ভাল লেখক হতে হলে চাই - ভাল পাঠক।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৬:৪১:২৬ সন্ধ্যা

সেই ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ স্মরন করিয়ে দেয় অগ্রজ বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউরকে।ভাষা আন্দোলনে তারা রক্ত দিয়েছে যেন কেউ জন্মভূমির ভাষা কেড়ে নিতে না পারে।তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ বছর পর ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করলাম আমাদের স্বাধীনতা।ভাষা আন্দোলন থেকে আজ ৬৩ বছরে পা দিয়েছে কিন্তু মানুষ ভুলেনি তাদের।বছরে একটি মাস আসে ফেব্রুয়ারি এবং তার প্রতীক্ষায় থাকে লাখো মানুষ।তার পর স্তব্ধ হয়ে যায় মানুষের চেতনা।আশির দশকের গোড়ার দিকে কলকাতায় ইংরেজ আমলের আইসিএস অন্নদাশঙ্কর রায় যিনি বাংলা ভাষার অন্যতম একজন লেখক ছিলেন এবং তিনি একটা কথা বলেছিলেন, যে হারে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল, কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠছে, তাতে মূল বাংলা ভাষাটাই একদিন হুমকির মুখে পড়বে। অত্যন্ত বেদনার সাথে বলতে হয়, আমাদের এক শ্রেণির লোক দেশে গড়ে উঠেছে ,যারা বাংলাকে এড়িয়ে চলে, অবজ্ঞা করে।তারা এখন ছেলেমেয়েদের শিশুবয়সে কিন্ডারগার্টেনে পাঠান যাদের পিঠে থাকে বই এর বস্তা।যে শিশুটি এখনো নিজেকে বুঝে উঠতে শিখেনি সে কুঁজো হয়ে যায় বই এর চাপে।তার পর একটির পর একটি গৃহ শিক্ষক যেন কোন ফুরসৎ নেই তার।একটু চটপটে ইংলিশ বললে পিতামাতা যত খুশি হয়, প্রান্জল ভাষায় বাংলা বললে তাদের মন ভরে না।আমার মনে পড়ে কয়েক বছর পূর্বে জেদ্দায় ইংলিশ মিডিয়ামের চতুর্থ শ্রেনীর একটি শিশু অতিথিদের সামনে তার পিতাকে কোন একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছিল 'ইউ আর ভাষ্টার্ড'।সে ব্যাবসায়ি পিতাটি হেসেছিল বুঝে অথবা না বুঝে।আমাদের সমাজে ইংরেজি শিখার চরিত্রটি অনেকটা এরকমই। আমার অনেক বন্ধু বলেন যে, দাপ্তরিক কাজ চালাতে নাকি ইংরেজি যত স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন, বাংলায় তা পারেন না। জিজ্ঞেস করেছি- কারণ কী? জবাবে জানলাম, বাংলায় আকার, একার, হ্রস্ব-উ, দীর্ঘ-উ, য-ফলা, রেফ, হসন্ত ইত্যাদি এত সব আলতু-ফালতু জিনিস আছে যে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমি তাদের বলি , আসলে তোমাদের এ দেশে জন্ম নেওয়াটাই ভুল হয়েছে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় ফিরে এসেছিলেন বিপুল মনরোথ হয়ে। রবীন্দ্রনাথ ও 'গীতাঞ্জলি'র জন্য ডাব্লিউ বি ইয়েটসের সাহায্য নিয়েছিলেন।আমরা ইংরেজি ভুল লিখলে বা বললে যতটা লজ্জা পাই, মাতৃভাষাটা লিখতে বা বলতে ভুল করলে দোষ দিই ভাষাটার।মায়ের ভাষাকে হৃদয়ের গহীনে স্হান দিলে ভাব যেভাবে প্রসারিত করা যায় তা কি যায় অন্য কোন ভাষায়?

প্রতি বছর একুশের বই মেলা আসে আর দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর হয়

বইয়ের স্টল আর উপচেপড়া জনসমাগম দেখলে মনে হয় আমরা সবাই বইপ্রেমি।কিন্তু আমরা কি কোন পরিসংখ্যান নিয়েছি যে গত ৪৪ বছরে কতজন সু-পাঠক তৈরি হয়েছে? ১৬কোটি মানুষের মধ্যে কতজন সু-লেখক জন্ম নিয়েছে? এই উপছে পড়া ভিড়ে কতজন বই এর ক্রেতা? কতজন ভাল বই ক্রয় করতে পছন্দ করে? কতজন আছেন যারা বইয়ের বাছবিচার করতে পারেন? যারা বই ক্রয় করেন তাদের ৯০% তরুন তরুনী ও কুঁড়িরা।তাদের আত্মার পরিপুষ্টির জন্য কতজন লেখক বই রচনা করেন? যারা বই ক্রয় করেন তারা কি তুষ ঝেড়ে চাল বাচার মত অ-বই থেকে বই খুঁজে বের করতে সমর্থ হচ্ছেন? একজন মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু হলো বই।ভাল বন্ধু যেমন বন্ধুত্বের বাঁধনে উঁচু শিখরে নিয়ে যেতে পারে তেমনি খারাপ বন্ধু নিয়ে যেতে পারে পংকিলতা,ব্যাভিচার ও মাদকাসক্ততার গভীর অন্ধকার কূপে।একদিকে জ্গানবিতরন তার পশ্চাদে রয়েছে অসম্ভব নীতি গর্হিত কাজ যারা গড়ে উঠছে আমাদের আলোকিত বিদ্যাপিঠ থেকে।ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে যেসব যুবক যুবতি ব্যাভিচারে লিপ্ত হচ্ছে তার দায়টি কি কার? পরিবারের ,সমাজের ও রাষ্ট্রের নয় কি? সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর,পার্ক ,হোটেল ,মোটেল ও বিনোদনকেন্দ্র ও বই মেলায় যে সমস্ত অবিবাহিত জুটি হাত ধরে ঘুরে বেড়ায় বা সাক্ষাতকার দেয় এটি কি একটি সভ্য সমাজের সংস্কৃতি? আমরা কি আমাদের সংস্কৃতিকে অপসংস্কৃতিকে রুপান্তর করছি? রাষ্ট্র যখন কোন দায় নিচ্ছে না তখন আমরা পিতামাতারা কি আমাদের স্বার্থে কিছু দায় নিতে পারি না? আমার সন্তানকে আমি নৈতিক মনোবল দিয়ে গড়ে তুলছি কিনা? নিজ নিজ ধর্মীয় দিকগুলো তার কাছে তুলে ধরছি কিনা? ভাল ও মন্দের ফারাকগুলো দিয়ে তার মরালিটিকে উন্নয়ন করছি কিনা? কোথায় সে যাচ্ছে,ভাল বন্ধুর সাথে চলছে কিনা? এ রকম হাজারো করনীয় রয়েছে পিতামাতার।প্রচেষ্টার পর যদি কেউ খারাপ হয়ে যায় তাহলে ভাবতে হবে তাকদিরের কারনে বিপর্যয় এসেছে।

যারা ফেব্রুয়ারি আসলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক'টি চরনকে বিকৃত করে ভালবাসার পরম পরাকাষ্ঠা দেখাতে চান ব্যাভিচারের মাধ্যমে আসলে তিনি কি তার কথাগুলোতে তাই করতে বলেছেন? তার কথায় 'ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়/তটিনী হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়/পিক কিবা কুন্জে কুন্জে কুহু কুহু কুহু গায়/কিজানি কিসেরি লাগি প্রান করে হায় হায়!' মানুষ মানুষকে ভালবাসবে কিভাবে?ভালবাসার ভাল দিক ছাড়া তো আমি খারাপ দিক আছে বলে মনে করিনা? আমরা ভাল বই কিভাবে পছন্দ করি?বই ক্রয়ের আগে আমরা দেখি সেই লেখককে।তিনি যোগ্য লেখক কিনা।তার অতীত কেমন।সমাজে তিনি কেমন লেখক হিসেবে বেড়ে উঠেছেন।তার লেখায় মানুষের কল্যানের জন্য কিছু আছে কিনা ইত্যাদি।তারপর বইটি ক্রয় করে পড়ে সযত্নে রেখে দেই এবং অন্যদের প্ররোচিত করি যেন তারাও জ্গান অর্জন করে।এটি হলো বই এর প্রতি ভালবাসা।আমরা এটিকে পড়ার পর ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেই না।কিন্তু বছরে একটি দিন ভালবাসার নাম করে লাখ লাখ তরুন তরুনী যে অনৈতিকতা ও ব্যাভিচারে লিপ্ত হয় তার ঘানি পরবর্তীতে শুধু তারাই টানে টানে না ,পরিবার ও সমাজকে টেনে নিয়ে যায় এক অদ্ভুত অন্ধকার জগতে। কিজানি কিসেরি লাগি প্রান করে হায় হায়! কথাটির অর্থ কি তরুন তরুনীরা বুঝে, অবুঝ ও অবৈধ ভালবাসা? এই ভালবাসাগুলোর ৯৫% জুটির বিয়ে হয় না।একটি ছেলের হারাবার কিছু নেই।যদি কোন অঘটন ঘটে হয়ত তার কিছু দন্ড হবে।কিন্তু যে মেয়েটি তার ইজ্জত হারালো বা অন্তসত্বা হয়ে পড়লো তাকে বয়ে বেড়াতে হয় গ্লানি নিয়ে সারা জীবন।আবার অন্যত্র বিয়ে হলে পূর্বসূত্র স্বামী জেনে গেলে দুর্বিষহ জীবনের অধ্যায় তার শুরু হয়।সুতরাং সুন্দর একটি বই মেলার পশ্চাতে উদ্যানে যে কু-সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে প্রশাসনের নাকের ডগায় তার অবসান হওয়া জরুরি।

শুরু করেছিলাম প্রানবন্ত বইমেলা নিয়ে। বইমেলায় সবচেয়ে বেশি আসে তরুণরা, কিন্তু সংশয় আমার একশ ভাগ, তাদের মধ্যে কতজন সত্যিকার অর্থে বইয়ের পার্থক্য করতে পারে।প্রায় ১০০ ছাত্র/ছাত্রীর একটি পরিসংখ্যান নিয়েছি বাস্তবে,টেলিফোনে,ইমেইল ও চ্যাটিংএ।এই তরুনদের সিংহভাগ বই পড়ে রোমান্টিক ও প্রেমগঠিত বই,সামান্য কিছু বিজ্গান,সাহিত্য ও ইতিহাস ভিত্তিক বই,আর ধর্মীয় নৈতিকতা সম্পন্ন বই পড়ে মাত্র ৬% এর মত।আর এখন আর একটি আকাল হলো ভাল লেখদের বিশ্মৃত হওয়া।অর্থনীতিতে একটি কথা আছে,'বাজারে যখন মন্দ মুদ্রার আবির্ভাব হয় তখন ভাল মুদ্রা আপনাতেই উবে যায়।' সমাজে এখন আগের তুলনায় লেখক সৃষ্টি হয়েছে ,পাঠক সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু নৈতিক মান গড়ে উঠে নি এবং সে মানটি গড়ে তোলার জন্য পুষ্টিকর খাদ্যরুপি যে সাহিত্য রচনা তা গড়ে উঠছে না।এর কারন হলো আমাদের সাহিত্যিকরা আজ আয় রোজগারের বিভিন্ন বাঁকমোড়ে অবস্হান করছেন।জীবনের তাড়নায় রুজি রোজগারকে প্রাধান্য দিয়ে তরুনদের হাতে তুলে দিচ্ছেন অপুষ্টি যা গলাধকরন করে গিলছে কিন্তু পরক্ষনেই সে পাঠকগন কেন্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। বইমেলা বছরের পর বছর ধরে 'প্রকৃত পাঠক' না একদল 'হুজুগে পাঠক' তৈরি করছে তার হিসাব কষা জরুরি হয়ে পড়েছে।প্রকাশনীর একটি বড় দায়িত্ব রয়েছে বইটি ছাপাবার ক্ষেত্রে।অনেক অপরিনামদর্শী লেখক এখন টাকা হলে বই ছাপাচ্ছেন।প্রকাশনী এখন বাচ বিচার করছে না আয় রোজগার করার ধান্দায়।তরুনরা বাছ বিচার না করে বাসায় ফিরে উত্তেজক মলাট উল্টায়, বিছানায় শুয়ে গোগ্রাসে বই গেলে, আর রাতের পর রাত জেগে পড়ে প্রেমের উপাখ্যান।সুপ্ত এ প্রানগুলোতে যখন ভালবাসার একটি দেশলাইয়ের আগুন জ্বেলে দেয়া হয় তখন তারা ফেস বুকে বসে যায় বা ক্যাম্পাসে খুঁজতে থাকে হৃদয়ের জ্বালা মেটাবার বাহন। ভুলে গেলে ভুল হবে যে, ভিড় কিন্তু ভিড়ের রুচিই তৈরি করে। স্বতন্ত্র রুচি তৈরির সুযোগ সেখানে কোথায়? আবার এটাও তো কোনো সুস্থ লক্ষণ নয় যে, বই প্রকাশনা নির্ভর হয়ে পড়েছে একান্তই একুশের বইমেলার ওপর; কেননা আমাদের উচিত কেবল মেলা নয়, সারা বছর ধরেই এমন উদ্যোগ নেওয়া যাতে নতুন প্রজন্ম নৈতিকতা সম্পন্ন বই পাঠে সত্যিকারের যে আনন্দ সেই স্বাদ নিতে সক্ষম হয়ে ওঠে।রুচি মানেই ভাল বই নির্বাচন করা। নির্বাচন কেবল পাঠকের বই কেনায় নয়, সবচেয়ে জরুরি বই প্রকাশের নির্বাচন। বাছবিচার এখানে অনপনেয়। নইলে নিম্নমানের বাজারিতে বইমেলা ছেয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। নতুন প্রজন্মেকে বাঁচাতে চাই - বইমেলা কেবল মুনাফামুখীনতায় যেন পর্যবসিত না হয়। তথাকথিত বিশ্বায়নের দোহাই পেড়ে বই প্রকাশ আর বইমেলা স্রেফ বাজারিপনায় যেন আটকে না যায়। বই পণ্য মানি, সাবান পণ্য এও মানি, কিন্তু গোল বাঁধে যদি এ দু'য়ে পার্থক্য করতে না পারি। সাবান ক্রেতা কেবল সাবানই কেনে, বইয়ের ক্রেতা বইয়ের সঙ্গে মতাদর্শ, ভাষা আর রুচিও ক্রয় করেন। সনাতনী ভাবনাকে বদলে দিয়ে নতুন ছাঁচে বই প্রকাশ ও তার বারতা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায় কিন্তু আমরা তাই এড়াতে পারি না। বইমেলার মাধ্যমে জাতির সভ্যতা, সৃজনশীলতা, বুদ্ধিবৃত্তি ও রুচির পরিচয় তুলে ধরার যে সুযোগ প্রতি বছর আসে আমাদের উচিত হবে তার যথার্থ ব্যবহার করা।

নতুন প্রজন্ম সব সমাজেই জীবন ঘনিষ্ঠতা, সৃষ্টিশীলতা আর দ্রোহের স্ফুরণ ঘটায়। বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক রুচি যেন থাকে বই প্রকাশে- প্রজন্মের প্রত্যাশাও থাকে তাই। গ্রন্থমেলার কাছে তরুণদের আকাঙ্ক্ষা এটি তাদের রুচি নির্মাণে ভূমিকা রাখবে, তুষ-চালের বাছবিচারে সক্ষম করে তুলবে, নতুন ও উন্নত চিন্তার সঙ্গে মেলায় আসা পাঠকদের মেলবন্ধন ঘটাবে। বইমেলা নতুন প্রজন্মের বইপ্রেমীদের তীর্থক্ষেত্র; এদের অনেকে বছরের বাকি এগারো মাস চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করে একুশের এই মেলাটির জন্য! দেশে-বিদেশে কত মেলা হয়, না মন ভরে না; কত পানি কিন্তু চাতকের চাই মেঘের জল, কত মেলা কিন্তু এদের চাই একুশের মেলা।সাইবেরিয়া থেকে প্রতি শীতে পরিযায়ী পাখিরা আসে; অনেকে পৃথীবীর অন্য প্রান্ত থেকে একুশের টানে ছুটে আসে যেমন- বার্লিন, সিডনি, নিউইয়র্ক কিংবা বিলেত থেকে ঠিক এ সময়ে পরিযায়ী পাখির মতো বাংলাদেশে ছুটে আসেন কেবল বইমেলার টানে! কী অদ্ভুত সুন্দর এই প্রাণের টান, ভাবলেই অবাক লাগে। কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার-পাউন্ড-ইউরো খরচ করে হাজার মাইল দূর থেকে প্রতি বছর প্রবাসী বাঙালিরা ছুটে আসেন বইমেলার ভিড়ে নিজেকে শামিল করতে, এই আতম্ভর আশায় যে, তারা যেন এ মিলনমেলা থেকে বাদ না যান; দূরে থাকলেও তিনিও যে এই সংস্কৃতির একজন গর্বিত উত্তরাধিকার মেলায় এসে তার জানান দিতে চান। এভাবেই বইমেলা দেশি-প্রবাসী লাখো পাঠকের মনোজগতে শুভ অভিঘাতের সৃষ্টি করে চলেছে। তাই মেলায় থাকতে হবে নানা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ পাঠযোগ্য বৈচিত্র্যময় বই।অশ্লিল মনোবিকাশ না করে উৎসাহ দিতে হবে নতুন লেখকদের। ভাল লেখক হতে হলে চাই - ভাল পাঠক।বইমেলাকে তাই পাঠকবান্ধব না হয়ে উপায় নেই। বইমেলা কেবল বই কেনার নয়, বই দেখার বই শোকার, বই ছোঁয়ার মেলা। পাঠক যেন নিশ্চিন্তে মেলার পবিত্র আঙ্গিনায় ঘুরে বেড়াতে পারেন। প্রকাশক যেন পছন্দসই স্পেস পান। মুক্ত চিন্তার মেলা যেন সব অর্থেই মুক্ত হয়। সবার মতামত নিয়ে মেলার পরিসরকে আর সৃষ্টিশীল আরও আকর্ষণীয় করে নির্মাণের প্রয়াস নিতে হবে। প্রতিবছর মেলার আদল যেন একরকম না হয়; একঘেয়ে বিন্যাস থেকে বইমেলাকে তাই বেরিয়ে আসতে হবে। অন্দরমহল আর বহিরাঙ্গে প্রতিবছরই নতুনত্ব আর বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগ নিতে হবে, নান্দনিক বিবেচনাকে উপরে ঠাঁই দিতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File