জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন?

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০৪:৪৪:১৪ বিকাল

প্রৌড়ে ও জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বার বার মনে পড়ে যায় আল্লাহর এই বিশাল কৃতিত্বের কথা,যিনি আমাদের বেঁচে থাকার জন্য ভরপুর করে দিলেন এই বিশ্বভ্রমান্ডকে,পদানত করে দিলেন সমস্ত সৃষ্টিকে আর বিশেষায়িত করলেন আমাদের সমস্ত সৃষ্টি থেকে।কি দায়িত্ব আমরা পালন করলাম? হৃদয়ে অনবরত রক্তক্ষরন হয় আমাদের কিছু মানুষের, যাদের কোন লোভ লালসা নেই,নিজেদের সমস্ত রক্তবিন্দু দিয়ে যে যে যার যার যায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছে।উচ্চ মননশীলতা দিয়ে অনুধাবন করছে সমাজের প্রতিটি ক্ষতকে কিন্তু ক্ষত সারিয়ে তোলার সে সামর্থ তাদের নেই।অমাবশ্যা-পূর্নিমা,আলো -আঁধারের রুপ তাদের কাছে একই।তাদের চিন্তা চেতনা ও কল্পনার রুপ এঁকে দিয়েছেন ও দিয়ে চলছেন।পেটে অন্ন নেই,রোগে চিকিৎসা নেই কিন্তু পরিতোষে তুষ্ট তাদের হৃদয়।চারিদিকে হত্যা,ব্যাভিচার,লুন্ঠন দেখে এক ঢোক পানিও যেন গলাধকরন করতে কাঁটার মত বিধে।কি এক অসম্ভব ভালবাসা ফুটে উঠে তাদের চোখে মুখে,তাদের লেখনীতে।কিন্তু ক'জন আছে বিশ্বাস করে , বাস্তবায়ন ও উপলব্ধি করতে উদ্যত হয়।এত প্রাচুর্য থাকতে এদেশ পিছিয়ে যাচ্ছে কেন? এ দেশের গ্রাম গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়িয়ে আসুন,দেখুন না কি অদ্ভুৎ পাড়া গাঁ,কোথায়ও পাহাড়,কোথাও ঝরনা, হাওর বাঁওড়, কোথাও চা বাগান,বন বনানীর সমাবেশ,হাজার প্রজাতির কিচির মিচির শব্দ,কষক কৃরষানীর ফসল ফলানোর দৃশ্য,এগুলো কি আপনাকে মোহিত করে না? বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আমরা ক'জন আমাদের দায়বদ্ধতার হিসেব নিকেশ করছি? আমাদের হৃদয়ের অনুভূতিতে জড়িয়ে নিচ্ছি একে অন্যকে।হাঁ-আমি একজন হলেও অকুতোভয়ে হৃদয়ের অনুভূতি প্রকাশ করে যাব।কে গ্রহন করলো কি করলোনা সেটি আমার দেখার বিষয় নয়।যিনি অন্তর্যামি তার কাছে রয়েছে সমস্ত হিসেব নিকেশ।তিনি নিশ্চই এর মুল্য প্রদান করবেন।এক আল্লাহ ও এক রসূলের প্রতি যাদের হৃদয় নিংড়ানো বিশ্বাস আছে তারা কি কোন লাভ ক্ষতির চিন্তা করে? বিধাতা যে কর্তব্যসাধনের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন সে কর্মগুলো সম্পাদন করে মালিকের সাথে মিলে যাওয়ার বাসনা হওয়াই কি ছিলনা আমাদের? চিত্ত যদি নির্ভীক হয় তাহলে কথা বলতে,লিখতে বাধা কোথায়? আমাদের কাজ হলো ভ্রান্ত পথ থেকে সহজ সরল পথে মানুষের ডাকা।একে অন্যের সাথে শত মিলনের অবগাহনে মত্ত থেকে কল্যানের বারিধারা বর্ষন করা।আমাদের দেশ এক অসাম্প্রদায়িক দেশ।হাজার বছর ধরে বংশ পরম্পরায় বাস করে আসছে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।মনের মাধুরি মিশিয়ে,হেসে খেলে একে অন্যকে আপন করে নিয়েছে।পৃথিবীতে সাম্রাজ্যবাদি শক্তিগুলো তাদের নিজেদের স্বার্থে ভাংগন ধরিয়েছে দেশে দেশে,লোকালয়ে লোকালয়ে।তারা হত্যা করেছে যুগে যুগে,নীরিহ মানুষের রক্ত নিয়ে হলি খেলেছে,ধংস করেছে জনপদ ও সম্পদ।তারা এগুলো শান্তির জন্য করেনি,করেছে শান্তির সাথে।নিজেদের সাম্রাজ্যবাদি প্রভু করে রাখার পরিকল্পনাই হলো তাদের এ সমস্ত কর্মের মুলনীতি।সম্প্রতি ইতালিয়ান ও জাপানি নাগরিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক আঙ্গিকে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে- বাংলাদেশ আজ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ নয়।এ পৃথিবীকে যারা জঙ্গিবাদি করে গড়ে তুলেছে তাদের চিনতে কারো বাকি নেই।যারা নিজেদের গনতন্ত্রের সূতিকাগার বলে বলে বেড়াচ্ছেন সে দেশগুলোর আর্থ সামজিক অবস্হা,সমকামিতা ও ব্যাভিচার,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর নীরিহ ছাত্র ছাত্রিদের উপর অতর্কিত হামলা দেখে আমাদের কি বলতে ইচ্ছে করে না,তোমরা কি জঙ্গিবাদমুক্ত হয়েছো? বাংলাদেশে যখন এ সমস্ত কথা আসে আর কখনো কখনো সন্ত্রাসী গ্রেফতারের পর যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের দৃশ্য প্রদর্শন করা হয় তার জন্য আমাদের প্রশাসনের অদূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার অভাবও অনেকাংশে দায়ী।একটু চিন্তা করে দেখুন তো? ষোলকোটি মানুষের মধ্যে কতজন মানুষকে পাবেন খাঁটি দেশপ্রেমি।আমাদের সরকারি,আধা-সরকারি,স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দিকে দৃষ্টি দিন,ক'জন সৎ ও সাহসী মানুষ পাবেন যারা দেশের কল্যান চায়।আমাদের অপরাজনীতি কি দায়ী নয় শৃংখলা ধংসের জন্য? দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই শুরু হয়েছিল রাহাজানি।প্রতিটি সরকারের সময়ে গাড়ি পোড়ানো, পেট্রলবোমা ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা,শিল্পে বিকাশমান পোষাক শিল্পের ধস দেশে-বিদেশে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে।এখন বিদেশীদের বাংলাদেশ পরিভ্রমণে তারা ভীতসন্ত্রস্ত করছে।এই উৎকন্ঠিত সমাজ কাঠামোকে বাঁচিয়ে রাখার প্রথম কর্তব্য প্রশাসনের।কিন্তু প্রশাসন কি তার যায়গায় সঠিক কাজ করছে? এদেশের সাধারন মানুষের চাওয়া পাওয়া নিতান্তই ক্ষীন।দু'বেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে,রাতে নির্ভয়ে ঘুমুতে ও সন্তানদের পাঠদানে সামান্য স্বস্তিটুকু পেতে চায়। এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে অন্তর থেকে ঘৃণা করে।পৃথিবীর সবচেয়ে সম্প্রীতিকামী জাতি হিসেবে আমরা সব সময়ই দাবি করি ও তার প্রমান রেখে আসছি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাঙালি জাতির সম্প্রীতি ও সামাজিকতার বন্ধন এতটাই নিগূঢ় যে, পাকিস্তান আমলে চেষ্টা করেও এখানে কেউ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে চেয়ে সফল হতে পারেনি; আজও কেউ পারবে না।কিন্তু আমাদের ঐক্য কোথায়? আমরা দলাদলিতে বিভক্ত।আমাদের রাজনীতি জনস্বার্থের পরিপন্হী।ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র প্রত্যয় হলো সম্পদ লুন্ঠন ও রাহাজানি করা।আমাদের শিশুরাও আজ সন্ত্রস্ত।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর বৈরি আবহাওয়া আমাদের বার্তা দেয় আমরা আমাদের অস্তিত্ব নি:শেষ করে ফেলছি।মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে বাসস্হান,শিক্ষা ও স্বাস্হ অন্যতম।কিন্তু এই তিনটি বিষয়ের কোন নিশ্চয়তা নেই।সম্প্রতি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। শুধু মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষাই নয়, প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতামূলক সব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়মিত ও স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা শুধু মেধা বিকাশে বাধা নয়, বরং প্রতিভাপ্রদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল তারুণ্যের বিকাশের পথে বিরাট অন্তরায়। সংসদ, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা যখন অবক্ষয়ের অতলান্তে নিমজ্জিত তখন এ ঘটনাগুলো মানুষকে বর্ণনাতীত আতঙ্ক এবং অস্থিরতার মধ্যে রেখেছে।আমাদের বিবেকের কাছে কি প্রশ্ন করে কোন উত্তরই আমরা পাচ্ছি না? ক্ষমতার লোভে লোভী প্রতিটি শাসক অবমুল্যান করছে জাতিকে ও জাতির বিবেককে।স্বৈরাচারী চিন্তা চেতনা ও মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে জাতির প্রান্তিক মানুষদের হেয় করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অংগনে।সংসদ ,প্রশাসন,বিচার ব্যাবস্হা আজ প্রশ্নের সম্মুখীন।গত চুয়াল্লিশ বছরেও বৃটিশ আইন দিয়ে চলছে আমাদের বিচারিক ব্যাবস্হা।প্রান্তিক মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে বই কমছে না।সমাজে দুর্নীতি এখন একটি স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের রূপ নিয়েছে। দুর্নীতিবাজরা আজ নির্ভয়ে রাষ্ট্রের সর্বেসর্বা এবং তারা দর্পভরে সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে।শিক্ষক ,সাংবাদিক,আমলা ও সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবিরা এখন বিভক্ত দলে দলে।যার যার সুবিধা আদায়ের সংগ্রামে তারা লিপ্ত।এরা এখন মিডিয়ায় বাকযুদ্ধে লিপ্ত।জাতি আজ দিশে হারা।শেয়ারবাজার বাজার কেলেন্কারি, হলমার্ক, ডেসটিনি, বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের জরুরি ভিত্তিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের কথা জাতি বললেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় নি।যে দেশে মায়ের গর্ভের শিশু বুলেটবিদ্ধ হয়, ছেলের সামনে মাকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে ধর্ষণ করা হয়, এমনকি প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্ষণের মর্মান্তিক দৃশ্য অবলোকন করেও যখন মানুষ প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে না, তখন মানুষের হৃদয়ের দৈন্যদশা, হতাশার বিবর্ণ চিত্রটি প্রকট হয়ে দেখা দেয়।

এ কোন বিকারগ্রস্ত মানুষিকতা? আমরা কি দৃড় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে আসতে পারি না,আমরা যে যেখানে কাজ করবো নির্লোভ নিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করবো,কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লুন্ঠন করবো না,মানুষকে ভীত ও নির্যাতন করবো না।সমাজে ছোট ছোট চাপোষাদের বিচার হয় কিন্তু বড় বড় লুন্ঠনকারিদের বিচার হয় না।অফিসের কেরানি থেকে উচ্চপদস্হ কর্মকর্তাদের অনৈতিক অংশদের দেখুন কিভাবে মাল কামিয়ে সমাজে দাম্ভিকতার সাথে চলছে।বক্তৃতা দিয়ে চলছে।এরা একটি সামান্য অংশ কিন্তু নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে।এই বিশাল অংশটি কি অচ্যুত যারা এক হয়ে প্রতিবাদি হতে পারে না? সমাজে তো এমন অনেক মানুষ রয়েছে তাদের কোন লোভ নেই,তারা গনমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।তাদের অনেকে নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে।যারা সমাজকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে, তারা যেমন বাপ দাদার দোহাই দিয়ে ভোগে লিপ্ত তেমনি এদেশের খেটে খাওয়া মানুষেরও আশা আকাংখ্যা ভোগ নয় শুধুমাত্র আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার আশা আকাংখ্যা।এ দেশের গনমানুষ যখন দেখে বিরাট গাড়ি বহর নিয়ে আপনারা রাস্তা বন্ধ করে দেন , সরকারি ভাবে বিশাল ও ব্যায়বহুল অর্থ অপচয় করেন,কারনে অকারনে শুধু বিদেশ ঘুরে বেড়ান সরকারের উচ্চপদস্হ কর্মচারিরা তখন সাধারন মানুষ ব্যথিত ও বিস্ময়াভিভূত হন।সরকারি অফিসগুলোতে কর্মকর্তারা যে বিদেশ সফরে যান,ক্ষতিয়ে দেখুন কারা টুরগুলো করছে? যে যার কাছের তারাই প্রমোশন পাচ্ছে,যে যার কাছের তারাই বিদেশে সাময়িক সুবিধাগুলো করে নিচ্ছে।এতে প্রতিষ্ঠান থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কর্মক্ষম সৎ নেতৃবৃন্দ।এই বৈরি আবহাওয়ার গতি দিন দিন বেড়েই চলছে।আপনারা কি একবার ভেবে দেখেছেন? সমাজের প্রান্তিক মানুষের ঘামে ঝরা টাকায় যখন আপনারা লেটেষ্ট মডেলের গাড়িতে চড়ে বা বিমানে চলে প্রমোদ ভ্রমন করেন তখন আপনার ও আমাদের মত মানুষেরা রোদে পুড়ে বা বৃষ্টিতে ভিজে অথবা রাস্তার পাশে ডাষ্টবিনের পাশে কুকুর বিড়ালের সাথে কাড়াকাড়ি করে একটি রুটির নেশায়।মনে রাখুন এক বিরাট জিজ্ঞাসা অপেক্ষমান আছে আমাদের সবার জন্য।হউন আপনি বড় শাসক,হউন আপনি বড় আলেম বা কেউ সাধারন মানুষ,প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের হিসেব দিতে হবে কড়ায় গন্ডায়।ছেড়ে দিন না আজ থেকে আপনার পুঁজিবিহীন রাজনীতি,চেয়ারে বসে কামানো কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামানোর বাসনা।আপনি যে বাড়িগুলো করেছেন,যে ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান গড়েছেন,যে গাড়িটিতে চলেন,যে পরিবারকে সেকেন্ড হোমে লালন করছেন সে টাকা গুলো তো আমার মত,কোটি কোটি কৃষকের ঘর্মাক্তের,মিল ইন্ডাষ্ট্রীতে চাকুরেদের,আপামর মানুষের কষ্টার্জিত টাকা, যা দিয়ে আরো বেশি উন্নত করা যেতো দেশকে।পৃথিবীর ইতিহাস দেখুন কোন শাসক,কোন ধনকুবের একটি টাকাও সাথে নিয়ে যেতে পারেনি।তাহলে কেন ঠকাচ্ছেন একে অন্যকে।আপনাদের এ সব ভন্ডামি দেখে হাসে আপনার সহকর্মী।আপনাদের এ সব জৌলুস দেখে অট্টহাসি দেয় বস্তির ছেলটিও।পৃথিবীতে আরো কিছু ভাল দৃষ্টান্ত আছে।আন্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য অনেকে কাজ করছেন।কারো সাথে বৈরিতা না করে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করুন।উন্নত ক'টি দেশই তো অনুন্নত দেশগুলোকে নিয়ে খেলা খেলছে।তারা একদিকে ভাংছে অন্যদিকে গড়ছে।আমাদের যেন ভাংতে না পারে সেজন্য আমরা আমাদের দৃড় করার চেষ্টা করি।আমরা তাদের বুঝিয়ে দেই যে,আমরা আমাদের দেশের স্বার্থে এক।তাদের পদধূলি নেয়া কি আমাদের জন্য এতই দরকার? জাপানের হিরোসিমা ও নাগাসাকিতে কি ভয়ংন্কর বোমা ফেলেছিল এমেরিকা।আজো গোটা বিশ্বকে শিহরিত করে।কিন্তু তারাতো আজ শীতলতার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে।ভিয়েতনাম ১৭ বছর সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত ছিল।তার নিষ্পত্তি হয়েছে নিছক আলোচনা ও বোঝাপড়ায়।কিউবা আজ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।পরাশক্তির সাথে যুদ্ধ বাধানোর মত অসংযত সম্পর্ক তৈরি করা অনুন্নত ও উন্নয়নশীল কোন দেশের উচিত নয়।এতে ক্ষতির ভাগটিই বেশি।ভেবে দেখুন না আরব দেশগুলোতে আজ ক্ষমতার দম্ভে হচ্ছেটা কি? পরাশক্তি গুলো একদিকে যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বিক্রয় করছে,অন্যদিকে সে দেশগুলোর মানুষকে তাদের নিজের দেশগুলো থেকে বের করে দিয়ে শরনার্থী করছে।আর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বলে বেড়াচ্ছে আমরা তাদের সাহায্য করছি।কোটি কোটি মানুষের সলিল সমাধি,অনাহারে অর্ধাহারে খোলা আকাশের নিছে জীবন যাপনের জন্য দায়ী গুটি কয়েকটি দেশের শাসকগন।তাহলে আমরা কি আমাদের বিবেককে জাগ্রত করবো না? আমরা কি আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করার জন্য সততা ও যোগ্যতাকে সামনে নিয়ে আসবো না? মনে রাখুন, ক্ষমতার সাধ আস্বাধন করতে গিয়ে যারা গিলে ফেলে দেশ,বন্দুকের নলের আঘাতে যাদের ক্ষতবিক্ষত করে তাদের পরিনতি ও আসে সেভাবেই।এটি ইতিহাসের সত্য ভাষন।মানুষের উন্নতির জন্য আপনাকে জনমানুষের কাছে নিন।আপনি সৎ হলে আপনার কোন সিকিউরিটি লাগবে না।আপনার পাশ থেকে অসৎ ও অযোগ্যদের সরিয়ে নিন।প্রজন্মকে বাঁচার মত বাঁচানোর কর্মসূচি হাতে নিন।ভাগাড়ম্বর কথাবার্তা বন্ধ করুন।আপনার কর্মই বলে দিবে আপনি কি করছেন।এ সত্যকে মেনে চলতে হবে রাষ্ট্রনায়ক থেকে একজন নিম্নশ্রেনীর কর্মীকে।মহান দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ছাত্র মহাবীর আলেকজান্ডার সেনাপতিদের ডেকে অন্তিম অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন,আমার কফিন বহনের সময় আমার দুই হাত কফিনের বাইরে ঝুলিয়ে রেখ। সেনাপতিরা তার এ অভিপ্রায়ের কারণ জানতে চাইলে তিনি মৃদু হেসে বলেছিলেন, এর মধ্য দিয়ে আমি পৃথিবীর মানুষকে জানাতে চাই যে আমি খালি হাতে পৃথিবীতে এসেছিলাম, আবার খালি হাতেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছি।'এটিই বিবেকের তাড়না যার অনুশীলন দরকার আমাদের সবার।

বিষয়: বিবিধ

১২৮৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

345040
০৮ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:১৩
হতভাগা লিখেছেন : জাতির বিবেক বলা হয় সাংবাদিকদের ।

এই প্রশ্নটা কি সাংবাদিকদের কাছে করেছেন ?

বিশা......ল প্রশ্ন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File