পশুর কোন বিবেক নেই।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:২৮:১০ দুপুর

পশু আসে পশু যায় পশুই রয়ে যায়।মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে বিবেকসম্পন্ন করে কিন্তু অধিকাংশ মানুষের কাজ হলো পশুর মত।এদের সাথে কাজ করা ছাড়া বুঝা যায় না।সুরা আহযাবের ৭৩ আয়াতে এই মানুষ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন,' সে হচ্ছে অত্যন্ত অত্যাচারী ও বড়ই অজ্ঞ।'সুরা আত্ তিনের ৫ আয়াতে বলা হয়েছে,'তার পর আমরা তাকে পরিনত করি হীন থেকে হীনতমে।' যে সৃষ্ট মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ,হীনতম হওয়ার কারন কি? কারন হলো শয়তান অংগীকার করে এসেছে যা সুরা আল আ'রাফের ১৭ আয়াতে বলা হয়েছে এভাবে,'তারপর আমি আলবৎ তাদের উপর এসে পড়বো তাদের সামনে থেকে,পিছন থেকে,ডান থেকে ,বাম থেকে আর তাদের অনেককেই তুমি কৃতজ্ঞ পাবে না।' সমস্ত নবী রসূলের উম্মতের মধ্যে অসৎ ও ব্যাভিচারি জাতি ছিল।আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হলো তারা যারা ধর্মের নামে ব্যাবসা করে।ধর্মকে ব্যাবহার করে নিজেদের ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে।আসলে তারা যদি জানতো এই দুনিয়ার কোন কিছুই তাকে রক্ষা করতে পারবে না তাহলে এ সমস্ত ভ্রষ্ঠতা করতে পারতো না।এ কথাগুলো বলা হয়েছে সুরা আন'আমের ৩১ আয়াতে এভাবে,'তারা নিশ্চই ক্ষতি করেছে যারা আল্লাহর সাথে মোলাকাত হওয়া অস্বীকার করে,যে পর্যন্ত না তাদের কাছে অতর্কিতে আসে ঘড়ি ঘন্টা,তখন তারা বলবে,হায়! এ সম্বন্ধে আমরা অবহেলা করেছিলাম,বলে আফসোস! আর তারা তাদের বোঝা তাদের পিঠে বহন করবে।এটি একটি অতি নিকৃষ্ট নয় যা তারা বহন করছে?' পরকালের আবাসই তো একজন মু'মিনের জন্য আকাংখ্যা হওয়া উচিত।মানুষ মুসলমান হিসেবে দাবি করে কিভাবে যখন তার রয়েছে হাজারো অপরাধ ও অনুযোগ।তার চার পাশের প্রতিবেশী তাকে জানে ঠক হিসেবে আর সে সুন্দর কথা বলে।তার কাজে অসততা,কথায় অশোভন,পরের সম্পদ দেখলে পিছাসের মত পিছনে ঘোরা,আমানত রক্ষা নেই।এ সমস্ত নামাজিদের জন্য রয়েছে লেলিহান আগুন।এরা অন্ধ কিছুই দেখতে পায় না।কারন তাদের অন্তর পাপ পন্কিলে কভার হয়ে আছে।এটিই বলা হয়েছে সুরা বাক্কারার ৭ আয়াতে এভাবে,'আল্লাহ তাদের হৃদয়ে সীল মেরে দিয়েছেন,তাদের কানে ও চোখের পর্দার উপর।' এ জন্যই তারা বুঝতে পারে না।একজন মানুষ ধার করেছেন ও অন্যজন ধার দিয়েছেন।ধার নেয়ার সময় কত অনুনয় বিনয় ও মিষ্টি কথা।দোস্ত, ভাই,ভাবী ,আপা ,দুলাভাই,চাচা, চাচী,খালা,খালু ইত্যাদি।এর পর যখন পাওনাদার তার পাওনা চাইতে আসে তখন চলে বাহানা।হে পাপিষ্ঠ! কি করে তুমি সেজদা দাও? কি চাও তোমার রবের কাছে? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কত কষ্ট করে রেমিটেন্স নিয়ে আসে কর্মীরা। আর এক শ্রেনী ওৎ পেতে আছে ব্যাবসার নামে,ভিসা দেয়ার নামে, কোম্পানী গঠনের নামে,যায়গা জমি বিক্রি করার নামে।গহীন পানিতে,রিমোটে যায়গার নাম করে আটকায় মানুষদের।দীর্ঘ যুগ পেরিয়ে যায় যায়গার উন্নতির নাম নেই।খরিদ্দার ঘুরে ঘুরে পেরেশান।আজ এক কথা কাল আর এক কথা।খরিদ্দার জেনেও না জানার ভান করে।এ প্রহসন মানুষের সাথে নয় আল্লাহর বান্দাহদের সাথে।আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না দুর্বিত্তদের।যারা প্রজ্জলিত আগুনের ভয়ে ভীত নয় তাদের পরিনাম অতি কঠিন! অথচ কি ভাল হতো! যদি ভাল ব্যাবহার করা হতো।সততা নিষ্ঠার সাথে কাজ করা হতো।পরের ক্ষতি করা না হতো।কারো ক্ষতি করে কেউ বাঁছতে পেরেছে কোন দিন? তার বাড়ি থেকে যাচ্ছে,গাড়ি থেকে যাচ্ছে,ব্যাংক ব্যালেন্স থেকে যাচ্ছে,মরে গেলে স্ত্রী ও সন্তান বলছে তাকে রেখে আস হিমঘরে।মরে যাওয়ার তিন ঘন্টা পর তার শরীরে পঁচন ধরে।তাহলে কার জন্য এই নষ্টামি? তুমি এক ভন্ড ও নষ্ট যার নষ্টামি থেকে সমাজ রক্ষা পাচ্ছে না।সমাজের হাহাকারের জন্য দায়ি আমরা মানুষ।আল্লাহর সৃষ্টিতে কোন ক্রুটি নেই।কোন ভূখন্ড খারাপ নয়।অফিসের চেয়ারটির কোন ক্রুটি নেই।ক্রুটি হলো কুরচিটি যে চেপে বসেছে।অদক্ষ,অসৎ,প্রজ্ঞাহীন,স্বার্থপর কতিপয় ভন্ডের বেড়াজালে নিষ্পেসিত কিছু মানুষ। নিষ্পেষিতরা কি হেরে যায়? না কখনো নয়।এরা দেখতে পাবে প্রভাতের সূর্যের মত যা বলা হয়েছে সুরা আত্ব তাতফিফের(প্রতারনা) ৩৪-৩৬ আয়াতে এভাবে,' কাজেই আজকের দিনে যারা ঈমান এনেছিল তারা অবিশ্বাসীদের প্রতি হাসাহাসি করবে।উঁচু আসনে চেয়ে চেয়ে দেখবে।অবিশ্বাসীদের কি সেই প্রতিফল দেয়া হলো না যা তারা করতো?

বিষয়: বিবিধ

১০৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File