মুসলমানের বিভিন্ন রুপ।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:৪৯:১৬ দুপুর

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এক বিন্দু পানি থেকে ও যিনি আমাদের কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন।মানুষ সৃষ্টির সেরা।মানুষের আকার আকৃতির মধ্যে কিছুটা ব্যাবধান আল্লাহ পাক রেখেছেন।কেউ খাট,কেউ লম্বা,কেউ সুশ্রী,কেউ কালো,কেউ বিকলাংগ আবার কেউ বা বধির ও বোকা।কাউকে সামর্থ দিয়েছেন আবার কাউকে দেন নি।ধনী-গরীব আল্লাহরই সৃষ্টি যাতে তিনি তার বান্দাহদের পরীক্ষা করতে পারেন।সম্পদ দিয়ে যেমন পরীক্ষা করেন তেমনি না দিয়েও পরীক্ষা করেন।দুনিয়ার এই জীবনটি একটি পরীক্ষা মাত্র যাতে কেয়ামতের একটি দিনে তিনি সঠিক বিচার পায়চালা করতে পারেন। সৃষ্টিকর্তার এ এক অপরুপ সৃষ্টি।কিন্তু মানুষের মধ্যে সামান্য একটি শ্রেনী ছাড়া সৃষ্টি ও স্রষ্টাকে নিয়ে চিন্তা করে না।সূরা আলইমরানের ১৯০ আয়াতে আল্লাহ বলেন,নি:সন্দেহে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের আবর্তনে বিশেষ নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানবান লোকদের জন্য।' এই জ্ঞানবান লোকেরা কারা? যারা নভমন্ডল ও ভূমন্ডলের বিষয়াদি নিয়ে চিন্তা করে আর চিন্তা করে এগুলোর পিছনে একটি বড় শক্তি রয়েছে।খাঁটি মুসলমানরা সেই শক্তিকে এক কথায় চিনে নেয় যাঁর নাম আল্লাহ।তাঁর আরো রয়েছে ৯৯টি নাম।তিনি আরশের উপর সমাসীন রয়েছেন।যাঁর কোন তন্দ্রা ও নিদ্রা নেই।সুরা আন নুরের ৩৫ আয়াতে আরো বিশেষ ভাবে তিনি তাঁর পরিচয় ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে,' আল্লাহ হচ্ছেন মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর আলোক।তাঁর আলোকের উপমা হচ্ছে যেন তিনি একটি কুলংগী যাতে আছে একটি প্রদীপ।প্রদীপটি রয়েছে একটি কাঁচের চিমনির ভেতরে।চিমনিটি যেন একটি উজ্জল তারকা,যেটি জ্বালানো হয়েছে একটি যয়তুন বৃক্ষ থেকে,-পূর্বান্চলীয় ও নয় পাশ্চত্তের ও নয়।তার তেলটা যেন প্রজ্জলিত যদিও আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারে না।আলোকের উপর আলোক! আল্লাহ তার আলোকের দিকে যাকে ইচ্ছে করেন পথ দেখিয়ে নেন।আর আল্লাহ মানুষের জন্য উপমাগুলো ছোঁড়েন।আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞাতা।' এ ছাড়াও আল্লাহর অবস্হান সম্পর্কে অসংখ্য আয়াত রয়েছে।আল্লাহর জ্ঞান থেকে সামান্য জ্ঞান দেয়া হয়েছে সৃষ্টিকে।সৃষ্টির সেরা মানুষকে তার প্রতিনিধি করে পাঠানো হয়েছে।আল্লাহ পবিত্র এবং তিনি গ্রহন করেন পবিত্র সবকিছু।মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন।ফেরেস্তাদের দিয়ে আদমকে সেজদা করিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন মানুষই সৃষ্টির সেরা।তবে ফেরস্তাদের মধ্যে একজন যে আদমকে সেজদা করতে অস্বীকার করলো কারন সে আগুনের তৈরি ও আদম মাটির তৈরি।সে অহংকার করলো।আল্লাহ তাকে বহিস্কার করলেন কিন্তু রোজ কেয়ামত পর্যন্ত সে সময় চাইলো যাতে আল্লাহর বান্দাহদের সরল রাস্তা থেকে জাহান্নামের রাস্তায় নিক্ষেপ করতে পারে।আল্লাহ তাকে সময় দিলেন।সে মানুষের রক্তের সাথে মিশে গিয়ে মানুষের পদস্খলন করতে পারবে।সরল পথ থেকে সরাতে পারবে নাএকমাত্র আল্লাহর খাঁটি তৌহিদ বাদি বান্দাহদের।মানজাতির মধ্যে প্রধান দু'টি ভাগ হলো-মুসলিম ও কাফের।আল্লাহর কিতাব অনুযায়ি কাফেরদের অবস্হান জাহান্নামে।বিচার হবে মুসলমানদের।যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূল সা;কে মেনে নিয়েছে।মুসলমানদের মধ্যে রয়েছে আল্লাহর খাঁটি তৌহিদবাদি বান্দাহ যারা তাদের প্রতিটি সময় আল্লাহর দেয়া বিধান ও রসূল সা: এর পথ অনুসারে তাদের জীবন পরিচালনা করে আর এদের জন্যই রয়েছে জান্নাত।আর মুসলমানদের মধ্যে জালেম,ফাসেক,মোনাপেক,শির্ককারি ও বিদাআতি তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম।তবে মুসলিমদের যারা অপরাধ করেছে ও এক বিন্দু ঈমান অন্তরে ধারন করেছে তাদের শাস্তি ভোগ করার পর আল্লাহর রহমতে নাজাতের ব্যাবস্হা রয়েছে।সেটি একমাত্র আল্লাহর ইখতিয়ার কিভাবে তিনি কাকে নাযাত দিবেন।হক্কানি উলামাগন বলেছেন বান্দাহের ভুল হবে তবে যারা শির্ক,হত্যা ও ব্যাভিচার থেকে বেঁচে থাকবে আল্লাহ তাদের ছোট ছোট গুনাহ মাপ করে দিবেন।সুরা ফোরকানের সত্তর আয়াতে আল্লাহ বলেন,' সে ব্যাতীত যে তওবা করে ও ঈমান আনে ও পুর্নপবিত্র ক্রিয়াকর্ম করে।সুতরাং - তারাই আল্লাহ তাদের মন্দ কাজকে সৎ কাজ দিয়ে বদলে দিবেন।' মানুষের কাজ হলো সৎ আমল করা।কেউ যখন সৎ কাজ করতে থাকে তখন এক সময় মন্দ কাজ দূরিভূত হয়ে যায়।সৎ কাজটি হতে হবে আল্লাহ ও তাঁর রসূল সা: এর নির্দেশিত পথে।কোন কিছু বাড়ানো যাবে না এবং কমানোও যাবে না।কারন আল্লাহ পাক তার বান্দাহর জন্য দ্বীন পরিপূর্ন করে দিয়েছেন। ইংরেজিতে একটি কথা আছে,' Crabbed age and youth cananot live together.' এভাবে সততা ও অসততা এক সাথে চলতে পারে না।ভাল মানুষের পরিচয় কি? একজন ভাল মানুষ বলতে আমরা বুঝি তিনি সৎ হবেন।তার সকল কাজে কর্মে সততা থাকবে।সে যে সমাজে বাস করবে তাকে মানুষ ভাল মানুষ হিসেবে চিনবে।তার অন্তরে কি আছে সেটি আল্লাহ ভাল জানেন তবে বাহ্যিক দিক থেকে মানুষ যা দেখতে পায় তা হলো- তার মধ্যে ধর্মপরায়নতা থাকবে,কারো ক্ষতি করবে না, পরোপকারি হবে,শির্ক ও বিদাআত করবে না।কিন্তু আমরা আমাদের বিরাট সংখ্যক মানুষকে ভাল দেখতে পাই না।অর্থাৎ আমরা আংশিক ভাল।আমরা অনেকে ইসলামের মৌলিক কাজগুলো করছি।আবার কর্মক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন রুপ প্রকাশ পাচ্ছে।আমাদের কর্মের মধ্যে বেশীর ভাগ মানুষ যা করে তা হলো-কৃষি কাজ,চাকুরি ও ব্যাবসায়।যারা কৃষির সাথে জড়িত আনুপাতিক হারে তার অপরাধ করে কম।তারা অশিক্ষিত বিধায় তাদের কাছে উন্নত প্রযুক্তি নেই।এদের কেউ বেশি হলে চুরি ,ডাকাতি,পরের জমির আইল ঠেলা,গালাগালি,জিনা ব্যাভিচার এসবের সাথে জড়িত থাকতে পারে।তবে এর সংখ্যা নেহায়েত কম।ব্যাবসায়িদের মধ্যে রয়েছে বড় ও ছোট ব্যাবসায়ী।বাজার ব্যাবস্হাপনা ও পন্য দ্রব্যের সাথে যারা জড়িত তাদের বেশীর ভাগ চোরাকারবারির সাথে জড়িত।এক মালের সাথে আর এক মালের মিশ্রন ইত্যাদি করে থাকে।যারা কন্ট্রাক্ট ব্যাবসায়ের সাথে জড়িত তাদের ৯৫% ডাকাত।এরা ডাকাতি করে এক ধরনের চাকুরিজীবিদের সাথে সমন্বয় করে।তুমি আমাকে দিবে আর আমি তোমাকে দিব এই নিয়মে।এরা আমাদের চারপাশে পরিবেষ্টিত আছে।সবচেয়ে দু:খ জনক হলো এক ধরনের ধর্মব্যাবসায়ি(যারা ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ব্যাবসা করে) এ কাজগুলোর সাথে জড়িত।ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠান করে অনৈসলামিক কাজ করে।নিজেকে লেবাসি মুসলমান বানিয়ে ভীতরে হারাম কামাই করে।কয়েকমাস আগে একজন গার্মেন্ট ব্যাবসায়ি যিনি আমার বন্ধু মানুষ এসেছিল ওমরাহ করতে।তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক।আমি বললাম বন্ধু! তুমি তো আমার সাথেই ছিলে।২৫ বছর আগে তোমার দু'বেলা ভাত জুটানো কষ্টকর ছিল।এখন এত টাকা বানালে কি করে? বন্ধু বললো ব্যাবসা করছি।এতগুলো বছরে ব্যাবসায়ে উন্নতি হয়েছে।আমি বললাম সত্য করে বলতো তোমার বৈদেশিক বানিজ্য করতে কাষ্টমসকে ঘুষ দিতে হয়,আমি তো জানি তোমার বিভিন্ন ব্যাংকে লেনদেন আছে সেখানে সুদের কারবার আছে।তুমি মর্টগেজ লোন নিয়ে তোমার এপার্টমেন্টগুলোর কাজ করছো।এগুলো হারাম হালাল তুমি চিহৃিত করছো না।বন্ধু হেসে বললো-এত সব চিন্তা করলে তোমাকে না খেয়ে থাকতে হবে।তাছাড়া আমি তো করছি না।আমার লোকজন এগোলোর ব্যাবস্হা করছে।আমি বললাম আজ থেকে তোমার এই সুন্নতি লেবাস খুলে ফেল।হাঁ আমি তোমাকে সিরিয়াসলি বলছি।আমাকে যদি না খেয়ে থাকতে হয় আমি না খেয়েই থাকবো।মুসলমান হয়ে আমি বহুরুপি হতে পারবো না। বন্ধু সেই যে গেল আর ফোন করেনি।সমস্ত অফিসগুলোতে এখন ইন্টারনেট কানেকশন দেয়া আছে যাতে অফিসিয়েলরা কাজ করে।তাছাড়া হাতে রয়েছে মোবাইল ফোন।অফিসে আট ঘন্টা ডিউটি রয়েছে।এই আট ঘন্টা সময় কাজ থাকে না।অনেকের প্রতিদিন কাজও থাকে না।৯৮% লোকজন উপভোগ করে অশ্লীল ভিডিও।আমি একজন ইসলামি এক্সপার্টের কাছে অফিসের অবসর সময়টা কাজে লাগানোর সর্বোত্তম ব্যাবস্হা জানতে চাইলাম।তিনি বললেন,সময় মানবজীবনের এক অমুল্য সম্পদ।সময়ের সৎ ব্যাবহার করাই হলো উত্তম।তিনি আমাকে বললেন তুমি ইসলামিক হলে কুরআন হাদিস চর্চা করতে পার।তুমি লিখতে জানলে লিখতে পার।তুমি অন্যদের অসৎ কাজ থেকে সম্ভব হলে বিরত রাখার পরামর্শ দিতে পার।এটিও মালিকের কল্যান।এমন মুসলমান আছে অফিস আদালত গুলোতে যাদের ইসলাম সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই।তারা যেমন ইন্টারনেটে অশ্লীলতা করে তেমনি করে ইসলামের লেবাসি লোকগুলো।মিশরের অসংখ্য যুবকদের দেখেছি যারা তাদের 'এখোয়ানুল মুসলিমিন' এই সংগঠনের বলে প্রচার করে।তাদের পোষাক আষাক ও কর্মে মনে হয় নি তাদের মধ্যে ইসলাম আছে।অনেক সময়ই আমি অফিসের কাজে গিয়ে দেখেছি তারা উম্মে কুলসুমের গান শুনছে বা অশ্লীল ভিডিও দেখছে।আমি কয়েকজনকে বললাম তোমরা যে সংগঠনটিকে সাপোর্ট কর সেটি তোমাদের এই কাজগুলো করতে শিখিয়েছে? তারা বললো তা শিখাবে কেন? আমি বললাম তাহলে তোমাদের কি হক রয়েছে সেই ইসলামিক সংগঠনটির পরিচয় দাও।এভাবে প্রতিটি টেবিলে এই অশ্লিলতা চলে আর কাউকে দেখলে বন্ধ করে দেয়।হে বর্বর মানুষ! তুমি মানুষকে ভয় পেলে আর যে আল্লাহ তোমার কাজগুলো সব সময় দেখছেন তাকে ভয় পেলে না।অফিসে যদি তোমার কাজ কম থাকে মানুষের জন্য কল্যানমুলক কাজ কর।কল্যানের চিন্তা কর।তুমি মানুষকে ভাল পরামর্শ দাও। আর এক শ্রেনীর কর্মকর্তা রয়েছে কমিশন বানিজ্যের সাথে জড়িত।বৈদেশিক বানিজ্যে তাদের লেনদেন হয় অতি চতুরতার সাথে।সাপ্লাইয়ারদের কাছে তাদের দেশের ব্যান্ক এ্যাকাউন্ট দেয়া থাকে।কন্ট্রাক্ট হয়ে গেলেই তাদের টাকা এ্যাকাউন্টে চলে যায়।তাছাড়া রয়েছে উপহার সামগ্রী।রসূল সা; এর একটি হাদিস রয়েছে।কোন ব্যাক্তি তার পজিশনে থাকলে উপহারের সুযোগটি আসে।আর পজিশনে না থাকলে কখনো আসে না।এ ক্ষেত্রে চাকুরিজীবি কোন উপহার গ্রহন করলে সেটি হবে অনৈতিকতা।কারন এই উপহারের কারনে পরবর্তী সময়ে ঐ ব্যাক্তি সুবিধা গ্রহন করতে চাইবে।অনেকে মানুষকে চাকুরির সুপারিশ করে চাকুরি প্রার্থীর কাছ থেকে বিভিন্ন রকম সুবিধা গ্রহন করে।অনেকে তার পজিশনকে ব্যাবহার করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।ধরুন-আমার কাছে একজন সাপ্লাইয়ারের কাজ আছে।আমি বললাম আমি একটি মহান কাজ করতে যাচ্ছি তুমি আমাকে সাহায্য কর।লোকটি লজ্জায় পড়ে করলো।পরক্ষনে অন্যের কাছে বললো ,আমাকে আমার প্রফিটের টাকা রেখে যেতে হলো।সুরা বাক্কারার প্রথম দিকে মুত্তাকিদের গুন সম্পর্কে বলা আছে,'আমরা যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে খরচ কর।' বান্দাহ তুমি নিজের পকেট থেকে হালাল থাকলে খরচ কর আর না হলে আল্লাহ তোমাকে পাকড়াও করবেন না।কিন্তু দ্বীনের নামে অদ্বীন কেন? কয়েক বছর আগে একজন ইসলাম ভাবাপন্ন দরিদ্র কর্মী যার বেতন সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকা।পরিবারে রয়েছে তার স্ত্রী ও দু'সন্তান।বিদেশে এসেছে ধার দেনা করে।ইসলামের কথা শুনে এমন যযবা তৈরি হলো যে এক মাসের টাকা আল্লাহর রাস্তায় দিয়ে দিল।পরের দিন আর একজনের কাছে হাওলাত চাইতে গেল ও তাকে কারনটি দর্শাতে হলো যে আল্লার রাস্তায় পুরো টাকা দান করে দিয়েছি।যার কাছে হাওলাত চাইতে গিয়েছে তিনি বললেন ভাল কথা আপনি সব টাকাই আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছেন।এটি পাকা ঈমানদারের লক্ষন।কিন্তু আপনারতো চলার পথটি বন্ধ করতে আল্লাহ বলেন নি।যার বক্তৃতা আপনি শুনে কাজটি করলেন তিনি ঢাকা শহরে অনেক প্রপার্টির মালিক ও তিনি আপনার মাসিক বেতনের ২৫ গুন বেতন পান।তার মত লোকদের উচিত আপনাদের মত গরীব মানুষদের পকেট খালি না করে তার পকেট খালি করা।রসূল সা; জিহাদের মত অবস্হায় কেউ যেতে চাইলে যদি কারো বৃদ্ধ পিতা মাতা থাকতো তাদের না যেতে পরামর্শ দিতেন।ভদ্রলোক তাকে ৫০০ টাকা দিয়ে বললেন আপনাকে এ টাকা আর দিতে হবে না।সমাজে যাদের করার আছে তারা নিজেদের টাকা জমিয়ে পাহাড় বানাচ্ছে আর অন্যদের শোষন করছে।ইহুদি ও খ্রীস্টানদের পাদ্রিরা এ কাজগুলো করে মানুষকে শোষন করতো।এখন ইসলামের এ রকম ধারক ও বাহক তৈরি হয়েছে যারা নিষ্পেষিত হচ্ছে এ রকম পাদ্রীদের দ্বারা। আজকের সমাজে মানুষ একদিকে বিভাজিত অন্যদিকে একে অন্যকে করছে শোষিত।জাতীয়তার নামে ,ধর্মের নামে,সামাজিক কৃষ্টির নামে যা অধপতিত করছে আমাদের।আমাদের জীবনের মধ্যে এই বহুরুপিতার অবসান ঘটানো জরুরি।ইসলামের জীবন একটি সুন্দর ও সুশৃংখল জীবন।এখানে কোন অশ্লীলতা নেই আর নেই কোন অসুন্দর কাজ।হযরত আবু বকর রা: স্ত্রীর জমানো সামান্য চিনি বায়তুল মালে জমা দিয়েছিলেন।স্ত্রী সখ করেছিলেন সামান্য মিষ্টান্য তৈরি করবেন বলে।কিন্তু খলিফা ভাবলেন আল্লাহর ভয়ের কথা।আমরা এই পথ গুলো বাস্তব জীবনে অনুশীলন না করে বড় বড় কথা বলে চলছি।ইসলামের কথার সাথে জীবনের পেরালেল সম্পর্ক থাকতে হবে।যদি তা না হয় তা হবে বহুরুপিদের কাজ।এই বহুরুপি যাযকদের দ্বারা সমাজ পরিবর্তন হওয়া খুবই দুরুহ কাজ।

বিষয়: বিবিধ

১৭০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File