প্রচলিত তাবলিগ জামাত ও কিছু প্রাসঙিক কথা।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৫ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৩৫:৩৩ বিকাল
প্রচলিত তাবলিগ জামাত সম্পর্কে আলোচনার আগে আল্লাহপাকের কাছে তাওফিক কামনা করি আল্লাহ যেন আমাদের মুসলিম উম্মাহকে সঠিক পথে থাকার ও সঠিক দ্বীনি দাওয়াত পেশ করার তাওফিক দান করেন।আমার শিক্ষা জীবন যদিও স্কুল ,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল কিন্তু ইসলামিক জীবন থেকে কখনো সরে যাই নি কারন ছোট বেলায় ইসলামের যে হাতে খড়ি হয়েছিল তার ভিত্তি ছিল মজবুত যা আমাকে ইসলামিক মানুষগুলোর সাথে চলতে শিখিয়েছে।আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়
জীবন থেকে ইসলামের দলগুলোকে বুঝার চেষ্টা করেছি।বড় বড় দলগুলোর কার্যক্রম ও তাদের আক্কিদা কি জানতে চেষ্টা করেছি কিন্তু কারো দিকে ঝুঁকে পড়ার চেষ্টা করিনি।ইসলাম আমাদের কাছে কি চায় এবং আমাদের করনীয় কি সেটা বুঝতে হবে।এ কথা অস্বীকার করার কারো উপায় নেই যে ইসলামের পক্ষে এ দলগুলো আছে বলে আজ ইসলামের উপর যে ঝন্জা আসছে তা প্রতিরোধ এরাই করছে।তবে তাদের বুঝতে হবে ইসলাম একটি পরিপূর্ন জীবন বিধান এবং ইসলামিক উম্মাহ একটি উম্মাহ এর মধ্যে কোন বিভক্তি নেই।সূরা আন'য়াম আয়াত ১৫৯ ও সূরা রুম ৩২ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,' নিসন্দেহে যারা ও বিভিন্ন দল হয়ে গেছে ইসলামকে বিভক্ত করেছে তাদের জন্য তোমার কোন দায়িত্ব নেই।'
একজন মুসলিমের কাজই হলো মানুষকে দিনের দিকে ডাকা।এদিক থেকে তাবলিগের ভাইরা অন্য জামাতের ভাইদের থেকে অগ্রগন্য।অনেক কিছু থাকা সত্বেও যখন আমি তাদের কিতাব পড়তে শুরু করলাম তখন শির্ক বিদা'আত দেখে থমকে গেলাম আর মুসলিম উম্মাহকে জানানো ফরয মনে করলাম।আপনার সামনে যদি দ্বীনের কোন ক্ষতি আসে আর উম্মাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তা জানানো আপনার জন্য ফরয।তবে মনে রাখতে হবে আপনি যা করছেন সবই আল্লাহর জন্যই করছেন।যদি কারো অকল্যানের জন্য কে্উ কুৎসা রটনা করে তা হলে সে আল্লাহর কাছে দা্য়ি থাকবে।আল্লাহ পাক আমাদের জ্গান দান করেছেন এবং তার হিসাব নিবেন।সুতরাং যে কোন বিষয়ে নিজের জ্গান ও বিবেককে কাজে লাগাতে হবে।কোন দিকে ঝুঁকে গেলে সত্যকে পাওয়া যাবে না।মুসলিম উম্মায় পথভ্রষ্ট হয় দু'ভাবে। এক হলো যারা প্রকৃত দ্বীনের অনুসারি।আর এক শ্রেনী দ্বীনের অনুসরন করে না।আর এক শ্রেনীর মানুষ আছে যারা দ্বীন মোতাবেক চলে যেটাকে দ্বীন মনে করে।ভুল বিশ্বাস ও ভুল আমলের উপর রয়েছে।সেজন্য তারা ভুল ধর্মের উপর চলে।এদের বলা হয় বিদা'আতি।যারা ইসলামের বিষয়গুলো একেবারে মানে না তাদের যেমন বিষয়গুলো জানাতে হবে তেমনি যাদের আক্কিদা ও বিশ্বাসে ভুল রয়েছে তাদেরও সঠিক পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে বা ভুল ধরিয়ে দিতে হবে সুন্দর আচরনের মাধ্যমে।ফাসেক যদি ফাসেকি অবস্হায় মারা যায় জাহান্নামে যাবে আর শির্ক বিদা'আতি যদি মারা যায় তাও জাহান্নামে যাবে।এই দুই রাস্তাকে বর্জন করতে হবে আর চলতে হবে সঠিক ও সোজা রাস্তায়।এই দ্বীন যেমন নিজে পালন করতে হবে তেমনি অন্যদের কাছে পৌঁছাতে হবে।এটি হলো এই উম্মাতের ফরয দায়িত্ত।এই দ্বীন পৌঁছানোকে বলা হয় তাবলিগ ও আহ্বান করাকে বলা হয় দাওয়া ইলাল্লাহ।
দাওয়াত সম্পর্কে সূরা মায়দার ৬৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'হে প্রিয় রাসূল! তোমার প্রভুর কাছ থেকে যা তোমার কাছে অবতীর্ন হয়েছে তা প্রচার কর।আর যদি তুমি তা না কর তবে তার বানি তুমি প্রচার করলে না।'রাসূল সা: বলেছেন,'তোমরা আমার পক্ষ থেকে যদি একটি আয়াত ও জান তা প্রচার কর।'সাধারনক্ষেত্রে তাবলিগ করা ফরযে ক্কেফায়া।যেখানে বিজ্গ আলেম থাকে যার কথায় মানুষ প্রভাবিত হয় তার জন্য ফরয।তবে আমভাবে শরিয়তের বিধান যার যতটুকু ছহি জানা আছে প্রত্যেকেই দায়ির কাজ করবে।সূরা আল ইমরানের ১০৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তোমাদের মধ্যে একটি দল হওয়া চাই যারা আহ্বান করবে কল্যানের প্রতি আর নির্দেশ দিবে ন্যায় পথের আর নিষেধ করবে অন্যায় থেকে।এরা নিজেরাই হছ্ছে সফলকাম।' অধিকাংশ ইসলামের দলগুলো কুরআনের এ ধরনের আয়াতগুলোকে বিকৃত করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে।অথচ ইসলামে ক্কেয়ামত পর্যন্ত একটি দল ও একটি উম্মাতের কথাই কুরআন ও হাদিসে বিবৃত হয়েছে।কোন দাওয়াত পৌঁছাতে হলে দেখতে হবে তা কুরআন ও হাদিসে আছে কিনা? তাবলিগ সম্পর্কে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে আমরা কোন তাবলিগ পৌঁছাবো।তাবলিগ করার জন্য কুরআন ও হাদিসের ইলম থাকতে হবে। অধিকাংশ মাণুষ তাদের জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গাফেল।উদাহরন স্বরুপ বলা যায়, আপনি যদি কোন কোম্পানির এজেন্ট হয়ে থাকেন এবং যে প্রডাক্ট টির সেবা জন গনকে দিবেন সে প্রডাক্ট ও কোম্পানি সম্পর্কে আপনার গভীর জ্গান থাকতে হবে।যদি আপনি ভোক্তাদের সন্তুষ্ট করতে চান তাহলে এর ব্যাবহারিক দিক সহজভাবে বর্ননা করতে হবে যেন তারা বুঝতে পারে।তাহলে বুঝা গেল এটা নির্ভর করছে আপনার কোম্পানির প্রডাক্ট টির গুনাগুন এবং আপনার দক্ষতার উপর।আল্লাহপাক এই কুরআন নাজিল করেছেন আর দ্বার্থভাষায় বলে দিয়েছেন এতে কোন সন্দেহ নেই।শুধু তাই নয় তার সাথে একজন প্রশিক্ষিত রাসূল পাঠিয়েছেন যিনি এ বিষয়টি জন গনকে সুচারুরুপে বুঝিয়ে দিবেন আর সুধীর্ঘ ২৩ বছর ব্যাপী তিনি প্রচার করে পৃথিবিতে একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রচলিত তাবলিগ জামাত যাকে ইলিয়াছি তাবলিগ বলা হয় এর সূচনা করেছিলেন মাউলানা ইলিয়াছ সাহেব।তিনি একজন দেওবন্দি আলেম।তাবলিগ জামাত প্রথমে শুরু হয় ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের মেওয়া গ্রাম থেকে।এটা ছিল একটা অশিক্ষিত গ্রাম। ইলিয়াছ সাহেবের জন্ম ১৩০৩ হি: ও মৃত্যু ১৩৬৩ হি.।'এই হিসেবে ধরে নেওয়া যায় প্রায় ৮০ বছর এ জামাতটির বয়স।তাবলিগের প্রথম মার্কাজ হছ্ছে দিল্লি নিজামুদ্দিন।এটি ৫ তলা মসজিদ।মসজিদের বারান্দায় ৬টি কবর রয়েছে এবং সেখানে মুসুল্লিরা নামাজ পড়ে।সেখান থেকে ৪০০ বা ৫০০ মিটার দূরে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজার যেখানে অসংখ্য হিন্দু,শিখ,তথাকথিত মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বিরা কবর পূজায় লিপ্ত।এর পর এ জামাতটি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে বিস্তৃতিলাভ করেছে।বাংলাদেশে কাকরাইল মসজিদ তাদের কেন্দ্র ও ইজতেমা হয় টঙির তুরাগ নদীর পাড়ে।তাদের কিছু জাহেল বা মুর্খ অনুসারি রয়েছে যারা মনে করে কখনো মক্কা যাওয়াতো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়,যদি তারা এই ইজতেমায় আসে তাহলে হজ্ব বা ওমরার সওয়াব পাবে।তাদের কিতাবগুলোর মধ্যে রয়েছে ফাজায়েল আমল প্রথম খন্ড যা উর্দুতে লিখা হয়েছে এবং পরে বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে।বাংলায় অনুবাদ করেছেন মাউলানা শাখায়েতুল্লাহ।আর একটি অনুবাদ রয়েছে আম্বরআলীর।ফাজায়েলে যে বিষয় রয়েছে তা হলো-ফাজায়েলে তাবলিগ ,নামাজ,কুরআন,জিকির,রমজান ও হেদায়েতে সাহাবা।এগুলো মুসলিমদের অধপতনের কিতাব। আমি অনুরোধ করছি পড়ুন তা হলে বুঝতে পারবেন তারা কি প্রচার করছে।অধিকাংশ মানুষ তাদের বাইরের রুপটিই দেখে ভিতরে কি আছে তা পড়াশুনা না করার কারনে দেখেনা।এই শির্ক ও বিদা'আত নিয়ে অন্ধ অনুসারিরা দ্বীন প্রচার করছে।দ্বিতীয় খন্ডে রয়েছে-ফাজায়েলে সদাকা ,দুরুদ শরিফ,হজ্ব ও জাজাউল আমল।ফাজায়েলে দুরুদ ও ফাজায়েলে হজ্ব এই দু'টোতে সবছেয়ে বেশি শির্ক ও বিদা'আত রয়েছে।যারা চিল্লা দিয়ে অন্ধ ভক্ত হয়ে গিয়েছে তাদের এই কিতাবগুলো দেয়া হয়।ফাজায়েলের ভূমিকায় একটি বিষয় পড়লে পাঠকগন বুঝতে পারবেন এর ভিতরে কি আছে।আল্লাহর প্রশংসা ও দুরুদ পাঠ করার পর লিখছেন,'একটা সংক্ষিপ্ত বই লিখি।এত বড় বুজুর্গের সন্তুষ্টি বিধান আমার পরকালের নাজাতের ওসিলা হইবে মনে করিয়া আমি উক্ত কাজে সচেষ্ট হই।' মু'মিনের যে কোন কাজ হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।আর এখানে বইটি লিখা হয়েছে বুজুর্গের সন্তুষ্টির জন্য।এই কিতাবগুলো এক একটি ৮০০ পৃষ্ঠা সম্বলিত।আর একটি কথা লিখেছেন অনেকেই শির্ক ও বিদা'আতে লিপ্ত রয়েছে তারা শির্ক কে শির্কই মনে করে না।আমি বলছি ভূমিকা লিখে শির্ক করেছেন তিনি বুঝতে পারলেন না নিজেই শির্ক ও বিদা'আতে হাবুডুবু খাছ্ছেন।সূরা রা'দ এর ২২ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তাদের হেদায়েত করার দায়িত্ত তোমার উপর নয়।আল্লাহ হেদায়েত করেন যাদের ইছ্ছা করেন।ভাল জিনিসের যা তোমরা খরচ কর তা তোমাদের জন্য।আর তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য ছাড়া খরচ করবে না।ছহি বোখারি ও মুসলিমে রাসূল সা: বলেন,'আল্লাহপাক জাহান্নামের উপর ঐ ব্যাক্তিকে হারাম করেছেন যে ব্যাক্তি লা ইলহা ইল্লাল্লাহ বলবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।'
প্রচলিত তাবলিগ জামাত সম্পর্কে একবিংশ শতাব্দির কুরআন ও সূন্নাহর বিশিষ্ট উলামাদের কিছু ফিকহ(কথা) পেশ করছি পাঠকদের জানার জন্য।তাদের কিতাবগুলো প্রমান করে এটা তারা স্বপ্নের ধর্ম প্রচার করছে। অসংখ্য কিছ্ছা কাহিনী রয়েছে যার সাথে কুরআন হাদিসের কোন সম্পর্ক নেই।ফাজায়েলে দুরুদ ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ১১৩ কিস্সা নং ৩৫। ২য় কিস্সা চিশতি মাশায়েখের ইতিহাস পৃষ্ঠা নং ২৩২ দেখুন। এ রকম অনেক কিস্সা কাহিনি রয়েছে।আমার অভিজ্গতায় দেখেছি যারা ওখানে যায় অধিকাংশই অজ্গ যারা কথাগুলো খতিয়ে দেখে না।আর এক শ্রেনী আছে যারা মনে করে বয়স হয়েছে জীবনে অনেক গুনাহ করেছি যদি চিল্লা দিয়ে গুনাহ মাপ হয়ে যায় তাহলে বেঁচে যাব।তাদের বুঝা দরকার এ চিল্লা রাসূল সা: দিয়েছেন কিনা।স্ত্রি ও লায়েক মেয়েদের হেফাযত করা ফরয।তারা এ না করে দীর্ঘদিন বাইরে পড়ে থাকে ও বিদা'আতি ইবাদাত করে।আব্দুল্লাহ বিন বাজ (র) কে নিম্নরুপ প্রশ্ন করা হয়েছিল তাবলিগ সম্পর্কে:
প্রশ্ন: আমরা তাবলিগ জামাত সম্পর্কে শুনেছি তারা দাওয়াতের কাজ করে।আপনি কি আমাকে পরামর্শ দেন আমি এ জামাতে লাগতে পারি।আশা করি আপনি আমাকে দিক নির্দেশনা দিবেন ও সৎ পরামর্শ দোবেন।আল্লাহ আপনাকে মহা পুরস্কার দান করুন।
উত্তর: যে ব্যাক্তি আল্লাহর দিকে ডাকবে সে হছ্ছে মুবাল্লিগ।কিন্তু তাবলিগ জামাত ইন্ডিয়ান জামাত হিসেবে প্রসিদ্ধ।তাদের আক্কিদায় বহু কুসংস্কার রয়েছে এবং তাদের কাছে শির্ক ও বিদা'আত রয়েছে।তবে যদি কেউ তাদের সাথে যেতে চায় শর্ত হলো যাদের কাছে কুরআন হাদিসের সঠিক ইলম (জ্গান) রয়েছে তারা যেতে পারে তাদের সঠিক রাস্তা দেখানোর জন্য যেন তাদের মধ্যে যে শির্ক ও বিদা'আত রয়েছে তার প্রতিবাদ করতে পারে যাতে তারা বাতেল ত্বরিকা ছেড়ে আহলে আল সূন্নাতের মাযহাব(পথ) ধরে নিতে পারে।
আব্দুল্লাহ বিন বাজকে ২য় পশ্ন : আমি তাবলিগ জামাতে গিয়েছিলাম ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানে।আমরা সেখানে গিয়ে দেখলাম বহু মসজিদে কবর রয়েছে যেখানে আমরা ইজতেমা করতাম।যে মসজিদে কবর আছে সে মসজিদে নামাজ বাতেল এবং আমরা নামাজ পড়েছি ও এখন ফিরে এসেছি।এখন কি নামাজগুলো পড়বো? এসব যায়গায় যাওয়ার হুকুম কি?
উত্তর: আক্কিদা ও মাসলা মাসায়েলে তাবলিগ জামাতের কোন জ্গান নাই।তাদের সংশোধন করা ছাড়া তাদের সাথে যাওয়া যাবে না।কবর ওয়ালা মসজিদে যে নামাজ পড়েছেন তা আবার পড়তে হবে।কারন নবী সা: বলেছেন,'ইয়াহুদি ও খৃষ্টানদের উপর অভিসম্পাত যারা নবীগনের কবরগুলোকে মসজিদে পরিনত করে।( বোখারি ও মুসলিম)
আল্লামা নসিরুদ্দিন আলবানী (র) কে পশ্ন:তাবলিগ জামাত সম্পর্কে আপনার মতামত কি? কোন তালেবে ইলম বা অন্য সাধারন লোকজন দ্বীনের দাওয়াত দিতে যেতে পারে কি এই জামাতের সাথে?
উত্তর: তাবলিগ জামাত আল্লাহর কিতাব ,রাসূল সা: এর সূন্নাহ ও সালাফে সালেহিনদের ত্বরিকার উপর প্রতিষ্ঠিত হয় নি।তাদের সাথে চিল্লায় বেরিয়ে যাওয়া যায়েয নয় কারন এটি হছ্ছে সালাফে সালেহিনদের ত্বরিকার পরিপন্থি।তাবলিগ জামাত কুরআন ও সূন্নাহর দাওয়াতের গুরুত্ব দেয় না।এই জামাত মিশরে হাছানুল হক্ক বান্নার এখোয়ানুল মুসলিমিন ও বাংলাদেশ ,পাকিস্তান ও ভারতে জামাতে ইসলামের মত। তবে জামাতে ইসলামের সাথে কিছু কিছু মত পার্থক্য আছে যেমন- জামাতে ইসলাম গনতন্ত্রের ছায়ায় ইসলাম কায়েম করতে চায়।তাবলিগ জামাত তা করে না। তারা দাবি করছে আমরা কোরআন ও সূন্নাহ মোতাবেক দাওয়াতের কাজ করছি এটা তাদের মুখের কথা মাত্র।তাদের ছহি কোন আক্কিদা নেই।এদের মধ্যে মাতুরিদি, আশোয়ারি ও ছুপি আক্কিদা রয়েছে।তাবলিগ জামাতের তাবলিগ হলো আধুনিক ছুপি মতবাদ।'
প্রশ্ন ও উত্তর দিলেন-আব্দুল্লাহ বিন বাজ (র),আব্দুল্লাহ ইবনে হুদাইয়্যান,সালেহ আল ফুজান ও আব্দুল আজিজ আলি শেখ(বর্তমান গ্রান্ড মুফতি সাউদি এরাবিয়া)- সম্মানিত শেখ ,আমি তাবলিগ জামাতের বেশ কিছু আমল দেখলাম,যে আমলগুলো না কুরআনুল কারিমে আছে , না রাসূল সা: এর হাদিসে আছে।তারা মসজিদে কয়েকজন গোলাকার হয়ে বসে এবং তাদের বিশেষ কোর্স আছে যেমন কোরআনের শেষ দশটি সূরা শিখায়,প্রত্যেক বৃহসপতিবারে এতেকাফে বসে,নির্দিষ্ট দিনের সময় দেয় যেমন-মাসে ৩ দিন ,বছরে ৪০ দিন এবং সারা জীবনে ৪ মাস,প্রত্যেক বয়ানের পর সম্মিলিত মুনাজাত করে।যদি এই জামাতে যাই তবে এগুলোর ব্যাপারে করনীয় কি?
উত্তর: এই জামাতের কাজকর্ম সম্পর্কে যা আপনি উল্লেখ করলেন এ সমস্ত হছ্ছে বিদা'আত বা কুসংস্কার।তাদের সাথে অংশগ্রহন করা যায়েয নয় যতক্ষন পর্যন্ত তারা কুরআন ও সূন্নাহর পথ না ধরে এবং বিদা'আত না ছাড়ে।আল্লাহ তাওফিক দিন।
প্রশ্ন করেছেন মোহাম্মদ সালেহ বিন মুনাজ্জিদ (র) কে ( যার দাম্মামে বিশাল ইসলামের উপর নেট ওয়ার্ক রয়েছে)- যে জামাত ৩দিন ,৪০দিন ও ৪ মাসের তাবলিগ করতে বিভিন্ন দেশে যায় ধর্মিয় কথা বলার জন্য তাদের সম্পর্কে আপনার মত কি?
উত্তর: তাবলিগ জামাত ইসলামের স্বার্থে কাজ করছে ও কিছু প্রচেষ্টা করছে অস্বীকার করার উপায় নেই।তাবলিগ জামাত অন্যান্য জামাতের মত।তাদের অনেক ভুল রয়েছে এগুলো নিম্নরুপ:
১-তাহারা আহলে সূন্নাহ আল জামাতের আক্কিদায় বিশ্বাসি নয়।
২-ইলম শিখতে আগ্রহি নয় ও বাধা প্রদান করে।
৩-তারা নিজের স্বার্থে কোরআনকে বিকৃত করে ও জাল হাদিস বয়ান করে।
৪-বিদা'আতকে এবাদাত মনে করে।
৫-তাদের মধ্যে অনেক বিদা'আতি কাজ আছে যেমন-যখন তারা দাওয়াতে বের হয় একজনকে আমির,একজনকে মুতাকল্লিম এবং একজনকে রাহবার নিয়োগ করে।এই ত্বরিকাগুলো বিদা'আতি ত্বরিকা।
৬-তারা কখনো নেতিবাচক কথা বলবে না।শির্ক ও বিদা'আত কে উপড়ানোর কথা বলে না বরং ওর মধ্যেই ইবাদাত করে।
৭-তারা যদি ১/২ টা চিল্লা দেয় তাহলে অহংকার করে ও অন্যকে তুচ্ছ মনে করে।
৮-তাদের কাছে চিল্লায় বের হওয়া উত্তম কাজ।
৯-ফতোয়া তাফছির ও হাদিসের ক্ষেত্রে তাদের দু;সাহসিকতা বেশি।
১০-তাদের অনেকেই স্ত্রি সন্তানের খবর রাখে না ও তাদের উপর ধর্মের নামে নির্যাতন করে।
সম্মানিত পাঠক এ বিষয়গুলো যা আমি উল্লেখ করলাম তা আমার দীর্ঘ দিনের তাদের কিতাব পড়া ও কোরআন ও সূন্নাহর আলেমদের ফিখহ থেকে সংগৃহিত তথ্য উপস্হাপন মাত্র। কাউকে হেয় করার জন্য নয় বরং এক মুসলিম আর এক মুসলিমের আয়না স্বরুপ কল্পনা করেই জানাতে বাধ্য হলাম যা কোরআন ও সূন্নাহর সাথে সংঘাতপূর্ন।আপনারাও রেফারেন্স গুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করুন ইনশাআল্লাহ তাদের আবিষ্কার করতে পারবেন।আজকের দুনিয়ায় ইসলামকে ক্ষতবিক্ষত যতটুকু করছে বিধর্মিরা তার ছেয়ে বেশী করছে মুসলিমদের ভিতর এক ধরনের মুনাফিকরা।সে জন্য আমাদের উচিত সবারই ইসলামের সঠিক তথ্যগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
৩৬৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন