জামায়াতের পতন করতে গিয়ে জামায়াতের হাতে কি এতো সহজে বিজয় তুলে দিবে আওয়ামীলীগ ও বামরা।
লিখেছেন লিখেছেন সুরমা পারের মাঝি ০৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৫৪:৫০ সকাল
আজ দেখা হলো এক বড় ভাইর সাথে, আমাকে বল্লেন তোমাকে দেখাযায়না কেন? দলের কাজ করমো ছেড়ে দিয়েছ না কি? এখন রাজাকার মুক্ত দেশ গড়ার সময়।এরকম অনেক কথা শুনলাম আর নিজেকে সংযম করলাম।কারন মনের ভিতরে যমে থাকা কিছু খুব আর অসত্যের কিছু ব্যথা আমাকে প্রায় পাগল করে তুলে।
ছাত্ররাজনীতি আসলে আমাকে অনেক অসত্যের দিকে নিয়েগিয়েছিল।অনেক স্বপ্ন নিয়ে বুকে রাজনীতিতে আসা।অন্যায় কাজ কে এ সমাজ থেকে প্রতিহত করে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে আমার ভুমিকা থাকবে অভিচল।৭১ এর চেতনা আর মুজিবিয় আদরশ বুকে নিয়ে যাত্রা শুরু হলো আমার । এক এক করে আমার যাত্রা আমাকে জেলা কমিটির সদস্য পরযন্ত নিয়েগেল।অনেক গুরুপিং আর খনিমারামারির মধ্যে নিজের অস্তিত্বকে বহু কষ্টকরে হলে ও ঠিকে রখলাম।দাদার স্নেহময় ভালবাসা (পকেটে কিছু মাল এর বিনিময়) পেলাম আমার যোগ্যতার জন্য উপহার স্বরুপ জেলা কমিটির মেম্বার পদ।খুবখুশি হলাম ঝাপিয়ে পরলাম ময়দানে।
শুরু হলো আমাদের পথ চলা।প্রথম দিন আমরা আমাদের দলের ওপর গুরুপের সাথে মারামারি শুরু হলো।পোস্ট পাওয়ার বয়স কম,তাই রক্ত গরম ।অল্প বয়সে সিনিয়র, বড় ভাইরা এসে ভাই বলে ডাকে,সালাম দেন আর ছোট ভাইতো অভাব নেই, কত না ভাব। যাই হউক মুটামুটি দাপট দেখালাম আর না দেখালে গুরুপ শক্ত হবে না।
এভাবে আমার ছাত্ররাজনীতি চলতে থাকলো।কি আর করার আছে, কপালের মন্দ।স্বপ্ন দেখেছিলাম শেখ মুজিবের আদরশের ।আর সেই স্বপ্নের পথে আমার পথ চলা কি আর তামিয়ে রাখতে পারি? না,রাখতে পারিনা।তাইতো শুরু হলো আমার এ পথের যাত্রা। কে জানে আমার এই স্বপ্ন ভূল,আমি যে পথে গিয়ে আলো খুজতেছি সেই পথ আসলে যে অন্দকার ।দলের মধ্যে গ্রুপিং, অস্ত্রের জনজনানি,নিজ দলের করমীর উপর আগাত করে তার পর অন্যদলের উপর চাপিয়ে দেওয়া, অন্যায় ভাবে প্রতিপক্ক সংগঠনের নেতা করমীদের উপর আক্রমণ,চাদা বাজি,প্রতি হিংসার রাজনীতি । আসলে এসব দেখে আমার বিভেকের কাছে আমি পরাজিত হলাম।আমি আমার দল এর আদরশের দিকে থাকালাম কিন্তূ কোন আদরশের বিন্দু মাত্র কিছু দেখীনা।আমি যত গভীর ভাবে চিন্তাকরি তত খারাপ দিক গুলো আমার কাছে মনে জাগে।দেখতে পেলাম যখন আমার দলের জেলা সভাপতি কে চাদা বাজির কারণে জেলা সভাপতি পদ বাতিল করা হলো।তখন চিন্তা করি আমি আমার প্রতিপক্ক দলের কারযক্রম বন্দকরার জন্য শ্লগান মিছিল কতরকম কিছু করতেছি।কিন্তূ তাদের কে আমি কোন চাদাবাজি করতে দেখিনা,দুরনিতি করতে দেখিনা, ধরষনের সেন্চুরী করতে দেখিনা। তাহলে আমি কেন তাদের বিরুদিতা করবো?
আমি যখন দেখতে পাই আমার দলের নেতা মন্ত্রি হওয়ার পর রেলের টাকা দূরনীতি করে,এতিমদের টাকা খাওয়ার জন্য নানারকম কৌশল করে।তাহলে কি করে সম্ভব একটি আদরশের সাথে অস্ত্রদিয়া মুকাবেলা করা।ক্কমতার দাপট বেশীদিন থাকে না।
একটি আদরশের মুকাবেলা আদরশের মাধ্যমে করতে হয়।মূখে নয় বাস্তবে করতে হয়।
আমাদের মাথায় জামায়াতি বেদনা,এই বেদনা আমাদের কে ধ্বংশ করে দেবে কিন্তূ জামা্য়াতের কিছু হবে না।
বলতে পার আমি জামায়াতি হয়েগেছি, না এটা ভুল হবে।
কারণ আমি ছাত্রলীগ করতাম কিন্তূ আমার চোখের সামনে ছাত্রলীগের অন্যায় কিছু কাজ আজ পরজন্ত মনেকষ্টদেয়।কিন্তূ সেই অন্যায় কে পরের দিন শিবিরের উপর চালিয়ে দিল আমাদের জাতিয় পত্রিকা প্রথম আলো এবং যুগান্তর।
আমি জানি না এভাবে মিথ্যা সংবাদ দেওয়ার কারনে আমার মতো শত শত মানুষ আওয়ামীলীগের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে। এতে জামায়াতিদের লাভ হয়ে যাবে।
আমার নেতার একটি কথা আমাকে বারবার ভিবেকের কাছে প্রশ্ন জাগে " আমার ডানে চুর,বামে চুর,সামনে চুর, পিছনে চুর, সাত কোটি মানুষের আট কোটি কম্বল কিন্তূ শেষ পরযন্ত আমারটি ও নেই।"
আমরা আজ কোথায় আছি।আমরা চুরদের কে লালন করছি আর আদরশ থেকে ছরিয়ে দাড়িয়েছি। তাই আমরা যত কিছু করি না কেন আদরশের পরাজয় হয়না। আজ আমরা যা কিছু করিনা কেন? জামায়াত কে নিষিদ্দ করতে পারি কিন্তূ তাদের আদরশকে নিষিদ্দ করতে পারব না। ইতিহাস স্বাক্কি আদরশের পরাজয় হয়না।
বিষয়: বিবিধ
২৬২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন