আমাদের গনতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কি?
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২২ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৪২:৪১ দুপুর
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে এক রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সূর্যকে চিনিয়ে এনেছিল।এ দেশ আমাদের সবার দেশ।পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ ছিল এ দেশ বছরের পর বছর।এদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ শৃংখলের শিকল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার জন্য এক হয়ে গিয়েছিল।যুদ্ধের ৯টি মাস কি অদ্ভুৎ সেতুবন্ধন তৈরি করে দিয়েছিল গ্রাম আর শহরের মানুষের মধ্যে।কারো মধ্যে তেমন ভেদাভেদ ছিলনা।শহরের মানুষগুলো ছুটে গিয়েছিল গ্রামে।গ্রামের কৃষক পরিবার থাকতো টিনচালা ঘরে।কারো একটি বড় ঘর তার সাথে আর একটি বৈঠক খানা বা অনতিদূরে একটি বড় গোয়াল ঘর।শহরের উচ্চ শিক্ষিত পরিবার যারা বিপদে পড়ে এসেছিল তাদেরও কোন আপত্তি ছিল না এ টিনচালা ঘরে থাকতে এমনকি গোয়াল ঘরের পাশে।কৃষকের ঘরে ছিল চাল,ডাল,পালিত হাঁস মুরগি,নিজের জমির তরিতরকারি, গাভীর দুধ।অনেকে থেকেছিল মাসের পর মাস।মেহমানদারির কচুর করেনি কৃষক।যেদিন তাদের চলে যাওয়ার সময় হলো কৃষকের চোখেই অশ্রু ঝরেছে।অবশেষে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলাম ১৯৭১ সালে অনেক রক্তের বিনিময়ে।অনেক পরে কৃষকের যে ছেলেটি ছিল স্কুল পড়ুয়া,সে বায়না ধরলো শহরে যাবে কিন্তু থাকবে কোথায়? বাবা বললো, চল ঐ যে তর চাচার বাসায় দিন দুই থাইক্যা আসুম দেহা ও অইবো। প্রায় দড়শ কিলোমিটার বাসে চলে অনেক কষ্টে খুঁজে বের করলো।কলিং বেল টিপতেই দরজা খুলে লুংগি পান্জাবি ও সেন্ডেল পরিহিত একজন শীর্নকায় লোক ও তার একাদশ বা দ্বাদশ বছরের একটি ছেলেকে দেখে বললো তোমরা কি চাও? ছেলেটি বললো খালাম্মা আমারে চেনেন না? ঐ যে আপনেরা যুদ্ধের সময় আমগো বাড়িতে কয়ডা দিন থাইক্যা আইছিলেন। ঐ ছেলে কি বল আমরা কখন তোমাদের বাড়িতে ছিলাম।ছেলেটির বাবা ভ্রমে পড়ে গেল।ছেলেকে বললো,বাজান ভুল করি নাই তো?।ছেলে বললো,বাজান না আপনে ভুল করেন নাই,আমরা ভুল কইরা আইছি।নিছে নেমে দারোয়ানকে জিজ্ঞাসা করলো ঐ যে দোতলায় সাহেব থাকে উনার নাম এইডা না? দারোয়ান বললো হাঁ।বাবা ছেলেকে বললো,চল ফিরা যাই আমগো গাঁ-গ্রাম-ই ভালা।ওহানে মানুষের জন্য মানুষের দরদ আছে।শহরে ইটের ঘরের অন্তর ইট-কাঠের মত,এই বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল।
স্বাধীনতার পর এভাবেই গ্রাম আর শহরের মানুষের ব্যাবধান বাড়তে থাকলো। আমরা নিপিড়িত হয়েছিলাম, আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল বিদেশী শক্তি কিন্তু তারা আমাদের দমাতে পারেনি।কিন্তু স্বাধীনতার কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা যে স্বপ্ন লালন করেছিলাম তা ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল।যে সাম্যের কথা বলে,নিপীড়িত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলে মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা ঠিকই নতুন সূর্য চিনিয়ে এনেছিল।তারা হেরে গেল নিমিষেই।তাদের পরিবার হারালো স্বামি-সন্তান,যুবতি হারালো তার সম্ভ্রম,বিকলাংগ হলো মুক্তি যোদ্ধা,তাদের অনেকেই চলে গেলেন আর কিছু আছে বাকি।সনদ হাতিয়ে নিল মুক্তি যুদ্ধের নামে অনেক অপশক্তি যারা যুদ্ধের নামে পালিয়ে ছিল এপার বা ওপারে।অপরাজনীতির বেড়াজালে গত কয়েক যুগ নিষ্পেষিত এদেশের মানুষ।সমাজ হয়েছে বিভক্ত।একশ্রেনী বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়েছে আর এক শ্রেনী নিষ্পেষিত ও ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে অস্তমিত সূর্যের অপেক্ষায়। কিন্তু তাদের হৃদয় উদ্ভাসিত ও আন্দোলিত যে তারা স্বাধীন দেশে বাস করছে।তারা আশাবাদি যে একদিন না একদিন এ দেশের মানুষ তথা তাদের প্রজন্ম বুঝতে শিখবে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখবে।যে গনতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছিল সে গনতন্ত্র আজো আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি কারন বিদেশী শক্তি ও শত্রুকে আমরা পরাভূত করলেও আমরা তাদের দোষরদের চিহ্নিত করতে পারিনি।দেশীয় শক্রু হিসেবে জামাতকে অনেকে চিহ্নিত করলেও তাদের চেয়েও অধিক গনতন্ত্রের শক্রু ছড়িয়ে আছে বড় ছোট দলগুলোতে।যারা ঘাপটি মেরে বসে আছে কখন সুবিধা আদায়ের সময় আসে।পালা বদলে তারা তাদের পুষ্ট করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাছার করে। বাংলাদেশের এলিট শ্রেনী গত দু'দশকে এমেরিকা ,কানাডা,সিংগাপুর,অষ্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া সহ আরো অন্যান্য দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার আবাস বানিয়ে নিয়েছে।কারন তারা এদেশে নিজেদের ভবিষ্যৎ দৃড় করতে চায় না।এরাও স্বাধীনতার শক্রু। এরা যুদ্ধ করেনি দেশের জন্য এবং এদের আকাংখ্যা ছিল দেশ স্বাধীন হলেই নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরাবে। এ দেশের প্রতিটি শস্যকনায় যে মানুষের অধিকার রয়েছে তা সব শাসক শ্রেনী ভুলে গেছে।তারা আজ অধিকার বন্চিত করেছে তাদের যাদের রক্তের দাগ এখনো মুছে যায় নি।এ দেশের রাজনীতিবিদরা তাদের করুনা করছে, না- তারা এই অধিকার বন্চিত মানুষের করুনার পাত্র।একটি একটি করে তাদের অধিকার খর্ব করছে। রাজনীতির বেড়াজালে তারা যে তান্ডবের শীকার হচ্ছে তার বিচার কেউ করতে সক্ষম হয় নি।প্রতিদিন সাধারন মানুষ ঝরে পড়ছে সহিংসতায়,পুড়ে ভষ্ম হচ্ছে তাদের ঘরবাড়ি,ঝলসে মারা যাচ্ছে,গুম-খুনের শিকার অগনিত মানুষ।এ কোন অপরাজনীতি? এ কি আমাদের স্বাধীনতার ফসল? সরকার কি এদের বিচারের আওতায় আনতে পেরেছে? প্রকৃত দোষীদের কেন ধরতে ব্যার্থ হচ্ছে প্রশাসন?
আমাদের বাকশক্তি ও মিডিয়া পৃথিবীর অনেকে দেশের চেয়ে শক্তিশালী। কোন ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই এখন চলে আসছে মানুষের গোচরে কিন্তু প্রশাসন ব্যার্থ হচ্ছে তার বিচারের। করাপ্সন একটি সামাজিক ব্যাধি আর এর সাথে রয়েছে আন্তর্জাতিক একটি চক্র। বাংলাদেশের মানুষ ইসলাম প্রিয় ও অন্যান্য ধর্মের সাথে সহঅবস্হান কারি একটি অন্যতম ধর্ম।এখানে ধর্মীয় উগ্রতার নামে যে জংগি সংগঠন গুলো রয়েছে তা অতিসামান্য।আবার এরা জড়িয়ে আছে বড় বড় রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে।ক্ষমতাকে পুষ্ট রাখার জন্য ব্যাবহৃত হয়ে থাকে যার ফল আমরা দেখতে পাই মাঝে মাঝে যারা সমাজকে অস্হিতিশীল করে তোলে।ইদানিং ইসলামের আর এক অশুভ শক্তি মাথাছাড়া দিয়ে এসেছে রাজপথে।ইসলামে হিজাব(বোরখা) একটি পোষাক যা মা ও বোনদের পর্দার ভিতর রাখে।যা সমাজকে অশ্লীলতা থেকে রেহাই দেয়। সে পোষাক পরে বাস ষ্টান্ডগুলোতে , শহরের বিভিন্ন লোকেশনে চিনতাই করছে। আর তাদের এজেন্ট থাকছে বিভিন্ন রেসিডেন্সিয়েল এলাকাগুলোতে। এই অশুভ শক্তির এমন কাজে নির্যাতিত হতে পারে আমাদের নিরাপরাধ মা বোনেরা। আইনশৃংখলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে সক্রিয় থাকতে হবে যাতে করে সন্দেহ করে নিরপরাধ মা-বোন যারা বোরখা পরেন তাদের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য,তাদের উপর যেন কোন অবিচার না হয়। যারা সমাজে সত্যিই এ কাজ গুলো করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে ও জনসাধারনকেও এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে হবে আইনপ্রয়োগকারি সংস্হাকে।সব দেশেই আইন শৃংখলা বাহিনী হলো জনগনের বন্ধু। কিন্তু আমাদের প্রশাসন, পাশে পুলিশ ষ্টেশন, রেপিড ব্যাটেলিয়ন ফোর্স,আর্মি বা অন্যান্য সহযোগি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদেরকে মানুষের বন্ধু হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি। তারা জনগনের বন্ধু না হয়ে শত্রুতে পরিনত হয়েছে।আইনশৃংখলার চরম অবনতি মানুষকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।এর কারন হলো যে গনতন্ত্রের কথা আমরা বলি সে গনতন্ত্রের স্বরুপ কি তা আমরা বুঝতে পারিনি।আমাদের যারা শাসক হয়ে সংসদে আসছে তাদের অনেকেই এই সংসদের মর্যাদাকে ধারন করার সামর্থ রাখে না।
১৬ কোটি মানুষকে শাসন করার জন্য যে সংবিধান তৈরি হয়েছে ৪৪ বছরে সে সংবিধানকে যুগপযুগি করে,মানুষের কল্যানের একটা সনদে আজও রুপান্তরিত করা যায়নি।এর কারন হলো ক্ষমতার লোভ ও দুষ্টচক্রের কালো হাত।আজকের বিশ্বে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বহুদলীয় গনতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে এবং মুসলিম দেশগুলোতে ও তার চর্চা হচ্ছে।উন্নত দেশগুলোতেও অনেক রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে তাদের গনতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে তবে শতভাগ উন্নীত হয়েছে তা বলা যাবে না।তবে তারা একটা মানে উন্নীত করতে পারছে।আমাদের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে এর ফলাফল কখন আমরা দেখতে পাব তা বলা কঠিন কিন্তু এগুচ্ছে।গনতন্ত্রের ফল পেতে হলে কিছু মৌলিক জিনিসের প্রয়োজন সেগুলো আমাদের এখানে অবর্তমান।যারা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তারা হলো জনগনের মধ্য থেকে বাচাইকৃত জনপ্রতিনিধি।আমাদের দেশে দু'টি রাজনৈতিক জোট।এক দলীয় ও সামরিক শাসনের কথা বাদ দিলে মোটামুটি গত ৩১ বছর ধরে গনতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে আমাদের দেশে।কিন্তু গনতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ না পাওয়ার কারন হলো- আল্লাহর পর মুলশক্তি জনগনকে উপেক্ষা, ক্ষমতার লোভ,ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের মধ্যে সহনশীলতা ও সৌহার্দপূর্ন সম্পর্ক না থাকা এবং সমাজের সর্বস্তরে অপরাধি তৈরি হওয়া।সাধারন মানুষ যে অপরাধের সাথে যুক্ত তা tip of icebarg এর মত।বড় বড় সব অপরাধ হয়ে থাকে উপরের লেভেলে যা আমরা পত্রপত্রিকায় দেখতে পাই।এরাই সমাজ ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে।মানুষের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু কোন ব্যাবস্হা নেয়া হচ্ছেনা।এই ব্যাবস্হা না নেয়ার কারন হলো আইনের শাসন নেই।রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান উপাদান - আইন,শাসন ও বিচার বিভাগ।যদি কোন দেশে সরকারের হাতে রাষ্ট্রের অন্যান্য অংগ গুলোর হাত পা বাঁধা থাকে তাহলে সেগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে।বাংলাদেশে গনতন্ত্রের যে রুপ সেটা এক রকম এভাবেই চলছে।কিন্তু আমরা যারা দেশ নিয়ে ভাবি,আমাদের নিজ নিজ যায়গায় কাজ করি,দেশের জন্য কল্যানকামি তারা হতাশ হই না।প্লেটোর রিপাবলিকে সক্রেটিসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল দেশপ্রেম কি? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন,যার যার যায়গায় সঠিকভাবে কাজ করা।আমাদের দেশে এই একটি নৈতিক ভিত্তি দাঁড় না হওয়াতে আমরা উন্নতি করতে সক্ষম হইনি।আমি অবাক হয়ে যাই,এদেশে কি না আছে? আমাদের কৃষক শ্রমিক, জেলে ,তাঁতি,আমাদের নারি শ্রমিক,আমাদের বিদেশ শ্রমিক যারা রেমিটেন্স পাঠায়,আমাদের প্রাইভেট সেক্টর তারাই তো নিজেদের চেষ্টায় এদেশের জিডিপি কে উন্নীত করছে।আমাদের রাজনৈতিক স্হিতিশীলতা ও সাংসদ সহ অন্যান্য যারা আপরাধের সহিত জড়িত তারা যদি তাদের অপরাধকে কমিয়ে আনতে সক্ষম হতো এদেশ অনেক আগেই উন্নীত হতে পারতো।এখন প্রশ্ন হলো আমাদের রাজনীতিবিদরা গনতন্ত্রের আসল অর্থ বুঝবেন কিনা? যার যার দলের মত যদি তারা গনতন্ত্রকে বুঝেন তাহলে কখনো গনতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পাবে না। প্রথম কথা হলো- দেশকে গনতন্ত্রের আদলে চালাতে চাইলে নিজের দলে গনতন্ত্র থাকতে হবে।আমরা যা অবলোকন করছি তাহলো-কোন দলেই চেইন অব কমান্ড নেই আর তৃনমুল থেকে নেতা তৈরি হয়ে উঠছেনা।এক সময় ছিল যারা ছাত্রনেতা হতো তারা ছিল পড়ুয়া ও জ্ঞানের অধিকারি।বভিন্ন পট পরিবর্তনে তারা নেতা হলেও নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারেন নি।বরং তারা তাদের নেতৃত্বকে পাকাপোক্ত করার জন্য দলে লেজুড় বাহিনী সৃষ্টি করলো।আর এই লেজুড় বাহিনী তাদের তৈরি করলো মাসলম্যান হিসেবে এবং তারা নেমে পড়লো অর্থ রোজগারের দিকে।এর ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতার পর গড়ে উঠেছে এক অশুভ শক্তি যারা এখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কালো টাকার মালিক। এই শক্তি এখন ঢুকে পড়েছে সংসদে যার পরিনতি আমরা দেখতে পাচ্ছি,তাদেরই হাতের মুঠোয় এখন প্রশাসন।
আমাদের দেশে এখন যে গনতন্ত্র তা হলো পরিবার তন্ত্রের অন্তর্গত।গনতন্ত্রের মুল সোর্স হলো দেশের জনগন।জনগন তাদের নেতা নির্বাচিত করবে একটা সুন্দর ও মার্জিত নির্বাচনের মাধ্যমে যা হবে মুক্ত ও সততার নির্বাচন এবং তখন তারা জনগনকে শাসন করবে।বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে এদেশের মানুষ বন্চিত হয়েছে একটি মুক্ত গনতন্ত্রের। যারা শাসন করবে তাদের মুল উদ্দেশ্যটা কি? গ্রীক ডেমক্রেসিতে এককালে জনগন স্বতস্ফুর্তভাবে তাদের নেতা নির্বাচিত করতো।সেটা অবশ্য এখন নেই।আমাদের দেশে যখন তারা কথা বলে তখন কেউ কেউ সত্য বলে যে আমরা মুক্ত গনতন্ত্র চাই।কিন্তু যখনই তারা নির্বাচনে যায় তাদের সে মতের উপর স্হায়ি থাকেনা। শাসক ও বিরোধী দুই দলই তখন ভোট ব্যাংক চুরির কাজে লেগে যায় আর এর মধ্যেই নেতা নির্বাচিত হয়।যারা নির্বাচিত হয়ে আসেন তারা বেশিরভাগ অনৈতিকতায় গড়া মানুষ।নির্বাচন করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে আসার পর তাদের চিন্তা থাকে কত তাড়াতাড়ি ক্ষমতার অপব্যাবহার করে আগামি দিন গুলোতে টিকে থাকা যায়।মানুষের ইচ্ছার যে প্রতিফলন তা হচ্ছে না দুটো কারনে।এক হলো- সফল নির্বাচন হচ্ছে না।আর দ্বিতীয় হলো-যারা সংসদে আসেন তারা সিংহভাগ নৈতিক জ্ঞানহীন ও অপরাধ প্রবন। এই চরম অবস্হায় আমরা জনগন যে গনতন্ত্রের আকাংখ্যা করছি তা মরুভূমির মরিচিকার মত ও একটি বিরাট চ্যালেন্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।একটি আশার কথা যে এ দেশে অনেক ভাল মানুষের সৃষ্টি হয়েছে।তারা মিডিয়ায় আসছেন,আমরা সবাই আমাদের লিখার মাধ্যমে শেয়ার করছি কিন্তু এগুলো মনিটর করে সংশোধন যারা করবে তারা তো অন্ধ ও বধিরের মত। উন্নত দেশগুলোতে মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়াকে গুরুত্ব দেয়া হয়।সরকারের আলাদা ডিপার্টমেন্ট থাকে যারা নতুন তথ্য সংগ্রহ করে শাসকদের অবহিত করে।এর মাধ্যমে সংস্কার হয় ও দেশ উন্নতির দিকে যায়।আমাদের মত দেশে হয় এর উল্টোটি।যারাই সরকারকে জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করে তাদের কারাগারে পুরে দেয়া হয় , নির্যাতন করা হয় ও তাদের বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়।সমাজে গরীব ও ধনীর পার্থক্য থাকলে,শিক্ষা ও অশিক্ষার বিরাট ব্যাবধান থাকলে গনতন্ত্র প্রতিফলিত হয় না।যে দেশের বিশাল জনগন এখনো দারিদ্রসীমার নিছে,শিক্ষা নেই,স্বাস্হ নেই,বাসস্হান নেই তাদের কাছে গনতন্ত্রের মুল্য কি? সেজন্য দেখা যায় সমাজে জনপ্রিয় নেতা থাকলেও ভোটের আগেরদিন ২০০ বা ৫০০ টাকা দিলে তার ভোট বিক্রয় করে দেয়।মানুষের কাছে এই তিনটি বিষয় মিনিমাম লেভেলে না পৌঁছা পর্যন্ত গনতন্ত্রের আলো আসতে পারে না।আমাদের দেশে উদিয়মান গনতন্ত্র তার পরও বাধাগ্রস্ত হয় নি।আমরা যদি স্বাধীনতার কথা চিন্তা করি বুঝতে কষ্ট হয় না মাত্র একজন মানুষের নেতৃত্বে জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।সুতরাং টেকসই গনতন্ত্রের জন্য সৎ ও চৌকশ নেতা তৈরি হতে হবে এবং এর কোন বিকল্প নেই।
যারা আজ অনেকে বলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি ডেমক্রেসি অনুসরন করবো তারা কি ভেবে দেখেনা ইংরেজরা ৯শ বছর প্রেকটিস করে এখানে এসেছে।সেখানে হত্যা সংঘঠিত হয়েছে এবং ধীরে ধীরে আসতে হয়েছে তাও মাত্র দেড়শ বছর চলছে।সেখানে পৌঁছতে হলে আমি বলছি না তাদের অনুসরন করতে হবে।কিন্তু আমরাতো সততার ভিত্তিতে আমাদের মত করে একটি শোষনহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারি।আমাদের দেশে যখন গ্রামের দিকে এখনো যাই আমি অবিভূত হয়ে যাই প্রচন্ড বর্ষায়,শীতে,গ্রীষ্মে দরিদ্র মানুষ গুলো কাজ করে চলছে।তারা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চায় না।এমন একটি শক্তি থাকার পরও সরকার তাদের সেই শক্তিকে ব্যাবহার করতে ব্যার্থ হয়েছে।যে দেশে মানুষের শক্তিকে উন্নয়ন করা হয় না,মানুষকে টেকনিকেলি উন্নয়ন করা হয় না সে দেশ উন্নত হবে কেমন করে।পৃথিবীর অনেক দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে আমরা এগিয়ে আছি কিন্তু আমাদের সরকার গুলো আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।আমাদের নেতাদের,দেশের সব শ্রেনীর মানুষদের বিশেষ করে সিভিল সোসাইটির একটা ভূমিকা রয়েছে।প্রশ্ন হলো আমাদের সব শ্রেনীর পেশাজীবিরা নিজেদের বিভক্ত করে রেখেছেন তাদের স্বার্থের কারনে।এই স্বার্থপরতায় শাসক শ্রেনি শক্তি সন্চয় করে আরো হিংস্র হয়ে উঠেছে।মানুষকে বিভক্ত করে,রক্তাক্ত করে,শোষন করে গনতন্ত্র আসতে পারে না।বরং মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্হার উন্নতি করলে,মানুষের গড় আয়কে বৃদ্ধি করলে,শিক্ষার প্রসার করলে,স্বাস্হ ও বাসস্হানের উন্নয়ন করলে সে সরকারকেই জনগন বেচে নিবে।আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতারা নিজেরা পরিশীলিত নয় বলেই তাদের মানুষ সম্মান করে না।তারা কথা যা বলে তার ৯৫% মিথ্যা বলে ও অংগীকার করে।আমাদের দেশে ৯০ এর পরে গনতন্ত্রের একটা বাতাস বইছিল।কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর অস্বচ্ছতার কারনে বিভিন্ন সময়ে উঠা নামা করেছে আর এখন তো গনতন্ত্র ছাড়াই নির্বাচন হচ্ছে।এই স্বৈরতান্ত্রিক গনতন্ত্রের অবস্হা চলতে থাকলে এদেশের গনতন্ত্র পিছিয়ে যাবে।আমরা দেখছি বড় দুটি রাজনৈতিক দল কোন সমঝোতার মধ্যে আসছে না।একে অন্যকে যেভাবে অশ্লিল ভাষায় কথা বলছে তা থেকে দেশের জনগন এখন বিভ্রান্ত। স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যলায়ের ছাত্র ছাত্রীরা এগুলো থেকে যে শিক্ষা গ্রহন করছে তার ফল দাঁড়িয়েছে একটি অনৈতিক ফল বেরিয়ে আসছে যারা ভবিষ্যতে দেশের সম্পদ না হয়ে আপদে পরিনত হবে।গনতন্ত্রের মুল একটি সৌন্দর্য হলো আইনের শাসন।এটা ভোগ করবে দেশের জনগন।প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বায়ত্বশাসন ভোগ করবে।সরকার মনিটর করবে কোন অন্যায় সংগঠিত হচ্ছে কিনা।যে ক্ষমতার অধিকারি হবে সে একটা সিসটেম তৈরি করবে যা হবে সততার ভিত্তিতে।রাষ্ট্রের উপর থেকে নিছ পর্যন্ত সবাই আইনের শাসনে চলতে শিখবে।মানুষের বাকস্বাধীনতা থাকবে কিন্তু অন্যায় কথা ও কাজ হলে শাস্তির বিধান কার্যকর হবে।আপরাধি যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত করলে সমাজে বৈষম্য কমবে।মানুষ সুস্হ জীবন যাপন করবে ও অপরাধ কমে যাবে।এখন যা চলছে তা হলো কতৃত্ববাদি ও ব্যাক্তি শাসন।এ থেকে বেরিয়ে না আসলে গনতন্ত্র আশা করা যায় না।আমরা মাত্র গনতন্ত্রের চারাগাছ রোপন করেছি।এই চারাগাছ বড় হবে ডাল পালা গজাবে তার পর ফল দিবে। কিন্তু যে চারাগাছের পরিচর্যা নেই সেই চারাগাছ ডাল পালা দিলেও ফলটা হবে অপরিপক্ক।আমাদের গনতন্ত্রের অবস্হা হচ্ছে ডাল পালা গজালেই তা আবার কেটে ফেলা হয়।এই অবস্হায় গাছটি লিকলিকে হয়ে বড় হবে ঠিক কিন্তু তা থেকে ফল বেরুবেনা।আর এক সময় তা মুলসহ উপড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।যেটা দরকার সেটা হলো আমাদের চিন্তার স্বাধীনতা বাড়াতে হবে,একে অন্যের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে,যে কোন ইস্যুতে সমঝোতার পথ বের করতে হবে,সমস্ত আপরাধ থেকে দূরে থাকতে হবে।গনতন্ত্রকে যদি সর্বস্তরে উন্নীত করতে হয় তাহলে মুল প্রতিষ্ঠান গুলোকে উন্নত করতে হবে ও তাতে আইনের শাসন বলবৎ করতে হবে।আইন,শাসন বিচারবিভাগ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এগুলোকে স্বায়ত্বশাসন দিতে হবে।কেউ কাউকে খর্ব করতে পারবেনা।এগুলোর উন্নয়ন ছাড়া মুখে গনতন্ত্রের কথা বলা অর্থহীন।আসল কথা হলো যারা ক্ষমতায় বার বার আসছেন তারা সবই বুঝেন কিন্তু নিজেদের ক্ষমতার লোভ ও গোয়ার্তুমির জন্য দেশের মানুষ বিপর্যস্ত।আমরা যে বিচারের স্বচ্ছতার কথা বলি যে অমুক ভাল বিচারক নয় কিন্তু আমি কি ভেবেছি আমার যায়গায় আমি ঠিক বিচারক কিনা? প্রতিটি ব্যাক্তি যদি নিজেকে আইনের কাছে সপর্দ না করে,আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়, কখনো সে প্রতিষ্ঠান ভাল হবে না।
সরকারকে জনগনের কাছে দায়বদ্ধ করার প্রবনতা তৈরি করতে হবে।এখন বিচারকদের যে অভিসংশনের কথা বলা হয়েছে তাতো আরো মারাত্মক।যে সংসদ বর্তমানে আছে তার কাছে যদি বিচারকরা দায়বদ্ধ থাকে তাহলে তারা সঠিক বিচার করতে পারবেনা।যাদের মাথায় একটু বুদ্ধি আছে তারা এটা বুঝতে পারেন।বিচারকদের এর মাধ্যমে এলার্ট করা হচ্ছে যে আপনারা রায় দেয়ার আগে চিন্তা ভাবনা করে রায় দিবেন।স্বভাবত বিচারকরাও একজন মানুষ।তাদের চরিত্রের দৃড়তা থাকলেও তাদের পরিবার ও ছেলে মেয়ে আছে।রুটি রোজগারের প্রয়োজন রয়েছে সে কারনে তারা সঠিক রায় দিতে ব্যার্থ হবে।খুব কম মানুষ পৃথিবীতে আছে যারা তাদের ন্যায়ের জন্য মৃতু্্যর দিকে ঠেলে দিতে পারে।পৃথিবীর উন্নত দেশে একটি বড় পোষ্টে যেতে হলে তার জন্য অনেক সাংবিধানিক নিয়ম রীতি রয়েছে।আমাদের দেশে সেটা নেই।একজন জেনারেল বা বিচারক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তা হতে হলে দেশের প্রধানের অনুমোদন হলেই চলে আর সংবিধানতো ক্ষমতা দিয়েই রেখেছে।সে কারনে সামরিক স্বৈরাচার আর গনতান্ত্রিক স্বৈরাচারের মধ্যে খুব বড় একটি পার্থিক্য নেই।একজন মানুষের স্বৈরাচারি হওয়ার কারন হলো তাকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়ে দেয়া।আমরা যারা- দেশের প্রধানমন্ত্রী সে যে-ই হোক তাকে দোষারোপ করি সেটাও একটি ভুল কাজ।আমাদের জনগনের উচিত সংসদকে চাপ প্রয়োগ করা যাতে সংবিধানের যে যে যায়গা গুলোতে ভুলভ্রান্তি আছে সেগুলো সংশোধন করে একটি যুগপযুগী সংবিধান তৈরি করা যাতে সংসদ জনগনের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।পরিশেষে আসুন আমরা দেশকে নিয়ে যার যার যায়গা দেখে ভাবতে শিখি,যার যার যায়গায় সঠিক কাজগুলো সততার সাথে করতে শিখি,একে অন্যের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করি।আমাদের হতাশ হলে চলবে না।আমাদের দেশের মানুষের একটা বড় স্বপ্ন আছে।আমাদের যুব সমাজ আজ অনেক উন্নতি করছে কিন্তু তাদের একটা বড় গাইডেন্স দরকার যারা পথ চলা শিখবে।অনেকে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ইসলামের দেশ বলে আখ্যায়িত করেন কিন্তু ইসলামের আইন কানুনকে মানতে চান না।এই ইসলাম-ই সাড়ে চৌদ্দশ বছর পূর্বে একটি শোষনহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত করেছিল।আজ ইসলাম আছে কিন্তু সঠিক নেতৃত্বের কারনে ও সঠিক মানুষ গড়ে না উঠার কারনে ইসলামের সৌন্দর্য দেখতে পাচ্ছে না।তারপরও বলবো সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে দেশের সব শ্রেনির মানুষকে নিয়ে অতীত পর্যালোচনা করে গনতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার জন্য।মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনার চেষ্টা না করা হলে গনতন্ত্রের ভবিষ্যত অন্ধকার হবে তবে জ্ঞানীর কাজ হলো ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবা ও দেশকে কল্যানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বিষয়: বিবিধ
১৫২৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অথচ এটা তারা আমলে নিচ্ছেনা। নিজেদের আবেগীয় ধারণাকে সঠিক মনে করছে। ষাধারণ মানুষের এসব মানায় কারণ তার কাছে কোন গাইডলাইন নেই কিন্তু যিনি ইসলামের জন্য কাজ করতে চান তার কি এটা মানায়? যেখানে কোরান-হাদিসে বলে দেয়া হচ্ছে, কি কি ঘটতে চলেছে? করনীয় কি কি? আজ আধুনিক বিজ্ঞান পৃথিবীকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছে আর বিজ্ঞানীরা মৃত্যু ঠেকানো, লক্ষ লক্ষ বছর দুরের গ্যালাক্সিতে ভ্রমণ, এলিয়েনের সাথে যোগাযোগ কত কিছুই না করছেন এবং ভাবছেন ভবিষ্যতে সব সত্যি হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে এই আধুনিক সভ্যতা টিকবে তার নিশ্চয়তা কতটুকু? সুরা ইসরায় কোরান বলছে কিয়ামতের আগে আল্লাহ প্রত্যেকটি সভ্যতাকে ধ্বংশ করবেন। অর্থাৎ আধুনিক সভ্যতা খুব বেশিদিন টিকবেনা। কিয়ামতের বড় আলামত হল ৩ টি ভয়বহ ভূমিকম্প( এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আমেরিকায়), ধোঁয়া (মালহামা বা মহাযুদ্ধ) ও আগুন যা দিয়ে আধুনিক মানবসভ্যতা ধ্বংশ হবে। আর বিজ্ঞানীরাও ধারণা করছেন সৌরঝড় কৃত্রিম উপগ্রহগুলোকে অচল করে দিতে পারে, geologist রা বলছেন, বড় আকারে ভূমিকম্প আসার আভাস তারা পাচ্ছেন ইতিমধ্যেই ডিসকভারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আমেরিকা ভয়াবহ ভূমিকম্প ঝুকির মাঝে আছে যাতে অর্ধেক মানুষ মারা যেতে পারে এবং মানচিত্র থেকে অনেক এলাকা হারিয়ে যেতে পারে। সুপ্ত আগ্নেয়গিরিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠছে, সুনামি গোটা পৃথিবীকে কয়েক মুহূর্তে ধ্বংশস্তুপে পরিণত করতে পারে। কাজেই বিজ্ঞানীদের ধারণাগুলো আপেক্ষিক ব্যাপার। এজন্যই কোরান-হাদিস দিয়ে কোন ঘটনার বিচার-বিশ্লেষণ করলে আপনি সত্যের কাছাকাছি পৌছাত পারবেন এবং নিজের করণীয় নির্ধারণ করতে পারবেন। আবেগ দিয়ে পৃথিবী চলেনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন