ইসলাম ও জামায়াতী ইসলামের পার্থক্য !!

লিখেছেন লিখেছেন মোনের কোঠা ১৬ মার্চ, ২০১৩, ০৩:১৪:০৮ রাত

ইসলাম ও জামায়াতী ইসলামের পার্থক্য তুলে ধরছি (বন্ধনীতে যেসব বইয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর রচয়িতা মওদুদী)

* ইসলাম বলেছে, আল্লাহতায়ালা নির্যাতনমূলক কোন বিধান দেননি।

জামায়াতীরা বলেছে, ব্যভিচারের শাস্তি রজম বা পাথর মারা, যা কি না নিঃসন্দেহে নির্যাতন। (তাফহিমাত, ২য় খ-, ২৮১ পৃষ্ঠা)

* ইসলাম বলেছে, ফেরেশতারা নূরের তৈরি আল্লাহর মখলুক।

জামায়াতীরা বলেছে, ফেরেশতা প্রায় একই বস্তু যাকে ভারত, গ্রিক প্রতৃতি দেশের পৌত্তলিকরা দেবদেবী স্থির করেছে। (তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)

* ইসলাম বলেছে, নবী-রাসূলগণ নিষ্পাপ। তাঁরা কোন গুনাহ করেননি।

জামায়াতীরা বলেছে, নবী রাসূলগণ নিষ্পাপ নন। প্রত্যেক নবীই গুনাহ করেছেন (তাফহিমাত, ২য় খ-, ৪৩ পৃষ্ঠা)

* জামায়াতীরা বলেছে, হযরত ইউনুস (আ) নবুয়াতের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি। (তাফহিমুল কোরান, ২য় খ-, ৯৯ পৃষ্ঠা)

*জামায়াতীরা বলেছে, হযরত ইব্রাহিম (আ) ক্ষণিকের জন্য শিরক গুনাহে নিমজ্জিত ছিলেন। (তাফহিমুল কোরান, ১ম খ-, ৫৫ পৃষ্ঠা)।

* ইসলাম বলেছে, মহানবী (সা) মানবিক দুর্বলতামুক্ত ছিলেন।

জামায়াতীরা বলেছে, মহানবী (সা) মানবিক দুর্বলতামুক্ত ছিলেন না। (তরজমানুল কোরান, ৮৫শ সংখ্যা, ২৩০ পৃষ্ঠা)।

* ইসলাম বলেছে, মহানবী (স) মনগড়া কোন কথা বলেননি।

জামায়াতীরা বলেছে, মহানবী (স) মনগড়া কথা বলেছেন। নিজের কথায় তিনি নিজেই সন্দেহ করেছেন। (তরজমানুল কোরান, রবিউল আউয়াল, ১৩৫৬ হিজরী)

* ইসলাম বলেছে, সাহাবা কেরাম অনুসরণযোগ্য।

জামায়াতীরা বলেছে, সাহাবাদের অনুসরণ করবে না। (দস্তরে জামায়াতে ইসলামী ৭ পৃষ্ঠা)

* জামায়াতীদের মতে হযরত আবুবকর (রা) দুর্বলমনা ও খেলাফতের দায়িত্ব বহনে অযোগ্য ছিলেন। (তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ২২ পৃষ্ঠা)।

* হযরত আলী (রা) খেলাফত আমলে এরূপ কিছু কাজ করেছেন, যা অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই (খেলাফত ও মুলকিয়াত, ১৭৩ পৃষ্ঠা)।

* ইসলাম বলেছে, পবিত্র কোরানের মনগড়া ব্যাখ্যা করা হারাম। জামায়াতীরা বলেছে, কোরান মজিদের মনগড়া ব্যাখ্যা করা জায়েজ। (তরজমানুল কোরান, জমাদিউস সানি, ১৩৫৫ হি.)

* ইসলাম বলেছে, রোজাদারের জন্য সুবহে সাদেকের পর পানাহার করা নাজায়েজ। কেউ করলে রোজা হবে না। জামায়াতীরা বলেছে, রোজাদারের জন্য সুবহে সাদেকের পর আজান শুনলেও পানাহার করা বিলকুল জায়েজ। (তাফহিমুল কোরান, ১ম খ-, ১৪৬ পৃষ্ঠা)।

পবিত্র কোরান ও হাদিসের খেলাফ ও ধরনের আরও বহু কথা জামায়াতীরা তাদের বিভিন্ন পুস্তকে বলেছে।

সুতরাং পবিত্র ইসলামের মুখোশধারী এই বাতিল ফেরকা থেকে নিজেকে এবং সন্তান-সন্ততিকে দূরে রাখুন। আল্লাহর ইবাদতের স্থান মসজিদকে জামায়াতীদের রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত করতে বারণ করুন এবং এই দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য সরকারের কাছে দাবি তুলুন।

বিষয়: রাজনীতি

১৩৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File