কি বিচিত্র মানুষ! কি বিচিত্র ধর্মপালন!
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২০ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:০২:০৬ দুপুর
মানুষ আল্লাহ পাকের এক সেরা সৃষ্টি।তার সব কাজই হতে হবে ভাল।চেষ্টা সাধনা করতে হবে ভালভাবে উত্তীর্ন হওয়ার জন্য।ভাল এবং মন্দ মিলে কাজ করা নয় বরং একটি মহান চরিত্রকে লক্ষ্য করে তার দৈনন্দিন কাজগুলো তাকে সাধন করতে হয়।মুসলমানের ধর্মটি এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে যা সূরা আলইমরানের ১৯ আয়াতে বিবৃত হয়েছে,'নি:সন্দেহে আল্লাহর কাছে ধর্ম হলো ইসলাম।'যিনি ইসলামের অনুগত্য করলেন তিনি হলেন একজন মুসলিম।সূরা আহযাবের ২১ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তোমাদের মধ্যে নিশ্চই আল্লাহর রসূলের মধ্যে রয়েছে এক অত্যুৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত তার জন্য যে আল্লাহকে ও আখেরাতের দিনকে কামনা করে আর আল্লাহকে প্রচুর পরিমানে স্মরন করে।' তাহলে একজন মুসলিমকে প্রথমে এক আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ মেনে নিয়ে ইহকালের পরিসরে যে সময়টি বরাদ্ধ হয়েছে তা সমাপ্ত করতে হবে আর দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কর্মে অনুসরন করতে হবে রসূল সা: এর ২৩ বছরের নবুওতি জীবনকে।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো মুসলিমদের মধ্যে দেখা যায় বিভিন্ন বিভেদ ও ধর্মপালনে বিচিত্র রুপ।বিগত দু' দশক থেকে আবার মিডিয়ার কারনে দেখতে পাওয়া যায় মুসলিম পারবার গুলোর সাক্ষাৎকার।এখানে আমাদের জেনে রাখা দরকার ইসলাম পালনের জন্য আল্লাহর কিতাব আলকুরআন ও রসূল সা: এর ছহি হাদিস হলো অনুসরনীয়।আর এই দু'টি বস্তুকে উম্মতের যারা অনুসরন করবে তাদের কাজ কর্মকে অনুসরন করা যেতে পারে।মিডিয়ায় সাধারনত ডাকা হয় সমাজের এলিট বলে যে সমস্ত মানুষ আছে তাদের।এদের মধ্যে ডাক্তার ,প্রকৌশলী,সচিব ,মন্ত্রী,সাংবাদিক, শিক্ষক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ডাকসাইটে ব্যাবসায়ি বা এরকম পদাবলীর সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গকে।নি:সন্দেহে আমরা সবাই এক আল্লাহ ও শেষ রসূল সা: এর উপর ঈমান এনেছি তাতে কোন সন্দেহ নেই।কিন্তু কেউ যদি নিজেকে ইসলামিক বা ইসলামিক পরিবার বলে আখ্যায়িত করে এবং কোটি কোটি মানুষের সামনে নিজেদের প্রকাশিত করেন ও ইসলামের অনুসরনের কথা বলেন অথচ সে জীবন গুলোর কথার সাথে আলকুরআন ও ছহি সুন্নাহের কোন কোন ক্ষেত্রে মিল থাকে না তখন বিভ্রান্ত হতে হয় জাতিকে।একটি উদাহরন দিতে চাই যা ইতিপূর্বে জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়েছিল।আমি কারো গীবত করছি না কিন্তু কুরআন ও ছহি হাদিস অনুশীলন করতে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, তারা যেভাবে নিজেদের ইসলামিক পরিবার বললেন সেখানে রয়েছে ইসলামের অনেক দুর্বলতা যা জানিয়ে দেয়া ঈমানি দায়িত্ব বলে মনে করছি।কোন সাধারন ইসলামিক পরিবার,যাদের কুরআন ও ছহি হাদিসের অনুশীলন নেই,তারা মনে করে নিতে পারে সমাজের এই লার্নেড ব্যাক্তিটি বা ব্যাক্তিবর্গ যারা ইসলামের কথা বলছেন ,নিজের সততার কথা বলছেন হয়তবা এটিই ইসলাম।তিনি তার ছাত্র জীবনে ভাল ছাত্র ছিলেন।একজন উচ্চপদস্হ কর্মকর্তা ছিলেন।চাকুরি জীবনে সৎ ছিলেন।নি:সন্দেহে এটি একটি কোয়ালিটি বটে।স্ত্রী ছিলেন উচ্চশিক্ষিতা ও জীবনের একটি সময় উচ্চপদস্হ কর্মজীবি ছিলেন।তাদের সন্তান সন্ততিরাও উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করেছেন।মোটকথা একটি সামাজিক পরিবার।কিন্তু পারিবারিক কথোপোকথনে ও তাদের বাহ্যিক আচার আচরনে ইসলামের কিছু দিক পরিলক্ষিত হয়েছে যা ইসলামিক নয় এবং অনুসরনীয় নয়।একজন মানব এবং মানবীর জীবনের শুরুটা হয় বিয়ের মাধ্যমে এবং সেটি ইসলামিক হতে হলে দুই পরিবারের সম্মতির মাধ্যমে হতে হবে।কিন্তু ভদ্রলোকের ক্ষেত্রে সেটি ছিল ভীন্ন। একটি অনুষ্ঠানে মেয়েটির সাথে দেখা হলো যেখানে পুরুষ ও মহিলার কোন আলাদা ব্যাবস্হা ছিল না।এক পর্যায়ে ভদ্রলোকের কোন শুভাকাংখী মেয়েটির পাশে তাকে বসিয়ে দিল।ভদ্রলোক বললেন,তুমি তাস খেলতে জান।মেয়েটি বললো না আমি জানি না।ভদ্রলোক একটি কার্ড হাতে দিয়ে মেয়েটির হাত ছেপে ধরলেন।এটি শুরু এবং এর পর টেলিফোন।এক সময়ে নিজেদের বিয়ে।তিনি একদিকে সংগীত চর্চা করেন অন্যদিকে একজন লেখক।আলকুরআনের বাংলা তর্জমা করেছেন।স্ত্রী ও মেয়েদের মধ্যে ইসলামি শালিনতা যা হিযাবের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় তা ছিল না।হিযাবের ব্যাপারে সূরা আন নুর ও সূরা আহযাবে বিশেষভাবে বর্নীত হয়েছে এবং ওলামাদের বিভিন্ন মত রয়েছে।তবে অধিকাংশ হক্কানি উলামাগন বলেছেন,মহিলাদের অংগপ্রত্যংগ যা দেখে ব্যাভিচারে প্রভাবিত হয় তা ঢেকে রাখতে হবে।যেমন-মাথার চুলগুলো উচ্চ মার্গের শেম্পু করে ছেড়ে রাখা,নিজের চেহারাটিকে খুলে রাখা,কাপড় পরিধান হলো কিন্তু গলা ও বুক ঢাকা নেই বা পেট ও পিঠের একটি অংশ দেখা গেল।এটি নিশ্চই ব্যাভিচারকে উসকে দেয়।হয়ত পরিবারগুলো ইসলামের মুল নির্দেশনা মানছে কিন্তু এটি ইসলামের পরিপূর্ন রুপ নয় এবং কারো জন্য অনুসরনীয় নয়।সূরা আল ইমরানের ১০২ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহকে ভয়শ্রদ্ধা কর যেমন তাঁকে ভয় শ্রদ্ধা করা উচিত আর তোমরা প্রানত্যাগ করো না আত্মসমর্পিত না হয়ে।' একজন মানুষের ইসলামের আত্মসমর্পন হলো পূর্ন আত্মসমর্পন।ইসলামের কাজ আংশিক করা ও আংশিক ছেড়ে দেয়া নয়।ফাসেকের কাজ হলো অংশিক কাজ করা।যেটুকু ভাল লাগলো সেটুকু করলো।এ রকম লোকদের খাঁটি মুসলমান বলে না এবং এদের অনুসরন করাও যাবেনা।একজন খাঁটি মুসলিমকে জেনে নিতে হবে রসূল সা: ২৪ ঘন্টা সময়ে কি করতেন।সেই আলোকে মানুষ তার জীবনের কর্মকে সাজাবে।রসূল সা: এর প্রতিদিনের একটি রুটিন ছিল।ঈশার নামাজ শেষে তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন ও মধ্যরাত্রির নামাজে উঠতেন,ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া পড়তেন,ওজু করতেন ও নামাজের জন্য প্রস্তুত হতেন।তিনি সারা বছর এমনকি রমজানেও দু'রাকাত করে ১১ রাকাত নামাজ পড়তেন আর শেষে বেতরের এক রাকাত নামাজ পড়তেন।তবে দীর্ঘ নামাজ পড়তেন,কখনো কখনো তাঁর পা ফুলে যেত।পরিবারকেও নামাজের জন্য উঠাতেন।নামাজ শেষে ফযরের আগ পর্যন্ত ঘুমিয়ে পড়তেন।বেলাল রা: আযান দিলে তিনি উঠে পড়তেন।ঘুম থেকে উঠার দোয়া পড়তেন।ওজু করে নিজের ঘরে দু'রাকাত সুন্নত পড়তেন।বেলাল রা: যখন ডাকতেন তখন তিনি মসজিদের দিকে যেতেন।মসজিদে ঢুকার দোয়া পড়তেন।নামাজ পড়িয়ে মুক্তাদিদের দিকে ফিরে বসতেন ও যিকির আজকার করতেন।সূর্য উঠলে দু'রাকাত নামাজ পড়তেন।এর পর মসজিদে সাহাবা ও অন্যান্য যারা থাকতেন তাদের সাথে দ্বীন নিয়ে আলোচনা করতেন।এর পর তিনি ঘরে ফিরতেন,দোয়া পড়তেন ও স্ত্রীদের খোজ খবর নিতেন।কখনো কখনো ঘরে খাবার থাকলে খেতেন আর না থাকলে রোজা রাখতেন।পরিবারের সাথে দেখাশুনা করে আবার মসজিদে ফিরতেন ও দু'রকাত নামাজ পড়তেন।এর পর রসূলের সাহাবারা চারদিক ঘিরে বসতেন।এ সময়টি ছিল মদিনার সবার জন্য রসূল সা: এর সাথে মিলিত হওয়ার সময়।বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতেন,আবার কেউ কেউ দ্বীনের মাসলা মাসায়েল জানতে চাইতেন।রসূল সা: ও দ্বীনের বিষয় গুলো সাহাবাদের জানিয়ে দিতেন।কখনো কখনো নব জাতক শিশু বা নতুন ফসলের কিছু তোহফা আসতো।তিনি নবজাতককে দোয়া করতেন ও উপস্হিত শিশুদের সে সমস্ত তোহফা বন্টন করে দিতেন।এ সময়ে কখনো নতুন ইসলাম গ্রহন কারি দল আসতো,তিনি তাদের সম্ভাষন জানাতেন ও তাদের খোজ খবর নিয়ে সহযুগিতা করতেন।কখনো কখনো তোহফা হিসেবে খাবার আসতো এবং তিনি সবাইকে মিলে খেতেন।সকাল থেকে যোহরের আগে কখনো কখনো আত্মীয় পরিজনের সাথে দেখা করতেন।ফাতেমা রা: এর ঘরে যেতেন ও হাছান হোসেন কে সময় দিতেন আবার কোন কোন সাহাবি দাওয়াত করলে বা অসুস্হ থাকলে দেখতে যেতেন।আবার কখনো এ সময়গুলোতে বাজারের দিকে যেতেন।মানুষের সাথে দেখা হলে হাসি মুখে কথা বলতেন।শিশুদের সাথে সালাম বিনিময় করতেন।পুরুষ বা মহিলা যে কেউ যদি কিছু বলতেন তাদের সাহায্য করার সর্বোত্তম চেষ্টা করতেন।জোহরের আগে তিনি সেই স্ত্রীর ঘরে যেতেন যার সাথে তাঁর সেদিন থাকার সময়।ঘরে ঢুকে সালাম দিতেন ও পরে ৪,৬ বা ৮ রাকাত দোহার নামাজ পড়তেন।ঘরে যদি কোন খাবার থাকতো খেতেন আর না হলে সে সকালে ক্ষুধার্ত থাকতেন।এ সময়ে মদিনার মহিলারা আসতো মাসলা মাসায়েল জানার জন্য।রসূল সা: স্ত্রীরা মহিলাদের এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দিতেন।এই সময়ে তিনি পরিবারের সাহায্য সহযুগিতাও করতেন।জুতো ও কাপড় সেলাই,ভেঁড়া ও ছাগলের দুধ দোহনের কাজগুলো নিজ হাতে করতেন।কখনো কখনো আবু বকর ,ওমর ও ওসমান রা: এর সাথে মিলিত হতে যেতেন।যোহরের আগ পর্যন্ত এভাবেই চলতো রসূল সা: এর দৈনন্দিন জীবন।বিলাল রা;যোহরের আযান দিলে তন্দ্রা থেকে উঠে ওজু করে নিজ ঘরে চার রাকাত নামাজ পড়তেন। নামাজ শুরুর পূর্বে ঘর থেকে বের হয়ে মসজিদে ঢুকলে বিলাল রা: নামাজ শুরুর ইক্কামত দিতেন। নামাজ শেষে সচরাচর তিনি মিম্বরে যেতেন এবং বক্তৃতা করতেন এবং এ সময় মসজিদ পূর্ন থাকতো।এর পর তিনি নিজের ঘরে যেতেন ও দু'রাকাত নামাজ পড়তেন।যোহরের পর তিনি তাঁর সাহাবাদের সাথে নিয়ে শহরের নির্দিষ্ট কাজে বের হয়ে যেতেন এবং আছরের পূ্র্ব পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলতো।আছরের আযান হলে তিনি মানুষের অপেক্ষা করতেন এবং চার রাকাত নামাজ পড়তে বলতেন।তার পর ফরয নামাজ আদায় করে মুক্তাদিদের দিকে ফিরে অল্প কিছু কথা বলতেন এবং কখনো দীর্ঘ করতেন না যাতে সাহাবাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটে।আছরের পর তিনি স্ত্রীদের ঘরে যেতেন এবং রাতে কোন ঘরে অবস্হান করবেন তা নির্ধারন করে দিতেন।কখনো কখনো সকল স্ত্রীগন মিলিত হতেন যে ঘরে তিনি রাত যাপন করবেন।এ সময় তিনি স্ত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করতেন এবং স্ত্রীরাও প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের দ্বীনের প্রয়োজন পূরন করতেন।মাগরিবের আযান হলে তিনি মসজিদে যেতেন এবং এ সময় মসজিদে আগত মুক্তাদিরা দু'রাকাত নামাজ পড়তেন।নামাজের ইকামত হলে তিনি নামাজ পড়াতেন সচরাচর ছোট ছুরা দিয়ে।নামাজের পর তিনি কাউকে কথা বলার সুযুগ দিতেন না কারন এ সময় রাতের খাবার ও বিশ্রামের সময়।তিনি ঘরে যেতেন ও দু'রাকাত নামাজ পড়তেন।মাগরিবের পর তিনি রাতের খাবার খেতেন বা কখনো কখনো ঘরে খাবার থাকলে সাহাবাদের ডাকতেন।কখনো কখনো ঘরে খাবার না থাকলে খেজুর ও পানি খেতেন।এমন সময়ও যেতো রসূল সা: ঘরে খাবারের জন্য চুলোয় আগুন জ্বলতো না।তিনি মেঝে খাবার খেতেন এবং বিসমিল্লাহ বলে শুরু করতেন।সামনে যে খাবারই আসতো তিনি কোন অভিযোগ করতেন না এবং সাদরে গ্রহন করতেন।তিনি যখন কোন স্ত্রীর সাথে খাবার খেতেন,একটি মহৎ গুনের সমৃদ্ধি ঘটাতেন।খাবারের যে অংশটিতে স্ত্রী মুখ লাগাতেন তিনি সেখানে মুখ লাগিয়ে খেতে পছন্দ করতেন।বন্ধুদের সাথে যখন তিনি খেতে বসতেন তিনি তখন সুন্দর আচরন ও প্রজ্ঞাপূর্ন কথা বলতেন।খাবার শেষ হলে তিনি আংগুল চুষে খেতেন,আল্লাহর প্রসংসা করতেন ও হাত মুখ ধুয়ে নিতেন।রসূল সা: ঈশার নামাজ পর্যন্ত ঘরে থাকতেন।ঈশার আযান হলে ও সকল মানুষ এসে গেলে নামাজ পড়তেন আর কারো আসতে দেরি হলে খানিকটা দেরি করতেন।ঈশার পর সচরাচর জরুরি না হলে কোন কথা বলতেন না কারন এ সময় মানুষেরা থাকে ক্লান্ত ও শ্রান্ত এবং তাদের ঘুমের প্রয়োজন।রসূল সা: ঘরে ফিরে গিয়ে দু'রাকাত নামাজ পড়তেন।খুব অল্প সময় তিনি পরিবারের সাথে কথা বলতেন ও আনন্দ উপভোগ করতেন।কখনো কখনো আবু বকর ও ওমর রা: এর কাছে যেতেন।ফিরে আসার সময় মসজিদের পাশ দিয়ে আসার সময় কুরআন পড়ার শব্দ পেয়ে গরীব সাহাবিদের সালাম জানাতেন যাদের মসজিদ ছাড়া আর থাকার কোন যায়গা ছিলনা।রাতে শোবার সময় হলে তিনি স্ত্রীর ঘরে যেতেন,কম্বল ও বালিশ দু'জনে শেয়ার করতেন।তিনি ডানকাত হয়ে ঘুমাতেন এবং হাত রাখতেন ডান গালের নিছে।এর পর দোয়া পড়তেন।কখনো তিনি গভীর ঘুমের আগে স্ত্রীর সাথে অন্তরংগ কথা বলতেন।কখনো ঘুম ভেংগে গেলে তিনি আল্লাহকে স্মরন করতেন ও আবার ঘুমিয়ে পড়তেন।মধ্যরাতে তিনি ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়তেন ,ওজু করে মধ্যরাতের নামাজে অবতীর্ন হতেন।কখনো দীর্ঘ হতো আবার কখনো স্বল্প সময় নামাজে পার করতেন।ফযরের আগে কিছুসময় তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকতেন ও বিলাল রা: আযান দিলে উঠে ওজু করে দু'রাকাত সূন্নত নামাজ পড়তেন। এই ছিল রসূল সা: এর দৈনন্দিন জীবনের ইবাদত।এ ছাড়াও রাষ্ট্রীয় জীবনের কাজকর্ম,জীহাদে অবতীর্ন হওয়ার মত নেতৃত্ত দিয়ে মুসলিম উম্মাহকে কেয়ামত পর্যন্ত একটি শ্রেষ্ঠ উম্মাহে রুপান্তরিত করেছেন।সুতরাং আমরা মুসলমানরা যখনি আমাদের ইসলামিক বলবো আমাদের অনুশীলন করতে হবে রসূল সা; এর নবুওতি জীবনকে।আমাদের জীবনের সাথে যদি আমরা রসূল সা: দৈনন্দিন জীবনের তুলনা করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের সঠিক পথটি পেয়ে যাব।আর মুসলমানদের অনুসরনের জন্য রসূল সা: এর জীবনই অনুসরনের চরিত্র আর কারো নয়।কোন মানুষের ভাল গুন থাকলে সেটি গ্রহন করা যায় কিন্তু মন্দ দিক গুলো অবশ্যই বর্জন করতে হবে।শুধু বর্জনই নয়,কারো কথা কাজ ও চলন বলনে ইসলাম পরিপন্থি কিছু থাকলে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় উম্মাহকে জানিয়ে দিতে হবে।এটি করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অবশ্য করনীয় একটি কাজ।
বিষয়: বিবিধ
১২৯০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধর্ম হলো দ্বীন বা জীবন বিধানের একটি পার্ট বা অংশ মাত্র। তাই ইসলাম শুধু ধর্ম নয়, বরং আল্লাহর মনোনিত একমাত্র জীবনবিধান বা দ্বীন (যার মধ্যে ধর্মও রয়েছে)। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন