বুবুজানের সঙ্গীরা

লিখেছেন লিখেছেন টাংসু ফকীর ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৯:২৬:০৫ সকাল

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন৤ সত্যি কথা বলছি৤ দুঃখের সাগরে ভাসছি৤ একা একাই হাসছি৤ মানুষ বলে পাগল হলি নাকি৤ আমি বলি আর কি আছে বাকী?

একটা গরীব দেশের মানুষের ভিক্ষা করা টাকা দিয়া ১৪০জন ভবঘুরে নিয়ে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে আছেন প্রমোদ ভ্রমণে৤ সব দেশের প্রতিনিধিরা হাসছেন৤ গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে উঠছেন৤ বাপ-দাদা চৌদ্দ-গোষ্ঠির জনমে যে রুমে থাকে নাই সেই রুমে থাকছেন৤

কি মজা! কি মজা! রাজা খায় ব্যাঙ ভাজা৤ এখন ব্যাঙ ভাজা রাজা খায়না৤ খায় হাতি৤ ৪২সেকেন্ড স্ট্রীট আর লেক্সিনটন এভিনিউর উপর গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল সাবওয়ে স্টেশন এর উপরে হোটেলটি৤ সিটির সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকায় রাস্তার মধ্যে দিয়ে শত শত বার রেড লাইট উপেক্ষা করে বেআইনী ভাবে এপার হতে ওপারে যাচ্ছে, শত শত ফকিন্নির দল৤ পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, আন্ডার কভার, কেউ তাদেরকে ফিরাতে পারছেনা৤ রেড লাইটের মধ্যে দিয়ে গেলে সকল গাড়ি থামিয়ে দিতে হচ্ছে চালকদের, আর তাতে যানজট বাধিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ হতে আগত জাতিসংঘের মেহমান বৃন্দ৤ রেড লাইটে জেব্রা ক্রসিংএ জনগণ যেতে পারেনা, গাড়ী চলবে তখন এবং জনগণের যাওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি৤ কিন্তু তখনও এই সম্মানিত মেহমানেরা যাতায়াতের মাধ্যমে এলোপাথারী চলাচল করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করছে৤ বাধ্য হয়ে চালকগণই গাড়ী থামিয়ে ঠায় দাড়িয়ে থাকছে৤ এরা ভদ্র বলে গাড়ী থামিয়ে তাদের যেতে দেয় আর হা করে তাকিয়ে বলে এরা কোন দেশ থেকে এসেছে? আর হাসিনা আপা উমের মুরগীর মত সারা দিন হোটেলে বসে জন্ম দিন পালন করছে৤ ভাষণের বাক্স নিয়ে বোমা আতঙ্ক আর সফর সঙ্গীদের সপিং নিয়ে মহা ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বুবুজান৤ জন্মদিনের আয়োজন মোটামুটি ভালই হয়েছে৤ মূল অনুষ্ঠানে প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে যেতে পারে মাত্র ৮জন। বাকীরা ছাগলের ১৪ নম্বর বাচ্চা। তাদের কাজটা কি? কি করবে কেনাকাটা ছাড়া? কেনাকাটাই বা করবে কি ভাবে? চুরির টাকা ছাড়া? যত সব ফকিন্নির পোলা।

এইবার একটা বিভৎস ঘটনা বলি, আপনারা গত বছর শাকিল ভাই আর শাহনাজ গাজীর ঘটনা নিশ্চয়ই আপনারা ভুলেননি৤ এবার টাঙ্গাইল থেকে আগত ছাত্রলীগের সভাপতির কাহিনী৤ গতকাল ব্রুকলীনের ওশনপার্কে তার এক আত্নীয়ে বাসার যাওয়ার জন্য ম্যানহাটান থেকে ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করে৤ ট্যাক্সি ড্রাইভার তালে তালে বাঙ্গালী৤ নাম জনাব লুৎফর রহমান, বাড়ী দিনাজপুর৤ তার ট্যাক্সির নম্বর (3L59)৤ সারা রাস্তা আলাপ করে করে যাচ্ছে৤ নেত্রীর নেক নজরে আসার জন্য এবং এই সফর সঙ্গীর হওয়ার জন্যও তাকে মাল গুনতে হয়েছে, চ্যানেলে চ্যানেলে৤ তদবির করতে হয়েছে প্রায় ৬মাস ধরে৤ যা হোক গন্তব্যস্থানে যেয়ে লুৎফর সাহেবকে বলে ভাড়া কত?

৩৬টাকা ভাড়া৤ বলে ভাই কোন ডিসকাউন্ট নাই৤ লুৎফর সাহেব বলেন ভাই এখানে যাত্রীরা আরো টিপস দেয়, যাকে আমরা বলি বখশিস কমপক্ষে ২৫ শতাংশ৤ যাই হোক আপনি আসল ভাড়াটাই দেন৤ ভাড়া দেওয়ার পর লুৎফর ভাইকে যা বলল তা সহজ ভাষায় প্রকাশ করা অনেক কঠিন৤ অনেক কষ্টে সুন্দর বাংলায় প্রকাশ করলে দাড়ায় এই , লুৎফর ভাই এখানে কি অর্থের বিনিময়ে নারী সঙ্গ পাওয়া যাবে? কারণ সভাপতি সাহেবের ভাষা প্রকাশের অযোগ্য৤ এই কথা শুনার সঙ্গে সঙ্গে লুৎফর সাহেব শুধুমাত্র গায়ে হাত দিয়ে তাকে মারতে বাকী রেখে লাথী দিয়ে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেন৤ মনে মনে বলেন, হায়রে দুর্ভাগা দেশের মানুষ আমরা৤ নিজের দেশের গরীব মানুষের টাকা দিয়ে প্রমোদ ভ্রমনে আমেরিকা এসে নারী সঙ্গ খুজে ? এর পরেও মানুষের ছাত্রলীগ সম্পর্কে কোন হুশ হবেনা?

বিষয়: বিবিধ

১৯৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File