স্বপ্ন দেখার নয় , কাজে পরিনত করার নাম।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:৪৬:৩০ দুপুর
মানুষের জীবনে দু'টি জিনিসের প্রভাব লক্ষ্য করার মত।একটি ইতিবাচক আর অন্যটি নেতিবাচক দিক।জীবনকে জয় করার জন্য দরকার সব ইতিবাচক দিক।নেতিবাচক দিকটি শুধু জানা থাকতে হবে ইতিবাচক কাজে যেন হেরে না যায়।একটি জীবনের অর্থ হলো ব্যাপক সময় কাজে নিমগ্ন থাকা।কিছু সময় অবকাশ যাপন করা।একজন মুসলমানের জীবনে প্রতিদিন সাধারনত অবকাশের পাঁচটি সময় নির্ধারন করা আছে।আল্লাহর বান্দাহ যখন নামাজে নিমগ্ন হয় তখন তার রবের সাথে দিদার হয়।কিন্তু আমাদের নামাজে সেটি হয় না বলেই আমরা সামনে এগুতে পারি না এবং তার জন্য শাস্তির ব্যাবস্হাও রয়েছে।আমাদের জীবনের একটি বড় স্হান দখল করে আছে দৈনন্দিন ক্রিয়াকর্ম আর স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়া।আমরা কাজকে যদি বিভাজিত করি তাহলে প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে বিভাজন করা যায়।কিন্তু যারা জ্ঞানী তারা প্রয়োজনীয় কাজই করেন।তাদের সময় অপ্রয়োজনে নষ্ট করেন না।জীবন চলার পথে অনেক মানুষকে দেখা যায় অযথা বাজে কাজে,বাজে আড্ডায় সময় নষ্ট করে চলছে।ধরুন একজন ছাত্র-যার কাজ হলো একটি স্বপ্ন দেখা।স্বপ্নটি হলো প্রতিটি ফলাফল ভাল করা ও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বড় কিছু হওয়া।যদি সে তার লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তাহলে তার স্বপ্ন পূরন হলো।আর যে ছাত্রটির কোন স্বপ্ন থাকে না সে তার পাঠ্যক্রমের কাছে যায় না,নিয়মিত পড়াশুনা করে না।সময় অপচয় করে ,অযথা আড্ডা দিয়ে সময় পার করে আর পরিনতিতে জীবনের উপর নেমে আসে লান্চনা ও গন্জনা।একই পথ একজনকে সময়মত গন্তব্যে পৌঁছে দেয় আর অন্যজনকে গন্তব্যচুত করে।ক্লান্তি ,অবসাদ,সুখহীনতার অন্যতম কারন হচ্ছে বাজে কাজে মন দেয়া।অনেক সময় ভাল কাজেও ক্লান্তি ও অবসাদ আসতে পারে।শারিরিক পরিশ্রমের সাথে বিশ্রামের একটি সম্পর্ক রয়েছে যা না হলে একটা সময় শরীর ভেংগে পড়ে।প্রয়োজনীয় কাজে থাকে আনন্দ ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য যা বাস্তবায়ন করতে একটু কষ্ট হলেও পরক্ষনে আনন্দ উপভোগ করা যায়।প্রয়োজনের কাজে একান্তভাবে লিপ্ত থাকলে আর সবকিছু ভুলে যেতে হয়।নিজের কাজ ও চিন্তা ছাড়াও যে জগতে অন্য ধরনের কাজ ও অন্য চিন্তা আছে,সে কথা তখন আর মনে থাকে না।একই কাজ ও চিন্তার জালে একান্তভাবে জড়িয়ে পড়ার দরুন এক ঘেয়েমির অভিশাপে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে।এ দু:খ থেকে মুক্তি পেতে পারে বিচিত্র কাজের প্রতি অনুরাগ।জগত ও জীবনে অনেক দেখার ও বোঝার আছে-এ বোধ না থাকলে জীবন সংকীর্ন হয়ে পড়ে।
জীবনে স্বপ্ন থাকলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।আমরা হয়ত অনেকে নিজেরা বড় হওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু অন্যের ভালটা দেখতে পারি না।সমাজে দেখা যায় কেউ একটি ভাল কিছু করলে তার সমালোচনায় লেগে যায় অনেকে।এর কারন হলো-তাদের মনের মধ্যে একটি অশুভ শক্তি জন্ম নিয়েছে দীর্ঘদিন থেকে যা অন্তরটিকে ঢেকে দিয়েছে।আমার বাসার পাশে একজন মানুষ ভাল চলছে ,ভাল খাচ্ছে।আমি মনে মনে ভাবছি,জানি তুমি এত টাকা কিভাবে পাও।অনেক সময় মনের মধ্যে চাপা দিয়ে রাখতে পারি না।বন্ধুর কাছে বলেই ফেলি অমুক এত ঠাট বজায় রেখে চলছে কিভাবে।আমি ভাবতে শিখি না আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তার কর্মের জন্যই দিয়েছেন।আমাকেও তার মত একটি শরীর দিয়েছেন।চক্ষু,কর্ন ,হাত ও পা দিয়েছেন।আমি এগুলোকে কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করে আমার সমৃদ্ধি নিয়ে আসি।আর চরম পরিশ্রম করার পরেও যদি আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হয় তাহলে আমার কপালের ভাল মন্দের উপর নির্ভর করতে শিখি।আমরা পরের আনন্দটিকে ভাগ করে নিতে পারিনা কারন আমাদের অন্তরটিকে মেরে ফেলেছি।সব সময় পরের ভাল হলে অন্তরটি জ্বালা যন্ত্রনা করতে থাকে।আর একটি কারন হলো অধিকাংশ মানুষ আমরা ব্যার্থ।এই ব্যার্থতা বোধ থেকে জন্ম নেয় সমস্ত অপকর্ম।কাজ না করতে থাকলে জীবনে ব্যার্থতা আসে।কাজ করার জন্য থাকতে হয় শারিরিক ও মানুষিক শক্তি সামর্থ।কোন মানুষই অলস থাকতে পারে না।অলসতা আসে কাজ না জানা ও কাজের উদ্দম না থাকার কারনে।কোন কিছুকে জয় করতে হলে সামনে এগুতে হবে।একজন মানুষকে যদি ইতিবাচক দিকে বা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হয় তাহলে নেতিবাচক দিকটিকে স্মরন করতে হবে না।আমাদের প্রতিটি মানুষের মধ্যে একটি অদম্য সাহসী ও শক্তিশালী প্রতিভা লুকিয়ে আছে।একজন মানুষ যে এভারেষ্টের চূড়ায় আরোহন করেছে তার স্বপ্নই ছিল সে ওখানে উঠবে।সেই স্বপ্নকে জয় করার জন্য সে নিছের দিকে তাকায় নি,তাকায়নি তার সরু দেহটির দিকেও।আলেক্সান্ডারের পৃথিবীর অর্ধেক জয় করার পিছনে তার লক্ষ্য ছিল তার সাহস ও প্রজ্ঞা।পৃথিবীর সব মানুষ জয়ী হতে পারবে না তবে জয়ের জন্য বুকে যে অদম্য সাহসটি থাকা দরকার তা থাকতে হবে।শুধু স্বপ্ন দেখে বসে থাকলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয় না।স্বপ্ন হলো একটি লক্ষ্য ও কাজের নাম যা প্রানান্তকর চেষ্টার মাধ্যমে সেই লক্ষ্যবিন্দুতে পৌঁছতে হয়।স্বপ্নের জন্য মুল্য দিতে হয়।আমি যদি আমার স্ত্রীকে এক লাখ টাকার একটি শাড়ি উপহার দিতে চাই তাহলে আমাকে সেই এক লাখ টাকা অর্জন করতে হবে।যদি এক লাখ টাকা অর্জন করতে পারি সেটিই আমার স্বপ্নের বাস্তবতা।
ডেল কার্নেগির একটি বইয়ে সুন্দর বিষয় বলা হয়েছে যে,একজন লোকের একটি ছেলে হঠাৎ দুর্ঘটনায় মারা গেল।সে লোক আর সে কষ্ট সহ্য করতে পারে না।তার ঘুম নিদ্রা চলে গেল।মনে হলো জীবনটা অসহায় হয়ে পড়লো।তিনি যখন একেবারে ভেংগে পড়লেন সে সময় তার একটি ছোট মেয়ে বললো,বাবা আমাকে একটি নৌকা বানিয়ে দিবে।তিনি তখন কয়েক ঘন্টা ধরে তাকে একটি নৌকা তৈরি করে দিলেন।এই নৌকাটি তৈরির পর তার মনে হলো ছেলেটি মারা যাওয়ার পর এই কয়েক ঘন্টা তিনি দু:খ থেকে বেরিয়ে এলেন।তখন তিনি বুঝলেন মানুষ যখন কাজ করে তখন এক সংগে দু'টো কাজ করতে পারে না।তিনি তখন কাজ করতে শুরু করলেন।কাজ করতে করতে এমন হলো এক সময় সেই পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলো।কাজই মানুষকে দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচিয়ে রাখে কাজ।আমরা যারা কাজ করি তাদের কাজের ফাঁকে ছুটি থাকে।এই অবসরটি হলো নতুন কাজে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি।কাজ করলে সফলতা আসে।আমি কবি রবীন্দ্রনাথের কবিতার কথাগুলো প্রায়ই বলে থাকি।তার রচনায় জীবনের এত সুন্দর সুন্দর কথা রয়েছে যা হৃদয়কে আলোড়িত করে। রবীন্দ্রনাথ এক যায়গায় লোখেছিলেন, আমি এক জীবনে দুই জীবনের কাজ করে গেলাম।যারা পৃথিবীর সময় ভাল কাজে লাগিয়েছেন তারা সফল।এই পৃথিবী একটি আনন্দময় যায়গা।পৃথিবীর প্রতিটি যায়গা মধুতে ভরা। রবীন্দ্রনাথ তার কবিতায় বলেছেন,আকাশ ভরা সূর্যতারা বিশ্বভরা প্রান/তাহারই মাঝখানে আমি পেয়েছি/পেয়েছি মোর স্হান/বিস্ময়ে তাই জাগে আমার প্রান। রবীন্দ্রনাথ আর এক যায়গায় বলেছেন,বিশ্বরুপের খেলাঘরে কতই গেলেম খেলে ,অপরুপকে দেখে গেলেম দু'টি নয়ন মেলে।পৃথিবীর রুপ রস গন্ধ আল্লাহর এক অসীম সৃষ্টি।যতবেশী আমরা মানুষকে ভালবাসবো।পৃথিবীর সৌন্দর্যকে নিজের মধ্যে নিতে শিখবো ততই আমাদের এ জীবনটি সুন্দর হবে।অসুবিধাটা হলো আমরা এখন এগুলোর দিকে তেমন তাকাই না।এখন আমাদের নেশা হলো একটি জিনিসের দিকে সেটি হলো টাকা।এ জিনিসটি সব যুগেই প্রয়োজন ছিল কিন্তু মানুষ এখন সর্বগ্রাসী হয়ে তার পিছনে ছুটেছে।টাকার পিছনে যতই ছুটছি ততই আমরা অসুস্হ হয়ে পড়ছি।আমরা একে অন্যকে খুন করে ফেলছি।আজকে মানুষের কাছে টাকা ঈশ্বরে পরিনত হয়ে উঠেছে।টলষ্টয়ের বিখ্যাত একটি গল্প রয়েছে এ রকম।একজন মানুষ জমির জন্য উম্মাদের জন্য ছুটেছিল।ছুটতে ছুটতে বিশাল একটি যায়গার মালিকানাও সে পেয়ে গেল।যখন মালিকানা পেল তখন সে আর পৃথিবীতে বেঁচে থাকলো না।একটি চমৎকার উদাহরন হয়ে আছে এই গল্পটি পৃথিবীর জন্য।
আমরা অবিরাম ছুটে চলছি সম্পদের পিছনে।কারো দিকে ভ্রুক্ষেপ করছি না।কিন্তু একদিন হঠাৎ বিদায় নিতে হচ্ছে আমাদের।আমরা কি আমাদের জীবনের দিকে তাকিয়েছি।ঘুম থেকে উঠেই অফিসের দিকে দৌড়াচ্ছি।সারাদিন অফিস করে আবার ঘরে ফিরছি।কেউ কাপড়জামা না খুলে সোপাতে শুয়ে পড়ে টিভি দেখছে কিছুক্ষন।কিছু খেয়ে না খেয়ে শুয়ে পড়া আবার পরের দিন একইভাবে আর একটি ব্যাস্ত জীবনে পদার্পন।এটি হলো সাধারন চাকুরিজীবিদের কথা।আর উপরের শ্রেনিটি তাদের চব্বিশ ঘন্টাই তারা দৌড়াতে থাকে।কেউ কেউ রাত বারটার আগে অফিস থেকে ফিরেন না।জীবন যে কত মহৎ আনন্দময় তা বুঝা যায় বড় বড় মানুষের কাব্য সাহিত্য পড়লে।জীবন একবারই আসে মানুষের জীবনে।এ জীবনকে হারানো একটি বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।জীবনকে ভীন্ন পথে প্রবাহিত করা হলো একটি ক্রাইম বা অপরাধ।হতভাগ্যরা তাদের সংকীর্ন চিন্তার কারনে জীবনকে ছোট করে দেখে।মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।বড় চিন্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছোট চিন্তার দিকে চলে গেলে জীবন ছোট হতেই থাকে।জীবনকে সুখি সুন্দর করতে শুধু একদিকে ছুটতে হয় না।সবকিছু মিলে জীবনের সৌন্দর্য তৈরি হয়।রবীন্দ্রনাথ আর এক যায়গায় লিখেছেন, আমি একবার একটি হাসপাতালে গিয়ে টেবিলের উপর একটি কাটা পা দেখেছিলাম।আমার কাছে মনে হয়েছিল কি বিভৎস? পরে খোঁজ নিলাম পা' টি কার।পরে শুনলাম এটি একটি সুন্দরীর পা।তখন আমার মনে হলো একজন সুন্দরীর পা এরকম বিভৎস হতে পারে? এই না সেই পা যা নিয়ে কবিরা কবিতা লিখেছে।'যাঁহা যাঁহা অরুন চরন চল চলই, তাহা তাহা থলো কমলো দলো খলো-ই।অর্থাৎ যেখানে যেখানে সেই অরুন রাংগা চরন পড়ছে সেখানে সেখানে স্হলপদ্ধ ফুটে উঠছে। তখন তিনি বললেন এই পা বিভৎস এই কারনে, ঐ সুন্দরীর সমস্ত কিছু থেকে এই পা কে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।একটি ফুলের বাগানে যদি একটি ফুলই থাকে তাহলে বাগানকে সুন্দর মানায় না।যদি সেখানে সব রকম ফুল থাকে তাহলে বাগানের সৌন্দর্য ফুটে উঠে।আল্লাহ মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বানিয়েছেন।কোথায় মানুষের সে বিশালতা?
প্রতিটি মানুষের কাজ তার নিজের সৌন্দর্যবোধ ও কর্ম মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়া।সংকীর্ন জীবন থেকে বেরিয়ে আসা।পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সৌন্দর্যবোধ থাকা দরকার ছিল মুসলমানের মাঝে কিন্তু আজ আমাদের মুসলমানদের মধ্যে কতেক কু-চিন্তাকারী ও কু-কর্মকারদের সহযোগী হয়ে যাওয়ায় আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।সংকীর্ন মনোবৃত্তি নিয়ে নিজেদের বিভক্ত করে একটি বৃহৎ জীবনের সৌন্দর্য নষ্ট করা হয়েছে।আমাদের দেশটি আজ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আছে।এই অন্ধকার দূর করতে হলে আমাদের মানুষকে প্রশিক্ষিত করতে হবে।এটি কারো একার কাজ নয়।সরকারের কাজ,বুদ্ধিজীবি ও সাহিত্যিকদের কাজ,কবি লেখক ও সমাজের আলোকিত মানুষের কাজ। চীনের মহান দার্শনিক কনফুসিয়াস যার প্রভাব আজ পর্যন্ত চীন অতিক্রম করতে পারে নি।কনফুসিয়াস যখন বৃদ্ধ হলেন তাকে মনে হতো অনেক বয়স হয়েছে,তার দাঁড়ি লম্বা ও পাকা থাকার কারনে।বিশেষ করে সব ধর্ম যাযকদের লম্বা দাঁড়ি রাখতে দেখা যায়।তার জ্ঞানের প্রসংসা চারদিকে ছড়িয়ে গেল।লোকেরা বিশ্বাস করতে শুরু করলো এত যার জ্ঞান সেকি আর স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা জানে না।এই খবর চীনের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লো।আমাদের দেশে টাংগাইলে একজন পীর বেরিয়েছিল।হঠাৎ শুনা গেল তিনি ফুঁ দিলে সব অসুখ সেরে যায়।হাজার হাজার লোক তখন আসতে শুরু করলো।এত মানুষকে একজন মানুষ কত ফুঁ দিতে পারে।তখন বুদ্ধি বের করা হলো মাইকে ফুঁ দিবে এবং ছয় ঘন্টা পর পর একটা ফুঁ আসে।অসংখ্য মাইক্রোফোন লাগানো হলো।ঠিক এভাবে কনফুসিয়াসের কাছে লোক আসছিল।সেই সময় তিনি একটি কাজ করেছিলেন।চীন দেশের যত সেরা কবি ছিলেন তাদের সমস্ত সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে তিনি একটি সংকলন তৈরি করেছিলেন।যখন সংকলনটি শেষ হলো তখন তিনি তার ছেলেকে ডেকে বললেন,হে বৎস লোকে জানে যে,আমি স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা জানি।লোকে যাই জানুক তুমি তো আমার ছেলে তোমার কাছে তো আমি মিথ্যা বলতে পারি না।আমি তোমাকে বলি,স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা আমি জানি না।তবে একটি কথা আমি তোমাকে বলে যাই,এই বইটি যদি পড় তবে স্বর্গে গেলেও যেতে পার।এই বইটি যদি না পড় তাহলে তুমি কোন দিন স্বর্গে যাবে না।কনফুসিয়াসের কথাটি এ জন্য আনলাম।এখানে আমাদের মুসলিমদের জন্য একটি শিক্ষা রয়েছে। জান্নাতে যাওয়ার পথ পেতে হলে রসূল সা; কে অনুসরন করতে হবে এই জন্য যে তিনি আলকুরআন নামক এই কিতাবটি তাঁর জীবনে স্হান দিয়েছিলেন।তাঁর চরিত্র ছিল এই কুরআনের চরিত্র।আমরা দু:খবোধ করি কারন আমরা আমাদের সময় কাজে লাগাইনি।আমরা ফাঁকি বাজ।সেজন্যই বোধ হয় মৃত্যুর সময় মানুষ বলে,আল্লাহ আমাদের কিছুদিন অবকাশ দাও আমরা ভাল হয়ে আসবো।তোমাকে তো একটি জীবন দেয়া হয়েছে কি করেছ যে আবার সময় চাও? ষাট , আশি বা নব্বই বছরের মধ্যে এসেছেন নবী রসূল গন।তাঁরা তাঁদের জীবনকে পূর্ন করে গেছেন। পৃথিবীর অন্যান্য মনিষীগন যেমন-সক্রেটিস,প্লেটো,এরিস্টোটল,নিউটন,আইনস্টাইন, লিও তলেষ্টয় ,জর্জ বার্নাডশ,গৌতম বুদ্ধ এমন অনেকের জীবনের পরিধি ছিল ব্যাপক কর্মকান্ডে ভরা।তারা তো এর চেয়ে বেশি সময় পায় নি।তারা তাদের জীবনকে কাজে লাগিয়েছেন মানবজাতির জন্য।বড় মানুষেরা তাদের প্রতিটি সময়কে প্রজ্জলিত করেছেন।জীবনকে কাজের মাধ্যমে যদি উজ্জিবিত করা যায় তাহলে সাফল্য আসা অবশ্যম্ভাবী।নেতিবাচক দিকে না তাকিয়ে মানুষকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।ধরুন-আপনি একটি পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে চান।কিছুদূর উঠে যদি নিছের দিকে তাকান তাহলে আপনার মন ভেংগে আপনি কখনো নিছে পড়ে যেতে পারেন।মানুষের প্রবনতা হলো সামনের দিকে এগুনো এবং ভাল কাজ করে এগুনো।যে মানুষ হঠাৎ করে বড় অন্কের একটি টাকা লটারীতে পায় তার অবস্হা, আর যে মানুষ নিজেকে সততার সাথে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে বড় অন্কের টাকার মালিক হয় সে কি সমান? কখনো সমান নয়।যে নিজেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে বড় হয় তার ভীতটি থাকে মজবুত যা ভেংগে যাওয়ার নয়।আমাদের শরীরটি আল্লাহর এক নেয়ামত।আমরা যদি আমাদের শরীরের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো আমাদের অংগ প্রত্যংগ সামনের দিকে যাওয়ার প্রবনতাই বেশি।শরীরের গতি থাকে সামনের দিকে।মানুষকে আক্রমন করতে হবে তার মেধা,চেষ্টা সাধনা,প্রাজ্ঞতা , বিজ্ঞতা ও প্রতিনিয়ত সংগ্রামের মাধ্যমে।একটি প্রচন্ড বিশ্বাস থাকবে যে আমি এগিয়ে যাবো-ই।বিশ্বাসের কৌশলটি হলো কাজের মাধ্যমে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করা।সেজন্য আমি বলি-স্বপ্ন দেখার কোন বিষয় নয় , কাজে পরিনত করার নাম।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন