নারির পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা দিয়েছেন আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল সা: ১৪০০ বছর আগে।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১২ মার্চ, ২০১৩, ০২:৫১:৫২ দুপুর
আমাদের সমাজে একের পর এক ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনের বীভত্স চিত্র, অমানবিক নির্মম ঘটনা হৃদয়ক্ষরণ করে, বিবেক দংশিত হয়ে প্রতিবাদী মন কলম ধরতে বাধ্য করে। আজ মিডিয়ার অভাব নেই।লেখকের ও অভাব নেই।লেখকরা লিখেই যাছ্ছেন।এটা বিবেকের তাড়না আর অভাব রয়েছে প্রকৃত বিবেকের।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে গৃহিনী তার কৃশ: দেহ নিয়ে নিরন্তর ঘানি টেনে যাছ্ছে,যে সকালে খুব ভোরে উঠে বাড়ির সব কাজ আপনমনে নিঃশব্দে রাত-অবধি করে যান। যাদের স্বপ্ন ও সাধ সারাজীবন ধরে চার দেয়ালে বদ্ধ থাকে ছোট্ট ঘরটি ঘিরে। বাবা-মা, ভাই-বোন প্রিয় মানুষদের ছেড়ে যে মেয়েটি এসেছিল বিশ্বাসে ভর করে, চোখে অনেক রঙিন স্বপ্নের কাজল এঁকে স্বামী নামক এক অচেনা পুরুষের হাত ধরে। সে তাকে কি দিয়েছে যৌতুকের জন্য নির্যাতন, কন্যাসন্তান জন্ম দেয়ার অপরাধে নিত্যপিটুনি? যৌতুকের আগুনে অঙ্গ ঝলসানো ছাড়া সে কি পেয়েছে তার স্বপ্ন পুরুষের কাছ থেকে? এ এক দুর্ভাগা জাতি যারা নারির মর্যাদা দিতে জানে না।যে পুরুষ ঘুম থেকে উঠার আগে শিউরে দেখে তার চায়ের কাপ, মৃদু হাতের পরশে ঘুম ভা্ংগিয়ে দেয় সে কিনা তাকে ফিরিয়ে দেয় অশ্লিল আচরন। তার নিজের হাতে গড়া সোনার সংসারে যৌতুক নামের অসম্ভব যাতনা। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে হাজারো গ্রাম-বাংলার অনেক মা স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করেন। সারাদিন খাটুনির পর অপেক্ষায় থাকে স্বামির সোহাগ ও মিষ্টি রসালাপের,সে কিনা ঘরে ঢুকে ব্যাঘ্রের হুন্কারে। সারাদিন বাইরে পরকিয়ার স্পর্শ , অবসন্ন দেহে আগমন গৃহাভ্যন্তরে।মাদকের বিভৎস গন্ধ ঘরকে করে নরকের আধার। সে নারিই রান্নাঘরের ছাদটাকেই আকাশ ভেবে চালিয়ে যান হাড়ভাঙা খাটুনি, প্রতিদানে মিলে তিরস্কার। তাদের লড়াইটা প্রতিদিনের, টিকে থাকার লড়াই। তাইতো তারা সাধারণ হয়েও অসাধারণ।প্রতিযোগিতার এ যুগে আমাদের মা-বোন-স্ত্রিগন যারা চাকরিজীবী, অলসতা ভেঙে সকালে উঠেই এক নিঃশ্বাসে সংসারের সব কাজ সারেন, নাস্তা তৈরি, স্বামির টিফিন, বাচ্চাকে খাওয়ানো, বাচ্চাদের টিফিন, ওদের স্কুলে ড্রপ করা ও সব কাজ গুছিয়ে ছুটেন অফিসের বাস ধরতে। অফিসে সারাদিন কাজ শেষে আবার ফিরে এসে রান্নাঘর, বাচ্চা-স্বামীর সংসার সব ঠিক আছে কিনা।স্বামি ঘরে ঢুকতেই হাতের জিনিসগুলো নিয়ে নেয়া,খাবার পরিবেশন, বাচ্চাদের ঘুমিয়ে দেয়া, নিজের বিশ্রামের সময়টিতে স্বামির মাথায় হাত বুলিয়ে নিজে ঘুমোতে যাওয়া যদি একজন গৃহিনি এভাবে করেন তার বিশ্রামের সুযোগ কোথায়? ভেবেছেন কি গ্রাম বা্ংলার স্বামিগন? আমি বলছিনে সবাই এ রকাম যোগ্যতা অর্জন করেছেন কিন্তু অধিকা্ংশ মা বা স্ত্রিগন এরকম কাজই করেন।
পত্রিকায় যে সংবাদ অপ্রকাশিত, প্রচার হয়নি বা নেই কোনো মিডিয়ায় কিংবা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা গৃহবধূদের নির্মম নির্যাতনের দৈনন্দিন চিত্র। সব সাধ-আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে, সারাটি জীবন উত্সর্গ করে যে সংসার তাদের হাতে গড়া, মিলে না সেখানেই কোনো সম্মান, স্বীকৃতি। নারীদের প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিক লাঞ্ছনা এখন আর নির্যাতন হিসেবে অনেকে মনেই করেন না। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া নারীর প্রতি নানা বঞ্চনা-নির্যাতনের দৃশ্য যেন খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এই নিষ্পেষিত নারীদের কান্না ক্ষমতাসীনদের কানে পৌঁছে না। চার দেয়ালে বন্দী এসব নারীর হৃদয় গুমরে কাঁদে। সমাজপতি, সমাজকর্মী বা নারী দিবস তাদের কোনো ভাগ্যের পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। নারী আজ যে স্বাধীনতার কথা বলে , স্বনির্ভরতার কথা বলে তা দিয়েছে ইসলাম। রাসূল সা: কে প্রশ্ন করা হয়েছিল নারির মর্যাদার ব্যাপারে উত্তরে তিনবার বলেছিলেন মা'র কথা একবার বলেছিলেন বাবার কথা। মায়ের পায়ের নিছে সন্তানের জান্নাত স্হাপন ইসলামই করেছে। যে জাহেলিয়াতে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করা হোত তা থেকে রেহাই দিয়ে মর্যাদার আসনে আসীন করা হয়েছে মা'দের।আর কেয়ামতের দিনে জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে প্রশ্ন করা হবে কোন অপরাধে জীবন্ত প্রোথিত করা হয়েছে? অশ্লিলতা ও সামাজিক অনাচার দূর করার জন্য পর্দার বিধান করা হয়েছিল।এই অর্জিত সাধনা ও প্রচেষ্টা আর অর্জনের আত্মবিশ্বাস প্রতিদিন পথে-ঘাটে নির্মমভাবে হত্যা করে কিছু নোংরা রুচির হিংস্র মানুষ। সম্মানের সঙ্গে নিজ যোগ্যতায় কাজ করার অধিকারও যেন তাদের নেই। পথ চলতে, কর্মক্ষেত্রে, পাবলিক পরিবহনে এমনকি নিজগৃহে প্রতিনিয়ত তারা অপমান আর লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। শিক্ষিত, অশিক্ষিত, শিক্ষিকা, উচ্চপদস্থ কর্মজীবী, ছাত্রী, গৃহবধূ, পোশাকশ্রমিক, দিন-মজুর কেউ রেহাই পাচ্ছেন না এই হায়েনাদের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে। এ নির্যাতনের কোনো প্রতিকার নেই, নেই দেশের প্রচলিত আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ একথাই প্রমাণ করে। বাংলাদেশের লাখ লাখ নারীর প্রতিদিনের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা পরিশ্রমের বিনিময়ে গড়ে ওঠা এদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড পোশাকশিল্প। ১০২ বছর ধরে পালন করে আসা নারী দিবস তাদের ভাগ্যের চাকা কতটুকু সচল করতে পেরেছে? পোশাক শ্রমিকদের অগ্নিতে পুড়ে কয়লা হওয়া কি বন্ধ হয়েছে? কর্মক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কর্তারা কি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছেন?
বেঁচে থাকার তাগিদে সম্মানজনক একটি কাজের আশায় এসে অবর্ণনীয়, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপমানজনক অভিজ্ঞতা হয় তাদের অনেকের। বিশেষ করে সেই অসহায় শ্রমজীবী নারী যদি হন সুন্দরী। শুধু কর্মক্ষেত্রেই তাদের এই দুর্ভোগের শেষ নয়, দুটো অতিরিক্ত অর্থের জন্য, কখনও কারখানার অস্তিত্বের প্রয়োজনে অভারটাইম শেষে গভীর রাতে ঘরে ফেরার পথে ক্ষত-বিক্ষত হন একদল হায়েনার কালো থাবায়। এই হায়েনারা কখনও বাসের হেল্পার-কন্ডাক্টারের রূপে আবির্ভূত হয়, কখনও বখাটেদের হিংস্র থাবায়, আবার কখনওবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বেশে। তাদের যেন সম্ভ্রম থাকতে নেই! এই নারী দিবস, কি দেবে এই নির্যাতিত শ্রমজীবী হতভাগ্য নারীদের! অথচ বিশ্ব নারী দিবসটির ব্যাপকতা এই শিল্পের শ্রমজীবী নারীদের হাত ধরে।
প্রতিদিন ধর্ষিতা হচ্ছে নারী, শিশু-কিশোরী। এখন ধর্ষিতার কোনো শ্রেণী নেই, নির্দিষ্ট সামাজিক অবস্থানে থাকার প্রয়োজন নেই, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, কর্মজীবী গৃহবধূ, বালিকা-পৌঢ়া, শিশু-কিশোরী, বিবাহিতা-অবিবাহিতা, ধনী-দরিদ্র—সবাই এই নির্মমতার শিকার! ধর্ষণের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সঙ্গে যোগ হয় সামাজিক অত্যাচার, শুধু নারীর সম্ভ্রম নয়, যেন হত্যা করা হয় তার পুরো অস্তিত্বকে! অন্ধকার করে দেয়া হয় তার স্বপ্নের পৃথিবী। তিনি সমাজে অগ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেন, ধর্ষিতা হয়ে তিনিই যেন অপরাধী! আর ধর্ষকদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বীরদর্পে স্বাধীন ও সুখী জীবনযাপন করতে দেখা যায়! সময়ে তারাই চোখ পাকিয়ে এই ভুক্তভোগীদের নষ্টা মেয়ে অপবাদ দেয়ার ধৃষ্টতা দেখায়! রাজনৈতিক কর্মীদের কাছে ধর্ষণ করা যেন ফ্যাশন আর ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হয়ে দাঁড়িয়েছে! এদের স্পর্শ করবে এমন আইন, এমন সমাজ এখনও তৈরি হয়নি এ দেশে।আর মানব রচিত কোন মতবাদ এর সুরক্ষা দিতে পারেনি।এমনকি মানবরচিত মতবাদের আওতায় পুলিশ প্রহরাতেও নারি তার সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারেনি। তাইতো নরপশু ধর্ষক ধর্ষণের সেঞ্চুরি করতেও কুণ্ঠিত হয় না। হয় না বিচারের ভয়ে দ্বিধান্বিত। মিথ্যা পরকীয়ার অপবাদে প্রতিদিন বৈধতা দেয়া হয় অনেক ধর্ষণ এমনকি নারী হত্যাকে। পথ-ঘাট, অফিস-আদালত শুধু নয়, আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, এমনকি নিজ গৃহে ধর্ষণ এক নৈমিত্তিক ব্যাপার। কোন এক অজানা কারণে প্রশাসন, আইন রক্ষাকারী সংস্থা এ ব্যাপারে কেমন উদাসীন। আজ যে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হছ্ছে কি পাছ্ছে এই হতভাগী ধর্ষিতারা? সামাজিক স্বীকৃতি? তাদের নিপীড়ন নির্যাতনের সুবিচার?
আজও ঘরে-বাইরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী। নারী মর্যাদা ও সম-অধিকারের দাবিতে ১০২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সারা পৃথিবীতে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে গেলেও নারীর পিছু ছাড়েনি নির্যাতন। দেশে প্রতিদিন কত ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিশ্বে আজ এমন কোনো কর্মস্থল নেই যেখানে নারীর সরব পদচারণা নেই। নারী সব জায়গায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে কাজ করে চলেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, নারীরা যত বেশি এগুচ্ছে ততই তাদের জীবনে অত্যাচার-নির্যাতনের নতুন নতুন মাত্রা সংযোজিত হচ্ছে।
নারীদিবস আসে কথার ফুলঝুরি আর আশায় মিশ্রিত স্বপ্ন নিয়ে। সমাবেশ, সেমিনারে মুষলধারে ঝরে চাটুবাক্য। কিন্তু নারীদের প্রাপ্ত ন্যায্য অধিকারের স্বপ্ন, অন্যায়ের প্রতিকার-প্রতিরোধ সোনার হরিণ হয়েই থাকে। মিথ্যে আশ্বাস আর স্বপ্ন দেখিয়ে কি হতভাগী নারীদের সহজ-স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে এ সমাজ, এদেশ? এসিডদগ্ধ, আগুনে ঝলসিত নারীদের তপ্তদেহ কি পারবে শান্তির সুবিচারে শীতল বাতাসে জুড়িয়ে দিতে। যারা নারি দিবসে দুর্দান্ত প্রতাপে কথা বলেন সে মা ও বোনরা ভেবে দেখবেন কতটুকু আপনারা ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত আছেন?
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর ঘটা করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়। এ দিবস উপলক্ষে সেমিনার, মিটিং, মিছিল, ওয়ার্কশপ, ব্যানার আর রঙিন ফেস্টুনের আড়ম্বরে ছেয়ে যায় চারপাশ। এত আয়োজন, এত প্রতিশ্রুতির ভিড়েও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে নারীকে প্রতিমহূর্তে লড়তে হয়, সংগ্রাম করতে হয় জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক যে নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে ১০২ বছর ধরে কি সফলতা দিতে পরেছে? ১৮৫৭ সালে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা ও কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। সেই মিছিলে চলে সরকারি পুলিশের দমন-পীড়ন। ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত, জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেিকনের নেতৃত্বে, সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়। এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি যোগ দেন। ৮ মার্চকে ক্লারা আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। ১৯১১ সাল থেকে নারীদের সম-অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। ১৯০৯ সালে এ দিবসের সূচনা হলেও প্রকৃতপক্ষে ১৯১১ সালে দিবসটি ব্যাপকতা লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে এক পোশাক শিল্পে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪০ জন কর্মী মারা যান। যাদের অধিকাংশ ছিলেন নারী। প্রতিষ্ঠানটির নিয়মানুযায়ী সেদিন পোশাক শ্রমিকদের তালাবদ্ধ কারখানায় কাজ করতে না হলে হয়তো অনেক কর্মীই ওই দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হতেন বলে অনেকে মনে করেন। সেই থেকে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকাসহ যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্নভাবে দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালে দিবসটি পেল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই যে দিবসটির এট কর্মকান্ড এ থেকে কি রেহাই পেয়েছে নারিরা? ইউরোপের যে দেশগুলো অর্গানাইজেশনাল ইনিশিয়েটিভের কথা বলে এগুলো আন্তর্যাতিক প্রহসন মাএ।পাঠকদের অনুরোধ করছি এ সব দেশের ধর্ষন ষ্টেটাস দেখার জন্য।এমেরিকা,বৃটেন,ফ্রান্স ,ইটালি,সুইজালান্ড,সুইডেন,নিউজিলান্ড আরো এরকম দেশ রয়েছে এ সব দেশগুলোকে অনেকে স্বর্গ বলে মনে করে সেখানে ধর্ষনের হার সবার উপর। এমেরিকার খৃষ্টান ধর্মীয় লেখকদের ফর্ন গ্রাফির উপর বই পড়ে দেখবেন , ৬৫ মিলিয়ন হেভিড্রান্কার এব্ং ৮০ মিলিয়ন অবিবাহিতা রয়েছে যাদের স্বামি নেই।আর যাকে আপনারা সভ্য সমাজ বলেন সে দেশের স্ংবিধানে পুরুষে পুরুষে বিয়ের আইন প্রনীত হয়েছে।নবী লুত (আ) এর সম্প্রদায়কে ধ্ংস করা হয়েছিল এই অপরাধে।অপেক্ষা করুন সে দিন বেশী দুরে নয় হয়ত আল্লাহ দেখাতে পারেন।সুতরা্ং নারিদের সম্ভ্রমের একমাএ সিকিউরিটি দিয়েছে ইসলাম এব্ং এর কোন বিকল্প নেই।আমাদের সাবাইকে সচেতন নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আত্মপ্রত্যয়ি হতে হবে আর হিজাবের আদর্শে প্রতিবাদি হতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন