সৃষ্টিধর্মী প্রজন্মের উত্থান জরুরী।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৩৯:৫৫ রাত
আজকের প্রজন্ম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে অগ্রগামী নি:সন্দেহে। এটা একটি আশার কথা। বিশ্বায়নের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হলে এর কোন বিকল্প নেই। তবে ভাল জিনিসের জন্য চাই সুষ্ঠু, পরিকল্পিত ও যথাযথ ব্যবহার। এক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি চোখে পড়ার মতো। প্রযুক্তির নিত্যনতুন ধারণার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার বাসনায় উদগ্রীব এ প্রজন্ম। অজানাকে জানার আগ্রহ মনুষ্য মাত্রেই স্বাভাবিক। তবে সবকিছুর ক্ষেত্রে একটা মাত্রাজ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ইন্টারনেট সুবিধা দ্রুতগতিতে আমাদের হাতের নাগালে আসছে। ইন্টারনেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সমকালীন অন্যতম সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা, ব্যবহার ও প্রয়োজন আমাদের মধ্যেও বাড়ছে। ফেসবুক ব্যবহারকারী ফেসবুকে অনায়াসে নিজের অভিমত, অনুভূতি, মতামত এবং নানারকম ছবি প্রকাশ করছে।ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। ফেসবুকের বহুবিধ ব্যবহার অনস্বীকার্য। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এ প্রজন্মের অধিকাংশেরই রয়েছে ইন্টারনেট ও ফেসবুক উন্মাদনা এবং আসক্তি। অনেক সময় নিজের অজান্তেই তারা মূল্যবান সময় হারাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই পড়াশোনার মূল্যবান সময়টাতে ফেসবুক ব্যবহার করছে। এমনকি পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তেও তারা অনেকেই ফেসবুকে সক্রিয় থাকছে। গভীর উদ্বেগের বিষয় হলো, পাঠ্যপুস্তক অথবা পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বই পড়ার প্রতি তাদের অনীহা ও উদাসীনতা বিদ্যমান। এ বিষয়টি আমাদের বেদনা ভারাক্রান্ত করে তোলে। যদি তারা ধর্মীয় কিতাবাদি, কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখের লেখা পড়ত অথবা তাদের মধ্যে জন্মাত বিশ্ব সাহিত্যানুরাগ ও বিদ্যানুরাগ, তাহলে আমরা পেতে পারতাম একটি সময়নিষ্ঠ, মননশীল ও সৃষ্টিশীল প্রজন্ম। এমন প্রজন্মই আমাদের উপহার দিতে পারত একটি অভিনব বাংলাদেশ। নতুন প্রজন্মকে মেধাবী, মননশীল, সৃষ্টিধর্মী এবং একই সঙ্গে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিবার, শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে। বই পড়ার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে। পড়াশোনার বাইরে নানান সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডের সঙ্গে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিদ্যমান সৃষ্টিশীলতার যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।এক সময় জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিল মুসলিমরা।মধ্য যুগে মুসলমানরা আটশত বছর রাজত্ব করেছিল।জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিল মুসলিমরা।আজকের পাশ্চাত্যের সভ্য দেশ যাদের বলা হয় তারা তখন আগুন জ্বালানো বা পোষাক পরতেও জানতোনা।মুসলিমরা হেরে যাচ্ছে কেন তা তাদের ভাবতে হবে অতীত ঐতিহ্য পর্যালোচনা করে।যে সভ্যতা উন্নত হয় সম্পদ বৃদ্ধিতে তখন সেখানে নৈতিকতার অধপতন হয়।মানুষের মধ্যে তখন বস্তুবাদকে ভোগ করার প্রবনতা বাড়ে এবং তারা তাদের ধর্মকে ভুলে যায়।আজকের প্রজন্মকে দেখে আমরা তা অনুমান করতে পারছি।পৃথিবীর রুপ সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করতে হলে সৃষ্টিধর্মী প্রজন্মের উত্থান জরুরী।মানুষের কর্মই যে সমস্ত অনাচারের মুল তা ভাবে না তাবৎ মানবকুল।শুধু একে অন্যেকে দোষী করে নিজের দোষ ঢাকার প্রবনতা বৃদ্ধিই করাই মানুষের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন