আমাদের স্বাধীনতা সকল শাসকগোষ্ঠির হাতে জিম্মি
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০১:৪৯:২৮ দুপুর
আমাদের স্বাধীনতা আমাদের অহংকার।দেশের মানুষ আজ শুধু এ অহংকার নিয়েই বেঁচে আছে।যারা দেশকে স্বাধীন করেছিল বুকের রক্ত ঢেলে তারা আধমরা হয়েই বেঁচে আছে।যারা চলে গেছে তারা হয়ত বেঁচে গেছে। ৪২ বছরে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।শাসকগোষ্ঠি যারাই এসেছে তারাই লাভবান হয়েছে আর লাভবান হয়েছে তাদের বক্তরা।একজন সাধারন কৃষক বুঝে কি করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব।অথচ আমাদের রাজনীতিবিদরা বুঝে না।গ্রামের হাজার কৃষককে গিয়ে জিজ্গেস করুন দেখবেন বলে দিবে রাষ্ট্র পরিচলানার ফর্মুলা।৪২ বছরে আমরা আমরা হানাহানি ছাড়া আর কি পেয়েছি।একটা সভ্য জাতি, হাজার বছরের ইসলামিক ঐতিহ্য তারা ধংশ করতে চায়।দেশকে অচল করে তো দেশ বাঁচানো যায় না।আসলে আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি।যারা দেশ স্বাধীন করেছে তারা তাদের কর্তব্য সম্পাদন করে বিদায় হয়েছে। যাদের কাছে ক্ষমতা আসছে তারা কেউ স্বাধীনতার পক্ষের নয়।যদি স্বাধীনতার পক্ষের ই হবে তাহলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাবে কেন? দেশ বিভক্ত হবে কেন? আমাদের পোষাকের আস্তিনে নিশ্চয়ই শাপ ঢুকে আছে।যে পর্যন্ত সে শাপকে বিলীন না করা হবে স্বাধীনতার ফল কেউ বক্ষন করতে পারবেনা।আমরা এখন এক বিভক্ত জাতি।অসংখ্য ভাগে বিভক্ত।কারো কথা কেউ শুনতে চায় না। কেউ কাউকে সম্মান করে না।আমাদের বুদ্ধিজিবিরা বিভক্ত,উলামারা বিভক্ত , গনমানুষ বিভক্ত ,রাজনীতিবিদরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে রত।কে শোনাবে আশার বানি।কেন বুঝতে পারছেনা? হায়নার দল এখনো আমাদের রক্তমাংশ ভক্ষনের জন্য ওৎ পেতে বসে আছে।আসলে আমরা বুদ্ধিহীন এক জাতি।পরাধীন থেকে থেকে আমাদের অস্হিমজ্জায় শয়ে গেছে । আমাদের কোন বোধ শক্তি নেই।
পুলিশ জন গনের বন্ধু না হয়ে শত্রু হছ্ছে কেন? বিরোধি মতকে উপেক্ষা করছে কেন? ধংসের রাজনীতি বেচে নিছ্ছে কেন? সভা সেমিনার তো জন গনের অধিকার।ধংসাত্মক কাজ করলে পুলিশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।প্রশাসন তো বন্ধুর ভূমিকা পালন করবে।আমাদের অফিস আদালতের অফিসার কর্মচারিরাও রাজনৈতিক আশ্রয়ে আশ্রিত।এ কি জিবিকার প্রয়োজনে না অন্য কোন দুর্ভিসন্ধি।জনসমাবেশের ওপর বেপরোয়া ছররা গুলিবর্ষণ এতো ইতিহাসের যে জঘন্যতম তাণ্ডব যা চালিয়েছিল পুলিশ তাতে মারাত্মক গুলিবিদ্ধ হন অনেকেই। অনেকেই শিকার হন নারকীয় নির্যাতনের। একি সাধারন মানুষের অধিকার হরন নয়? দেশে এত বৈশম্য কেন? মানুষকে শান্তি দিতে না পারলে,মানুষের কল্যান না করতে পারলে কখনো সফল হতে পারবে না কোন রাজনীতিবিদ।মিডিয়ায় যে যাই বলুক না কেন তাদের এখন কোন মুল্য নেই মানুষের কাছে।কারন তারা মানুষের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিছ্ছে।সরলপ্রান মানুষগুলো মসজিদে যেতে পারছেনা অথচ ঢাকা শহর মাসজিদের শহর। ইসলামকে কটাক্ষ করা হছ্ছে।আল্লাহ ও তার রাসূল সা: এর উপর কলন্ক লেপিত হছ্ছে।এরা মুসলিম নয় ,মুসলিম নিধনের হাতিয়ার।দেশের সমস্যা সমাধান করার কাজ সরকারকেই করতে হবে।সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে জন গনের কাছে।বিরোধিদের সাথে আন্তরিক হতে হবে।দেশের সমস্যা সরকারের একা সমস্যা নয়।এখানে দল মত নির্বিশেষে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।মানবতা বিপন্ন হয় এমন কাজ করলে কোন সরকারই জনমনে স্হান পেতে পারে না।দেশ বিদেশের মানুষ এখন উদ্বিগ্ন।সারাবিশ্বে বাংলাদেশ বন্ধুহীন হতে চলেছে।অথচ আমাদের শ্রমিকরা বিদেশে হাড়ভাংগা পরিশ্রম করে দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
হলমার্কের নামে ব্যাংকিং সেক্টরকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। শেয়ারবাজারের ৩৩ লাখ মানুষ আজ পথের ভিখারি। রাজনীতি রক্তাক্ত। শিক্ষা ও বিচারব্যবস্থা ধ্বংসস্তূপ। পদ্মার মতো তিতাস এখন মৃত। ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহী ব্লগারদের উস্কে দিয়ে সারাদেশে ডেকে এনেছে বিপর্যয়। যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধীদের বিচার দলীয় বিবেচনায় করতে গিয়ে দেশকে ঠেলে দিয়েছে বিভেদ ও হানাহানিতে। মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামকে বানিয়েছে পরস্পরের প্রতিপক্ষ। জাতিকে বিভক্ত করে দেশকে নিক্ষেপ করেছে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। উদ্বেগ উত্কণ্ঠায় অস্থির দেশের মানুষ। পুরো বিশ্ব।
এখন আর এক ভয়াবহতম কীর্তি দেশের ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ার নাম করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার ব্যবস্থা করা। সারাদেশ তোলপাড় হয়েছে এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে। হাজার হাজার শিশু হয়ে পড়েছে অসুস্থ। বহু শিশু ঢলে পড়েছে মৃত্যুর কোলে। তারপরও সরকার এত বড় একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার কারণ উদঘাটন বাদ দিয়ে, কোনো তদন্তের ব্যবস্থা না করে, ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রাণান্ত প্রয়াস চালিয়েছে। প্রথমে ভাড়াটে বিশেষজ্ঞ দিয়ে বলানোর চেষ্টা করেছে যে ‘এ’ ক্যাপসুলের জন্য কোথাও কিছু হয়নি। তারপর নিজেরা এবং নিজেদের ‘নিমক হালাল’ মিডিয়া দিয়ে একযোগে প্রচার করেছে যে এটা হলো গুজব।
আমাদের পুলিশ বাহিনীর ওপর এখন নেমে এসেছে প্রাকৃতিক দুঃসংবাদ। এই দুঃসংবাদের কারণ সম্প্রতি পুলিশের বেপরোয়া মারমুখী আচরণ। দুঃসংবাদটি বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এসেছে জাতিসংঘ থেকে। নিউইয়র্ক থেকে এনা পরিবেশিত খবরে বলা হয় :‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পুলিশের আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের পুলিশকে বাদ দেয়া হতে পারে বলে উদ্বেগজনক একটি সংবাদ গত বুধবার বাজারে আসা সাপ্তাহিক ঠিকানায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা এবং নীতি-নৈতিকতা জাতিসংঘসহ বিশ্ব মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের নজরে এসেছে বলেও অনুসন্ধানী এ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশের পুলিশ প্রত্যাহার হতে পারে’ শীর্ষক ওই সংবাদে বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনেকেই পুলিশের জন্য মানবাধিকারসম্মত আচরণবিধির নিরিখে বাংলাদেশের পুলিশের আচরণ ও তাদের মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিচার-বিশ্লেষণ শুরু করেছেন। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুলিশের আচরণ ভয়াবহ।’
খবরে বলা হয়েছে, অন্য আইন প্রয়োগকারীদের মধ্যে সেনাবাহিনী নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে। চলতি বিক্ষোভ দমনে র্যাবের নাম শোনা যাচ্ছে না বা তাদের নিয়োজিত করা হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বর্ডার গার্ড নিয়োগ করা হলেও তাদের ব্যবহার করা হয়নি। রাজপথে এবং মাঠে একমাত্র পুলিশকেই তত্পর দেখা যাচ্ছে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে আরেক গোষ্ঠীর ওপর চড়াও হতে, যা বিশ্ব মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের বেশকিছু সদস্য কাজ করছেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে। কিন্তু যেভাবে পুলিশ বাংলাদেশের জনগণের ওপর অমানবিক আচরণ করছে তাতে তারা জাতিসংঘের বিবেচনায় মানবাধিকারের যথার্থ স্ট্যান্ডার্ড ও চর্চার ধারক হওয়ার যোগ্য কিনা তা আবার বিবেচনায় নেয়া হয়েছে বলে ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘এই বিবেচনায় বাংলাদেশের পুলিশের যোগ্যতা প্রশ্নের সম্মুখীন হলে তাদের মিশন থেকে বাদ দেয়া হতে পারে’ এ আশঙ্কা করা হয়েছে ঠিকানার রিপোর্টে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বর্তমানে বাংলাদেশের ১৭৭০ জন পুলিশ, ৬৯২৭ সেনাসদস্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৮৪ অফিসারসহ আট হাজার ৭৮১ জন কাজ করছেন। অপরদিকে ভারতের ১০২২ পুলিশ, ৬৭৪৩ সেনাসদস্য, অফিসার ৭৫ জনসহ সাত হাজার ৮৪৩ জন কাজ করছেন শান্তিরক্ষা মিশনে। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ ও সৈনিকদের ভূমিকা অনেক দেশের কাছেই ঈর্ষণীয়। অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশের পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে হেয় করতে পারলে অনেকের পোয়াবারো। বাংলাদেশের প্রতিবেশী অনেক দেশ এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী। জাতিসংঘ হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দাতাগোষ্ঠী বাংলাদেশের পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সাধারণ জনগণের ওপর গুলিবর্ষণ, মাত্র কয়েক দিনে শতাধিক বেসামরিক লোক ও কিছু পুলিশ সদস্যের মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের আচরণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিক্ষোভ দমাতে পুলিশের আচরণ জাতিসংঘের ‘হিউম্যান রাইটস স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড প্র্যাকটিস ফর দ্য পুলিশ’ গাইডের কী কী ধাপ লঙ্ঘিত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাইড বুকের যেসব ধারা গুরুত্ব পাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে : ১. ইউজ অব ফোর্স বা শক্তির প্রয়োগ, ২. অ্যাকাউন্টেবিলিটি ফর দ্য ইউজ অব ফোর্স অ্যান্ড ফায়ার আর্মস বা শক্তি ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রয়োগে জবাবদিহিতা, ৩. পারমিসিবল সারকামস্ট্যান্সেস ফর দ্য ইউজ অব ফায়ার আর্মস বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে অনুমোদিত প্রেক্ষাপট, ৪. প্রসিডিউর ফর দ্য ইউজ অব ফায়ার আর্মস, বিফোর ইটস ইউজ অ্যান্ড আফটার ইউজ অর্থাত্ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের আগে ও পরে প্রক্রিয়া এবং ৫. হিউম্যান রাইটস স্ট্যান্ডার্ড বা মানবাধিকার বিবেচনার মাপকাঠি ইত্যাদি।এই সংবাদ পাঠের পর আমাদের পুলিশ বাহিনীর ভাইবোনদের মধ্যে যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়, যদি তারা অন্যায়, অন্যায্য ও অসঙ্গত আচরণ থেকে বিরত হয়, যদি তারা দেশের মানুষকে গরু-ছাগলের বদলে আবারও ‘মানুষ’ ভাবতে শুরু করে, তাহলেই আমরা খুশি হব। কারণ আমরা চাই তারা জাতিসংঘ মিশনে কাজ করে নিজের ও দেশের সম্মান বাড়াক।
বাংলাদেশে ধর্মের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো বিরোধ নেই। কোনোদিন ছিল না। ৪৭-এর চেতনার সঙ্গে ৭১-এর চেতনারও কোনো বিভক্তি নেই। ধর্মই আমাদের শিখিয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দঁড়াতে; যারা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান এনেছিল, তারা এবং তাদের সন্তানরাই ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন করেছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠা করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ।পশ্চিম বাংলার লেখক, শিল্পী, গবেষকরা আজ ঢাকার ওপর ভাগাড়ের শকুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সে তো শুধু এই কারণে যে, পরাধীন পশ্চিম বাংলায় আর কিছু নেই। ওটা এখন বৃহত্ ভারতের ডাস্টবিন। পশ্চিম বাংলার লোকেরা নিজ গৃহে পরবাসী। ওরা পরাধীন। ওরা ভারতের চাকর-বাকর। এইসব ভিটেছাড়া হাড়হাভাতে জ্ঞানীদের প্রচারণা এবং তাদের মতলব আমাদের তরুণদের বুঝতে হবে। ওরা হলো খাঁচার ঘুঘু। ওরা আমাদেরকেও ওই খাঁচায় ঢোকানোর জন্য মিথ্যা মমতা ও আদর্শের বুলি কপচায়। ওদের বাণীর ফাঁদে পা দিলেই বাংলাদেশ অর্থহীন হয়ে যাবে। স্বাধীনতা থাকবে না। বৃহত্ ভারতকে অক্ষুণ্ন রেখে ‘দুই বাংলা এক হও’ স্লোগান তাই ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের অগ্রভাগ। এটা অতি বিপজ্জনক বিষয়।
বিষয়: বিবিধ
১২১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন