" হৃদয় মানুষের কথা বলে" বইটি কেন? (প্রথম খন্ড)
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৯ জুন, ২০১৫, ১২:১১:১৩ দুপুর
লেখকের কথা:
আচ্ছালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।পাঠকবৃন্দ! মহান স্বাধীনতার পরবর্তী বছরগুলো থেকে আজ পর্যন্ত ব্যাক্তিগত,পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অবক্ষয়কে লক্ষ্য করে আমার ভিশন ও ষ্ট্রেটেজিক পরিকল্পনায় এ বইটি (হৃদয় মানুষের কথা বলে) প্রকাশিত হয়েছে।এতে রয়েছে 'শিক্ষা সংক্রান্ত' 'পারিবারিক ও সামাজিক' এবং 'রাজনৈতিক' বিষয়াবলী।ব্যাক্তি ,পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রের দৈননন্দিন জীবনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো যা মানুষকে ক্ষতবিক্ষত করে তার একটি প্রতিচ্ছবি আমার লিখায় অন্কন করার চেষ্টা করেছি।আমাদের অনেক লেখক ও সাহিত্যিক সমাজকে পরিশিলীত করার কাজ করেছেন ও করে চলছেন। আমি নি:সন্দেহে বলবো- একজন হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে সাহিত্যের অঙনে কাজ করা খুবই দুরুহ একটি কাজ। কিন্তু যদি সাহিত্য চর্চার মনোবাসনা ও সমাজকে এগিয়ে নেয়ার বাসনা থাকে তাহলে যে কোন পেশা থেকেই উত্তোরন করা যেতে পারে।এখানে হয়তবা থাকতে পারে ব্যাক্তিগত সীমাবদ্ধতা -তবে বইয়ের ভীতরের কথামালা অনেক ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে ও চিন্তার খোরাক যোগাতে পারে হৃদয়বানদের।আমার বাবা ছিলেন একজন শিক্ষক ।সে যুগে যারা শিক্ষক হতেন তারা ছিলেন ধার্মিক ও নীতিবান। বাবার শিক্ষকিত আচরন,চিন্তা চেতনা,মতাদর্শ, নৈতিক জ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দশ বা বার লাইনের পাঠানো চিঠি আমার হৃদয়কে উদ্বেলিত ও উদ্বুদ্ধ করেছে এই লিখার জগতে আসার অনেক পরে হলেও।চমৎকার ভাবশৈলি ছিল তার লিখায়।বড় মাপের মানুষ হতে বলতেন আর তার সাথে সৃষ্টিশীল বড় মানুষদের পদাংক অনুসরন করতে বলতেন। লেখক হওয়ার চিন্তা আমার কখনো ছিলনা।কিন্তু ছোট বেলা থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষক সমাজের প্রতি অবহেলা, শিক্ষক নামের অশিক্ষকদের দৈন্যতা এবং বাবার নীতিকথাগুলোকে বাস্তবে রুপায়িত করার আকাংখ্যা ও কোন এক অদৃশ্য শক্তি বার বার যেন আমাকে এখানে টেনে নিয়ে এসেছে।সমাজের বিচিত্র রুপ ছোটবেলা থেকেই আমার মনের গহীনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।"বাবার স্মৃতির ক'টি কথা আমার কর্মে প্রেরনা যোগায়" বিষয়টিতে একজন শিক্ষক পিতার অনেক কথার চৌম্বক কথাগুলোকে বলার চেষ্টা করেছি।মানুষের জীবনে
বেড়ে উঠার অনেকগুলো স্তর রয়েছে এবং সে স্তরগুলো অতিক্রম করতে হলে পিতা মাতা,শিক্ষক,ভাল বন্ধু,ভাল আত্মীয় প্রতিবেশীর প্রয়োজন।এগুলোকে সমন্নিত ভাবে পেতে হলে একটি বই হতে পারে তার অনুষংগ।আমি নিজের হৃদয় দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করেছি ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলো সরল ভাষায় অংকন করার চেষ্টা করেছি আমার প্রতিটি লিখায় ।এই বইটিতে সমকালীন সমাজের পরিচিত গ্লানিগুলোর রুপ , সামাজিক দর্শন ও মুল্যবোধ এঁটে দেয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আগামি প্রজন্ম তথা সমাজের প্রতিটি মানুষ সমাজ বিনির্মানে নিজেদের সজাগ করতে পারে।বিশেষ করে শিক্ষা ও শিক্ষকদের প্রতি যে আচরন চলে আসছে তার চিত্র আমার জ্ঞানের আলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আমি ছোট বেলা থেকে শিক্ষক পরিবারে প্রতিপালিত হয়েছি বলেই তা হৃদয়ংগম করতে পেরেছি।একজন শিক্ষক সমাজ বিনির্মানের যে কত বড় হাতিয়ার তা আমাদের সমাজ আজো মুল্যায়ন করতে পারেনি।আমার এই লেখাগুলো দিয়ে আমি একটি বার্তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করলাম মাত্র।হতে পারে আগামি প্রজন্ম আরো বিশাল কিছু জন্ম দিতে পারে।প্রতিটি লেখক,সাহিত্যিকের মনোবাসনা এটাই।তারা বিজ বপন করেন এবং গাছের পূর্নতা দেন প্রজন্ম।আমরা যত বেশি লেখক সৃষ্টি করতে পারবো,যতবেশী মুক্তমনের মানুষ তৈরি করতে পারবো ততই সমাজ সুন্দর সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠবে।শোষনমুক্ত ও সুন্দর সমাজ বিনির্মানের হাতিয়ার হলো প্রতিটি মানুষকে পরিশীলিত করে গড়ে তোলা।আর এটি সম্ভব একমাত্র নৈতিক মানসম্পন্ন বই মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া।আমি আমার নিজস্ব স্বকীয়তায়,চিন্তায় সমাজের গ্লানিযুক্ত বিষয়গুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছি।যার মাধ্যমে মানুষ তাদের কর্দমাক্ত মননশীলতাকে পরিহার করতে সহায়ক হবে বলে আমি আশাবাদি।একটি জাতির উন্নয়নে মেধা ও মননশীলতার যদি চর্চা না হয়,মানুষকে যদি তাদের হৃদয়ের পূর্নতার জন্য পুষ্টিরুপি বই না দেয়া যায় তাহলে কি করে সম্ভব সমাজের এই তেজষ্ক্রীয়তা নির্বাপিত করে।সম্মানিত পাঠকদের কাছে আমার আবেদন থাকবে বইটি পড়বেন,সামাজিক যে ক্রুটিগুলো আমি তুলে ধরেছি তা রোধ করার জন্য নিজের ও সমাজের প্রতি অবদান রাখবেন এবং সর্বোপরি জাতিকে আরো বড় কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করবেন। অস্হির সমাজে মানুষকে নৈতিক জ্ঞান সম্বলিত অনেক তথ্য সরবরাহ করার জন্য মুদ্রিত হয়েছে বইটি।যাতে করে ছাত্র ,শিক্ষক,সমাজপতি ও সমাজে বসবাসকারি বিভিন্ন পেশাজীবি শ্রেনীর মানুষ সমাজকে কলুষমুক্ত করার জ্গান আহরন করতে পারেন।আরো বিশেষ দিক হলো-বিষয়গুলো থাকবে আলাদা খন্ডে সহজ ও প্রান্জল ভাষায় যা সাধারন মানুষ সহজে হৃদয়ংগম করতে পারেন ।শান্তির সমাজ তৈরির জন্য সৎ ও যোগ্য মানুষ তৈরি করার একমাত্র বাহন হলো বই।সমাজের মানুষের কাছে যত বেশী বই পরিবেশিত হবে ততই মানুষ পরিশিলীত হবে আর সৃষ্টি হবে নতুন নতুন লেখক। মানুষকে যত বেশি বই পড়তে আগ্রহী করা যাবে তত দ্রুত মানুষ মননশীলতায় উন্নত হবে ও সমাজের অন্ধকার দূরিভূত হয়ে আলোর সরলরেখায় রেখায়িত করবে।আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষকে গড়ে তুলতে হবে এক একজন উচ্চ-মুল্যবোধসম্পন্ন,আলোকিত,উদার, শক্তিমান,যোগ্য ও কার্যকর মানুষ হিসেবে-যারা জাতীয় জীবনের বিভিন্ন অংগনে শক্তিমান নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।একটি জাতির রাতা রাতি পরিবর্তন সম্ভব নয় তবে আমাদের নিরলস কাজ করে যেতে হবে ভবিষ্যত সম্ভাবনায়।কোন জাতির যদি চিত্তের সমৃদ্ধি ঘটানো না যায় তাহলে সে জাতির বিকাশ সম্ভব নয়।অন্ধকারকে আলোকিত করাই হলো চিন্তাশীল মানুষের কাজ।আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা জাতীয় জীবনকে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার একটি স্বপ্ন এবং অসংখ্য ছায়াঢাকা অনুষংগের অন্ধকার পথে তার যাত্রা।আমি স্বার্থক হবো যেদিন এটি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।প্রতিটি ঘরে আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে বইটি যুগ যুগ ধরে আলোর মশাল জ্বালিয়ে তুলবে সেই প্রতীক্ষায়---।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পাটোয়ারি
বি কম, হিসাব বিজ্ঞান (সম্মান)
এম কম,হিসাব বিজ্ঞান
সি এ প্রশিক্ষন কাল সমাপ্ত
সিনিয়র হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা(এল সি এ্যাফেয়ার্স)
সৌদি বিনলাদিন গ্রুফ, এ বি সি ডি ,জেদ্দাহ।
যোগাযোগের ঠিকানা-
সাব্বির পাবলিকেশন
৩৮/৩ বাংলাবাজার,ঢাকা-১১০০
মোবাইল-০১৭৩২৩৩০২৩৫
বিষয়: বিবিধ
১১৩৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেই থেকে ব্লগার থেকে লেখক হওয়ার জন্যে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ।
বইর প্রচ্ছেদ শেয়ার করবেন আশা করি ।
চট্টগ্রামে কোথায় পাওয়া যাবে জানালে খুশি হব ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন