আল্লাহ কোথায়,আল্লাহর ভয় ,আল্লাহর অস্তিত্বকে না জানার কারনই মুসলিম জাহানের অধ:পতনের জন্য দায়ী।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৩ মার্চ, ২০১৩, ০৮:১৬:১৯ রাত

আল্লাহ তায়ালাকে যেমন মর্যাদা দেয়া উচিত অধিকাংশ মানুষ তেমন মর্যাদা দেয় না, তাঁকে ও তাঁর জাতসত্বা না জানা ও সঠিক জ্গান না থাকার কারনে।তৌহিদকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে আল্লাহকে যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।সূরা যুমারের ৬৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আর তারা আল্লাহকে সম্মান করে না তাঁর যথোচিত সম্মানের দ্বারা।অথচ সমস্ত পৃথিবীই তাঁর হাতের মুঠোয় থাকবে ক্কিয়ামতের দিনে।আর মহাকাশমন্ডলি গুঁটিয়ে নেয়া হবে তাঁর ডান হাতে।সকল মহিমা তাঁরই আর তারা যে সব অংশী দাঁড় করায় তা থেকে তিনি বহু উর্ধ।' যিনি আরশের উপর সমাসিন রয়েছেন।যার সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে।হাত রয়েছে ,চক্ষু রয়েছে ,চেহারা রয়েছে,তিনি সব কিছু দেখেন ও শুনেন।সমস্ত সৃষ্টিই তাঁর তাছবিহ করে একমাত্র মানুষের মধ্যে এক শ্রেনীর জাহেল বা মূর্খরা ছাড়া।ইবাদাত বুঝার আগে আমাদের বুঝতে হবে ইবাদাতের মালিককে।তিনি কি চান,কিভাবে আমাদের ইবাদাত চান? এই মর্মার্থ না বুঝার কারনে আমাদের ইবাদাত হয়ে উঠে জটিল এবং আমরা অবলম্বন করি বাঁকা পথের।তাঁর নির্দেশিত পথ ও নবী সা: এর পথ ছেড়ে ধরে নেই শির্ক ও বিদা'আতের পথ।ওহির পথ থেকে মাহরুম হয়ে গেলে মানব রচিত পথের উম্মোচন হয় আর তখনি মানবজাতি ডুবে যায় পংকিলে।আর শির্ক ও বিদা'আতের পথে যে আমল তা তাদের নিয়ে যাবে জাহান্নামরুপি ভয়ংকর আগুনে।সূরা ফোরকানের ২৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আমি তাদের আমলের দিকে যাব আর তা ধূলিসাৎ করে দিব।' আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলোকে কুরআন ও সূন্নাহ নামক বেরোমিটার দিয়ে মাপতে হবে আসলে আমরা সঠিক ইবাদাত করছি কিনা।আজকাল অনেক মুসলমানের ছেলেমেয়েকে এমনকি অনেক মুসলমানকে প্রশ্ন করলে আল্লাহ সম্পর্কে স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায় না।একজন মুসলিম তার রবকে যদি দুনিয়ায় না জানে তাহলে কবরে সে কিভাবে সে প্রশ্নের উত্তর দিবে।তিনটি প্রশ্নের প্রথম প্রশ্ন ,তোমার রব কে? কেউ বলে আসমানে , কেউ বলে আল্লাহ নিরাকার,কেউ বলে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান আবার কেউ বলে আল্লাহ আরশের উপর।এতটুকু জানাই কি শেষ রব সম্পর্কে?

সূরা মুল্কের ১৬/১৭ আয়াতে আল্লাহ বলছেন,' যিনি উর্ধ্বলোকে রয়েছেন তাঁর কাছ থেকে কি তোমরা নিরাপত্তা গ্রহন করেছ যে তিনি পৃথিবীকে দিয়ে তোমাদের গ্রাস করবেন না যখন তা আন্দোলিত হবে। আথবা যিনি উর্ধ্বলোকে রয়েছেন তাঁর কাছ থেকে কি তোমরা নিরাপত্তা গ্রহন করেছ পাছে তিনি পৃথিবীকে দিয়ে তোমাদের গ্রাস করবেন না এক কংকরময় ঘূর্নিঝড়ে? ফলে তোমরা শিঘ্রই জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবানি।' মুসলিম শরিফ থেকে মাউয়িয়া ইবনুল হাসান রা: থেকে বর্নিত, তিনি বলেন,আমার একটি ক্রীতদাসী ছিল সে ছাগল চরাত ওহুদ এলাকায়।একদিন আমি ছাগলের পাল দেখতে গেলাম এবং দেখলাম একটি ছাগল পাল থেকে নেকড়ে নিয়ে গেল।আমি একজন আদম সন্তান এবং আমার রাগ হলো।রাগ সামলাতে না পেরে আমি তাকে একতি চড় দিলাম।চড় দেয়ার পর আমার অনুশোচনা এলো।তাড়াতাড়ি রাসূল সা: এর নিকট এলাম এবং বিষয়টি বললাম।রাসূল সা: কঠিন ভূমিকা নিলেন।বললেন তুমি বড় অন্যায় করেছ।কি জবাব দিবে আল্লাহর কাছে।আমি বললাম তাকে আমি আজাদ করে দিব।রাসূল সা: বললেন তাকে আমার কাছে নিয়ে আস।রাসূল সা: মেয়েটিকে জিজ্গেস করলেন,আল্লাহ কোথায়? সে বললো , আকাশে।দ্বিতীয় প্রশ্ন করলেন,আমি কে? মেয়েটি বললো , আপনি রাসূল সা: রাসূল. রাসূল সা: বললেন তাকে মুক্ত করে দাও কারন সে মু'মিনা।যারা বিদা'আত পন্থি তাদের জন্য এই একটি হাদিস ই যথেষ্ট যারা বলে আল্লাহ সর্বস্হানে ও মানুষের কলবে কলবে।সে যুগের ঈমানদাররা কোন অপরাধ করে ফেললে সাথে সাথে অনুশোচনা করতো কারন জাহান্নামের আযাবকে ভয় করতো।সূরা আ'রাফের ৫৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'নি:সন্দেহে তোমাদের প্রভু হছ্ছেন আল্লাহ যিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডল ও পৃথিবি ছয় দিনে তখন তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হন।' এভাবে সূরা ইউনুছ ৩ ,সূরা ত্বাহা ৫ ,সূরা ফোরকান ৫৯,সূরা রা'আদ ২,সূরা হাদিদ ৪ ও সূরা মায়েদা ৬৪ আয়াতে আল্লাহ সম্পর্কে স্পষ্ট বর্ননা রয়েছে।

সূরা যুমারের ৬৭ আয়াতটি নাজিল হয়েছিল ইহুদিদের উপর।আর ক্কেয়ামত পর্যন্ত যারাই এ আচরন করবে তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে।সমস্ত ইবাদাত বন্দেগি একমাত্র আল্লাহর জন্য।যদি কেউ এ না করে তারা তাদেরই রাস্তা ধরেছে যারা শির্ক করে,আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে দোয়া করে,অন্যের নামে মান্নত করে,অন্যকে সেজদা করে,লাভ ও ক্ষয় ক্ষতির জন্য অন্যের স্মরনাপন্য হয়।মানুষের চিন্তা করা উচিত,সৃষ্টি যদি এত বিশাল হয় তাহলে আল্লাহর জাত ও সত্বা কত বিশাল।আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ থেকে একটি হাদিস বর্ননা হয়েছে এ ব্যাপারে।যার ব্যাখ্যা হলো এরুপ।ইহুদিদের আলেমদের হাবর বলা হতো যেমন মুসলিমদের আলেমদের আলেম বলা হয়।ইহুদি ও খ্রীষ্টানদের অধিকাংশ আলেমগন অবৈধ পন্হায় মানুষের মাল বক্ষন করতো।ইহুদিদের তুলনায় খ্রীষ্টানরা অজ্গ ছিল যার জন্য তারা বি্ভ্রান্তির শিকার হয়েছিল।ইহুদিদের মধ্যে বিদ্যা ছিল কিন্তু তারা জেনে শুনে অমান্য করতো।এজন্য সূরা ফাতিহায় এই দুই জাতিকেই অভিসপ্ত জাতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।আল্লাহ তৃতীয় শ্রেনীর মানুষকে পুরস্কৃত করেছেন।সুরা ফাতিহায় আমরা বলি,হে আল্লাহ আমাদের সরল পথ দেখাও।এই সরল পথের লক্ষন কি? ঐ সমস্ত লোকদের পথ যাদের নেয়ামত দেয়া হয়েছে।এটাই হলো সঠিক রাস্তা আর তারা হলো,নবী রাসূল গন,সত্যবাদিগন, শহিদ গন ও সৎ আমলকারিগন।এই চার শ্রেনী ব্যাতিত ৫ম কোন শ্রেনী নেই পুরস্কার পাওয়ার।নবী রাসূলদের ছিলছিলা শেষ।সত্যবাদিগন ক্কেয়ামতের আগ পর্যন্ত থাকবে। শুহাদার তফছির হলো,যারা আল্লাহর কালিমাকে উঁচু করার জন্য জীবন দান করেন তারা শহিদ। এই লেবেল কেউ লাগালে হবে না।মানব রচিত মতবাদের জয় জয়কার করার জন্য যারা জীবন দান করে, মুসলিমদের এক শ্রেনি যারা জীহাদের নাম করে বোম ফাটায়, রাজনৈতিক আশ্রয়ে একে অন্যকে ঘায়েল করার জন্য হত্যা করে এরা শহিদ নয়।যদিও এক শ্রেনীর বুদ্ধিজীবি ও মানুষ বলে থাকে অজ্গতার কারনে।এভাবে শহিদ বলতে নিষেধ করা হয়েছে।আল্লাহর রাস্তায় কে শহিদ সেটা আল্লাহই ভাল জানেন।কেউ যদি আল্লাহর রাস্তায় ও শহিদ হয় একথা এক্কিনের সাথে বলা যাবে না যে সে শহিদ কারন তার অন্তর সম্পর্কে কারো জানা নেই। শুহাদার দ্বিতীয় তফছির হলো উলামা বা জ্গানী।পৃথিবীতে দূ' ধরনের উলামা আছে।উলামায়ে হক্ক বা সৎ জ্গানী এবং উলামায়ে দুনিয়া বা পার্থিব স্বার্থে জ্গানী।যারা উলামায়ে হক্ক বা সৎ জ্গানী তারা কুরআন ও সূন্নাহর ভিত্তিতে জন গনকে পথ দেখান।এরা সঠিক রাস্তার উপর প্রতিষ্ঠিত।উলামায়ে দুনিয়া বা পার্থিব স্বার্থে জ্গানীরা হলো,যারা বিদা'আতের ও পেটের খাদেম যেমন,তদের ফতোয়া , তাদের বক্তব্য দুনিয়ামুখি।সকালে একরকম কথা আবার বিকেলে আর এক রকম।এরা ব্যাক্তিস্বার্থে ধর্মকে বিকৃত করে থাকে।এদের ধরা অতি সহজ শুধু ধর্মীয় জ্গান থাকতে হবে।দৈনন্দিন উঠাবসার মাধ্যমে তাদের চরিত্র প্রস্ফুটিত হয়ে উঠে।আল্লাহ বলেন তোমরা আল্লাহ ওয়ালা আলেম হও।সৎকর্মশীল আলেম হইতে পারে আবার আলেম নাও হইতে পারে।আলেম হলে সরিয়তের বিস্তারিত বিষয় জানবে।আর আলেম না হলে ফরয ,ওয়াজিব ,সূন্নাত,নফল, হালাল হারাম এগুলো জানবে যা দিয়ে দৈনন্দিন ইবাদাত করা হয়।।ইহুদিরা হিংসামুলক অস্বিকার করেছিল নবী সা: কে।তারা বলেছিল আমরা হয়েছি ইসরাইল গোত্র।ইব্রাহিম আ: এর দুই ছেলে - ইসমাইল ও ইসহাক।ইসমাইল আ: থেকে কুরাইশ বংশ এবং আমাদের প্রিয় নবী সা., ইসহাক থেকে ইসরাইল। ইহুদিদের আশা ছিল তাদের বংশ থেকে শেষ নবী আসবে এবং তারা সূর্যালোকের মতই জানতো।এমনকি তখনকার পৌত্তলিক ও মুশরিকদের তারা ধমক দিত এই বলে যে, শেষ নবী আসুক তাঁকে নিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো।যখন নবী সা: এর আগমন হলো তারা হিংসামুলক অস্বীকার করলো ও কাফের হয়ে গেল।এই জন্য ইসলামে জাতিয়তা হলো একটি কুফরি মতবাদ। ইসলামের জাতিয়তা হলো ইসলাম।মুসলিমদের সম্পর্ক কুরআন ও সূন্নাহর সাথে,মক্কা ও মদিনার সাথে।মুসলিম জাহানে পন্চম আর এক শ্রেনী রয়েছে যারা ইহুদি ও খ্রীষ্টানদের পাদ্রীদের অনুরুপ, যারা অবৈধ উপায়ে জন গনের মাল বক্ষন করে।পথভ্রষ্ট হলো যারা না জেনে ভুল করে।এরা জাহেল বা মূর্খ যাদের ইলম ও আমল কোনটাই নেই।যারা জেনেশুনে আমল করে নাই তারা হলো অভিসপ্ত।এই দুই শ্রেনী মুসলিম সমাজে বিদ্যমান।এই যে কবর পুজারি ও পিরতন্ত্র রয়েছে সমাজের আনাছে কানাছে এরাই বাতেল বা অবৈধ পন্হায় মানুষের মাল বক্ষন করে।মুরিদদের লাখ লাখ টাকা , নজর নিয়াত এগুলো অবৈধ উপায়ে খায় ধর্মের নামে।এরা হলো ইহুদিদের পাদ্রির মত আর তাদের অনুসারিরা হলো অজ্গ পথভ্রষ্ট।ভারত উপমহাদেশে ২৯৮০০০ ছোট বড় পিরতন্ত্র রয়েছে যা লাখ লাখ মানুষকে আসল ধর্ম থেকে শির্ক ও বিদা'আতে নিমজ্জিত করছে।দিল্লী নিজামুদ্দিন, আজমির,ফুরফুরা,ছারছিনা,ফুলতলি,মাইঝভান্ডারি,দেও্য়ানবাগ ,ছরমোনাই ইত্যাদি।এগুলো নবী সা: এর পথ নয়।এগুলো এসেছে সয়তানের ওহি থেকে।কুরআনে আল্লাহ বলেছেন,'ওয়া ইন্নাশ্ শায়াতিনা লা ইউহুনা ইয়া আউলিয়ায়িহিম লিউজাদিলুকুম ওয়া ইন আতোয়াতুহুম ইন্নাকুম লামুশরিকুন।' সে জন্য দেখা যায় যাদের পির মাশায়েখ বলা হয় তারা আল্লাহ ও রাসূল সা: এর পথ ছেড়ে দিয়ে শয়তানের ওহি দ্বারা প্রভাবিত হয়।আমি যে সমস্ত পিরতন্ত্রের কথা উল্লেখ করলাম তাদের কিতাব পড়লেই সব পেয়ে যাবেন কিভাবে তারা কুরআন ও সূন্নাহ ছেড়ে দিয়ে নিজেরা পথভ্রষ্ট হয়েছে ও মানুষকে পথভ্রষ্ট করছে।এক শ্রেনীর অজ্গ যারা মনে করে আজমির বা এ রকম পির মাজারের দরবারে গেলে সব হাসিল হয়ে যায়।ইসলামে রাসূল সা: এর পথে জান মাল কোরবান করার আর একটি দল ক্কিয়ামতের আগ পর্যন্ত আছে ও থাকবে।যারা কুরআন ও ছহি সূন্নাহ মোতাবেক জীবন যাপন করে থাকে।এরা সব সময় মানবকল্যানে কাজ করে।কুরআন হাদিসের চর্চার মাধ্যমে মানুষকে সংশোধন করার আপ্রান চেষ্টা করে।তাদের কাছে কোন পার্থিব লোভ লালসা স্হান পায় না।

ইহুদিদের একজন আলেম নবী সা: কে এসে বললো,ইয়া মোহাম্মদ! আমরাতো আমাদের তাওরাতে পাছ্ছি,আল্লাহপাক সমস্ত আকাশগুলোকে এক আঙুলে সমস্ত জমিনকে এক আঙুলে,গাছ পালা ও পাহাড় এক আঙুলে, পানি ও কাদা এক আঙুলে ,বাকি যা সৃষ্টি রয়েছে তা আর এক আঙুলে নিবেন।তার পর বলবেন আমিই অধিপতি।নবী সা: তার এ সত্য কথা শুনে হেসে ফেললেন এমনকি তার একদিকের দাঁত প্রকাশ পেয়ে গেল।তার পর নবী সা: বললেন,সূরা যুমারের ৬৭ আয়াত যাতে আল্লাহ বলেন,'আর তারা আল্লাহকে সম্মান করে না তাঁর যথোচিত সম্মানের দ্বারা।অথচ সমস্ত পৃথিবীই তাঁর হাতের মুঠোয় থাকবে ক্কিয়ামতের দিনে।আর মহাকাশমন্ডলি গুঁটিয়ে নেয়া হবে তাঁর ডান হাতে।সকল মহিমা তাঁরই আর তারা যে সব অংশী দাঁড় করায় তা থেকে তিনি বহু উর্ধ।' ( মুসলিম)

সমস্ত আকাশ ও পৃথিবির যা কিছু আছে হাতে নিয়ে ঝাঁকানি দিয়ে বলবেন, আমি আল্লাহ,আমি অধিপতি।কোথায় সে প্রবল ও অহংকারি যারা ছিল পৃথিবীতে।আজকে রাজত্ব কার হাতে? ফিরেস্তারা বলবে,একমাত্র এক ও একক আল্লাহর। আল্লাহর দুই হাতই প্রসারিত ও উম্মুক্ত।মানুষের চিন্তা সংকীর্ন বলে আল্লাহকে বুঝতে পারে না।আল্লাহর হাতে পৃথিবীর এ বিষয়গুলো একটি শরিষার দানার মত।আল্লাহর কুরছি সমস্ত আকাশ ও জমিনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে।আরশের সাথে কুরছির তুলনা হলো একটি লোহার বালার মত যেমন একটি বিশাল মাঠে একটি ছোট বালা পড়ে থাকে।এক আকাশ থেকে আর এক আকাশের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।সপ্তম আকাশ থেকে কুরছি পর্যন্ত দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।কুরছি আর এর উপর পানির দূরত্ব হলো ৫০০ বছরের রাস্তা।আর পানির উপর আরশ যেখানে মহান আল্লাহ সমাসিন।আকাশ ও জমিন সৃষ্টির আগে পানির উপর আরশ স্হাপিত হয়েছিল।

বিদা'আতিদের বই পুস্তক যা বাজার ছেয়ে আছে সেখানে আল্লাহ পাক সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কুরআন ও হাদিস চর্চা না করার কারনে।আল্লাহ নিরাকার,আল্লাহ মানুষের কলবে কলবে,আল্লাহ সব যায়গায় সব স্হানে,আল্লাহর মধ্যে মানুষ লয় হয়ে যায়, তাবলিগে নিসাবে বানোয়াট কিছ্ছা কাহিনী,বানোয়াট দূরুদ,শির্ক বিদা'আত,ইসলামকে বিভক্তকারি আরো সংগঠন ও তাদের বানোয়াট ইসলামি আইন কানুন ও বৈঠক যা প্রকৃত কুরআন সূন্নাহ থেকে দূরে সরাছ্ছে লাখ লাখ মানুষকে যারা অজ্গতার কারনে এদের পিছনে ছুটে বেড়াছ্ছে।কুরআন হাদিসের এত স্পষ্ট দলিল থাকা স্বত্বেও বক্রতা অবলম্বন করে যাদের অন্তর বক্র হয়েছে।নবী সা। এ জন্য জুমআর খুতবায় প্রায়ই বলতেন,'তোমাদের আমি সুস্পষ্ট রাস্তার উপর ছেড়ে গেলাম তার রাত ও দিন সমান।এই সুস্পষ্ট রাস্তা থেকে ভ্রান্ত হয়ে আঁকা বাঁকা রাস্তায় গিয়ে ধংশ হবে যে ব্যাক্তি ধংশ চায়।আল্লাহু আকবার হলো আল্লাহ সব কিছু থেকে বড়।আল্লাহর জাত সম্পর্কে কেমন ধারনা থাকা দরকার,কেমন ভয় ভীতি থাকা দরকার, কেমন ইবাদাত হওয়া দরকার তা অনুমান করা প্রতিটি মু'মিন ও মুসলমানের উচিত।তার যথোপযুক্ত মর্যাদা না দিলে আখেরাতে কি ভয়াভহ অবস্হার সৃষ্টি হবে তা আল্লাহই ভাল জানেন।আল্লাহ আরশে থাকলেও বান্দার ব্যাপারে গাফেল নন।আল্লাহ তার ইলম ও ক্ষমতার দ্বারা আসমান ও জমিনের সবকিছু নিয়ন্ত্রন করেন।

পরিশেষে আসুন আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।আমরা যেন আল্লাহকে তাঁর কিতাব ও রাসূল সা: এর অনুসরনে চিনতে পারি।আল্লাহ যেন আমাদের ছেরাতুল মুস্তাকিমের পথ দেখান।আমরা যেন শরিয়তের হুকুম আহকাম , হালাল হারাম মেনে চলতে পারি।শির্ক ও বিদা'আত থেকে দূরে থাকতে পারি।আমরা যেন ব্যাক্তি পুজা না করি।আল্লাহ যেন আমাদের সৎ আমল করার ও বুঝার তাওফিক দান করেন।আমাদের পরিবার ও ছেলে মেয়েদের ইসলামের পথে জ্গান চর্চা করার পথ যেন সুগম করে দিতে পারি সে তাওফিক যেন দান করেন।

বিষয়: বিবিধ

১৬৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File