হাসিনা সরকারের উদ্ধার তৎপরতা

লিখেছেন লিখেছেন টাংসু ফকীর ২১ মে, ২০১৩, ১১:১৩:৪২ রাত

গত ২৪শে এপ্রিলে বাংলাদেশের ইতিহাসে যে ভয়াবহ ভবন ধ্বস হয়েছে তাহা পৃথিবীর ইতিহাসেও নেই।জনাব সোহেল রানার উচ্চ মার্গে উঠার মক্করবাজীর কারণে এই যে হাজার হাজার মানুষ মারা গেল তার কোন বিচার কোন দিন হবে কিনা তা এক মাত্র আল্লাহ ই জানেন। কিন্তু হাসিনা সরকারের উদ্ধার তৎপরতার কারণেও কয়েকশ মানূষ চিরদিনের বিদায় নিয়েছে। ধ্বসের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ যে ভাবে এগিয়ে এসেছিল, সে রকম ভাবে সরকারী কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। যাই যাচ্ছি করে ৮-১০ ঘন্টা পার করে দিয়েছে। সেনা বাহিনীকেও নামিয়েছে অনেক পরে। বিদেশীরা সাহায্য করতে চাইলেও তা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে শুধু প্রকৃত মৃত্যর সংখ্যা যাতে মানুষ জানতে না পারে। আর আবুল মাল আবদুল গরু তিনি বলেছেন সাভারের ঘটনা কোন তেমন কিছু নয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের জীবনের দাম কুত্তা বিলাইয়ের চেয়ে অনেক কম। কারণ ক্ষমতাসীনরা এখন লুট পাটে ব্যস্ত। মানুষের জীবনের কোন মূল্য তাদের কাছে নেই। অথচ দেখুন রাষ্ট্রের কাজ হল জনগণকে ‍নিরাপত্তা দেয়া। তাদের জান মালের হেফাজত করা। হেফাজত তারা করেছে। হেফাজতের লাশ ময়লার গাড়ীতে করে নিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। জনাবা শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন ‘‘কারো বেড রুম পাহারা দেয়া তার কাজ নয়।’’ তার কাজ হল জয় বাবাজীকে বাংলাদেশের মানুষের টাকা পয়সা লুট করে আমেরিকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে দেয়া।আত্নীয় স্বজনকে বাংলাদেশের সম্পত্তি ভাগ ভাটোয়ারা করে দেয়া।এবার দেখুন পৃথিবীর অন্য দেশের মাত্র একজন নাগরিকের জন্য তাদের সরকার কি করে। ১৯৯০ সালে এক জন মার্কিন নাগরিক ‘‘এলিয়েদা’’ বাংলাদেশে যাওয়ার সময় সঙ্গে ১ কেজি হিরোইন নিয়ে যায় এবং জিয়া আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে ধরা পড়লে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বিল রিচার্ডসন নিজে বাংলাদেশে এসে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় এবং তারা নিজেরা এর বিচার করবে বলে যুক্ত রাষ্ট্রে এনে ছেড়ে দেয়। পরে সাংবাদিকদের সে ইচ্ছা করেই এ কাজ করেছিল যাতে বাড়তি কয়টা পয়সা রোজগার করা যায়। ২০১২ সালে ২৭ শে ডিসেম্বর নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের সাথে ব্রুকলীনের সংযোগকারী সেতু, ‘‘ব্রুকলীন সেতুতে’’ এক জন ব্যক্তি হঠাৎ করে সেতুর মাঝখানে একটি পিলারের উপরে উঠে চিৎকার দিয়ে বলে সে নদীতে ঝাপিয়ে পড়বে। আর এতে করে পুলিশ প্রশাসন হতে শুরু করে সকল উদ্ধারকারী সংস্থা সেকেন্ডের মধ্যে সেতু সহ আশে পাশের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেয়।এবং স্থল পথ, নদী পথ আর আকাশ পথে শত শত আইন শৃংখলা বাহিনী এসে জড়ো হয় সেখানে। প্রায় ২ ঘন্টার অভিযানে তাকে নামিয়ে নিয়ে আসে।আমার গাড়ী ঠিক সেতুর মধ্যে খানে আটকে থাকে ততক্ষণ।আর রাস্তাঘাটে কোন দুর্ঘটনা কিংবা কর্মস্থলে আঘাত পেলে কিংবা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা হলে আদালতের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ডলার ক্ষতি পূরণের নিয়ম ত আছেই। মাত্র একজন নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তার জন্য সরকারের কি আকুলতা তাহা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। উন্নত দেশ হিসেবে না হয় বুঝলাম। কিন্তু গরীব দেশেরও আন্তরিকতাও কম নয় আপনারা জানেন চিলির দুর্ঘটনার কথা। সেখানে মাত্র ৩৩ জন খনি শ্রমিকের জন্য চিলি সরকার প্রায় ২কোটি ডলার খরচ করেছিল। চিলির কাহিনী শুনুন।

চিলির দুর্ঘটনা মহাকাব্যিক অভিযান

৫ আগস্ট ২০১০, চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে ৮০০ কিলোমিটার উত্তরে কোপিয়াপো শহরের কাছে আতাকামা মরু এলাকায় খনি ধসে সানজোসে স্বর্ণ ও তামা খনির ২০৪০ ফুট (৬২৪ মিটার) নিচের একটি গুহায় ৩৩ জন খনি শ্রমিক আটকা পড়েন। ১৭ দিন পর ২২ আগস্ট সন্ধানকারীরা খনি শ্রমিকদের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর শুরু হয় এক মহাকাব্যিক উদ্ধার অভিযান। শ্রমিকদের এ উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সান লরেঞ্জো।

৬৯ দিন মাটির নিচে আটকে থাকা ৩৩ জন খনি শ্রমিককে উদ্ধারে ঘটনাকে বলা হচ্ছে মানব ইতিহাসের তুলনাহীন অভিযান। ১৯৬৯ সালে প্রথম চন্দ্রাভিযান শেষে অ্যাপোলো ১১ ফিরে আসার পর অন্য কোনো ঘটনা বিশ্ব মিডিয়ায় এমন আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। বেঁচে থাকার সন্ধান পাওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করে বিশেষভাবে নির্মিত ফিনিক্স নামের একটি একুশ বর্গইঞ্চির খাঁচাসদৃশ ক্যাপসুল লিফট নামিয়ে একে একে তুলে আন হয় ৩৩ শ্রমিককে। শ্রমিক উদ্ধারের এ রুদ্ধশ্বাস অভিযান চলে ১২-১৩ অক্টোবর ৩৩ ঘণ্টাব্যাপী।

বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১০, ১৮ ভাদ্র ১৪১৭

চিলিতে খনি বিপর্যয় অবশেষে মালিক পক্ষ ক্ষমা চেয়েছে চিলির দুর্ঘটনা কবলিত খনি কর্তৃপক্ষ আটকে পড়া ৩৩ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। খবর বিবিসির। সানইসতেবান মাইনিং প্রুপের প্রধান নির্বাহী আলিজান্দ্রো বো বলেন, খনিতে আটকে পড়া ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যে নিদারুণ যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়েছে সে জন্য আমাদের অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।

এদিকে আটকেপড়াদের উদ্ধারের জন্য খনন শুরম্ন হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এ জন্য তিন থেকে ৪ মাস সময় লাগতে পারে। নাসার বিশেষজ্ঞ দল চিলির কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়েছেন তারা যেন আটকেপড়াদের কাছে কোন কিছু গোপন না করে এবং মিথ্যে আশা না দেয়।

ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭শ' মিটার নিচে আটকে পড়া খনি শ্রমিকদের বলা হয়েছে, তাদের উদ্ধারে দীর্ঘ সময় লাগবে। তবে কোন তারিখ উল্লেখ করেননি কর্মকর্তারা। নাসার এই দলের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ, প্রকৌশলী ও মনস্তাত্বিক। চিলি সরকারের অনুরোধে নাসার এই দল সেখানে এসেছে। খনি দুর্ঘটনার তিন সপ্তাহ পর খনি মালিক আলিজান্দ্রা চিলির পার্লামেন্টারি কমিটিকে বলেন, এই ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য তাদের যে যন্ত্রণা হচ্ছে সেজন্য তিনি আনত্মরিকভাবে ৰমা প্রার্থনা করছেন। খনি মালিক বলেন, বর্তমানে আমরা কঠিন সময় অতিবাহিত করছি এবং সহসাই এর সুন্দর সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা করছি।

চিলির একজন বিচারক গত বৃহস্পতিবার খনি কোম্পানির ১শ' ৮০ কোটি ডলারের সম্পদ আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন। আটকেপড়া খনি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।

চিলির দুর্ঘটনায় মালিক পক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। আর জনাব সোহেল রানা বলেছে ছাড়া পেলে বাকী যে কয় শ্রমিক জীবিত আছে তাদেরকেও হু!অু ------। সম্মানীত পাঠক বৃন্দ , চিন্তা করুন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এক রাতে ব্রাশফায়ার করে মানুষ হত্যা করে ২৫০০।সকল ইসলামপন্থীদের ফাসি দেয় অন্যদেশের কথা শুনে। আর আদালত হয় সরকারের আজ্ঞাবহ। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ত দুরে থাক। স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন নিশ্চয়তা নেই। নিরাপদে যে একটু মরব সেই সুযোগ ও নেই যে দেশে তার নাম সোনার বাংলাদেশ।

বিষয়: বিবিধ

১২১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File