যৌনতার সুন্নতি তরিকা জানা দম্পতি ও বিবাহে প্রবেশ কারিদের জন্য ফরয।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:০৭:৫৯ বিকাল
মানব/মানবী আল্লাহ পাকের এক শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।এই শ্রেষ্ঠ মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে তাঁর একমাত্র ইবাদত করার জন্য।পৃথিবীর আদি মানব/মানবী হযরত আদম আ: ও মা হাওয়া আ:।এর পর হাজার হাজার বছর ধরে সৃষ্ট হয়েছে অসংখ্য জাতি ও গোষ্ঠি।আমরা শেষ রসুল মোহাম্মদ সা: এর উম্মত।প্রতিটি নবী রসুলের সময়ে একটি শরিয়ত ছিল যা দিয়ে মানুষ তাদের জীবন পরিচালনা করতো।এই পরিচালনা বিধি মানুষের জীবন গঠনে এক অপার নিয়ামক যা মেনে চললে পরিবার ,সমাজ ও রাষ্ট্র সুশৃংখল হয়।ইসলামি শরিয়ত জানা ও মানা একজন মুসলিমের জন্য অবশ্য করনীয় কাজ যাতে তার এই দুনিয়ার জীবন তথা আখেরাতের জীবন কামিয়াব হয়ে যায়।আজ আমাদের সমাজ এত কলুষিত হয়েছে যে কেউ যদি শরিয়তের কথা বলতে যায় তখন লজ্জাবোধ করে অথচ তারা অশ্লিল কাজ করতে লজ্জাবোধ করেনা,অশ্লিল কথা বলতে লজ্জাবোধ করেনা,বন্ধু বান্ধব এমনকি পিতামাতার সাথে বসে অশ্লিল ছবি দেখতে বা কথা শুনতেও লজ্জাবোধ করেনা।রাসুল সা: এর কাছে সাহাবিয়াতরা এসে শরিয়তের বিষয় জিজ্গেস করতেন।নবী সা: এর সুন্নতগুলোর মধ্যে বিবাহের মাসলা মাসায়েল জানা একজন দম্পতির জন্য অতি আবশ্যক।আজ সারা দুনিয়ায় যে বিবাহগুলো হচ্ছে তার অধিকাংশই সুন্নতের খেলাপ।অভিনব পদ্ধতিতে বিয়ে হচ্ছে।মুসলমানদের বিয়ে দেখলে মনে হয় বিজাতীয়রাও এভাবে তাদের আচার অনুষ্ঠান করেনা। একজন দম্পতির যদি হালাল বিবাহ না হয় আর সে ঘরে যখন সন্তান আসবে সে সন্তানগুলোর অবস্হা কি হবে তা আমাদের কল্পনায় আসে না।তারপর যে সমস্ত মুসলমান ইসলামের মৌলিক কাজগুলো করে না তাদের অবস্হান কি? আজকের অনেক মুসলমান তো নামাজই পড়ে না শরিয়তে তাদের অবস্হান কি? কথা হলো, প্রথমে আমাদের মুসলিম হতে হবে তার পর অন্যান্য কাজগুলোকে শরিয়ত মেনে করতে হবে।
আমরা সমাজে কি দেখছি? যখন কেউ কুরআন ও হাদিসের মানব জীবনের অত্যন্ত গোপনীয় কথা স্মরন করে দেয় তখন অনেকে লজ্জায় মুখ লুকায়।তারা জানতে চায় না শরিয়তের ব্যাপারগুলো জানা তাদের জন্য আবশ্যক।কোন মিডিয়াতে যখন একজন ডাক্তার বা যৌন বিজ্গানী এমন এমন কথা বলেন তখন তারা শুনতে দ্বিধা করেন না।তারা বলতে চায় কুরআন ও হাদিসের কথা সব যায়গায় সরাসরি এভাবে বলা যাবে না।এটি গোপনীয় বিষয়।অথচ পরিবার মিলে অশ্লিল কথা বলতে তাদের বাধে না। কোন চর্মরোগ বিশেষজ্গ বা শিশু বিশেষজ্গ বা অন্য কোন রোগের চকিৎসকের সাথে যখন আমরা আলাপ করি তখন বুঝতে পারি আমাদের শারিরিক অংগ প্রত্যংগের ব্যাবহার বা দাম্পত্যজীবনে কিভাবে চললে স্বাস্হ ভাল থাকে বা অনাগত আমাদের সন্তানটি ভালভাবে দুনিয়ায় আগমন করতে পারে।হাদিসে এসেছে, এক অনসারি মহিলা রাসুল সা:কে হায়েজ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল এবং প্রশ্নেই সীমাবদ্ধ থাকেনি সেই সাহাবিয়াত বলেছিলেন খুব বেশী রক্তশ্রাব হচ্ছে।রাসূল সা: তাঁর চেহারা ফিরিয়ে নিলেন এবং উনার স্ত্রীকে সওয়ালের উত্তর দিতে বললেন।আয়াশা রা: বলেন রাসুল সা: কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে লজ্জাবোধ করতেন না।সেজন্য শরিয়তের যে কোন ব্যাপার জানার জন্য কোন বাধা নেই তবে পর্দার সাথে হতে হবে।আয়শা রা: হাজার হাজার মুহাদ্দেছিনদের শিক্ষিকা ছিলেন।শরিয়তের বিধিবিধান এভাবে আজ আমাদের কাছে এসেছে এবং এ চিলচিলা কেয়ামত পর্যন্ত চলবে।মানুষের জীবনের সৌন্দর্য হলো ঘর সংসার করা ও আল্লাহর ইবাদত করা।ঘর সংসারটি হয় বিবাহের মাধ্যমে।যদি এই নিয়মের মধ্যে জীবন না চলে তাহলে কি হয়? বর্তমান নতুন জেনারেশন অপসংস্কৃতির আলোকে তাদের নিয়মনীতির বাইরে ধাবিত করছে।অবাধ মেলামেশা,সমকামিতা ও যৌনাচার এখন তাদের একটি বাহন।তারা যে পরিবার থেকে এসেছে সেখানে রয়েছে দুটি সন্তানের পরিকল্পনা মাপিক পরিবার।তারা আরো বলে প্রতিষ্ঠিত হলেই বিয়ে দিতে হবে।কতটুকু সম্পদের মালিক হলে বা কতটা ডিগ্রি নিলে একজন মানুষ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় তার পরিমাপ তাদের মধ্যে নেই।কি এক সমাজে আমরা বাস করছি? যখন কেউ অশ্লিল একটি পোষাক পরে তখন তার মধ্যে অশ্লিলতা মনে হয় না কিন্তু যখন কেউ তাকে স্মরন করে দেয় এটি শরিয়তের দৃষ্টিতে অশ্লীল তখন সে লজ্জা বোধ করে যে এটি তো বলার বিষয় নয়।স্কুল কলেজে যদি সেক্ক্স বিষয়ে পড়ানো হয় তখন সেটা লজ্জার বিষয় নয় কিন্তু যদি শরিয়ত সম্পর্কে একই বিষয়ের অবতারনা করা হয় সেটা লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।ইসলামে তাহারাত(পবিত্রতা) এমন একটি বিষয় যা সবার জানা আবশ্যক তার জীবনের প্রতিটি কাজের জন্য।নিজে শিখে নেয়া ও অন্যকে শিখানোর এই কাজ যদি চালু না থাকে তাহলে সমাজ পংকিল হতে বাধ্য।আজকের সমাজের অশ্লিতার কারন হলো আমরা যে যতটুকু জানি তা প্রচারে বিমুখ হচ্ছি।আমাদের সবার এই দাওয়াতের কাজগুলো বেগবান করতে হবে যাতে এই পচনশীল সমাজের অস্হিরতা দূর হয়ে যায়।
রাসূল সা: আমাদের জন্য আদর্শ,সেজন্য তাঁর জীবনকে অনুসরন করা আমাদের কর্তব্য।সুরা রুমের ২১ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে তিনি তোমাদের মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন যুগলদের যেন তোমরা তাদের মধ্যে স্বস্তি পেতে পার আর তিনি তোমাদের মধ্যে মহব্বত সৃষ্টি করেছেন। নি:সন্দেহে এতেতো নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই লোকদের জন্য যারা চিন্তা করে।'হাদিসে রাসুল সা; বলেছেন তোমরা সে মহিলাকে বিয়ে কর যে বেশী সন্তান দিতে পারে।' এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারে কিভাবে বুঝবো কোন মহিলা বেশী সন্তান দিবে।হাদিস ব্যাখ্যা করেছে এ ব্যাপরে যে তোমরা দেখ, কোন পরিবারে বেশি সন্তানের প্রভাব রয়েছে।আজকের মুসলমানদের এত মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে যে তারা দেখে কোন পরিবারে সন্তান কম সে পরিবারে বিয়ে করবে।যে পরিবারে বেশী সন্তান রয়েছে সেই পরিবারের মেয়ে বিয়ে করা হলো সুন্নত।বিবাহের মাধ্যমে প্রথম যৌনস্বাধের উম্মেষ ঘটে এবং তার শুরু হয় বাসর রাতে।সুন্নতি কাজ হলো নব বিবাহিতা সত্রীর সাথে মহব্বতের সাথে সাক্ষাত করা ও কিছু উপহার দেয়া।মুস্তানে আহমেদ থেকে আসমা বিনতে এজিদ বলেন রাসূল সা: এর যখন বিবাহ হয় তখন আমি আয়াশা রা:কে বিবাহের জন্য তৈরি করিনি।যখন আয়শা রা;কে আমি তৈরি করলাম নবী সা: তার পাশে এলেন।রাসুল সা;কে এক পেয়ালা দুধ দেয়া হলো ও তিনি কিছুটা পান করে আয়শা রা;এর দিকে বাড়িয়ে দিলেন।আয়শা রা: লজ্জাবোধ করলেন।তখন আসমা কিছুটা কটাক্ষ করলেন আয়শা রা:কে যে রাসুল সা; দিয়েছেন তুমি পান কর।তিনি কিছুটা পান করলেন।তারপর সেখানে যারা ছিল সবাই পান করলো।আসমা যখন পান করবেন তখন তিনি খুজতেছিলেন রাসুল সা: কোন যায়গায় চুমুক দিয়েছেন সে যায়গা থেকে পান করবেন।এ থেকে প্রমানিত হয় সাহাবারা যেমন রাসুল সা:কে মহব্বত করতেন তেমনি সাহাবিয়াতরাও করতেন।বাসর রাতে যখন স্ত্রীর সাথে প্রথম দেখা হয় তখন একটি আমল রয়েছে যা সাহাবাদের থেকে পাওয়া যায়।নবদম্পতি দু'রাকাত নামাজ পড়তেন।স্বামী সামনে ও স্ত্রী পিছনে দাঁড়াবে।অনেকের কাছে শুনেছি একসাথে দাঁড়িয়ে দম্পতি নামাজ পড়ে।এ সাহাবাদের সুন্নতের বিপরীত।তার পর বিসমিল্লাহের সাথে স্ত্রীর কপালের উপরে যেখানে চুল রয়েছে সেখানে হাত রেখে বা হাদিসে রয়েছে সামনের চুল ধরে দোয়া পড়তে হয় যা আবুদাউদে রয়েছে , এটি সুন্নত ও বরকতের।প্রতিটি মানুষের বিবাহের একটি আকাংখ্যা থাকে বাসর রাতে সত্রীর সাথে মিলিত হওয়া ও যৌনসাধ গ্রহন করা।এখানেও একটি দোয়া রয়েছে।"আল্লাহুম্মা জান্নিবিশ শাইতোয়ানা ওয়া জান্নিবিশ শাইতোয়ানা মা রাজাক্কতানা।' হে আল্লাহ আমাদের শয়তান থেকে দূরে রাখ ও আমাদের সন্তানদেরও শয়তান থেকে দূরে রাখ।আল্লাহ পাক মানুষকে দাম্পত্য জীবনের প্রথমেই শিক্ষিত করে গড়ে তুলছেন যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম যারা আসবে তারা যেন সহিসালামতে ফিতরাতের সাথে দুনিয়ায় আসে।আল্লাহু আকবর! অনেক অশিক্ষিত ও দুনিয়ার শিক্ষিতদের কথা শুনা যায় সত্রী বাসর রাতের পর স্বামীর কাছে যেতে ভয় পায়।এর কারন হলো মহব্বতের ঘাটতি থাকে সেখানে।শিকারি যেমন অপেক্ষায় থাকে কোন কিছু ভক্ষনের জন্য কেউ কেউ সে আচরন করে।স্ত্রীর মানুষিক অবস্হা কি? সত্রী সুস্হ কিনা? আবার অনেকে স্ত্রীকে তো দাসীর মতই মনে করে।এখানে দু'জনের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে,ভালবাসার একটি অবস্হান রয়েছে,একে অন্যকে বুঝার ব্যাপার রয়েছে,তা তারা মনে করে না।সেজন্য দেখা যায় বাসর রাতেই অনেকের এই দীর্ঘ জীবনের পরিকল্পনায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়।অনেকে জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক কাজে।দাম্পত্য জীবনে দেখা দেয় কলহ।
দাম্পত্য জীবন হলো সারাটি জীবনের জন্য।সুখে দু:খে একসাথে থাকার পরিকল্পনাই রুপ নেয় একটি বিবাহে।এখানে পার্থিব সম্পদের চেয়ে প্রয়োজন চরম মহব্বতের।নব বিবাহিত জীবনে একে অন্যকে একটি খেলার সামগ্রী হিসেবে ভাবতে হবে।একজন নৌযুয়ান সাহাবী বিবাহিতা মহিলাকে বিয়ে করলেন।রাসুল সা: তাকে বললেন তুমি কুমারি কেন বিয়ে করলে না যাতে তুমি তার সাথে খেলতে ও সে তোমার সাথে খেলতে পারতো।তিনি বললেন আমার মায়ের ইন্তেকাল হয়ে গেল এবং আমার তিনটি বোন ছিল।যদি আমি কুমারি মেয়ে নিয়ে আসতাম তাহলে তাদের দেখাশুনার সমস্যা হতো।বিবাহিতা মেয়েকে বিয়ে করেছি যাতে তার অভিজ্গতা থেকে আমার বোনদের লালন পালন করতে পারে।ইসলাম এখানে আমাদের জন্য শিক্ষা রেখেছেন।নিজের বয়স থেকে যেমন বড় বয়সের মেয়েকে বিয়ে করা যায় তেমনি বিবাহিত মেয়েদের বিয়ে করা যায় এবং এটি হালাল।খাদিজা রা: এর সাথে যখন রসুল সা: এর বিয়ে হয় তখন রসুল সা: এর বয়স ছিল ২৫ এবং খাদিজা রা: এর বয়স ছিল ৪০ এবং খাদিজা রা: ছিলেন বিবাহিতা কিন্তু মক্কায় ছিলেন তিনি স্বনামধন্য এবং তাকে 'তাহেরা' বলা হতো।সেই জাহেলিয়াতের যুগে কোন অশ্লিলতা ছিল না স্বাধীন মহিলা ও পুরুষদের মধ্যে।আজ বৈজ্গানিক উন্নতির যুগে অশ্লিলতা দেখে মনে হয় এ যুগটিই জাহেলিয়াতের সে যুগকে অতিক্রম করে ফেলেছে।স্ত্রীর সাথে মিলনের আগে একটি মহব্বতের সম্পর্ক রয়েছে।এটি কোন মেশিন নয় যে বাটুন চাপলেই কাজ শুরু হয়ে যায়।এর জন্য মানুষিক অবস্হার পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।সুখি দাম্পত্য জীবন গড়ে তোলার জন্য দুজনের পারস্পরিক মহব্বত থাকা প্রয়োজন।এখানে লজ্জার কোন ব্যাপার নেই।একে অন্যকে নিজের সুবিধা অসুবিধার কথা অনায়াসে বলতে পারে।স্ত্রীর কাছে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে যেতে পারে। সুরা বাক্কারার ২২৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য ক্ষেতখামার।সুতরাং তোমরা যেমন ইচ্ছা কর তেমনি তোমাদের ক্ষেতখামারে গমন কর।' এই আয়াতটির ব্যাখ্যা অনেকে হাদিস না পড়ার কারনে বুঝতে পারে না।ছহি বোখারিতে এসেছে সংগম করতে হবে যে পথে সন্তান জন্ম নেয় বা বেরিয়ে আসে।যে কোন অবস্হানে সংগম করা যাবে তবে শর্ত হলো একটি তা হতে হবে যে পথে সন্তান জন্ম নেয়।অন্য কোন পথ বেচে নেয়া হলো হারাম।সবচেয়ে উত্তম হলো স্ত্রীকে চিত হয়ে শুইয়ে দেয়া অবস্হায়।আধুনিক যুগে অশ্লিল ভিডিও ছেড়ে দিয়ে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।সুন্নত ছেড়ে দিয়ে বিজাতীয় সংস্ক্বৃতিকে অনুসরন করছে।স্ত্রী বা স্বামীর যে কোন অংগে চুমু দেয়া যায়েয দুটি হারাম যায়গা ছাড়া তা হলো যৌনাংগ এবং মলদ্বার।''69' অবস্হান বলতে একটি অবস্হানের কথা শুনা যায়।এটি আবিস্কার করেছে অশ্লিল ভিডিও থেকে।স্বামী- স্ত্রীর বা স্ত্রী - স্বামীর যৌনাংগে চুমু বিনিময় করেন যা শরিয়তে সম্পুর্ন হারাম।সুতরাং স্বামী বা স্ত্রীর উপরে বর্নীত দুটি যায়গা ছাড়া শরীরের যে কোন স্হানে চুমু দেয়া যায়েয রয়েছে।স্বামী স্ত্রীর বিনোদন রয়েছে তাদের অন্দর মহলে।তারা সাজতে পারে ও স্ত্রীর অংগপ্রত্যংগ দেখতে পারে।সুরা বাক্কারার ১৮৭ আয়াতে আল্লাহ বলছেন,তারা তোমাদের জন্য এবং তোমরাও তাদের জন্য পোষাক।' পোষাক যেমন শরীরের সাথে লেগে থাকে তেমনি স্বামী স্ত্রীকেও সেভাবে বুঝানো হয়েছে।আমাদের সমাজে দেখি এখন উল্টোটি।কে কত বেশী নিজেকে প্রদর্শিত করতে পারে তার প্রতিযোগিতা হয় এখন পার্টিগুলোতে।এ সমস্ত মহিলা ও পুরুষরা তাদের ঘরে পরিচ্ছন্ন থাকেন না।এমনকি শুনা যায় স্বামীরা যখন ঘরে আসবে তখন ঘরের পুরনো কাপড়টি স্ত্রী পরে থাকে।একে অন্যকে আকর্ষিত করার জন্য পরিপাটির প্রয়োজন রয়েছে। একটি পরিবার হলো রাষ্ট্রের একক।দাম্পত্যজীবনটি প্রতিষ্ঠিত হলে তার পরিবারটি প্রতিষ্ঠিত হবে এটিই স্বাভাবিক।আমাদের মুল সমস্যা হোল এখানে যা নিয়ে আমরা কেউ ভাবছি বলে মনে হয় না।শুধু আমরা সমস্যার কথা বলছি,সেমিনার করছি।আমরা যারা এভাবে গলাবাজি করছি তাদের অনেকের ঘরে অন্যায় অবিচার কানায় কানায় পূর্ন।
মনে রাখতে হবে সমকামিতা হারাম করা হয়েছে।মলদ্বারে যৌনাংগ প্রবেশ করানো হারাম করা হয়েছে।পাছেক মুসলমানরা যারা উন্নত দেশ বলে ইউরোপের দেশগুলোতে যায় সেখানে অধিকাংশ দেশ পার্মানেন্টে সমাকামিতাকে আইনে পরিনত করেছে।যারা উন্নত জীবন উপভোগ করতে যায় সেখানে রয়েছে লুতের সমপ্রদায় যারা সমকামিতাকে তাদের সংবিধানে স্হায়ী করেছে।আলকুরআনে সুরা নিসার ৯৭ আয়াতে তাদের মৃত্যুর সময় কঠিন আযাবের কথা বর্ননা করা হয়েছে যারা ঐ সমস্ত দেশে হিজরত করে।তিরমিযি শরীফের হাদিসে এসেছে যারা শরিয়তের বিধানের বাইরে সংগম করবে আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের দেখবেন না অর্থাৎ রহম করবেন না।' হায়েয- নেফাসের সময় সংগম করাকে হারাম করা হয়েছে।আজকাল অনেকের প্রশ্নের অবতারনা হচ্ছে যেমন-আমার যৌনাংগ ছোট আমি কি বিয়ে করতে পারবো? আমি কিভাবে রতিক্রিয়ায় আধাঘন্টা থাকতে পারবো? কোথা থেকে এই প্রশ্নের অবতারনা হলো? এর কারন হলো অশ্লিল ছবি দেখা।আপনার যৌনাংগ ছোট কিভাবে বুঝলেন? কারন আপনি অন্য একটি যৌনাংগ দেখেছেন।আল্লাহ পাক মানুষের শরীর গঠন এমন ভাবে সৃষ্টি করেছেন যে,যৌনাংগ ছোট বা বড়তে কোন ব্যাবধান নেই।হাঁ-কিছু সমস্যা থাকতে পারে যা প্রাকৃতিক বা অসুস্হতা জনিত কারনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।সেজন্য বিশেষজ্গ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।কিন্তু অন্য একটি যৌনাংগ দেখে নিজেকে হীন মনে করা বা তুলনা করলে বিবাহিত জীবনে অশান্তিই আসতে পারে।অনেক তরুন যৌনাংগকে বাড়ানোর জন্য ডাক্তার ও কবিরাজদের স্মরনাপন্য হয়।আর অনৈতিক এ সব চিকিৎসকগন তাদের এই দুর্বলতার সুযুগ নিয়ে হাজার হাজার টাকা আয় করে থাকেন।এক্ক্সারসাইজের মাধ্যমে শরীরের অন্য অংগপ্রত্যংগকে যেমন শক্তিশালী করা যায়,যৌনাংগকে করা যায় না।এর সম্প্রসারন ও বৃদ্ধি হয় রক্ত চলাচলের মাধ্যমে।একজন মানুষ ও আর একজন মানুষের মধ্যে পরিবেশের পার্থক্য থাকতে পারে।মানুষের দেহের বৃদ্ধি ও শক্তি সামর্থের জন্য সুস্হ পরিবেশ ও উন্নত ও পুষ্টিকর খাবার দাবার প্রয়োজন হয়।এ কারনে কেউ কেউ যৌনতৃপ্তির ক্ষেত্রে বেশী আনন্দ উপভোগ করতে পারে। সুতরাং অবৈধ কোন পথে হাঁটার দরকার নেই।নিজেকে পারিপার্শিক অবস্হার সাথে খাপখাইয়ে নিয়ে মানুষিক স্বস্তি দিতে পারলে দাম্পত্য জীবন আনন্দময় করে তোলা যেতে পারে।
দাম্পত্য জীবনে অনেকের মধ্যে দেখা যায় একবার স্ত্রী সংগম করার পর আর একবার সংগম করতে চায়।এ ব্যাপারে স্বাস্হগত দিক হলো অজু করে দুজনেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে।এতে মানুষিক একটি রিপ্রেসনেস রয়েছে।পুষ্টিকর মিষ্টান্ন বা দুধ পান করা যেতে পারে যাতে পুর্ন উদ্দম ফিরে আসে।তিরমিযিতে বর্নীত হয়েছে জুমার রাতে যদি স্বামী স্ত্রীর মিলন হয় ফযরের আগে দুজনেই গোসল করে,জুমআর নামাজে প্রথম কাতারে সামিল হয় ও খতিবের নিকটে গিয়ে বসে , খুতবা শুনে ও নামাজ শেষ করে ঘরে ফিরে তাহলে এক বছর রোজা ও নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়।' ছহি মুসলিমে বলা হয়েছে স্বামী স্ত্রী একসাথে গোসল করতে পারে।সংগম হলে পরে গোসল করে নেয়া ভাল আর যদি না হয় তাহলে ওজু করে ফযরের আগে গোসল করে নিতে হবে।আবার অনেকে রোজার রাতে মনে করে গোসল ছাড়া সেহরি খাওয়া যাবে না।এটি ঠিক নয় সেহরির সময় পার হলে আগে ওজু করে সেহরি খেতে হবে ও পরে ফরয গোসল করতে হবে। রাসুল সা: সংগমের পর যৌনাংগ ধুয়ে ফেলতেন ও ওজু করে নিতেন।যারা বলে গোসল না করে শুইলে শয়তানের আশ্রয়ে থাকে তা সুন্নাহ বিরোধী কথা।কোন স্ত্রী যদি নফল রোজা রাখে আর স্বামী বাইরে থেকে আসে ও স্ত্রীকে মিলনের জন্য ডাকে তাহলে নফল রোজা ভেংগে দিতে হবে।শরিয়তে দিনে রাতে যে কোন সময় স্বামি স্ত্রী মিলন হতে পারে।তবে খেয়াল রাখতে হবে নামাজ বাদ দিয়ে নয়।শয়তান মানুষকে কখনো ভাল কাজের দিকে প্ররোচিত করে না।সে সব সময় চায় অনাচার সৃষ্টি করতে।আর মানুষের দেহটি এমন একটি জিনিস যেখানে রয়েছে নফস ,রুহ ও ক্কালবের সমষ্টি যা অধিকাংশ মানুষের জানা নেই।এটিকে বুঝতে পারলে মানুষের সব কাজই সফল হতে পারে। নফস সম্পর্কে আলকুরআনে অনেক যায়গায়ই বলা হয়েছে,সব প্রানীর মৃত্যু হবে।এখানে নফস এর অর্থ হলো প্রান।রাসুল সা: হদিসেও আল্লাহর কসম করে বলেছেন,যার হাতে আমার প্রান।'আবার সুরা ইউছুফে বলা হয়েছে,'নফসের কাজই হলো খারাপ কাজের হুকুম করা।আমাদের এই যে দেহটি এর কোন নৈতিক চেতনা নেই।এর কাজ হলো এই বস্তু জগতটি কিভাবে ভোগ করা যায়।আমাদের মনে রাখতে হবে আল্লাহ পাক এই সৃষ্টি জগতটি আমাদের ভোগের জন্যই সৃষ্টি করেছেন।এর এখতিয়ার একমাত্র মানুষের এমনকি জ্বিনকেও এর এখতিয়ার দেয়া হয় নি।বিজ্গানের এই যে প্রভূত উন্নতি হচ্ছে এর অবদান মানুষের, জ্বীনদের নয়।এ পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে তা ভোগ করার দাবী করে এই দেহটি এবং এটিই হলো নফস।একটি ভারবাহি পশু যেমন নিজের ও পরের বলে কিছু বুঝে না এই নফসটিও তাই।যাই পায় সে ভোগ করতে চায়।কিন্তু আর একটি সত্তা আছে আমাদের দেহে সে কিন্তু এ সব রকম ভোগ পছন্দ করে না এবং তার নাম হলো 'রুহ'।নফস যখন খারাপ একটি কাজ করে তখন রুহ বাধা হয়ে দাঁড়ায় কারন তার নৈতিক চেতনা আছে।নফস এবং রুহের এই পার্থক্যটি আমাদের বুঝতে হবে।ধরুন-অনেকে নিজের সুন্দরী স্ত্রী থাকতেও যখন অন্যের স্ত্রীর দিকে দৃষ্টি দেয় তখন নিশ্চই প্রথমে নিজের স্ত্রীর কথা স্মরনে আসে।কে স্মরন করে দেয়? এটি রুহের কাজ।মানুষের প্রতিটি মন্দ কাজের জন্য এই লড়াই চলতে থাকে নফস ও রুহের সাথে। চূড়ান্ত লড়াইয়ে যে টিকে যায় সে-ই জিতে যায়।সেজন্য বুঝতে হবে নফস বস্তু কিন্তু রুহ বস্তু নয়।সর্ব প্রথম আদম আ:কে সৃষ্টি করে আল্লাহ পাক তাঁর রুহ ফুকে দিলেন।এটি আল্লাহর একটি আদেশ বা সৃষ্টি।এটি আল্লাহর কোন অংশ নয়।আদম আ: এর পৃষ্ঠদেশ থেকে সমস্ত মানুষকে সৃষ্টি করে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন আমি কি তোমাদের রব নই? সবাই জবাব দিয়েছিল,আমরা সাক্ষি দিচ্ছি তুমিই আমাদের রব।এ কথাটি মানুষের মনে থাকার কথা নয়।আমাদের অতীতের অনেক কথাই আমাদের মনে থাকে না।সেজন্য দেহটি একটি পশু আর রুহটি হলো আসল মানুষ।মানব সত্তাকে দেয়া হয়েছে একটি বিশ্বজগত আর একে ব্যাবহারের যন্ত্রটি হলো এই দেহ।এটি দিয়ে ভাল কাজ যেমন করা যায় তেমনি করা যায় খারাপ কাজ।রসূল সা: একটি হাদিসে এটিকে ঘোড়ার সাথে তুলনা করেছেন।একটি ঘোড়াকে যদি একটি খুটির সাথে বেধে দেয়া হয় ও যতটুকু রশি দেয়া হয় এবং যতটুকু যেতে পারে ততটুকুই তার স্বাধীনতা।মানুষের দেহটিও এরকম এক নিয়ন্ত্রনের জিনিস।যদি একে নিয়ন্ত্রন না করা হয় তাহলে সে আর আপন পর বুঝবে না।মানুষের বড় পরিচয় হলো তার নৈতিক সত্তা,অন্যান্য জীবজন্তু যা রয়েছে তাদের নৈতিক দিক নেই।নৈতিক সত্তা যেমন রয়েছে মানুষের তেমনি রয়েছে জ্বীন ও ফেরেস্তার।ফেরেস্তা ভাল মন্দ জানে তবে তার মন্দ কিছু করার ইখতিয়ার নেই।মানুষের মত জ্বীন ভাল মন্দ দুটো-ই করতে পারে সেজন্য তার শাস্তি ও পুরস্কার রয়েছে তবে খেলাফতের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয় নি।একজন মানুষ যদি রুহ ও নফসের কাজটি সফল ভাবে বুঝতে পারে তাহলে তাকে সে পরিশুদ্ধ করতে পারে।আমাদের মধ্যে 'আমিত্ত' যে বিষয়টি রয়েছে তা মরে যাওয়ার সাথে নি:শ্বেষ হয়ে যায়।আমরা মানুষের মন্দ কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় বলে থাকি যে এ মানুষটি প্রকৃত অর্থে মানুষ নয়।যখন কোন মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্বের বিকাশ গড়ে উঠে না তখন তাকে মানুষ বলা যায় না।
আগেই বলেছি আমরা যখন কোন কাজ করতে যাই তখন আমাদের দেহ নামক নফসটির সাথে রুহের সংঘর্ষ বেধে যায়।আমরা যদি একটু চিন্তা করি তাহলে দেখবো যখন আমরা একটি অঘঠন ঘটিয়ে ফেলি তখন আমাদের মন আমাদের তিরস্কার করে।বস্তুত এ খারাপ কাজের জন্য প্রথমেই রুহ বাধা দেয় যা মননে জেগে উঠে তার পরও আমরা খারাপ কাজটি করি।একটি নফসের তিনটি অবস্হার সৃষ্টি হয়।একটিকে বলা হয় নফসে আম্মারা বা হুকুমের নফস।এমন অনেক নফস রয়েছে যে বিষয়গুলো পাওয়ার সে দাবি করে কিন্তু রুহ তা ফেরাতে ব্যার্থ হয় এই অবস্হাটিই হলো নফসে আম্মারা।যাদের ঈমান নেই বা বিশেষ ক্রুটি রয়েছে তারাই এ কাজ করে থাকে।সূরা ইউছুফে ইউছুফ আ: বলেছিলেন,আমার নফস যে সৎ তা আমি দাবি করিনা।কারন নফসের কাজই হলো মন্দ কাজে হুকুম করা।একমাত্র আমার রব যার উপর রহম করেন সেই বাঁচতে পারে।'জোলেখার আকর্ষন থেকে ইউছুফ আ; নিজে বেঁচে যান নি একমাত্র আল্লাহই তাকে বাঁচিয়েছেন।এখানে বুঝার একটি ব্যাপার রয়েছে যারা ফাহেসা ও খারাপ কাজ করে তাদের বুঝতে হবে তাদের নফস একশত ভাগ জয়ী হয়েছে এবং তাদের কোন ঈমান নেই।যাদের ঈমান আছে তাদের ব্যাপারটি হলো এমন যে,তাদের নফস ও রুহের মধ্যে লড়াই চলতে থাকে।কখনো নফস জয়ী হয় আবার কখনো রুহ।এই অবস্হাটিকে আলকুরআনে সুরা ক্কিয়ামার প্রথমে 'নফসে লাউয়্যামা'বলা হয়েছে।এই নফসটি বাধাপ্রাপ্ত হয় বা যাকে ভৎসনা করা হয়।এখানে হতে পারে অধিকাংশ মানুষের নফস জয়ী হয়েছে বা হেরে গেছে কিন্তু তাদের বিজয়ের পার্থক্য রয়েছে।ধরুন-একজন ছাত্র যে ৪০% পেয়ে পাশ করেছে এবং আর একজন যে ৯৫% পেয়ে পাশ করেছে এমন।নফসে লাউয়্যামার অবস্হাটি এমন।নফসের আর একটি অবস্হা হলো 'নফসে মুতমায়িন্নাহ' যে আয়াতটি রয়েছে সুরা ফযরের শেষের দিকে।এখানে নফস একশত ভাগ পরাযিত।রুহ এখানে এমন শক্তিশালী যে নফসের পক্ষে সম্ভব নয় কোন মন্দ কাজের প্ররোচনা দেয়া।এ অবস্হার মানুষ সমাজে কম দেখা যায় তবে আছে।সমাজে সব সময় কোন মানুষকে মনিটর করা হলে বুঝতে পারা যায়।নফস শান্ত হলে একজন মু'মিন আর দুনিয়ামুখী থাকে না।তার মধ্যে কল্যান আর কল্যানের চিন্তা থাকে।আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্যের বাইরে সে আর কোন কাজ করতে পারে না।আল কুরআনে তাদের এই অবস্হানকে 'আল্লাহর ওলি' নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।আল্লাহর ওলিদের কোন ভয় নেই।যারা আল্লাহর ওলিদের আল্লাহর ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত করে ফেলে তারা হলো শয়তানের দোসর।আল্লাহর ওলিরা হলো আল্লাহর শ্রেষ্ঠ দাস।আল্লাহ পাক সবাইকে সাধারন ভাবে দাস হিসেবেই সম্বোধন করেন।সুরা যুমারের ৫৩ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তুমি বলে দাও-হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের বিরুদ্ধে অত্যাচার করেছ,তোমরা আল্লাহর করুনা হতে নিরাশ হয়োনা।' এখানে গুনাহগার বান্দাদেরও আল্লাহ দাস হিসেবে সম্বোধন করেছেন।সুতরাং বান্দা ভাল বা মন্দ উভয়েই আল্লাহর দাস।আল্লাহর এই স্নেহের দাস যখন মানুষ হয়ে যাবে তখন মানুষ তার প্রতিটি কাজকে জানতে শিখবে কোনটি ইসলামিক ও কোনটি অনিসলামিক।সেটা শুধু দাম্পত্য জীবনেই নয়,আল্লাহর প্রতিটি ইবাদতই তার জন্য তখন ফরয হয়ে দাঁড়াবে,সে জানার ও মানার চেষ্টা করবে।যেহেতু বিবাহের মাধ্যমে মানুষের বংশ বিস্তার হয় সেহেতু বিবাহের আগেই এর নিয়মকানুন গুলো জেনে নেয়া আবশ্যক।স্কুল ,কলেজ গুলোতে যদি ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো সংযোযিত হতো তাহলে আজকের এই সামাজিক অনাচার এত বৃদ্ধি হতোনা।আমাদের সময় এসেছে ব্যাক্তি পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রে এই ফরয কাজটির বিচার ও বিশ্লেষন করা-যা রোধ করবে সব অশ্লিলতা ও অন্ধকার।
বিষয়: বিবিধ
৪৮৪৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আমাদের অশ্লীলতা হতে হেফাজত করুন।
পোস্টের সাইজ দেখেই অনেকে পোস্ট টি পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন!
তিন/চার পর্বে দিলে পাঠকের জন্য আকর্ষণীয় হতো!!
কেউ কেউ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে পোস্ট করেন- তাঁদের কথা ভিন্ন!
জাযাকাল্লাহ..
ব্লগার ম্যামদেরকেও আহবান জানাই এই পোস্টে তাদের মূল্যবান মন্তব্য ও মতামত প্রদান করার জন্য ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন