মানব সমাজে পথভ্রষ্ঠতা কিভাবে এলো?
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:৪৮:৪৮ দুপুর
আল্লাহ পাক এক ও একক যার কোন শরীক নেই।তিনি চিরন্জীব ও চিরস্হায়ী।যিনি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য।তিনি বান্দাহদের কাছে কোন রিজিক চান না বরং তিনিই বিরাট রিজিক দাতা,ক্ষমতার অধিকারি ও শক্তিমান(সূরা আয্ যারিয়াত ৫৬-৫৮)।আল্লাহ পাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর একত্ববাদে বিশ্বাসী হয়ে যেন জীবন পরিচালনা করে এবং এটিই মানুষের ফিৎরাত বা প্রকৃতি।পূর্বের সমস্ত নবী ও রসূলগন এবং আখেরি নবী মোহাম্মদ সা: তিনিও এই তৌহিদের দাওয়াত নিয়ে এসেছেন এমন এক সমাজে যারা বহু প্রকার শির্ক ও পাপাচারে লিপ্ত হয়েছিল।মানবজাতি কিভাবে পথভ্রষ্ঠ হয়েছিল তা জানা প্রতিটি মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য।খাঁটি ইবাদত করতে হলে শির্ক ও পথভ্রষ্ঠতাকে বিভক্ত করতে হবে আর তৌহিদকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।আল্লাহ পাক সৃষ্টি জগতকে সৃষ্টি করেছেন ইবাদতের জন্য এবং সমস্ত সৃষ্টিই তার ইবাদত করে।মানুষ ও জিনকে বিশেষভাবে ভাল ও মন্দ দু'টি গুন দিয়েছেন।তাদের মধ্যে ভাল শক্তি যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে খারাপ শক্তিও।পশুর চরিত্র যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে ফেরেস্তার চরিত্রও।ফেরস্তার কোন গুনাহ হয় না, তারা সব সময় আল্লাহর গুন গানে ব্যাস্ত থাকে।তাদের কোন অন্যায় করার ক্ষমতাই দেয়া হয় নি।কিন্তু মানুষ ও জিনকে ভাল ও মন্দ দু'টি গুন দেয়া হয়েছে যেন তাদের এই দুনিয়ার জীবনে পরীক্ষা করতে পারেন।ভাল মানুষদের মধ্যেও পাশবিক শক্তি রয়েছে কিন্তু তারা ঈমান ও সৎ আমলের কারনে সেই পাশবিক শক্তিকে দমন করতে পারেন।যারা খারাপ মানুষ তাদের মধ্যে ফেরেস্তাগত গুন রয়েছে কিন্তু তারা সেই শক্তিকে অন্যায় অপরাধের কারনে দুর্বল করে ফেলে।ভাল ও মন্দের পুরস্কার হিসেবে জান্নাত ও জাহান্নামের ব্যাবস্হা রেখেছেন।দুনিয়াটি হলো সৎ ও অসৎ আমলের জীবন যা মৃত্যুর পর বারযাখ জীবন পার হয়ে কেয়ামতের দিনে হিসাব নিকাশ হয়ে প্রতিদান হিসেবে জান্নাত বা জাহান্নাম প্রদান করা হবে।তবে কবর থেকেই শুরু হউ আখেরাতের জীবন। মানুষের মাঝে প্রকৃতিগত যে শক্তি রয়েছে তাতে যদি তার পরিবেশ ও সমাজ দ্বারা বিকৃতি না ঘটে তাহলে সে মানুষ কখনো পথভ্রষঠ হবে না।মানুষ ও জিন শয়তান বিভিন্ন প্ররোচনা দিয়ে মানুষকে আল্লাহর তৌহিদ থেকে পথভ্রুষ্ঠ করে থাকে।এরা একে অন্যকে চাকচিক্যময় কথা দিয়ে আল্লাহর পথ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়।মানুষের জীবনে রয়েছে ফেরেসানি ও বিপর্যস্ততা।এই দুর্বলতার সুযুগ নিয়ে মানুষ ও জিন শয়তান তাদের প্ররোচনা দেয় যে,তাতে কি হয়েছে ওয়ালি আওলিয়া ভাগ্য সুপ্রসন্ন করতে পারে,অমুক মাজারে গেলে কেউ খালি হাতে ফিরে না। ঘুষ খেয়েছ তাতে কি হয়েছে অমুক তাবলিগে চিল্লা দিলে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে বা অমুক খানকায় গরু জবাই দাও।শয়তান তাদের এ রকম প্ররোচনা দিয়ে প্রকৃতিকে বিকৃত করে বক্র পথে নিয়ে যায়।তোমার ভাগ্যের পরিবর্তন ফরকার তাতে কি হয়েছে, লক্ষী দেবিতো আছে যে তোমার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। পরীক্ষায় ফেল করেছ কি হয়েছে স্বরস্বতি দেবি আছে যে বিদ্যার মালিক।এভাবে এক মুশরিক থেকে তৈরি করা হয়েছে লক্ষ মুশরিক।এ সমস্ত অসৎ পরামর্শ দিয়ে অধিকাংশ মানুষকে প্রতারিত করা হয়।আল্লাহর একত্ব প্রতিটি মানুষের ভীতরে লুকায়িত আছে।আর শির্ক এসেছে বাইরে থেকে।মানবজাতির ধর্ম হলো ইসলাম।আর শির্কের ধর্মগুলো মানুষ যুগে যুগে তৈরি করেছে।সমস্ত নবী রসূলকে আল্লাহ পাক তৌহিদ নিয়ে পাঠিয়েছেন।যখন শির্কের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তখনি আল্লাহ পাক নবী রসূলদের পাঠিয়েছেন।আদম আ;কে সৃষ্টি করার পর দশটি বড় যুগ মানুষ তৌহিদের উপর ছিল নুহ আ; এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত।শির্ক থেকে সতর্ক করার জন্য সর্বপ্রথম নুহ আ; কে পাঠানো হয়।এর আগে কোন শির্ক ছিল না।চিকিৎসার আবির্ভাব হয় কোন রোগ আগমন হলে।যে ফিতরাৎ দিয়ে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন নুহ আ: এর আগে তা বর্তমান ছিল।যখনি শির্ক শুরু হলো ঠিক তখন নূহ আ: আবির্ভূত হলেন।সূরা রুমের ৩০ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'অতএব তোমার মুখ ধর্মের দিকে একনিষ্ঠভাবে কায়েম কর।আল্লাহর প্রকৃতি যার উপর মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।আল্লাহর সৃষ্টিতে কোন পরিবর্তন নেই।এটিই হচ্ছে সুপ্রতিষ্ঠিত ধর্ম কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।' রাসূল সা: বলেছেন,'প্রতিটি শিশু জন্মায় ফিৎরাতের উপর,তার বাবা মা তাকে ইহুদি খৃস্টান ও অগ্নিপূজক বানিয়ে দেয় (ছহি বোখারি/মুসলিম)। সমস্ত নবী রাসূলের দ্বীন ছিল ইসলাম।ইসলাম হলো আল্লাহর আনুগত্য করা।মানবজাতি একটি জাতি (সূরা বাক্কারা ২১৩)। অতপর নবী রাসূলকে পাঠানো হলো সতর্ক ও সাবধানকারী হিসেবে।শির্কের রোগ যখন দেখা দিল তখন আল্লাহ পাক নবী রসূল পাঠালেন।মানুষকে সাবধান করা হলো যদি তৌহিদের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক তাহলে দুনিয়ার আযাব ও পরকালে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত হয়ে চির সুখের জান্নাত লাভ করবে।বিশুদ্ধ আক্কিদা থেকে বিচ্যুত হয়ে শির্কে প্রবেশ করেছিল নুহের জাতি।আল্লাহ পাক এ ব্যাপারে সূরা নিসার ১৬৩ আয়াতে বলেন,'নিসন্দেহে আমরা তোমার কাছে প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছি যেমন আমরা প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছিলাম নূহকে ও তার পরবর্তী নবীদের আর আমরা প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছি ইব্রাহীমকে,ইসমাইল,ইসহাক ও ইয়াকুব,আর গোত্রদের,ঈসা,আইয়ুব,ইউনুস,হারুন,সুলাইমান ও দাউদকে দিয়েছিলাম যবুর।' আদম আ' এর পরে দশটি যুগ চলে গেছে।এই যুগগুলো ছিল হাজার বছরের। যেমন নুহ আ: ৯৫০ বছর শুধু মানুষকে আল্লাহর দিকে ডেকেছেন।এই যুগগুলোতে সকল মানুষ ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল।তারা আজকালকার মত শির্ক,মূর্তিপূজা,কবর বা মাজার পূজা,অগ্নিনপূজা ,বিদাআত কিছুই জানতো না।মানবজাতি একটি জাতিই ছিল কিন্তু তারা শয়তানের প্ররোচনায় মতবিরোধ শুরু করলো।কেউ বললো আল্লাহকে পাওয়ার জন্য ওসিলা লাগবে ও আমাদের নেকলোকরা মারা গেছে তাদের মূর্তি তৈরি কর যারা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।সূরা ইউনুসের ১৯ আয়াতেও বলা হয়েছে,'মানবজাতি এক জাতি বইতো নয়।তারপর তারা মত পার্থক্য করলো।' মানুষ যখনি সঠিক দ্বীন থেকে সরে গেল তখনি নবী রসূল পাঠিয়ে আল্লাহ পাক তাদের ভ্রান্ত পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানালেন।আমরা সাধারনত জানি মানুষের মধ্যে বিবাদ শুরু হলেই সালিশ বাসানোর প্রয়োজন হয়।নবী রাসূলগনও মানব জাতিকে সুপথে নিয়ে আসার জন্য ওহির মাধ্যমে তাদের নসিহত করেছেন।আরবরাও ইব্রাহীম আ: এর পর বহু দিন একত্ববাদের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল।কিন্তু আমর ইবনে লোহাই যে ছিল একজন ব্যাবসায়ি ও চালাক চতুর মানুষ।সে শ্যাম ও ফিলিস্তিনের দিকে ব্যাবসায়িক কাজে গিয়ে দেখলো সেখানে পাথর পূজা করছে।একটি পাথর দেখে সে অভিভূত হলো যার নাম হোবাল।সে পাথরটি নিয়ে এসে ক্কাবা ঘরের ছাদের উপর রেখে দিল।মক্কায় এই প্রথম হোবাল মূর্তির পূজা শুরু হলো।ওহুদের যুদ্ধে যখন ৭০ জন সাহাবি শহিদ হয়ে গেলেন তখন আবু সুফিয়ান রা:( তখনো ইসলাম গ্রহন করেন নি) চিৎকার করে বলেছিলেন হোবালের জয়।মুশরিকরা যেমন বলে গাউছুল আযম বা খাজা বাবা সব দিতে পারে।এর পর দ্বীনি ইব্রাহীমকে বিকৃত করলো এবং ক্কাবা ঘরে ৩৬০টি মূর্তির পূজা তারা করেছিল মাত্র ৩০০ বছরের মধ্যে।শির্ক দিয়ে শুরু করলেও ধর্মের নামে আরো কিছু জিনিস সৃষ্টি করলো।মক্কায় তারা আসতো তওয়াফ করার জন্য কিন্তু যেহেতু তারা বাইরে থেকে এসেছে সে সব কাপড় তারা ব্যাবহার করতো না।উলংগ হয়ে তারা ক্কাবা প্রদক্ষিন করতো।আজকালকার এক শ্রেনীর মানুষ যেমন নেংটা পীরের মুরিদ হয়।তাদের কোন কাপড় লাগে না কারন মারেফতের কাপড় তারা পরিহিত থাকে।এ সব পথ ভ্রষ্ঠতা অতি প্রাচীন কালের।হজ্জের একটি রোকন আরাফাতে অবস্হান করা কিন্তু মক্কার লোকরা করতো না কারন তারা তাদের বিশিষ্ট লোক মনে করতো।যারা বাইরে থেকে আসতো তাদের তারা আরাফাতে যেতে বলতো তাহলে তাদের হজ্জ কবুল হবে।কুরবানি করে পশুর রক্ত ক্কাবা ঘরের দেয়ালে মেখে দিত। এইভাবে ধীরে ধীরে দ্বীনে ইব্রাহীমকে তারা বদলাতে থাকে।আজও মুসলিম সমাজে কুরআন ও সূন্নাহের যায়গা যখন দখল করছে শির্ক আর বিদাআত তখন আর ছহি ইবাদত আর থাকছে না।গোম্রাহীর পথ একদিনে আসে না।কেউ যখন একটি শির্ক বা বিদাআত করে সেটির চর্চা হতে থাকে যুগ যুগ ধরে।আর কয়েক যুগ পর গোটা উম্মাহ গোমরাহ হয়ে যায় এবং তারা মনে করে এগুলো-ই আমাদের ধর্ম।যখন হেজাজে শির্ক কানায় কানায় পূর্ন হয়ে গেল তখন আল্লাহ পাক রাসূল সা:কে মানব জাতির জন্য মুক্তির দূত হিসেবে পাঠালেন।তিনি তৌহিদের দাওয়াত দিতে থাকলেন এবং ইব্রাহীম আ; এর সূন্নতের উপর থাকার আহ্বান জানালেন।আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ বা প্রচেষ্টা চালালেন।তাঁর প্রচেষ্টায় তৌহিদের আক্কিদা ফিরে আসলো।রাসূল সা: নিজ হাতে ছড়ির ইশারা করতেই ৩৬০টি মূর্তি ভেংগে পড়লো।আল্লাহ পাক তাঁর মাধ্যমে দ্বীনকে সম্পুর্ন করলেন বিশ্বজাহানের উপর তাঁর নেয়ামত পরিপূর্ন করলেন।এই উম্মতের যে স্বর্নযুগগুলো ছিলো ,তারা রাসূল সা: এর আদর্শের উপর চললেন।তারা শির্ক কুফরিতে লিপ্ত হন নি।এর পরে ধীরে ধীরে ছুপিইযমের বিদাআত আসতে থাকলো যা আজ পর্যন্ত ব্যাপক হয়ে উঠেছে।কবর মাজার পূজা,পীরের আখড়া বানানো,দরহ্গাহ ও খানকা বানানো, কবরে ফুল দেয়া ও ছাদর চড়ানো,ইসলামের নামে অসংখ্য ত্বরিকা আবিস্কার হলো।স্বর্ন যুগের পর অজ্ঞতার অন্ধকার মুসলিম সমাজকে আবার ছেয়ে ফেললো।কোন মানুষের মধ্যে তৌহিদ থাকলে কখনো শির্ক ও কুফরিতে লিপ্ত হতে পারে না।একশ্রেনীর মোল্লারা কোরআনের আয়াতকে অপব্যাখ্যা করেছে আর জাল ও মিথ্যা হাদিসের প্রসার ঘটিয়েছে।আর তাদের অন্ধ মুরিদরা তাদের অনুসরন করেছে।এগুলো হয়েছে গোম্রাহী ও মূর্খতার কারনে।যখন সমাজে অজ্ঞতা ব্যাপক আকার ধারন করলো তখন অন্যান্য ধর্মের ভ্রান্ত বিশ্বাসগুলো স্হান করে নিতে থাকলো।পৃথিবীতে যেখানে ছুপিইযম আছে তা হলো খিছুড়ির মত।শয়তান ছুপিইযমকে মানুষের মধ্যে অত্যন্ত চমৎকার রুপ দিয়ে তৈরি করেছে।তাদের কর্মগুলো দেখলে মনে হবে সবই ইসলামের কাজ।কিন্তু আলকুরআন ও ছহি হাদিসের দার্শনিক তত্তের দিকে গেলে তখন সহজে বিভেদ খুঁজে পাওয়া যাবে।আমাদের উপমহাদেশে যদি পীরতন্ত্রগুলোর দিকে গভীর রেখাপাত করেন দেখতে পাবেন বিভিন্ন ধর্ম থেকে কিছু কিছু নিয়ে তার উপর ইসলামের লেবাসটি উপরে লাগিয়ে ভীতরে তৈরি হয়েছে ইসলামের নতুন নতুন রুপ যা কুরআন হাদিস খুঁজলে কিছুই পাওয়া যাবে না।কবরগুলো যদি সাধারন কবরের অবস্হানে থাকতো তাহলে অনেক ক্ষেত্রে শির্ক আসতো না।আরব দেশগুলোতে ও ভারত উপমহাদেশে এ রকম অসংখ্য কবর রয়েছে যা পাকা ও কাপড় চড়ানো যেখানে মুরিদরা তাদের পিরদের পূজা করে।অর্থ লুটপাট করার একটি বড় উপায় হলো কবরগুলোকে মাজারে পরিনত করা।তারা নেক লোকদের সাহায্যে আল্লাহর সান্নিধ্যে যেতে চায়।ঠিক এ কাজটিই করেছিল নূহ আ; এর জাতি।যারা কুরআন ও সূন্নাহের কথা বলে তারা হলো এই কবর ও পির পূজারিদের দুশমন।এরা সাধারন কবরকে বলে কবর আর রসূল সা: এর কবরকে বলে রওজা পাক,পিরদের কবরকে মাজার এভাবে শ্রেনীবিন্যাস করেছে।সাহাবিরাতো কখনো এই ভাগ করেননি।নবী সা: এর কবরকে সাহাবারা কবর বলেছেন,মা আয়শা রা: কবর বলেছেন তাহলে এই পথভ্রষ্ঠরা রওজা পেল কোথা থেকে।আল্লাহ পাকের ইবাদতগুলো তারা এ সব কবরের বাসিন্দাদের দেয়,গরু খাশি মোরগ জবাই করে ও নযর নিয়াত করে।এগুলোকে তারা শির্ক না বলে ওলি আউলিয়ার ওসিলা বলে মনে করে।তারা এগুলো এই উদ্দেশ্যে করে যাতে এদের মাধ্যমে আল্লাহকে পেতে পারে।তাদের ধারনা এগুলো করে আল্লাহর ইবাদত করছে আসলে এগুলো শির্ক এবং কেয়ামতের দিন এরা সবাই তাদের বিরোধিতা করবে।এই কথাগুলো-ই প্রাচীন যুগের মুশরিকরা বলতো যা সূরা যুমারের ৩ আয়াতে বলা হয়েছে 'যাদের আমরা ইবাদত করি তারা আমাদের আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছে দিবে।' আগের যুগের মুশরিকরা শির্ক করলেও তৌহিদে রুবুবিয়াতকে মানতো।এখনো কোন হিন্দু মুশরিককে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তোমাকে কে সৃষ্টি করেছে,তারা বলবে উপরওয়ালা সৃষ্টি করেছে।কবর মাজার ওয়ালাদের জিজ্ঞাসা করলেও একই কথা বলবে।কিন্তু এদের কেউ কেউ বিশ্বাস করে ওলি আউলিয়াদের কাছে গেলে তারা সন্তান দিতে পারে।তাহলে বর্তমান যুগের এই মুশরেকরা প্রাচীন যুগের মুশরিকদের চেয়েও নিকৃষ্ট।সূরা ইউছুপের ১০৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'অধিকাংশ লোকেরা আল্লাহর উপর ঈমান রেখেও তারা শির্ক করে।'মানবজাতির ইতিহাসে আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার খুব কম লোকই করেছে।পশ্চিমা সভ্যতায় এখন এর সংখ্যা অনেক বেশি।তাদের কাছে ধর্মটা এখন নামমাত্র।কেউ হয়ত জন্মসূত্রে খৃস্টান কিন্তু আল্লাহ সম্পর্কে তাদের কোন ধারনা নেই।তেমনি মুসলমানদের মধ্যে অসংখ্য রয়েছে যারা নামে মুসলমান কিন্তু ইসলামি শরিয়তের মধ্যে তাদের কোন জীবন যাপন নেই।অধিকাংশ যুবসমাজের অবস্হা এখন এরকম যাদের কাছে ধর্মের কোন অস্তিত্ব নেই।যারা ছেলে মেয়েদের সে সব দেশে পড়াশুনার জন্য পাঠাচ্ছে তাদের সিংহভাগ ইসলাম বহির্ভূত জীবন যা্ন করছে।আমি অনেকে যুবকের কাছ থেকে জানাতে পেরেছি মসজিদ দূরে হওয়ায় শুক্রবার ও তারা নামাজ থেকে বন্চিত হচ্ছে।লুতের সম্প্রদায়ের এ সমস্ত দেশগুলোতে বাবা মা'রা সন্তান পাঠিয়ে যখন গর্ভ করেন তখন তাদের আল্লাহ নিকৃষ্ট জীব হিসেবেই মনে হয়।এ জাতিগুলো মধ্য যুগে আগুন জ্বালাতেও শিখে নি।মুসলমানরা যখন শিক্ষায় দীক্ষায় সমুন্নত ছিল তখন এরা মুসলমনাদের কৃষ্টি সভ্যতা জানার জন্য আসতো আজকে যেমন মুসলমানরা তাদের দেশে যায়।মুসলমানরা হেরে গিয়েছিল তাদের দ্বীন থেকে সরে গিয়ে প্রাচুর্য ও সম্পদের মোহে প্রলুব্ধ হয়ে।মুসলিমদের দলে দলে বিভক্ত করে তারা তাদের প্রভুত্ব বিস্তার করে চলছে।আর দেশ ত্যাগী আমাদের সন্তানদের বাবা মা'রা মুসলিম দেশগুলোতে থেকে খুব গর্ব করছেন ছেলেমেয়ের সম্পর্কে।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তাছবিহ হাতে মসজিদে আসা যাওয়া করছেন ও দান খয়রাত করছেন।যারাই এই সব পথভ্রষ্ঠতাকে বেচে নিয়েছে তারা অহংকার বশতই বেছে নিয়েছে অথচ তাদের হৃদয় জানে এই বিশ্বভ্রমান্ডের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ।তারা এসব বড় বড় সৃষ্টিকে প্রকৃতির নামে চালিয়ে দেয়।তারা কি মনে করে না প্রকৃতির পিছনে কোন বড় শক্তি না থাকলে তা আপনিই সৃষ্টি হয়ে যায়? বস্তুত প্রতিটি সৃষ্টির জন্যই স্রষ্টা রয়েছে, যা জ্ঞানীরা সর্বসম্মতভাবে মেনে নিয়েছে।মুসলিম সমাজগুলোর আজকের এই দৈন্যতার জন্য প্রতিটি মুসলিম সরকার যেমন দায়ী তেমনি দায়ী আমরা মুসলমানরা।মুসলিমদের সামান্য সংখ্যক লোক এখন জ্ঞান অন্নেষন করেন অথচ এটিই ছিল তাদের মুল কাজ।মুসলিম সমাজে এখন একে অপরকে শুধু ঠাকাচ্ছে না,তাদের জীবন দিতে হচ্ছে একে অপরের কাছে।রাষ্ট্র শক্তির ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয়তাবাদের শক্তিগুলো যেমন লড়ছে তেমনি লড়ছে ইসলামের খন্ড শক্তিগুলো।ইসলামের মৌলিক কাজটি হলো মানুষ তৈরি করা।ইসলামে তো কোন বিভক্তি নেই।এই বিভক্ততা তৈরি হয়েছে আল্লাহর দ্বীনকে না বুঝার কারনে।মুসলিমরা আহলে আল সূন্নাহের অনুসারি।ইসলামের অসংখ্য দল তারা দাবি করে আমরা আহলে আল সূন্নাহের অনুসারি।রসূল সা: আহলে আল সূন্নাহের দলের ব্যাপারে বলেছিলেন ,'আজকের যুগে আমার জীবদ্দশায় আমি যে আদর্শের উপর টিকে আছি এর উপর যারা কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে এবং আমার সাহবাদের আদর্শের উপর যারা কায়েম থাকবে তারা।'সূরা আত্ তাওবার ১০০ আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন,'মুহাজিরদের ও আনসারদের মধ্যের অগ্রবর্তীরা -প্রাথমিকরা আর যারা তাদের অনুসরন করেছিল কল্যান কর্মের সাথে-আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট আর তারা ও সন্তুষ্ট আল্লাহর উপর।' আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদা একটি বড় বিষয় যা অল্প কথায় প্রকাশ করা যায় না তবে মৌলিক বিষয় যা জানার দরকার তা সবারই জেনে নিতে হবে।আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে আহলে সুন্নাহ কাকে বলে ও আল জামা'আ কাকে বলে।যতক্ষন পর্যন্ত এর মৌলিক ব্যাখ্যা না জানা হবে ততক্ষন দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞই থাকতে হবে।পৃথিবীতে এখন যারা আহলে সুন্নাহ দাবি করে ও ইসলামের কাজ করে তাদের জানতে হলে আসল আহলে সুন্নাহ আল জামআ'র প্রকৃতি কি ,তারা কারা ছিল ,তারা কি অনুসরন করতেন ,কিভাবে ইবাদত করতেন তা আমাদের জানতে হবে।আহাল শব্দটি একটি আরবি শব্দ।সুন্নাহ শব্দটিও আরবি শব্দ এবং জামাত শব্দটিও আরবি শব্দ এবং আক্কিদাও আরবি শব্দ।আহাল অর্থ পরিবার,বংশ এবং বিশিষ্ট ও হয়।আহলে সুন্নাহ হলো - সুন্নত ওয়ালা বা যাদের কাছে সুন্নত আছে।সুন্নতের শাব্দিক অর্থ হলো রাস্তা বা পথ বা আদর্শ বা ত্বরিকা।এই যে সুন্নতের কথা বলা হলো-তাহলো রাসুল সা: এর সুন্নত যারা রাসুল সা; এর আদর্শ কে মেনে চলে।যাদের বিশ্বাসে ,কর্মে ও আমলে রাসুল সা: এর পথ রয়েছে তারাই আহলে আল সুন্নাহের পথে আছে। জামাত হলো দল।আর এই জামাত বলা হয়েছে ইসলামের প্রথম জামাতকে যাদের রাসুল সা; তার নিজ হাতে গড়েছিলেন।এটি কোন মানুষের তৈরি জামাত নয়। নবী রসূল ছাড়া যদি কোন মানুষের দ্বারা দল তৈরি হয় তখন সেখানে বিভ্রান্তির সম্ভাবনা রয়েছে।কারন নবী রসুল কোন কাজই করেন নি আল্লাহ পাকের অনুমোদন ছাড়া।তাহলে আমরা যখন আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কথা বলবো তখন প্রথম সারিতে আসবে সাহাবিগন।তাদের ইসলামে যদি কোন ক্রুটি থাকে তাহলে বলতে হবে আর ইসলাম নেই এটি একটি সহজ কথা।আমরা যেমন দিনকে সূর্য দেখে বিশ্বাস করি তেমনিই দ্বীনের ক্ষেত্রে আমাদের সামনে সাহাবাগন।তারা জীবনের সর্বক্ষেত্রে সৎ পথে ছিলেন এবং তাদের তৈরি করেছিলেন স্বয়ং রসুল সা:।দ্বিতীয় সারির মানুষ তাবেঈন ও তৃতীয় সারির মানুষ তাবা-তাবেঈন যাদের সম্পর্কে রসুল সা: বলেছেন,'সর্বোত্তম যুগের মানুষ আমার যুগের মানুষেরা(সাহাবিগন) তার পর ঐ লোকেরা যারা তাদের(সাহাবাদের) পরে পরে আসবে ও তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন অর্থাৎ (তাবেঈন), তার পরের লোকেরা যাদের সাথে এক বা একাধিক তাবেঈর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে অর্থাৎ( তাবা - তাবেঈন)।এর পর যে যুগ আসবে, সে যুগগুলো সম্বন্ধে বলেছেন জীবনের সর্বক্ষেত্রে মিথ্যার ছাড়াছড়ি থাকবে।আজকে যে ধর্মের নামে হাজারো দল পৃথিবীতে তৈরি হয়েছে তারই ভবিষ্যৎ বানি রাসুল সা; করেছেন।আবু দাউদের হাদিসে রসুল সা: বলেছেন,'ইহুদি হবে ৭১ দলে বিভক্ত,খৃষ্টান হবে ৭২ দলে ও আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত।সবাই জাহান্নামে যাবে একমাত্র আমার উম্মতের একটি দল ছাড়া।' সে দলের তিনি নাম দিয়ে যান নি।তবে তিনি বলেছেন যারা কেয়ামত পর্যন্ত আমার সুন্নাহের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।ইসলামের স্বর্নযুগের পরের মানুষ যারা ইখলাসের সাথে অনুসরন করেছেন তারাই আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদার অনুসারি।এই শর্তটি পূরন না করলে আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদার অনুসারি হবে না।তাবেঈ বা তাবা -তাবেঈদের যুগে অল্পসংখ্যক মুসলমান যাদের দ্বারা বড় বড় পাপ হয়েছে বা জুলুম হয়েছে এবং বিদাআত ও হয়েছে তারা আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদার বাইরে।বাইরে।আক্কিদার শাব্দিক অর্থ হলো-গ্রন্হি বা গিরা।যেমন সূরা ফালাক্কের ৪ আয়াতে বলা হয়েছে,'গাঁথনীতে ফুৎকারকারিনীদের অনিষ্ট থেকে।' আমরা বিবাহ সাদিকে 'আক্কদে নিকাহ' বলি যার অর্থ হলো বিবাহ বন্ধন।ফিখহ এর ভাষায় আর একটি চুক্তি হলো কেনা বেচার চুক্তি।একজন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কেনা বেচার চুক্তি হয়।যখন কোন চুক্তি হয় এটি একটি পাকা চুক্তি এ থেকে বের হওয়া যায় না।যদি কোন পুরুষের সাথে আর একজন মহিলার বিবাহের চুক্তি হয়ে যায় তখন ইচ্ছে করলেই বের হওয়া যায় না একমাত্র তালাক্ক ছাড়া।ঈমানের বিষয়গুলোকে এজন্য আক্কিদা বলা হয়েছে এজন্য যে এগুলো গিরার মত শক্ত জিনিস যা থেকে বের হওয়া কঠিন।আক্কিদা এমন জিনিস যা মগজে ঢুকে গেলে তা হতে বের হওয়া খুবই কঠিন যদিও ভুল বিশ্বাসে আছে।এইজন্য আক্কিদাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।১-বিশুদ্ধ বা সঠিক আক্কিদা ২-ভ্রান্ত বিশ্বাস।আজকে সারা বিশ্বে দুই শ্রেনীর মানুষ আছে যারা সঠিক বিশ্বাস রাখে ও ভ্রান্ত বিশ্বাস রাখে।মুসলিম সমাজেও এভাবে যখন বিদাআত বা কুসংস্কার ঢুকা শুরু হয়েছে তখন বহু জন্মগত মুসলিম তারা ভ্রান্ত আক্কিদার শিকার হয়েছে।তাদের মধ্যে দু'রকম আক্কিদা দেখতে পাওয়া যায় যাদের সঠিক বিশ্বাস আছে যাদের দ্বীন থেকে ছুটানো যায় না আর কতেক মুসলিম আছে যার বাঁধন লেগে গেছে কিন্তু সে বাঁধন ভুল বিশ্বাসে বাঁধন যাতে রয়েছে শির্ক,কুফরি ও বিদাআতি বিশ্বাস।এরা ইসলাম থেকে বহিস্কৃত যদিও তাদের জানা নেই।তাদের যতই কুরআন ও হাদিসের কথা বলা হয় তারা বলবে আমাদের এত বড় বড় আলেমরা জানেন না কি করে ইবাদত করতে হয়।এত বড় বড় হুজুর বা পির সাহেবরা আছেন তারা কি বুঝেননা এ সমস্ত অজুহাত তারা দাঁড় করায়। এর কারন হলো তার ঈমানে ভ্রান্ত গিরা লেগে আছে যা ছাড়ানো মুশকিল।আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদা হলো বিশুদ্ধ আক্কিদা।তাদের ছহি আক্কিদা আল্লাহ, তাঁর রসুল,সমস্ত কিতাব, সমস্ত নবী রসুল,অগনিত ফেরেস্তা, পরকাল,ঈমানের প্রতিটি অংগ,আল্লাহর আকত্ববাদ ,আল্লাহর সিফাত,সমস্ত ইবাদত ও শরিয়তের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে তাদের ছহি আক্কিদা রয়েছে।যাদের এই সমস্ত খাঁটি আক্কিদা নেই তারাই বাতেল আক্কিদার অনুসারি এবং তারা আহলে সুন্নাহ আল জামাত নয় যদিও তারা এই নামটি নিজের জন্য বেচে নিয়ে থাকে।
আহলে সুন্নাহ আল জামাত সম্পর্কে মুহাদ্দেছিনদের মত রয়েছে।এ ব্যাপারে রসুল সা: বলেছেন, আমার উম্মতের একটি দল সত্যের উপর জয়ী থাকবে তাদের যারা অপদস্ত বা লান্চিত করতে চাইবে তাদের কিছুই করতে পারবে না কেয়ামত পর্যন্ত।' এখানে ক্ষতি বা লান্চিত করতে পারবে না কথার অর্থ হলো-তাদের ঈমানের ক্ষতি করতে পারবে না ও তাদের ইসলামের ছহি আক্কিদা থেকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।অন্য সব করতে পারবে যেমন-তাদের শহীদ করতে পারবে,সম্পদ ধ্বংস,জেল জুলুম এসব করতে পারবে।রসুল সা: কে মাতৃভূমি থেকে নির্বাসিত হতে হয়েছে,তায়েফে রক্ত ঝরাতে হয়েছে এবং ওহুদে দন্দন শহীদ করতে হয়েছে।হামজা রা: সহ অসংখ্য সাহাবীদের শহীদ হতে হয়েছে।তৌহিদ বাদিদের কবর পূজারি বানাতে পারবে না,সুন্নতের অনুসারিদের বিদাআতি বানাতে পারবে না।নামাজিদের বেনামাজি বানাতে পারবে না।যারা আল্লাহর দ্বীনের উপর অটল রয়েছে তাদের সেখান থেকে সরাতে পারবে না ।যারা পর্দাসীন তাদের পর্দা থেকে জুলুম করেও বিরত করতে পারবেনা।সারা পৃথিবীতে মুসলিম নারিদের এখন মানবতার নামে,বিভিন্ন সংগঠনের নামে রাস্তায় নামিয়েছে।কিন্তু রসুল সা: ঈমানি যে দলের কথা বলেছেন তারা কেয়ামত পর্যন্ত সমস্ত ভয়ভীতির মধ্যে তাদের ঈমানকে বাঁচিয়ে রাখবে।কাফের দেশগুলোতে যে সমস্ত মুসলিম বাস করছে তারা কি প্রতিকুলতার মধ্যে তাদের ঈমান বাঁচিয়ে রাখছে না? রাসুল সা: স্পষ্ট ইসলামের কোন দলের কথা উল্লেখ করেন নি আবুদাউদের হাদিসে শুধু বলেছেন আমার উম্মতের একটি দল জান্নাতে যাবে।যদি তিনি এই নাম বলতেন তাহলে সবাই এই নামটি নিয়ে নিত।এই নামটি তখন পিরতন্ত্রিরাও নিত,চিশতি,ক্কাদেরিয়া,মুজাদ্দেদিরা,বিভিন্ন জামাতের দল সমুহ এবং আরো বিভিন্ন তরিকতের যারা আছে তারাই নেয়ার চেষ্টা করতো এমনকি সেকুলার ও জাতীয়তাবাদিরাও নেয়ার চেষ্টা করতো কারন তারাওতো মুসলমান।এই কারনে রসুল সা: নামটি উল্লেখ করেন নি।তিনি পরিচয় বা লক্ষন বাতিয়ে দিয়েছেন।সাহবায়েকরাম জিজ্গাসা করলেন,এই যে একটি দল জান্নাতে যাবে তারা কারা? রসুল সা: বললেন,'আজকের যুগে আমার জীবদ্দশায় আমি যে আদর্শের উপর টিকে আছি এর উপর যারা কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে এবং আমার সাহবাদের আদর্শের উপর যারা কায়েম থাকবে তারা।' এখানে পরিস্কার হয়ে গেল তিনি তার সুন্নতের উপর থাকার কথা ব্যাক্ত করেছেন এবং তার সাহাবাদের সুন্নতের উপর থাকতে বলেছেন সেই পথেই উম্মতকে থাকতে হবে। উলামারা এখান থেকেই আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কথা বলেছেন কিন্তু রসুল সা: আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কথা বলেন নি।রসুল সা: এর জীবন আলেখ্য খুব কম মুসলমাদের পড়া আছে।তিনি তার দৈনন্দিন কাজগুলো কিভাবে করতেন তা না জানার কারনে মুসলমানরা অদ্ভুত প্রশ্ন করে থাকে।এখন যে বড় পীর আর তার হাজার হাজার মুরিদের কথা শুনা যায়,বা কোন নেতার হাজার মুরিদের কথা শুনা যায় ,আর আজ যে হাজার হাজার তরিকতের কথা শুনা যায় ও মানুষ পালন করে তা কি রসুল সা: করে দিয়ে গেছেন বা সাহাবারা তাদের জীবদ্দশায় ইসলামকে বিভক্ত করেছিলেন কিনা।সাহাবায়েকরাম ও যুগ যুগ ধরে মুহাদ্দেছিন ও সুন্নাহের উলামাদের সম্বল ছিল আলকুরআন ও হাদিস গ্রন্হ।এর বাইরে তারা কোন কিছুই আমল করতেন না।যদি মানুষের তৈরি এমন কোন কিতাব থাকে এবং তার তথ্য যদি কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক হয় তাহলে সেগুলো পরীক্ষা করে আমল করতে হবে।তবে এটি কোন জরুরি বিষয় নয় যে কারো কিতাব পড়তেই হবে।মানুষের জ্গান বৃদ্ধির জন্য মনিসীদের বই পড়তে হবে এবং যদি সেখানে কুরআন হাদিস বা মানব কল্যানের জন্য ভাল কিছু থাকে তা গ্রহন করা যেতে পারে।আর যদি কোন বই বা কিতাব মানব কল্যানের বিপরীত হয় বা শির্ক বিদাআতযুক্ত হয় তাহলে সেগুলোর ব্যাপারে মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে।এটি ঈমানি একটি দায়িত্ব।রুসুল সা: এর ইন্তেকালের পর ১১০ হি;তে শেষ সাহাবী ইন্তেকাল করেন।ঐ সময়ে ইসলামি জীবনে আজকের মত এত দল বা ত্বরিকা ছিল কি? তাহলে কেন মানুষকে বিভক্ত করা হলো? সুরা আনআম ১৫৯ ও সুরা আর রোম ৩২ আয়াতে মুসলিমদের এই বিভক্তির কথা জেনেও উম্মাহকে বিভক্ত করার কারন কি? এখান থেকে আমাদের উত্তর খুঁজতে হবে।কুরআন ও হাদিস ছেড়ে দিয়ে অজিফা,ফাযায়েলের কিতাব সমুহ বা বাজারে অসংখ্য শির্কিয় বই পড়তে হবে কেন? চিল্লা দেয়া ,বিভিন্ন দলগত বিদআতি বৈঠক করা যা রসুল সা: বা সাহাবাদের সময় ছিল না।এগুলো তৈরি হয়েছে দলের ভিত্তিতে যারা দলীয় পরিচালনাবিধি তৈরি করে দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। যদি উম্মতের জন্য দরকার হতো রসুল সা: নিশ্চই তার হাদিসে নির্দেশনা দিয়ে যেতেন বা এ পথগুলো আমাদের দেখিয়ে যেতেন।জান্নাতি একটি দল কোন ফেরকার দল নয় একমাত্র রসুল সা: ও তার সাহাবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত দল।এটি প্রভাতের সূর্যের আলোর মত দেখা যায়, অন্য আলোর দরকার নেই।উম্মত রসুলের ও তার সাহাবাদের জীবন চর্চা করার পরিবর্তে চর্চা করছে বাতেলের এইজন্য তারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন ও বিকৃত প্রশ্নের অবতারনা করছেন।প্রতিটি পরিবার নিজেদের জীবনকে ইসলামের মৌলিক উপাদান গুলো দিয়ে প্রতিষ্ঠিত নয়।হারাম হালালের সীমারেখা নেই,ব্যাভিচারে আপাদমস্তক ভরপুর,আদল ও ইনসাফ নেই ব্যাক্তি জীবনে,ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত, তাদের দ্বারা ইসলাম কি করে কায়েম হবে? অথচ আল্লাহ পাক সুরা নুরের ৫৫ আয়াতে মু'মিনদের সাথে ওয়াদা করেছেন শাসন ক্ষমতা দেয়ার জন্য এভাবে,তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছ ও সৎ কাজ করেছ--- এবং আয়াতের শেষ দিকে শর্ত দিয়েছেন ,'তারা আমারই ইবাদত করবে এবং আমার সংগে কাউকে শরীক করবে না।' আমাদের জীবনের ইবাদতের পরতে পরতে শির্ক ও বিদাআত যা আমরা অনেকে দেখতে পাইনা অথচ আমরা বড় বড় চিন্তা করি।নাজাত প্রাপ্ত দলটি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল (র)কে।তিনি বলেছেন তারা যদি হাদিসের অনুসারি না হয় তাহলে আমি জানি না যে পৃথিবীতে কোন মুসলিম আছে তারা নাজাত প্রাপ্ত দল।সুরা কাহফে আল্লাহ পাক রসুল সা; কে বলেছেন,মনে হচ্ছে যে আপনি নিজেকে ধ্বংস করে ফেলবেন।' রসুল সা: মক্কার কাফের মুশরিক নেতাদের মুসলমান বানানোর জন্য পেরেশান ছিলেন। নিজের কাওমের আত্মীয় স্বজন কেউ ইসলাম গ্রহন করছেনা আর গরীব দু:খি আম্মার,বেলাল ,সোয়াইব ,সুমাইয়া তারা ইসলাম গ্রহন করছে আর এই পয়সাওয়ালা লোকগুলো জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছে।রসুল সা; এর এই পেরেশান অবস্হায় আল্লাহ পাক এই আয়াত নাজিল করে তাঁকে সান্তনা দিলেন।আল্লাহর কিতাবের কথাগুলো ও হাদিস।এ রকম আলকুরানে ৭টি আয়াত রয়েছে।হাদিসের মানে হলো কথা।ইংরেজীতে যাকে আমরা বলি স্পিকিং আরবীতে একে বলা মহাদাসা বা কথোপকথন এবং হাদিস এসেছে এই মহাদাসা থেকে।আল্লাহর হাদিস হলো কুরআনের বানি আর রসুল সা: এর হাদিস হলো রসুল সা: কর্ম,অনুমোদন হলো হাদিসে রসুল।তাহলে বুঝা গেল নাজাত বা সাহায্য কারি দল হবে একমাত্র আলকুরআন ও সুন্নাহের অনুসারি গন।ঈমাম বোখারি (র) এই দল সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন,নাজাত প্রাপ্ত দল হলো হাদিসের অনুসারি।কিছু সংখ্যক লোক এই নামটি নিয়ে দল করেছে কিন্তু কর্মকান্ড থেকে বুঝা মুশকিল তারা এ দলের প্রতিনিধিত্ব করে কিনা।এই দলের যদি কেউ প্রতিনিধিত্ব করে তাহলে ক্যাডার হয়ে মানুষ খুন করে কিভাবে? আবার অনেককে দেখা যায় দেখতে বিজাতির মত আর বলছে আমরা এই দলের কাজ করি।এ দলের অনুসারি হতে একজন মানুষের চালচলন আচার আচরনে কুরআন ও হাদিসের অনুসারি হতে হবে।এখানে একটি কথা বুঝতে হবে যে রসুল সা: ছিলেন একটি অন্যতম আদর্শ।তিনি রসুল ও তাঁর মত কারো হওয়া সম্ভব নয় তবে তাঁকে অনুসরন করে যতদূর উম্মত এগুতে পারে।আবার সাহাবাদের ঈমানের ওজন ও উচ্চতা ছিল ওহুদ পাহাড়ের মত।সেখানেও উম্মত পৌঁছতে পারবে না।তবে উম্মতের পরবর্তীরা তাদের অনুসরন করে যতদূর তাদের আমল বাড়াতে পারে, এটিই একমাত্র উম্মতের কর্তব্য।যারা নামাজই কায়েম করেনা তারা আহলে হাদিস হয় কি করে? তারা হলো আহলে খাবিস।সমাজ বিশ্লেষন করলে এই আহলে খাবিসের সংখ্যা হলো অধিকাংশ।মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে এই একটি দলের দিকে যাতে সমাজের প্রতিটি মানুষ নেককার হয়ে যায়।আমাদের উপমহাদেশে বড় পির বলা হয় আব্দুল কাদের জিলানীকে।তাকে বাড়াতে বাড়াতে গাউছুল আযম পর্যন্ত করা হয়েছে।গাউছুল আযমের অর্থ হলো মহান উদ্ধার কারি।তিনি যদি মহান উদ্ধার কারি হন তাহলে তার আগে চারজন প্রধান ঈমাম সহ অন্যান্য ঈমামগন বা তারও আগে সাহাবা ,তাবেঈ ও তাবা-তাবেঈগন কত বড় উদ্ধারকারি। যদি আব্দুল কাদের জিলানী চার জন ঈমামের ৪০০ বছর পর এসে মহান উদ্ধার কারি হয়ে যান তাহলে এর আগের ঈমামদের কত বড় উপাদি দরকার।আল্লাহ পাকের ক্ষমতা যারা একজন ঈমামের উপর চাপিয়ে দিয়ে শির্ক করছে আমি আশা করি রোজ কেয়ামতে তিনিই তাদের বিরোধিতা করবেন।আমাদের উপমহাদেশে এই শির্কি কাজগুলো চলছে এবং মানুষ তাদের কোন সমস্যা দেখা দিলে আল্লাহকে সেজদা না দিয়ে ওখানে গিয়ে সেজদা দেয় কিছু পাওয়ার আশায়।ইলেকশনে জিতার জন্য অনেককে সেখানে যেতে শুনেছি পুরো পরিবার সহ।বাসে বা কেলেন্ডারে লিখা থাকে গাউছুল আযম মদদ।বেরুলেবিদের মসজিদে ও আমাদের আটরশিতে এ কথাগুলো দেখেছে বলে বলেছেন যারা সেখানে ভিজিট করেছেন।নামাজের মুনাজাতেও তারা এ কথাগুলো বলে।আর বাংলাদেশে ফরয নামাজের পর সম্মিলিত যে মোনাজাতটি করে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই মসজিদের ঈমামরা তা কোথা থেকে পেল অথচ রসুল সা: নামাজ শেষে ফিরে বসতেন মুক্তাদিদের দিকে।তারপর নিজে তাসবিহ তাহলিল করতেন।যদি পৃথিবীতে কেউ উদ্ধার কারি থাকতেন তাহলে রসুল সা:ই হতেন বড় উদ্ধারকারি।তিনি কি হতে পেরেছেন? যদি তিনি উদ্ধার কারি হতেন তাহলে তিনি হোছাইন রা:কে কারবালা থেকে উদ্ধার করে নিতেন,হাছান রা: কে বিষ খাওয়া থেকে উদ্ধার করে নিতেন,আলি রা: ফযরের নামাজ পড়তে যাচ্ছেন ও খারেজি এসে আক্রমন করলো এবং তিনি শহিদ হয়ে গেলেন,ওমরা রা:কে ফযরে তীর মেরে আহত করা হলো ও পরে শহীদ হয়ে গেলেন,ওসমান রা: কে কুরআন তেলাওয়াত অবস্হায় শহিদ করা হলো এবং তার বাসা ছিল রসুল সা: এর কবরের কাছে, যদি তিনি উদ্ধার কারি হতেন তাহলে সবাইকে উদ্ধার করতেন।যদি মোহাম্মদ সা: উম্মতকে সাহায্য করতে না পারেন তাহলে আব্দুল কাদের জিলানি কি করে পারেন আর এর পর তাদের ঈমানই বা কি করে থাকে।মুসলমানদের এই ত্বরিকাগুলো তারা দাবি করে ইসলামের কাজ করে এবং শির্ক ও বিদাআত তাদের ইবাদতে রেখে যদি আহলে সুন্নাহ আল জামাতের দাবি করে তাহলে তাদের আখেরে দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নেই।আমাদের মনে রাখতে হবে আব্দুল কাদের জিলানি একজন আলেম ছিলেন।তার কিতাব থেকে প্রমানিত তিনি আহলে আল সুন্নাহের অনুসারি ছিলেন।বাংলায় তর্জমা 'গুনিয়াতুত্তয়ালেবিন' কিতাবটি পড়লে বুঝা যায় তিনি একজন হক্কানি আলেম ছিলেন।তার কিতাব প্রমান করে যে উম্মতের যে দলটি নাজাত পাবে তা হলো হাদিসের অনুসারিগন। আহলে সুন্নাহ আল জামাতের একই কথা থাকবে রোজ কেয়ামত পর্যন্ত যা আজো হক্কানি উলামাগন বলে থাকেন। উৎস যদি হয় একটি সমুদ্র তাহলে কোন ভ্রান্তি থাকবে না।আর যদি উৎসের সাথে মানব রচিত মতবাদ যুক্ত হয়ে যায় তখনি দেখা দেয় বিপদ। তাকে পির মানুষ বানিয়েছে তার মৃত্যুর পর। যিনি মানুষের কান্না শুনেন ,মানুষকে বিপদমুক্ত করেন তিনি একমাত্র আল্লাহ ,আর কেউ ক্ষমতা রাখে না।সাহাবায়েকরামদের জামানায় প্রথম কিছু বিদাআত দেখা যায়।প্রথম যে বিদাআতটি দেখা যায় তা হলো আলি রা: সম্পর্কে বাড়া বাড়ি।এই ভালবাসায় ছিল ষড়যন্ত্র।আলি রা: এর মহব্বতের যারা দাবিদার ছিল তারা ছিল ইসলামের ষড়যন্ত্রকারি।ইহুদি আব্দুল্লাহ বিন সাবাহ এই ষড়যন্ত্র করে।ইসলামে ঢুকে আলি রা: এর মধ্যে উলুহিয়াতের যে গুন আছে তার প্রচার করলো।আমরা ছোট বেলায় দেখতাম যারা কাঠের কাজ করতো, তারা বড় বড় কাঠের দন্ড উঠাতে বলতো ইয়া আলি এবং এরাইতো নিজেদের দাবি করে কোন না কোন ঈমামের অনুসারি।এরা নিজেদের শিয়া বলে না তবে অন্তরে শিয়াদের এ সমস্ত কথা লালন করে।যখন কোন শক্তির প্রয়োজন হবে তখন বলতে হবে ইয়া আলি।আলি রা: জীবদ্দশায় যখন শুনতে পেলেন কিছু লোক আছে যারা এ কথাগুলো বলে তখন তিনি একটি যায়গায় গর্ত করে আগুন জ্বালাতে বললেন তার একজন তাবেঈ সহচরকে এবং তার নাম ছিল কাম্বার।তিনি তখন খলিফা ছিলেন এবং আদেশ করলেন যারা আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত এ কথাগুলো তার উপর ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের আগুনে নিক্ষেপ কর।কিন্তু আলি রা: এর শরিয়তের একটি মাসলা জানা ছিল না যার হাদিস হলো-আল্লাহর আযাব দিয়ে তোমরা কাউকে আযাব দিও না।' এখান থেকে বুঝা যায় আগুনে জ্বালানোর অধিকার একমাত্র আল্লাহ পাকের।শরিয়তের ব্যাপারে একজন বিজ্ঞ আলেমেরও সবকিছু জানা না থাকতে পারে।এ জন্য কোন বিজ্ঞলোকের ভুল হলেও ব্লেম দেয়া যাবে না।কারন হলো একজন বিজ্ঞ বিচারক তার বিচার পায়সালা যদি সঠিকভাবে করেন তাহলে তিনি পাবেন দু'টি পয়েন্ট আর যদি আর একজন বিচারক বিচার পায়সালা দিয়ে হেরে যান তিনি পাবেন একটি পয়েন্ট।মানুষের ভুল হতে পারে আর এর উপায় হলো সংশোধন কারন মানুষ ওহি দ্বারা পরিচালিত নয়।এই একটি বিদাআতি দল আলি রা: এর সময় ভক্ত হয়ে গেল।এর সাথে সাথে তারা আলি রা: এর প্রতি মহব্বত ও অন্যান্যদের ঘৃনা করতে লাগলো।আর একটি বিদাআতি দল হলো খারেজি।তারা ইসলামি শাসকের বিরুদ্ধে বেরিয়ে ফযরের সময় আব্দুর রহমান ইবনে মুলযম নামক এই খারেজি আলি রা: কে শহিদ করে দিল।আজকের পৃথিবীতে মুসলিম দেশগুলোতে যে ফাসেক মুসলিম সরকারগুলো রয়েছে তারা মুসলিম।তারা ইসলামের শাসন চায় না বা তারা বলে ইসলামের কাজগুলো আমরা করবো বা কখনো কিছু করছে বা করছেনা।কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে লেগে আছে এরকম খারেজিদের অনুসারিরা।আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদা এই নয় যে মুসলিম কোন সরকারকে উৎখাত করবে ও রক্তপাত করবে।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলাম কায়েমের জন্য গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে লেগে পড়া ও মানুষকে খুন ও ঝলসিয়ে দেয়ার মত কাজ যারা করছে তারা এই বিদাআতিদের অনুসারি।অতি ভক্তির এই অবস্হানটি শুরু হয়েছিল তখন থেকে যা এখন দেখা যায় পিরতন্ত্র ও খানকা গুলোতে।আহলে বিদাআতিদের একটি হলো যারা মুসলিম সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করে।আল্লাহর আইন কায়েম করার জন্য রসুল সা: যে দলের কথা বলেছেন সেই দল তৈরি করতে হবে কোরান ও হাদিসের নিরিখে।হুকুমাত কায়েম করার জন্য মানুষ তৈরি করতে হয়।সে মানুষগুলো হবে সাহাবাদের চরিত্রের অনুকরনে।কেমন করে গড়তে হবে এই মানুষদের? এ কাজ প্রতিটি মানুষের নিজের। মানুষের দেহে তিনটি জিনিস রয়েছে।নফস,রুহ ও ক্কালব।আমরা যখন কোন কাজ করতে যাই তখন আমাদের দেহ নামক নফসটির সাথে রুহের সংঘর্ষ বেধে যায়।আমরা যদি একটু চিন্তা করি তাহলে দেখবো যখন আমরা একটি অগঠন ঘটিয়ে ফেলি তখন আমাদের মন আমাদের তিরস্কার করে।বস্তুত এ খারাপ কাজের জন্য প্রথমেই রুহ বাধা দেয় যা মননে জেগে উঠে তার পরও আমরা খারাপ কাজটি করি।একটি নফসের তিনটি অবস্হার সৃষ্টি হয়।একটিকে বলা হয় নফসে আম্মারা বা হুকুমের নফস।এমন অনেক নফস রয়েছে যে বিষয়গুলো পাওয়ার সে দাবি করে কিন্তু রুহ তা ফেরাতে ব্যার্থ হয় এই অবস্হাটিই হলো নফসে আম্মারা।যাদের ঈমান নেই বা বিশেষ ক্রুটি রয়েছে তারাই এ কাজ করে থাকে।সূরা ইউছুফে ইউছুফ আ: বলেছিলেন,আমার নফস যে সৎ তা আমি দাবি করিনা।কারন নফসের কাজই হলো মন্দ কাজে হুকুম করা।একমাত্র আমার রব যার উপর রহম করেন সেই বাঁচতে পারে।'জোলেখার আকর্ষন থেকে ইউছুফ আ; নিজে বেঁচে যান নি একমাত্র আল্লাহই তাকে বাঁচিয়েছেন।এখানে বুঝার একটি ব্যাপার রয়েছে যারা ফাহেসা ও খারাপ কাজ করে তাদের বুঝতে হবে তাদের নফস একশত ভাগ জয়ী হয়েছে এবং তাদের কোন ঈমান নেই।যাদের ঈমান আছে তাদের ব্যাপারটি হলো এমন যে,তাদের নফস ও রুহের মধ্যে লড়াই চলতে থাকে।কখনো নফস জয়ী হয় আবার কখনো রুহ।এই অবস্হাটিকে আলকুরআনে সুরা ক্কিয়ামার প্রথমে 'নফসে লাউয়্যামা'বলা হয়েছে।এই নফসটি বাধাপ্রাপ্ত হয় বা যাকে ভৎসনা করা হয়।এখানে হতে পারে অধিকাংশ মানুষের নফস জয়ী হয়েছে বা হেরে গেছে কিন্তু তাদের বিজয়ের পার্থক্য রয়েছে।ধরুন-একজন ছাত্র যে ৪০% পেয়ে পাশ করেছে এবং আর একজন যে ৯৫% পেয়ে পাশ করেছে এমন।নফসে লাউয়্যামার অবস্হাটি এমন।নফসের আর একটি অবস্হা হলো 'নফসে মুতমায়িন্নাহ' যে আয়াতটি রয়েছে সুরা ফযরের শেষের দিকে।এখানে নফস একশত ভাগ পরাযিত।রুহ এখানে এমন শক্তিশালী যে নফসের পক্ষে সম্ভব নয় কোন মন্দ কাজের প্ররোচনা দেয়া।এ অবস্হার মানুষ সমাজে যখন তৈরি হবে তখন ইসলামি সমাজ কায়েম হবে।প্রতিটি মানুষকে দ্বীনের ব্যাপারে কাজ করে যেতে হবে।অনেকে মনে করেন ইসলামি কোন শাসককে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে দেয়া জিহাদের কাজ।এটি একটি ভুল ব্যাখ্যা।সাধারন অবস্হায় জিহাদ হলো কোন ইসলামি সরকার বহিশক্রুর আক্রমন থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য যদি দেশের মানুষকে ডাক দেয় তখন প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব সে জিহাদে অংশগ্রহন করা।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ রকম জিহাদের প্রয়োজন রয়েছে কি?বাংলাদেশে ফাসেক ইসালমি সরকার রয়েছে কিন্তু তারা মুসলমানদের ইসলামি কর্মকান্ডের বিরোধিতা করছে না যেভাবে কোন জালেম করে থাকে।যেমন কোন মানুষ যদি তার ইসলামি কর্মকান্ড করতে যায় সে করতে পারে।এ অবস্হায় একজন মুসলিমের কি করা উচিত? সুন্নি উলামাদের মত হলো কোন রকম বিশৃংখলা না করে ইসলামি ঐক্য তৈরি করার জন্য মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকা।শরিয়তের বিধিবিধান দিয়ে মানুষকে শিক্ষিত করানোর প্রোগ্রাম হাতে নেয়া।মানুষকে ভাল কাজের আদেশ দেয়া ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া।যিনি শরিয়তের কথা বলেন তিনি কথার জিহাদ করেন,যিনি শরিয়তের কথা লিখেন তিনি লিখার জিহাদ করেন।একজন নামাজি ৫ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করছেন ও অন্যদের পরামর্শ দিচ্ছেন এটিও জিহাদেরই কাজ। এভাবে ইসলামের প্রতিটি কাজই জিহাদের কাজ।আমাদের দেশে ইসলামের নামে বোম ফোটানো,দেশের সম্পদ ধ্বংস করা,মানুষকে খুন করা,এ সব যা করা হচ্ছে দলের ভিত্তিতে তা আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কাজ নয় এ কাজ হলো আহলে বিদাআতিদের।আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদার আর একটি বড় বিষয় হলো আল্লাহ ও তাঁর রসুল সম্পর্কে প্রচ্ছন্ন ধারনা রাখা।বিদাআতিরা বলে আল্লাহ সর্বত্র ও সবযায়গায় বিরাজমান।এটি তাদের বিদাআতি ধারনা।এটি তারা নিয়ে এসেছে হিন্দু ধর্ম থেকে এবং বাংলাদেশে অনেক বই পুস্তকে এটি পরিলক্ষিত হয়।সুরা মুলকের ১৬/১৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'যিনি উর্ধলোকে রয়েছেন তাঁর কাছ থেকে কি তোমরা নিরাপত্তা গ্রহন করেছ?' তাহলে বুঝা গেল আল্লাহ আরশে আছেন।ঈমাম মালেক (র) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আল্লাহ পাক আরশের উপর রয়েছেন এর অর্থ কি? তিনি বলেছেন আল্লাহ পাক আরশে আছেন তা আমাদের জানা আছে তবে কিভাবে আছেন তা আমাদের জানা নেই।বোখারি শরিফে রসুল সা; বলেন,' একদিন এক সাহাবি এসে বললো আমার কাছে একটি দাসি আছে আমি তাকে স্বাধীন করে দিতে চাই।রসুল সা: ঐ দাসিকে জিজ্ঞাসা করলেন বলতো আল্লাহ কোথায়? সে উত্তর দিল-আল্লাহ আকাশে।তার পর বললেন বলতো আমি কে? সে বললো আপনি রসুল সা:।রসুল সা: বললেন তাকে স্বাধীন করে দাও কারন সে মু'মিনা।'তাহলে ঈমানের জন্য বুঝতে হবে ঈমানের জন্য দুটি লক্ষন।একটি হলো আল্লাহ আরশে আজিমে রয়েছেন আর দ্বিতীয় হলো - মোহাম্মদ সা: আমাদের রসুল।যারা বলে আল্লাহ পাক নিরাকার তারা স্পষ্ট বিদাআতি।আলকুরআনে সুরা আর রাহমানে আল্লাহর মুখমন্ডলের কথা বলা হয়েছে।সুরা মুলকে আল্লাহর হাতের কথা বলা হয়েছে।সুতরাং আল্লাহ পাক নিরাকার নয় তবে তার ধরন কি তা আমাদের জানা নেই।আল্লাহ পাক তাঁর মত,কারো সাথে বা কোন কিছুর সাথে তুলনীয় নয়।রসুল সা: বলেছেন ,এমন কোন মানুষ নেই যে নিজের আমল দ্বারা ও আল্লাহর রহমত ছাড়া জান্নাতে যেতে পারে।সাহবায়েকরাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন আপনিও কি যেতে পারবেন না? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন এমনকি আমিও আমার কর্ম দ্বারা জান্নাতে যাওয়ার হক্ক রাখি না একমাত্র আল্লাহর রহমত ছাড়া।' ইনশাআল্লাহ মু'মিনদের জন্য আল্লাহর রহমত হবে এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।আল্লাহর সাথে যারা শির্ক করে তাদের জন্য জান্নাত চিরকালের জন্য হারাম করা হয়েছে। আটরশি,মাইজ ভান্ডারি,ফুলতলি,ফুরফুরা বা অন্যান্য পিরের মাজারে যে গরু জবাই হয় তা হয় পির বাবার নামে।তাদের মুরিদ যারা সেখানে যায় এই জবাই করা গরু ছাগল থেকে তাদের খাওয়ানো হয় ও তারা সেখানে বিদাআতি জিকির করে।মাজারে যে কাজ গুলো হয় ঠিক হিন্দুদের মন্দিরেও ঐ রকম পূজা অর্চনা হয়।নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার যারা দেখে এসেছেন তারা বলেছেন কেউ সেখানে তেনা বাঁধছেন,কেউ হাত দিয়ে ছুঁয়ে কপালে শরীরে হাত বুলাচ্ছে আবার কেউ বালা মুছিবতের জন্য কবরের কাছে কিছু চাইছে।এই রকম যায়গা গুলো যেগুলোকে মানুষ ধর্মীয় উপাসনালয় মনে করে আসলে সেখানে হচ্ছে শির্ক ও বিদাআত।এদের উপর আল্লাহর লানত।আল্লাহ পাক সুরা আল কাওছারের ২ আয়াতে বলছেন,'তোমার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় কর এবং কুরবানি কর।' যারা বভিন্ন প্রানী বা বস্তুর পূজা করে আমরা তাদের অভিশপ্ত বলে থাকি।তাহলে পিরের আখড়াগুলো যেখানে মানুষের নামে জবাই হয় ধর্মের নামে ভন্ডামি হয় তারা অভিশপ্ত নয় কি? রসুল সা: বলেছেন আল্লাহর লা'নত তাদের প্রতি যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য জবাই করে।'ভারত ,পাকিস্তান ও বাংলাদেশে আহলে সুন্নাহ আল জামাত হলো তিনি প্রকারের।একশ্রেনী হলো খাঁটি আহলে সুন্নাহ আল জামাত আর দুটি হলো মিথ্যাবাদি আহলে সুন্নাহ আল জামাত।খাঁটি আহলে সুন্নাহ আল জামাত ও ভ্রান্ত আহলে সুন্নাহ আল জামাতের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।এই ভ্রান্ত দুটি দলকে চিহৃিত না করা হলে খাঁটি দলটিকে বুঝা যাবে না।তারা মুখে দাবি করে রসুল সা: ও সাহাবাদের সুন্নতের কথা কিন্তু তাদের কর্মে রসুল সা: বা সাহাবাদের সুন্নত দেখা যায় না।তাদের একটি দল হচ্ছে বেরুলেবি তারা নিজেদের বলে রেজবি বা সুন্নি।আটরশি,মাইজভান্ডারি ও মাজারভক্ত যে সমস্ত দল আছে এই তিন দেশে সবগুলো হলো ভ্রান্ত মুশরিক আহলে সুন্নত।আল্লাহ সম্বন্ধে তাদের ধারনা অত্যন্ত ক্ষীন।ধরুন-একটি দেশ চালাতে হলে থাকেন একজন প্রধানমন্ত্রী এবং তাকে সহযোগিতা করার জন্য দরকার হয় অনেক মন্ত্রী।তা নাহলে শাসন ক্ষমতা ভেংগে পড়বে।এই রকম ধারনা তাদের আল্লাহ সম্পর্কে।তারা মনে করে আল্লাহ পাকের সহযোগী হলো এই সমস্ত পির বাবারা যাদের হাতে আল্লাহ পাক কিছু ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন যারা সাধারন মানুষদের বিপদ ও অভাব অভিযোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।এই আক্কিদা হলো সমস্ত কবর পূজারিদের।এইভাবে তারা আল্লাহর শরীক বানিয়েছে আব্দুল কাদের জিলানিকে,নিজামুদ্দিন আউলিয়াকে,ফুরফুরাকে,শাহজালালকে,ভান্ডারিকে,আটরশিকে,ছারছিনাকে।অথচ আল্লাহ পাক সমস্ত বস্তুর মালিকানা ও গায়েবের নিয়ন্ত্রন করেন।আল্লাহ পাক তার কাজের জন্য কারো মুখপেক্ষি নন তিনি এক ও অদ্বিতীয়।বান্দার সমস্ত ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য এই আক্কিদা আহলে সুন্নাহ আল জামাত প্রতি মুহূর্তে অন্তরে লালন করে।আর শির্ককারি ও বিদাআতিরা তাদের পিরদের কবরের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পৌঁছার বাসনা রাখে।এদেরই দেখা যায় কোন বড় বিপদাপদে পড়লে আজমির শরীফে চলে যায়।তাদের শির্কীয় কথাও রয়েছে,'খাজা বাবার দরবারে কেউ ফিরে না খালি হাতে।" এ থেকে বুঝা যায় তারা আল্লাহ ছাড়াও অন্যের কাছে সাহায্য চায়।এ সমস্ত শির্কের বিরুদ্ধে যার যার ক্ষমতানুযায়ী পরামর্শ ও সংগ্রাম করা ঈমানদারদের ঈমানি দায়িত্ব।আর একটি শ্রেনী রয়েছে দেওবন্দি।অনেকে মনে করে এরাও তৌহিদবাদি।এদের বড় প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে ভারতের দেওবন্দে।আর বাংলাদেশের দেবন্দ হচ্ছে হাটহাজারি, পটিয়ার কওমি মাদ্রাসাগুলো।তারা নিজেরা নিজেদের আহলে সুন্নাহ আল জামাত বলে দাবি করে এবং তারা দেওবন্দি আলেমদের অনুকরনে চলে।আল্লাহ পাক সম্বন্ধে এদের আক্কিদা হলো আল্লাহ সর্বস্হানে ও সব যায়গায়।যদি আল্লাহ সম্বন্ধেই তাদের আক্কিদা ঠিক না থাকে তাহলে কিভাবে তারা আহলে সুন্নাহ আল জামাতের অনুসারি হয়?আর একটি জরুরি বিষয় আমাদের বুঝতে হবে তা হলো-ইসলাম বিরোধী হতে পারে ইহুদি-খ্রীষ্টান,কবর পুজারি ,বিদাআতি।তারা ইসলামের বিরুদ্ধে স্টেটমেন্ট দিয়ে মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তোলে।আর মুসলমানরা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজটি না করে ক্ষেপে যায়।সালমান রুশদি ১৯৮৮ সালে যখন তার উপন্যাস 'স্যাটানিক ভার্সেস' প্রকাশ করলো তখন এই উপন্যাসটির ব্যাপক বিক্রয় হলো।কারা ক্রয় করেছিল? ক্রয় করেছিল ইসলাম বিরোধীরা।যারাই বইটি ক্রয় করেছিল তারা পড়েও দেখেনি ২৫৭ পৃষ্ঠার এই বইটি।যদিও বলা হয় সালমান রুশদি ভারতের মুসলিম বংশদভূত।আমি সন্দেহ করি তাতে।কারন ভারতের অনেক মুসলিম পরিবার আছে তারা নামে মুসলিম।মূর্তিপূজকদের সাথে দীর্ঘকাল বসবাস করলে আর ইসলাম থাকে না।আর বই পড়লে তাকে সুস্হ মানুষ বলা যায় না।সে নবী মোহাম্মদ সা: ও ইসলাম সম্পর্কে যা লিখেছে তা কুরআন ও সূন্নায় নেই।সবচেয়ে বড় কথা হলো তার বইতে ইংরেজদের যেভাবে বিষধগার করা হয়েছে যদি সেচেতন ইংরেজরা বই পড়ে থাকে কখনো এই বই খরিদ করতে পারতো না।মুসলমানদের বহু সংখ্যক ইরানের খোমেনির উক্তিতে ফেটে পরেছিল।কিন্তু খুব কম মুসলমান বইটি পড়েছে।মুসলমানদের উচিত ইসালমের এই সমস্ত শক্রুদের বুদ্ধিবৃত্তিক উত্তর দেয়া।আলকুরআন ও রসূল সা; সম্পর্কে কটুক্তি করার পর আমাদের উচিত কুরআন ও হাদিছের আলোকে হাজার পৃষ্ঠার বই প্রকাশ করে ইসলামের সত্যকে তুলে ধরা।আমরা বৃহৎ কাজ না করে সংকীর্নতা বেচে নেই।মুসলিম উম্মাহর নিজেদের দুর্বলতা গুলো চিহৃিত করে একটি উম্মাহর শক্তি অর্জন না করলে আমরা পদদলিত হতেই থাকবো।আমাদের ঘরে ঘরে চলছে আত্মকলহ,ব্যাভিচারে সমাজ কানায় কানায় পূর্ন।আর আমরা চিন্তা করছি অনেক বড় কিছু।উপসংহারে বলতে চাই - উম্মতকে সহজভাবে ইবাদতের বিষয়গুলো বুঝতে হবে।কোন মুসলমানের সাথে মুসলমানের দ্বন্দ নয়।একজন মুসলিম আর একজন মুসলিমের জন্য আয়না স্বরুপ।যাদের দ্বারা লাখ লাখ মানুষ ভ্রান্ত পথের দিকে ধাবিত হচ্ছে তাদের কাছে ইসলামের খাঁটি বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো খাঁটি আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কাজ।দ্বীন বুঝতে অনুশীলন করতে হবে রসুল সা: এর প্রাত্যহিক জীবনকে,সাহাবায়েকরামগন ও তাদের পরের ঈমামগন কিভাবে দ্বীন প্রচার করেছেন তখনকার সমকালীন রাষ্ট্রনায়কদের সময়ে।আমরা যদি অতীতের হাজার বছরের হক্কানি আলেমদের দ্বীন চর্চার রুপ শিখে নিতে পারি তাহলে আমাদের দ্বীনের পথ পেয়ে যাওয়া সহজ।আর একটি জিনিস বুঝতে হবে আর সেটি হলো-আল্লাহ ও তাঁর রসূল সা:কে অকাট্যভাবে মেনে নিয়ে অনুসরন করতে হবে।আর উলিল আমরের মানদন্ড হবে আল্লাহর কুরআন ও হাদিসের আলোকে।যদি তারা ভাল কাজ করেন ও কুরআন হাদিসের সাথে মিলে যায় তাহলে তাদের কথা নিতে হবে আর না হলে প্রত্যাক্ষান করতে হবে।কোন রহমত উল্লাহ আমাদের জন্য আদর্শ নয় ,আমাদের আদর্শ হলো একমাত্র রসুল সা; যাকে অনুসরন করতে হবে জীবনের সর্বক্ষেত্রে এটিই আহলে সুন্নাহ আল জামাতের জন্য করনীয়।
বিষয়: বিবিধ
২৮৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন