পরিবার, সমাজ ও দেশ বাঁচাতে সৎ লোকের বিকল্প নেই।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৬ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৫৭:০৯ সন্ধ্যা

গতকাল আমার ইসলাম হিতৈশি এক ভাই কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে বললেন কিভাবে সমাজকে কলুষমুক্ত করা যায়।আমি দ্বিধা না করে যে মহৌষধটি আমার কাছে আছে তাই বিম্বিত করলাম।বললাম আপনি কি তাহলে জানেন না রাসূল সা: ১৩ বছর মক্কায় কি করেছিলেন? যখন এই জাজিরাতুল আরবে শির্ক কানায় কানায় পূর্ন হয়েছিল আব্দুল ওহাব কিভাবে ওহাবি আন্দোলনকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন? আসলে আমরা আমদের ঐতিহ্যকে পিছনে রেখে ভুল পথ থেকে পাথেয় অর্জন করার চেষ্টা করছি।আমাদের রয়েছে এক সোনালী অতিত তার কোন বিশ্লেষন নেই আমাদের কাছে।আমরা ঘুরছি মরিচিকার পিছনে যার নির্যাস আমাদের জীবনকে ধূমায়িত করছে আর পড়ে আছি গোলক ধাঁধাঁয়।পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রকে পুষ্ট করার প্রধান হাতিয়ার হলো সৎ লোক।এ সৎ লোক থাকতে হবে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে।কারন একটা পরিবার , সামাজ ও রাষ্ট্র চালায় একজন মানুষ।আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , ব্যবসা বানিজ্য, কল কারখানা সহ সব চালিত হয় এক এক জন মানুষের দ্বারা।এই হাতিয়ারটি যিনি তৈরি করলেন তার মেনুয়েল ছাড়া যদি অন্য কোন মেনুয়েল অনুসরন করে তাহলে নির্ঘাত কিছু সময় চলার পর বিকল হয়ে পড়বে।ধরুন আপনি নকিয়ার যে কোন একটি মোডেল এর মোবাইল কিনলেন।আপনাকে মোবাইলটি কিনার সাথে সাথে একটি ওপারেটিং মেনুয়েল দিবে যেন আপনি মোবাইলটি কারো সাহায্য ছাড়া ওপারেট করতে পারেন।যদি আপনি বলেন না আমি এ ওপারেটিং মেনুয়েল চাই না।আমি সনি এরি্ক্সনের ওপারেটিং মেনুয়েল চাই।তাহলে আপনার পক্ষে নকিয়ার মোবাইলটি চালানো সম্ভব নয়।সেজন্য আল্লাহ পাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি জানেন এ জীবনে চলার তার কি প্রয়োজন।তিনিই মানুষকে অদৃশ্য থেকে গাইড করেন।

একটি চমৎকার গাইড রুপি কোরআনুল কারিম এবং তার উত্তম সেবা দেয়ার জন্য নিজেই প্রশিক্ষিত করে মানুষের মধ্য থেকে পাঠালেন একজন রাসূল।কালের প্রেক্ষাপটে তিনি ধীরে ধীরে কোরআনুল কারিমের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করলেন এক ঝাঁক সর্বকালের সেরা মানুষ যাদের মত মানুষ আর তৈরি হবে না ক্কেয়ামত পর্যন্ত শুধু তাদের অনুসরনীয়দের আগমন ঘটবে।

যেহেতু তিনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে সেহেতু বাবা মা'র মাধ্যমে লালন পালন করেন।সৎ মানুষ তৈরি হওয়ার প্রথম কারখানা হলো ঘর।আপনি যখন কোন উৎকৃষ্ট প্রডাক্ট তৈরি করার বাসনা করবেন সেটা হঠাৎ করে করা সম্ভব নয়। আপনাকে বিচক্ষন হতে হবে।আপনাকে প্রথমে উত্তম একটি কারখানা স্হাপন করতে হবে।কারখানার সাথে সম্পর্কিত বিষয় যেমন- ক্ষেত্র,লোকেশন, বৈদ্যুতিক সুবিধা,মানসম্মত যন্ত্রপাতি ইত্যাদির সমন্নয় ঘটাতে হবে।মানুষকে তৈরির কারখানাটা তৈরি করতে হলে আপনাকে সহায়তা নিতে হবে কোরআন ও হাদিসের।কিভাবে আপনার পরিবেশ ঠিক করবেন।একজন মানুষের আবির্ভাব হয় বাবা মার বিয়ের মাধ্যমে।স্ত্রি নামক কারখানাটি নির্বাচন করতে হলে সহায়তা নিতে হবে হাদিস থেকে।রাসূল সা: বলেছেন,'চারটি জিনিস দেখে একজন ছেলে বা মেয়ে একে অন্যকে পছন্দ করবে।১-বংশ ২-ধন দৌলত ৩- সৌন্দর্য ৪-দ্বীনদারি।রাসূল সা: বলেছেন সব ক'টি পেলে ভাল তবে দ্বীনদারি ছাড়া হবে না।বুঝা গেল সবগুলো না থাকলেও দ্বীনদারি থাকতে হবে।দ্বীনদার স্বামি স্ত্রি মানে দ্বীনী পরিবার আর ঐ পরিবারে যে ছেলে সন্তান জন্ম নিবে আল্লাহর ইছ্ছায় সৎ মানুষ হিসেবেই গড়ে উঠবে যদি কোন কারনে বি্ভ্রান্ত না হয়।এ হলো মানুষ তৈরির প্রথম স্তর।এর পর বাবা মা সৎ জীবন যাপনের মাধ্যমে দ্বীন ও দুনিয়ার শিক্ষা দিয়ে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।এ রকম ১০ বা ২০ টি পরিবার নিয়ে সমাজ গঠিত হয়।আর এ সমাজের মানুষগুলো নিয়েই রাষ্ট্রের উৎপত্তি।যে কোন সমাজে বিশৃংখলার কারন হলো এ মানুষ তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা।এবার ভেবে দেখুন আমরা যে সুন্দর সমাজের কথা বলি,যারাই বলি তারা কতটুকু সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে উঠেছি।প্রতিটি কর্নধার যদি অসুন্দর হয় তাহলে কি করে আপনি আশা করেন একটা দেশ সুন্দর হয়ে যাবে।সারা বিশ্বে আজ সৎ লোকের যে অভাব অনুভব করছেন এই মৌলিক কারখানাই হলো মুল কারন।এই মুল বিষয়টিকে যতক্ষন পর্যন্ত ফার্নিস না করা হবে ততক্ষন পর্যন্ত শান্তির জন্যই আপনি লড়াই করবেন কিন্তু কামিয়াবি হতে পারবেন না । এটাই চিরন্তন সত্য।

আপনারা প্রতিনিয়তই লক্ষ্য করছেন, যখন ভোট আসে আমরা লিফলেটে দেখি সৎ লোককে ভোট দিন,সৎ লোক যাচাই করুন।যারা ভোটে দাঁড়ান তাদের আপাদমস্তক পর্যালোচলনা করে শুধু মনে মনে হাসি এ কোন সমাজে বাস করছি যে আমাদের এতটুকু মুল্যবোধ নেই।আপনি যে সমাজে নেতৃত্ব দেন সে সমাজে একজন সাধারন মানুষের চেয়ে আপনাকে লোকে মনিটর করে সবচেয়ে বেশি। আর আপনাকে সতর্ক হয়ে চলতে হবে কারন যখনই আপনি জনসমক্ষে কথা বলবেন আপনার কথাগুলো প্রতিবিম্বিত হবে মানুষের মগজে।আমাদের সমাজ চলছে দীর্ঘ কাল এভাবে।একজন অসৎ জনপ্রতিনিধি সৎ সা্র্টিফিকেট দিছে্ছে তার জন গনকে।একজন অসৎ পুলিশ অফিসার সা্র্টিফিকেট ইস্যু করছে , একজন মেজিস্ট্রেট ও এমপি এভাবে যখন কাজ করছে তাহলে আর অসৎ মানুষ কোথায় মনে হয় সবই সৎ।

সৎ লোকের পরিচয় কি? একজন মানুষ যখন বিবেকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি কাজ করে সে-ই সৎ লোক।খুব লক্ষ্য করবেন,কোন ভাল বা মন্দ কাজ করার সময় আমাদের বিবেক বলে দেয় এটা তুমি কর বা এটা তুমি কর না।যখনই কোন খারাপ কাজ করি বিবেক ধংশন করে।আবার ভাল কাজ করলে বিবেক প্রশান্তি লাভ করে।রাসূল সা: কে প্রশ্ন করা হলো পাপ কি? তিনি উত্তর দিলেন,'তোমার বিবেককে জিজ্গেস কর।' আমরা যখন কোন কাজ করতে যাই সচরাচর মনে একটি বাধা আসে কাজটি করবো কি করবো না।আবু উমামা রা: থেকে বর্নিত রাসূল সা: বলেন ,'তোমার ভাল কাজ যখন আনন্দ দেয় ও খারাপ কাজ যখন কষ্ট দেয় তখন বুঝবে তুমি মু'মিন।'মানুষের দু'টো সত্তা রয়েছে, একটি তার দেহ (Physical Body) ও আর একটি রুহ (soul)। দেহ মাটির তৈরি আর সে চায় শুধু পৃথিবীর যাবতীয় বস্তু।এজন্য আমরা যে সমস্ত পুষ্টিকর খাবার খাই তাতে শরির মজবুত থাকে।রুহ হলো আল্লাহর আদেশ।সূরা ইসরার ৮৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন,' তারা তোমাকে রুহ সম্পর্কে জিজ্গাসা করে।বলো-রুহ আমার প্রভুর নির্দেশাধিন।আর তোমাদের তো জ্গানভান্ডারের সামান্যই দেয়া হয়েছে।' রুহ এসেছে উর্ধ থেকে।সে জন্য সে সব সময় উর্ধের সাথেই সম্পর্ক রাখতে চায়। বারা ইবনে আজেব থেকে মৃত্যুর উপরে যে হাদিস বর্নিত হয়েছে তাতেও দেখা যায় একজন মানুষের মৃত্যুর পর মালাকুল মওত ও অন্যান্য ফেরেস্তারা রুহকে উর্ধে নিয়ে যায়।নেক আত্মা হলে উপরে ইল্লিনে আর বদ আত্মা হলে সিজ্জিনে চলে যায়। দেহের কোন নৈতিক চেতনা নেই। কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ তার বুঝার উপায় নেই।আমাদের দেহটি পশুর মতই।দেখুন না আমার যে গরুটি খুব আদর যত্ন করে রাখছি ,খাওয়াছ্ছি কিন্তু যখন আমার বাগানে নিয়ে যাই সে আমার যত্নের বাগানটিকে নষ্ট করে ফেলে।এটা বুঝার তার উপায় নেই যে তার মালিকের বাগানটি সে নষ্ট করছে।আমাদের এই দেহটি ঐ অবুঝ পশুর মতই।তাই দেহটি আসল মানুষ নয় , রুহই হলো আসল মানুষ।এই রুহটি আমাদের তৈরির আগেই তৈরি হয়েছে।সৃষ্টিগতভাবে সব মানুষ একই সাথে সৃষ্ট কিন্তু সব মানুষকে একই সাথে দেহ দান করা হয়নি।আল্লাহ যাকে দুনিয়ায় পাঠাতে চান তার মায়ের পেটে তার দেহ তৈরি করেন।সূরা মু'মিনুনের ১২-১৬ আয়াতে মানুষের সৃষ্টি ও মৃত্যু পর্যন্ত এক সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেয়া হয়েছে।মানুষের মধ্যে দু'টো অস্তিত্ব রয়েছে।একটি বস্তুগত( Material ) ও আর একটি নৈতিক স্বত্বা(Moral existence)। তাই পশু শুধু দেহসর্বস্ব আর মানুষ হলো রুহ ও দেহের সমন্নয়ে তৈরি।

একটু আগেই বলেছি দেহের কোন নৈতিক চেতনা নাই।রুহ হলো নৈতিক চেতনা বিশিষ্ট।দেহ যা দাবি করে তা পেলেই সে খুশি।যখনি দেহ কোন অপরাধ করতে চায় রুহ বাধা হয়ে দাঁড়ায়।এই যে যারা যৌন প্রবৃত্তি নিবৃত করার জন্য কোন অবিবাহিত বা বিবাহিত মহিলার সাথে অবৈধ যৌনাচার করে তখনো রুহ বাধা হয়ে দাঁড়ায়।এই চরম বিরোধে কখনো নফস জয়ি হয় আবার কখনো রুহ জয়ি হয়।অপরাধ থেকে মুক্তি পেতে হলে রুহকে শক্তিশালি করতে হবে যাতে শরিরের উপর নিয়ন্ত্রন করতে পারে।কিভাবে রুহকে শক্তিশালি করবেন? মানুষকে যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি যানেন কিভাবে এ মানুষটিকে চালাতে হবে।তাই তিনি নবী রাসূলদের মাধ্যমে একটি গাইড বুক পাঠিয়েছেন।যে যত বেশী এই গাইড বুককে অনুশিলন করে নিয়মানুবর্তি হবে সে ততবেশি রুহকে তাজা রাখতে বা শক্তিশালি করতে পারে।ধরুন আপনি একজন অসুস্হ মানুষ।একজন স্পেশালিষ্ট ডাক্তারের কাছে গেলেন।ডাক্তার ইনভেসটিগেট করলেন ,একটি প্রেসক্রিপসন দিলেন ও ঔষধ সেবনের সময় ও কতদিন সেবন করবেন তা বলে দিলেন।রোগ সারাতে আপনার কাজ এখন ফার্মাসি থেকে ঔষধ নিয়ে নিয়মমত ঔষধ সেবন করা।আপনি যদি তা না করে প্রেসক্রিপসনটি সময়মত দেখতে থাকেন তাহলে কি আপনার রোগ ভাল হবে? নবী সা: জাহেলিয়াতে একজন প্রশিক্ষিত ডাক্তারের মত প্রেসক্রিপসনই দেননি বরং সাথে থেকে ২৩ বছরের নবুওতি জীবনে একদল মানুষ তৈরি করেছিলেন যারা আত্মার দিক থেকে ছিলেন পবিত্র।আজও সেটা সম্ভব যদি কোরআন ও সূন্নাহকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িয়ে নেয়া যায়।

আধুনিক বিশ্বে মানুষ গড়ার যত হাতিয়ার সমাজে বিদ্যমান তা বস্তুবাদের সৃষ্টি।বস্তুবাদের লক্ষ্য হলো এ একটি জীবনই। পরকাল বলতে তাদের কোন চিন্তা নেই।সে জন্য অপরাধের কোন ভয় ভীতি নেই।বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্হায় নৈতিক স্বত্বা বিকাশের কোন ব্যবস্হা নেই বলে অন্যায়কে অন্যায় মনে করে না।একজন বয়ো বৃদ্ধ একবার একটা সামাজিক ঘটনা বলতে গিয়ে বললেন, আমি প্রায়ই বাসার কাছে পার্কে হাটতে যাই।বয়সের ভারে আস্তে আস্তে হাঁটি।দএক জোড়া ছেলে মেয়ে পাশে একটি ছোট গাছের আড়ালে বসে।ছেলেটি মেয়েটিকে চুমু খাওয়ার ভান করছে।মেয়েটি বলছে একজন বুড়ো দেখছনা।ছেলেটি বললো বুড়ো মানুষ কিছুই দেখতে পায় না।বুড়ো মানুষটি তাকিয়ে বললো আমি সবই দেখি বুঝি।তোমাদের মত আমার ও এমন বয়স ছিল।আজ পা টানতে পারছিনা।আমাদের যুগে এ অশ্লিলতা ছিলনা।বাবা তোমরা ভাল হতে পার না? এগুলো এখন অহরহ চলছে কারন একটাই ওরা মানুষ হলেও পশুত্বকে বরন করে নিয়েছে জীবনের সর্বক্ষেত্রে।প্রকৃত মানুষ গড়তে হলে আল্লাহর দাসত্বের কোন বিকল্প নেই।সূরা আ'রাফের ৬৫ আয়াত থেকে পর পর কয়েকজন নবী বলেছিলেন,'হে আমার দেশবাসি তোমরা একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব কর তিনি ছাড়া তোমাদের কোন হুকুমকর্তা নেই।' এটিই হলো মুল মন্ত্র।যে সৃষ্টি করেছে তার আইন না মানা পর্যন্ত কেউ শান্তি দিতে পারে না।নৈতিক অবক্ষয় থেকে জাতিকে বাঁচাতে হলে নবীর শিক্ষার আলোকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখেরাতের ভয় নিয়ে দুনিয়ার জীবন বাস্তবায়ন করতে হবে।এমনিতেই সৎলোক বানানো যায় না।তার জন্য পরিশ্রম করতে হয়।আপনার যে জমিনটি আছে তা যদি এমনিই ফেলে রাখেন তাহলে আগাছা জন্মাবে।এই আগাছা পরিষ্কারের জন্য জনবল লাগবে এবং পরিষ্কার করে ফসল বুনবেন সব সময় পরিচর্যা করবেন তাহলে নিশ্চয়ই ভাল ফসল তুলতে পারবেন।সৎ মানুষও এভাবে পরিকল্পনা করে তৈরি করতে হয়।এই পরিকল্পনা নেই বলে সমাজে আজ খুন ,ধর্ষন,চুরি ডাকাতি,চাঁদাবাজি,ঘুষখোরি,অশ্লিলতা,অপসংস্কৃতি,অশ্লীল বিনোদন চলছে।যার ফলে নৈতিক অবক্ষয় দেখতে পাছ্ছেন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্র।ধরে নিলাম ইসলামিক আইন রাজনৈতিক দলগুলো চায় না। তারা যদি তাদের ইমপোর্ট করা আব্রাহাম লিংকনের গনতন্ত্র ও সঠিকভাবে পালন করতো তাহলেও এরকম ভয়াবহ অবস্হার সৃষ্টি হতো না।সৎ লোক পেতে হলে প্রতিটি সেক্টরে সৎ লোকের কারখানা তৈরি করতে হবে।দেশের যে কোন প্রান্তেই লার্নেড থাকুক না কেন তাদের পরামর্শ নিতে হবে।আমাদের দেশে যে নেতা তৈরি হয় তাদের অধিকাংশই আসে রাস্তা থেকে।অনেকেরই পড়ালেখার বহর এত কম যে নীতি নির্ধারনি বিষয়ের জন্য সাবর্ডিনেটের উপর নির্ভর করতে হয়।আর এ কারনে অধিনস্ত অপরাধ করলেও মন্ত্রি এমপিদের কিছু করার থাকে না। আমাদের অচিরেই এ অবস্হা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবংপরিবার, সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে সৎ লোক বাননোর সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৮০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File