বাংলার মানুষ শুনে রাখ

লিখেছেন লিখেছেন টাংসু ফকীর ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:২০:০৫ সকাল

ইমাম হোসেন (রা.) এবং ইমাম হাসান (রা.) ছিলেন আল্লাহর রাসুল (সা.) এর নাতি।আল্লাহর রাসুল (সা.) যাদের জন্য দোয়া করেছেন, ‌‌‌‌‌‌"হে আল্লাহ এরা হচ্ছে আমার আওলাদ তাদের কে তুমি রহম কর।'' সেই ইমাম হাসান(রা.) এবং হোসেন (রা.) কে যখন সীমার হত্যা করে তখন কুফা বাসী সে দিন দাড়িয়ে দাড়িয়ে তামাশা দেখেছে। তাদের মধ্যে যারা ইমাম হাসান(রা.) এবং ইমাম হোসেন(রা.) কে ভালবাসতেন বা মুসলমান ছিলেন তারাও চোখের পানি ফেলছেন, কিন্তু ঈমানের জোরে বলিয়ান হয়ে কারবালার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন নি। যখন সীমার ইমাম হাসানের(রা.) শির দেহ থেকে আলাদা করে তখনও কুফা বাসী ঝাপিয়ে পড়েন নি। দাড়িয়ে দাড়িয়ে তামাশাই দেখেছে।ইতিহাস সেই কুফা বাসীকে ক্ষমা করেনি। আজ ১৪০০ বছর পরেও কুফায় শান্তি আসেনি।তাদের উপর আল্লাহর লানত পরেছে।

ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি।যত ইতিহাস আছে পৃথিবীতে জয়-পরাজয়ের তা হচ্ছে সত্য-মিথ্যার দ্বন্দের ইতিহাস। ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।আর নমরুদ, ফেরাউন,আবু লাহাব, আবু জেহেল, আদ জাতি, সামুদ জাতির ইতিহাস আমাদের সামনে রয়েছে। তাদের কাছ থেকেও কেউ শিক্ষা নেয়নি। আর বাংলার ইতিহাসতো আরও জঘন্য। মীরজাফরের কাহিনীত সবাই জানে। নবাব সিরাজ দৌলাহর সাথে মীরজাফর যে বেঈমানী করেছে তার হিসাব সে নিজ জীবদ্দশায় দিয়ে গেছে।কিন্তু তখনকার বাংলার মানুষ তখন কি করেছে?

নবাবকে মীরজাফর বেঈমানী করে ইংরেজদের হাতে এদেশের ক্ষমতা তুলে দিয়েছিল। নবাব পরাজয়ের পর যখন মীরজাফর হাতির পীঠে চড়ে, ইংরেজদেরকে নিয়ে সিংহাসনের দিকে আসছিল, সঙ্গে ছিল ক্লাইভ তখন রাস্তার দু পাশে দাড়িয়ে বাংলার মানুষ ফুল ছিটিয়ে তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছিল। ক্লাইভ পরবর্তী সময়ে বলেছিল যে, বাংলার মানুষ যদি তাদেরকে ফুল না ছিটিয়ে একটি করে ঢিল ছুড়ে দিত তবে এই ক্লাইভ বাংলা ছেড়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পড়ে যেত।কিন্তু বাংলার মানুষ সত্যের পথে সে দিন দাড়ায়নি।তার ফল কি হয়েছিল ২০০ বছর গোলামী আর ১০০০বছর পিছনে ঠেলে দিয়েছে বাংলার মানুষকে।আর ইসলামকে পঙ্গু করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চির দিনের জন্য বুনে দিয়ে গেছে রাম আর বাম সহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বুকে।সিরাজের পতনের পর জনৈক কৃষককে জিজ্ঞাসা করা হল , তোমাদের রাজাকে আজ পরাজিত করা হয়েছে, তাতে তোমরা কি মনে করছ? কৃষক বলল সিরাজের পাছায় গুইল (গুই সাপ) যাক তাতে আমার কি? অর্থ্যাৎ দেশ বা দেশের কল্যাণ নিয়ে কোন চিন্তা ছিল না। সেই মীরজাফরের পেতাত্নারা আজও মুসলমানদের তথা ইসলামের ক্ষতি সাধনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।২৩ শে জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২৩শে জুন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। মানে স্বাধীনতার সূর্য আরেক বার অস্তমিত করার জন্য। ঘসেটি বেগমের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। বাংলাদেশের ঘসেটি বেগম শেখ হাসিনা। বাংলার তাবলীগ ভাইয়েরা আজ আপনারা কোথায় মসজিদেও নামাজ পড়তে পারবেন না।বায়তুল মোকাররমের দিকে তাকিয়ে দেখুন। নিজ দেশে পরবাসী। মসজিদে তালা থাকে। নামাজ পড়বেন কিভাবে? আসুন ইসলামকে রক্ষা করি। রক্ষা করার জন্য ময়দানে নেমে আসুন।সিকিম নামে একটি রাষ্ট্র ছিল। স্বাধীন সার্বভৌম। কিন্তু সে দেশের রাজা ছিল শেখ হাসিনার মত। দেশের দুশমন।নাম তার লেন্দুপ দর্জি।এক পর্যায়ে ভারতের কাছে সে দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে। এখন আর সে দেশের অস্তিত্ব নেই। ভারতের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকেও সে রকম করার প্রস্তুতি চুড়ান্ত। আসুন এখনো সময় আছে। ময়দানে আসুন। দেশকে রক্ষা করুন দুশমনদের হাত থেকে। ইসলামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল নমরুদ, ফেরাউন, আবু জেহেল, আবু লাহাব আর তাদের পেতাত্নারা কিন্তু মহান আল্লাহ তালা তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছিল। এখনো সেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আজকের শেখ হাসিনা সহ সকল নাস্তিকদের ষড়যন্ত্র ধুলিস্যাৎ করে দিবেন। মাওলানা মওদুদী (র.) কে ইসলামের দুশমনরা ফাসি দিয়েছিল । তখন মাওলানা মওদুদী (র.) তার ছেলেকে বলেছিলেন, "ব্যাটা, মওতকা ফায়সালা জমিনকে নেহি , আসমানকো হোতা হো।" আজ বিশ্ববিখ্যাৎ মোফাচ্ছেরে কোরআন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে, ফাসি দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। অর্থ্যাৎ ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনকে মুছে ফেলার নিস্ফল চেষ্টা চলছে। কিন্তু আল্লাহর ফায়সালা অপেক্ষা করছে হে শয়তানের দল। অপেক্ষা কর দেখতে পাবি। আজ সকালেই মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মিথ্যা মামলার রায় হওয়ার কথা। আমি আল্লাহর নামে কসম করে বলছি যার হাতে আমার জীবন মৃত্যু। তিঁনি তোদেরকে এমন শিক্ষা দিবেন যাতে তোরা এই দুনিয়ার বুকে সকল কাফের-মুশরিকদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবি। আল্লাহকে এখনো ভয় কর। আর বাংলাদেশের মানুষ " তোদেরকে বলছি " এখনো সময় আছে ময়দানে ঝাপিয়ে পড় ইসলামকে রক্ষা করার জন্য। যদি তা না করিস আল্লাহ তার দ্বীনকে অতীতের মত তিঁনিই রক্ষা করবেন। আর তাঁর আজাবে তোরা ফেরাউনের মতই ডুবে মরবি। আর যদি দ্বীন ইসলামকে রক্ষা করার জন্য ঝাপিয়ে পড়িস তবে আল্লাহর রহমতে তোদের জীবন ধন্য হবে, মুক্তি পাবি দুনিয়া আর আখেরাতে।আর শাহবাগী এবং শেখ হাসিনা আল্লাহর আজাবের ভয় কর।

"হে আল্লাহ তোমার দ্বীনকে তুমি হেফাজত কর।"

বিষয়: বিবিধ

১৪৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File