সূন্নাহর অবজ্গা জাতির অকল্যানের অন্যতম কারন।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:২৮:৫৭ দুপুর

সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আসমান ও যমিন এবং তার ভিতর যা কিছু রয়েছে সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে আর অধিষ্ঠিত হয়েছেন আরশে।যিনি মানুষকে তার প্রতিনিধি ও সৃষ্টির সেরা করে বানিয়েছেন।তিনি দুনিয়ার মানুষের সার্বিক কল্যান এবং আখেরাতে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়ে চির সুখের জান্নাত দানের লক্ষে যুগে যুগে মানুষের পক্ষ থেকে নবী ও রাসূল মনোনীত করে তাদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ও কল্যানকর আইন বিধান সম্বলিত জীবন ব্যাবস্হা পাঠিয়েছেন যা সূরা মা'য়েদার ৩ আয়াতে " ইসলাম" নামে আখ্যায়িত করেছেন।ইসলামই হলো একমাত্র শান্তির ধর্ম যা মানুষকে পূর্নাঙ দিক নির্দেশনা দিয়েছে।আর এ কারনে মুসলিম মাত্রই পরিপূর্ন আনুগত্যের শির নত করে দেয় ইসলামের কাছে।রাসূল সা: জুমআর খুতবায় বা বক্তৃতায় বলতেন,'আমি তোমাদের সুস্পষ্ট রাস্তার উপর ছেড়ে যাছ্ছি যার রাত ও দিন সমান।এর পর যে ধ্বংস হতে চায় হবে।' সাহাবাগন পূর্নমাত্রায় নবী সা: কে অনুসরন করেছিলেন।রাসূল সা: সাহাবাদের সম্পর্কে বলেছিলেন,তোমরা আমার সাহাবাদের সমালোচনা করো না।তোমাদের কেউ যদি ওহুদ পরিমান দান সদকাও কর তা আমার সাহাবাদের (বর্তমান পরিমাপে) ৬০০ গ্রামের সমান।আরো বলেছেন তোমরা আমার সাহাবাদের অনুসরন করবে।রাসূল সা: বলেছেন প্রত্যেক নব আবিষ্কার ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতা নিক্ষেপিত হবে জাহান্নামে।সূন্নাহর বাস্তবায়নের মাধ্যমে রয়েছে মানব জাতির কল্যান।কারন মানব রচিত মতবাদ মানুষের কোন স্হায়ি সমাধান দিতে পারেনি।পৃথিবীর দার্শনিক গন এসেছেন তাদের ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ নিয়ে।আর নবী রাসূলগন এসেছেন একটিই মতবাদ নিয়ে।হযরত আদম আ: থেকে নবী মোহাম্মদ সা: পর্যন্ত সমস্ত নবীর কথা ছিল একটি " তোমরা এক আল্লাহর ইবাদাত কর আর তার সাথে কাউকে শরিক করো না।"

দ্বীন ইসলামের একটি সুন্দর বৈশিষ্ট হলো এমন কিছু নেই যে অন্য ধর্ম থেকে ধার করতে হবে।পৃথিবি সৃষ্টি থেকে রোজ ক্কিয়ামত পর্যন্ত যা প্রয়োজন তা কোরআন ও হাদিসে বর্নিত হয়েছে।ইসলাম ছাড়া যদি অন্য ধর্মকে আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে দু'ধরনের ধর্ম দেখতে পাই।এক ধরনের জাতি যারা তাদের ধর্মকে বিকৃত করেছে।যেমন-ইহুদি ও খৃষ্টান।তারা পরবর্তিকালে তাদের কিতাবকে বিকৃত করে পরিবর্তন পরিবর্ধন করে পথভ্রষ্ট হয়েছে।আর এক ধরনের ধর্ম আছে যারা তাদের মস্তিষ্ক প্রসূত ধর্ম দিয়ে নিজেদের পরিচালিত করছে।যেমন-বৌদ্ধ,হিন্দু,জৈন ইত্যাদি।ইসলাম ছাড়া বাকি কোন ধর্মেই জীবনের কোন চিরন্তন দিক নির্দেশনা নেই।এই দিকনির্দেশনার একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয় হলো প্রাকৃতিক সূন্নত।যা নবী রাসূলগনের আদর্শ এবং মানবজাতির জন্য

