শীর্ষ নেতাদের পরিবারের ইসলামবিরোধী চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ তৃণমূল শিবির !!

লিখেছেন লিখেছেন মোনের কোঠা ১৪ মার্চ, ২০১৩, ১০:৫১:১১ সকাল

শীর্ষ নেতাদের পরিবারের ইসলামবিরোধী চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ তৃণমূল শিবির!!

ইসলামী তথা মাদ্রাসা শিক্ষার বাইরে গিয়ে নিজেদের সন্তানদের পাশ্চাত্য শিক্ষাদান ও ইসলামী আন্দোলনে জড়িত না হওয়ার ঘটনা নিয়ে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্ব। সাধারণ নেতাকর্মীদের মাদ্রাসা শিক্ষা ও ইসলাম রক্ষার কথা বলে প্রয়োজনে জীবন দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করলেও শীর্ষ জামায়াত নেতাদের পরিবারে ইসলামবিরোধী কর্মকা-ের অভিযোগ উঠেছে। খোদ জামায়াত-শিবিরের মাঠপর্যায়ের একটি বৃহৎ অংশ ফাঁস করে দিয়েছে জামায়াত নেতা ও তাদের স্ত্রী, সন্তানদের ইসলামবিরোধী কর্মকা-ের তথ্য-প্রমাণ। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে জামায়াতের ভেতরে। জামায়াতের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছে দেশের অন্যান্য ইসলামী দলও। সাধারণ মুসল্লিদের ব্যবহার করে জামায়াতের এ ধরনের অপকর্মকে ইসলামবিরোধী কর্মকা- হিসেবে অভিহিত করেছেন বিভিন্ন ইসলামীপন্থী নেতা, ইসলামী চিন্তাবিদ ও ওলামা মাশায়েখরা।

জামায়াত-শিবিরের মাঠপর্যায়ের ক্ষুব্ধ কর্মীরা বলেছেন, সাধারণ মুসল্লি ও কর্মীদের ইসলামের পথে চলা আর সৎ মানুষ হওয়ার কথা বললেও জামায়াত নেতাদের পরিবার চলে ইসলামের বিরুদ্ধে। কর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখানো এমনকি জীবন দেয়ার কথা বললেও জামায়াতের আমির নিজামী থেকে শুরু করে কোন নেতাই নিজেদের পরিবারে সেই স্বপ্ন দেখেন না। জামায়াত নেতাদের কথা আর কাজের মধ্যে অমিলকেই তুলে ধরা হয়েছে শিবিরের একটি গ্রুপের অভিযোগনামায়। জানা গেছে, জামায়াত-শিবিরের মাঠপর্যায়ের সাধারণ কর্মীরা তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ তুলেছেন, ‘জামায়াত এবং শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের ইসলামের কথা বলেন, ভাল মানুষ হিসেবে চলতে বলেন। এতে আমরা উজ্জীবিত হই, ইসলামের পক্ষে জীবন উৎসর্গ করতে উজ্জীবিত হই, কিন্তু আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা হলো, এই জামায়াত নেতাদের পরিবারে তাদের সন্তানরা কেউ ইসলামের পথে নেই। কেউ শিবির করে এই পথে আছেন তার খবর নেই। এই মুহূর্তে নেতাদের জীবন রক্ষায় সারাদেশের হাজার হাজার কর্মী জীবন দিয়ে লড়ছেন, কিন্তু কোথাও শীর্ষ নেতা ও তাঁদের সন্তানরা নেই। তারা হয় বিদেশী শিক্ষা গ্রহণে নয়ত দেশে আরাম-আয়েশ করে বেড়াচ্ছেন।

জামায়াত সব সময়ই দাবি করে তাদের মূল লক্ষ্য হলো ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কিরূপ হওয়া উচিত সেই বিষয়ে কথা বলেন নেতারা। সাধারণ কর্মীদের তাঁরা বলেন, এ দেশে প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি যেটি তাদের ভাষায় আধুনিক শিক্ষা, এই আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির বিরুদ্ধেই তাদের অবস্থান। জামায়াতের সাবেক আমির ঘাতককুল শিরোমণি গোলাম আযম তাঁর ‘শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী রূপরেখা’ বইয়ের ৭ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘ইংরেজ প্রবর্তিত আধুনিক শিক্ষাই যদি আদর্শ শিক্ষা বলে প্রচারিত হয় তাহলে এ শিক্ষার ফল দেখে কোন ইসলামপন্থী লোকই সন্তুষ্টচিত্তে এ ধরনের শিক্ষাকে সমর্থন করতে পারে না।’ বলেছেন, ‘পাশ্চাত্য মতাদর্শে বিশ্বাসীরা মানুষকে অন্যান্য পশুর ন্যায় গড়ে তুলবার উপযোগী শিক্ষাপদ্ধতির প্রচলন করেছেন। এ শিক্ষা দ্বারা মনুষ্যত্বের বিকাশ অসম্ভব।’ এই বইয়ের ২১ নম্বর পৃষ্ঠায় বলেছেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের গোটা পরিবেশ একেবারেই ইসলামবিরোধী।’ কিন্তু বাস্তবতা হলো- তিনি তাঁর সন্তানদের মাদ্রাসার কাছেও আনার বিপক্ষে।’

এই লোকই তাঁর আরেক বইয়ে বলেছেন, ‘আমি আমার ছেলেদের মাদ্রাসায় দেইনি এজন্য যে আমি তাদের যোগ্য বানাতে চাই।’

গোলাম আযমের ছয় ছেলে। একজন আব্দুল্লাহহিল মামুন আল আযমী খিলগাঁও গবর্নমেন্ট স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার থেকে অর্থনীতিতে এমএ করেছেন। আব্দুল্লাহ হিল আমিন আল আযমী খিলগাঁও গবর্নমেন্ট স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ স্বাধীন হলে দেশত্যাগ করেন এবং লন্ডনে নিটিং ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করেন। আব্দুল্লাহ হিল মোমেন আল আযমী সিদ্ধেশ্বরী স্কুল থেকে এসএসসি, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে এইচএসসি ও একই কলেজ থেকে বিকম পাস করেছেন। আব্দুল্লাহ হিল আমান আল আযমীÑ ১৯৭৫ সালে সিলেট সরকারী অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এসএসসি, ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ থেকে তৃতীয় বিভাগে এইচএসসি পাস। এরপর ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন (সবার জন্য নির্ধারিত তারিখের একমাস পর তিনি মিলিটারি একাডেমীতে যোগদান করেন)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী পাওয়া একজন অতি সাধারণ ছাত্র জিয়ার সময় সেনাবাহিনীতে কী ভাবে কমিশন পেলেন সে প্রশ্ন আছে। ২০০৯ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে কর্মরত অবস্থায় বরখাস্ত হয়। আব্দুল্লাহ হিল নোমান আল আযমী- ঢাকা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। সবশেষে আব্দুল্লাহ হিল সালমান আল আযমী- মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজীতে অর্নাসে ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু শেষ করতে পারেননি। এরপর আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মার্স্টাস করেন।

জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর পরিবারের কথা তুলে ধরে শিবিরের অংশটি বলেছে, নিজামীর পরিবার দেখেই বোঝা যাবে তারা নিজেরা কতটা ইসলামের পথে হাঁটেন? বলা হয়েছে, নিজামীর স্ত্রী সামসুন্নাহার নিজামী এককভাবে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা এবং মহিলা জামায়াতকে নিয়ন্ত্রণ করেন, যা সম্পূর্ণ ইসলাম ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ। বলা হয়েছে, এই মহিলা (নিজামীর স্ত্রী) মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। সেখানে অনেক টাকার হিসেব দিতে পারেনি। তার পরেও স্বামীর দাপটে কিছুদিন পদে টিকে থাকলেও একসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে নিজেই একটা স্কুল খুলেছেন। কিন্তু স্কুল করার সব টাকা নেয়া হয়েছে জামায়াতের কর্মীদের কষ্ট করে জমানো ফান্ড থেকে। যা চরম অপরাধ। নিজামীর বড় ছেলে তারেকের কর্মকা- তুলে ধরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় নাইট ক্লাব, বার থেকে শুরু করে সব আজেবাজে জায়গাই ছিল তার মূল কাজ। বাংলাদেশে এসে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার সময়েও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে ছাত্রীদের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করার অভিযোগ। নিজামী অন্যদের বললেও এই ছেলেকে কখনই ছাত্রশিবির কোন কাজেই আসতে দেখা যায়নি। নিজামীর অন্য সব ছেলেমেয়ে তাদের বড় ভাইয়ের মতো চরিত্রহীন না হলেও কেউ ইসলামী আন্দোলনে ছিলেন এমন প্রমাণ দিতে পারবেন না নিজামী। জামায়াত-শিবিরের সাধারণ কর্মী ও অন্যান্য ইসলামী দলের নেতারা, জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ১০০ ভাগ সত্য দাবি করে বলেছেন, এই ঘটনাগুলো মিথ্যা বলে আমিদের পরিবার প্রমাণ করতে পারবেন না। সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে।

শিবিরের এই অংশটি বলেছে, ‘জেলে যাওয়ার আগে জামায়াতের পরবর্তী আমির হওয়ার লক্ষ্যে দলের ভেতরে নিজের গ্রুপ নিয়ে গোপনে কাজ করেছেন দুর্নীতিবাজ সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। কর্মীদের ইসলামের পথে চলে সৎ মানুষ হওয়ার কথা বললেও এই জামায়াত নেতার পরিবার চলছে ইসলামবিরোধী পথে। প্রথমেই তুলে ধরা হয়েছে মুজাহিদের বড় ছেলে তাজদিদের জীবন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মুজাহিদের পরামর্শে সেই শিবিরকে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল। তাকে মানুষরূপী শয়তান অভিহিত করে শিবিরের সাবেক কয়েক নেতা বলেছেন, অনেক মেয়ের সঙ্গে অসামাজিক কাজে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ আছে জামায়াত নেতাদের কাছেও। অভিযোগ করা হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের সাধারণ নেতাকর্মী সুযোগ না পেলেও মুজাহিদ তার এই ছেলেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ালেখা করতে পাঠিয়েছে জামায়াতের টাকায়। তাহ্কিক মুজাহিদের দ্বিতীয় ছেলে। মেয়েদের সঙ্গে যার রয়েছে অসামাজিক কাজের নানা অভিযোগ। এক মেয়েকে নিয়ে মগবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় তার অবৈধ জীবনযাপনের ঘটনা জানেন জামায়াত-শিবিরের অনেকেই। ছোট ছেলে মাবরুরই মুজাহিদের সব অপকর্মের হোতা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার এক ছেলে মাবরুরের বন্ধু। এই দুজন গাঁজা, মদসহ নানা নেশায় জড়িয়ে আছে স্কুলজীবন থেকে। মুজাহিদের মেয়ে তামরিনা ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি, আল মানারাত ইউনিভার্সিটিতে ইংলিশে অনার্স পড়েছেন।

কাদের মোল্লার স্ত্রীর তথ্য তুলে ধরে জামায়াত-শিবিরের অভিযোগনামায় বলা হয়েছে, তঁর স্ত্রী বেগম সানওয়ার জাহান জামায়েতের রোকন হলেও আমিরের স্ত্রী সামসুন্নাহার নিজামীর সকল অপকর্মের সহযোগী। নিয়মের কথা বললেও মহিলা জামায়াত এবং ইসলামী ছাত্রী সংস্থাকে এরা দুজন ক্ষমতার জোরে অসাংবিধানিকভাবে পরিচালনা করছে। মোল্লার বড় ছেলের নাম জামিল। মগবাজারের হোটেলগুলোতে অনৈসলামিক সব অপকর্মের নায়ক এই জামিল। স্কুলজীবন থেকেই সে করছে এই অপকর্ম। আবুজর গিফারী কলেজে পড়ার সময় এই ঘটনা ছাড়াও গাঁজা খাওয়ার সময় কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। শিবিরের কর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে জীবন দেয়ার আহ্বান জানালেও মোল্লার এই সন্তানকে এই স্বপ্ন দেখান না। ছোট ছেলের নাম মওদুদ। মালয়েশিয়ায় ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। কিন্তু বিয়ে না করেই তার এক বান্ধবীর সঙ্গে লিভ টুগেদার করছে দিনের পর দিন এমন অভিযোগ উঠেছে জামায়াতের ভেতর থেকেই।

আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের পাঁচ ছেলে এক মেয়ে। প্রথম ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক স্কুল ও কলেজ থেকে। ইসলামী ইউনিভার্সিটি থেকে মিডিয়া এ্যান্ড ম্যাস কমিনিকেশনে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। এই ছেলে সামহোয়ারইনের ব্লগার। হাসান ইকরাম ওয়ালী এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক স্কুল ও কলেজ থেকে। হাসান জামান সাফি এসএসসি ও এইসএসসি ন্যাশনাল ব্যাংক স্কুল থেকে, অনার্স পাস করেছে মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটিতে। হাসান ইমাম ওয়াফী এসএসসি ও এইচএসসি ন্যাশনাল ব্যাংক স্কুল থেকে এখন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়ছে। আহম্মদ হাসান জামান ওলেভেল পরীক্ষা দিয়েছে একাডেমিয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে। মেয়ে আতিয়া নুর মিরপুর লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পড়ে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আটক আরেক নেতা মীর কাশেম আলীর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। এক ছেলে মোহাম্মদ বিন কাশেম (সালমান) আল মানারাত ইংরেজী মিডিয়াম থেকে এ লেভেল এবং ও লেভেল করেছেন। এরপর পাকিস্তান ডেন্টাল কলেজে পড়েছেন। একে ছেলে মীর আহমেদ বিন কাশেম (আরমান) আল মানারাত থেকে এ লেভেল এবং ও লেভেল। এরপর লন্ডনে বার এট ল সম্পন্ন করেছেন। মেয়ে হাসিনা তাইয়্যেবা অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন হোম ইকোনমিক্স কলেজ থেকে। সুমাইয়া রাবেয়া আল মানারাত স্কুল ও কলেজ থেকে এ লেভেল এবং ও লেভেল সম্পন্ন করার পর আল মানারাত ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়ছেন।

আরেক মেয়ে তাহেরা হাসনিন আল মানারাতে এ লেভেলে পড়ছেন। এই হচ্ছে জামায়াত নেতাদের পরিবারে মাদ্রাসা ও ইসলামী শিক্ষা চর্চার চিত্র। অথচ এরাই হাজার হাজার কর্মী ও সাধারণ মুসল্লিদের কাছে নিজেদের ইসলামের আসল লোক বলে জাহির করছেন বছরের পর বছর।

শিবিরের বিদেশে থাকা একটি পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে জামায়াত নেতাদের পরিবারে ইসলামের ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে বলেছে, আপনাদের এটা মনে রাখা উচিত যে, নিজের পরিবারে ইসলামের সঠিক শিক্ষা দিতে পারলেই কেবল অন্যদের সেই শিক্ষা দেয়ার কথা বলা যায়। নিজের পরিবার ইসলামী আন্দোলনে থাকলেই কেবল অন্যদের এই আন্দোলনে ডাকা যায়, আনা যায়।’

বিষয়: রাজনীতি

২৬১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File