তাওহিদ ও শির্ক - সম্পর্কে অজানা থাকলে প্রতিটি ইবাদত পন্ড হতে পারে।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৬ মার্চ, ২০১৫, ০১:০২:৫২ দুপুর

আল্লাহ পাক আসমান ও জমিনে যা আছে সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।সেজন্য একমাত্র আল্লাহপাকই সত্য মা'বুদ এবং ইবাদতের তিনিই হ্ক্কদার।তিনি ছাড়া আর কোন দ্বিতীয় উপাস্য নেই।বান্দাহের যত রকম ইবাদত আছে তা একমাত্র আল্লাহর-ই জন্য।আর তা করতে হবে একমাত্র রসুল সা: এর অনুসরনে যিনি প্রেরিত হয়েছেন মানবজাতির জন্য একজন শিক্ষক হিসেবে।সৃষ্টির প্রথম থেকে শেষ রসুল মোহাম্মদ সা: পর্যন্ত সমস্ত নবী রসুলের কাজ ছিল তৌহিদের দাওয়াত দেয়া।সুরা আ'রাফের ৫৯ আয়াত থেকে পর পর কয়েকজন নবী( নুহ আ;,হুদ আ; সালেহ আ; ও শোয়াইব আWinking একটি দাওয়াত দিয়েছিলেন,'হে আমার সম্প্রদায়!আল্লাহর ইবাদত কর।তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন উপাস্য নেই।' রসুল সা: ও মক্কায় তের বছর এ কাজটিই করেছিলেন।এই একটি দাওয়াত দেয়ার কারনেই নবী রসুলদের সাথে শক্রুতা করেছিল তাঁদের স্বজাতীরা।ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ ছাড়া অন্যকে ডাকা বা আহ্বান করা,অন্যের কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হলো শির্ক যা তওহিদের বিপরীত।প্রতিটি খালেস ইবাদত কারীর জন্য জরুরি কাজ হলো শির্ক ও বিদাআত সম্পর্কে জেনে নেয়া ।শির্ক হলো আল্লাহর সাথে অংশী স্হাপন করা আর বিদাআত(কুসংস্কার) হলো রসুল সা: যা নিয়ে আসেন নি তা ইবাদত হিসেবে চালিয়ে দেয়া।সেজন্য একমাত্র আল্লাহর খালেস ইবাদত করতে হলে শির্ক ও বিদাআত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।আজকে মুসলিম বিশ্বে একশ্রেনীর মানুষ যারা নিজেদের মুসলিম বলা স্বত্বেও অনেকেই তাদের নামাজ,রোজা,হজ্জ ও যাকাতে আল্লাহ ছাড়া অন্যদের আহ্বান করে থাকে।তারা কোন বালা মুছিবত আসলে আল্লাহ ছাড়া অন্যদের ডাকে,অন্যদের সাহায্য চায় ও উদ্ধার কামনা করে।আল্লাহর সৎ বান্দাহ যারা গত হয়েছেন বা অসৎ মানুষ যাদের পীর ও ওলি বলে মাজার তৈরি করে তাদের কবরের কাছে গিয়ে নিজের মনোবাসনা পূর্ন হওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করে বা সেজদায় গিয়ে কান্না করে।তারা এটি এজন্য করে যে,এ সমস্ত পীর ও ওলিরা তাদের আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছে দিবে।যারা বড় শির্ক করবে তারা আর মুসলিমের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে না।তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে মুরতাদ হয়ে যায়।এদের নাম হলো মুশরেক। শির্ক করলে বড় গুনাহ হয় তখন সে আর ইসলামের মধ্যে থাকে না,আর ছোট শির্ক করলে ফাসেক ও গুনাহগার হয় তার পরও ইসলামের মধ্যে থাকে।এটি হলো পার্থিব বিধান।আখেরাতের বিধান হলো-যে ব্যাক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আহ্বান করে বা বড় শির্ক করে বা যে কোন ইবাদত আল্লাহর জন্য না করে অন্যের জন্য করে তাহলে তার পরিনাম হলো চিরকাল সে জাহান্নামে থাকবে।কখনো সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা যদিও সে নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্জ বা আরো নেক আমল করুক না কেন।আল্লাহ পাক ঐ সব বড় মুশরিকদের জন্য জান্নাত হারাম করেছেন এবং জাহান্নাম অপরিহার্য করেছেন।শুধু তা-ই নয় তারা জাহান্নাম থেকে বেরও হতে পারবে না তাও আল্লাহ পাক আলকুরআনে উল্লেখ করেছেন,'অমাহুম বেখারিজিনা মিনান্নার অর্থাৎ তারা জাহান্নাম থেকে বেরুতে পারবেনা।'

একশ্রেনীর মুসলমান আছে যারা ফাসেক ও গুনাহগার কিন্তু তাদের আল্লাহর একত্ব ঠিক আছে।তারা আল্লহকে বিশ্বাস করেছে,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছে কিন্তু সুদ ঘুষ খেয়েছে,জুলুম ও অত্যাচার করেছে,মিথ্যা ও বেইমানি করেছে বা এরকম অনেক পাপ করেছে এরা হলো ফাসেক।ফাসেকদের ব্যাপারে আলকুরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমানিত যে, কোন একদিন জ্বলে পুড়ে আল্লাহর রহমতে ও রসুল সা: এর সাফায়াতে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।সাফায়াত রয়েছে এ উম্মতের ফাসেক ও গুনাহগারদের জন্য কিন্তু মুশরিকদের জন্য নয়।সুতরাং যারা মনে করে আমরা তো রসুল সা: এর উম্মত এবং আমরা তো ওলি আউলিয়াদের মহব্বত করি,গরু খাসি জবাই করি,ওরসে দান করি,আমরা ছেলে মেয়েদের হাফেয ও আলেম করেছি,পিতামাতার মহব্বত করি আমাদের তো সাফায়াত হবেই।এই কথাগুলো আমাদের সমাজে শির্ক ও বিদাআতিরা বলে বেড়ায় যারা বড় বড় শির্ক করে ও তওবা ছাড়া মারা যায়।তাদের সম্পর্কে আলকুরআনে বলা হয়েছে,'ফামা তানফাউহুম সাফায়াতিস্সাফেয়িন অর্থাৎ কোন সুফারিশ কারির সুফারিশ তাদের জন্য কাজে আসবেনা।' শির্কের বহু প্রকার রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আহ্বান করা।এরা মসজিদে যখন যায় তখন আল্লাহকে ডাকে বা আল্লাহর সাথে অন্যকে মাধ্যম হিসেবে সম্পৃক্ত করে।আবার যখন মাজারে বা ওরসে যায় তখন তখন তারা এজন্য যায় না যে, ঐ কবরে যে শায়িত আছে সে বিপদে আছে এবং তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে।বরং তারা সেখানে তার কাছে দোয়া করে যেন আখেরাতে মুক্তি পায়।তারা কবরের কাছে গিয়ে বলে হে পীরবাবা! আমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার কর,আমাকে সন্তান দাও,আমার রোগ দূর করে দাও,আমাকে ভোটে জয়যুক্ত কর,এমনকি তাদের সাফায়াতের ও আশা করে ইত্যাদি---।রসুল সা: এর কবরের পাশে এসে অনেক বিদাআতিরা বলে-ইয়া রসুলুল্লাহ আপনি আমার জন্য সাফায়াত করুন।এটি রসুল সা; এর জীবদ্দশায় চাইলো না।তাদের আক্কিদা হলো নবী সা: এখনো জীবিত।এটি হলো আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আহ্বান করা এবং বড় শির্ক।আলকুরআন ও হাদিসে এর কোন প্রমান নেই।আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আহ্বান করার উপর আলকুরআনে অসংখ্য আয়াত রয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে তাদের যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদের আহ্বান করে।এই আহ্বান শুধু এই রসুলের সময়েই ঘটে নি যুগে যুগে ঘটেছে।নূহ আ: এর কাওমের লোকেরা ডেকেছে,ইব্রাহীম আ: এর কাওমের পৌত্তলিকরা আল্লাহ ছাড়া অন্যদের আহ্বান করতো,আমাদের প্রিয় রসুল সা: এর কাওমের লোকরাও আল্লাহ ছাড়া অন্যকে ডাকতো।সুরা হজ্জের ৭৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন,' ওহে মানবজাতি! একটি উপমা ছোঁড়া হচ্ছে কাজেই শোনো।নি:সন্দেহে আল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে তোমরা যাদের ডাকো তারা কখনো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারে না যদিও তারা একত্রিত হয়।আর যদি মাছিটি তাদের কাছ থেকে কিছু নিয়েও যায় তারা ওর কাছ থেকে তা ফিরিয়ে আনতে পারবে না।দুর্বল সেই অন্নেষন কারি ও অন্নেষিত।' উদাহরন স্বরুপ বল যায়-যারা আজমিরে যায় তারা বলে 'ইয়া খাজা বাবা মদদ।' আর আমাদের উপমহাদেশ থেকে অনেকে বাগদাদে যেতে না পারলেও দূর থেকে বলে 'ইয়া গাউছুল আযম মদদ অর্থাৎ হে মহান উদ্ধারকারি সাহায্য করুন।' মুসলিমদের বাসে ,অফিসে,বাড়ি ঘরে এবং কোন কোন মসজিদের উপরেও এ কথাগুলো লিখা রয়েছে।তাবলিগী ভাইদের ফাযায়েলে দুরুদেও রয়েছে,'হে আল্লাহর নবী! রহম করুন।' এগুলো হলো আল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে অন্যকে ডাকা।আমাদের বিবেককে প্রশ্ন করতে হবে ইবাদতের ক্ষেত্রে।নিজের অন্তর দিয়ে চিন্তা করতে হবে আমাদের চার পাশে যা ঘটছে ইবাদতের নামে ও ইসলামের নামে।কিছু কিছু মানুষ বলে,আমাদের উলামা ,আমাদের এত বড় শাইখুল হাদিস লিখেছেন বা বলেছেন আর তাদের অনেক খেদমত রয়েছে দ্বীনের ব্যাপারে।আমরা কি করে বুঝবো কি উদ্দেশ্যে লিখেছেন।আল্লাহ যাদের পথভ্রষ্ঠ করেন তাদের কেউ হেদায়েত করতে পারে না।তারা সোজা সাফ্টা কথা বুঝতে পারে না।ইবাদতে কোন মানুষকে ডাকা আর আল্লাহকে ডাকা এই দুই বিষয়ের পার্থক্য তারা করতে পারে না।আমরা নবীর উপর সালাম পেশ করি ও এর মানে হলো তিনি শান্তির মুখাপেক্ষি।কারন আল্লাহর রহমত ও বরকত না হলে কেউ মুক্তি পেতে পারে না।রসুল সা; নিজেও বলেছেন,'এমনকি আমিও আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষি।' যখনি কেউ নবীর কাছে বা কোন ওলির কাছে কিছু চায় তখনি তাদের রহমতের আঁধার বানিয়ে দেয়া হলো।কামনা করা হলো আল্লাহর সৃষ্ট দাসের কাছে এবং এটি একটি বড় শির্ক।এ সমস্ত লোকরা এমনি হীনতম যে তারা কোন কিছু বুঝার চেষ্টা করে না।

আল্লাহ পাক উপরোক্ত আয়াতে কি সুন্দর উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন।একজন জীবিত মানুষের কাছে যদি একটি মশা আসে তাহলে সে মশাটিকে তাড়াতে পারে কিন্তু কোন মৃত মানুষের কাছে যদি মসা আসে এমনকি তাকে কামড়ায়ও তার পক্ষে মশাটিকে তাড়া করা সম্ভব নয়।কতবড় মূর্খ হলে এ সব পীর মাজারে মানুষ গিয়ে পড়ে থাকে।এরা সর্বকালের নিকৃষ্ট ও অসহায় প্রানীর অন্তর্গত।জ্ঞানী ব্যাক্তিরা কামনা বাসনা করে যে শক্তিশালি তার কাছে।আর এরা সর্বশক্তিমান আল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে চায় অসহায়দের কাছে।যত নবী রসুল ও ওলি পৃথিবীতে এসেছেন, সবাইকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন। এরা সব আল্লাহর মুখাপেক্ষি এমনকি কবে তাদেরকে কবর থেকে উঠানো হবে তাও তারা জানে না।ভারত উপমহাদেশে এমন হাজারো কবর মাজার আছে যেখানে কোন মানুষকে কবরস্হ করা হয় নি।অনেক স্বপ্নের কবর স্হাপিত হয়েছে আর সেখানে গড়ে উঠেছে কবর পূজারিদের আড্ডা।এর মাধ্যমে কিছু আয় রোজগার হয় এবং এতে তারা চলে।আবার এমন অনেক দরবেশ সমাজে ছিল যারা ছিল গাঁজাখোর।দাঁড়ি মোছ বড় ও চুলে জঁটা লাগানো যাদের দিনের পর দিন কোন গোসল ছিলনা।এরা মরে গেলে তাদের অনুসারিরা সেখানে গড়ে তুলেছে দরগাহ বা মাজার।মনসুর হাল্লাজ যে নিজেকে বলেছিল আমি আল্লাহ।আমাদের দেশে অনেক শির্কি ও বিদাআতি আলেম গুনগান করেছে মনসুর হাল্লাজ সম্পর্কে।তার যুগের উলামারা তাকে কুফরির ফতোয়া দিয়ে তাকে অভিসম্পাত দিয়ে হত্বা করেছিল।বিদাআতিদের রয়েছে ভ্রান্ত আক্কিদা।তারা রসুল সা: এর কবরে আসলে তাদের জন্য রসুল সা: এর হাত বেরিয়ে যায় ও সালামের জবাব আসে।এই সমস্ত বিদায়াতিরা কি ভেবে দেখে না রসুল সা: এর সাহাবিরা তার সাথে থেকে দ্বীন কায়েম করেছিলেন কিন্তু রসুল সা: এর ওপাতের পর একদিনও কি তারা রসুলকে ডেকেছিলেন? রসুলের সাহাবীদের হত্বা করা হলো, হাসান হোসাইনকে হত্বা করা হলো, রসুল সা; তাদের কেন রক্ষা করতে পারলেন না যদি তিনি বেঁচে থাকেন? এই কবর পূজারিরা ও স্বপ্নের ধর্মের ধারক ও বাহকরা তাদের মিথ্যা ছড়িয়ে দিয়েছে ধর্মের নামে এবং কোটি কোটি মানুষকে ধর্ম থেকে বিচ্যুত করেছে ও করে চলছে।যারা কবরে চলে গেছে তারা কোন কিছু শুনে না যদি আল্লাহ না শুনান।এদের আক্কিদার মধ্যে রয়েছে তাদের ওলিরা মরে গেলে আরো বেশী শক্তিশালি হয়ে যায়।বেরুলির আহমেদ রেজা খানের কিতাবে এবং আমাদের দেশে যাদের রেজবি বলা হয় তারা এগুলো প্রচার করে বেড়ায়।আল্লাহ পাক মানুষকে উত্তম নছিহত করেছেন তার কিতাবে।তিনি প্রশ্ন করে মানুষকে বলেছেন যাদের তোমরা ইবাদত কর তারা পৃথিবীতে কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছে।আজকালকার এই পীর ও মুশরিকরা যারা নিজেদের ওলি বলে দাবি করে তাদের ভাবনায় কেন আসে না রসুলের সাহাবারা কত বড় ওলি ছিল? যাদের দ্বীনের এত বড় খেদমত তাদের হত্বা করে ফেলেছিল দুষ্কৃতিকারিরা কিন্তু তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি,এমনকি রসুল সা: ও তাদের রক্ষা করতে পারেন নি।তাহলে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি,জিলানি বা শাহজালাল কিভাবে মানুষকে উদ্ধার করে।এরা যে এই ভন্ডামিগুলো করে আর যারা সেখানে যায় তারা কি আলকুরআন বা হাদিস থেকে কোন প্রমান দিতে পারে? এরা সত্যবাদি নয় আর কেয়ামত হয়ে গেলেও এরা কোন প্রমান নিয়ে আসতে পারবেনা।এদের চেয়ে পথভ্রষ্ঠ পৃথিবীতে আর কেউ নেই।রসুল সা:কে যখন প্রশ্ন করা হলো,আপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তি কে? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন আয়শা।পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তি কে? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন আবু বকর।তারা রসুল সা: এর কবরের কত কাছাকাছি ছিলেন কিন্তু কোন দিন রসুলের কাছে কোন সাহায্য ছেয়েছিলেন কি? তারা জানতেন মানুষের মৃত্যু হয়ে গেলে ও কবরস্হ হলে আর সে ব্যাক্তির কোন ক্ষমতা থাকে না।যারা ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে পীরের দরবার গুলোতে যায় ও সাহায্য চায় তারা কোন দলিল পেশ করতে পারবে না বরং রোজ কেয়ামতের দিন যারা কবরে আছে তারা এই ভক্ত মুরিদদের শক্রু হয়ে বিরুদ্ধে চলে যাবে।যারা ঈসা আ:কে আল্লাহর পুত্র বলে সাব্যস্হ করছে কেয়ামতের দিন আল্লহপাক ঈসা আ:কে প্রশ্ন করেবেন যা সুরা মায়েদার ১১৬ আয়াতে বলেছেন এভাবে,'হে মরিয়মপুত্র ঈসা! তুমি কি লোকদের বলেছিলে " আমাকে ও আমার মা'কে আল্লাহ ছাড়া দুইজন উপাস্যরুপে গ্রহন কর? তিনি বলবেন,'তোমারই সব মহিমা,এটি আমার পক্ষে সম্ভব নয় যে আমি তা বলবো যাতে আমার কোন অধিকার নাই।যদি আমি তা বলতাম তাহলে তুমি নিশ্চই জানতে।আমার অন্তরে যা আছে তা তুমি জান,আর আমি জানিনা কি আছে তোমার অন্তরে।নি:সন্দেহে কেবল তুমিই অদৃশ্য সম্বন্ধে অবগত।' সুরা আন নাহলের ২১ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তারা মৃত,জীবন্ত নয় আর তারা জানে না তাদের কখন পুনরুত্থিত করা হবে।'যদি মৃত হয়ে থাকে তাহলে তারা কি শুনে? যখন আমাদের পাশে কেউ মারা যায় তাহলে আমরা কি তাদের কি কিছু শুনাতে পারি? মৃত ব্যাক্তিকে যখন গোসল করা হয় তখন ঠান্ডা পানি ঢেলে দেয়া হয় এমনকি গরম পানি ঢেলে দিলেও কি কোন শব্দ করতে পারে? খৃষ্টানরা যখন তাদের মৃতব্যাক্তিকে গোসল দেয় তখন গরম পানি ঢেলে দেয়।সে সব মৃত ব্যাক্তিরা কি কোন অাওয়াজ করতে পারে? তাহলে কবর পূজারিরা ও বিদাআতিরা কিভাবে মনে করে রসুল জীবিত বা তাদের পীর ও ওলিরা জীবিত এবং তারা সাহায্য করতে পারে।তাদের যদি এ সত্যকথা কেউ শুনিয়ে দেয় তাহলে তারা বলে এগুলো ওহাবিদের কথা।ওহাবিরা আলকুরআনের সত্য কথাগুলো বলে।হায়াতুন্নবী বলে তারা কতবড় শির্কি ও কুফরি কথা বলে বেড়ায় যার প্রতিবাদ করে না তাদের মুরিদরা।মৃত ব্যাক্তিকে জীবিত করে বলার অর্থ হলো আল্লাহর সাথে চ্যালেন্জ করা।আল্লাহই একমাত্র চিরন্জিব ও চিরস্হায়ী।সুরা ফাথহের ১৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'মহাকাশমন্ডলি ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ।' যদি আল্লাহ পাক সমস্ত সৃষ্টির মালিক হন তাহলে এ ভ্রষ্ঠরা এ সমস্ত অবান্তর কথাগুলোর অবতারনা কোথা থেকে করে? এর কারন আল্লাহ পাক সুরা আত তওবার ৩৪ আয়াতে ঈমানদারদের লক্ষ্য করে বর্ননা করেন এভাবে ,'ওহে যারা ঈমান এনেছ! নি:সন্দেহে পন্ডিতদের ও সন্নাসীদের অনেকে লোকের ধনসম্পত্তি অন্যায়ভাবে গলাধকরন করে আর আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে।' এখন যদি আমরা একটু অন্তর খুলে আমাদের দৃষ্টি দেই দেখবো উপমহাদেশে সমস্ত দরগাহ,পীরের দরবার,কবর মাজারে কি হচ্ছে? ধর্মের নামে এই ব্যাবসা চলছে সেখানে।মুরিদদের খাসি ,মুরগি,গরু,ছাগল,টাকা পয়সা ওরসের নামে তাদের কাছ থেকে আদায় করছে এবং তারা ফুলে ফেঁফে উঠছে।তারা এমনও বলে যে কাল কেয়ামতের দিনে মুরিদদের না নিয়ে জান্নাতে যাবেন না।এরা কেয়ামতের দিনে কোন উপকার ও করতে পারবেনা এবং কোন ক্ষতিও করতে পারবেনা।এরা সাধারন মানুষগুলোকে ভয় দেখিয়ে তাদের এ সমস্ত আয় রোজগার করে থাকে।কিন্তু মানুষ বুঝতে পারে না হায়াত ও মওতের মালিক একমাত্র আল্লাহ,ভাল এবং মন্দের মালিক একমাত্র আল্লাহ।আমাদের দেশের মুসলিম জাতির অনেকের ধারনা হিন্দু ,বৌদ্ধ ও খৃষ্টান তারা পূজা করে।মুসলিমরা আবার কোথায় পূজা করে? হিন্দুরা দূর্গার পূজা করে আর মুসলমানদের এক শ্রেনী আজ দরগাহ ও পীরদের পূজা করছে।

সূরা আন'আমের ৮২ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'যারা আল্লাহতে ঈমান এনেছে এবং যারা অন্যায় আচরন দ্বারা ঈমানের সাথে মিশ্রন করেনি এদের প্রাপ্য নিরাপত্তা এবং এরাই সুপথে চালিত।ছহি বোখারিতে এসেছে, রসুল সা: এর সাহাবিরা এই আয়াত শুনে বিস্মিত ও চিন্তাযুক্ত হলেন ও বললেন আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে অত্যাচার করেনি।তাহলে আমরা তো নিরাপত্তা পাব না।আল্লাহ পাক ঈমানের ভিতর জুলুম মিশ্রন না করার জন্য দুটি পুরস্কার ঘোষনা করেছেন।একটি হলো-নিরাপত্তা দান করবেন অর্থাৎ দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক নিরাপত্তা দিবেন।এই নিরাপত্তা হলো জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ করা।সফলতা হলো যার মধ্যে অন্যায় ও অপরাধ থাকবে না এবং সেটি হবে স্হায়ী। আর যদি সফলতা হয় এরকম যে তার স্হায়িত্ব হলো না তাহলে সেটাকে পূর্ন সফলতা বলে না।রসুল সা: বলেছেন আমি পৃথিবীর দুটো জিনিসকে ভাল বাসি।একটি হলো সতি নারি এবং আর একটি হলো সুগন্ধি।নারির প্রতি যে আসক্তি এটি মানুষের একটি সহজাত প্রবনতা।আল্লাহ পাক মানুষের জন্য দুনিয়ার এ সমস্ত জিনিস সৃষ্টি করে মানুষকে পরীক্ষা করছেন।আর মানুষও এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মরতে চায় না।মানুষ যেমন পার্থিব জিনিস পেতে চায় তেমনি আল্লাহ ও মানুষকে দিতে চান তবে মানুষের চাওয়া ও আল্লাহর দেয়ার মধ্যে পার্থ্যক্য রয়েছে।আমরা পৃথিবীর স্হায়িত্ব চাই যার একটি সেকেন্ডেরও গ্যারান্টি নেই।মানুষের মৃত্যুর নির্ধারিত সময় এসে গেলে একটু সময়ও দেয়া হবে না।মানুষ চায় দুনিয়ার স্হায়িত্ব আর আল্লাহ দিতে চান আখেরাতের স্হায়িত্ব।আল্লাহ পাক সুরা আল ইমরানের ১৮৫ আয়াতে বলেন,' যাকে আগুন থেকে বহু দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সেটিই হলো সাফল্য।আর দুনিয়ার জীবন ধোকার সম্বল ছাড়া আর কিছুই নয়।' মানুষের সফলতা হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া ও জান্নাতে প্রবেশ করা।ঈমানের সাথে যারা জুলমকে মিশ্রন করবেনা তাদের জন্য প্রথম পুরস্কার হলো দুনিয়ার জীবনের নিরাপত্তা ও আখেরাতে অনন্ত কালের সুখী জান্নাত।যদি এই নিরাপত্তা পেতে হয় তাহলে দুনিয়ার জীবনে দ্বিতীয় যে জিনিসটি দরকার তা হলো হেদায়েত বা সরল পথ।সরল পথের সন্ধান যদি কেউ না করতে পারে তাহলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা।রসুল সা; সরল পথের একটি উদাহরন দিয়েছেন।হাদিছে এসেছে তিনি লম্বা একটি সরলরেখা টানলেন।আমরা জানি এক বিন্দু থেকে আর এক বিন্দু পর্যন্ত সরলরেখা হলো একটি।ইসলামের অনেক বিদাআতি আছে যারা বলে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য যে কোন রাস্তা ধরলেই যাওয়া যায়।একটি যায়গায় যাওয়ার জন্য অনেকগুলো রাস্তা থাকলেও সরল রাস্তা থাকে একটি।সে রাস্তাটি ধরেই যেতে হবে।তারা আরো বলে জান্নাতে যাওয়ার জন্য যে কোন একটি ত্বরিকা বা পথ ধরলেই হবে।রসুল সা: হলেন আমাদের আদর্শ।তিনি কি বলেছিলেন যে কোন রাস্তায় জান্নাতে যেতে হবে? বরং তিনি একটি সরলরেখা এঁকে সোজা রাস্তাটি দেখিয়েছেন নিজের হাত দিয়ে এবং বলেছেন এটিই হচ্ছে আমার সরল পথ তোমরা এ পথেই চলবে।কোন যায়গায় যাওয়ার একাধিক রাস্তা থাকতে পারে কিন্তু সরল পথ হবে একটিই।

এই সরল পথ ছেড়ে যদি অন্য রাস্তাগুলো অবলম্বন করা হয় তাহলে শয়তান মানুষকে পাকড়াও করবে।আল্লাহ পাক শয়তানকে দুশমন ভাবতে বলেছেন এবং তাকে দুশমনই ভাবতে হবে বান্দাহদের।কোন মানুষ যদি জানতে পারে সরল রাস্তাগুলো ছেড়ে বাকি রাস্তাগুলোতে শক্রু বসে আছে তাহলে সে রাস্তাগুলোতে যাওয়ার কারন আছে কি? আজকের মুসলিম উম্মাহ ইসলামকে বিভক্ত করে সরল রাস্তা ছেড়ে দিয়ে শয়তানের রাস্তা অবলম্বন করেছে।যার পরিনতি ভোগ করছে মুসলিম সমাজ।ধর্মের নামে আমাদের সমাজে অসংখ্য বক্রপথ তৈরি হয়েছে যা ভেবে আমরা কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে পড়েছি।সাধারন মানুষ বুঝতে পারছে না কে ধর্মের কথা বলছে আর কে অধর্মের কথা বলছে।আল্লাহর রসুল সা: বলেছেন যারা ঈমান আনবে আর ঈমানের সাথে জুলমকে মিশ্রন করবে না তাদের প্রথম পুরস্কার হলো জান্নাত।আর দ্বিতীয় পুরস্কার হলো-তারাই হেদায়েত প্রাপ্ত হইবে যারা ঈমানকে মজবুত করে আঁকড়ে ধরেছে।রসুল সা: এর সাহাবারা চিন্তাযুক্ত হলেন যে আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে ঈমান আনার পর জুলম বা অত্যাচার করেনি।রসুল সা: বললেন,তোমরা এর গভীরের অর্থ বুঝতে পার নি।আল্লাহ পাক বলেছেন আমি আরবী ভাষা এজন্য নাজিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।এখানে বুঝতে হবে, আল্লাহ পাক কোন রসুলকে যে ভূখন্ড থেকে নির্বাচন করেছেন সে ভূখন্ডের ভাষায় কিতাব পাঠিয়েছেন যেন তারা বুঝতে পারে।সেজন্য আল্লাহ পাক যুগে যুগে দুটো জিনিসকে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে পাঠিয়েছেন।একটি হলো সংবিধান(আসমানি কিতাব) আর একটি হলো নবী ও রসুল যারা কিতাবকে ব্যাখ্যা করে মানুষের কাছে সহজ করে দিয়েছেন।ঈমানের সাথে জুলমের কথা দ্বারা বুঝানো হয়েছে শির্ক-কে।রসুল সা: সাহাবাদের লোকমান হেকিমের নাম স্মরন করে দিলেন যিনি তার ছেলেকে উপদেশ দিয়েছিলেন সুরা লোকমানের ১৩ আয়াতে,' হে আমার পুত্র! আল্লাহর সংগে কাউকে শরিক করো না।নি:সন্দেহে শির্ক হলো গুরুতর অপরাধ।'হযরত লোকমান হাকিম সম্পর্কে কেউ বলেছেন তিনি নবী ছিলেন আবার কেউ বলেছেন তিনি একজন সলেহ আল্লাহর বান্দাহ ছিলেন।তিনি তার ছেলেকে যে নসিহত করলেন সেটা আল্লাহর কাছে এত পছন্দনীয় হলো যে আল্লাহ পাক এই কালজয়ী আল কুরআনে একটি সুরা নাজিল করলেন যা কেয়ামত পর্যন্ত মানুষের জন্য এক নসিহতের উত্তম ব্যাবস্হা হয়ে থাকবে।জুলম শব্দের অর্থ হলো অত্যাচার।আর একটু বিশ্লেষিত আকারে বললে বলা যায়,যে পাত্রে যে জিনিস রাখার কথা সে পাত্রে সে জিনিস না রেখে অন্য জিনিস রাখা হলো জুলম।যে মর্যাদা পাওয়ার উপযুক্ত একমাত্র আল্লাহ সে মর্যাদা তাঁকে না দিয়ে অন্য কোন সৃষ্টিকে দিলে আল্লাহর সাথে জুলম বা শির্ক হয়ে যায়।তাহলে উপরোক্ত আয়াত থেকে বুঝা গেল-যে ব্যাক্তি ঈমান আনলো এবং ঈমানের সাথে শির্ককে মিশ্রন করলো না তাদের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা এবং তারাই হেদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠিত।এখানে একনিষ্ঠভাবে বুঝতে হবে শুধু ঈমান আনলে হবে না,ঈমানের মধ্যে কোন শির্কের মিশ্রন আসতে পারবে না।ঈমানের মধ্যে যদি শির্ক ঢুকে যায় তখন মুশরিক হয়ে যায়।মুশরিক হলো, যে অন্য কাউকে আল্লাহর সমকক্ষে দাঁড় করায়।আল্লাহর স্বত্তায়,তাঁর গুনাবলীতে,তার রুবুবিয়াতে,উলুহিয়াতে এবং তাওহিদের যতগুলো দিক ও বিভাগ আছে সমস্ত দিক ও বিভাগে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীস্হাপন করাই হলো শির্ক।আল্লাহ পাক সুরা নিসার ৪৮ আয়াতে বলেন,'নিশ্চই আল্লাহ ক্ষমা করবেন না যে,কাউকে তাঁর সাথে ক্ষমা করা হউক আর তা ছাড়া আর সব ক্ষমা করেন যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।আর যে কেউ আল্লাহর সাথে শরিক করে সে তাহলে উদ্ভাবন করেছে বিরাট পাপ।' যারাই শির্কের সাথে যুক্ত থাকবে তাদের স্হান জাহান্নাম এবং তাদের কোন সাহায্যকারি থাকবে না।আলকুরআন ও সুন্নাহের ফায়সালা হলো যারা শির্ক করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না যে পর্যন্ত তওবা করে ফিরে না আসে।আমাদের সেজন্য তাওহিদ ও শির্ক সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা থাকতে হবে।তাওহিদের বিপরীত হলো শির্ক আর শির্কের বিপরীত হলো তাওহিদ।ইবাদত করতে হলে তাওহিদের খালেস বান্দাহ হতে হবে।যে পথে শির্ক আসতে পারে সে পথ বন্ধ করে দিতে হবে ও সজাগ থাকতে হবে।সমস্ত নবী রসুল এসেছিল আল্লাহর তাওহিদকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।অত্যন্ত দু;খের বিষয় হলো - আমরা যা নিয়ে লড়াই সংঘাত করছি আসলে তা লড়াই সংঘাতের বিষয় নয়।আমাদের দেশে ইসলামের ভিতর ঢুকেছে কিছু অসংলগ্ন জিনিস যা নিয়ে গ্রুফ তৈরি হয়েছে।নামাজ কায়েম করতে হবে এটি সবাই মানে এবং এ নিয়ে কোন বিরোধ নেই।কিন্তু ভিতরের কিছু নিয়মকানুন নিয়ে তারা বিবাদে লিপ্ত হয়।কোন নবী রসুল প্রথমে নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত বা শরিয়তের কোন বিধিবিধানের দাওয়াত নিয়ে আসেন নি।এসেছেন তৌহিদের দাওয়াত নিয়ে।আমাদের উপমহাদেশে যারা দাওয়াত দিচ্ছেন তাদের গোড়াতেই গলদ।তাদের বহুলাংশেই নবী রসুলের সুন্নত পালন করেন না।তারা টাকার বিনিময়ে জলছা করেন।আবার কেউ কেউ মনপুত না হলে সে জলছায় যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন।আবার আর একটি বিষয় হলো জাতিকে বিভক্ত করা হয়েছে মসজিদ ভিত্তিক।এক মসজিদের মুসুল্লিরা কাছের আর একটি মসজিদে নামাজ পড়বে না কারন তারা অনুসরন করছে বিভিন্ন মাযহাব।কেউ নামাজে সুরা ফাতেহা পড়বে আবার কেউ পড়বে না।কেউ সুরা ফাতেহার পর আমিন উচ্চ স্বরে বলবে আবার কেউ আমিন উচ্চ স্বরে বলবে না।একদল বুকে হাত বাঁধে আর এক দল নাভীর উপর বাঁধে।কিন্তু নামাজ যে ফরয এতে কারো সন্দেহ নেই।মুসলমানদের ছোট খাট ব্যাপার গুলো নিয়ে যে সংঘাত তা লাগিয়েছে ইসলামের শক্রুরা।এই পার্থক্য গুলো নিরুপন করার জন্য আলকুরআন ও ছহি হাদিসের কাছে না গিয়ে তারা তাদের বিভাজিত মতবাদকে প্রাধান্য দিচ্ছে।অসংখ্য ফিরকার জন্য দায়ি কিছু সংখ্যক দুষ্টু আলেম যারা তাদের সমাজে পরিচিত করে এবং আয় রোজগারের হাতিয়ার হিসেবে আল্লাহর আদেশকে অমান্য করছে।সমস্ত ধর্মগ্রন্হের মুল বিষয় হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করা।কিন্তু যারা এই ধর্মগ্রন্হের অনুসারি তারা হলো মূর্খ।মুসলমানদের মধ্যে কত% আছে যারা আলকুরআন ও হাদিস অনুশীলন করে ইবাদত করে।

অধিকাংশই এখন নামে মুসলমান।সুরা মোহাম্মদের ১৯ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তুমি জেনে রাখ যে আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কোন উপাস্য নেই।' হিন্দুদের ধর্মগ্রন্হ হলো বেদ।এই ধর্মগ্রন্হের মুল মন্ত্র হলো সৃষ্টিকর্তা একজন কিন্তু তারা পূজা করে ৩৩০০০ দেবতার।তারা মুশরিক হয়েছে অংশীস্হাপন করার কারনে।খৃষ্টানরা ঈসা আ:কে আল্লাহর পুত্র বলে আখ্যায়িত করে অংশী স্হাপন করেছে।আর মুসলমানদের এক শ্রেনী কবর,মাজার,দরগাহ ও পীর পূজা করে অংশী স্হাপন করেছে।আজকের মুসলমানরা লান্চিত ও বন্চিত কেন? জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শির্ক রয়েছে মুসলমানদের ইবাদতে।অথচ আল্লাহ পাক সুরা নুরের ৫৫ আয়াতে বলেছেন,'তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে ও সৎ কর্ম করেছে আল্লাহ তাদের সাথে ওয়াদা করেছেন যে,তিনি নিশ্চই পৃথিবীতে তাদের প্রতিনিধিত্ব দান করবেন--- এবং এই আয়াতের শেষ একটি শর্ত দিলেন,'আমারই এবাদত করবে,আমার সাথে কাউকে শরিক করবে না।'আল্লাহ পাক আলকুরআনে অন্য আয়াতে বলেছেন তোমাদের ভয়ের কোন কারন নেই কারন তোমরা-ই জিতে যাবে।এত নিশ্চয়তা দেয়ার পরও মুসলিমরা কেন জিতছে না,তাহলে ভাবতে হবে আমরা মুসলমানরা এখনো মু'মিন হতে পারি নাই।আর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলো দেখলেই তো বুঝা যায় এ সমস্ত মুসলমান কি মুসলমান না অন্য জাতি।মুসলমানরা তাদের ইবাদতে এখন ঠিক নেই,সামাজিক আচার আচরনে ঠিক নেই,পোষাক আষাক ও সংস্কৃতিতে এখন বিজাতির বেশ ভূষা ধারন করেছে,অবৈধ উপায়ে ধন সম্পদ আহরনে মত্ত,জেনা ব্যাভিচারে সমাজ প্লাবিত,শির্ক বিদাআতে সমাজ ভরপুর।এই যখন মুসলিম সমাজের অবস্হা তাহলে আল্লাহ সাহায্য করবেন কিভাবে? তবে আল্লাহ পাক সবচেয়ে বেশী সবরকারী।আল্লাহর এই আলোবাতাস,চন্দ্র-সূর্য ও অসংখ্য নেয়ামত ভোগ করে খেয়ানত করার পরও আল্লাহ তাদের প্রতি সবর অবলম্বন করেন।মুসলমানদের এই বিপর্যয় থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো মু'মিন হওয়া ও শির্কমুক্ত ইবাদত করা।এটিই ছিল নবী রসুলদের দাওয়াত আর এ পথেই চলতে হবে ইসলামের ধারক ও বাহকদের।সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রসুল মানুষকে দাওয়াত দেয়া শুরু করেছিলেন এই বলে,'বল আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই,তোমরা সফলকাম হয়ে যাবে।'রসুল সা: এ দাওয়াত দেয়াতে সে সমাজে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল।তখন দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল ঈমানদার ও কাফের।আজ আমাদের প্রতিষ্ঠিত মুসলিম সমাজে বহু বিভক্তি।সবাই ইসলামের কাজ করছে কিন্তু যার যার মত করে।সমাজে সমস্ত মুসলমান হবে এক ভাই ভাই।কারো প্রতি কারো বিদ্বেষ থাকবে না।কোন শক্রুতা থাকবে না।কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় প্রতিটি গ্রামে চার বা পাঁচটি মসজিদ।মানুষের ঈমান নেই অথচ মসজিদ তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে ও ভ্রাতৃত্ব ধংস হচ্ছে।কারো সাথে সংঘর্ষ তৈরি হলেই আলাদা একটি মসজিদ তৈরি করে নিল যেন তারা আর একে অন্যের সাথে আর মিশবে না।আল্লাহ পাক বলছেন,'তোমাদের জন্য রসুলের মধ্যে রয়েছে মহত্তম আদর্শ।'যদি আমরা এ আয়াতটিকে মেনে চলতাম তাহলে আমাদের সমাজে কারো সাথে কারো বৈরিতা তৈরি হতো না।আমরা আমাদের ভুল হলে কুরআন ও হাদিসের কাছে গিয়ে সংশোধন করে নিতাম।মানুষ ভুল করে অজ্ঞতা থেকে।এই ভুল হতে পারে দু'ভাবে-জেনে ভুল করা ও না জেনে ভুল করা।জেনে যারা ভুল করে তাদের সংখ্যা কম আর না জেনে যারা ভুল করে তাদের সংখ্যা বেশি।আল্লাহর কাছে এই দু'শ্রেনীর মানুষই দোষী।তবে যারা জেনে শুনে ভুল করে তারা হলো জ্ঞান পাপি।আমাদের সমাজে এমন কিছু আলেম রয়েছে যারা তাদের পার্থিব স্বার্থে জেনে বুঝে অপরাধ করে এবং তাদের অনুসারিরাও অপরাধি হয়।রসুল সা: তাওহিদের কাজ মক্কায় করেছিলেন ১৩টি বছর।তিনি এবং তাঁর সাথীরা লান্চিত ও নিষ্পেষিত হলেন।কিন্তু তাঁর সাথীদের নিয়ে একটি দল তৈরি হলো সেটিই মুসলিম উম্মাহ।আর একটি অমুসলিম উম্মাহ।সর্ব যুগে নবী রসুলের সময়ে এই বিভক্তি ছিল।উপমহাদেশে মুসলিমদের মধ্যেতো বিভক্তি আসার কথা ছিলনা।বিভক্ত হবে মুসলিম আর অমুসলিমে।মুসলিমরা এখন বিভক্ত হয়েছে লেবাছ নিয়ে,সুরার উচ্চারন নিয়ে,বিদাআতি হাদিছ অনুসরন করে,নিজেদের বাপ দাদার কৃত ইবাদত নিয়ে।আর এতে সহায়তা করছে ইসলামের শক্রুরা।আল্লাহ পাক কাউকে সাধ্যের বেশি ছাপিয়ে দেন নি।মানুষের কাজ হলো সঠিক ঈমান এনে কুরআন ও ছহি সুন্নাহ মেনে ইবাদত করা।যদি নিয়তের মধ্যে কোন ক্রুটি না থাকে তাহলে নিশ্চই আল্লাহ ছোট খাট গুনাহ মাপ করে দিবেন।বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এখন শির্ক ভরপুর।আর এই শির্ক বিভিন্ন প্রকাশকরা ছাপিয়ে বাজারে বিক্রি করছে এবং মানুষ তা ক্রয় করে জ্ঞান আহরন করছে।জানা অবস্হায় যেমন মানুষ শির্ক করে তেমনি করে অজানা অবস্হায়।এইজন্য আল্লাহ পাক আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন,হে আল্লাহ আমি জেনে যে শির্ক করছি এবং অজান্তে যে শির্ক করছি তা থেকে তোমার কাছে পানাহ চাই।আল্লাহ পাক মানুষকে স্বভাব ধর্মের উপর সৃষ্টি করেছেন।কিন্তু প্রতিটি শিশুর বাপ মা তাদের ইহুদি খৃষ্টানে পরিনত করে।আমাদের সমাজে যে পরিবার সুন্নাহের উপর প্রতিষ্ঠিত সেখানে যে শিশুটি বড় হয় সে সুন্নাহের উপরই প্রতিষ্ঠিত হয়।আর যে পরিবারটি শির্ক ও বিদাআতের খাদেম তাদের সন্তান গুলোও সে আক্কিদা নিয়ে গড়ে উঠে।ব্যাতিক্রম হতে পারে যার উপর আল্লাহর রহমত হয় সে দুনিয়া দেখে ছহি রাস্তায় আসতে পারে।ছহি বোখারিতে হোজাইফা রা: বর্ননা করেন সবাই রসুল সা:কে কল্যান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতো আর আমি অকল্যান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম যাতে অকল্যান আমাকে পেয়ে না বসে।'অকল্যানকে জানতে হবে তা থেকে বাঁচার জন্য।আমরা অনেকে শির্ক বিদাআত সম্পর্কে না জানার কারনে আমাদের ইবাদত ধংস হয়ে যাচ্ছে, যা কেয়ামতের মাঠে ধূলিসাৎ করে দেয়া হবে।সুরা ফোরক্কানের ২৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আমি তাদের আমলের দিকে যাব আর তা ধূলিসাৎ করে দিব।' সেজন্য ইবাদতকে ছহি করার জন্য শির্ক ও বিদাআত সম্পর্কে জানতে হবে।বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় শির্ক হলো কুরআন ও হাদিস না জেনে বুঝে তথাকথিত আলেম উলামা ও দলের অন্ধ অনুসরন করা যা সুরা তওবার ৩৪ আয়াত আমি আগেই উল্লেখ করেছি।আলেম উলামারা কিভাবে মানুষের ধনসম্পদ লুট করে তা অনেকে বুঝতে পারে না।আল্লাহ যা হালাল করেছেন এবং যা হারাম করেছেন তা তারা তাদের পার্থিব স্বার্থে ব্যাবহার করে রোজগার করে।ধরুন-মিলাদ তো ইসলামে নেই।যিনি মিলাদ পড়ান তিনি তো একজন আলেম।তিনি যদি হাদিস পড়ে থাকেন তাহলে কোথাও রসুলের হাদিস মিলাদের পক্ষে নেই।তিনি জনসাধারনকে বলছেন না কারন তার রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে।পীর মাজারের ব্যাবসা শির্কিয় কাজ।পীরেরা কেন মুরিদদের বলে না এগুলো ইসলামে নেই।কারন এগুলো বললে তাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে।কোন মুরিদ কি তাদের প্রশ্ন করেছে কুরআন বা হাদিসে 'পিরতন্ত্র' কোথায় আছে? কোন ইবাদত যদি আলকোরআন ও ছহি হাদিসে না থাকে তাহলে সেগুলো হলো ভূয়া ইবাদত।আর আমাদের সমাজে দরগাহ,খানকা ও যত পীরতন্ত্র আছে তা ইসলামের নামে মানুষদের শোষন করছে।যারা এই শোষনের সাথে জড়িত তারা নিজেদের আল্লাহর স্হানে বসিয়ে দিয়েছে।আর শোষিতরা তাদেরকে নিজেদের রব হিসেবে ইবাদত করছে।সেজন্যই তারা তাদের পীরদের কাছে চায়।তাদের পীররা থাকে তাদের কলবে কলবে।অধিকাংশ মানুষ ঈমানদার দাবি করলেও তারা মুশরিকি চরিত্র নিয়ে মুসলমান সমাজে জীবন যাপন করছে।এ কথাটিই আল্লাহ পাক সুরা ইউছুপের ১০৬ আয়াতে বলেছেন এভাবে,'তাদের অধিকাংশই আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে না তারা শির্ক না করা পর্যন্ত।'এই উম্মতের আলেম উলামা বাজারে শির্ক বিক্রয় করছে যা উম্মতের লোকজন অন্ধভাবে পড়ছে বুঝে না বুঝে।খুতবা হওয়া উচিত বোধগম্য ভাষায় কিন্তু আমাদের দেশে অসংখ্য মসজিদে খুতবা হয় আরবি ভাষায় তাও বার চাঁদের খুতবা বলে।যিনি পড়েন তিনিও বুঝেন না আর যারা শুনে তারা ও অন্ধ ও বধির।আমাদের দেশে ৯০% মুসলিম হলেও ৮৫% আরবী বুঝে না।তারা যখন শুক্রবারে খুতবা শুনে কিছুই বুঝে না।আমি কতেক লোককে নামাজ শেষে প্রশ্ন করেছি আজ যে খুতবা হয়েছে কিছু বুঝেছেন? তারা জবাব দিয়েছিল আরবি বুঝবো কি করে? তাহলে ঈমাম সাহেব কোন যুক্তিতে এই খুতবাটি দিলেন।ছহি বোখারিতে বর্নীত হয়েছে রসুল সা: যখন খুতবা দিতেন মনে হতো তিনি যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করছেন এবং তাঁর চেহারা মোবারক লাল হয়ে যেতো।সাহাদত আংগুল নাড়িয়ে হাত উঁচু করে বক্তৃতা দিতেন যেন জনগনের মধ্যে স্প্রীহা তৈরি হতো।সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতেন।যে মানুষের জন্য খুতবা তা যদি তারা বুঝতে না পারে সে খুতবা দেয়া আর না দেয়া সমান।সুরা ইব্রাহিমের ৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আমরা এমন কোন রসুল পাঠাইনি তার স্বজাতির ভাষা ব্যাতিত।' রসুল সা; কে যদি অন্য কোন দেশে পাঠাতেন তবে সে দেশের ভাষায়ই আলকুরআন নাজিল হতো।কুরআন এসেছে মানুষের বুঝার জন্য।আর খুতবাহ হচ্ছে নসিহত।এই নসিহত হতে হবে সে জনগোষ্ঠির মানুষের ভাষায়।অবশ্য আল্লাহর ইচ্ছায় এখন অনেক মসজিদে বাংলায় ব্যাখ্যা করা হয় যদিও শেষে আরবীতে খুতবা পড়ে।উলামাদের কাজ হলো নবীর প্রদর্শিত পথে কাজ করা ও মানুষকে সজাগ করা।কিন্তু যদি সেই উলামা হয় শির্ক ও বিদাআতের খাদেম তাহলে সেই এলাকায় কি তৈরি হবে? বাংলাদেশে অধিকাংশ মসজিদে এখন বিদাআতের খাদেম ঈমাম হিসেবে স্হান পাচ্ছে।এর কারন হলো ফাসেক মুতাওয়ালি।যদি কোন মসজিদে ফাসেক মুতাওয়ালি থাকে কখনো সেখানে ছহি আক্কিদার ঈমাম নিয়োগ হবে না।যদি শির্কিয় ও বিদাআতি উলামা ঈমাম হয় তখন সে সমাজে তৈরি হবে শির্ক ও বিদাআত।সৌদি আরবে যখন শির্ক ভরপুর ছিল তখন কিতাবুত্তাওহিদ দিয়ে সংস্কার আন্দোলন করেছিলেন মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব।তখনকার আহলে সৌদের নেতৃত্বে যখন মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব শির্ককে উৎখাত করে ফেললেন এবং তা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়লো তখন ভারত উপমহাদেশে এই পিরে ক্কেবলাদের টনক নড়লো যে,তাদের এ সব ভন্ডামি তো বন্ধ হয়ে যাবে।তখন তারা তাদের মুরিদদের বললো ওহাবিরা হলো ইসলামের শক্রু এবং তারা নিজেদেরকে মুরিদদের ক্কেবলা বানিয়ে ফেললো।ওখান থেকেই পীরে ক্কেবলা তৈরি হয়েছে।এখন সারা দেশে ভন্ড পীরদের ক্কেবলা তৈরি হয়েছে-কোথাও -ফুরফুরা,মাইজভান্ডারি,দেওয়ান বাগি,আটরশি,ছারছিনা,ফুলতলি এভাবে অনেক--।রসুলের কাজ ছিল শির্ককে উৎখাত করে তাওহিদ প্রতিষ্ঠা আর এরা এখন তাওহিদকে উৎখাত করে সমাজে শির্ক প্রতিষ্ঠা করছে।সচেতন ঈমানদার মু'মিনদের এজন্য কাজ হলো তাদের কাছে ইসলামের বারতা পৌঁছে দেয়া।কোন সংঘর্ষ করে নয়,জান ও মালের ক্ষতি করে নয়,সম্ভব হলে তাদের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে আর ইসলামি সরকার হলে এগুলো আপনিই নি:শেষ হয়ে যাবে।আল্লাহ পাক তার ইলমের দ্বারা সর্বস্হানে আছেন।কেউ যদি মনে করে রসুল সা: আগের মত জীবিত আছে এবং মিলাদের সময় যখন তারা দুরুদ পড়তে পড়তে উঠে দাঁড়ায় এর অর্থ দাঁড়ায় রসুল সা: তাদের মিলাদে উপস্হিত।এই আক্কিদা ধারন যারা করলো তারা শির্ক করলো।একে তো মিলাদ হলো বিদাআত যা রসুল করেন নি বা সাহাবাদের থেকেও কোন প্রমান নাই তার উপর রসুল সা: মাহফিলে উপস্হিত বলে যে আক্কিদা পোষন করলো তা স্পষ্ট শির্ক।এভাবে ভারত উপমহাদেশে প্রতিদিন কি পরিমান শির্ক মানুষ লালন করছে যা তাদের সমস্ত ইবাদতকে ধংস করে দিচ্ছে।কোন নামাজি যদি জেনে শুনে তার অন্তরে এই আক্কিদা লালন করে সে একজন মুশরিক এবং সে ইসলামের মধ্যে থাকতে পারে না।দুরুদে ইব্রাহিম যা আমরা নামাজের শেষ বৈঠকে পড়ে থাকি তাই হলো দুরুদ যা রসুল সা; শিখিয়েছেন।আর সংক্ষিপ্ত আর একটি দুরুদ আছে যা মুহাদ্দেছিন গন বলেছেন,'সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম'। এ ছাড়া যত দুরুদ সমাজে প্রচলিত তা বিদাআত।যারা বলে আব্দুল্লাহর পুত্র নুরুল্লাহ অর্থাৎ নবী নুরের তৈরি।এই কথাটি একটি শির্ক।যদি নবী নুরের তৈরি হয় তাহলে আল্লাহর অংশ নবীর মধ্যে চলে এলো না? এ রকম অসংখ্য শির্ক রয়েছে বাজারে দুরুদের বইগুলোতে।সাধারন পাঠকদের উচিত নয় কুরআন ও ছহি সুন্নাহের কিতাব ব্যাতীত বাজারের বই পড়া।আর যদি বই কিনে পড়তে হয় তাহলে হক্কানী উলামাদের কাছে জেনে নিতে হবে কোন বইগুলো কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক লিখা হয়েছে।এখন আল্লাহর ইচ্ছায় আরবি থেকে কুরআন ও হাদিস গ্রন্হগুলো বাংলায় অনুবাদ হয়েছে।প্রকৃত দ্বীনের অনুসরন করতে হলে আমাদের মুল তথ্যের দিকে ধাবিত হতে হবে।সমাজে এখন দ্বীনের নামে শির্ক ও বিদাআত কিলবিল করছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে দ্বীনের চর্চা ও হক্কানি উলামাদের স্মরনাপন্য হতে হবে।আর শির্ককে উপড়ে ফেলার জন্য সমাজের ছহি আমলের উপর প্রতিষ্ঠিত জ্ঞানী ও গুনীদের সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

২৯২৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309269
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:৩৭
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : মাশাআল্লাহ। চমতকার উপস্থাপনা।
আমার আবারও নিবেদন হল - ব্লগে লিখাটি দুই বা তিন পর্বে দিলে পাঠকের জন্য সহজ হত।
যাই হউক - এই বিষয়ে আরো লেখা চাই।
শির্ক নিয়ে আপনার লেখা - দলীল - প্রমান এগুলো সত্যি ভাল উপস্থাপনা।
বড় শির্ক আর ছোট শির্ক বা বিদআত নিয়ে লেখার সময় আমাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিত।
আমরা যে শির্ক নিয়ে বেশী আলোচনা করি তা একটি দিক।যা আমার ভাষায় এগুলো হল মরা শির্ক।
ভিন্ন দিকটা নিয়ে অথচ সেটাই হল সবচেয়ে বড়। বড় এই অর্থে যে,এটার ওপর নির্ভর করে বাকি শির্ক।
তাগুত এক প্রকার শির্ক। এই তাগুত শক্তির সাহায্য নিয়ে সমাজের বাকি শির্কগুলো উজ্জিবীত হয়।

বিষয়টা বিবেচনা করতে পারেন। হয়তো আমার বলাটা বুঝিয়ে হল না।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:০১
250225
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এই ভাই যে কি করে কোথায় আল্লাহ ভাল জানেন। একটা লিখা পোস্ট করেই যেন উনার দায়িত্ব শেষ! কমেন্ট করলে পালটা কমেন্ট করে না। আমিও আগে উনার বেশ কিছু লিখা পড়ি, খুব ভাল লাগে, কিন্তু উনার রা শব্দটি পর্যন্ত নেই। আরে ভাই একটা ধন্যোবাদতো দিবেন নাকি! উনার একেকটা লিখা এমনিতে তিন চারটা লিখার সমান, পড়তে কষ্ট, ভাল লিখে বলে কষ্ট করেই পড়ি, কিন্তু না, উনি কোন জবাব দেবেন না!

লিখা বড় হওয়ার কারণে জাত লেখক হওয়া সত্ত্বেও উনার লিখা খুব কম লোকে পড়ে। এইবার আমাদের শোনে! না হলে আমাদের ডাকাডাকি খালি মাঠে ওয়াজ করার মতই হবে।
309290
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:২০
মহিউডীন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাদের।ব্যাস্ততার কারনে অনেক সময় প্রত্তুত্তর দেয়া হয়ে উঠে না।তবে আমাদের সবার কল্যানের জন্য সামান্য কিছু পরিশ্রম করে যাচ্ছি।আশা করি ভুল না বুঝে নিজের পাথেয় তৈরি করবেন ও অন্যদের তথ্য পৌঁছে দিবেন।আমরা এ কাজগুলো করছি একটি উদ্দেশ্যে আর তা হলো পরকালে জাহান্নামের আযাব থেকে বেঁচে থাকার জন্য।দুনিয়ার কোন লাভের জন্য নয়।আল্লাহ পাক আলকুরআনে বলেছেন,'আমরা খাওয়াই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।কারো কাছ থেকে পুরস্কার বা শুকরিয়া পাওয়ার জন্য নয়।'
ধন্যবাদ আবারো-

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File