নাস্তিকরা দু'টি শক্তিতে দুরবলঃ১. সত্যের শক্তি ২. ঐক্যের শক্তি।তাই ইসলাম প্রিয় ভাই এবং বোনেরা আসুন প্রতিহত করি নাস্তিকদের..........
লিখেছেন লিখেছেন সুরমা পারের মাঝি ০৯ মার্চ, ২০১৩, ১০:২৪:৪৯ রাত
ইসলামিক আন্দোলনের সবার লক্ক্য- উদ্দেশ্য একটা।সবাই আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে চায়।তাই পলিসি, মত বা হিকমতের পারথক্য থাকতে পারে,মত-পারথক্য থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তূ আদরশের পারথক্য হতে পারেনা।যেমন একপরিবারের চার ভাই সবার উদ্দেশ্য একটা সবাই চায় পরিবার কে সুন্দর করে সাজানোর,কিন্তূ চার ভাইর চারটি পলিসি,মত বা হিকমত থাকে,যখন পরিবারের কোন দরকার পরে তখন টিকই চার ভাই একাত্বতা পোষন করেথাকেন।এই মুহূর্তে আমাদের পরিচয় আমরা মুসলিম এক মুসলিম অপর মুসলিমের আপন ভাইয়ের চেয়ে বেশী গবির সম্পরক।একমাত্র মুসলিম হওয়ার কারনে আমরা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশটিতে বাস করছি।সামান্য অতীতের দিকে থাকালে আমরা আমরা দেখতে পাই মুসলিম না হলে এটি হিন্দুস্তানি কোন অঙ্গরাজ্য হত।যদিও, পাকিস্তানীরা শোষণ-নিপীড়ন না করলেও শুধুমাত্র ভৌগলিক কারনে আমরা স্বাধীন হতাম।সুতরাং,কোন নাস্তিকের কাছে আমাদের স্বাধীনতা কোনভাবেই নিরাপদ নয় এটা বুজতে আপাততঃরাষ্ট্রবিজ্ঞানের কোন সূত্রের দরকার নেই।ওরা চাচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা আমাদের কাছ থেকে ছিনতাই করে কারো কাছে বন্ধক দিয়ে দিতে।আমরা মুসলমান দেশপ্রেম আমাদের ঈমানের অন্গ। কিন্তূ,মুসলিম পরিচয়ে বসে থেকে এটা হতে দেয়া শুধু অন্যায়ই নয় বরং মাহাপাপ।এখন সে সময়টি এসেছে মতো-পারথক্য ভূলেগিয়ে স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদেরকেই অতন্দ্র প্রহরী হয়ে এগিয়ে আসার।আমাদের মুসলিম পরিচয় তথা ইসলামকে ঠিকিয়ে রাখার। এ ক্ষেত্রে আমাদের করনীয় কি তা নিয়ে খুব দ্রুত এবং কৌশলী হয়ে এখনি এগিয়ে আসতে হবে। আজ আর কোন পরিচয় নেই কে জামাতি-ইসলাম?কে খেলাফতে ইসলাম?কে জমিয়তে ইসলাম?যেটা ইতিমধ্যে শতাদিক মানুষ শাহাদাতের মাধ্যমেই প্রমাণ করে গেছেন।এদের বেশিরভাগ মানুষই জামাত করেনা।সুতরাং এদেশের সাধারণ মানুষ কি চায় তা নতুন করে গবেষণার দরকার নেই। শহীদদের রক্তের সাথে আমরা শপথ করি এবং তাদের রেখে যাওয়া অফুরন্ত কাজ গুলোর আন্জাম দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি বদ্দ হই।শহীদদের রক্তের বদলা নেবো ইসলামি বিপ্লব এর মাধ্যমে।শহীদদের রক্তের সাথে আমরা বেইমানি করতে পারিনা।এই মুহূর্তে নিজেদের মধ্যে বিভেদ-বিদ্বেষ, ছোটখাট মতভিন্নতা ভুলে গিয়ে এক প্ল্যাটফর্মে আসাই হবে বিজয়ের একমাত্র চাবিকাঠি। যেমনটি মিশরে সকল ইসলামী দল মিলে ৪০বৎসরের প্রভাবশালী শাসকের সর্বশক্তি উপেক্ষা করে ইসলামের চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে এনে সরকার গঠন করেছে।তারা যদি তাহরির স্কয়ার বানাতে পারে আমরা কেন পারবোনা?? অন্যথায় যেরকম মাথা ধরে টান দিলে যেমন সারা শরীরের বাকি অংশের উপর কন্ট্রল নিতে কোন সমস্যা হয় না সেরকমই হবে।
প্লিজ,যারা সেকুলার রাষ্ট্র চাই না;ইসলামী সরকার চাই, মাত্র এই একটিবার একটু ভাবুন!!প্লিজ,এই একটিবার সিরিয়াসলি চেষ্টা করি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার!! যে কয়েকটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে আগানো যেতে পারে যেমনঃ
১.সকল ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে করণীয় ঠিক করে এই নাস্তিক্যবাদি সরকার হঠাতে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
২. ঢাকাকে কেন্দ্র করে দেশের সকল জেলা-উপজেলা, পাড়া-মহল্লায় শক্তিশালী একেকটি তাহরির স্কয়ার গড়ে তুলতে হবে।
৩. ৫লক্ষের মত ফেইসবুক ইউজার ও ইসলামপন্থী পেইজের এডমিনরা ফেইসবুকে, টুইটার,ব্লগে সর্বত্র ঐক্যের আওয়াজ তুলে সর্বত্র জনমত গঠন করতে হবে(সাম্প্রতিক সময়ের সকল বিজয়ে এগুলোই মুল ভুমিকা রেখেছে)
৪. বাংলাদেশের নাস্তিক মিডিয়া গুলোর ভরসা না করে সময়ের সাহসী সন্তান মাহমুদুর রাহমানের আমার দেশ সহ যে কয়টা মিডিয়া আছে এ গুলোর সেফটির জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
৫. বহির্বিশ্বের সকল বড় বড় সংবাদমাধ্যমগুলোকে ঘঠে যাওয়া সকল আপডেট দিতে হবে।আলহামদুলিল্লাহ্! আরব জাগরণে সহায়ক ভুমিকা পালনকারী আল-জাজিরা বাংলাদেশে ইতিমধ্যে লাইভ সংবাদ দিতে শুরু করেছে।
৬.শাহবাগি ষড়যন্ত্র, বিভ্রান্তি,অপপ্রচার থেকে এক সেকেন্ডের জন্যও অসচেতন থাকা যাবেনা।
৭.দেশিয় হলুদ সাংবাদিকতার বিরোদ্ধে বিকল্প মিডিয়া হিসেবে প্রত্যেকেই একেকজন একেকটা শক্তিশালী মিডীয়া হিসেবে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোথাও কোন নির্যাতন দেখলেই সাথে ভিডিও ফুটেজ তুলে রাখতে হবে যাতে করে মিথ্যুকদের মুখের উপর জুতা মারা যায়!!মনে রাখবেন ঐক্য এবং কৌশলই বিজয়ের চাবিকাঠি!! ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের হবেই !
কারণ আমাদের কাছে দুইটাই আছে সত্য এবং ঐক্য,তাই আসুন আর বসে তাকা নয় এখনই প্রতিহতের সময়। আল্লাহ আমাদের সবাই কে তার দ্বীনের সুস্পস্ট জ্গান দান করুন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন