ডিজিটাল বিজ্ঞানী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান

লিখেছেন লিখেছেন টাংসু ফকীর ০১ জুলাই, ২০১৪, ০২:০২:৫৯ রাত





এক।

দেশ স্বাধীনের পরে, শেখ মজিবর রহমান দেশের প্রধান মন্ত্রী হলে এক দিন তোফায়েল, ড. কামাল হোসেন ও সাঙ্গ পাঙ্গ সহ স্বাধীন দেশ পরিদর্শনে বের হলেন৤ ধ্বংস প্রাপ্ত দেশ দেখে, শেখ মজিবর রহমানের মন কেঁদে উঠল(!)৤ এখানে যায়, ওখানে যায় আর দেখে মানুষ শুধু হাহাকার করছে, তাতে অবশ্য তার পরিবারের কিছু আসে যায় না৤ তার ছেলের বিয়ে হয়েছে হীরার মকুট মাথায় দিয়ে৤ আর শেখ পরিবারের খরচ পাতি ত দেশের লোক জনই দিবে? নাকি? জাতির আব্বা হলেন তিনি৤ শেখ পরিবারের লোকজন ব্যাংক লুট আর নারী ধর্ষণ করলে কোন অসুবিধা নাই৤দেশ স্বাধীন করছি কি তর লাইগ্যা? দুর হ হিয়ালের বাচ্চা যত আছিস তোরা৤এখন এগুলো সব আমার পুলাপান আর নাতি পুতিরা খাবে৤ যাই হোক ঘটনা হইল যে, চারদিকে এত দুঃখ কষ্টের মাঝে শেখের পরিবার এত সুখে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে এই না দেখে ড. কামাল ভাই, শেখ মজিবর রহমানকে বলল, স্যার দেশে এত খারাপ অবস্থা এর মধ্যে আপনার পুলাপান যা করতাছে তাতেত দেশের বারোটা থাইক্যা তেরোটা বাইজ্যা যাইব৤

মজিব কাহা তখন গর্জন করে বললেন, আইচ্ছা কামাল, তোফায়েল তোরা কি আমারে একটু শান্তিতে থাকতে দিবি না?

কেন স্যার? গোস্তাখি মাফ করবেন৤ আমরা কি দোষ করলাম?

আমাকে কি তোরা আল্লাহর মত করে দেশ চালাতে দিবি? নাকি মানুষের মত করে দেশ চালামু৤বল তোরা?

আল্লাহর মত করে দেশ চালামু ? নাকি এই নাদান মানুষের মত দেশ চালামু?

কামাল ভাই , তোফায়েল একে অন্যের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে আর মনে মনে বলে এই ব্যাটা কয় কি? এখন যদি মানুষের মত বলি তাহলে জিনিসটা খারাপ হয়ে যায় আর আল্লাহর মত বললেই ভাল৤ তাই চিন্তা করে বলল, স্যার আল্লাহর মত করেই চালান৤

মজিবর কাহা তখন কইল এই জন্যইত আমি আমার পরিবারের সবাইকে সব কিছু করার ক্ষমতা দিয়ে দিছি আর বাংলার মানুষের পাছায় আইক্যা ওলা বাঁশ৤ কারণ তোরা দেখস না আল্লাহ কাউকে দিছে কোটি কোটি টাকা আর কাউকে কিছুই দেয় নাই৤ কেউ থাকে দালান কোঠায়, কেউ থাকে রাস্তায় রাস্তায়৤এই কথা শুনে সবাই কয় বাপরে বাপ মজিবর কাহা আমাদের জন্য বিরাট এক আধ্যাতিক নেতা৤ কিভাবে এত মারফতি লাইনের ব্যাপার স্যাপার বুঝে ফেলছে৤ তিনি হইলেন বিরাট এক আধ্যাতিক বিজ্ঞানী৤(সম্প্রতি ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী এড. সাহারা খাতুন বলেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের, অবশ্যই ডিজি-টা নাই শুধু টাল-টা আছে)



দুই.

সারা পৃথিবীতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রদের যাতায়াতের জন্য ট্রেন আছে এ রকম বিশ্ববিদ্যালয় আছে দুইটি একটি হইল হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আর একটি বাংলাদেশে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়৤ চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের জোবরা গ্রামে অবস্থিত৤ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পিতা জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়৤ শহর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের আনা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ট্রেনের ব্যবস্থা করে৤ কিন্তু এমন ট্রেনের ব্যবস্থা করে যা বিশ্বের জন্য এক মাইল ফলক৤ বিশ্বে এখন যত দেশে দ্রুত গামী ট্রেনের ব্যবস্থা আছে তার মধ্যে জাপানের বুলেট ট্রেন৤ যার গতি বেগ ঘন্টায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার৤ জার্মানীর ট্রেন যাদের গতি বেগ প্রায় ৪০০ কিলোমিটার৤ কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ট্রেনের গতিবেগ হিসাবের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে৤ ১৬ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিতে এই ট্রেনের সময় লাগে মাত্র ১২০ মিনিট৤ এখন কত বেগে যায় আল্লাহই ভাল বলতে পারবেন৤অবশ্যই আমার বন্ধু মজিবর বলে যে, দিনে দিনে অন্য দেশের ট্রেনের গতিবেগ বাড়ে আর আমাদের ট্রেনের গতিবেগ দিনে দিনে কমে৤এমন কোন মাস নাই যে অন্ততঃ ৭বার লাইনচ্যুত হয় নাই৤ এক বছরে ৫৬বার লাইন চ্যুত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে৤ ট্রেনের লাইনে পাথরের পরিবর্তে সামান্য কিছু ইটের খোয়া আর মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হয়৤ একটু বৃষ্টি হলেই মাটি যায় ধুয়ে৤ তখন আবার পাশের ক্ষেত থেকে কোদাল দিয়ে মাটি দিয়ে লাইন ভরে দেওয়া হয় এতে যে কয়দিন যায় আল্লাহ ভরসা৤ যাই হোক ঘটনা হইল, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আমাদের প্রিয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনারে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা যোগ দিবেন বলে কর্তৃপক্ষ জানালেন৤ এর মধ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ মজিবর রহমানও চট্টগ্রামে আসবেন, এই কথা শুনে মাননীয় উপাচার্য্য সাহেব মনে করলেন যা হোক, সেমিনারে যদি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী উপস্থিত থাকনে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে মান সম্মান অনেকটা বেড়ে যাবে৤ তাই তিনি যোগাযোগ করে প্রধান মন্ত্রীকে রাজী করালেন৤ পরে প্রধান মন্ত্রী চট্টগ্রামে আসলে বিজ্ঞানীদের সাথে একসাথে ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন৤ প্রধান মন্ত্রীর ইচ্ছা ট্রেনে করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন৤ প্রধান মন্ত্রীর ইচ্ছা বলে কথা ৤

বিজ্ঞানীদের সাথে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রওনা দিলেন৤ যেই না ট্রেন ষোল শহর ছাড়ল সেই থেকেই সবাই এক সাথে কুলহুওয়াল্লাহ, কুলহুওয়াল্লাহ শুরু করে দিলেন৤ কারণ ট্রেন একবার একপাশে কাত হয়ে কয় গোপালগঞ্জ, আবার আরেক পাশে কাত হয়ে কয় কর্ণফুলী৤ গোপালগঞ্জ আর কর্ণফুলী করতে ট্রেন যখন এগিয়ে চলল তখন ত বিজ্ঞানীরা ভয়ে অস্থির৤ সবাই ট্রেনের খুটি ধরে ভয়ে জড়সড় হয়ে মনে মনে আল্লাহকে ডাকতে শুরু করছে৤ এই ভাবে ট্রেন যখন ফতেপুর পার হয়ে ক্যাম্পাসের দিকে ধান ক্ষেতের মধ্য দিয়ে চলল তখন দুই পাশের সবুজ দৃশ্য আর বিলের মাঝে শাপলা শালুক দেখে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বুক ভরে গেল৤ তিনি চিৎকার দিয়ে বললেন এই বিজ্ঞানীরা তোরা কি দেখছস আমার দেশের কি অপরূপ সৌন্দর্য্য? এ রকম দেশ পৃথিবীর আর কোথাও আছে? না নেই৤

আর আল্লাহ যে আছে তার বড় প্রমান হইল এই ট্রেন৤ কারণ মানুষের পক্ষে এই ধান ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে এই রকম কাত হয়ে আবার সোজা হয়ে ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌছাবে এরকম ক্ষমতা কারো নাই৤ এটা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব৤ প্রধানমন্ত্রীর এই কথা শুনে বিজ্ঞানীরা ত অবাক! আরে এইত পাইছি আমাদের আরেক ডিজিটাল বিজ্ঞানী৤ আল্লাহ র অস্তিত্তের এত বড় ব্যবহারিক প্রমাণ আমরা সারা জীবন গবেষণা করেও বের করতে পারিনি আর তিনি একবারেই এটা প্রমাণ করেদিলেন৤ তিনিই সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী৤ এই জন্যও তার দেশের এই অবস্থা! আমরা সবাই উনাকে নিয়ে গর্ভবতী৤





বিষয়: বিবিধ

১৭৪৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

240438
০১ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেনটির কৃতিত্ব কিন্ত জিয়াউর রহমান এর। এই বিষয়ে তৎকালিন ভাইস চ্যান্সেলর ইতিহাসবিদ মরহুম ডঃ আবদুল করিম এর আত্মজিবনিতে পুর্ন উল্লেখ আছে। এটি চালু হয় অনেক পড়ে। তবে মজা লাগল গল্পটা।
০৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
187202
টাংসু ফকীর লিখেছেন : সবুজ ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৤ করিম স্যারকে আমরা দেখেছি৤আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসীব করুন৤ আসলে এভাবেই বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ চালাচ্ছেন৤ আল্লাহ যে কবে এর হাত থেকে বাংলার মানুষকে উদ্ধার করবেন আল্লাহই ভাল জানেন৤ ধন্যবাদ জনাব সবুজ ভাই৤
240451
০১ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৪৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো লিখাটি
০৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:৫৬
187203
টাংসু ফকীর লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জনাব সন্ধ্যাতারা ভাই৤
240473
০১ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৩৩
হতভাগা লিখেছেন : 'আমরা সবাই উনাকে নিয়ে গর্ভবতী ''

০ দারুন ফিনিশিং !
০৩ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:৫৭
187204
টাংসু ফকীর লিখেছেন : হতভাগা ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৤ এত দিন কোথায় ছিলেন৤ আপনাকে অনেক দিন ধরে মনে পড়ে৤

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File