বিশ্বমানবতা নিভৃতে কাঁদছে ,আর্তনাদ করছে হৃদয়, কেউ কি নেই শুনার?

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৪ মার্চ, ২০১৩, ০৩:১২:০৬ দুপুর

আমার শরিরে একনো কাঁটা বিধে যখন মনে হয় উপসাগরিয় যুদ্ধের কথা,যখন মনে হয় ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা,যখন মনে হয় হিরসিমা নাগাসাকির কথা,হিটলারের ৬ মিলিয়ন মানুষ বধ করার কথা, আরো অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ যা ছিল শুধু ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা , এতে ছিল না কোন মানব কল্যান।যুদ্ধ কোন কল্যান বয়ে আনে না।বয়ে আনে নিশ্পেষন,বিকলংগতা,মানুষকে করে ক্ষুধার্ত,জীবনের প্রয়োজনে নারিদের নিক্ষেপ করে পতিতাবৃত্তিতে।অমুসলিমদের কথা বাদই দিলাম যাদের পরকালের কোন চিন্তা নেই,এ জীবনই যাদের ভোগের জীবন। মুসলিম দেশগোলোর এ অবস্হা কেন? যাদের হাতে রয়েছে কোরানের মত হাতিয়ার,রয়েছে রাসূল সা: এর মুখনিসৃত ভবিষ্যৎ বানি।আরব স্প্রিং এর নামে অমুসলিম শাসকদের কালো হাতের আমনত্রন ধংশ করেছে মানুষ ও লুন্ঠন করছে সম্পদ ও হাজার বছরের সংস্কৃতি।হে পরাজিত মানবতা! তোমাদের ঘুম ভাংগবে কবে? তোমার পাশে নির্যাতিত হছ্ছে তোমার মা বোন,তোমার বাবা ও ভাইদের হত্মা করছে বেয়োনেটে।আর তুমি অঘোর ঘুমে নিমজ্জিত।ঘুম থেকে উঠে তোমার নাস্তায় হরেক রকমের খাবারের স্বাদ গ্রহন কর, আর তোমার মা বাবা ভাই বোন, তখন ডাষ্টবিনের অতল গভিরে খুঁজে বেড়ায় খাবার ক্ষুধার যন্ত্রনায়।এক টুকরো রুটি নিয়ে কাড়াকাড়ি কুকুর আর বিড়ালের সাথে।কে বলেছে তুমি একজন সভ্য মানব? কি করে তুমি নামাজ , রোজা ,যাকাত ও হজ্জের মত কাজ কর? পৃথিবির যেখানেই নির্যাতিত হোক, মানবতা হলো তোমার সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়া,তোমার সাহায্যের হাত প্রসারিত করা।হোক সে মুসলিম ,খৃষ্টান, ইহুদি,হিন্দু ,বৌদ্ধ , যৈন বা আর কেউ। বিধাতা তো তোমাকে মানব হত্মার আদেশ দেন নি।তাহোলে কেন তোমার কাল হাতের থাবায় নিস্পষিত করছো এই জরাজীর্ন মানুষগুলোকে।হাতিয়ার তুলে দিছ্ছ ইষ্পাপ শিশুর হাতে।তুমি মানুষ নামের কলন্ক।তোমার কোন ক্ষমা নেই।ফিরে দেখ কি হয়েছিল আবুগারিব ও গুয়ান্তেনামো কারাগারে।২০০৪ সালে আমি শুনেছি মা বোনের বিভৎস চিৎকার।এখনো ওয়েবসাইটগুলো সাক্ষি আছে।মাসের পর মাস , বছরের পর বছর ধর্ষনের শিকার হয়েছিল অসংখ্য যুবতি ও মা'রা।যখন তাদের ডার্করুমে নিয়ে যেত চিৎকার করে বলতো কে আছে,আমাদের গুলি করে হত্মা কর , ঝাঁঝরা করে দাও আমাদের বক্ষ।মাসের পর মাস গোছল নেই তার উপর চালিয়েছিল ধর্ষনের মত পাশবিক অত্যাচার। তারা মানুষ বাঁচাতে আসে নি , এসেছে মানবতা নিধন করতে।উপসাগরে নারিদের কান্নার রোল থামেনি।সিরিয়ার দিকে ছেয়ে দেখ। কি করে তুমি তিনবার , কেউ ৫ বার খাবার খাও।বছরের পর বছর চলছে মানুষ নিধন।কারো কোন নিরাপত্তা নেই।যে শিশুর হাতে বই কলম আর গন্ডদেশে বাবা মা'র স্নেহমাখা চুম্বন থাকার কথা, সে শিশুর হাতে অস্ত্র।জীবনের প্রয়োজনে অস্ত্রহাতে তুলে নিয়েছে শিশু ,নারি ,বৃদ্ধ সবাই।জিবিকার তাড়নায় বাবার সামনে পর পুরুষের সামনে দাঁড়িয়েছে নারিরা, স্বামি খুঁজে বেড়াছ্ছে খদ্দের তার স্ত্রির জন্য।শরনার্থি শিবিরগুলো ছেয়ে দেখ খাবারের জন্য অস্হির কান্না।কি করে আমি সংবরন করি আমার অশ্রু।আমার মেয়ের বয়সী ১৯ বছরের নাদা পরিবারে হাল ধরতে বিক্রি করছে তার যৌবন আর পাশন্ডরা তা লুটিয়ে নিছ্ছে তার ভার্জিনিটি।শরনার্থি শিবিরের অনেকে এ পথ বেছে নিয়েছে তাদের বাবা মা ভাই বোনদের সাহায্য পাঠানোর তাগিদে।

আন্তর্জাতিক স্ংস্হাগুলোর অবস্হান অপ্রতুল কারন তাদের হাত পা বাঁধা।হে মানবতা! ঘুমিয়ে থেকোনা।তোমার চোখ খোল। অপচয় বন্ধ কর।তোমার খাবার থেকে ২/৪ জনকে সম্পৃক্ত কর।তোমরা কি দেখনি মদিনায় আনসাররা মুহাজিরদের কি করে সাহায্য করেছিল।যার দু'জন স্ত্রি ছিল ডিভোর্স দিয়ে একজন দিয়েছে তার মুহাজির ভাইকে ,যার দু'টো জমি ছিল একটি জমি দিয়েছিল তার মুহাজির ভাইকে, যার দু'জনের খাবার ছিল সে সম্পৃক্ত করেছে আর একজনকে।কেন তোমরা ইতিহাস স্মরন করনা।তোমরা কি মনে কর চিরদিন এখানে থেকে যাবে।কখনো নয়।এক জবাবদিহিতা অপেক্ষা করছে আর তোমরা দেখতে পাবে নিশ্চিত যা দেখছ এখন প্রভাতের প্রখর সূর্যকিরনে।

বিষয়: বিবিধ

১৫৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File