অনুসরনীয়।আজকের অধিকাংশ মানুষ এই সুন্নত ছেড়ে দিয়ে বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হছ্ছে।রাসূল সা: এর সাহাবারা ইবাদাতকে কোন বিভাজন করেননি।রাসূল সা: যা বলতেন তা-ই তারা পালন করতেন ফরযের মত।বর্তমান মুসলমান গন সূন্নত বলে ইবাদাতকে ছেড়ে দিছ্ছে। এমনকি ৫ ওয়াক্ত নামাজে যে বার রাকাত সূন্নতের আবশ্যকটতা আছে তাও অনেকে পড়ে না।সূরা আন'আমের ৯০ আয়াতে ইব্রাহিম আ: সহ আরো অনেক নবীর (মোট ১৫ জন) কথা বলতে গিয়ে আল্লাহ বলেছেন,'এরাই তারা যাদের আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেছেন।সুতরাং তুমি তাদের পথ নির্দেশ অনুসরন কর।' একটি উম্মত প্রকৃত উম্মত হিসেবে বেঁচে থাকে যখন নবীর আদর্শ সঠিকভাবে মেনে চলে।আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ সূরা বাক্কারার ১২৪ আয়াতের তাপছিরে বলেছেন,'আর স্মরন কর ইব্রাহিমকে তার প্রভু কয়েকটি নির্দেশ দ্বারা পরিক্ষা করলেন।আল্লাহ বললেন,আমি নিশ্চয়ই তোমাকে মানব জাতির জন্য ঈমাম বানাতে যাছ্ছি।তিনি(ইব্রাহিম) বললেন, আর আমার বংশধর থেকে? আলল্লাহ বললেন আমার অঙিকার অন্যায় কারিদের উপর বর্তায় না।' তিনি আল্লাহর দেয়া প্রতিটি পরীক্ষায় পাস করলেন।এখানে মানবজাতির জন্য শিক্ষা রয়েছে যে, যখনই আল্লাহর কাছ থেকে কোন আদেশ নিষেধ আসে বান্ধার কাজ হলো অনুগত থেকে তাতে সাড়া দেয়া।

আয়শা রা: থেকে বর্নিত রাসূল সা: বলেন,'দশটি কাজ স্বভাবজাত।১-খাতনা করা ২-মিসোয়াক করা ৩- ক্কুলি করা ৪-নাভির নিছের লোম পরিষ্কার করা ৫- বগলের নিছের লোম পরিষ্কার করা ৬-নখ কাটা ৭-গোঁফ ছেঁটে রাখা ৮-দাঁড়ি বাড়ানো ৯-নাকে পানি পৌঁছানো ১০-অংগ প্রত্যংগের জোড়া মাসহ করা।আজকের মেডিকেল সাইন্স বলে দিছ্ছে অপরিছ্ছন্ন থাকার ফলে অসংখ্য রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে।মুসলিমদের জন্য বিশেষ নেয়ামত হলো দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজের ফলে তারা পরিছ্ছন্ন হয়ে যায়। আসুন বিষয়গুলো নিয়ে কিছু আলোচনা করি:

১-খাতনা করা: আমাদের সমাজে কথাটিকে মুসলমানি হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।হিন্দু সমাজে বসবাসের কারনে এ কথাটি মুসলিম সমাজে এভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।কারন হিন্দুরা খাতনা করে না।ইসলামি পরিভাষায় খাতনা বলা হয় মুসলমানি নয়।এখানে বুঝার ব্যাপার হলো অনেক মুর্খ মুসলমান মনে করে খাতনা করলেই মুসলমান হয়।তা না হলে মুসলমান হয় না।অথচ সে খাতনা করা মুসলিম নামাজ কায়েম করেনা,রোজা রাখে না,যাকাত দেয় না এমনকি অনেকে হজ্জও করে না।আমাদের উপমহাদেশে আরো কথা প্রচলিত আছে, যে খাতনা করে না ও গরুর গোশত খায় না সে মুসলিম নয়।হিন্দুদের অবস্হান দেখুন ,তারা খাতনা করে না ও গরুর গোসতও খায় না।তারা গরুর পুজা করে আর সে কারনে দেবতাকে খাওয়া তাদের জন্য হারাম।তারা তাদের কাজটা বুঝেশুনে করে আর মুসলমানরা তাদের ধর্মকে অনুশীলন করে তাদের ধর্মকে না জেনে।এ ব্যাপারে মুহাদ্দিছগনের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছন ওয়াজিব আবার কেউ বলেছেন সূন্নতে মুয়াক্কাদা।যা ছাড়লে শাস্তি পেতে হবে।খাতনা করার আসল কারন হলো সেখানে নাপাকি থেকে যেতে পারে।আর শরির নাপাক হলে ইবাদাত কবুল হবে না।ইব্রাহিম আ; এর পরিক্ষার মধ্যে খাতনা ছিল একটি পরিক্ষা যা ৮০ বছর আল্লাহ আদেশ করেছিলেন এবং তিনি নিজেই নিজের খাতনা করেছেন।

২-মিসোয়াক করা: নবী রাসূল গনের এ আর একটি সূন্নত।নবী সা: বেশি বেশি মিসোয়াক করতেন।আবু হোরাইরা থেকে বর্নিত রাসূল সা: বলেন,'যদি আমি মু'মিনদের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম তবে তাদেরকে এশার নামাজ বিলম্বে পড়তে ও প্রত্যেক নামাজের সময় মিসোয়াক করতে আদেশ করতাম ( আবুদাউদ) অন্য হাদিসে ওজুর সময়ে ও নামাজে দাঁড়ানোর সময় মিসোয়াক করার তাগিদ দিয়েছেন।নবী সা: ঘুম থেকে উঠেই মিসোয়াক করতেন।যখন বাড়িতে ঢুকতেন প্রথম কাজই ছিল মিসোয়াক করা।আজকাল মসজিদে নামাজে দাঁড়ালে বুঝা যায় অনেক মুসলিমের মুখ থেকে দুর্ঘন্ধ আসে যারা রীতি মত মিসোয়াক করে না।অন্যের নামাজ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।আর যাদের স্ত্রি আছে তাদের কাছে দুর্ঘন্ধ নিয়ে যাওয়া লজ্জাজনক।

৩-নাভির নিছের লোম পরিস্কার করা: এ সূন্নতটির ব্যাপারে মুহাদ্দিছগন কেউ কেউ বলেছেন লজ্জাস্হানের চারদিকের যে লোম তা পরিষ্কার করা।আবার কেউ কেউ বলেছেন পায়খানার রাস্তার আশেপাশে ও পরিস্কার করতে হবে।তবে হাদিছের দ্বারা লজ্জাস্হানের চারদিকে পরিস্কার করাই অধিকাংশ মুহাদ্দিছিন গন মত দিয়েছেন।

৪-বগলের নিছের লোম পরিস্কার করা: নবী সা: বলেছেন লোম উঠিয়ে নেয়ার জন্য।প্রথমে কেউ এ অভ্যাস করলে পরে অসুবিধে হয় না।ব্লেড লাগানো হলে শক্ত হয়ে যায় সে কারনে উঠানো মুশকিল।যাই হোক পরিছ্ছন্ন রাখাই শ্রেয়,তা নাহলে রোগ ব্যাধি জন্ম নিতে পারে।

৫-নখ কাটা: এই সূন্নতটিকে আজকাল পুরুষ ও মহিলারা বিকৃতির দিকে নিয়ে গেছে।বর্তমানে পুরুষের চেয়ে মহিলারাই নখ বড় রাখে।এটাকে তারা আভিজাত্য মনে করে।এতে সাদৃশ্য রয়েছে বিজাতিয়দের ও হিংস্র জন্তুদের সাথে।হিংস্র জন্তুদের নখ কাটার দরকার নেই কারন তারা তাদের খাবারের প্রয়োজনে নখ ব্যাবহার করে।রাসূল সা: বলেছেন,যে ব্যাক্তি অন্যজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত।অনেকে খাবার বাম হাতে খায়। এ সমস্ত লোকের ইসলামের ফিৎরাত নষ্ট হয়ে গিয়েছে।আজকাল পুরুষরা মহিলাদের অনুকরন করছে আবার মহিলারা পুরুষদের অনুকরন করছে নখ ,চুল ও পোশাকের ক্ষেত্রে।নবী সা: এদের ব্যাপারে অভিসম্পাত করেছেন।

৬-গোঁফ ছোট রাখা:মুসলিম সমাজে এর উল্টো কাজটি করছে।গোঁপ বড় রাখছে আর দাঁড়ি ছোট করে ফেলছে।অথচ রাসূল সা: বলেছেন,তোমরা গোঁফ ছোট রাখ দাঁড়ি লম্বা রাখ।অনেক মূর্খ বলে মোছের পানি হারাম আর মোছ ধরে পানি পান করে।মোছ লম্বা রাখা বিজাতীয় লক্ষন।আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাসূল সা: কে বেশি অনুসরন করতেন।তিনি মোছে চিকন মিসোয়াক রেখে মোছ কেটে ফেলতেন।

৭-দাঁড়ি বড়ানো: নবী সা: আদেশ করেছেন দাঁড়ি বাড়ানোর জন্য।মুসলিম সমাজে এখন দাঁড়িওয়ালা লোকের সংখ্যা কম।এটাকে মনে করা হয় আধুনিক সভ্যতা।জান্নাতে কারো দাঁড়ি থাকবেনা।এটা দুনিয়ায় মুসলিমদের জন্য একটা পরিক্ষা বটে কারা রাসূল সা: কে অনুসরন করছে।অনেক পাছেক মহিলাদের সাথে পুরুষরা সংঘর্ষ করে দাঁড়ি রাখে।অথচ আয়শা রা: আল্লাহর প্রশংসা করে বলতেন,সেই আল্লাহর যাবতিয় প্রশংসা যিনি পুরুষদেরকে অলংকৃত করেছেন দাঁড়ি দিয়ে।রাসূল সা: সাহাবাদের সব সময় কাফের মুশরিকদের কাজের বিরোধি কাজ গুলো করতে অনুপ্রানিত করতেন যাতে তাদের সংস্কৃতি মুসলিমদের কাছে না আসে।আজ মুসলিমরা কাফের মুসরিকদের সংস্কৃতিকে লালন করে চলছে।বর্তমান সময়ে মেডিকেল সাইন্স দাঁড়ির অনেক উপকারিতার কথা বলছে। তার মধ্যে দাঁত,দাঁতের মাড়ি ক্যান্সার, বিভিন্ন রকম চর্মরোগের কথা বলা হয়েছে।শুধু মা্ত্র অনুসরনের মাধ্যমে এর উপকারিতা লাভ করা সম্ভব।

৮-৯ ক্কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া: নবী সা: বিশেষ ভাবে ক্কুলি করা ও নাকে পানি পৌঁছানোর তাকিদ করেছেন।কেউ যদি ৫ ওয়াক্ত নামাজে ঠিকমত ক্কুলি ও নাকে পানি পৌঁছায় তাহলে মুখে যেমন গন্ধ হবে না তেমনি নাকে ও কোন ময়লা জমবেনা।খাবার পর মুখ পরিস্কার করলে দাঁতে ময়লা জমতে পারে না ও কোন রকম ইনফেকশন ও হতে পারে না।অনেকের আজকাল স্বর্দি কাশি লেগে থাকে কারন ধুলো বালি নাকের মধ্যে প্রবেশ করে ও তা পাকস্হলিতে চলে যায় পরিস্কার না করার করনে।নবী সা: বলেছেন তোমরা বেশি বেশি নাকে পানি দিবে ও রোজা অবস্হায় একটু সাবধান থাকবে।

১০-অঙ প্রত্যঙের জোড়া মাসহ করা: আমাদের শরিরের যে জোড়া রয়েছে তাতে কাজের কারনে ময়লা জমে।সে জন্য ওজু গোসলের সময় সতর্কতার সাথে পরিষ্কার প্রয়োজন।এমনকি লোমের গোড়াগুলোতে ময়লা জমে যেতে পারে।মাথা মাসহ করার সময় কানের ভাঁজে ঠিকমত মাসহ করলে সেখানের ময়লা পরিস্কার হয়ে যায়।

উপরোক্ত সূন্নতগুলো পালন করা প্রতিটি মুসলিমের জন্যই জরুরি।আর লোম ৪০ দিনের মধ্যেই পরিস্কার করতে হয়।তার আগে পরিস্কার হলে আরো ভাল।আমাদের সমাজে সূন্নত ছেড়ে দিয়ে বিদাআতকে ধরে নিয়েছে অনেকে।খাতনার দাওয়াত একটি নতুন আবিষ্কার অর্থাৎ বিদাআত।গত ৪/৫ শ বছরে আমাদের উপমহাদেশে অসংখ্য বিদাআত ইবাদাতে প্রবেশ করেছে যা অজ্গ মুসলমানদের আরো অজ্গ করে তুলছে।যখন ছহি সূন্নত উঠে যায় তখনি বিদাআতের আবির্ভাব হয়।পিরতন্ত্রিদের বই পুস্তক ও তাবলিগে নিছাবে অসংখ্য বিদাআত পাবেন যা তারা এবাদত মনে করেই করে থাকে।মুসলিম ভাইবোনদের বলছি আপনারা কোরআন ও ছহি হাদিস পড়ুন ও সূন্নতগুলো প্রচারের চেষ্টা করুন আর বিদাআতিদের ছহি সূন্নতগুলো ধরিয়ে দিন। আমাদের কাজ মানুষের কাছে সঠিক রাস্তার খবর দেওয়া বাকি আল্লাহ সাহায্য করবেন।

বিষয়: বিবিধ

১৬৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File