হাল - আমলে তৈলমর্দন উন্নতির সোপান।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:১৯:৩০ বিকাল
সকালে উঠে ফোন করলাম 'ক' জন বন্ধুকে।শুক্রবারে ফজরের নামাজের পর এক ঘন্টা পরিবার ,আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবদের ফোন করা একটা অভ্যাসে পরিনিত হয়েছে।আজ উকিল এক বন্ধুকে টেলিফোন করতেই কড়মড় করে বিছানা থেকে উঠে ফোন ধরে বললো এত্ত সকালে কোন হালায় টেলিফোন করলো।হ্যালো বলতেই আমি সালাম দিলাম।'আরে তুই? আমি ভাবলাম কোন মক্কেল টেলিফোন করেছে।' আরো বললো দিনকাল যা চলছে এখন একেবারে সময় নেই।সকাল থেকে মক্কেলের জ্বালা শুরু হয় রাত দশটায় ঘরে ফিরি।ঘরে এসে আবার বউ পোলাপানের জ্বালা।আমি বললাম তোর আবার সমস্যা কি? তুই তো উকিল মানুষ, আর স্বাধীন ব্যাবসা।বন্ধু উত্তর দিল-দোস্ত ২ লাখ টাকা মাসে খরচ, সংসার ও জুনিয়রদের বেতন দিয়ে।সারাদিন মক্কেলের খোঁজে থাকতে হয়।বয়স যত বাড়ছে শক্তি তত কমছে।এখন আর বকবক করতে ভাল লাগে না।বেচে বেচে চোর ডাকাইত ও মার্ডার কেসের মত মক্কেল ধরি যাতে অল্প দু'চারটা কেস করলেই পুষে যায়।আমি জিজ্ঞাসা করলাম দোস্ত উকিলের কাজ কি মার্ডারের কেস ডিল করা? উত্তর দিল দোস্ত ভাল কেস খুঁজতে গেলে বউ ছেলে মেয়ে ভাতে মরবে।'ক' বছর ধরে বিচারপতি হওয়ার জন্য প্রস্তাব আসছে প্রত্যাক্ষান করছি।জিজ্ঞাসা করলাম বিচারপতির মত পোষ্ট তাও প্রত্যাক্ষান? বন্ধু উত্তর দিল কি করবো দোস্ত-বিচারপতি হলে কারো কথা মত চলতে হবে।তাছাড়া সংসারের এত খরচ বিচারপতি হলে চলবে কি করে? আমি বললাম তাহলে বিচারপতিরা চলে কি করে? বন্ধু উত্তর দিল-দোস্ত তেল মালিশ বোঝ! আর বিচারপতি হলে অন্যায় রায় দেয়া যাবে না।আমি বললাম দোস্ত-তুমি তো ওকালতি করেই অন্যায় করছো,বিচারপতি হয়ে অন্যায় করলে কি হবে? বন্ধু বললো-তুই বুঝবিনা দোস্ত-বিচারপতি আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে।বন্ধুর সাথে কথা শেষ করে বুঝতে পারলাম ,বন্ধুটি হাল আমলে ভাল কামাই করছে।কয়েকটি ফ্লাট আছে,ব্যাংক ব্যালেন্স আছে তাছাড়া মাসে ভাল কামাই আছে।কিন্তু ধর্মীয় জ্ঞানের একটা বড় ঘাটতি আছে।অন্যায়তো সবই অন্যায়,ছোট বড় সবই।কেউ চুরি করছে,কেউ ডাকাতি করছে আবার কেউ খুন করছে।রসুল সা: আয়শা রা:কে বলেছেন,হে আয়শা! ছোট ছোট গুনাহ থেকে দূরে থাক কারন ছোট গুনাহ বড় গুনাহের দিকে ধাবিত করে।'মানুষ দুনিয়ার সামান্য এই জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যা ইচ্ছে তা-ই করছে।একটি দেশের বিচারালয় হলো মানুষের শেষ আশ্রয়স্হাল।উকিল ও বিচারপতরা যদি ন্যায় বিচার না করেন তাহলে মানুষের শেষ আশ্রয়স্হল ও আর থাকছেনা।ইংল্যান্ডের বিখ্যাত বিচারক লর্ড টার্নিং বলেছেন,অভিনেতাদের মত অন্যদের খুশি করার জন্য বিচারকরা কথা বলে না।বিচারকরা উকিলদের মত বিচার জিতে যাওয়ার জন্য কথা বলে না।ঐতিহাসিকদের মত অতীতকে জানার জন্য বিচারকরা কথা বলে না।বিচারকরা কথা বলে রায় দেয়ার জন্য।বিচারকদের কাজ হলো মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলা।কোন অন্যায় হলে অন্যায়ের পক্ষে কথা বলা ও সঠিক রায় দেয়া তাদের কাজ।যদি বিচারকরা সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা না বলে তাহলে মানুষের পক্ষে কথা বলার আর কে আছে?বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের করুন দুর্দশা দেখা যায় যখন তারা বছরের পর বছর বিচার প্রার্থনার জন্য বিচারালয়ে ঘুরে বেড়ায়।তাদের ফাইলবন্দি জীবন করুন থেকে করুনতর হচ্ছে যা কল্পনা করা যায় না।হাল আমলে কোথায় করাপ্সন নেই? সরকারি আধাসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে কারচুপি চলছে অবিরত।দেশে একদিকে শিক্ষা-ব্যাবস্হার চরম করুন অবনতি অন্যদিকে বেকার সমস্যা প্রবহমান।একটি পিয়নের চাকুরি জন্যও ৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয় আর তৈল মর্দন করতে হয় যায়গামত।একটা সময় ছিল মানুষ কষ্ট হলেও তদবির করে চাকুরি পেত।এখন সেখানে দু'টো জিনিস দরকার।তা হলো টাকা , বেকিং আর তার সাথে তৈলমর্দন।লাইন ধরা থাকে সরকারি অফিসগুলোতে।এ সবের মধ্যে সাধারন মানুষ নেই।প্রায় সবই দলের লোকজন।এই মামারা হলো-এমপি,মন্ত্রী,সচিব,বড় নেতা,ছোট নেতা--ইত্যাদি।বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেমিক সংঘের একটি মিছিল দেখেছিলাম।সেখানে তারা শ্লোগান দিয়েছিল'কেউ খাবে- কেউ খাবে না-তা হবে না -তা হবে না।'কতটুকু নৈতিক অধপতন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি জ্ঞান আহরনকেন্দ্রে এ কথাগুলোর উচ্চারন হতে পারে।ঠিক সেভাবেই এখন বেপোরোয়া হয়ে চলছে অফিস আদালত যেখানে কোন চেইন অব কমান্ড কাজ করছে না।প্রশাসন নীরব এর কারন হলো কে কাকে বলবে।দু'চারজন যদি খারাপ হয় তাহলে ব্যবস্হা নেয়া যায়।যদি বেশীর ভাগ একদলে ভীড়ে যায় তাহলে সংখ্যালগিষ্ঠরা হয় তাকিয়ে দেখব না হয় ভাগবাটোয়ারার কিছু অংশ ভোগ করবে।যাদের মামার জোর নেই তারা হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে।
শিক্ষিত বেকারের বড় একটি অংশ এখন অফিসগুলোর দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।কেউ চাকুরির কথা বলে টাকা অগ্রীম নিচ্ছে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে।কারো চাকুরি হচ্ছে, কারো হচ্ছে না।কেউ টাকা ফেরত পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না।ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বিদেশ নেয়ার কথা বলে এভাবেই টাকা নিয়ে নিজেরা নিজেদের ব্যাবসা বানিজ্য করেছে।কিছু লোকের ভাগ্যের চাকা হয়ত ঘুরছে আবার কিছু লোক ঘানি টানতে বাধ্য হচ্ছে।হাউজিং সোসাইটি গুলোও থেমে নেই।দেশে রিমোর্টে যায়গা কিনে প্রজেক্ট করছে।আবার অনেক কম্পানি অন্যের যায়গায় প্রজেক্ট করছে এবং ডিজিটাল লেআউট তৈরি করে লোকজনকে চমক লাগিয়ে জমি বিক্রি করছে।নিজের যায়গা হলে চলে কিন্তু যদি যায়গাটি নিজের না হয় তাহলে গ্রাহকদের অবস্হা কি হবে ভবিষ্যতে? এ প্রজেক্টগুলো প্রতিষ্ঠিত হতে হয়তবা ২০/৩০ বছর লাগবে কিন্তু তারা তা জমি বিক্রির সময় খোলাসা করে বলছেনা।চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে আর কাষ্টমার তা লুপে নিচ্ছে।এরা সবাই তাদের বলছে ৫/৭ বছরের মধ্যেই প্রজেক্ট ডেভোলাপ হয়ে যাবে।যদি কোন কাষ্টমারকে সততার সাথে প্রজেক্ট সম্পর্কে সঠিক ফোকাসটি করা হয় তখন দেখা যাবে ক'টি প্লট বিক্রি হয়।এভাবে অনৈতিকতায় তারা ফেঁফে ফুলে উঠে অন্যের টাকায়। অধিকাংশ কম্পানিগুলোতে একটি ম্যানেজমেন্ট কাজ করে।তারা চতুরতার সাথে নিজেদের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সেই সব কম্পানীতে ডাইরেক্টর নিয়োগ করে।যার কাছ থেকে যা নিতে পারে সেভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় ডাইরেক্টরশিপ।এ রকম একটি কম্পানীর অবস্হান দেখলাম যে,যারা বিগিনার ছিল তাদের শেয়ার কেপিটল ছিল ২ লাখ টাকা।এর পর তারা কারো কাছ থেকে ৫,১০ বা ৭০ লাখ টাকা নিয়েছে।সরকারি হিসেবে শেয়ার কেপিটল দেখিয়েছে ২ লাখ।বাকী টাকা ডাইরেক্টরদের কাছ থেকে লোন নিয়েছে বলে হিসাবে দেখিয়েছে।ব্যাবসায়ের ক্ষেত্রে সরকারি লোকদের জোগ সাজশে সরকারের যে কর ফাঁকি দেয়া হলো তা কি শুধু সরকারকে ঠকানো হলো? পুরো জাতিকে ঠকানো হলো।এই শ্রেনীটি আবার ধর্মীয় কাজ কর্ম করে।নামাজ রোজাও করে।আমি ভেবে পাইনা এই মানুষগুলো বিবেক সম্পন্ন কিনা? আল্লাহর কাছে তাদের কোন জবাদিহীতা আছে কিনা?হালাল হারাম বলতে এদের অনেকে কিছু মনে করে না।এদের দেখা যায় আবার লম্বা দাঁড়ি টুপি ও সুন্নতি লেবাস পরে মক্কা মদিনায় ভিজিট করে।এমনকি মক্কা হারামের পাশে বসেও মানুষের সাথে চলচাতুরি করে টাকা নিয়ে তা পরিশোধ করে না। দেশে এরা পেন্ট শার্ট পরে।কোন কোন অনুষ্ঠানে হাদিস বলে চোখর পানিও ফেলে।এই ভন্ডদের মানুষের ত্যাগ করা উচিত নয় কি? কেউ যদি কোন প্লট ও ফ্লাট খরিদ করতে চান তাহলে তাদের প্রজেক্ট ভিজিট করুন।তাদের দলিলপত্র দেখুন।প্রজেক্টটি কোন সালে ডেভলাপ হবে তার লিখিত কমিটমেন্ট নিন যেন আইনের দ্বারস্হ হতে পারেন।তবে তারা কখনো এভাবে জমি বিক্রি করবেনা।এর মধ্যে কেউ কেউ ভাল ব্যাবসা করছেন তারা নিশ্চই তাদের কমিটমেন্ট রাখেন যা কাষ্টমাররা বুঝতে পারেন।এর মধ্যে ধুর্ত হলো ডাইরেক্টর নামের কিছু লেবাসি মানুষ।এরা প্রথমে আপনাকে কুরআন হাদিস দিয়ে কথা বলবে।এর পর আপনার খোজখবর নিবে জমি ক্রয়ের সামর্থ আছে কিনা।তারপর আপনার বাসায় যাবে ও আপনাকে একটি মুল্যবান উপটৌকন দিবে আর আপনি ঘায়েল হয়ে গেলেন।বিশেষ করে কম্পানি গুলোর এ সমস্ত এজেন্ট গাল্ফ এরিয়াগুলোতে বেশি দেখা যায়।এই দস্যুবৃত্তি এখন বড় শহর থেকে ছোট শহরগুলোতেও ধাবিত হয়েছে।সুতরাং তদবিরের এই ব্যাব্হা এখন দেশব্যাপি। পদোন্নতির,শিল্প-কলকারখানা স্থাপন, বিদ্যুতের লাইন, গ্যাস সংযোগ, টেলিফোন সংযোগ, স্কুল-কলেজে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রি, জমির নামজারি ইত্যাদিতে তদবির- তদবির লাগে না কোথায় বলুন? মামলা করতে এসেছেন বা মামলায় নাম ঢুকে পড়েছে, এবার ফাটা গাছের চিপায় আটকালেন, টাকা খরচ কাকে বলে এবার দেখবেন? বাড়ী করেছেন সারা জীবনের রক্ত পানি করা টাকা দিয়ে।জমিতে মাটি ফেলার সময় ‘ফুলবাবু’ এসে হাজির আমার এলাকায় বাড়ি করছেন আর আমিই জানি না।এত টাকা--চাঁদা দিয়ে আসবেন।বিদেশ থেকে ৩/৪ বছর খেটে দেশে যাচ্ছেন।আপনার হেন্ড ব্যাগেজটি কৌশলে আপনার হাতে ভিতরে নিতে দিচ্ছে না কারন রাখার যায়গা নেই।বাড়িতে গিয়ে দেখলেন মুল্যবান জিনিসটি আপনার ব্যাগেজে নেই বা এ্যায়ারপোর্টে চেকিং এর নামে আপনাকে হয়রানি করে ঘন্টা কাটিয়ে দিল আর আপনি ১/২ হাজার টাকা গুঁজে দিলেন,আপনি ক্লিন হয়ে গেলেন।অথবা আপনার পাসপোর্ট নিয়ে সন্দেহের বশে আপনাকে নাজেহাল করলো এই বলে যে আপনি আলকায়দার লোক।তারপর একটি বাঁকা চ্যানেল ধরলেন মিলে গেল আপনার পাসপোর্ট।আবার আপনি গডফাদার তাতে কি হয়েছে? সাহেব বুঝতে পেরেছে আপনার কাছে আছে সোনার বার।ভাইজান আপনার লাগেজ সন্দেহজনক।আপনাকে আইনের কাছে সপর্দ হতে হবে।হাঁ - যেমন তেমন আইন নয় বৃটিশ আইন।গডফাদার বললেন রাখুন আপনার আইন।ডাকুন আপনার বড় কর্মকর্তাকে আমি করে এসেছি বিশেষ "লাইন"।চোখের ইশারায় পকেটে ঢুকে গেল মাল।সালাম- আপনি চলে যান অন্য লাইনে আমি মাল পৌঁছে দিচ্ছি।মাল পৌঁছে গেল ৫তারা হোটেলে।রহিমুদ্দি এবার সিঁড়ি পেয়ে গেল।বাড়তে বাড়তে মালিক হলো ২/৩টি বাড়ির।এখন আর সুদ ঘুষের কোন লেভেল নেই।নৈতিকতার ধস একদিনে নামে নাই।সেই ব্রিটিশ থেকে শুরু করে পাকিস্তান সময় পর্যন্ত এ অবস্হা ছিল তবে নামমাত্র।আজ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নৈতিকতার বড় আকাল দেখা দিয়েছে।দুর্ভিক্ষের মঙ্গার মত সততার মঙ্গা দেখা দিয়েছে।দুর্নিতির বাম্পার ফলনে বুঝা যায় গোটা সামাজ প্যারালাইজ হতে চলছে।এরাই প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার শ্ক্রু।পাকিস্তানের ভোগ এদের সইছিলনা।স্বাধীনতার এই কুচেতকরা সুচেতকদের সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে।এরা যারা স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে,মানুষের কল্যানের বোল ফোটায় তারা শতকোটি টাকার মালিক।আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতি এখন এদের পদতলে গুমরে কাঁদছে।দুর্বিত্তায়ন এখন উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একাকার হয়েছে। সমাজের কোথাও স্বস্তি নেই।যারা রক্ষক তারাই এখন ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে।চার দশকের মাথায় এসে চুরি-ডাকাতি, ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুট, সাত খুন , লঞ্চডুবিতে, বাস দুর্ঘটনায় শয়ে শয়ে লোক মরছে, ঘাটে-অঘাটে লাশ পাওয়া যাচ্ছে হরদম, গুম হচ্ছে জলজ্যান্ত মানুষ, চোরাইপথে সোনাদানা আসছে হাজার হাজার কেজি, কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় দলবাজ আমলারা জাল সনদ দাখিল করে, ভুয়া জন্ম তারিখ ঘোষণা করে, কোটি কোটি টাকার পদোন্নতি বাণিজ্য-টেন্ডার বাণিজ্য করে রাতকে দিন দিনকে রাত করছে, আর কর্তৃপক্ষ তবু গভীর নিদ্রায় মগ্ন। কারন এমন তৈল মর্দনে নিমগ্ন থাকারই কথা।আমাদের দেশে সেই প্রশাসন আসবে কবে ,তৈলমর্দনে বড় না হয়ে কাজে বড় হবে।আমরা কি কিন্চিৎ সৎ হতে পারিনা?আমরা কি আইনের শাসনকে সর্বস্তরে মেনে চলার অংগীকার করতে পারিনা? আমরা কি দুর্নীতিকে 'না' বলতে পারিনা?আমরা কি মা বোনদের ইজ্জতের রক্ষক হতে পারিনা? আমরা পারি,শুধু দরকার একটু সহনশীলতা,একে অপরের প্রতি মমত্ববোধ জাগ্রত করা,ভালবাসার বাঁধন তৈরি করা।একের দু:খে অন্যে ঝাঁপিয়ে যেদিন আমরা পড়তে শিখবো সেদিনই আমরা জাতি হিসেবে বড় হব।তবে মনে রাখতে হবে উন্নতির মাপকাঠি তৈল মর্দন নয় সুশিক্ষিত ও সৎ জীবন যাপনই উন্নতির সোপান।
বিষয়: বিবিধ
১৬১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন