দেশকে বাঁচাতে হলে দেশ নিয়ে ভাবুন, দেশের জন্য নি:স্বার্থে কাজ করুন।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৯ মার্চ, ২০১৩, ০২:০৮:৫৪ দুপুর

আমাদের দেশ যে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হছ্ছে তা প্রতিদিনের সামাজিক ও রাজনৈতিক আবস্হা দেখে বুঝা যায়।আসলে আমরা যারা কথা বলার চেষ্টা করি নিতান্তই অসহায় হয়ে বলি।নিজের বেঁচে থাকার তাগিদে বা গন মানুষের দু:খ্যদুর্দশার চিএ দেখে আর নিজেকে আড়াল করে রাখতে পারিনা।একটা স্বাধীন দেশে বেঁচে থেকে যতটুকু গর্ববোধ করি তার চেয়ে এখন বেশি চিন্তায় থাকি কখন নিজেকে বা পরিজনকে হারিয়ে ফেলি। এ অবস্হা কেন হছ্ছে তা আমাদের সকলকে ভাবতে হবে।শোষনের বিরুদ্ধে চিরদিনই আম জনতা হুন্কার ধ্বনি দিয়ে থাকে । এটা একটি স্বাভাবিক প্রকৃয়া।কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক অবস্হান

দেখে কি তা বুঝা যায়? স্বাধীনতার সময় দেখেছি পুরো দেশ একটি যায়গায় অবস্হান করেছিল।কারন ছিল শত্রুমুক্ত করা।দেশ স্বাধীন হলো।এখন তো আর শত্রু থাকার কথা নয়।আমরা হয়ত অনেকেই জানিনা স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।যে দেশ শত্রুমুক্ত করতে গিয়ে লক্ষ মা বোনের ইজ্জত হারালো,গনহত্বার স্বীকার হলো,অসংখ্য মু্ক্তিযোদ্ধারা পঙুত্ব বরন করলো,অসংখ্য যুবতি তাদের স্বামি হারালো , শিশুরা হারালো তাদের পিতৃস্নেহ, তাদের উন্নতির সোপানে কতটুকু তারা উঠতে পেরেছে।বর্ং দু'বেলা পেট পুর্তি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম তাদের করতে হছ্ছে।গ্রামগন্জে ভ্রমন করলে দেখা যায় কি করুন পরিনতি মানুষের।

একটা ছোট দেশ অথচ প্রকৃতি আমাদের কি না দিয়েছে।আমাদের জনসম্পদ পৃথিবির আনাচে কানাচে তাদের শস্তা শ্রম

দিয়ে উন্নত দেশগুলোকে আরো উন্নত করছে।আর তাদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্স হায়েনাদের থাবায় ধূলিসাৎ হছ্ছে।যে বাড়িঘর বিক্রি করে, স্বপ্নের জাল বুনে বছরের পর বছর সত্রী সন্তান থেকে দুরে থেকেছে,ফিরে এসে আবার ভিক্ষার ঝুলি তার হাতে।এর জন্য দায়ী আমি ,আপনি আর আপামর দেশের সব মানুষ।১৬ কোটি মানুষ এখন শতভাগে বিভক্ত।কি করে আশা করে মানুষ দেশের উন্নতি। যা শুনছেন মিডিয়ায় এগুলো এক চিরন্তন প্রহসন।আমার কথার সাথে আমার জীবনের কোন মিল নেই।আমি আমার বাস্তবতার কাছে হেরে গেছি।আমার কথাগুলো অন্যরা পর্যবেক্ষন করছে প্রতিনিয়ত।আমার পরিবার আমাকে চিনে ,আমার প্রতিবেশি আমাকে প্রতিনিয়ত মনিটর করে আমার কাজ কর্ম, আমার বন্ধুরা আমার গূড়তত্ব জানে।আমার থাবায় গোগ্রাসে গিলে ফেলছি সরলতার সামান্য জমিজমা। আবার আমি সবার সামনে নিজেকে প্রকাশ করছি এক সমাজবিশারদ হিসেবে।

মাসের অধিক দেশের রাজনীতি উত্তাল। স্বাধীন দেশে পুলিশসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।এরা কারা? কখনো এরা কল্যানকামি নয় শত্রু ছাড়া।কোন বিভক্ত জোট , কোন বিভক্ত ইসলামের দল দেশকে বাঁচাতে পারবে না যদি না এক হেয়ে যাও।পুরো দেশ এক আল্লাহর ছায়াতলে চলে আসার যদি একাগ্র বাসনা জাগ্রত না করতে পার কোন লাভ নেই এ আন্দোলন করে।দেশকে ভালবাসতে শিখ।প্রতিটি মানুষকে আপন করে নিতে শিখ,প্রতিটি মানুষের জান মালের হেপাযত করতে শিখ, প্রতিটি মানুষকে উন্নত শিক্ষা দিয়ে হাতিয়ার বানানোর পরিকল্পনা গ্রহন কর ,তাহলেই তুমি বাঁচবে ,দেশ বাঁচবে। মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র কয়েকদিনে এত লোকের প্রাণহানি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে আর হয়নি। সত্যিই পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কোথায়? এটি আজ বড় প্রশ্ন।সরকারকে সততার পথে হাঁটতে হবে।শহনশীল হতে হবে।বিরোধীদের সৎ পরামর্শ দিতে হবে।অন্যায়ের বিরুদ্ধে শহনশীলতার সাথে একসাতে বসতে হবে।লিখতে হবে।রাজনীতি যদি মানুষের কল্যানের জন্য হয় তাহলে রক্ত ঝরবে কেন।সম্পদ লুন্ঠন কেন।নিশ্চয়ই এ রাজনীতি মানুষের কল্যানের জন্য নয়।এ শুধু সি্ংহাসন দখল করার চক্রান্ত।অধিকা্ংশ মানুষ বুঝে কিন্তু বুঝে না শুধু বোকা মানুষগুলো।কারা তাদের ডাকছে কোন খবর নেই।মৃত্যুর দিকে নিজেকে ঠেলে দিছ্ছে আর তার রক্তের উপর বসে গিলছে সেম্পেন এক ঝাঁক বিকারগ্রস্ত মানব।

একটি দেশের উন্নতি শুধু সরকারের হাতে নয়।এ দেশের মালিক পুরো দেশের মানুষ।সরকারের হাতে থাকে ক্ষমতা তাদের দায়িত্ব অনেক।তাদের পৌঁছে যেতে হবে গনমানুষের কাছে।দমননীতি কখনও কল্যান বয়ে আনে না।ক্ষমতা কোন চিরন্তন নয়।এটা নদীর একুল আর ওকুলের মত।সকালে আমির বিকেলে ফকির।মানুষ যেমন কাউকে শ্রদ্ধা করতে জানে আবার পায়ের তলায় পিষতে ও জানে।একটি পন্হা সামনে আছে, দেশের বাস্তব অবস্থাকে সামনে এনে সবার সঙ্গে বিশেষ করে প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে এক সমন্বিত বাস্তবসম্মত পন্থা গ্রহণ করা।ভূলে যেতে হবে সব দন্দ্ব স্ংঘাত যদি আমারা দেশের কল্যান চাই। একটি স্ংঘাত আর একটি স্ংঘাতকে ডেকে আনে।একটি মৃত্যু আর একটি মৃত্যুকে ডেকে আনে।যদি মানবতার চাদর দিয়ে আমরা একে অন্যকে জড়িয়ে নিতে পারি তাহলেই আমাদের মনুষ্যত্বের বিকাশ সম্ভব।

আমরা মনে করি রাজনৈতিক কারণে কোনো বিচার অনুষ্ঠান দেশের জন্য শুভ ফল ডেকে আনবে না। বরং বিভেদ আরও বাড়বেই। শুধু রাজনৈতিক প্রভাব ও চাপমুক্ত, স্বচ্ছ ও মানসম্পন্ন একটি সত্যিকার বিচার অনুষ্ঠান করা গেলেই জাতীয় ক্ষত নিবারণ করা সম্ভব।কিন্তু গভীর মেরুকৃত এই রাজনীতি দেশের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। তাই দেশের রাজনীতিকদের ঠাণ্ডা মাথায় এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে সংলাপ শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ সর্বাধিক প্রয়োজন। প্রয়োজন সব দলের অংশগ্রহণে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফর্মূলা উদ্ভাবন করা। সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক চাপমুক্ত, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পন্থায় মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তাহলেই দেশে শান্তি নিশ্চিত হবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে। আমরা সবাই তথা গোটা জাতি এর অপেক্ষায়। তবে দেশকে বাঁচাতে হলে দেশ নিয়ে ভাবুন, দেশের জন্য নি:স্বার্থে কাজ করুন।

বিষয়: বিবিধ

১২৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File