সত্যবাদিতার মত মৌলিক গুন আমাদের জীবনে নেই।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:০৯:০৮ দুপুর
সত্যবাদিতা বলতে বুঝায় সৎ চিন্তা,সৎ কথন ও সৎ কাজের দ্বারা একটি জীবনের পথ চলা।একজন মানুষ আল্লাহর পথে যে সংগ্রাম করবে তার মুলে রয়েছে নিজেকে সত্যবাদি করে তোলা।আর চলার পথে তার সংগী হবে সত্যবাদি লোকজন।সূরা তওবার ১১৯ আয়াতে আল্লাহ বলেন,' ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহকে ভয় কর ও সত্যবাদি লোকদের সাথে চল।' আল্লাহর পথে চলার জন্য মু'মিনের দৃঢ় সংকল্পের একটি কাজ হলো নিজেকে সর্বাবস্হায় সত্যবাদি রুপে পরিবার ,সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করা।সত্যবাদিতা ব্যাক্তিকে জান্নাতে পৌঁছে দেয় আর মিথ্যা প্রবেশ করায় জাহান্নামে।সূরা আয যুমারের ৩৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন,' যারা সত্য নিয়ে এসেছে ও সত্য বলে স্বীকার করেছে তারাই মুত্তাকি।' আমরা যদি আমাদের জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে নীরিক্ষন করি দেখতে পাবো,আমরা সত্যের সাক্ষ্য দিচ্ছি না।আমরা নিজের জীবনকে সত্য দিয়ে গড়ে তুলতে পারি নি,আমাদের পরিবার ও সন্তানদের সত্য দিয়ে গড়ে তুলতে পারিনি কিন্তু আমরা অন্যদের পরামর্শ দেয়ার সময় বা বক্তৃতা বিবৃতি দেয়ার সময় সত্য কথনের কথা বলি।আমার যে প্রতিবেশীর সাথে আমি জীবন যাপন করছি,আমার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে বা বাইরের মানুষের সাথে লেনদেন করছি তারা আমাকে সত্যবাদি বলে বিশ্বাস করছে না,তাহলে আল্লাহর কাছে কিভাবে আমি প্রমান করবো যে আমি একজন সত্যবাদি।আমি যা করছি তা লিখে চলছেন কেরামান কাতেবিন(সম্মানিত লেখক)।সূরা কাফের ১৭-১৮ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'দুইজন গ্রহন কারি গ্রহন করে চলছে ডানে ও বাঁয়ে।সে কোন কথাই উচ্চারন করে তারা সদা তৎপর।' এটিই হবে ব্যাক্তির আমল নামা যা ব্যাক্তি পড়বে কেয়ামতের দিন এবং সূরা ইসরার ১৪ আয়াতে বলা হয়েছে এভাবে,'পড় তোমার গ্রন্হ।আজকের দিনে তোমার আত্মাই তোমার উপরে হিসাব তলবকারী রুপে যথেষ্ঠ।'
সেজন্য ইসলাম আমাদের শিখায় আমরা যেন আমাদের জিহ্বার হিসাব নিকাশ কষতে শিখি।আমাদের চলার পথে যত প্রকার কাজের সাথে সম্পর্ক হবে তা হতে হবে সত্যবাদিতার সাথে যেটি খুবই কম পরিলক্ষিত হয়।আমাকে ও আপনাকে আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রমান করতে হবে আমরা এক একজন নীরেট সত্যবাদি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট টি যদি আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে দেখবো কত ভয়ভহ পরিস্হিতির সম্মুখীন হয়ে আছি আমরা।আমরা অনেকে হয়ত চাই সততার সাথে চলবো কিন্তু তা অন্যের কারনে হয়ে উঠছে না।অনেক প্রশ্ন আসছে অনেকে করছেন কিন্তু নিজেরা সমাধানের পথ খুঁজে পাচ্ছেন না কারন তাদের আনাগোনা নেই কুরআন ও হাদিসের সাথে যেটি তাদের জীবনের পরিচালনাবিধি।তাই অজানার কারনে উম্মাদের মত ঘুরে বেড়াচ্ছেন।আর এদের একটি বিরাট অংশ বিদাআতি ও মুশরিকদের খপ্পরে পড়ে যাচ্ছেন।বছর পনেরো পূর্বে সরকারের কয়েকজন পদস্হ কর্মকর্তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল যারা অবসর গ্রহনের পর বুঝতে পেরেছেন জীবনের পথ চলায় অনেক অন্যায় করেছেন ও সম্পদও অর্জিত হয়েছে।ইস্তেগফার করছেন ও ইসলামের বিভিন্ন দলের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।এটি একটি ভাল দিক।তবে অবৈধ সম্পদের উপর থেকে ইস্তেগফার করায় একজন প্রশ্ন করলেন,আচ্ছা চাচা আপনি তো বলেছেন আপনি অবৈধ লেনদেন করেছেন।আপনি কি যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সম্পদ করেছেন তা তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।ভদ্রলোক আর তার কথার কোন উত্তর দেননি।এ রকম মানুষগুলো প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ বার তাছবিহ করছেন অথচ পরের হক নষ্ট করার মত কাজের ব্যাপরে মোটেও চিন্তা করছেন না।যিনি প্রশ্ন করলেন তিনি নিজেই বললেন আপনাকে মানুষের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের সমাজে বেশির ভাগ লোকজন চাকুরি ও ব্যাবসায়ের সাথে সম্পর্কিত।একজন চাকুরি প্রার্থীর চাকুরি মিলে ঘুষ প্রদান বা স্বজন প্রীতির মাধ্যমে।মেধাবি যে ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় অবতীর্ন হয় তাদের কম সংখ্যক চাকুরিটি পায়।এমন প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে ঘুষের কারবার না হয়।আপনি একটি ব্যাবসা করতে যাবেন।ব্যাবসা করতে গেলে অনেকগুলো সরকারি সার্টিফিকেট বা লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে।প্রতিটি লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে ধরনা দিতে হবে কর্মকর্তার আর দিতে হবে ঘুষ।আবার বিপননে যাবেন প্রতিটি স্তরে স্তরে আপনাকে সন্তুষ্ট করে আপনার ব্যাবসায় করতে হবে।সমাজের প্রায় প্রতিটি স্তরেই এখন মিথ্যার ছড়াছড়ি।এমতাবস্হায় একজন সাধারন মানুষকে ঈমান লালন করা ও কঠিন হয়ে পড়েছে।সমাজ ও রাষ্ট্র যখন সুদভিত্তিক অর্থনীতিতে চলমান তখন আমার আর আপনার করনীয় কি? কেউ কেউ বলছেন,আপনার মিনিমাম বেঁচে থাকার জন্য যেটুক করনীয় টেটুকু করলে কোন ক্ষতি হবে না।আবার কেউ কেউ বলছেন,অপরাধ ছোট বা বড় হউক অপরাধকে এড়িয়ে চলতে হবে।অর্থাৎ আল্লাহর সান্নিধ্যে যেতে হলে একজন মানব /মানবীকে সৎ থাকতে হবে।বিকল্প এমন প্রফেশন পছন্দ করতে হবে যেখানে ঘুষের কারবার না করতে হয়।নবী রসূলরা ছিলেন প্রতিটি সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষ ও সত্যবাদি।মানব জাতির জন্য তাঁরা আদর্শ। তাঁরা তাদের জীবিকা সংগ্রহের জন্য ছাগল চরিয়েছেন,অভুক্ত থেকেছেন,নিজের কাজ নিজে করেছেন।কোন রকম কায়ক্লেষে সত্যবাদিতার সাথে জীবনের পথ ফাঁড়ি দিয়ে আল্লাহর সাথে মোলাকাত করেছেন।এই প্রেকটিসটি আজকে আমাদের মুসলমানের মধ্যে নেই।আমরা রাষ্ট্রের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে অসততার আশ্রয় নিচ্ছি।আমরা অন্য কোন পন্হা খুঁজতে চেষ্টা করছি না।আমরা যদি অপরাধিদের সবাই মিলে অবজ্ঞা করতে পারতাম তাহলে অপরাধ সমাজে স্ফীত হতো না।সত্যবাদিতা একটি দৈনন্দিন প্রেকটিস একটি মুসলিমের জন্য।ইসলামের স্বনামধন্য পন্ডিত ইবন আল কাইউম বলেছেন,'সত্যবাদিতা এমন একটি বড় ষ্টেশন যা থেকে বিকশিত ও জন্মলাভ করে আরো অনেক ষ্টেশন যা আল্লাহর পথে ব্যাক্তিকে ধাবিত করে।' সত্যবাদিতার মাধ্যমে হিপক্রেসি পরাভূত হয়ে ব্যাক্তিকে জান্নাতে পৌঁছে দেয়। যে ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিবর্গ সত্যবাদিতাকে সাথে নিয়ে জীবনের প্রতিটি কাজে যুদ্ধে অবতীর্ন হয় তারা কখনো পরাভূত হয় না।এটি ইসলামের একটি মুল বিষয় যার মাধ্যমে নবি রসূলদের সান্নিধ্যে পৌঁছে দেয় একজন মু'মিনকে।আমরা যদি আমাদের ইসলামি জীবনের ক্রমুন্নতি চাই তাহলে জীবনে নিয়ে আসতে হবে এর চর্চা।শুধু কথায় নয় কাজে দেখাতে হবে।আপনার প্রতিটি মুহূর্তের চলাফেরায়,কথায় ও কাজে আপনাকে অবলোকন করছে আপনার চারপাশের মানুষ।তারাই প্রথম সাক্ষী যারা সাক্ষ্য দিবে আপনার কাজের।আল্লাহ পাক দুজন সাক্ষী রেখেছেন আর তিনি নিজেই জানেন ও দেখেন বান্দাহের প্রতিটি কাজকর্ম।রসূল সা; নিজেই বলেছেন,'আমি তোমাদের সত্যবাদিতার আদেশ করছি যে,সত্যবাদিতা সত্য পথের দিকে তাড়িত করে আর অবশ্যই সত্যবাদিতা জান্নাতের নির্দেশনা দেয় আর মিথ্যা জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে।' এটি মু'মিনের একটি প্রানান্তকর প্রচেষ্টা যে পর্যন্ত না আল্লাহর সাথে মোলাকাত হয়ে যায়।এর জন্য মিথ্যা ও সমস্ত অপরাধকে পরিহার করতে হবে।জীবনের প্রয়োজনে কুরআন ও ছহি সূন্নাকে অনুসরন না করে বিভিন্ন মতবাদ যারা খুঁজতে যান তারা প্রহসনের পথ বেচে নেন।আপনার ধর্মের মুলনীতি বলেছে এটি করতে হবে বা করতে হবে না সেটিই মেনে নিন।আপনাকে যদি কোটিপতি হতে হয় তখন আপনি খুঁজবেন কোথায় উলামাদের ফিখহ রয়েছে।কুরআন ও ছহি সুন্নাহ আপনাকে বলে দিচ্ছে কাজটি করা যাবে না কিন্তু আপনি সমাজে নিজেকে বড় করার জন্য অন্য পথ বেচে নিলেন।আপনি আপনার ব্যাবসা পরিচালনা করার জন্য নিজে ঘুষ দিবেন না কিন্তু নিয়োগ করলেন একজন অফিসার যে আপনার পরিবর্তে ঘুষের কাজটি করবে।আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন ও তাছবিহ গুনবেন এটি ইসলাম নয়।আল্লাহর সাথে মূর্খতার সাথে আপনি প্রহসন করছেন।একজন মানুষকে তিনটি গুনে গুনান্নিত হতে হয়।যখন সে মানুষের সাথে কথা বলবে সত্য বলবে, যখন কেউ তাকে কোন ব্যাপারে বিশ্বাস করবে সে বিট্রে করবে না আর যখন সে কারো সাথে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয় তা ভংগ করবে না।যদি ব্যাক্তি এ কাজগুলো করে তার আত্মা তাকে ভালবাসবে,তার জিহ্বা তাকে প্রশংসা করবে এবং তারা তার বিপদে সাহায্যে এগিয়ে আসবে।যারা সত্য কথন ও কাজের সাথে জীবন পরিচালনা করবে কেয়ামতের দিন সত্যবাদিদের সাথে অবস্হান করবে।এ কথার সত্যতা প্রমান করে সূরা নিসার ৬৯ আয়াত যাতে বলা হয়েছে,'যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আজ্ঞা পালন করে,এরাই তবে রয়েছে তাদের সংগে যাদের উপর আল্লাহ নিয়ামত প্রদান করেছেন।নবীগনের মধ্য থেকে,সত্যপরায়নদের,সাক্ষ্যদাতাদের এবং সৎ কর্মীদের আর এরা হচ্ছেন সবচেয়ে ভাল বন্ধুবর্গ।' আল্লাহ পাক সূরা মারিয়ামের ৪১, ৫৪ ৫৬ আয়াতে নবী ইব্রাহিম ,ইসমাইল ও ইদ্রিস আ; সম্পর্কে নিজেই বলছেন,'আর কিতাবখানিতে স্মরন কর ইব্রাহিমের কথা-নি:সন্দেহে তিনি ছিলেন একজন সত্যপরায়ন নবী। আর কিতাবখানিতে স্মরন কর ইসমাইলের কথা।নি:সন্দেহে তিনি ছিলেন সত্যপরায়ন আর তিনি ছিলেন একজন রসূল ও নবী।' আর কিতাবখানিতে ইদ্রিসের কথা স্মরন কর-নি:সন্দেহে তিনি ছিলেন সত্যপরায়ন একজন নবী।' মিশরের রাজা যখন একটি স্বপ্ন দেখলেন ও সভাসদের কাছে স্বপ্নের ব্যাখ্যা চাইলেন তখন সূরা ইউসুফের ৪৬ আয়াতে সম্ভাষন করা হয় এভাবে,'ইউছুপ! হে সত্যবাদি।আমাদের জন্য ব্যাখ্যা করে দাও সাতটি মোটাসোটা গরু যাদের খেয়ে ফেললো রোগা পাতলা সাতটি এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অন্যগুলো শুকনো।' নবী রসূলগন যেমন সত্যবাদি ছিলেন তেমনি ছিলেন ন্যায় পরায়ন।ঈসা আ;এর মাতা সম্পর্কেও কুরআন সাক্ষ্য দিচ্ছে যে তিনি দিলেন সত্যবাদি একজন রমনী।সূরা মায়েদার ৭৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'মরিয়ম পুত্র ঈসা রসূল বৈ নন।তার পূর্বে অনেক রসূল অবগত হয়েছেন।আর তার মাতা ছিলেন সত্যপরায়না একজন নারী।' কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদিস থেকে প্রমানিত হয় আল্লাহর ইবাদতের জন্য মানুষকে সর্বাবস্হায় সৎ থাকতে হবে ও সৎ কাজ করতে হবে।রসূল সা; তাঁর একটি হাদিসে জোর দিয়ে বলেছেন যে আমাকে দু'টি জিনিসের নিশ্চয়তা দিবে আমি তাকে জান্নাত দান করবো।তা হলো-মুখ ও গোপনাংগের নিশ্চয়তা।' আল্লাহ পাক মু'মিনদের প্রতিদানের নিশ্চয়তা দিতে গিয়ে সূরা আহযাবের ৩৫ আয়াতে বলেন,'নিশ্চই মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী,মু'মিন পুরুষ ও মুমিন নারী,অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী,সত্যনিষ্ঠ পুরুষ ও সত্যনিষ্ঠ নারী,অধ্যবসায়ী পুরুষ ও অধ্যবসায়ী নারী,বিনয়ী পুরুষ ও বিনয়ী নারী,দানশীল পুরুষ ও দানশীলা নারী,রোযাদার পুরুষ ও রোযাদার নারী,আবরু রক্ষাকারী পুরুষ ও আবরু রক্ষাকারী নারী আর আল্লাহকে বহুল স্মরন কারি পুরুষ ও নারী -আল্লাহ এদের জন্য রেখেছেন পরিত্রান ও বিরাট প্রতিদান।' এভাবে আমরা দেখতে পাই সত্যবাদিতার কোন বিকল্প নেই।ধর্মভীরুদের জন্যই রয়েছে পরকালীন শান্তি ও সমৃদ্ধি।যারা তাদের জীবনের সময়গুলো আল্লাহর নির্দেশে ও রসূল সা; এর পথ অনুসরন করে পরিচালনা করবে তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত শান্তি যা বলা হয়েছে সূরা ক্কামারের ৫৪-৫৫ আয়াতে এভাবে,'ধর্মভীরুরা অবশ্যই থাকবে ঝরনাবেষ্টিত জান্নাতে।সত্যের আসনে সর্বশক্তিমান রাজাধিরাজের সমক্ষে।' সমাজকে উন্নত করতে হলে,সত্যবাদি সমাজ ব্যাবস্হা গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠ হতে হবে।অন্যায় ও আপরাধকে শুধু ঘৃনাই নয় আমাদের সামর্থনুসারে মানুষকে পরিশিলীত করার কাজ করতে হবে।নিজে পরিচ্ছন্ন থাকুন,পরিবার ও সন্তানকে পরিচ্ছন্ন রাখুন,আপনার জীবনের প্রয়োজনে ঘুষ দেয়া থেকে বিরত থাকুন।আমরা প্রত্যেকে যদি অন্যায়কে ঘৃনা করতে শিখি তাহলে অন্যায় ও অপরাধ কমবে।এখন আমরা সবাই প্রতিযোগিতা করছি ধনাঢ্য ব্যাক্তিতে রুপান্তরিত হওয়ার জন্য।আপনি একটি বাড়ি করছেন ও কাজটি করে নেয়ার জন্য একজনকে বড় অন্কের টাকা দিয়ে দায়িত্ব দিলেন ও বাড়িটি হয়ে গেল।আপনি ভাবছেন অন্যায় করছেন না।আসলে আপনি নিজে একটি ঠক।অনেক সত্যবাদিকে দেখেছি কোন মর্টগেজ লোনের কাছেও যান নি।জীবনে তার নিজের কোন বাড়ি নেই।চলছে তো জীবন।মনে রাখুন ইসলামের পথ হলো সোজা ও সরল পথ।ডানে বামে বিচ্যুত হওয়া মানে আপনি কাঁটা তারের বেড়িতে আঁটকে গেলন।রসূল সা: বলেছেন,' মু'মিনের রাস্তা হলো একজন পথিকের মত যে রাস্তা চলছে ও বিশ্রাম নিয়ে আবার পথ চলছে।' দুনিয়ার জীবনটি হলো মানুষের পথ চলা বিশ্রামের সাথে আর হঠাৎ করে মালাকুল মওত আসবে ও চলে যেতে হবে আপন আপন গন্তব্যে।এ পথটিকে বেচে নেওয়ার মানুষিকতা অর্জন করারই একজন মু'মিনের অবশ্য কর্তব্য।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন