শাহবাগে মশা নাই: সায়ীদ
লিখেছেন লিখেছেন চিতকার ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:১৯:৫৫ দুপুর
শাহবাগে গন জাগরন মঞ্চে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগড় ও এশিয়ার নোবেল মেগসাইসাই পুরস্কার বিজয়ী শিক্ষক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, শাহবাগে গিয়া আমার কুন কাম নাই। শাহবাগে মশা নাই।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, শাহবাগ নিয়া আমি অনেক দিগদারির মধ্যে আছি। রাস্তায় চব্বিশ ঘন্টা জাম লেগে থাকে। বাড়ি থেকে হাতিরঝিল যাব ভাবি, কিন্তু জাম দেখলে আর গাড়ি সামনে বাড়াতে সাহস হয় না। শাহবাগে যা চলছে, তা ফেসিবাদ ও নাটকের ঝালমুড়ি। অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। শাহবাগে নরনারীর হোলিখেলা চলমান। টিভিতে সব দেখি।
মশার আজরাইল অধ্যাপক সায়ীদ
আবেগঘন কণ্ঠে অধ্যাপক সায়ীদ বলেন, আপনারা বলছেন গন জাগরন, আমিও বলছি গন জাগরন। বাহান্ন সালে মাতৃভাষার দাবিতে আন্দুলনের যন্ত্রনায় রাত্রকালে একটু শান্তিতে ঘুমাইতে পারি নাই। সারা দিন রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই বাংলা চাই। আর গুলাগুলির শব্দ। সারা রাত জাগরনে কেটেছে। সকালে উঠে সারাটা দিন হাই তুলেছি। উনসত্তর সালেও এইরকম গন জাগরন হয়েছে যখন পাড়ায় মহল্লায় কেউ ঘুমাইতে পারে নাই। একাত্তরের গন্ডগোলের কথা বিস্তারিত না বলি। নব্বই সালে পল্লীবন্ধু এরশাদ সাহেবের বিরুদ্ধেও লোকজন গন জাগরন করেছে। আর এখন আবার শুরু হইল গন জাগরন। আমার সুদীর্ঘ জীবন ঘুমের বেঘাতে বেঘাতে জর্জরিত।
শাহবাগে গন জাগরন মঞ্চে কেন গেলেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সায়ীদ বলেন, আমি শাহবাগে কেন যাব? ঐখানে ত মশা নাই। সব মশা গুলশান লেকে। আপাতত গুলশান লেক মশামুক্ত করা যায় কি না দেখি। শাহবাগে কুনদিন ডেংগু মশার প্রকোপ ঘটলে আমি সবার আগে মশার কয়েল নিয়া দৌড়াইতে দৌড়াইতে যাব।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চান কি না এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, আমি যারে চাই রে সে থাকে মোরই অন্তরে।
ফাঁসি চেয়ে আহমেদ রাজিব হায়দারের মত অকালে মৃত্যু বরন করতে চান না জানিয়ে অধ্যাপক সায়ীদ বলেন, যৌবন একটা গল্লিপ সিগারেট।
শাহবাগের তরুনদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, আমি শাহবাগে গেলে বাংলা মটর আলকিত রাখবে কে?
বিষয়: সাহিত্য
১৫৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন