দাওয়া আপনার জন্য ফরয একটি কাজ।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:০৯:২০ দুপুর

দাওয়া এমন একটি কাজ যা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয কাজ।আল্লাহ পাক একজন মুসলিমকে সামর্থ দিলে তিনি সার্বক্ষনিক এ কাজ করবেন।তানাহলে যতটুকু সময় পান তাও তাকে করতে হবে।বর্তমান পৃথিবীতে মুসলমানদের মধ্যে পরস্পর পরস্পরে এই ইসলামের দাওয়াতের কাজ বেগবর্ধিত না হওয়ার কারনে সমাজ উছৃংখলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।মুসলমনানদের সামর্থ থাকা স্বত্তেও তারা মিডিয়া সৃষ্টি করছে না।এমন অনেককে বলতে শুনেছি আগে নিজেরা ঠিক হয়ে নেই তার পর অন্যকে দাওয়াত দিব।আমি প্রশ্ন করি কতদিন লাগবে আপনার ঠিক হতে?রসূল সা: বলেছেন,তুমি একটি আয়াত(শরিয়তের বিধি বিধান) যদি জান তা প্রচার কর।দাওয়াতের কাজটি একটি নিরবিচ্ছিন্ন কাজ।একটি অবিরাম পদ্ধতি।যেমনটি নবী নুহ আ: করেছিলেন।সূরা নুহের ৫-৬ আয়াতে তিনি বলেছিলেন,'আমরা প্রভু ! আমিতো আমার স্বজাতিকে রাতে দিনে আহ্বান করছি কিন্তু আমার ডাক তাদের পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই বাড়ায় নি।'একজন মুসলিমকে আল্লাহ পাক প্রেরনই করেছেন তার ইবাদত করার জন্য।সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত তার প্রতিটি কাজই হবে ইবাদত।আর মানুষকে কুরআন ও ছহি হাদিসের কথা অবিরাম পৌঁছে দেয়ার কাজটি একটি মুখ্য কাজ।আল্লাহ পাক আমাদের অনেককে সুযোগ করে দিয়েছেন আবার অনেককে দেন নি।যে যার ক্ষমতা অনুযায়ী তার সময়কে কাজে লাগাবে।সূরা বাক্কারার ২৮৬ আয়াতে আল্লাহ পাক বলেছেন,'আল্লাহ কোন সত্তার উপর তার ক্ষমতার অতিরিক্ত চাপিয়ে দেন না।' সুতরাং প্রতিটি মানুষ আল্লাহর দেয়া ২৪ ঘন্টা সময় ব্যায় করবে তার ক্ষমতা ও তার কাছে যে প্রযুক্তি আছে তার ব্যবহারের মাধ্যমে।এটি থেকে কোনভাবে মাহরুম থাকা যাবে না।রসূল সা; ও তার নিজের আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন নি।তবে তিনি বার বার তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।আমরা জানি তাঁর চাচা আবুতালিবকে মৃত্যুর সন্ধিক্ষনেও চেষ্টা করে ঈমানের স্বাধ পাইয়ে দিতে পারেন নি।তাহলে তিনি কি হেরে গেলেন? না তিনি তার কর্তব্য পালন করেছেন এবং বিজয়ী হয়েছেন।ছহি বোখারিতে নামাজের অধ্যায়ে রসূল সা: থেকে হাদিস বর্নীত হয়েছে যে,মদিনায় মুসলিমদের মধ্য থেকে কেউ কেউ জুমার নামাজ পড়তে আসতো না।রসূল সা; বলেছিলেন যেন আমি তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেই।'সে সময়েও ধর্মে অনুশীলন করেনি এমন মুসলিম ছিল।রসূল সা: অবিরাম দাওয়াতের কাজ করে গিয়েছেন।তিনি চিঠি প্রেরন করেছেন ইয়ামেনের শাসককে,পারস্যের শাসককে,বাইজেন্টাইনের শাসককে।তিনি বলেননি আমি শতভাগ মুসলিমকে মুসলিম করে অন্যদের কাছে দাওয়াত পৌঁছাবো।আমাদের ইসলামি দাওয়াতের কাজ ঘরে যেমন করতে হবে তেমনি সাথে সাথে বাইরেও করতে হবে।যার যতটুকু ছহি কুরআন হাদিসের জ্ঞান জানা আছে তা পৌঁছে দিতে হবে।যখন আমরা একজন মুসলিম ভাইকে পাব তার কাছে পৌঁছে দিব আমার সুবিধাজনকভাবে অমুসলিমদের কাছেও পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।কোন কোন ক্ষেত্রে একজন ভাল মুসলিমের কাছে দাওয়াত পোঁছানোর চেয়ে যদি দেখা যায় কোন একটি মানুষ শির্কের সাথে বা বিদাআতের সাথে সম্পৃক্ত তখন দাঈকে প্রেফারেন্স দিতে হয় শির্ক ও বিদাআতের সাথে যারা সম্পৃক্ত।কারন তারা ইসলামের আলো থেকে বন্চিত হওয়ার পথে।এটি দাঈর জন্য বড় একটি হেক্কমত।রসূল সা: বিদায় হজে এক লাখ দশ হাজার সাহাবিকে বলেছিলেন,আমি কি তোমাদের কাছে দ্বীনকে পৌঁছে দিয়েছি? তারা সবাই উচ্ছ স্বরে বলেছিলেন হাঁ আপনি আমাদের পৌঁছে দিয়েছেন।তখন তিনি বলেছিলেন,যারা এখানে আসতে পারেনি যাও তাদের কাছে আমার বার্তা পৌঁছে দাও।নব্বই লাখেরও বেশী সাহাবা বেরিয়ে গিয়েছিলেন দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে এবং তারা কবরস্হ হয়েছিলেন মদিনার বাইরে।তারা অমুসলিমদের জন্য দাওয়াত পৌঁছাতে গিয়েছিলেন।রসূল সা: এর এই আদেশ কেয়ামত পর্যন্ত একজন মুসলিমের উপর অর্পিত একটি দায়িত্ব।কেউ যদি এমন নিয়াত করে যে আমি অমুসলিম দেশে যাব দ্বীনের দাওয়াত দিতে তাহলে সেটি হলো উত্তম একটি কাজ।কিন্তু বর্তমান মুসলমানরা তো সে নিয়াতে যায় না।তারা নিয়াত করে যায় ইমিগ্রেন্ট হওয়ার জন্য।তাদের নিয়াত থাকে পার্থিব জীবনের উৎকর্ষ সাধন।আজকে আমরা যারা মুসলিম ও অমুসলিমদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত বিক্ষিপ্তভাবে পৌঁছে দিচ্ছি না,কেয়ামতের মাঠে তারা যখন জাহান্নামে যাবে তখন তারা তাদের পাশের মুসলিমদের যারা নামাজ কালাম করতো তাদের ছেপে ধরবে ও বলবে,যখন আল্লাহ পাক তোমাদের হেদায়েত দিয়েছে তোমরা কেন আমাদের পৌঁছাও নি? সেজন্য প্রত্যেকটি মুসলিমের দায়িত্ব হলো পৌঁছানোর কাজটি করা।মুসলিমকে কাউকে জোর জবরদস্তি করে দ্বীন শিখানোর কথা বলা হয় নি।আমার পাশে যদি কোন অমুসলিম থাকে অথবা ফাসেক মুসলিমও তাকে এবং সে যদি মারা যায় তখন আল্লাহ তাকে যদি প্রশ্ন করেন তুমি ইসলাম গ্রহন করনি কেন? তখন সে বলবে হে আল্লাহ! কেউ আমাকে ইসলামের দাওয়াত দেয় নি।যদিও আল্লাহ পাক এ পৃথিবীকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে,তা দেখেও মানুষকে ঈমান আনতে হবে যদিও তার কাছে কোন দাঈর আবির্ভাব না হয়।সেজন্য একজন মানুষ সারাজীবন আল্লাহর হুকুম পালন করে দাওয়াত না দেয়ার কারনে তার পায়সালা হয়ে যেতে পারে জাহান্নামের।সমাজে এ রকম অনেক আলেম উলমাকে বলতে দেখা যায়,সে জাহান্নামে যাক তাতে আমার কি।এটি একটি ভয়ংন্কর কথা।যে যত বড়ই জালেম হোক,একজন ঈমানদারের দায়িত্ব তার কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে থাকা যতক্ষন সে দ্বীনে এসে না যায়।আর আল্লাহর পায়সালা যদি তার তকদিরে না থাকে সেটি ভিন্ন কথা।আমরা মুসলমানরা অনেক ক্ষেত্রে পাশ কেটে যাওয়ার চেষ্টা করি।আমরা আমাদের কাজকে অবহেলা করে একটুতেই বলতে শিখি সূরা কাফিররুনের শেষ এই আয়াতটির মত,'তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মমত ,আমার জন্য আমার ধর্মমত।' একজন মুসলমানের দায়িত্ব হলো েকই সূরার আগের ৫টি আয়াতের উপর কাজ করা।যদি কোন ফাসেক মুসলিম বা অমুসলিম গ্রহন না করে তখন শেষ আয়াতটি হলো তার শেষ অস্ত্র।কিন্তু একটুতেই অধৈর্য হয়ে দ্বীনের দাওয়াত থেকে সরে গেলে দাওয়াতের কাজ সেটি নয়।তেমনি সূরা বাকারার ২৫৬ আয়াতের কিছু অংশ যেমন কেউ বলে দাওয়াত থেকে দূরে সরে যায়,'ধর্মে জবরদস্তি নেই' কিন্তু তার পরের অংশ প্রচার করে না। 'ধর্মে জবরদস্তি নেই' শুধু এ কথা বললেই হবে না তার পরের অংশ যেমন,'নি:সন্দেহে সত্য পথ ভ্রান্তপথ থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে।অতএব যে তাগুতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহতে ঈমান আনে সে তবে ধরেছে শক্ত হাতল।' সেজন্য একজন দাঈর কাজ পুরো মেসেজটি পৌঁছে দেয়া।এটি করা হলে সে বেঁচে যাবে কেয়ামতের দিনের ভয়াবহ সওয়াল জবাব থেকে।আমরা যদি আমাদের সঠিক প্রচারটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সমর্থ হই ও তারা মেনে না নেয় তখন বলতে পারি 'তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মমত ,আমার জন্য আমার ধর্মমত' বা 'ধর্মে জবরদস্তি নেই'।আমরা যদি সূরা আসরটির প্রতি দৃষ্টি দেই তাহলে দেখবো কোন মানুষকে যদি জান্নাতে প্রবেশ করতে হয় তাহলে তাকে চারটি কাজ করতে হবে।তাকে ঈমান আনতে হবে,সৎ কাজ করতে হবে,পরস্পরকে সত্য অবলম্বনের মন্ত্রনা দিতে হবে ও পরস্পরকে ধৈর্য অবলম্বনের পরামর্শ দিতে হবে।তানাহলে সে ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিবর্গ ক্ষতির সম্মুখিন হবে আর সে ক্ষতিটি হলো প্রজ্জ্বলিত আগুন।দাওয়াতের ক্ষেত্রে কোন হীনমন্যতা যেন আমাদের কাজ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।বর্তমান বিশ্বে বিদাআত অবলম্বন করা ও ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারনে কেউ কেউ গোপনে ইসলাম প্রচার করে।কোন কোন দলে স্বতস্ফুর্ত ভাবে মুসলিমরা ইসলামের আলোচনায় বসতে চাইলেও ঐ সমস্ত দলের কর্মীরা তাদের বসতে দেয় না।কারন অনেকে তাদের দলীয় এজেন্ডার অনেক কিছুর সাথে একমত পোষন করে না।এটি ইসলামের জন্য একটি ক্ষতিকারক দিক।ইসলামের কাজে এমন গোপন কিছু নেই।রসূল সা; ও তার সাহাবিরা মসজিদ থেকে সদরে ইসলামের প্রচার করেছেন।ইসলাম মানুষের জন্য সবকিছু সহজ করে দিয়েছেন।ইসলামে কোন বক্রতা নেই।বক্রতা মানুষের হৃদয় থেকে সৃষ্ট একটি অপসৃষ্টি।ইসলামের কাজ করতে গেলে পরিবর্তন করতে হবে প্রথমেই অন্তরকে।সুতরাং সূরা আল আসরের বক্তব্য অনুসারে ইসলামের সব কাজ করলেও যদি উপরোক্ত চারটি কাজ করা না হয় তাহলে জান্নাতে প্রবেশ করা দুষ্কর।আল্লাহ যদি তার ক্ষমতার দ্বারা কাউকে জান্নাতে প্রবেশ করান সেটি তাঁর এখতিয়ার কারন তিনি সমস্ত ক্ষমতার মালিক।সূরা নিসার ৪৮ ও ১১৬ আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন,'নিশ্চই আল্লাহ ক্ষমা করবেন না যে তাঁর সাথে কাউকে শরিক করে,আর তা ছাড়া আর সব তিনি ক্ষমা করেন যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।' আল্লাহর উপর কতৃত্ব স্হাপনকারী কোন সৃষ্টি নয় বরং আল্লাহ হলো সমস্ত ক্ষমতার উৎস।যদিও পৃথিবীর কোন সৃষ্টি তাকে দেখবে না কিন্তু তিনিই এই সৃষ্টির লালন পালনকারি।তাদের মধ্য থেকেই একটি দল তৈরি হতে হবে যারা পুরোপুরি সময় দাঈর কাজ করবে।আর তানাহলেও যার যার ক্ষমতানুযায়ী সময়ের একটি অংশকে দাঈর কাজে নিয়োজিত রাখবে।কিন্তু কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয় দাঈর কাজ থেকে পুরোপুরি দূরে থাকে,তাহলে সে খাসারার মধ্যে পড়ে যাবে।আল্লাহ পাক সূরআলইমরানের ১০৪ আয়াতে বলেন,'তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল হওয়া চাই যারা আহ্বান করবে কল্যানের প্রতি,নির্দেশ দিবে ন্যায়পথের আর নিষেধ করবে অন্যায় থেকে।আর এরা নিজেরাই সফলকাম।'আজকে আমরা যদি মুসলমিদের এলাকা ব্যাপি পর্যালোচনা করি তাহলে তাদের মধ্যে কতজন দাঈ পাব যারা দাঈর কাজ করে,কতজন পাব যারা কুরআন হাদিস অনুসরন ও চর্চা করেন,কতজন মুসলিম পাব যারা হারাম হালাল বেচে চলেন।আমি বলছি আপনাদের ব্যাক্তিগত ভাবে নিজেদের নিয়ে ভাবুন,পরিসংখ্যান নিন,দেখবেন সামান্য একটি অংশ পাবেন।অথচ আমরা বিরাট সংখ্যক মুসলিম উম্মাহ।ইসারাইলের মত ক্ষুদ্র একটি শক্তি পৃথিবীতে অনাচার সৃষ্টি করছে। অথচ বিরাট সংখ্যক মুসলিম হেরে যাচ্ছে কারন হলো তারা কুরআন ও সূন্নাহকে তাদের জীবনে বাস্তবায়ন করে না।তারা মুখে কথা বলে তাদের জীবনের পরিসরে ইসলাম নেই।তাদের পরিবারে ইসলামের সৌন্দর্য নেই,তাদের সন্তানদের কুরআন দিয়ে শিক্ষিত করে না।অথচ রসূল সা; ইসলামের বিজয় করেছিলেন এই কুরআন দিয়ে।কুরআন নাজিল হতো আর সাহাবাগন প্রশিক্ষিত ও পবিত্র হতো এই কুরআন দিয়ে।যে সমাজে সত্যিকার অর্থে কুরআনের একটি শক্তিশালি দল থাকে সে সমাজ পবিত্র না হয়ে পারে না।একদল দাঈর চেয়ে আর কোন ভাল প্রফেশন থাকতে পারে না।কিন্তু আমাদের সমাজে কোন দাঈকে দেখলে মানুষ বলে তারা অচ্যুত।আসলে তারাই আল্লাহর চোখে সর্বেসর্বা যদি তারা জানতো।দাঈর চরিত্রকে চরিত্রায়িত করার জন্য আল্লাহ পাক সূরা আন নহলের ১২৫ আয়াতকে বিশেষভাবে বর্ননা করেছেন,'তোমার প্রভুর রাস্তায় আহ্বান কর জ্ঞান ও সুস্ঠু উপদেশের দ্বারা আর তাদের সাথে পর্যালোচনা কর এমনভাবে যা শ্রেষ্ঠ।নি:সন্দেহে তোমার প্রভু ভাল জানেন তাকে, যে তার পথ থেকে ভ্রষ্ঠ হয়েছে আর তিনি ভাল জানেন সৎপথ অবলম্বীদের।'ইসলাম যে একটি বিজয়ী ধর্ম তা আল্লাহ পাক কুরআনের তিনটি সূরায় একই আয়াত বার বার বিবৃত করেছেন।সূরা আত তওবার ৩৩ আয়াত,সূরা আস সফ এর ৯ আয়াত এবং সূরা আল ফাথহের ২০ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তিনিই সেইজন যিনি রসূলকে পাঠিয়েছেন পথনির্দেশ ও সত্য ধর্মের সাথে যেন তিনি তাকে প্রাধান্য দিতে পারেন ধর্মের তাদের সবক'টির উপরে যদিও মুশরিকরা অপছন্দ করে।' মুসলিমরা কি মনে করে আল্লাহ পাকের আমাদের মত ফাসেকদের প্রয়োজন আছে? আল্লাহর দ্বীন আল্লাহই জ্বালিয়ে রাখবেন।গোটা মানবজাতির কল্যানের জন্য এই কুরআনকে তিনি নাজিল করেছেন।আমাদের প্রয়োজনে এই কুরআনকে আমরা শক্ত ও মজবুত করে ধরে রাখবো যাতে করে কেয়ামতের দিনের ভয়াভহতা থেকে আমরা বেঁচে যাই।আল্লাহ পাক আমাদের সুযুগ করে দিয়েছেন যেন আমরা আমাদের ইহকাল ও পরকালকে আলোকিত করতে পারি রসূল সা: এর আদর্শ মোতাবেক।দাওয়া আমাদের সবার জন্য ফরয এবং একান্ত করনীয় কাজ।কোন নিচতা নয়,হিংসা বিদ্বেষ নয়,দুনিয়াবি কোন লাভালাভের জন্য নয় বরং একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মানুষের কল্যানের জন্যই আমাদের দাওয়াতের কাজ করা যাওয়া উচিত।

বিষয়: বিবিধ

১৮৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File