শালীন পোশাক ও বাস্তবতা
লিখেছেন লিখেছেন টাংসু ফকীর ২৭ জুন, ২০১৩, ০৪:১৭:৪৩ রাত
সম্মানীত পাঠক বৃন্দ পোশাক হচ্ছে মানব জীবনে একটি অন্যতম সুন্দর অলংকার মানুষের ইজ্জত আব্রুকে শালীনতার মধ্যে রাখতে উত্তম পোশাক পরিধান করা অত্যাবশকীয় যে কোন যৌন নির্যাতনের অন্যতম কারণ হচ্ছে পোশাক পোশাক শালীন না হলে ঘটে যায় যত ধরনের অঘটন ইসলাম এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর নিজের সৌন্দর্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার বিরুদ্ধে ইসলাম ইসলামে পর্দা করা ফরজ নিজের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে বেড়ানো নিষেধ করেছে আল কোরআন ইসলামের অকাট্য যুক্তি আছে পোশাক শালীন ভাবে পড়ার জন্য কোরআন -হাদীসের তাগিদা হচ্ছে সমগ্র মানব জাতিকে একটি সুন্দর সমাজ উপহার দেয়া সম্মানীত পাঠক আজ আপনাদের বলব শুধু মাত্র বাস্তব কিছু ঘটনা
মুসলমান ছাড়াও বর্তমান বিশ্ব মানবতাকে রক্ষা করার জন্য অমুসলিম, ইহুদী, খৃষ্টানরাও পোশাকের ব্যাপারে যথেষ্ট তাগিদ অনুভব করছে কারণ তাদের সমাজ ব্যবস্থা আজ উচ্ছন্নে যাওয়ার উপক্রম অবাধ যৌনতা, খোলা-খুলি মেশা-মেশি, নিয়ন্ত্রণহীন জীবন, তাদের আজ পারিবারিক কলহ হতে শুরু করে ভয়াবহ সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিকতাহীন আর অপরাধ প্রবণ করে তুলছে এতে সামাজিক বিজ্ঞানী সহ সকল নেতৃবৃন্দ নিদারুন পেরেশানির মধ্যে আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি বর্গ সচেতনতার জন্য নিজ নিজ দেশের মানুষের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন
এক.
শর্ট স্কার্ট ও হাইহিল ধর্ষণকে উস্কে দেয়এমন মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন টরি পার্টির বৃটিশ এমপি রিচার্ড গ্রাহাম ধর্ষণের শিকরা হওয়ার জন্য মেয়েদের ড্রেস স্টাইল দায়ী নয় এমন মনোভাব পোষণকারী বিভিন্ন নারীবাদী প্রুপের প্রচন্ড সমালোচনা ও তোপের মুখে পড়েছেন গ্ল্যাউচেষ্টারের ওই এমপি তিনি বলেছিলেন নাইট আউট (শর্টস্কার্ট পড়ে সেজে গুজেঁ আনন্দ উল্লাসে বাইরে রাত কাটনো) হচ্ছে একটি পান (নেশা), আর যার মাধ্যমে নিজেকে রিস্কে ফেলে দেওয়া হয় গ্রাহাম বলেন, আপনি যদি এক জন যুবতী নারী হন, যিনি ভোরে শর্টস্কার্ট ও হাই হিল পরা অবস্থায় বাসায় ফিরছিলেন আপনি মাতাল ও নেশার ঘোরে চোখে দেখছিলেন না কাপড়-চোপড় যা আছে তাও ঠিক নেই এমতাবস্থায় যদি কোন শিকারীর ফাঁদে পড়েন তবে কিভাবে নিজেকে বাচাঁবেন আপনি? যদিও আমাদের সামান্য পুলিশ উপস্থিতির ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু এটা আপনাকে অসৎ শিকারীর হাত থেকে সব সময় পূর্ণ ভাবে রক্ষা করতে পারবেনা আপনাকে নিজের রক্ষা কবচ ভালভাবে দেখতে হবে যদিও আমার মতে দুষ্কর্মাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য নারীদের প্রশস্ত পোশাক পরা উচিৎ অভিনেত্রি 'জনা লুমে'র এমন মন্তব্যের কয়েক দিনের মাথায় এসব কথা বললেন রিচার্ড গ্রাহামজনা এক ক্যাম্পেইনে বক্তব্য দেয়ার সময় বলেছিলেন, মাতাল হবেন না বাজে পোশাক পরবেন না ও মধ্য রাতে নিজের ড্রেসের ব্যাপার সচেতন থাকুন এটা নিজের সচেতনতার সঠিক পদ্ধতি জনা’র বক্তব্যে তেমন প্রতিক্রিয়া না হলেও এমপি গ্রাহামের বক্তব্যের পর জ্বলে উঠছে দাতব্য সংস্থা গুলো গ্লাউচেষ্ট শায়ারের রেপ ক্রাইসিস সেন্টারের এক জন মুখপাত্র বলেন, ধর্ষণ হচ্ছে একটি অপরাধ মাতাল হওয়ার সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই ধর্ষণ হয়ে থাকে নিজের ক্ষমতা জাগিয়ে তোলা ও নারীকে অসম্মান করা থেকে রেপ ক্রাইসিস ইংল্যান্ডের ট্রাষ্টি ‘‘জো উড’’ বলেন, এমন মন্তব্য আমাদের একশত বছর পিছিয়ে নিয়ে গেছে (৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ইং, সাপ্তাহিক দর্পণ)
দুই .
সম্মানীত পাঠক চিন্তা করুন ! আজ পাশ্চাত্যরা যে ফালাফালি করে নারী স্বাধীনতা নিয়ে, নারী অধিকার নিয়ে, তাদের নারীদেরই অধিকার তারা আইন করে বন্ধ করে রেখেছিল শত শত বছর কোন পোশাক নারীরা পরতে পারবে আর কোন পোশাক পরতে পারবে না সেটা পুরুষেরাই ঠিক করে রেখেছিল
‘‘এখন থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের নারীদের প্যান্ট পরতে আর কোনো বাধা নেই। নারীদের প্যান্ট পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ২১৪ বছর পর সোমবার তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার। প্যারিসের মেয়েরা প্যান্ট কিংবা ট্রাউজার পরতে পারবে না—এমন নিয়ম করে ১৭৯৯ সালের নভেম্বরে অধ্যাদেশ জারি করেছিল ফ্রান্স সরকার। সে সময় আইন অমান্য করলে কোনো নারীকে জেল খাটতে হতো। ফরাসি বিপ্লবের পর বুর্জোয়াদের স্কার্টের মতো ঢোলা এক প্রকার প্যান্টের বিপরীতে বিপ্লব বিরোধী পুরুষরা ট্রাউজার পরত। এ সময় নারীরাও ট্রাউজার পরার দাবি তোলে। মূলত বিপ্লব বিরোধীদের রুখতেই এ আইন পাস হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ১৮৯২ এবং ১৯০৯ সালে এ আইন আংশিক সংশোধন করা হয়। সংশোধিত আইনে বলা হয়, ‘কেবল সাইকেল কিংবা ঘোড়ায় ওঠার সময় নারীরা ট্রাউজার পরতে পারবে।’ আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল প্যারিসের নারীরা। তাদের জন্য আইনটি বিষফোঁড়ার মতোই যন্ত্রণাদায়ক ছিল। সাম্প্রতিককালে আধুনিক প্যারিসের নারীরা এ আইন ততটা মানত না এবং আইনটির তেমন কার্যকারিতাও নেই। তারপরও তারা আইনটি বাতিলের দাবি থেকে সরে আসেনি।
সর্বশেষ ২০১২ সালের জুলাই মাসে প্যারিসের নারীরা ফ্রান্সের নারী অধিকারবিষয়ক মন্ত্রী ‘‘নাজাত ভালোদ বেলকাসেমে’’র কাছে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘এ আইন আমাদের আধুনিক সংবেদনশীলতার উপর আঘাতস্বরূপ।’ সোমবার আইনটি বাতিলের পর নাজাত ভালোদ বেলকাসেম বলেন, ‘এ আইনটি নারী-পুরুষের মাঝে সমতার যে নীতি আমাদের সংবিধান এবং ফ্রান্স ইউরোপীয়ান সম্মতিপত্রে রয়েছে তার সঙ্গে চরমভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এ অসামঞ্জস্যতাই আইনটি বাতিলের পথ সুগম করে।’
যারা নিজেদের সভ্য হিসেবে দাবী করে তাদেরই এই অবস্থা কারণ তারা নারীদের নিজেদের কেনা পণ্যের মত ব্যবহার করত (আমার দেশ-৫ই ফেব্রুয়ারী,২০১৩ ইং।)
তিন .
হাই হিলে আর্কষণ বাড়ে ঃ ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের এক দল গবেষক জানান যে, হাইহিলে নারীর আকর্ষণ বাড়ে চলন ভঙ্গিকে হাই হিল আরো আবেদনময়ী করে তোলে হাই হিলের চলন ভঙ্গিতে নারী সুলভ ভাব একুট বেশী স্পষ্টরূপে ফুটে উঠে, যা ফ্লাট স্যান্ডেলের ক্ষেত্রে খুব একটা যায় না হাই হিলে হাটার সময় দেহের কিছু অংশ চাপ পড়ে, ফলে স্বাভাবিক চলন ভঙ্গিতে এক ধরণের পরিবর্তন আসে এবং এটাই আকর্ষণ করে অন্যদের হাই হিলের সাথে সংক্ষিপ্ত পোশাক পরিয়ে মঞ্চে আলোর প্রক্ষেপনের মাধ্যমে দেখেন যে, নারী সংক্ষিপ্ত পোশাকে স্বাভাবিক অবস্থা থেকে কয়েক গুন আকর্ষন বেড়ে যায়
চার.
ধর্ষণের রাজধানী দিল্লীতে, গত ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১২ইং সনে দিল্লির মেডিকেল ছাত্রী ‘দামিনী’ ধর্ষণের স্বীকার হওয়ার পর ; সারা ভারত জুড়ে উঠে প্রতিবাদের ঝড় ভারত জুড়ে বন্ধ সহ মিছিল, মিটিং , প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা ভারত বাসী, এর জন্য ও কিন্তু দায়ী পোশাক, এমন মন্তব্যই করে ভারতের বিজেপির নেতারা পাষন্ড , ভন্ড নেতা নরেন্দ্র মোদী, শিব শংকর মেনন, বিজয় কৃষ্ণ শর্মা সবাই এক যোগে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে, সংক্ষিপ্ত পোশাকে ভারতীয় নারীদের অনেক বেশী যৌন আবেদনময়ী করে তোলে, ফলে বখে যাওয়া কিংবা বাজে ছেলেরা ইভ টিজিং সহ তাদের উপর চড়াও হয় খুব সহজেই যুবতী কিংবা সুন্দরী মেয়েদের তারা শালীন পোশাক পড়ে রাস্তায় বের হওয়ার পরামর্শ দেন
পাঁচ.
ভারতের মহারাষ্ট্রে ২০০৯ ইং সালে আইন করে মেয়েদের জিন্সের প্যান্ট পরা নিষিদ্ধ করা হয় কারণ হিসেবে বলা হয় আট সাট জিন্স প্যান্ট পরা মেয়েদের ক্ষেত্রে ধর্ষণের হার অনেক বেশী টাইট ফিট জিন্স প্যান্ট পরলে মেয়েদের অনেক বেশী যৌন আবেদনময়ী লাগে ফলে, ধর্ষণ সহ মেয়েরা নির্যাতনের স্বীকার হয় বেশী
ছয়.
গত মাসে (মে.২০১৩ইং) আমাদের সম্মানীত যোগাযোগ মন্ত্রী সাহেব বলেছেন ‘‘বিলবোর্ডে নারী বিজ্ঞাপনই দুর্ঘটনার কারণ’’ বাংলাদেশের নারীদের নিয়ে বিজ্ঞাপন এখন চমৎকার ব্যবসা ইউরোপ বা আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনে এখন নারীদের আরো বেশী যৌন আবেদনময়ী করে উপস্থাপন করা হয় কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ উন্মুক্ত যৌনকলায় বিশ্বাসী না হওয়ায় তারা একটাকে আড় চোখে দেখে পুলকিত হওয়ার চেষ্টা করে ফলে নানা দুর্ঘটনা ঘটে
সাত.
ভারত সফর কালে সংক্ষিপ্ত পোশাক না পরতে কিংবা নগ্ন পা প্রদর্শন না করতে প্রতিনিধিদের হুঁশিয়ারী দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক(এডিবি) এডিবি বলেছে, নারী প্রতিনিধিরা সংক্ষিপ্ত পোশাক পরলে তা রক্ষনশীল ভারতীয়দের অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এবং ফলে যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটতে পারে এডিবির ৪৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা ভারতের ‘নয়দায়’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আর এতে প্রায় ৬৭ টি দেশের চার সহস্রাধিক প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছে নয়া দিল্লির বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন প্রতিনিধিরা এডিবির ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, ভারতীয়রা পোশাকের ব্যাপারে খুবই রক্ষণশীল এ কারণে নারী প্রতিনিধিদের পা ঢাকা সহ শালীন পোশাক পরতে হবে এডিবি বলেছে ট্রাইজার পরা যাবে কিন্তু শর্টস বা শর্ট স্কার্ট কিংবা সংক্ষিপ্ত পোশাক অনেকের কাছেই অশোভনীয় ভারতের আবহাওয়ায় নিজেকে শীতল রাখতে চাইলে সুতার আরামদায়ক পরা যেতে পারে আর ভারতে অবস্থান কালে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না তারও একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি
আট.
শালীন পোশাকের ব্যাপারে এখন পাশ্চাত্য নারীরাও বেশ সচেতন বৃটেনে গত ২৪শে এপ্রিল ২০১৩ ইং বাংলাদেশী ‘নাজমা বেগমে’র উদ্দ্যোগে পালিত হয় হিজাব পড়ার দিন নাজমা বেগম বৃটেনের একটি নামকরা কলেজের ছাত্রী তার সাথে যোগ দেয় বৃটেনের অনেক অমুসলিম ছাত্রীরাও প্রায় আড়াই হাজার নারী হিজাব পড়ে তাদের শালীনতার জানান দেয় সারা বিশ্বকে
নয়.
শালীন পোশাক পড়ার কারণে সৌদিআরবে পৃথিবীর সবচেয়ে কম অপরাধ সংঘটিত হয় নারী সংক্রান্ত ধর্ষনের ঘটনা খুবই কম এবং এটা সচারাচর ঘটে না যেখানে আমেরিকায় প্রতি ১৩ সেকেন্ডে এক নারী ধর্ষিত হয় আর অষ্ট্রেলিয়ায় হয় প্রতি ১১ সেকেন্ডে এক জন
বর্তমানে বাংলাদেশের মেয়েদের পোশাকে সাথে পাশ্চাত্যের পোশাকের কোন পার্থক্য নাই এখন মেয়েরা অনেক বেশী খোলামেলা পোশাকে অভ্যস্ত স্কুল, কলেজে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েরা বিনা অস্বস্তিতে জিন্স প্যান্ট বা আট সাট প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফলে যা হবার তাই হচ্ছেপাশ্চাত্যের ভোগবাদী সমাজ ব্যবস্থায় এরা নারীদেরকে মনে করে পণ্য তাই তাদেরকে যে ভাবে ব্যবহার করে তারা ব্যবসা সফল হতে পারবে , সেই কাজই তারা করে ম্যানহাটানে ফ্যাশন ডিস্ট্রিক্ট হচ্ছে সেভেন এভিনিউ (একটি রাস্তার নাম) এই খানে ফ্যাশন ইন্সটিটিউশন আছে যাদের কাজ হল কত সংক্ষিপ্ত পোশাকে নারী দেরকে বেশী যৌনআবেদনময়ী করা যাবে তার জন্য নিরলস কাজ করা সুন্দরী প্রতিযোগীতার উদ্দেশ্য কি? নারীদের কে কিভাবে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পণ্যের মত আকর্ষণীয় করে তোলা যায়? ফ্যাশন শো তে কি হয়? ফ্যাশন শো কারা করে ? সব ফ্যাশন শোর উদ্দেশ্য হচ্ছে ওখান থেকে আকর্ষণীয় নারীদের বাছাই করে ব্যবসায় খাটানো নারীদের কে সংক্ষিপ্ত পোশাকে তাদের শরীর প্রদর্শন করা এবং শরীর প্রদর্শন করা এটাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য
বাংলাদেশের মেয়েরা যে জামা পরে তাদের উড়না থাকে গলায় প্যাঁচানো বক্ষ উন্মোচন করে মানুষকে দেখিয়ে নিজেরা মজা পাওয়া কারণ উড়নার উদ্দেশ্যে হচ্ছে শরীরের উচু নিচু অংশ যাতে প্রদর্শিত না হয় কিন্তু উড়নার খেয়াল রাখে এমন মেয়ে কমই আছেআর শাড়ী পরার কথা ! নাভীর নিচে কাপড় পরে অর্ধ চন্দ্রের মত করে ব্লাউজের পিঠ খালী রাখে , ব্লাউজের নিচে কত আকর্ষনীয় করে শাড়ী পরে , শরীরের মোটামুটি স্পর্শকাতর জায়গা গুলি প্রদর্শন করে, মানুষকে অবাধ যৌনতার দিকে নিয়ে যাওয়াই এইসব মেয়েদের উদ্দেশ্য
বিভিন্ন মেলায় গেলে অহরহ এই সব দেখতে পাওয়া যায় বাণিজ্য মেলায়, বই মেলায় কিংবা বৈশাখী মেলায়’ রাত বিরাতে স্কুল-কলেজের মেয়েরা , বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা বন্ধুদের সাথে যে পোশাকে ঘুরে বেড়ায় তাতে ছেলেদের সংযত রাখা সত্যিই কঠিন
‘ফাতির আহমদে’র একটি কবিতা মনে পড়ে গেল
‘‘কেমন করে?’’
‘কি সুন্দর অর্ধ চন্দ্রের মত
কেটে নিয়েছ কামিজের পিঠ,
বব কাট চুল গুলো পারলোনা
ঢেকে দিতে সফেদ জমিন,
তখন যদি কেউ নিঢাকা পিঠে
ছ‘ইঞ্চি ব্রাশ বুলিয়ে
জাহাজ মার্কা আলকাতরা মেখে দেয়
কেমন করে তাকে অপরাধী বলবে?
খোদার দেয়া ভ্রু নিয়েছো কেটে,
ঠোঁটে মেখেছো লাল,
চোখের পাতাও কি দিয়ে করেছো জরিন,
তখন যদি কেউ বলে দেখ কি খাসা মাল যায়,
কেমন করে তাকে অপরাধী বলবে?
নৃত্য যুক্ত দেহ বল্লরী ,
চর্বিযুক্ত তল পেট,
টাকি মাছের গর্তের মতো
হা করা নাভী বের করে
ধেই ধেই করে যখন হাটো,
তখন যদি বেপরোয়া যুবক
ঝাঁপটে ধরে কিছু করে
কেমন করে তাকে অপরাধী বলবে?
বিষয়: বিবিধ
৩২১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন