পিরতন্ত্র বা তাছাউপ

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৭ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৩৬:১৮ বিকাল

সমস্ত প্রশংশা আল্লাহর যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে এবং আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।আমরা পানাহ চাই ইবলিশ শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে। আল্লাহ যাকে পথ দেখান তিনি বিপথে যান না আর আল্লাহ যাকে বিপথগামি করেন তিনি সরল পথ পান না।আমি সাক্ষ্য দিছ্ছি আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিছ্ছি হযরত মোহাম্মদ সা: আল্লাহর বান্দাহ ও রাসূল।সর্বোত্তম কিতাব আল্লাহর কিতাব এবংসর্বোত্তম পথ হযরত মোহাম্মদ সা: এর পথ।ইসলাম যে পথের নির্দেশনা দিয়েছে তা মানুষকে সরল পথে পরিচালিত করে অন্যান্য ধর্ম যে পথ দেখিয়েছে তা ভুল পথে পরিচালিত করে।আপনারা যারা দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের চর্চা করেন তারা দেখে থাকবেন বর্তমান বিশ্বে মুসলমানরা দ্বিধাবিভক্ত অর্থাৎ তাদের মধ্যে একতা নেই।আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইসলাহ বা সংশোধন করা।সঠিক তথ্যগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।কারো উপর কোন জবরদস্তি নয় বরং সুন্দর আচরনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এক মু'মিন আর এক মু'মিনের জন্য আয়নার মত কাজ করা। সূরা হুদের ৮৮ আয়াতে হযরত শোয়াইব আ:বলেছিলেন,' আমি শুধু চাই সংস্কার করতে যতটা আমি সাধ্যমত করতে পারি।আমি আল্লাহর সাহায্য কামনা করি,আল্লাহর উপরই নির্ভর করি আর তার দিকেই আমি ফিরি।' ওহির জ্গান যার কাছেই এসেছে তার দায়িত্ব হলো মানুষকে উত্তম নসিহত করা।আমাদের দেশে অনেকে যারা দ্বিনি বক্তৃতা দেন তাদেরও দেখেছি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের মত কথা বলতে।আপনি যদি ইসলাম প্রচারক হয়ে থাকেন আপনার কথায় সুগন্ধ বেরুবে।নাম ধরে সমালোচনা করা সমিচিন নয়।আপনাকে ভাবতে হবে তার কাছে দ্বীন নেই বলেই তো সে দূরে।আপনি কেন গাল মন্দ করে তাকে দূরে সরিয়ে দিছ্ছেন।ধরুন আমাদের দেশে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইসলামকে ভালবাসেনা।আপনি ইসলাম প্রচার করছেন।আপনার কাজ হলো ইসলামের মধুর বানি নিয়ে তাদের কাছে যাওয়া।সুন্দর ভাষায় তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।তারা যা করে আপনি যদি তার প্রতিদ্বন্দি হন তাহলে সংঘর্ষই বাড়বে।তারা আপনার ফাছেক মুসলিম ভাই।ইসলামের ইতিহাস দেখুন।প্রথম দিকে ক'জন ইসলাম গ্রহন করেছে।আবুসূফিয়ান ২১ বছর পর ইসলাম গ্রহন করেছে।খালেদ বিন ওয়েলিদ যিনি ওহুদ যুদ্ধে ইসলামের বিরুদ্ধাচারন করছেন।এর পর ইসলামে দীক্ষিত হয়ে ইসলামের প্রভূত বিজয় এনে দিয়েছিলেন।রাসূল সা: পৃথিবীতে এসেছিলেন মানবতার কল্যানের জন্য। এমনকি সাহাবারা বলেছিলেন মুশরেকদের জন্য বদদোয়া করার জন্য। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন আমাকে বদদোয়া কারি হিসেবে পাঠানো হয় নি।আমাদের সহনশীল হতে হবে।আমাদের দেশে ইসলামি শাসন কায়েম নেই।আপনার আমার কাজ হলো যারা বিভক্ত আছে তাদের এক মুসলিম উম্মাহর দিকে ডাকা।গনতন্ত্রের পিছনে হেঁটে ইসলাম কায়েম নয় বরং এক মুসলিম উম্মাহ হিসেবে কুরআন ও ছহি সূন্নাহকে আঁকড়ে ধরে খোলাফায়ে রাশেদিনের পথ অবলম্বন করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

আল্লাহপাক তার বান্দার জন্য তার মনোনীত দ্বীন ইসলাম মনোনয়ন করেছেন যা সূরা মায়েদার ৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মব্যবস্হা পূর্নাঙ করলাম,তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পুর্ন করলাম আর তোমাদের জন্য ধর্মরুপে মনোনীত করলাম ইসলাম।' ইসলামের মাধ্যমে রোজ ক্কেয়ামত পর্যন্ত যা যা দরকার তা বর্ননা করেছেন।আর একজন রাসূল পাঠিয়েছেন যিনি এই উম্মতের শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি।যিনি সবচয়ে বেশী ভয় করেছেন আল্লাহকে,যিনি সবচেয়ে বেশি ছহি আমল ও ইবাদাত করেছেন। আল্লাহর দিনকে মানবজাতির কাছে সুন্দরভাবে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন।মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুসরনীয় হলো রাসূল সা: এর পর প্রথম শারির যারা ঈমান এনেছেন অর্থাৎ সাহাবাগন , তাবেঈগন , তাবে তাবেঈগন।এই যুগকে ইসলামের সোনালি যুগ বলা হয়।আমরা ইসলামের পাথেয় সংগ্রহ করার জন্য এদের চরিত্রকে পর্যালিচনা করেই দ্বীন গ্রহন করবো। আর রাসূল সা: বিদায় হজ্বে বলেছেন,' আমি তোমাদের জন্য দু'টো জিনিস রেখে যাছ্ছি যদি তোমরা তা আঁকড়ে ধর কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। এ দু'টি বিষয় হলো আল্লাহর কিতাব ও আমার সূন্নাহ।' এই পরিষ্কার ভাষ্য থাকতে উম্মাহর আর কোন কিতাবের প্রয়োজন আছে কি? আপনি একজন মুসলিম।আপনাকে প্রশ্ন করুন।আপনার কাছে যে ইসলামের বারতা এসেছে তার উৎপত্তি কোথায়? ইসলামের উৎপত্তি হলো মক্কা ও মদিনায়।সেখানে কিভাবে ইবাদাত হছ্ছে তা দেখুন।স্বভাবত মানুষ মুল জিনিসটিকেই খরিদ করতে চায়।আপনি যখন বাজারে যান তখন অনেকগুলো কোম্পানির প্রডাক্ট দেখতে পান।আপনি নিশ্চয়ই খোঁজ করেন কোন কোম্পানির প্রডাক্ট টা অরিজিনাল আর সেটাই খরিদ করেন।আজ ১৪০০ বছর পর আমাদের সমাজে যে ইসলাম আছে তা কতেক ভুল বা শির্কিয় ও বিদা'আতি ইসলাম প্রচারক দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অজ্গ মুসলমানরা ভুল পথে পরিচালিত হছ্ছে।তারা খুঁজে দেখছে না মক্কা ও মদিনায় কিভাবে ইসলামের কাজ চলছে।ইসলামের সরল রাস্তা জানা না থাকলে জানতে হবে ও জানার পর শির্ক ও বিদা'আতকে বর্জন করতে হবে।আর জানার পরও যারা ওগুলো আঁকড়ে থাকবে তারা স্পষ্ট ভ্রষ্টতার মধ্যে জীবনযাপন করবে ও তাদের পরিনাম হলো জাহান্নাম।ইসলামে ভাল মন্দ দু'টো কাজ একসাথে চলতে পারে না।আল্লাহপাক মানুষকে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিয়েছেন যেন পরিক্ষা করতে পারেন।আল্লাপাক অতিত , বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জানেন। তিনি জানেন কে জান্নাতে যাবে ও কে জাহান্নামে যাবে।তিনি যদি জান্নাতিদের জান্নাতে রাখতেন তাহলে তারা কোন কথাই বলতো না কারন সেটা আরামের যায়গা।কিন্তু জাহান্নামিদের জাহান্নামে রাখলে তারা বলতো আমরা দূনিয়ায় কখনো খারাপ কাজ করতাম না।সে জন্য দুনিয়ার জীবনে এ ব্যবস্হা রাখা হয়েছে যেন তিনি ক্কেয়ামতের দিন বিচার করতে পারেন ও কেউ তখন আর অভিযোগ করার প্রয়াস পাবে না।

পিরতন্ত্র বা ছুপিবাদের একটি পরিভাষা হলো মুরাক্কাবা।ভারত উপমহাদেশে এক সমিক্ষায় এসেছে ২৯৮০০০ ছোট বড় পিরতন্ত্র ও কবর মাজার আছে।যাদের মধ্যে ফুরফুরা ,ছারছিনা,ছরমোনাই,মাইযভান্ডারি ,দেওয়ানবাগী,আটরশি, ফুলতলি ,দিল্লি নিজামুদ্দিন,আজমির শরিফ এ রকম আরো হাজার হাজার যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শহরে লোকালয়ে।আমার কাছে এগুলো সম্পর্কে জ্গান আসার পর অনেক সমিক্ষা চালিয়েছি,অনেক মাজারে গিয়ে দেখেছি,তাদের কিতাবাদি পড়েছি ও হক্কানি উলামাদের স্মরনাপন্য হয়েছি।আমি আমার সাধ্যমত কোরআন ও ছহি হাদিসের কিতাব তন্ন

তন্ন করে খুঁজেছি কোথাও এই তাছাউপ বা পিরতন্ত্র শব্দটি পাইনি।এই ধর্মটি একটি খিচুড়ির মত।কিছু নেয়া হয়েছে হিন্দুদের থেকে ,কিছু খৃষ্টানদের থেকে ও কিছু অগ্নিপূজকদের কাছ থেকে।হিন্দুদের সাধু সন্নাসিরা যেমন ধ্যান করে চোখ বন্ধ করে এদের অবস্হাও তাই।যদি কোরআন ও হাদিসে না থাকে তাহলে আসলো কোথা থেকে? আল্লাহপাক কোরআনে বলেছেন,'হে নবী আপনার কাছে ওহি করেছি আমার আদেশের রুহ,হে নবী আপনি জানতেন না কিতাবই কি হয়, ঈমানই কি হয়,আমি আপনার দিকে ওহি করেছি যেমন নূহের উপর এবং তার পরে যত নবী এসেছেন তাদের প্রতি।নিশ্চয়ই শয়তানরাও ওহি করে থাকে তাদের ওলিদের কাছে,তোমাদের সাথে তারা তর্ক বিতর্ক করবে।যদি এদের কথা তুমি শুন তাহলে তোমরা মুশরেক হয়ে যাবে।' এই ছুপিবাদে তাদের মুরিদ থাকে। ইহুদি খৃষটানদের অধিকাংশ আলেমরা যেমন অবৈধ পন্থায় মানুষের মাল শোষন করে, এই পিরতন্ত্রিরাও একইভাবে তাদের মুরিদদের মাল শোষন করে শুধু ইসলামের লেবাসটি থাকে তাদের উপরে।ছুপিবাদে মুরিদরা তাদের পিরের মধ্যে বিলিন করে দেয়।চরমোনাইয়ের একটি কিতাবের নাম রুহানি ফায়েয।'সিহাবুছ্ছাকিব' কিতাবে রুহানি ফায়েজের কথা বলা হয়েছে।এই কিতাবের লেখক হছ্ছে হুসাইন আহমেদ মাদানি যিনি আসাদ মাদানির পিতা।এরা দীর্ধদিন মদিনা থেকেছে কিন্তু মদিনার ইসলাম তথা হেদায়েত নিয়ে যেতে পারেনি।এদের এই সময়কাল ছিল ইংরেজ শাসনের সময়কাল যখন ইংরেজরা অনেক অত্যাচার করতো সে সুবাদে তারা অনেকে মক্কা ও মদিনায় অবস্হান করেছিল।এই পবিত্রভূমিতে থাকলেও তারা ভ্রষ্টতাকেই বেচে নিয়েছিল।আশ্চর্যের বিষয় হলো আমাদের দেশে যাদের আমরা ও আপনারা বড় আলেম ও বক্তা বলে জানি তাদের অনেকের মুখ থেকেও এসব শির্ক ও বিদাআত উচ্চারিত হয়েছে ওয়াজ মাহফিলে।আর অন্ধ অনুসারিরা এগুলো শুনেই আমল করে।মাওলানা সাঈদি সাহেব তার এক বক্তব্যে বলেছিলেন ইবনে বতুতা সম্পর্কে।এই সব বক্তৃতা দেওবন্দি আলেমরা এখানে সেখানে শুনায়।ইবনে বতুতা মুসলিম জাতির একজন প্রখ্যাত পর্যটক।সারা পৃথিবী তিনি ভ্রমন করেছিলেন।মরক্কো থেকে বের হয়ে সূদুর চীন পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন।কয়েকশ বছর আগের কথা।তিনি নাকি আসামের এক জংগলে হারিয়ে যান।শাহজালাল তখন জীবিত এবং তিনি নাকি জেনে গেলেন ইবনে বতুতা আসামের তামাক্ষার জংগলে অবস্হান করছেন।তার মুরিদদের পাঠালেন ও তারা নিয়ে আসলো।এখানে কিছুদিন থাকার পর তিনি চলে গেলেন।এই শির্কিয় বক্তব্য উপস্হাপন করেছিলেন।ইসলামের কোন কথা বা বক্তব্য উপস্হাপন করার আগে বক্তাকে অবশ্যই কোরআন হাদিস প্রখরভাবে অনুশীলন করা জরুরি।একজন বাক্তার কথায় শ্রোতা প্রভাবিত হবেন এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু যদি বক্তার কথায় শ্রোতা শির্কে ডুবে যায় তাহলে এই বক্তাকেই আল্লাহর সামনে কঠিন জবাবদীহি করতে হবে।রাসূল সা: ও গায়েব জানতেন না যতটুকু আল্লাহ জানিয়েছেন।কি করে সম্ভব শাহজালালের মত একজন মানুষ জেনে যায়।তায়েফে রক্ত ঝরালেন রাসূল সা:, যদি জানতেন যে তায়েফ বাসিরা তাকে রক্তাক্ত করবে তিনি কখনো ওখানে যেতেন না।আয়শা রা: এর গলার হার উটের নিছে অথচ সাহাবারা পেরেশান তা খুঁজতে, রাসূল সা: কেন জানলেন না গায়েবের খবর।আল্লাহ বলেন,যে ব্যাক্তি অসহায় হয়ে যায় সে ব্যাক্তির কথা কে শুনে? নিশ্চয়ই আল্লাহ।ইউনুছ আ: যখন মাছের পেটে থেকে দোয়া পড়লেন তখন কে শুনলেন আর কে উদ্ধার করলেন? আল্লাহই উদ্ধার করলেন।

তাদের আক্কিদা হলো শির্কি ও কুফরি আক্কিদা।তারা মনে করে পৃথিবীতে যা কিছু আছে সৃষ্টি ও স্রষ্টা একসাথে মিশে আছে।এদের পিরদের একজন ছিল হাজি এমদাদুল্লাহ মোহাজের মাক্কি।তিনি এই আক্কিদা প্রচার করতেন।উপমহাদেশের যারা তথাকথিত আলেম তারা তার নিকট বায়াত নিত।শামায়েমে মোহাম্মদি তার একটি কিতাব যাতে ওয়াহদাতুল উজুদের উপরই লিখা হয়েছে।এছাড়া্ও আরো পিরদের মধ্যে রশিদ আহমেদ গাংগুহি,কাছেম নানতবি,আশরাফ আলি থানবি,আনোয়ার শাহ কাশমিরি,মাহমুদুল হাছান ও হোছাইন আহমেদ মাদানি।এদের অনুসারি অনেক ছোট ছোট বিদা'আতি আলেম রয়েছে ছড়িয়ে ছিটয়ে।চিটাগাংএর হাঠাজারি ও পটিয়াতে ও রয়েছে তাদের অনুসারি।আমাদের দেশে যত পিরতন্ত্র রয়েছে এ সবই দেওবন্দি এ সব পিরদের অনুসারি আর কবর পূজারিরা বেরুলেভিদের অনুসারি।'মারেফুল কোরআন' যার লেখক ছিলেন পাকিস্তানের মুফতি শাফি। বাংলায় এর অনুবাদ করেছেন মহিউদ্দিন খান যা বিদাআতকে প্রশ্রয় দিয়েছিল এবং রাবেতা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।তাদের আক্কিদার আর একটি হলো যে কোন ইবাদাতে পিরের ধ্যান করতে হবে যেন পির তাদের কলবে থাকে।অথচ সূরা বাক্কারায় আল্লাহ বলেছেন, তোমরা আমাকে স্মরন কর আমিও তোমাদের স্মরন করবো।আরো বলেছেন হে নবী , তারা যদি আমার সম্পর্কে জিজ্গেস করে বলুন আমি তাদের অতি নিকটে।তারা বলে ওলির কবরের কাছে গিয়ে দোয়া করলে বরকত লাভ হয়।আর নবী সা: বলেছেন কবর যেয়ারত করলে তোমাদের আখরাত স্মরন হবে।তাদের আক্কিদার মধ্যে রয়েছে তারা নাকি অতি অল্প সময়ে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।তাদের অনেকে নাকি মক্কায় ফজর পড়ে গিয়ে নিত্যদিনের কাজ শুরু করেছে এ সমস্ত কিছ্ছা কাহিনী বর্নিত হয়েছে।কবরের পাশে যে ধ্যান করে এটা দেখা যায় মদিনা গেলে।এদের অনুসারিরা রাসূল সা: কবরের আশে পাশে মুজাবির এর মত বসে থাকে।অথচ একজন মু'মিনকে ওখানে সতর্ক হয়ে যেতে হয়।যারা মদিনা যাবে তাদের অন্তরে নিয়াত থাকবে আমি মদিনায় রাসূল সা: এর মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য যাছ্ছি।আর ওখানে গিয়ে কবরের পাশে রাসূল সা: ও তার সাহাবাদের সালাম দিয়ে দ্রুত প্রস্হান করবে।কবরের পাশে কবর বাসির কাছে চাওয়ার কিছু নাই।কবর বাসির জন্য দোয়া করা।আর যা চাইতে হবে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।আল্লাহপাক যদি আপনাদের ওখানে নেন দেখবেন লক্ষ্য করে যেখানটায় আসহাবে সুফ্ফাদের থাকার যায়গা ছিল সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে। কবরের পাশে কারোরই বসা উচিত নয়। আমাদের ঈমানতো এমনিতেই দুর্বল।ওখানে বসে দোয়া করতে গিয়ে কখন কি মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায় যাতে হিতে বিপরিত হয়ে যাবে।এবাদতের ক্ষেত্রে এ জন্য খুবই সতর্ক থাকতে হবে।

আর একটি ব্যাপার হলো ঝিকির।তারা ঝিকির করে বিদাআতি কায়দায়।কোথাও গোল হয়ে বিভিন্ন রকম শব্দ করে।চোখ বন্ধ করে, ভাংগা শব্দে।আবার মসজিদে ঢুকে চিৎকার করে বেরিয়ে যায়। আবার মাহফিলে সামিয়ানায় লাফ দিয়ে উঠে যায়।এগুলো কোরআন ও হাদিসে নেই।আমাদের কাজ হলো সে সমস্ত ভাইদের সঠিক রাস্তা দেখানো।আমার আপনার কাজ শুধু পৌছে দেয়া বাকি আল্লাহ দেখে নিবেন।কারো সাথে সংঘর্ষে যাওয়া ইসলামের কাজ নয়।মু'মিনের ইবাদাত সর্বাবস্হায়।আল্লাহর নাফরমানি করে কোন মাখলুকের আনুগত্য করা যাবেনা।উপমহাদেশে যদি ছুপিবাদ আবির্ভুত না হতো এই কবর পূজা কখনো আসতোনা।আল্লাহ মানুষের মর্যাদা সবার উপরে রেখেছেন।আদম আ: কে সৃষ্টি করে ফেরেস্তাদের সেজদা করতে বলেছেন।এ হতে কি বুঝা যায় না মানুষই সৃষ্টির সেরা? ঈমাম আব্দুল কাই্য়্যুম (র) দু:খ্য করে মাযহাব বা পথ সম্পর্কে বলেছিলেন ফরয তাই যা আল্লাহ ফরয করেছেন বা রাসূল সা: ফরয করেছেন এর পর আর কাউকে এখতিয়ার দেয়া হয় নি।তাই আমাদের অতি জরুরি কর্তব্য ভ্রান্ত পথ পরিহার করে সহজ সরল পথের অনুসরন করা কোরআন ও সূন্নাহ অনুশীলনের মাধ্যমে।

বিষয়: বিবিধ

২০৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File