّا إِنَّ الْإِنسَانَ لَيَطْغَى
সত্যি সত্যি মানুষ সীমালংঘন করে, [সুরা আলাক: ৬]
বিষয়: বিবিধ
২৩১৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার জানামতে এমেরিকায় সবচেয়ে বড় বাংলাদেশী পদার্থ বিজ্ঞানী একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
পৃথীবির বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে এমেরিকা ইউরোপে বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত বিজ্ঞানের ছাত্ররা ইসলামে ঝুকছে (প্রমাণ চাইলে এসব দেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির মুসলিম ক্লাব দেখে আসতে বলেন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অল্পশিক্ষিত গন্ডদের মূর্খয়তায় ইসলামের কিছু আসে যায়না।
হাস্যকর ব্যাপার হল, যারা নিজেদের বিজ্ঞানমনস্ক দাবী এদের বেশিরভারগেরই পড়ার বিষয় বিজ্ঞান নয়।
১। The narration along with the chain of narrators goes as;
Yazid bin Harun- Sufyan bin Husain- Al-Hakam bin ‘Utaybah- Ibrahim (b. Yazid al-Taymi)- Yazid al-Taymi- Abu Dharr said: I was sitting behind the Apostle of Allah who was riding a donkey while the sun was setting. He asked: Do you know where this sets? I replied: Allah and his Apostle know best. He said: It sets in a spring of warm water. (Sunan Abu Dawud, Hadith 3991)
২। Fever and Hell connection in the Hadith
Abdullah bin 'Umar said, the
Prophet, may Allah bless him, said, 'Fever is from the heat of Hell. Put it out (cool it) with water.' (Sahih Bukhari, Hadith 3024)
কোরাণের আল্লার বি-অজ্ঞানের লোভে আমারিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানী, চীন, জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া......ছেড়ে দলে দলে ফাঁকিস্তান এবং চৌদি আরব ধাবিত হচ্ছে।
তথাকথিত বিজ্ঞাম মনস্কদের বেশিরভাগেরই বিজ্ঞান এর জ্ঞান হচ্ছে বিভিন্ন প্রযুক্তি আবিস্কার পর্যন্ত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন