আবু বকর সিদ্দিক (রা এর অল্পে তুষ্টি।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:১৫:৪৮ বিকাল
রাসূল সা: এর ইন্তেকালের পর ইসলামের প্রথম খলিফা নিযুক্ত হন আবু বকর সিদ্দিক (রা।তিনি ছিলেন অতি সাধারন ও ন্যায়পরায়ন খলিফা।অর্থবিত্ত থাকলেও তিনি সাধারনের মতই জীবন যাপন করতেন।তার পরিবারের অবস্হা ও ছিল তেমনি।কোন অপচয় বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করতেন না।একদিন খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা এর স্ত্রীর ইচ্ছা হলো হালুয়া তৈরি করবেন।তিনি খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা কে বললেন,প্রিয়তম স্বামী! আমি হালুয়া তৈরি করার মনস্হ করেছি কিছুটা চিনি হলে ভাল হতো।খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা বললেন,বায়তুল মাল হতে নিয়মিত যে পরিমান চিনি পাওয়া যায় তার বাইরেতো আর চিনি আনা সম্ভব নয়।খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা এর কথা শুনে স্ত্রী হতাশ হলেন কিন্তু তিনি হাল ছাড়লেন না।প্রতিদিন যে বরাদ্ধ পাওয়া যেতো তিনি তা থেকে একটু একটু করে সন্চয় করতে শুরু করেন।এভাবে বেশ কিছুদিনের মধ্যে চিনি জমা হয়ে গেল।এবার তিনি খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা এর কাছে ময়দা চাইলেন।খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা জানতে চাইলেন ময়দা কেন?খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা এর স্ত্রী বললেন,হালুয়া বানাবো বলে অনেক কষ্ট করে কিছুটা চিনি যোগাড় করেছি।এবার সামান্য ময়দা হলে হালুয়া তৈরি করতে পারি।স্ত্রীর কথা শুনে খানিকক্ষন চিন্তা করে বললেন,আচ্ছা তোমার জমানো চিনি নিয়ে এসো।স্বামীর আদেশ পালন করলেন স্ত্রী।খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা এর সামনে চিনির পাত্রটি রাখা হলো।তিনি চিনির পাত্রটি দেখলেন এবং তা হাতে তুলে নিলেন।তার পর প্রিয়তমা স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন,আমার মনে হয় আমরা বায়তুল মাল থেকে প্রয়োজনের বেশী চিনি গ্রহন করে থাকি।তা না হলে এত চিনি জমবে কেন? এই অতিরিক্ত চিনি আমি জমা দিতে চললাম।তিনি কথামত কাজটি করলেন।বায়তুল মালে সে জমানো চিনি জমা দিয়ে দিলেন।শুধু কি তাই? তার পর থেকে আনুপাতিক হারে চিনির বরাদ্দও কমিয়ে দিলেন।এটি ছিল ইসলামি শাসকদের ইনসাফ।ইসলামি শাসকদের হাতে রাজকোষ থাকলেও তারা তার দিকে ফিরে তাকান নি।বরং মানুষের কল্যানে নিজের খাবার থেকে অন্যদের সম্পৃক্ত করেছেন।দ্বীনের জন্য নিজের পরিবার পরিজনের প্রতিও লক্ষ্য করেন নি।রাসূল সা: এর জীবদ্দশায় যুদ্ধের প্রাক্কালে সর্বোচ্চ দান করে জান্নাত খরিদ করেছেন।বর্তমান পৃথিবীতে কোথায়ও এ রকম শাসক আছে বলে আমাদের জানা নেই।জান্নাত পেতে হলে জান ও মাল কুরবানি করতে হয়। খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা তার জীবদ্দশায় তা করে দেখিয়েছেন সেজন্যই তিনি খোলাফায়ে রাশেদার প্রথম খলিফা।রোজ কেয়ামত পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে তা স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১৯১১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
-অনেক ভাল লাগল। আশাকরি আরো লিখবেন। ধন্যবাদ...
মন্তব্য করতে লগইন করুন