মুসলমানের নৈতিকতার মাপকাঠি হলো রসূল সা: এর চরিত্র অনুসরন।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪৪:২৩ রাত
আমার প্রতিবেশি দেশে বেড়াতে এসেছেন।বছরে দু'বার আসেন।এক সময় সরকারের একজন মধ্যশ্রেনীর আমলা ছিলেন।দেশে বাড়ি করেছেন দু'টো।ভাড়া পান লাখ তিনেক টাকা।শুনেছি বড় একটি ইনভেষ্টমেন্ট আছে বিদেশী ব্যাংকে।দেশে আসলে প্রতিবেশীর খোঁজ খবর নেন।সেই সুবাদে ফোন করে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করলাম।দু'টিই ছেলে।প্রথমে বড় ছেলেকে এমেরিকাতে সেটল করলেন।বাড়ি খরিদ করার সিংহভাগ নিজে দিলেন আর বাকিটা বড় ছেলে পরিশোধ করেছে।ছোট ছেলেটিকে নিজের কাছে রাখলেন।প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছেলেটি জড়িয়ে পড়লো মাদক সেবনে।প্রায় প্রতিদিন মা'র কাছে টাকা চায়।বিভিন্ন বায়না ধরে।এক সময় রাত করে ঘরে ফিরে মাদকাসক্ত হয়ে।আমি ছুটিতে থাকা কালীন এক রাতে সিঁড়ির নিকট বসা ছেলেটিকে দেখে দারোয়ানকে জিজ্ঞাসা করলাম,ছেলেটি কে? দারোয়ান বললো বাড়ির মালিকের ছেলে।মাস তিনেকের মধ্যে তিনি ছোট ছেলেকে নিয়ে বড় ছেলের কাছে চলে গেলেন।সে থেকে ওখানেই স্বামি স্ত্রী ছেলেদের সাথে থাকেন।বাড়ি দেখা শুনার জন্য নিজের এক আত্মীয়কে রেখেছেন।ভাড়া উঠিয়ে একটি অংশ এমেরিকায় পাঠিয়ে দেয়।যাই হোক জিজ্ঞাসা করলাম আর কতদিন থাকবেন ওখানে।তিনি বললেন,মনে হচ্ছে যেভাবে আসা যাওয়া করছি এভাবেই চলতে থাকবে।উন্নত পরিবেশ,পরিচ্ছন্ন ও নিয়ন্ত্রিত জীবন রেখে এখানে এসে কি লাভ? আমি বললাম ভাইজান,আপনার কি জানা আছে এমেরিকা কিভাবে উন্নত জীবন যাপন করছে? তিনি বললেন,সেখানকার মানুষ কর্মঠ,আইনের শাসন মেনে চলে।যে যার দায়িত্ব পালনের মধ্যেই নিজেদের সমৃদ্ধ করে।আমি বললাম ভাইজান,তাদের নেগেটিভ কোন কিছু কি আপনার চোখে পড়ে না?তিনি বললেন,কিছু সামাজিক রীতি নীতি তো আছে।বিভিন্ন কালচারের মানুষ বাস করছে।তবে অনৈতিক তেমন কিছু তো আমার চোখে পড়ে না।আমি বললাম,আমি যে পন্যগ্রাফিগুলো পড়ি সেগুলো তো সেখানকার লেখকদেরই লিখা।লাখ লাখ মেয়ে স্বামী পাচ্ছে না বিয়ে করার জন্য,ছেলেরা ছেলেদের বিয়ে করছে।তাছাড়া রয়েছে লাখ লাখ মদসেবি। এমন সমাজে মুসলিমরা তাদের নৈতিক দিক নির্দেশনা পাচ্ছে কিভাবে।তা ছাড়া নিজের দেশের সম্পদ অন্য দেশে গিয়ে খরচ করে তাদের সম্পদ বৃদ্ধির ব্যাপারে সে দেশগুলোকে আমরা সাহায্য কি করছি না? তিনি বললেন,ভাই আপনি আল্লাহ রসূলের দোহাই দিবেন আর আপনার সন্তান সন্ততি বিপথে যাবে সেই মুসলিম সমাজ থেকে দূরে থাকাই ভাল।আমি বললাম কিছুদিন পূর্বে একটি সমীক্ষায় দেখলাম পৃথিবীরে উন্নত কয়েকটি দেশে আমাদের দেশের এলিটরা সাড়ে চার হাজার বাড়ি করেছে।এ সমস্ত টাকা অনৈতিক উপায়ে অর্জিত না হলে তারা তো দেশেও ইনভেষ্ট করতে পারতো।তিনি আর বাড়তে দিলেন না।বললেন,এটা যার যার রুচি।
ইসলামে নৈতিক বিধান কি? নৈতিক বিধানের কথা চিন্তা করলে একজন মুসলিমকে চিন্তা করতে হয় প্রিয় রসূল সা: এর কথা।তিনি ছিলেন শেষ নবী ও আমাদের আদর্শ।আল্লাহ পাক তাঁকে তাঁর প্রতিনিধি করে সৃষ্টি করেছেন যেন মানজাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন। আল্লাহপাকের শেষ ঐশী কিতাবের সর্বোচ্চ নৈতিকতার জীবন্ত উদাহরণ হিসেবে তিনি ছিলেন আল্লাহর বন্ধু এবং তাঁর কাছে তাঁর নৈকট্যের মাধ্যমে মানবজাতির মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি ছিলেন তাঁর প্রতিনিধি, তাঁর চোখে মহাপ্রাণ, এবং সকল বিশ্বাসীর বন্ধু।
আল্লাহপাক সুরা আল-মুজাম্মিলের ৫ আয়াতে বলেন, “আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।” তিনি রসূল সা: এর উপর অত্যন্ত বড় দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। তিনি তার দৃঢ় বিশ্বাসের মাধ্যমে তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোত্তম পন্থায় পালন করেছিলেন, মানবজাতিকে ইসলামের সরল পথে আহ্বান করেছিলেন এবং সকল বিশ্বাসীর রাস্তাকে আলোকে উদ্ভাসিত করেছেন।যদিও আমরা কখনো মহানবীকে (সাঃ)কে দেখিনি এবং তিনি আমাদের জন্য গায়েব বটে, কিন্তু তবুও পবিত্র কোরআন এবং হাদিস (তার কথা, কাজ এবং শিক্ষা) অধ্যায়নের মাধ্যমে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক আচরণ, বক্তব্য এবং উদ্ভাসিত নৈতিকতা সম্পর্কে জানতে পারছি। আমরা এর মাধ্যমে তাঁর ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য তার মতো হওয়ার চেষ্টা করতে পারি।
বর্তমানকালে অনেক মানুষ, বিশেষ করে তরুণরা অনেককে তাদের রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করে তাদের মতো হওয়ার জন্য তাদের পন্থা, আচরণ, কথা, পোষাকের ধরণ এবং অন্যান্যভাবে তাদের নকল করে। যদিও এসব রোলমডেলের অধিকাংশই তাদেরকে ঠিক পথে নিয়ে যায় না, তারা বরং যথার্থ নৈতিকতা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে ভুগছে। যে ব্যক্তি সত্য পথে, সর্বোচ্চ নৈতিকতা ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী মানুষকে পরিচালিত করতে চায়, তাকে অবশ্যই সেই গুরুদায়িত্ব বহন করতে হয়। মুসলমানদের অবশ্যই মহানবী সা: এর আচরণ এবং নৈতিকতার অনুসরণের চেষ্টা করতে হবে, কারণ সুরা আল-আহযাবের ২১ আয়াতে বলা হয়েছে “যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রসুলুল্লাহ’র মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।” যেসব মুসলমান মহানবীকে সাঃ কে অনুসরণ করে তাদেরকে সর্বোচ্চ নৈতিকতা এবং আচরণ প্রদর্শন এবং অন্যদের সেদিকে আহ্বান করতে হবে। মহাবনীর (সাঃ) উক্তি, “যাদের আচরণ সর্বোত্তম তারাই সবচেয়ে বড় ঈমানদার”।এই হাদিস থেকে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায়, নৈতিকতা হলো সত্যিকারের ঈমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপদান। তাই, এই অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি অনুসরণের জন্য মুসলমানদের আগে তা সম্পর্কে সর্বোত্তমভাবে জানতে হবে।
সব মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত হলো আল্লাহর উপর প্রথমে বিশ্বাস স্হাপন করা।পবিত্র কোরআনে এমন অনেক ঘটনাই উল্লেখিত আছে, যাতে দেখা যায়, মহানবী (সা.) সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর পর তিনি ফলাফল নির্ধারণের ভার আল্লাহ’র উপর রেখে তাঁর উপর পুরোপুরি ভরসা করে আছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মক্কা ত্যাগের পর তিনি এবং তাঁর বন্ধু আবু বকর (রাঃ) যখন একটি গুহায় লুকিয়েছিলেন, সেই ঘটনাটি সম্পর্কে সুরা আত-তওবার ৪০ আয়াতে বলা হয়েছে:“তোমরা যদি তাকে (রসুলকে) সাহায্য না কর, তবে মনে রেখো, আল্লাহ তার সাহায্য করেছিলেন, যখন তাকে কাফেররা বহিষ্কার করেছিল, তিনি ছিলেন দুই জানের একজন, যখন তারা গুহার মধ্যে ছিলেন। তখন তিনি আপন সঙ্গীকে বললেন, বিষন্ন হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। অতঃপর আল্লাহ তার প্রতি স্বীয় সান্ত¡না নাযিল করলেন এবং তাঁর সাহায্যে এমন বাহিনী পাঠালেন, যা তোমরা দেখনি। বস্তুত আল্লাহ কাফেরদের মাথা নীচু করে দিলেন। আর আল্লাহ’র কথাই সবসময়ে সমুন্নত এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মহানবী (সাঃ) সবসময়ে আল্লাহ’র উপর ভরসা করে থাকতেন, কারণ তিনি জানতেন, তাঁর সৃষ্টির মধ্যেই সকল সৌন্দর্য এবং কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর লোকদের প্রতি তাঁর প্রদত্ত বক্তব্য তুলে ধরে পবিত্র কোরআনের সুরা আত-তওবার ৫০-৫১ বলা হয়েছে:“আপনার কোন কল্যাণ হলে তারা মন্দবোধ করে এবং কোন বিপদ উপস্থিত হলে তারা বলে আমরা পূর্ব থেকেই নিজেদের কাজ সামলে নিয়েছি এবং ফিরে যায় উল্লসিত মনে। আপনি বলুন, আমাদের কাছে কিছুই পৌঁছবে না, শুধু যতটুকু আল্লাহ আমাদের জন্য রেখেছেন; তিনি আমাদের কার্যনির্বাহক। আল্লাহ’র উপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত।” আল্লাহ’র কোন কিছুই কোনভাবে পরিবর্তন করা যায় না এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী মুসলমানের জন্য মহানবী (সাঃ) হলেন আদর্শ । “যখন তুমি কোন কিছু চাইবে, তখন আল্লাহ’র কাছে চাইবে এবং তুমি সাহায্য চাইলে, আল্লাহ’র কাছে চাইবে। জেনে রাখো, সকল মানুষ যদি তোমার জন্য ভাল কিছু করতে চাইলে, তা তখনই করতে পারবে, আল্লাহ’র তোমার জন্য যতটুকু বরাদ্দ রেখেছেন। তারা যদি তোমার কোন ক্ষতি করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে তারা ততটুকুই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ লিখে রেখেছেন। কলম থেমে যায়, কালি শুকিয়ে যায়।”মহানবী (সাঃ) শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চাইতেন, বিনিময়ে কিছুই কামনা করতেন না। ইসলামের অন্যতম একটি মৌলিক ভিত্তি হলো, মানুষ আল্লাহ’র প্রতি ভালবাসা, ভীতি এবং সম্মানের উপর তাদের জীবন নির্বাহ করবে, কারণ তাদের সকল কাজের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁর বেহেশতে স্থান পাওয়া। আল্লাহ বিশ্বাসীদের প্রতি বলেন যা সুরা আন-আন আমের ১৬২ বলেন,“বলুন, আমার নামাজ, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহ’র জন্য।
অধিকন্তু, বিশ্বাসীদের শুধুমাত্র আল্লাহ’র জন্য তাদের ধর্ম অনুশীলনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে সুরা আন-নিসার ১৪৬ আয়াতে,“অবশ্য যারা তওবা করে নিয়েছে, নিজেদের অবস্থার সংস্কার করেছে এবং আল্লাহ’র পথকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আল্লাহ’র ফরমাবরদার হয়েছে, তারা থাকবে মুসলমানদেরই সাথে। বস্তুত আল্লাহ শীঘ্রই ঈমানদারদের মহাপূণ্য দান করবেন।যারা আল্লাহ’র উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখে, তারা জানে তিনিই একমাত্র উপাস্য, এবং তাই তাঁর সন্তুষ্টি ও বেহেশত লাভই হয় তাদের লক্ষ্য, তারা কখনো তাঁর উপর থেকে বিশ্বাস হারায় না।এধরনের আন্তরিকতাপূর্ণ বিশ্বাসের সর্বোত্তম নজির হচ্ছে মহানবী (সাঃ) এবং অন্যন্য নবীগণ (আঃ)।মহানবী (সাঃ) তার সমগ্র কর্মজীবনে সকল ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হয়েছেন। মক্কার অবিশ্বাসী এবং মূর্তিপূজকরা তাকে ভয়ঙ্করভাবে অপমান করেছে এমনকি তাকে জাদুকর ও পাগল হিসেবে অভিহিত করেছে। অনেকে তাকে হত্যা করতে চেয়েছে এবং কেউ কেউ সেই চেষ্টাও করেছে। এবং এসব শত্রুতাপূর্ণ কাজ সত্ত্বেও তিনি সবাইকে নাযিল হওয়া কোরআনিক নৈতিকতা এবং সদাচারণের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তাঁর কিছু লোক সদাচরণ সম্পর্কে কিছুই জানতো না এবং তাই তারা বুঝতে পারতো না, তারা উচ্চতর নৈতিকতা সম্পন্নদের প্রতি আবেদন জানানোর জন্য তাদের করণীয় বুঝতে পারতো না। মহানবী (সাঃ) এ ধরনের পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন এবং সকল পরিস্থিতিতে আল্লাহ’র সাহায্য চেয়েছেন ও ঈমানদের প্রতি ধৈর্য ধরতে এবং তাঁর ইচ্ছার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে উৎসাহিত করেছেন সুরা ক্বাফের ৩৯ আয়াতে,“অতএব, তারা যা কিছু বলে, সেজন্য আপনি সবুর করুন এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন। ঈমানদারদের অবশ্যই তার ধৈর্যের সাথে তার করণীয় দায়িত্ব মনে রাখতে হবে, যাতে তারা তাদের কঠিন অবস্থায় তার অনুসরণ করতে পারে। যারা সামান্যতম সমস্যায় হতাশ হয়ে পড়ে তারা ক্ষুদ্রতম লক্ষ্যও অর্জন করতে পারে না, যারা ইসলামে আহ্বান জানানো বন্ধ করে দেয়, কিংবা যারা কোন কাজ ঠিকমতো না হলে ভেঙ্গে পড়ে, তাদেরকে অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে এ ধরনের আচরণ কোরআন এবং মহানবীর (সাঃ) শিক্ষার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। ঈমানদারদেরকে সবসময়েই ধৈর্যশীল হতে হবে, আল্লাহকে তাদের সাহায্যকারী বিবেচনা করতে হবে এবং তাঁর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে হবে, মহানবীর (সাঃ) উচ্চতর নৈতিকতা অবলম্বন করতে হবে এবং আল্লাহ’র দয়া, সহানুভূতি ও বেহেশতের আশা করতে হবে।মহানবী (সাঃ) তার পুরো জীবনেই প্রতিটি ব্যক্তির প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাদের ভুল ও ব্যর্থতাগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শিক্ষিত করতে চেয়েছেন। এই সহানুভূতি, সহিষ্ণুতা, উপলব্ধি, এবং ধৈর্য অনেককে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং তাদের মধ্যে মহানবীর (সাঃ) প্রতি সত্যিকারের ভালবাসা জন্ম নিয়েছে যা বলা হয়েছে,সুরা আল-ইমরানের ১৫৯ আয়াতে,'“আল্লাহ’র রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন, পক্ষান্তরে আপনি যদি রুঢ় ও কঠিন-হৃদয় হতেন, তাহলে তারা আপনার নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন।'মহানবী (সাঃ) কখনই কাউকে ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দেননি এবং কারো উপর কোন শর্ত আরোপ করেননি। বরং তিনি ইসলাম সম্পর্কে সবসময়েই সর্বোত্তম পন্থায় জানাতেন। তিনি সবসময়ে তাঁর শক্তিশালী নীতিবোধ দিয়ে মুসলমানদের সহযোগিতা ও সাহায্য করতেন। তাই পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় তাঁকে “তোমাদের সঙ্গী” (সুরা সাবা: ৪৬, সুরা আন-নজম: ২, সুরা আত-তাকবির ২২) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।যেসব ঈমানদার আত্মউপলব্ধির মাধ্যমে তাকে বুঝতে পেরেছিলেন, তারা তাঁকে অন্যদের চেয়ে অনেক ঘনিষ্ঠভাবে পেয়েছিলেন এবং তার প্রতি বিনীত ছিলেন। সুরা আল-আহযাবের ৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন:“নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা।” মহান মুসলিম মনিষী ইমাম আল-গাজ্জালি একটি হাদিসের আলোকে তার চারপাশে থাকা লোকদের প্রতি তাঁর আচরণ সম্পর্কে চূড়ান্ত বক্তব্য রেখেছেন:“প্রত্যেকেই মনে করতো যে মহানবী (সাঃ) তাকেই (অন্যদের চেয়ে) বেশি সম্মান করে। যেই তার কাছে আসতো, সেই তার চেহারা দেখতে পারতো।--তিনি তার সাহাবিদের তাদের পদবি ধরে ডাকতেন এবং কারো কোন পদবি না থাকলে তিনি কোন একটি তাকে দিতেন।----তিনি ছিলেন মানুষের প্রতি স্নেহশীল এবং দয়ালু।-- তার মাহফিলে কেউই উচ্চস্বরে কথা বলতো না।মহানবীর (সাঃ) যে ভালবাসা, ভাল চিন্তা এবং সহানুভূতি অনেককে ইসলাম কবুল করতে সাহায্য করেছে, প্রতিটি মুসলমানের উচিত তাদের নিজেদের জীবনে তা বাস্তবায়ন করা।পবিত্র কোরআনে সুরা আন-নিসার ১৩৫ আয়াতে আল্লাহপাক ঈমানদেরদেরকে বলেন, “ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহ’র ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খি তোমাদের চাইতে বেশি। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না।” মহানবী (সাঃ) হলেন মুসলমানদের উপর আরোপিত এসব বিধান অনুসরণের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ অনুসারী; অন্য ধর্ম, ভাষা, গোত্র এবং জাতির প্রতি তার ন্যায়বিচার ও সহিষ্ণুতার এবং ধনী ও দরিদ্রের প্রতি সমান আচরণ করার ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের পূর্ণ অনুসারী।
মহানবী (সাঃ) আল্লাহ’র নির্দেশ মেনে চলতেন এবং কখনও কোন ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার বাস্তবায়নে আপোষ করতেন না। কারণ হলো সুরা আল-আরাফের ২৯ আয়াতের নির্দেশ “আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন।” তাঁর জীবদ্দশায় খৃস্টান, ইহুদি এবং মূতিপূজকরা সবাই সমান আচরণ পেয়েছে, কারণ হলো সুরা আল-বাকারার ২৫৬ আয়াত ‘ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই” । তিনি ইসলাম সম্পর্কে সবাইকে বোঝাতেন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তার উপরই ছেড়ে দিতেন। পবিত্র কোরআনের নৈতিকতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এই মহান দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত কিভাবে তারা বর্তমান সময়ে অমুসলমানদের প্রতি আচরণ করবে তার উদাহরণ। মহানবী (সাঃ) তার শেষ ভাষণে মুসলমানদের বলেছিলেন:ধর্মীয় কারণ ছাড়া কোন অনারবের উপর কোন আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই এবং কোন আরবের উপর কোন অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই; কোন কৃষ্ণাঙ্গের উপর কোন শ্বেতাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন শ্বেতাঙ্গের উপর কোন কৃষ্ণাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, তোমাদের মধ্যে সেই সবচেয়ে উত্তম যে সবচেয়ে ধার্মিক।বর্তমানকালে, বিশ্বে চলমান সংঘাত এবং দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান হচ্ছে কোরআনের নৈতিকতার অনুসরণ এবং মহানবীর (সাঃ) মতো সকল অবস্থাতেই বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা বা জাতির মধ্যে ন্যায়বিচারের পথে অটল থাকতে হবে।মহানবী (সাঃ) ছিলেন আনন্দ সংবাদের ধারক।পবিত্র কোরআনে সুরা আল-আহযাবের ৪৫ আয়াতে মহানবী (সাঃ)কে প্রেরণের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে:“হে নবী। আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদাদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।” অর্থাৎ তিনি সবসময়েই দোজখের ভয়াবহতা থেকে মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে এই দুনিয়াতে যারা ভাল কাজ করবে তাদের জন্য অপেক্ষমান কাঙ্খিত ভবিষ্যতে বেহেশতে স্থায়ী জীবনের আনন্দ উপভোগ করার প্রতিশ্রুতি দেন। পবিত্র কোরআনে সুরা আল-বাকারার ১১৯ আয়াতে বলা হয়েছে:“নিশ্বয় আমি আপনাকে সত্য ধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোযখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না।”যারা মহানবীর (সাঃ) আদর্শে নিজেদের তৈরি করে এবং তাঁর সুন্নাহ অনুসরণ করে, তাদেরকে সকল মুসলমানের মতো একই কাজ করতে হবে:মানুষের জন্য কাজ সহজ করো এবং তাদের জন্য তা কঠিন করো না। তাদেরকে শান্ত কর (আনন্দ দিয়ে) এবং (তাদেরকে) বিরক্ত করো না।ভাল খবর প্রদানের ফলে বিশ্বাসীদের মধ্যে উদ্দীপনা এবং মনোবলের বিকাশ ঘটে এবং এর মাধ্যমে তাদেরকে আরো দৃঢ়প্রতীজ্ঞ ও মনোযোগী করা যায়। কাউকে বেহেশতে সুসংবাদ দিয়ে কোন কাজ করতে বলা হলে, একই কাজ বাধ্যবাধকতা বা অভ্যাসবশত করা এবং একঘেয়েমির ফলে সম্পন্নকারীর চেয়ে তার মনোভাব সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। একারণেই আল্লাহ মহানবীকে (সাঃ)কে সুরা আন-নিসার ৮৪ বলেছেন,“আপনি মুসলমানদের উৎসাহিত করতে থাকুন।” মহানবী (সাঃ) মুসলমানদের সমস্যা লাঘব করেছেন।
মহানবী (সাঃ) মুসলমানদের বোঝা লাঘব করেছেন এবং তারা যা ঠিকমতো বুঝতে পারছিল না, তিনি সেক্ষেত্রে তাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। মানুষ প্রায়ই তাদের জীবনকে কঠিন করে তোলে এবং তাদের সমস্যা সমাধানের মিথ্যা প্রলোভনে তাদের উপর নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করে। সময়ের পরিক্রমায় ইসলাকে বিকৃত করার এটা একটা কারণ। অনেক সমাজে কখনো অস্তিত্ব ছিল না এমন বিধানের কল্পনা করে এবং তারা নিজেরা এবং অন্যদের বিশ্বাস করাতে থাকে এসব অনুসরণ করা হলে আল্লাহ’র নৈকট্য পাওয়া যাবে। মহানবীর (সাঃ) অন্যতম গুরুত্বপূণ কাজ ছিল এসব মিথ্যা বোঝা থেকে মুক্তি দেওয়া যা বলা হয়েছে সুরা আল-আরাফের ১৫৭ আয়াতে,“সে সমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসুলের, যিনি নিরক্ষর নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তররাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষণা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দিত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। মহানবী (সাঃ) ছিলেন সহানুভূতি, ভালবাসা এবং সমমর্মিতায় পরিপূর্ণ। তাঁর বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন এবং তাঁর চারপাশের সবার শারিরীক ও আধ্যাত্মিক সমস্যার প্রতি তাঁর আগ্রহ প্রদর্শন ছাড়াও তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং সুখের জন্য তিনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। তিনি তাদের সবাইকে নিজের আশ্রয়ে রাখতেন এবং সবসময়েই ভাল কাজ করা এবং তাদের বিশ্বাস জোরদার করার জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করতেন। পবিত্র কোরআনে সুরা তওবার ১২৮ যেমনটি বলা হয়েছে:“তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসুল। তোমাদের দুঃখ সহ্য করা তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।” ঈমানদারগণ এমনকি যুদ্ধবন্দীদের প্রতি সহানভূতি প্রদর্শন করার জন্য পবিত্র কোরআনের সুরা ইনসান/দাহার: ৮-১০ আয়াতে নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছে,“তারা আল্লাহ’র প্রেমে অভাবগ্রস্থ, এতিম ও বন্দীদের আহার দান করে। তারা বলে: আমরা কেবল আল্লাহ’র সুন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।” মহানবী (সাঃ) তার সাহাবিদের সহানভূতিশীল হতে বলেছেন এবং তিনি ছিলেন এব্যাপারে শ্রেষ্ঠতম মডেল:“যার দয়া আছে, সে পরম দয়াময়ের নিকট থেকে দয়া পাবে। পৃথিবীতে যারা দয়া প্রদর্শন করে, বেহেশতে তারা দয়া পাবে।”মুসলমানরা তাদের আত্মা ও নৈতিকতার শুদ্ধতা ছাড়াও তারা তাদের দেহ, পোষাক, ঘরবাড়ি ও খাদ্যের পরিচ্ছন্নতার জন্যও পরিচিত। মুসলমানদেরকে তাদের চুল, হাত, মুখ, দেহ এবং পোষাক পরিচ্ছেদ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও যত্নে রাখতে বলা হয়েছে। তাদের কর্মস্থল এবং আবাসগৃহ সবসময়েই পরিস্কার, পরিপাটি, সুবাসযুক্ত রাখতে হবে এবং সেখানে সবসময়ে স্বস্তিদায়ক পরিবেশ থাকতে হবে। আর এক্ষেত্রেও মহানবী (সাঃ) হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ এবং তিনি মুসলমানদেরও তা করতে বলেছেন: “নিশ্চয়, ইসলাম খাঁটি। তাই খাঁটি হও, কারণ যে খাঁটি নয়, সে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।”মহানবী (সাঃ) ছিলেন সবসময়ে সুবিবেচক এবং ভদ্রকোন কোন সময়ে মহানবীর (সাঃ) কোন কোন সাহাবি কোন ধরনের বাজে ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন এবং তারা বুঝতে পারতেন না তাদের নিজেদের চিন্তাভাবনাহীন কাজ কিভাবে অন্যদের জন্য অস্বস্তিদদায়ক অবস্থার সৃষ্টি করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গৃহে সামনে দিয়ে প্রবেশের বদলে পেছন দিয়ে প্রবেশ করা, মহানবীর (সাঃ) খাওয়ার সময়ে উপস্থিত হওয়া, কিংবা দীর্ঘ সময় কথা বলে মহানবীর (সাঃ) সময় অপচয় করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কোন কোন আয়াতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে মহানবী (সাঃ) ছিলেন অত্যন্ত প্রাজ্ঞ, সজ্জন, ধৈর্যশীল এবং ভদ্র। আর তাই উল্লেখিত লোকদের সাথে সম্ভব সর্বোত্তম ব্যবহার করতেন। অন্যদের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে, এমন আচরণ না করার জন্য তিনি তাঁর সাহাবাদের অবগত করতেন এবং এভাবে ধৈর্য এবং ভদ্রতার শিক্ষা ও উদাহরণের মাধ্যমে তাদের আচার-আচরণ বদলে দিতেন।
আল্লাহ’র রসুল এবং একটি রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে দ্বৈত ভূমিকা পালনকারী মহানবী (সাঃ) রাষ্ট্র ও গোত্রের ধনী নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে দরিদ্র, অসহায় মহিলা, এতিমসহ সমাজের সকল স্তরের লোকদের সাথে তিনি সবসময়ে যোগাযোগ রাখতেন। তিনি সমমর্মিতা, ধৈর্য এবং সহিষ্ণুতা দিয়ে ভিন্ন জীবনযাত্রার এবং প্রথার লোকদেরও কাছে টানতে এবং হৃদয় জয় করতে পারতেন।মহানবীর (সাঃ) বাড়িতে বেড়ে উঠা এবং অনেক বছর তাঁর কাছে অবস্থানকারী আনাস বিন মালিক (সাঃ) তাঁর তুলনাহীন দয়ার কথা বলেছেন:“আল্লাহ’র রাসুল (সাঃ) যখন কারো সাথে করমর্দন করতেন, তখন অন্যলোক যতক্ষণ না তার হাত সরিয়ে নিত, ততক্ষন তিনি তাঁর হাত সরাতেন না। একইভাবে, তিনি কারো দিক থেকে তাঁর মুখ ফিরিয়ে নিতেন না, যতক্ষণ না উক্ত লোক তার নিজের মুখ ফিরিয়ে নিত। এবং তাঁর সামনে বসা কারো দিকে পা ছড়াতে কখনো দেখা যায়নি।”
মহানবী (সাঃ) তাঁর জীবদ্দশায় হাজার হাজার লোককে শিক্ষা দিয়েছেন এবং এর ফলে যারা ধর্ম ও নৈতিকতা সম্পর্কে কিছুই জানতো না, তারাও নৈতিকভাবে শ্রেয়তর, ভদ্র, প্রাজ্ঞ, এবং আত্মউৎসর্গকারীতে পরিণত হয়েছে। এমনকি তাঁর ইন্তেকালের কয়েকশত বছর পরও তিনি তাঁর বাণী, আচরণ এবং দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি সত্যিকারের মহান পথপ্রদর্শক এবং শিক্ষক।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন