আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদা সম্পর্কে বিভ্রান্তি কেন? আজকের মুসলমানদের।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০২:৪৮:৪১ দুপুর

আল্লাহ পাকের সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলো মানুষ বা যাদের বল হয় 'আশরাফুল মাখলুকাত'।সেরা মানুষের কাজ হলো সেরা কাজটি করা।পৃথিবীর আদি মানব মানবী হলো আমাদের আদি পিতা আদম আ; এবং মা হাওয়া আ:।সে থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের বিস্তার।আল্লাহ পাক মনুষকে শুধু সৃষ্টিই করেন নি ,তাদের জন্য সব ব্যাবস্হাপনা করে দিয়েছেন এবং যুগে মানুষের কল্যানের জন্য ও সৎ পথে পরিচালিত করার জন্য গাইড হিসেবে নবী রসুল পাঠিয়েছেন।আসমানি কিতাব পাঠিয়েছেন ও নবী রসুলগন তাদের শরিয়তের মাধ্যমে মানুষকে সংশোধনের চেষ্টা করেছেন।শেষ নবী ও রসুল মোহাম্মদ সা: সারা জাহানের মানুষের রসুল এবং বিশেষ করে কেয়ামত পর্যন্ত যত মুসলিম দুনিয়াতে আসবে তাদের রসুল।আমার হাতের লিখা অনেক পূর্বের একটি টপিক " রসুল সা: এর উম্মতের গন্তব্য" পড়ে একজন পাঠক কিছু মন্তব্য ও প্রশ্ন করেছেন।আশা করি ইসলামের আলোকে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো এ বিষয়ে।প্রথমত আমাদের বুঝতে হবে আমরা আক্কিদার দিক থেকে ইসলামের অনুসারি মুসলিম কিনা? একজন মুসলিম হলো যিনি ইসলামের সঠিক আনুগত্য করেন।আর সঠিক আনুগত্য হলো আলকুরআন ও আহলে সুন্নাহ আল জামাতকে অনুসরন করা।আর একটি জিনিস পরিষ্কার হওয়ার দরকার আর তা হলো-আল্লাহ পাক মানুষের পথকে ভাল ও মন্দের উপদেশ দিয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছেন।দ্বীন অনুসরন করার ক্ষেত্রে মানুষ মুল সোর্সটি অনুসরন করে তার দ্বীনি কাজ করবে।সুরা আল মুলকের ২ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'আমি মওত ও হায়াত সৃষ্টি করেছি যেন পরীক্ষা করতে পারি কার আমল কত সুন্দর।' আল্লাহ পাক দুনিয়া ও আখেরাত কেন সৃষ্টি করলেন? তিনি মানুষের অতীত ,বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে জানেন।তিনি এও জানেন কে জান্নাতে যাবে ও কে জাহান্নামে যাবে।জান্নাতিদের যখন জান্নাতে পুরে দিতেন তারা কোন প্রশ্ন করতো না কারন সেটি আরামের যায়গা।যখন জাহান্নামিদের জাহান্নামে দিতেন তখন তারা বলতো আল্লাহ আমরা দুনিয়ায় ভাল কাজ করতাম।এই কারনে তিনি দুনিয়ায় একটি পরীক্ষার জীবন দান করলেন যাতে তাদের কর্মের দ্বারা পরীক্ষা করতে পারেন।আদম আ:কে সৃষ্টি করে তার পৃষ্ঠদেশ থেকে সমস্ত মানুষের রুহকে সৃষ্টি করে প্রশ্ন করেছেন আমি কি তোমাদের রব? মানুষ উত্তর দিয়েছিল - হাঁ তুমিই আমাদের রব।কিন্তু মানুষ দুনিয়ায় প্রবেশ করে ভুলে গেল আর এটাই স্বাভাবিক।সুরা ইসরার ১৫ আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন,'আমরা শাস্তি দাতা নই যে পর্যন্ত না আমরা কোন রসুল পাঠিয়েছি।' সুতরাং মানুষের কর্তব্য হলো রসুলকে অনুসরন করা।তিনি যা দিয়েছেন তা গ্রহন করা আর যা বর্জন করতে বলেছেন তা বর্জন করা।দ্বীনের নামে কোন কিছু সৃষ্টি করা যাবে না।আল্লাহ পাক কেয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির জন্য যা কিছু দরকার পরিপূর্ন করে দিয়েছেন।মানুষকে তার বিবেক দেয়া হয়েছে সেই বিবেক খরচ করে কাজ করতে হবে।আলকুরআন ও ছহি সুন্নায় যা আছে তা-ই মেনে চলতে হবে।এটিই সালফে সালেফিনদের মত।

সূরা আত্ তাওবার ১০০ আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন,'মুহাজিরদের ও আনসারদের মধ্যের অগ্রবর্তীরা -প্রাথমিকরা আর যারা তাদের অনুসরন করেছিল কল্যান কর্মের সাথে-আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট আর তারা ও সন্তুষ্ট আল্লাহর উপর।' আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদা একটি বড় বিষয় যা অল্প কথায় প্রকাশ করা যায় না তবে মৌলিক বিষয় যা জানার দরকার তা সবারই জেনে নিতে হবে।সেজন্য মোটামুটি বিশ্লেষিত আকারে মুল বিষয়টি জানিয়ে দেয়া মনে করছি।আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে আহলে সুন্নাহ কাকে বলে ও আল জামাআ কাকে বলে।যতক্ষন পর্যন্ত এর মৌলিক ব্যাখ্যা না জানা হবে ততক্ষন দ্বীন সম্পর্কে অজ্গই থাকতে হবে।পৃথিবীতে এখন যারা আহলে সুন্নাহ দাবি করে ও ইসলামের কাজ করে তাদের জানতে হলে আসল আহলে সুন্নাহ আল জামআর প্রকৃতি কি ,তারা কারা ছিল ,তারা কি অনুসরন করতেন ,কিভাবে ইবাদত করতেন তা আমাদের জানতে হবে।আহাল শব্দটি একটি আরবি শব্দ।সুন্নাহ শব্দটিও আরবি শব্দ এবং জামাত শব্দটিও আরবি শব্দ এবং আক্কিদাও আরবি শব্দ।আহাল অর্থ পরিবার,বংশ এবং বিশিষ্ট ও হয়।আহলে সুন্নাহ হলো - সুন্নত ওয়ালা বা যাদের কাছে সুন্নত আছে।সুন্নতের শাব্দিক অর্থ হলো রাস্তা বা পথ বা আদর্শ বা ত্বরিকা।এই যে সুন্নতের কথা বলা হলো তাহলো রাসুল সা: এর সুন্নত যারা রাসুল সা; এর আদর্শ কে মেনে চলে।যাদের বিশ্বাসে ,কর্মে ও আমলে রাসুল সা: এর পথ রয়েছে তারাই আহলে আল সুন্নাহের পথে আছে। জামাত হলো দল।আর এই জামাত বলা হয়েছে ইসলামের প্রথম জামাতকে যাদের রাসুল সা; তার নিজ হাতে গড়েছিলেন।এটি কোন মানুষের তৈরি জামাত নয়। নবী রসূল ছাড়া যদি কোন মানুষের দ্বারা দল তৈরি হয় তখন সেখানে বিভ্রান্তির সম্ভাবনা রয়েছে।কারন নবী রসুল কোন কাজই করেন নি আল্লাহ পাকের অনুমোদন ছাড়া।তাহলে আমরা যখন আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কথা বলবো তখন প্রথম সারিতে আসবে সাহাবিগন।তাদের ইসলামে যদি কোন ক্রুটি থাকে তাহলে বলতে হবে আর ইসলাম নেই এটি একটি সহজ কথা।আমরা যেমন দিনকে সূর্য দেখে বিশ্বাস করি তেমনিই দ্বীনের ক্ষেত্রে আমাদের সামনে সাহাবাগন।তারা জীবনের সর্বক্ষেত্রে সৎ পথে ছিলেন এবং তাদের তৈরি করেছিলেন স্বয়ং রসুল সা:।দ্বিতীয় সারির মানুষ তাবেঈন ও তৃতীয় সারির মানুষ তাবা-তাবেঈন যাদের সম্পর্কে রসুল সা: বলেছেন,'সর্বোত্তম যুগের মানুষ আমার যুগের মানুষেরা(সাহাবিগন) তার পর ঐ লোকেরা যারা তাদের(সাহাবাদের) পরে পরে আসবে ও তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন অর্থাৎ (তাবেঈন), তার পরের লোকেরা যাদের সাথে এক বা একাধিক তাবেঈর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে অর্থাৎ( তাবা - তাবেঈন)।এর পর যে যুগ আসবে, সে যুগগুলো সম্বন্ধে বলেছেন জীবনের সর্বক্ষেত্রে মিথ্যার ছাড়াছড়ি থাকবে।আজকে যে ধর্মের নামে হাজারো দল পৃথিবীতে তৈরি হয়েছে তারই ভবিষ্যৎ বানি রাসুল সা; করেছেন।আবু দাউদের হাদিসে রসুল সা: বলেছেন,'ইহুদি হবে ৭১ দলে বিভক্ত,খৃষ্টান হবে ৭২ দলে ও আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত।সবাই জাহান্নামে যাবে একমাত্র আমার উম্মতের একটি দল ছাড়া।' সে দলের তিনি নাম দিয়ে যান নি।তবে তিনি বলেছেন যারা কেয়ামত পর্যন্ত আমার সুন্নাহের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।

উপরে বর্নীত আয়াতটি যা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে প্রথম সারির সাহাবাদের কথা বলা হয়েছে এবং যারা পরবর্তীকালে সাহাবাদের ইখলাসের সাথে অনুসরন করেছেন তারাই আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদার অনুসারি।এই শর্তটি পূরন না করলে আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদার অনুসারি হবে না।তাবেঈ বা তাবা -তাবেঈদের যুগে অল্পসংখ্যক মুসলমান যাদের দ্বারা বড় বড় পাপ হয়েছে বা জুলুম হয়েছে এবং বিদাআত ও হয়েছে তারা আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদার বাইরে।তাহলে বুঝতে হবে এর পর কেয়ামত পর্যন্ত যারা আসবে তারা যদি নিষ্ঠার সাথে প্রথম যুগের ঈমানদারদের অনুসরন না করে তাহলে তারা এই জামাতের বাইরে।আক্কিদার শাব্দিক অর্থ হলো-গ্রন্হি বা গিরা।যেমন সূরা ফালাক্কের ৪ আয়াতে বলা হয়েছে,'গাঁথনীতে ফুৎকারকারিনীদের অনিষ্ট থেকে।' আমরা বিবাহ সাদিকে 'আক্কদে নিকাহ' বলি যার অর্থ হলো বিবাহ বন্ধন।ফিখহ এর ভাষায় আর একটি চুক্তি হলো কেনা বেচার চুক্তি।একজন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কেনা বেচার চুক্তি হয়।যখন কোন চুক্তি হয় এটি একটি পাকা চুক্তি এ থেকে বের হওয়া যায় না।যদি কোন পুরুষের সাথে আর একজন মহিলার বিবাহের চুক্তি হয়ে যায় তখন ইচ্ছে করলেই বের হওয়া যায় না একমাত্র তালাক্ক ছাড়া।ঈমানের বিষয়গুলোকে এজন্য আক্কিদা বলা হয়েছে এজন্য যে এগুলো গিরার মত শক্ত জিনিস যা থেকে বের হওয়া কঠিন।আক্কিদা এমন জিনিস যা মগজে ঢুকে গেলে তা হতে বের হওয়া খুবই কঠিন যদিও ভুল বিশ্বাসে আছে।এইজন্য আক্কিদাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।১-বিশুদ্ধ বা সঠিক আক্কিদা ২-ভ্রান্ত বিশ্বাস।আজকে সারা বিশ্বে দুই শ্রেনীর মানুষ আছে যারা সঠিক বিশ্বাস রাখে ও ভ্রান্ত বিশ্বাস রাখে।মুসলিম সমাজেও এভাবে যখন বিদাআত বা কুসংস্কার ঢুকা শুরু হয়েছে তখন বহু জন্মগত মুসলিম তারা ভ্রান্ত আক্কিদার শিকার হয়েছে।তাদের মধ্যে দু'রকম আক্কিদা দেখতে পাওয়া যায় যাদের সঠিক বিশ্বাস আছে যাদের দ্বীন থেকে ছুটানো যায় না আর কতেক মুসলিম আছে যার বাঁধন লেগে গেছে কিন্তু সে বাঁধন ভুল বিশ্বাসে বাঁধন যাতে রয়েছে শির্ক,কুফরি ও বিদাআতি বিশ্বাস।এরা ইসলাম থেকে বহিস্কৃত যদিও তাদের জানা নেই।তাদের যতই কুরআন ও হাদিসের কথা বলা হয় তারা বলবে আমাদের এত বড় বড় আলেমরা জানেন না কি করে ইবাদত করতে হয়।এত বড় বড় হুজুর বা পির সাহেবরা আছেন তারা কি বুঝেননা এ সমস্ত অজুহাত তারা দাঁড় করায়। এর কারন হলো তার ঈমানে ভ্রান্ত গিরা লেগে আছে যা ছাড়ানো মুশকিল।আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদা হলো বিশুদ্ধ আক্কিদা।তাদের ছহি আক্কিদা আল্লাহ, তাঁর রসুল,সমস্ত কিতাব, সমস্ত নবী রসুল,অগনিত ফেরেস্তা, পরকাল,ঈমানের প্রতিটি অংগ,আল্লাহর আকত্ববাদ ,আল্লাহর সিফাত,সমস্ত ইবাদত ও শরিয়তের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে তাদের ছহি আক্কিদা রয়েছে।যাদের এই সমস্ত খাঁটি আক্কিদা নেই তারাই বাতেল আক্কিদার অনুসারি এবং তারা আহলে সুন্নাহ আল জামাত নয় যদিও তারা এই নামটি নিজের জন্য বেচে নিয়ে থাকে।

আহলে সুন্নাহ আল জামাত সম্পর্কে মুহাদ্দেছিনদের মত রয়েছে।এ ব্যাপারে রসুল সা: বলেছেন, আমার উম্মতের একটি দল সত্যের উপর জয়ী থাকবে তাদের যারা অপদস্ত বা লান্চিত করতে চাইবে তাদের কিছুই করতে পারবে না কেয়ামত পর্যন্ত।' এখানে ক্ষতি বা লান্চিত করতে পারবে না কথার অর্থ হলো-তাদের ঈমানের ক্ষতি করতে পারবে না ও তাদের ইসলামের ছহি আক্কিদা থেকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।অন্য সব করতে পারবে যেমন-তাদের শহীদ করতে পারবে,সম্পদ ধ্বংস,জেল জুলুম এসব করতে পারবে।রসুল সা: কে মাতৃভূমি থেকে নির্বাসিত হতে হয়েছে,তায়েফে রক্ত ঝরাতে হয়েছে এবং ওহুদে দন্দন শহীদ করতে হয়েছে।হামজা রা: সহ অসংখ্য সাহাবীদের শহীদ হতে হয়েছে।তৌহিদ বাদিদের কবর পূজারি বানাতে পারবে না,সুন্নতের অনুসারিদের বিদাআতি বানাতে পারবে না।নামাজিদের বেনামাজি বানাতে পারবে না।যারা আল্লাহর দ্বীনের উপর অটল রয়েছে তাদের সেখান থেকে সরাতে পারবে না ।যারা পর্দাসীন তাদের পর্দা থেকে জুলুম করেও বিরত করতে পারবেনা।সারা পৃথিবীতে মুসলিম নারিদের এখন মানবতার নামে,বিভিন্ন সংগঠনের নামে রাস্তায় নামিয়েছে।কিন্তু রসুল সা: ঈমানি যে দলের কথা বলেছেন তারা কেয়ামত পর্যন্ত সমস্ত ভয়ভীতির মধ্যে তাদের ঈমানকে বাঁচিয়ে রাখবে।কাফের দেশগুলোতে যে সমস্ত মুসলিম বাস করছে তারা কি প্রতিকুলতার মধ্যে তাদের ঈমান বাঁচিয়ে রাখছে না।রাসুল সা: স্পষ্ট ইসলামের কোন দলের কথা উল্লেখ করেন নি আবুদাউদের হাদিসে শুধু বলেছেন আমার উম্মতের একটি দল জান্নাতে যাবে।যদি তিনি এই নাম বলতেন তাহলে সবাই এই নামটি নিয়ে নিত।এই নামটি তখন পিরতন্ত্রিরাও নিত,চিশতি,ক্কাদেরিয়া,মুজাদ্দেদিরা,তাবলিগে জামাত,জামাতে ইসলাম এবং আরো বিভিন্ন তরিকতের যারা আছে তারাই নেয়ার চেষ্টা করতো এমনকি সেকুলার ও জাতীয়তাবাদিরাও নেয়ার চেষ্টা করতো কারন তারাওতো মুসলমান।এই কারনে রসুল সা: নামটি উল্লেখ করেন নি।তিনি পরিচয় বা লক্ষন বাতিয়ে দিয়েছেন।সাহবায়েকরাম জিজ্গাসা করলেন,এই যে একটি দল জান্নাতে যাবে তারা কারা? রসুল সা: বললেন,'আজকের যুগে আমার জীবদ্দশায় আমি যে আদর্শের উপর টিকে আছি এর উপর যারা কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে এবং আমার সাহবাদের আদর্শের উপর যারা কায়েম থাকবে তারা।' এখানে পরিস্কার হয়ে গেল তিনি তার সুন্নতের উপর থাকার কথা ব্যাক্ত করেছেন এবং তার সাহাবাদের সুন্নতের উপর থাকতে বলেছেন সেই পথেই উম্মতকে থাকতে হবে। উলামারা এখান থেকেই আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কথা বলেছেন কিন্তু রসুল সা: আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কথা বলেন নি।রসুল সা: এর জীবন আলেখ্য খুব কম মুসলমাদের পড়া আছে।তিনি তার দৈনন্দিন কাজগুলো কিভাবে করতেন তা না জানার কারনে মুসলমানরা অদ্ভুত প্রশ্ন করে থাকে।এখন যে বড় পীর আর তার হাজার হাজার মুরিদের কথা শুনা যায়,বা কোন নেতার হাজার মুরিদের কথা শুনা যায় ,আর আজ যে হাজার হাজার তরিকতের কথা শুনা যায় ও মানুষ পালন করে তা কি রসুল সা: করে দিয়ে গেছেন বা সাহাবারা তাদের জীবদ্দশায় ইসলামকে বিভক্ত করেছিলেন কিনা।সাহাবায়েকরাম ও যুগ যুগ ধরে মুহাদ্দেসিন ও সুন্নাহের উলামাদের সম্বল ছিল আলকুরআন ও হাদিস গ্রন্হ।এর বাইরে তারা কোন কিছুই আমল করতেন না।যদি মানুষের তৈরি এমন কোন কিতাব থাকে এবং তার তথ্য যদি কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক হয় তাহলে সেগুলো পরীক্ষা করে আমল করতে হবে।তবে এটি কোন জরুরি বিষয় নয় যে কারো কিতাব পড়তেই হবে।মানুষের জ্গান বৃদ্ধির জন্য মনিসীদের বই পড়তে হবে এবং যদি সেখানে কুরআন হাদিস বা মানব কল্যানের জন্য ভাল কিছু থাকে তা গ্রহন করা যেতে পারে।আর যদি কোন বই বা কিতাব মানব কল্যানের বিপরীত হয় বা শির্ক বিদাআতযুক্ত হয় তাহলে সেগুলোর ব্যাপারে মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে।এটি ঈমানি একটি দায়িত্ব।রুসুল সা: এর ইন্তেকালের পর ১১০ হি;তে শেষ সাহাবী ইন্তেকাল করেন।ঐ সময়ে ইসলামের আজকের যে এত দল বা ত্বরিকা তা কি ছিল? তাহলে কেন মানুষকে বিভক্ত করা হলো? সুরা আনআম ১৫৯ ও সুরা আর রোম ৩২ আয়াতে মুসলিমদের এই বিভক্তির কথা জেনেও উম্মাহকে বিভক্ত করার কারন কি? এখান থেকে আমাদের উত্তর খুঁজতে হবে।কুরআন ও হাদিস ছেড়ে দিয়ে অজিফা,ফাযায়েলের কিতাব সমুহ বা বায়াত গ্রহনের জন্য কুরআন হাদিস ছেড়ে দিয়ে দলের নেতাদের বই পড়ে সদস্য হওয়া এগুলো কি প্রাচীন ইসলাম শিখিয়েছে? চিল্লা দেয়া ,বিভিন্ন দলগত বিদআতি বৈঠক করা যা রসুল সা: বা সাহাবাদের সময় ছিল না।এগুলো দলীয় পরিচালনাবিধি যা দলগুলো করেছে এবং এগুলো মানুষের তৈরি তাদের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। যদি উম্মতের জন্য দরকার হতো রসুল সা: নিশ্চই তার হাদিসে নির্দেশনা দিয়ে যেতেন বা এ পথগুলো আমাদের দেখিয়ে যেতেন।জান্নাতি একটি দল কোন ফেরকার দল নয় একমাত্র রসুল সা: ও তার সাহাবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত দল।এটি প্রভাতের সূর্যের আলোর মত দেখা যায়, অন্য আলোর দরকার নেই।উম্মত রসুলের ও তার সাহাবাদের জীবন চর্চা করার পরিবর্তে চর্চা করছে বাতেলের এইজন্য তারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন ও বিকৃত প্রশ্নের অবতারনা করছেন।প্রতিটি পরিবার নিজেদের জীবনকে ইসলামের মৌলিক উপাদান গুলো দিয়ে প্রতিষ্ঠিত নয়।হারাম হালালের সীমারেখা নেই,ব্যাভিচারে আপাদমস্তক ভরপুর,আদল ও ইনসাফ নেই ব্যাক্তি জীবনে,ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত, তাদের দ্বারা ইসলাম কি করে কায়েম হবে? অথচ আল্লাহ পাক সুরা নুরের ৫৫ আয়াতে মু'মিনদের সাথে ওয়াদা করেছেন শাসন ক্ষমতা দেয়ার জন্য এভাবে,তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছ ও সৎ কাজ করেছ--- এবং আয়াতের শেষ দিকে শর্ত দিয়েছেন ,'তারা আমারই ইবাদত করবে এবং আমার সংগে কাউকে শরীক করবে না।' আমাদের জীবনের ইবাদতের পরতে পরতে শির্ক ও বিদাআত যা আমরা অনেকে দেখতে পাইনা অথচ আমরা বড় বড় চিন্তা করি।

নাজাত প্রাপ্ত দলটি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল (র)কে।তিনি বলেছেন তারা যদি হাদিসের অনুসারি না হয় তাহলে আমি জানি না যে পৃথিবীতে কোন মুসলিম আছে তারা নাজাত প্রাপ্ত দল।সুরা কাহফে আল্লাহ পাক রসুল সা; কে বলেছেন,মনে হচ্ছে যে আপনি নিজেকে ধ্বংস করে ফেলবেন।' রসুল সা: মক্কার কাফের মুশরিক নেতাদের মুসলমান বানানোর জন্য পেরেশান ছিলেন। নিজের কাওমের আত্মীয় স্বজন কেউ ইসলাম গ্রহন করছেনা আর গরীব দু:খি আম্মার,বেলাল ,সোয়াইব ,সুমাইয়া তারা ইসলাম গ্রহন করছে আর এই পয়সাওয়ালা লোকগুলো জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছে।রসুল সা; এর এই পেরেশান অবস্হায় আল্লাহ পাক এই আয়াত নাজিল করে তাঁকে সান্তনা দিলেন।আল্লাহর কিতাবের কথাগুলো ও হাদিস।এ রকম আলকুরানে ৭টি আয়াত রয়েছে।হাদিসের মানে হলো কথা।ইংরেজীতে যাকে আমরা বলি স্পিকিং আরবীতে একে বলা মহাদাসা বা কথোপকথন এবং হাদিস এসেছে এই মহাদাসা থেকে।আল্লাহর হাদিস হলো কুরআনের বানি আর রসুল সা: এর হাদিস হলো রসুল সা: কর্ম,অনুমোদন হলো হাদিসে রসুল।তাহলে বুঝা গেল নাজাত বা সাহায্য কারি দল হবে একমাত্র আলকুরআন ও সুন্নাহের অনুসারি গন।ঈমাম বোখারি (র) এই দল সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন,নাজাত প্রাপ্ত দল হলো হাদিসের অনুসারি।কিছু সংখ্যক লোক এই নামটি নিয়ে দল করেছে কিন্তু কর্মকান্ড থেকে বুঝা মুশকিল তারা এ দলের প্রতিনিধিত্ব করে কিনা।এই দলের যদি কেউ প্রতিনিধিত্ব করে তাহলে ক্যাডার হয়ে মানুষ খুন করে কিভাবে? আবার অনেককে দেখা যায় দেখতে বিজাতির মত আর বলছে আমরা এই দলের কাজ করি।এ দলের অনুসারি হতে একজন মানুষের চালচলন আচার আচরনে কুরআন ও হাদিসের অনুসারি হতে হবে।এখানে একটি কথা বুঝতে হবে যে রসুল সা: ছিলেন একটি অন্যতম আদর্শ।তিনি রসুল ও তাঁর মত কারো হওয়া সম্ভব নয় তবে তাঁকে অনুসরন করে যতদূর উম্মত এগুতে পারে।আবার সাহাবাদের ঈমানের ওজন ও উচ্চতা ছিল ওহুদ পাহাড়ের মত।সেখানেও উম্মত পৌঁছতে পারবে না।তবে উম্মতের পরবর্তীরা তাদের অনুসরন করে যতদূর তাদের আমল বাড়াতে পারে, এটিই একমাত্র উম্মতের কর্তব্য।যারা নামাজই কায়েম করেনা তারা আহলে হাদিস হয় কি করে? তারা হলো আহলে খাবিস।সমাজ বিশ্লেষন করলে এই আহলে খাবিসের সংখ্যা হলো অধিকাংশ।মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে এই একটি দলের দিকে যাতে সমাজের প্রতিটি মানুষ নেককার হয়ে যায়।আমাদের উপমহাদেশে বড় পির বলা হয় আব্দুল কাদের জিলানীকে।তাকে বাড়াতে বাড়াতে গাউছুল আযম পর্যন্ত করা হয়েছে।গাউছুল আযমের অর্থ হলো মহান উদ্ধার কারি।তিনি যদি মহান উদ্ধার কারি হন তাহলে তার আগে চারজন প্রধান ঈমাম সহ অন্যান্য ঈমামগন বা তারও আগে সাহাবা ,তাবেঈ ও তাবা-তাবেঈগন কত বড় উদ্ধারকারি। যদি আব্দুল কাদের জিলানী চার জন ঈমামের ৪০০ বছর পর এসে মহান উদ্ধার কারি হয়ে যান তাহলে এর আগের ঈমামদের কত বড় উপাদি দরকার।আল্লাহ পাকের ক্ষমতা যারা একজন ঈমামের উপর চাপিয়ে দিয়ে শির্ক করছে আমি আশা করি রোজ কেয়ামতে তিনিই তাদের বিরোধিতা করবেন।আমাদের উপমহাদেশে এই শির্কি কাজগুলো চলছে এবং মানুষ তাদের কোন সমস্যা দেখা দিলে আল্লাহকে সেজদা না দিয়ে ওখানে গিয়ে সেজদা দেয় কিছু পাওয়ার আশায়।ইলেকশনে জিতার জন্য অনেককে সেখানে যেতে শুনেছি পুরো পরিবার সহ।বাসে বা কেলেন্ডারে লিখা থাকে গাউছুল আযম মদদ।বেরুলেবিদের মসজিদে ও আমাদের আটরশিতে এ কথাগুলো দেখেছে বলে বলেছেন যারা সেখানে ভিজিট করেছেন।নামাজের মুনাজাতেও তারা এ কথাগুলো বলে।আর বাংলাদেশে ফরয নামাজের পর সম্মিলিত যে মোনাজাতটি করে আমি আশ্চর্য হয়ে যাই মসজিদের ঈমামরা তা কোথা থেকে পেল অথচ রসুল সা: নামাজ শেষে ফিরে বসতেন মুক্তাদিদের দিকে।তারপর নিজে তাসবিহ তাহলিল করতেন।যদি পৃথিবীতে কেউ উদ্ধার কারি থাকতেন তাহলে রসুল সা:ই হতেন বড় উদ্ধারকারি।তিনি কি হতে পেরেছেন? যদি তিনি উদ্ধার কারি হতেন তাহলে তিনি হোছাইন রা:কে কারবালা থেকে উদ্ধার করে নিতেন,হাছান রা: কে বিষ খাওয়া থেকে উদ্ধার করে নিতেন,আলি রা: ফযরের নামাজ পড়তে যাচ্ছেন ও খারেজি এসে আক্রমন করলো এবং তিনি শহীদ হয়ে গেলেন,ওমরা রা:কে ফযরে তীর মেরে আহত করা হলো ও পরে শহীদ হয়ে গেলেন,ওসমান রা: কে কুরআন তেলাওয়াত অবস্হায় শহীদ করা হলো এবং তার বাসা ছিল রসুল সা: এর কবরের কাছে, যদি তিনি উদ্ধার কারি হতেন তাহলে সবাইকে উদ্ধার করতেন।যদি মোহাম্মদ সা: উম্মতকে সাহায্য করতে না পারেন তাহলে আব্দুল কাদের জিলানি কি করে পারেন আর এর পর তাদের ঈমানই বা কি করে থাকে।মুসলমানদের এই ত্বরিকাগুলো তারা দাবি করে ইসলামের কাজ করে এবং শির্ক ও বিদাআত তাদের ইবাদতে রেখে যদি আহলে সুন্নাহ আল জামাতের দাবি করে তাহলে তাদের আখেরে দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নেই।আমাদের মনে রাখতে হবে আব্দুল কাদের জিলানি একজন আলেম ছিলেন।তার কিতাব থেকে প্রমানিত তিনি আহলে আল সুন্নাহের অনুসারি ছিলেন।বাংলায় তর্জমা 'গুনিয়াতুত্তয়ালেবিন' কিতাবটি পড়লে বুঝা যায় তিনি একজন হক্কানি আলেম ছিলেন।তার কিতাব প্রমান করে যে উম্মতের যে দলটি নাজাত পাবে তা হলো হাদিসের অনুসারিগন। আহলে সুন্নাহ আল জামাতের একই কথা থাকবে রোজ কেয়ামত পর্যন্ত যা আজো হক্কানি উলামাগন বলে থাকেন। উৎস যদি হয় একটি সমুদ্র তাহলে কোন ভ্রান্তি থাকবে না।আর যদি উৎসের সাথে মানব রচিত মতবাদ যুক্ত হয়ে যায় তখনি দেখা দেয় বিপদ। তাকে পির মানুষ বানিয়েছে তার মৃত্যুর পর। যিনি মানুষের কান্না শুনেন ,মানুষকে বিপদমুক্ত করেন তিনি একমাত্র আল্লাহ ,আর কেউ ক্ষমতা রাখে না।

সাহাবায়েকরামদের জামানায় প্রথম কিছু বিদাআত দেখা যায়।প্রথম যে বিদাআতটি দেখা যায় তা হলো আলি রা: সম্পর্কে বাড়া বাড়ি।এই ভালবাসায় ছিল ষড়যন্ত্র।আলি রা: এর মহব্বতের যারা দাবিদার ছিল তারা ছিল ইসলামের ষড়যন্ত্রকারি।ইহুদি আব্দুল্লাহ বিন সাবাহ এই ষড়যন্ত্র করে।ইসলামে ঢুকে আলি রা: এর মধ্যে উলুহিয়াতের যে গুন আছে তার প্রচার করলো।আমরা ছোট বেলায় দেখতাম যারা মোটে ও কাজ করে তারা বড় বড় কাঠের দন্ড উঠাতে বলতো ইয়া আলি এবং এরাইতো নিজেদের দাবি করে কোন না কোন ঈমামের অনুসারি।এরা নিজেদের শিয়া বলে না তবে অন্তরে শিয়াদের এ সমস্ত কথা লালন করে।যখন কোন শক্তির প্রয়োজন হবে তখন বলতে হবে ইয়া আলি।আলি রা: জীবদ্দশায় যখন শুনতে পেলেন কিছু লোক আছে যারা এ কথাগুলো বলে তখন তিনি একটি যায়গায় গর্ত করে আগুন জ্বালাতে বললেন তার একজন তাবেঈ সহচরকে এবং তার নাম ছিল কাম্বার।তিনি তখন খলিফা ছিলেন এবং আদেশ করলেন যারা আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত এ কথাগুলো তার উপর ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের আগুনে নিক্ষেপ কর।কিন্তু আলি রা: এর শরিয়তের একটি মাসলা জানা ছিল না যার হাদিস হলো-আল্লাহর আযাব দিয়ে তোমরা কাউকে আযাব দিও না।' এখান থেকে বুঝা যায় আগুনে জ্বালানোর অধিকার একমাত্র আল্লাহ পাকের।শরিয়তের ব্যাপারে একজন বিজ্গ আলেমেরও সবকিছু জানা না থাকতে পারে।এ জন্য কোন বিজ্গলোকের ভুল হলেও ব্লেম দেয়া যাবে না।কারন হলো একজন বিজ্গ বিচারক তার বিচার পায়সালা যদি সঠিকভাবে করেন তাহলে তিনি পাবেন দু'টি পয়েন্ট আর যদি আর একজন বিচারক বিচার পায়সালা দিয়ে হেরে যান তিনি পাবেন একটি পয়েন্ট।মানুষের ভুল হতে পারে আর এর উপায় হলো সংশোধন কারন মানুষ ওহি দ্বারা পরিচালিত নয়।এই একটি বিদাতি দল আলি রা: এর ভক্ত হয়ে গেল।এর সাথে সাথে তারা আলি রা: এর প্রতি মহব্বত ও অন্যান্যদের ঘৃনা করতে লাগলো।আর একটি বিদাআতি দল হলো খারেজি।তারা ইসলামি শাসকের বিরুদ্ধে বেরিয়ে ফযরের সময় আব্দুর রহমান ইবনে মুলযম নামক এই খারেজি আলি রা: কে শহীদ করে দিল।আজকের পৃথিবীতে মুসলিম দেশগুলোতে যে ফাসেক মুসলিম সরকার রয়েছে তারা মুসলিম।তারা ইসলামের শাসন চায় না বা তারা বলে ইসলামের কাজগুলো আমরা করবো বা কখনো কিছু করছে বা করছেনা।কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে লেগে আছে এরকম খারেজিদের অনুসারিরা।আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদা এই নয় যে মুসলিম কোন সরকারকে উৎখাত করবে ও রক্তপাত করবে।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলাম কায়েমের জন্য গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে লেগে পড়া ও মানুষকে খুন ও ঝলসিয়ে দেয়ার মত কাজ যারা করছে তারা এই বিদাআতিদের অনুসারি।অতি ভক্তির এই অবস্হানটি শুরু হয়েছিল তখন থেকে যা এখন দেখা যায় পিরতন্ত্র ও খানকা গুলোতে।আহলে বিদাআতিদের একটি হলো যারা মুসলিম সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করে।আল্লাহর আইন কায়েম করার জন্য রসুল সা: যে দলের কথা বলেছেন সেই দল তৈরি করতে হবে কোরান ও হাদিসের নিরিখে।হুকুমাত কায়েম করার জন্য মানুষ তৈরি করতে হয়।সে মানুষগুলো হবে সাহাবাদের চরিত্রের অনুকরনে।কেমন করে গড়তে হবে এই মানুষদের? এ কাজ প্রতিটি মানুষের নিজের। আহলে সুন্নাহ আল জামাতের মানুষদের নিজের উপর আধিপত্য স্হাপন করতে হবে।মানুষের দেহে তিনটি জিনিস রয়েছে।নফস,রুহ ও ক্কালব।আমরা যখন কোন কাজ করতে যাই তখন আমাদের দেহ নামক নফসটির সাথে রুহের সংঘর্ষ বেধে যায়।আমরা যদি একটু চিন্তা করি তাহলে দেখবো যখন আমরা একটি অঘঠন ঘটিয়ে ফেলি তখন আমাদের মন আমাদের তিরস্কার করে।বস্তুত এ খারাপ কাজের জন্য প্রথমেই রুহ বাধা দেয় যা মননে জেগে উঠে তার পরও আমরা খারাপ কাজটি করি।একটি নফসের তিনটি অবস্হার সৃষ্টি হয়।একটিকে বলা হয় নফসে আম্মারা বা হুকুমের নফস।এমন অনেক নফস রয়েছে যে বিষয়গুলো পাওয়ার সে দাবি করে কিন্তু রুহ তা ফেরাতে ব্যার্থ হয় এই অবস্হাটিই হলো নফসে আম্মারা।যাদের ঈমান নেই বা বিশেষ ক্রুটি রয়েছে তারাই এ কাজ করে থাকে।সূরা ইউছুফে ইউছুফ আ: বলেছিলেন,আমার নফস যে সৎ তা আমি দাবি করিনা।কারন নফসের কাজই হলো মন্দ কাজে হুকুম করা।একমাত্র আমার রব যার উপর রহম করেন সেই বাঁচতে পারে।'জোলেখার আকর্ষন থেকে ইউছুফ আ; নিজে বেঁচে যান নি একমাত্র আল্লাহই তাকে বাঁচিয়েছেন।এখানে বুঝার একটি ব্যাপার রয়েছে যারা ফাহেসা ও খারাপ কাজ করে তাদের বুঝতে হবে তাদের নফস একশত ভাগ জয়ী হয়েছে এবং তাদের কোন ঈমান নেই।যাদের ঈমান আছে তাদের ব্যাপারটি হলো এমন যে,তাদের নফস ও রুহের মধ্যে লড়াই চলতে থাকে।কখনো নফস জয়ী হয় আবার কখনো রুহ।এই অবস্হাটিকে আলকুরআনে সুরা ক্কিয়ামার প্রথমে 'নফসে লাউয়্যামা'বলা হয়েছে।এই নফসটি বাধাপ্রাপ্ত হয় বা যাকে ভৎসনা করা হয়।এখানে হতে পারে অধিকাংশ মানুষের নফস জয়ী হয়েছে বা হেরে গেছে কিন্তু তাদের বিজয়ের পার্থক্য রয়েছে।ধরুন-একজন ছাত্র যে ৪০% পেয়ে পাশ করেছে এবং আর একজন যে ৯৫% পেয়ে পাশ করেছে এমন।নফসে লাউয়্যামার অবস্হাটি এমন।নফসের আর একটি অবস্হা হলো 'নফসে মুতমায়িন্নাহ' যে আয়াতটি রয়েছে সুরা ফযরের শেষের দিকে।এখানে নফস একশত ভাগ পরাযিত।রুহ এখানে এমন শক্তিশালী যে নফসের পক্ষে সম্ভব নয় কোন মন্দ কাজের প্ররোচনা দেয়া।এ অবস্হার মানুষ সমাজে যখন তৈরি হবে তখন ইসলামি সমাজ কায়েম হবে।প্রতিটি মানুষকে দ্বীনের ব্যাপারে কাজ করে যেতে হবে।অনেকে মনে করেন ইসলামি কোন শাসককে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে দেয়া জিহাদের কাজ।এটি একটি ভুল ব্যাখ্যা।সাধারন অবস্হায় জিহাদ হলো কোন ইসলামি সরকার বহিশক্রুর আক্রমন থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য যদি দেশের মানুষকে ডাক দেয় তখন প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব সে জিহাদে অংশগ্রহন করা।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ রকম জিহাদের প্রয়োজন রয়েছে কি?বাংলাদেশে ফাসেক ইসালমি সরকার রয়েছে কিন্তু তারা মুসলমানদের ইসলামি কর্মকান্ডের বিরোধিতা করছে না যেভাবে কোন জালেম করে থাকে।যেমন কোন মানুষ যদি তার ইসলামি কর্মকান্ড করতে যায় সে করতে পারে।এ অবস্হায় একজন মুসলিমের কি করা উচিত? সুন্নি উলামাদের মত হলো কোন রকম বিশৃংখলা না করে ইসলামি ঐক্য তৈরি করার জন্য মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকা।শরিয়তের বিধিবিধান দিয়ে মানুষকে শিক্ষিত করানোর প্রোগ্রাম হাতে নেয়া।মানুষকে ভাল কাজের আদেশ দেয়া ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া।যিনি শরিয়তের কথা বলেন তিনি কথার জিহাদ করেন,যিনি শরিয়তের কথা লিখেন তিনি লিখার জিহাদ করেন।একজন নামাজি ৫ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করছেন ও অন্যদের পরামর্শ দিচ্ছেন এটিও জিহাদেরই কাজ। এভাবে ইসলামের প্রতিটি কাজই জিহাদের কাজ।আমাদের দেশে ইসলামের নামে বোম ফোটানো,দেশের সম্পদ ধ্বংস করা,মানুষকে খুন করা যা করা হচ্ছে দলের ভিত্তিতে তা আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কাজ নয় এ কাজ হলো আহলে বিদাআতিদের।

আহলে সুন্নাহ আল জামাতের আক্কিদার আর একটি বড় বিষয় হলো আল্লাহ ও তাঁর রসুল সম্পর্কে প্রচ্ছন্ন ধারনা রাখা।বিদাআতিরা বলে আল্লাহ সর্বত্র ও সবযায়গায় বিরাজমান।এটি তাদের বিদাআতি ধারনা।এটি তারা নিয়ে এসেছে হিন্দু ধর্ম থেকে এবং বাংলাদেশে অনেক বই পুস্তকে এটি পরিলক্ষিত হয়।সুরা মুলকের ১৬/১৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'যিনি উর্ধলোকে রয়েছেন তাঁর কাছ থেকে কি তোমরা নিরাপত্তা গ্রহন করেছ?' তাহলে বুঝা গেল আল্লাহ আরশে আছেন।ঈমাম মালেক (র) কে জিজ্গেস করা হয়েছিল আল্লাহ পাক আরশের উপর রয়েছেন এর অর্থ কি? তিনি বলেছেন আল্লাহ পাক আরশে আছেন তা আমাদের জানা আছে তবে কিভাবে আছেন তা আমাদের জানা নেই।বোখারি শরিফে রসুল সা; বলেন,' একদিন এক সাহাবি এসে বললো আমার কাছে একটি দাসি আছে আমি তাকে স্বাধীন করে দিতে চাই।রসুল সা: ঐ দাসিকে জিজ্গেস করলেন বলতো আল্লাহ কোথায়? সে উত্তর দিল-আল্লাহ আকাশে।তার পর বললেন বলতো আমি কে? সে বললো আপনি রসুল সা:।রসুল সা: বললেন তাকে স্বাধীন করে দাও কারন সে মু'মিনা।'তাহলে ঈমানের জন্য বুঝতে হবে ঈমানের জন্য দুটি লক্ষন।একটি হলো আল্লাহ আরশে আজিমে রয়েছেন আর দ্বিতীয় হলো - মোহাম্মদ সা: আমাদের রসুল।যারা বলে আল্লাহ পাক নিরাকার তারা স্পষ্ট বিদাআতি।আলকুরআনে সুরা আর রাহমানে আল্লাহর মুখমন্ডলের কথা বলা হয়েছে।সুরা মুলকে আল্লাহর হাতের কথা বলা হয়েছে।সুতরাং আল্লাহ পাক নিরাকার নয় তবে তার ধরন কি তা আমাদের জানা নেই।আল্লাহ পাক তাঁর মত,কারো সাথে বা কোন কিছুর সাথে তুলনীয় নয়।রসুল সা: বলেছেন ,এমন কোন মানুষ নেই যে নিজের আমল দ্বারা ও আল্লাহর রহমত ছাড়া জান্নাতে যেতে পারে।সাহবায়েকরাম জিজ্গেস করেছিলেন আপনিও কি যেতে পারবেন না? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন এমনকি আমিও আমার কর্ম দ্বারা জান্নাতে যাওয়ার হক্ক রাখি না একমাত্র আল্লাহর রহমত ছাড়া।' ইনশাআল্লাহ মু'মিনদের জন্য আল্লাহর রহমত হবে এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।আল্লাহর সাথে যারা শির্ক করে তাদের জন্য জান্নাত চিরকালের জন্য জান্নাত হারাম করা হয়েছে এবং তাদের স্হান জাহান্নামে।আটরশি,মাইজ ভান্ডারি,ফুলতলি,ফুরফুরা বা অন্যান্য পিরের মাজারে যে গরু জবাই হয় তা হয় পির বাবার নামে।তাদের মুরিদ যারা সেখানে যায় এই জবাই করা গরু ছাগল থেকে তাদের খাওয়ানো হয় ও তারা সেখানে বিদাআতি জিকির করে।মাজারে যে কাজ গুলো হয় ঠিক হিন্দুদের মন্দিরেও ঐ রকম পূজা অর্চনা হয়।নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার যারা দেখে এসেছেন তারা বলেছেন কেউ সেখানে তেনা বাঁধছেন,কেউ হাত দিয়ে ছুঁয়ে কপালে শরীরে হাত বুলাচ্ছে আবার কেউ বালা মুছিবতের জন্য কবরের কাছে কিছু চাইছে।এই রকম যায়গা গুলো যেগুলোকে মানুষ ধর্মীয় উপাসনালয় মনে করে আসলে সেখানে হচ্ছে শির্ক ও বিদাআত।এদের উপর আল্লাহর লানত।আল্লাহ পাক সুরা আল কাওছারের ২ আয়াতে বলছেন,'তোমার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় কর এবং কুরবানি কর।' যারা বভিন্ন প্রানী বা বস্তুর পূজা করে আমরা তাদের অভিশপ্ত বলে থাকি।তাহলে পিরের আখড়াগুলো যেখানে মানুষের নামে জবাই হয় ধর্মের নামে ভন্ডামি হয় তারা অভিশপ্ত নয় কি? রসুল সা: বলেছেন আল্লাহর লা'নত তাদের প্রতি যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য জবাই করে।'ভারত ,পাকিস্তান ও বাংলাদেশে আহলে সুন্নাহ আল জামাত হলো তিনি প্রকারের।একশ্রেনী হলো খাঁটি আহলে সুন্নাহ আল জামাত আর দুটি হলো মিথ্যাবাদি আহলে সুন্নাহ আল জামাত।খাঁটি আহলে সুন্নাহ আল জামাত ও ভ্রান্ত আহলে সুন্নাহ আল জামাতের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।এই ভ্রান্ত দুটি দলকে চিহৃিত না করা হলে খাঁটি দলটিকে বুঝা যাবে না।তারা মুখে দাবি করে রসুল সা: ও সাহাবাদের সুন্নতের কথা কিন্তু তাদের কর্মে রসুল সা: বা সাহাবাদের এর সুন্নত দেখা যায় না।তাদের একটি দল হচ্ছে বেরুলেবি তারা নিজেদের বলে রেজবি বা সুন্নি।আটরশি,মাইজভান্ডারি ও মাজারভক্ত যে সমস্ত দল আছে এই তিন দেশে আছে সবগুলো হলো ভ্রান্ত মুশরিক আহলে সুন্নত।আল্লাহ সম্বন্ধে তাদের ধারনা অত্যন্ত ক্ষীন।ধরুন-একটি দেশ চালাতে হলে থাকেন একজন প্রধানমন্ত্রী এবং তাকে সহযোগিতা করার জন্য দরকার হয় অনেক মন্ত্রী।তা নাহলে শাসন ক্ষমতা ভেংগে পড়বে।এই রকম ধারনা তাদের আল্লাহ সম্পর্কে।তারা মনে করে আল্লাহ পাকের সহযোগী হলো এই সমস্ত পির বাবারা যাদের হাতে আল্লাহ পাক কিছু ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন যারা সাধারন মানুষদের বিপদ ও অভাব অভিযোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।এই আক্কিদা হলো সমস্ত কবর পূজারিদের।এইভাবে তারা আল্লাহর শরীক বানিয়েছে আব্দুল কাদের জিলানিকে,নিজামুদ্দিন আউলিয়াকে,ফুরফুরাকে,শাহজালালকে,ভান্ডারিকে,আটরশিকে,ছারছিনাকে।অথচ আল্লাহ পাক সমস্ত বস্তুর মালিকানা ও গায়েবের নিয়ন্ত্রন করেন।আল্লাহ পাক তার কাজের জন্য কারো মুখপেক্ষি নন তিনি এক ও অদ্বিতীয়।বান্দার সমস্ত ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য এই আক্কিদা আহলে সুন্নাহ আল জামাত প্রতি মুহূর্তে অন্তরে লালন করে।আর শির্ককারি ও বিদাআতিরা তাদের পিরদের কবরের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পৌঁছার বাসনা রাখে।এদেরই দেখা যায় কোন বড় বিপদাপদে পড়লে আজমির শরীফে চলে যায়।তাদের শির্কীয় কথাও রয়েছে,'খাজা বাবার দরবারে কেউ ফিরে না খালি হাতে।" এ থেকে বুঝা যায় তারা আল্লাহ ছাড়াও অন্যের কাছে সাহায্য চায়।এ সমস্ত শির্কের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ঈমানদারদের ঈমানি দায়িত্ব।আর একটি শ্রেনী রয়েছে দেওবন্দি।অনেকে মনে করে এরাও তৌহিদবাদি।এদের বড় প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে ভারতের দেওবন্দে।আর বাংলাদেশের দেবন্দ হচ্ছে হাটহাজারি, পটিয়ার কওমি মাদ্রাসাগুলো।তারা নিজেরা নিজেদের আহলে সুন্নাহ আল জামাত বলে দাবি করে এবং তারা দেওবন্দি আলেমদের অনুকরনে চলে।আল্লাহ পাক সম্বন্ধে এদের আক্কিদা হলো আল্লাহ সর্বস্হানে ও সব যায়গায়।যদি আল্লাহ সম্বন্ধেই তাদের আক্কিদা ঠিক না থাকে তাহলে কিভাবে তারা আহলে সুন্নাহ আল জামাতের অনুসারি হয়?

উপসংহারে বলতে চাই - উম্মতকে সহজভাবে ইবাদতের বিষয়গুলো বুঝতে হবে।কোন মুসলমানের সাথে মুসলমানের দ্বন্দ নয়।একজন মুসলিম আর একজন মুসলিমের জন্য আয়না স্বরুপ।যাদের দ্বারা লাখ লাখ মানুষ ভ্রান্ত পথের দিকে ধাবিত হচ্ছে তাদের কাছে ইসলামের খাঁটি বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো খাঁটি আহলে সুন্নাহ আল জামাতের কাজ।দ্বীন বুঝতে অনুশীলন করতে হবে রসুল সা: এর প্রাত্যহিক জীবনকে,সাহাবায়েকরামগন ও তাদের পরের ঈমামগন কিভাবে দ্বীন প্রচার করেছেন তখনকার সমকালীন রাষ্ট্রনায়কদের সময়ে।আমরা যদি অতীতের হাজার বছরের হক্কানি আলেমদের দ্বীন চর্চার রুপ শিখে নিতে পারি তাহলে আমাদের দ্বীনের পথ পেয়ে যাওয়া সহজ।আর একটি জিনিস বুঝতে হবে আর সেটি হলো-আল্লাহ ও তাঁর রসুলকে অকাট্যভাবে মেনে নিয়ে অনুসরন করতে হবে।আর উলিল আমরের মানদন্ড হবে আল্লাহর কুরআন ও হাদিসের আলোকে।যদি তারা ভাল কাজ করেন ও কুরআন হাদিসের সাথে মিলে যায় তাহলে তাদের কথা নিতে হবে আর না হলে প্রত্যাক্ষান করতে হবে।কোন রহমত উল্লাহ আমাদের জন্য আদর্শ নয় ,আমাদের আদর্শ হলো একমাত্র রসুল সা; যাকে অনুসরন করতে হবে জীবনের সর্বক্ষেত্রে এটিই আহলে সুন্নাহ আল জামাতের জন্য করনীয়।

বিষয়: বিবিধ

২৭৯৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

304481
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৪৪
sarkar লিখেছেন : উপরে বর্ণিত যে আকিদার কথা আপনি আহলে সূন্নাতওয়াল জামায়াতের নামে উল্লেখ করেছেন আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।কারণ এটা ওহাবীদের আকিদা।সুন্নীরা আল্লাহর আকার আছে এটা মনে করে না।পবিত্র কোরআনুল কারীমে বর্ণিত আয়াতে কারীমায় স্পস্ট বলা হয়েছে লাইসাকা মিসলীহি সাঈ।যার অর্থ হল নেই কোন বস্তু আল্লাহর মত।এখন আপনি যদি আল্লাহর অাকার মানেন এই আয়াতের কি হবে???
304755
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:৩২
মহিউডীন লিখেছেন : ধন্যবাদ।আল্লাহর আকার আছে তবে সেটি আল্লাহর মত।পৃথিবীর কোন কিছুর সাথে তুলনীয় নয়।যেমন সুরা আর রাহমানে আল্লাহর মুখমন্ডলের কথা বলা আছে।সূরা মুলকের প্রথমে আল্লাহর হাতের কথা বলা আছে।ঈমাম মালেক (র) বলেছেন আল্লাহর এসবকিছু আছে তবে আমাদের আকার জানা নেই।আল্লাহর আকার আল্লাহর মত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File