শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির আবশ্যকতা আছে কিনা?
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৯:৫৮:৪৯ রাত
অনেকে প্রশ্ন করছেন পৃথিবীর কোথাও ছাত্র রাজনীতি নেই তাহলে বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি কেন? আমাদের দেশে কি এর প্রয়োজনীয়তা আছে? এর ব্যাখ্যাটি ব্যাপকভাবে দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে।বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির একটি ইতিহাস রয়েছে।১৯৪৮ থেকে ১৯৭১, ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ এবং ১৯৯০ এর পরবর্তী ইতিহাস।এর মধ্যে যতগুলো মুভমেন্ট হয়েছে ছাত্ররাই ছিল সামনে এবং তাদের ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা।তারা বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে এগিয়ে এসেছে,বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে, শিক্ষাংগনে সুষ্ঠু পরিবেশের দাবিতে এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের গনতান্ত্রিক আন্দোলন যা ৯০য়ের গনতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছিল তা ছাত্ররাই সফল করেছিল।ক্যাম্পাসে সহিংসতা এসেছে বিভিন্ন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়।তারা ছাত্রদের পড়াশুনার যায়গা থেকে সরিয়ে দিয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে।আজকে যারা ছাত্রনেতা, তারা ছাত্রদের কাছে যায় না,তারা সেন্ট্রাল লিডারদের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার কথা বলছি কিন্তু আমরা আসল সমস্যাটিকে সামনে নিয়ে আসছি না।যে ছাত্রের হাতে বই থাকার কথা তার হাতে অস্ত্র কেন? একটি ছাত্র যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নেতা হতে চায় তার চিন্তা চেতনায় থাকতে হবে-আমি কিভাবে সবার চেয়ে চরিত্রবান ও মেধাবী ছাত্র হব,প্রতিদিন আমার কোন ক্লাস মিস হবে না ও আমি ছাত্রদের সাথে মিশে আমার যোগ্যতা তৈরি করবো,আমাকে নিয়মনীতি মেনে কেম্পাসে চলতে হবে,আমাকে যদি সত্যিকারের নেতা হতে হয় তাহলে আমি মানবো নিজেকে,নিজের বিবেক ও বিচার বুদ্ধিকে ও নিজের ভীতরের আসল মনুষ্যত্বকে।নেতা কোন বিশেষ মানুষ নয়,নেতা হলো অনেক মানুষের সমষ্টি।যে মানুষের মধ্যে অনেক মানুষ আসে সে হলো নেতা।কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য হলো স্বাধীনতার পর আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের যায়গাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করেনি দেশীয় শক্রুদের জন্য।আজকের ছাত্র সমাজকে বিপথগামী করার জন্য দায়ী হলো আমাদের যে কোন সময়ের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো।ছাত্রদের হাতে অস্ত্র দিয়ে সরকারের লেজুড় বাহিনীতে পরিনত করেছে।তাদের গাড়ি বাড়ির লোভ দেখিয়ে পড়াশুনা থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।তাদের বানিয়ে ফেলা হয়েছে দখলদার বাহিনীতে।তাদের ব্যাবহার করছে ক্ষমতাভোগী সরকারের এমপি মন্ত্রীগন।যে ছাত্রের হাতে অস্ত্র,আমরা বড় নেতাদের বলতে শুনিনি তোমরা অস্ত্র ফেলে পড়ালেখায় বসে যাও বরং কোন কোন ছাত্র নেতা যখন বিরোধপ্রবরদের বলে,তোমাদের নেড়ি কুত্তার মত পিটাবো,তখন তাদের তিরস্কার করা হয় না বরং আরো উস্কে দেয়া হয়।তাদের বলা হয়না তোমাদের কাজ হলো ভাল ছাত্র হওয়া,তোমাদের কাজ হলো ছাত্রদের সাথে মিশে জ্গান অর্জন করা,তোমরা ক্যাম্পাসে মিলে মিশে থাক ও একে অন্যের সাথে শ্রদ্ধার সাথে সদাচরন কর,তোমরা এক্ক্সট্রা কারিকুলামে অংশগ্রহন করে আরো বেশী জ্গান অর্জন কর,তোমরা ক্লাসে তোমাদের স্টাডি সার্কেল তৈরি করে তোমাদের জ্গানকে বেগবর্ধিত কর,তোমরা ইতিহাস থেকে জ্গান অর্জন করে নিজেকে শানিত কর,এ দেশের সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মানের জন্য একটি ভিশন তৈরি কর, রাজনীতি বিষয়ে পড়ে জ্গান অর্জন কর যাতে তোমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে পার,ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দিতে পার।ছাত্র রাজনীতির কবর রচনা করেছে আমাদের পার্লামেন্টের আজকের সদস্যরা যাদের ৮০ ভাগ হলো এক্ক্স আমলা,ব্যাবসায়ি ,শিল্পপতি।এরা নিয়ন্ত্রন করছে আজকের রাজনীতি।সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে নির্বাপিত হয়েছে ছাত্র সংসদ।এটি সুদূর পরিকল্পনার অংশ যেন ভবিষ্যতে এদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে ও কোন নেতা তৈরি হতে না পারে।
আজকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলছে।বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে চলা উচিত? বিশ্ববিদ্যালয় চলবে শিক্ষক ও ছাত্রদের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে।আমরা শিক্ষকদের প্রায়শই সভা সমিতিতে নীতি কথা বলতে শুনি যে,তোমরা লেজুড় ভিত্তিক রাজনীতি করবে না,তোমরা কেম্পাসকেন্দ্রিক তোমাদের সুযুগ সুবিধার জন্য আন্দোলন করবে।কিন্তু সেই শিক্ষদের একটি বৃহৎশ্রেনীকে আমরা দেখি সাদা ও নীল দল করতে।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যলায়গুলোতে যে সহিংসতা হয় তার নেপথ্যে শিক্ষরা যে দায়ী এবং সরকার যে তাদের সাহায্য করছে এটি একটি খোলা চিঠির মত জনগন জানে।এ বছর (২০১৫) ঘটে যাওয়া রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে যে সহিংসতা ঘটেছিল তাতে দেখা গেল ছাত্র ছাত্রীরা তাদের ন্যায্য হিস্যার জন্য অন্দোলন করছিল কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই আন্দোলনটি দমন করেছে আইনশৃংখলা বাহিনীকে ব্যাবহার করে।শুধু তা-ই নয় তারা সরকারি ছাত্রদলকে ও ব্যাবহার করে অন্যদলের ছাত্রদের উপর অস্ত্র উঁচিয়ে যেভাবে আক্রমন করেছে এবং যা পত্রপত্রিকায় ঢালাওভাবে প্রকাশিত হয়েছে তার প্রত্তুত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন বিবৃতিও প্রকাশ করেনি।এতে কি ধরে নেয়া যায় না বিশ্ববিদ্যালয় নীরপেক্ষ নয়? কতৃত্ববাদি কোন সরকার কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর প্রভাব বিস্তার করে তা ভাবতে অবাক লাগে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে তাদের নিজস্ব প্রশাসন। এখানে আরো একটি ব্যাপার লক্ষ্যনীয়-যখন ক্যাম্পাসে কোন ঘটনা ঘটে যায় তখন সরাকরি দলের মন্ত্রীরা ঘটাও করে বলে দেন এ কাজটি বিরোধপ্রবরা করেছে যার কোন তদন্ত হয় নি।তারা জানলেন কি করে এটি জামাত করেছে বা বিএনপি করেছে? এ প্রবনতা প্রতিটি সরকারের সময়ে লক্ষ্য করা যায় যারা নিজেদের দোষ অন্যদের উপর চাপায়।এই অনৈতিক বিবৃতিগুলো আরো বেশি সহিংসতার সৃষ্টি করে।কয়েক বছর আগে ২১শে অগাষ্ট যে বোম্বব্লাস্ট টি হয়েছিল এবং ২৪ জন আওয়ামিলীগের নেতা কর্মী মারা গেল তখনকার সরকার বলেছিল শেখ হাসিনা তার বেনেটি বেগে করে বোমা নিয়ে এসেছে।এ রকম অযৌক্তিক কথা তারা বলে থাকে যার যের পোহাতে হয় এদেশের সাধারন মানুষকে।আসলে কোন অঘঠন ঘটে গেলে কি করা উচিত? ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তি যে দলেরই হোক তার বিচার করা ও শাস্তি বিধান করা।কিন্তু আজ পর্যন্ত দু/একটি ছাড়া কোন বিচার হয় নি।এই বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে এই কারনেই অপরাধ বেড়েই চলছে।যে ছাত্র সমাজের একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল তা আজ ম্লান হয়ে চলছে এবং অদূর ভবিষ্যতে কারা নেতৃত্ব দিবে? আজ যারা মাসলম্যান তারাই একদিন এমপি মন্ত্রী হবে ও সংসদে নেতৃত্ব দিবে। অনৈতিক এ সব সাংসদ তখন দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিবে।আজকে যে নতুন প্রজন্ম সাহাবাগ ছত্তরে দেশকে নতুনভাবে স্বাধীন করার যে ডাক দিচ্ছে তার কোন প্রয়োজন আছে কি? তাদের তো এখানে থাকার কথা নয়।তাদের কাজতো ছিল পড়ালেখা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ও উন্নততর গনতন্ত্রের চর্চা করা।তারা নিজেদের গড়ার কাজটি বাদ দিয়ে টাকা পয়সা রোজগারে নেমেছে ও তাদের সর্বনাশ করছে সেন্ট্রাল কতেক নেতৃবৃন্দ।ছাত্রদের যায়গা হলো ক্যাম্পাস।সেখানে তারা পড়ালেখা শিখবে ও রাজনীতি শিখবে।সেখানে কোন দলবাজি থাকবে না।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে তারা সেন্ট্রাল পলিটি্ক্সে যোগ দিবে এটাই স্বাভাবিক।যারা বলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ তাদের সাথে আমি একমত নই।ছাত্ররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি শিখবে।তাদের সাথে নেতৃবৃন্দের অংসংগঠন হিসেবে কোন যোগাযোগ থাকবে না।দেশে প্রতিটি সেক্টরে দলীয়করনের কারনে আজ রাজনীতির চরম দৈন্য দশা।গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কেউ রাজনীতি করেনা।দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কোন সরকার কাজ করেনা। সরকার বা বিরোধী দল যদি ছাত্রদের ব্যাবহার না করে তাহলে ছাত্ররা কলুষিত হবে কেমন করে? সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ব শাসনে।এখানে সরকারের কোন রকম হস্তক্ষেপ চলবে না।আর শিক্ষক রিক্রুট হবেন মেধার ভিত্তিতে তেমনি ছাত্র ও ভর্তি হবে মেধার ভিত্তিতে।কিন্তু আমরা দেখেছি,ভর্তীবানিজ্য এবং শিক্ষক নিয়োগে দলীয় করন।মেধাবী ছাত্র প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়েও তার নিয়োগ মিলেনি অথচ নিয়োগ দেয়া হয়েছে যে মেধা তালিকায় ১৮ বা ১৯। এই যে অনিয়ম করা হলো-এই অনৈতিকতার বীজ বপন করা হলো তা থেকে পরবর্তীতে অন্কুরিত হবে আগাছা।বিশ্ব বিদ্যালয়ে এই আগছা তৈরি হওয়ার কারনে সেখানে প্রকৃত মানুষের বাগান তৈরি হচ্ছে না।সরকার যদি সৎ হয় তাহলে ছাত্ররা রাস্তায় আন্দোলন করতে আসবে কেন? ছাত্রদের যায়গা হলো ক্যাম্পাসে।তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যলয়ের পক্ষ থেকে একটি নিয়মনীতি তৈরি করা উচিত যাতে তারা সরকার বা বিরোধীদলের সাথে সনদ নেয়ার আগে কোন লিংক তৈরি করতে না পারে।তাদের কাজ হলো সু-শিক্ষিত হয়ে জাতিগঠনে পরবর্তীতে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দেয়া। সরকার ও সব প্রতিষ্ঠান যদি গনতান্ত্রিক হয় তাহলে এখন যে ছাত্র রাজনীতি আছে তার দরকার হবে না।ছাত্ররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি শিখবে আর তা কাজে লাগাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ পাওয়ার পর।যারা বলে ছাত্রদের আন্দোলন করতে হবে আমি তাদের সাথেও একমত নই।কারন এ রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের সামনে এগিয়ে দিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে ও তাদের সর্বনাশ করে।তাদের পরিবারকে ধ্বংস করে ও ঝরে যায় অনেক মেধাবি ছাত্র। গত ৪৪ বছরে আমাদের কোন সরকার কেন দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারলোনা সে পর্যালোচনা তারা করেন না।তারা ক্ষমতায় এসে সম্পদ লুন্ঠন ও একে অপরের বিরুদ্ধে ব্লেম গেম খেলছেন ও এখনো খেলে চলছেন।সমস্ত দলগুলো উপজেলা থেকে শুরু করে সেন্টার পর্যন্ত ছাত্রদের দলে দলে বিভক্ত করে দেশে এক সংকট তৈরি করেছে। তার সাথে যোগ হয়েছে দলীয় বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন।ছাত্রদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করা হয়েছে তাদের সংসদকে ভেংগে দিয়ে।যদি ছাত্র সংসদ নির্বাচিত হতো তাহলে তারা প্রতিযোগিতা করতো, তারা পড়শুনায় নিজেদের নিয়োজিত করতো,ছাত্রদের কাছাকাছি যেতো ও একে অন্যের সাথে তাদের হৃদ্যতা তৈরি হতো।আমরা তাদের পেতাম এক একজন নক্ষত্র হিসেবে।
সমস্ত সন্ত্রাস বন্ধ করে ছাত্রদের গুনগত মান বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।আমাদের আগামী সন্তানদের ভবিষ্যতে যে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে তা থেকে উৎরানের জন্য আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। মাউসেতুং এর একটি বিখ্যাত উক্তি হলো-' Turn every adversity into opportunity' অর্থাৎ প্রতিটি দুর্যুগকে সুযুগে পরিনত কর।এই সুযুগ তৈরি করার দায়িত্ব সরকারের।প্রতিটি সরকার তার ক্ষমতাকে দখলে রাখার জন্য ছাত্রদের যে ব্যাবহার করে আসছে তা অচিরেই বন্ধ করতে হবে।প্রশাসন যদি নীরপেক্ষ হয় ও আইনের শাসন যদি বলবত করা হয় তাহলে ছাত্রদের হাতে কোন অস্ত্র যাবে না এবং ছাত্ররা তাদের পড়ালেখা ও জীবন গড়ে তোলার সব কর্মসূচি হাতে নিবে।শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো গবেষনামুলক কাজ করা ও ছাত্রদের প্রকৃত ছাত্র হিসেবে গড়ে তোলা।রাজনৈতিক নেতা, ছাত্র সমাজসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের নৈতিক চেতনাবোধ না বাড়লে আমাদের রাজনৈতিক গুনাগুন বৃদ্ধি পাবে না।ছাত্রদের অংগীকার করতে হবে আমরা কোন রকম অনৈতিক কাজে অংশগ্রহন করবো না।প্রত্যেকটি দলের সেন্ট্রাল লিডার থেকে তৃনমুল পর্যন্ত সহনশীলতা ও সহমর্মীতার সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।মতের পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু কোন রকম সহিংসতার দিকে না যাওয়ার মনবাসনা তৈরি করতে হবে।যদি সামগ্রিক এ বিষয়গুলো ছাত্ররা মেনে চলে এবং ক্যাম্পাসে নিয়মনীতির মধ্যে চলে তাহলে অতি অল্প সময়ে তারা উন্নতি করবে।আর সরকারের যে বিষয়টি করা জরুরি তা হলো শিক্ষা ব্যাবস্হাকে ঢেলে সাজানো এবং শিক্ষকদের মিনিমাম চাহিদাটুকু পূরন করা।শিক্ষকরা যদি তাদের জীবনযাত্রা নির্বাহ করতে না পারেন তাহলে গবেষনা করবেন কি করে? আমার জানা অনেক শিক্ষক বন্ধু জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়ে এখন এক একজন প্রফেসর কিন্তু পরিবার পালনে তারা শিকার হচ্ছেন জীবনযন্ত্রনায়।অথচ তাদের সাথে যার সরকারি কর্মকমিশনে যোগ দিয়েছেন তারা সম্পদশালী।কিভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন সে ভাবনাটা আপেক্ষিক কিন্তু তুলনা করলে তো শিক্ষক বন্ধুর ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার কথা। শিক্ষককে অবহেলিত করে জাতি গঠন কখনো সম্ভব হতে পারে না। তবে শিক্ষকরা রাজনীতির যে চোরাগলিতে ঢুকে পড়েছেন সেই পংকিল রাস্তা থেকে যদি বেরিয়ে না আসেন তাহলে ছাত্রদের যত শুভ্রতার আচ্ছাদনই দেন কেন প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৯১৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন