আওয়ামিলীগের প্রাক্তন সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে খোশগল্প।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৯:৫৮:২৭ রাত

জনাব গোলাম মাওলা রনির কলামগুলো অনেকের কাছে চমকপ্রদ যে, তিনি ইতিহাসের বিষয় গুলো জনগনের কাছে তুলে ধরেন।লেখকের কাজ হলো নীরপেক্ষ হয়ে লিখা ও সত্যকে তুলে ধরা।যদিও আমাদের দেশে এখন মানুষ বহু শিবিরে বিভক্ত।একটি স্বাধীন ও ছোট দেশ এবং তার মধ্যে এখন ৪২টি দল।এর পরে রয়েছে আরো অগনিত দল ও গোষ্ঠী।অর্থাত সমাজের কানায় কানায় পূর্ন সেকুলার,জাতীয়তাবাদি,সমাজবাদি ও বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্র,খানকা ও দরগাহ।তিনি বলেছেন,'বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আমার দেখার সুযোগ হয়েছে সর্বমোট তিনভাবে। কখনো বহু দূর থেকে, আবার কখনো অতি কাছ থেকে। ছাত্রলীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে তাকে দেখেছি রাজপথে। কর্মজীবনে সাংবাদিক হিসেবে আবার সুযোগ হয়েছিল ভিন্ন আঙ্গিকে দেখার। সব শেষে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রিয় সহকর্মীকে দেখেছি একান্ত কাছ থেকে। আমার সব মানবসত্তার বোধ এবং বুদ্ধি দিয়ে তার হাঁটাচলা, কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গি, শিষ্টাচার, মেধা ও মননশীলতা এবং রাশিযোগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করেছি। প্রথমে বলে নিই তার রাশিফল সম্পর্কে। তিনি তুলা রাশির জাতিকা। ইউরোপ এবং ভারতীয় জ্যোতিষীরা তুলা রাশির জাতক-জাতিকা সম্পর্কে প্রায় সমধারণা পোষণ করেন সেই অনাদিকাল থেকেই। অন্যদিকে আরব ও মিসরীয় জ্যোতিষীরা অবশ্য বলেন ভিন্ন কথা। তুলা রাশি সম্পর্কে জ্যোতিষ শাস্ত্রের তিনটি পৃথক মতের ওপর ভিত্তি করে যদি কেউ শেখ হাসিনার কুষ্ঠি নিরূপণ করেন তবে মানুষ হিসেবে তার ব্যাপারে ইতিবাচক ধারণা পোষণ না করে পারা যাবে না। তিনি বন্ধুবৎসল। পরোপকারী। একই সঙ্গে কোমল এবং শক্ত হৃদয়ের মানবী। তার রয়েছে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং আরও দ্রুততরভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর অসাধারণ প্রাকৃতিক ক্ষমতা। তিনি ভোজনবিলাসী, নিজে খান- অন্যকে খাওয়ান। রন্ধনকার্য এবং খাবার পরিবেশনার মধ্যে তিনি নিজের সৃষ্টিশীলতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। তিনি সৃষ্টির আনন্দে নিশ্চুপ থাকা একদম পছন্দ করেন না। বরং বিদ্রোহী কবির কবিতার মতো তিনি সৃষ্টি সুখের উল্লাসে নৃত্য করাকে সমর্থন করেন। আবেগ তাকে সর্বদা তাড়া করে। সুখানুভূতির মতো দুঃখের অনুভূতিগুলোও তাকে ভীষণভাবে উত্তেজিত করে। তিনি কাঁদেন- কেঁদে কেঁদে মনের কষ্ট লাঘব করে তিনি প্রশান্তির কোলে ঢলে পড়তে চান। প্রকৃতির অপরূপ রূপলাবণ্য এবং সুর-ছন্দ-লয় তাকে চৌম্বুকের মতো আকর্ষণ করে। তিনি হারিয়ে যেতে চান প্রকৃতির মাজারে, আবার ফিরে আসতে চান প্রকৃতির সুর-ছন্দ ও লয়ে অবগাহন করে।তুলা রাশির জাতক-জাতিকার উলি্লখিত সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ শেখ হাসিনার রয়েছে। তার একান্ত আপনজনরা যেমন ওসব কথা স্বীকার করবেন- তেমনি বিরোধী পক্ষও অস্বীকার করতে পারবেন না।'

ধন্যবাদ জনাব রনি।মানুষ হিসেবে মানুষের সুখ্যাতি করাটাই শ্রেয়।কিন্তু যদি কিছু সমালোচনা করার থাকে তাও জীবদ্দশায় করাই শ্রেয়।একটি মানুষের যেমন ভাল দিক আছে তেমনি আছে খারাপ কিছু দিকও।আর একজন নেতা প্রকৃত নেতা হয়ে গড়ে উঠেন সমালোচনার মাধ্যমে।কার্যকর সমালোচনা মানুষকে স্বৈরাচারি হতে দেয় না।বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের দেখে রাখতে হয় 'ওয়াচ ডগ' এর মত, কারন তারা জাতির ভাগ্য নিয়ন্ত্রক।সেজন্য ভাল বলার সাথে নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আসলে একজন মানুষ সংশোধনের সুযুগ পায়।এই সংশোধন সম্ভব হয় না স্তাবকদের কারনে।একটি সুবিধাভোগী শ্রেনী এই সুযুগটির সন্ধানে থাকে যাতে তারা কিছু ফল ভোগ করতে পারে।আপনার কলাম পাঠ করে আমি আঁতকে উঠলাম একটি কারনে আর সেটি হলো- আপনি বলেছেন,তিনি(প্রধানমন্ত্রী) তুলা রাশির জাতিকা।রাশিচক্র নির্নয় করা জোতিষিদের কাজ এবং ইসলামের দৃষ্টিতে একটি বড় গুনাহ।এ কাজ যারা করবে তাদের পূর্বে কৃত সব আমল ধ্বংস হয়ে যাবে যদি না তওবা করে ফিরে আসে।আর প্রধানমন্ত্রী যদি আপনাকে এ ব্যাপারে না বলে থাকে তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রীকে অপবাদ দিলেন আর তা বোহতান।সুতরাং অপবাদের জন্য সেই মানুষের কাছে মাপ চাইতে হবে ও আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। আমাদের রাজনীতিতে দুইজন সম্মানিত নেত্রী কেউই কলুষমুক্ত নন ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে।হতে পারে কেউ কম বা বেশি।১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সময়ের রাজনীতি থেকে বিএনপি কিছু শিখেছিল।আবার বেগম খালেদা জিয়া কিছু নেতিবাচক কর্ম করে শিখিয়ে দিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।তিনি আবার ক্ষমতায় এসে বড় কিছু শিখাচ্ছেন ও বিএনপিকে নির্মুল করার চেষ্টা করছেন।এর পর আবার আওয়ামিলীগের নির্মুল হওয়ার চেষ্টাও হতে পারে।কারন যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে তাতে বুঝা যায় ধাপে ধাপে অন্যায় বাড়বে।তবে বড় ক্ষতির ভাগ বহন করতে হবে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষদের। জনাব রনিকে বিনীতভাবে স্মরন করিয়ে দিতে চাই আপনার আগামি লিখায় নিম্নের তথ্যগুলো তুলে ধরার জন্য যা ঘটে গেছে এবং তখনকার পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাহলে আমরা ভাববো আপনি নিশ্চই মানুষের জন্যই লিখেন বা কাজ করেন:--

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ বছর পর ক্ষমতায় এলেন ১৯৯৬ সালে।১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৮ থেকে ২০১৩ এবং ২০১৪ এর ৫ ই জানুয়ারি একটি বিতর্কিত নির্বাচন দিয়ে ১৫৪ টি আসনে ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছিল সংসদ সদস্যরা। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালের জুলাই থেকে তথাকথিত সংস্কার আন্দোলনের নামে যে ধ্বংসাত্মক চালিয়ে ছিলেন তা এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি।চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরের দিন থেকে লাঠি-বৈঠা্-লগি নিয়ে সন্ত্রাস করার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মিকে লেলিয়ে দিয়ে কতগুলো প্রানের যে সংহার করা হয়েছিলে তা কার নেতৃত্বে হয়েছিল? বিচারপতি কে এম হাসানের প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে একইভাবে তিনি তার দলের বাহিনীকে নির্দেশ দেন যেন তারা লাঠি-বৈঠা্-লগি নিয়ে প্রস্তুত থাকে।শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জনগনকে ডাক দিয়েছিলেন যেন ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগন ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন।২৭শে অক্টোবর ২০০৬ ছিল চারদলীয় জোটের পাঁচ বছর মেয়াদের শেষ দিন।সেদিন তারা পল্টনে জনসভা করার জন্য কতৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছিল কিন্তু আওয়ামিলীগের কর্মীগন এবারের গাজিপুরের মতই লাঠি-বৈঠা-লগি নিয়ে পল্টন ময়দান দখল করে মন্চ তৈরি করে।পুলিশ প্রশাসন আইন শৃংখলা বহাল রাখার স্বার্থে ময়দানে ১৪৪ ধারা জারি করে।বিএনপির পল্টন ময়দানে অনুমতি থাকা স্বত্তেও ১৪৪ ধারা ভংগ করে পুলিশের সাথে লড়াই না করে নয়া পল্টনের রাজপথে জনসভা করে।কিন্তু দেখা গেল আওয়ামি নেতা কর্মীরা এমনকি মহিলা ক্যাডারদের ও দেখা গেল পুলিশের সাথে লড়াই করতে।এ নির্দেশ কে দিয়েছিল?এদিকে জামাতে ইসলাম তাদের পূর্বঘোষনানুযায়ী বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামি ছাত্র শিবিরের ও জামাতে ইসলামের স্বেচ্ছাসেবকগন সমাবেশস্হলে কর্তব্যরত ছিল।মুক্তাংগনে ১৪ দলের সমাবেশ আর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামাতের জনসভা।দুটো সমাবেশের দুরত্ত কম হলেও পৃথক পৃথক স্হানে দুটো সমাবেশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধা স্বাভাবিক ছিল না।সংঘর্ষটি বাঁধার কারন হলো জামাতের সমাবেশ তাদের পছন্দ ছিল না।দুপুর সাড়ে এগারটায় জামাতের নিরাপত্তা কর্মিদের উপর চালানো হলো হামলা।এতে ৬ জন কর্মী মারা গেল এবং ৬০০ আহত হলো। এ করুন দৃশ্য আমরা দেখেছিলাম টিভি মিডিয়াতে।ক্ষমতাবদল করতে এভাবে আমাদের গনতন্ত্রের রুপ আমরা দেখে আসছি স্বাধীনতার পর থেকে।২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টের এজলাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আওয়ামী আইনজীবিদের মর্জির বিরুদ্ধে এক নির্দেশ দেন।তারা প্রধান বিচারপতির নির্দেশের আইনগত প্রতিকারের চেষ্টা না করে পেশী শক্তি প্রয়োগ করে এবং প্রধান বিচারপতির এজলাস ও চেম্বার এবং এটর্নি জেনারেলের চেম্বার ভাংচুর ও তছনছ করে।এদেরই অনেকে পরে বিচারপতি হয়েছেন।বিচারপতি আব্দুর রউফ একবার বলেছিলেন আমাদের সুপ্রিমকোর্ট এখন একটি কাঁছের ঘরের মত যা একটি ঢিল দিলেই ভেংগে যাবে।এই নারকীয় কাজগুলো কার আদেশে হয়েছিল? ১৯৯০ সালে দলমত নির্বিশেষে স্বৈরশাসক হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে সরানো হলো এবং কর্মরত প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের পরিচালনায় দেশে প্রথম নীরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।তার সুনামের কারনে আজকের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাসীন হয়ে তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন।২০০১ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শেখ হাসিনা জনাব এমএ সাঈদ নামক গোপালগন্জের এক আমলাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন।অবসর প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান কেয়ারটেকার সরকার প্রধান হন।শেখ হাসিনা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কেয়ারটেকার সরকার প্রধান,তার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং নিয়োগকৃত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে নির্বাচনে স্হুল কারচুপির অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে অশালীন উক্তি করেন।১৯৯১,১৯৯৬ ও ২০০১ সালে কেয়ারটেকারের অধীনে নির্বাচনকে দেশের ও বিদেশের সবাই স্বীকার করেছে একমাত্র আওয়ামিলীগ ছাড়া।বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে যতই গনতন্ত্রের কথা বলা হোক বা নির্বাচন স্বতস্ফুর্ত হয়েছে বলে যদি ধরে নেয়া হয় তা ঠিক নয় এটি আমরা সবাই জানি।কোথাও না কোথাও কিছু কারচুপি হতে পারে।কিন্তু ঢালাওভাবে হয়েছে এটি তখন কেউ বলে নি।আজকে শাসকদল বিদেশীদের ব্যাপারে যে কুট আচরন করছে ২০০১ সালে কি করেছেন তা কি তাদের মনে আছে? ২০০১ সালে আওয়ামিলীগ পরাজয় বরন করে বিদেশের নিকট ধরনা দিয়েছিল।তখন থেকেই বিদেশীরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা শুরু করে।

আমাদের এই দুই রাজনীতিক জোটের ক্ষমতা লিপ্সার কারনে গনতন্ত্র ব্যাহত হচ্ছে।গনতন্ত্র অর্থ হলো জনগনের শাসন।জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিগন জনগনের পক্ষ থেকে শাসন করেন।নির্বাচনের সুস্হ ধারা হলো শাসকদল তাদের মেয়াদ শেষে একটি সুস্হ নির্বাচন আহ্বান করবে ও জনগন স্বতস্ফুর্তভাবে তাদের মতের প্রতিফলন ঘটাবে।যারা বিরোধীদলে থাকবে তাদের দায়িত্ব নয় সংসদ বর্জন করা।তারা যদি সংসদ বর্জন করে তাহলে শাসকদল স্বৈরশাসকের রুপ নিতে পারে।আমাদের এই দুই জোটই যখন হেরে যায় তখন সংসদ বর্জন করে এবং তাদের সুবিধা ভোগ করে।তাহলে আমরা কি বলতে পারিনা তারা ক্ষমতার লোভে নির্বাচন চায়? শাসন ব্যাবস্হা সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য নিরবাচিত প্রতিনিধিগন শাসনতন্ত্র প্রনয়ন করবেন।সরকারের আইন,শাসন ও বিচারবিভাগ কিভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন বিভাগের ক্ষমতার সীমা কতটুকু এসব সুস্পষ্টভাবে সংবিধানে লিখা থাকবে ও সবাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে।সংবিধান প্রনোয়নের উদ্দেশ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সর্বসম্মত অনুমতিক্রমে শাসনতন্ত্র গৃহীত হয়।শাসনতন্ত্র গৃহীত হওয়ার পর রাষ্ট্রের সকলকে তা মনে চলার জন্য অংগিকারাবদ্ধ হতে হয়।এর মর্যাদা রক্ষা করা সকলের পবিত্র দায়িত্ব।গনতান্ত্রিক ব্যাবস্হায় নির্বাচন আবশ্যক এবং সকল রাজনৈতিক দলের আলাপ আলোচনার মাধ্যমে স্বাতস্ফুর্ত নিরবাচন হলে কোন অবিশ্বাসের প্রশ্ন উঠে না।কিন্তু গত ৫ ই জানুয়ারি ১৯১৪ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ম রক্ষার যে নির্বাচন করেছেন এবং এর পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রলম্বিত করার যে বাসনা করছেন তা দেশের মানুষকে হতাশ করছে।ইতিহাসে এই নির্বাচনটি স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে এবং যার পরিনতিতে বিএনপির অবরোধের সূত্রপাত।এতে এখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে একটি সম্ভাবনাময় জাতি।সুতরাং আমরা যখন কারো সম্পর্কে খোশগল্প করবো তা করতে হবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক মিলিয়ে যাতে করে তারা সংশোধন করে নিতে পারে। সৎ ও নীরপেক্ষ থাকা আমাদের কর্তব্য।যারাই দেশ শাসন করেন,তাদের ভাল দিক যেমন আছে মন্দ দিকও আছে।আমরা দেখছি ও শুনছি।তাদের ভাল কাজগুলোকে সাধুবাদ জানাবো আর মন্দকাজগুলোর জন্য পরামর্শ দিব।কোন সরকার স্বৈরতান্ত্রিক পথে ধাবিত হলে জাতির কাজ হলো একসাথে তার মোকাবিলা করে তাদের সঠিক পথে নিয়ে আসা।সহিংসতা ও দেশের মানুষের জানমালের ক্ষতি করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না।আশা করি দুই নেত্রীর বোধদয় হবে ও জাতির কল্যানে অচিরেই সমঝোতা করার প্রয়াস চালিয়ে জাতিকে এই অন্ধকার থেকে মুক্ত করবেন।

বিষয়: বিবিধ

৬৮৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File