নৈতিকতা বিবর্জিত রাজনীতি ছেড়ে সঠিক ইসলামের রাজনীতিতে আসুন,দেশকে ভালবাসুন , দেশের মানুষকে মনের গহীনে স্হান দিন।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৯:০০:৫১ রাত
আমরা কতটা নির্মম ও মুল্যবোধহীন হলে মানুষ মেরে ফেলতে পারি।একথা তো সবার জানা, এ পৈচাশিক কাজগুলো করা হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রিত তাদের গোলামদের দ্বারা যারা বিবেক ও বোধহীন।যারা সামান্য টাকার বিনিময়ে অনেকগুলো প্রানের সংহার করেন।আমার মনে পড়ে সুরা আহযাবের ৬৭/৬৮ আয়াতের কথা।বড় নেতারা যারা এ কাজগুলো করাচ্ছে,কেয়ামতের দিন ছোট পাতি নেতারা বলবে,'আমাদের প্রভু! আমরাতো আমাদের বড় নেতাদের ও আমাদের বড়লোকদের আজ্গাপালন করেছিলাম।তারা আমাদের পথ থেকে বিপথে নিয়ে গেছে।আমাদের প্রভু! দ্বিগুন পরিমান শাস্তি তাদের প্রদান কর আর ধিক্কার দাও বিরাট ধিক্কারে।' দুই জোটের সবাই জানে তারা কেন এ কাজগুলো করছে।এরা একদল শাসন করছে আর এক দল বাইরে থেকে শাসন ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।এই অপরাজনীতি তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।এটি মানুষের প্রতি তাদের ভালবাসা নয়।আজকের এই অবস্হার জন্য আমরা একটু পিছনে ফিরে গেলেই দেখতে পাব তখন আজকের ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কি করেছিল? যারাই দেশে সাধারন মানুষ সহ অন্যদের উপর অত্যাচার করে,দেশের সম্পদ ধংস করে, তারা মানুষের শক্রু এতে কোন সন্দেহ নেই।১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল,এই সময়টি দেখলে আমরা বুঝে নিতে পারি তখন কি হয়েছিল? বর্তমান সমস্যাকে দেখতে হলে আমাদের অতীতকে জানতে হবে।১৯৯৫ সালে এস এস সি পরীক্ষার সময় ৮দিন হর্তাল করেছিল আওয়ামিলীগ।১৯৯৬ সালে এইচ এস সি পরীক্ষা ৩ মাস পিছিয়ে গিয়েছিল আওয়ামিলীগের অবরোধের কারনে।২০০২ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার সময় পর পর ২ বার হর্তাল দিয়েছিল আওয়ামিলীগ।২০০৫ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার সময় লাগাতার হর্তাল দিয়েছিল আওয়ামিলীগ।শুধু তাই নয় ১৯৯৬ সালে স্কুল কলেজে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল এবং শিক্ষা সচিবদের রাস্তায় উলংগ করে লান্চিত করা হয়েছিল।১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ১৭৩ দিন হর্তাল আহ্বান করেছিল আওয়ামিলীগ।আমরা রাজনীতির এই সংস্কৃতিকে ঘৃনা করি।কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো-মানুষ সম্পর্কে মানুষের সামান্য এই মমতা কি তারা ক্ষমতার জন্য ভুলে গেল? আবার এই গনমানুষই তাদের ক্ষমতায় বসায়।কি বৈচিত্র এদেশের মানুষের মননে? একটি ঘটনা কি আমাদের হৃদয়কে নাড়া দিতে পারেনা? যেখানে ঘটছে অসংখ্য বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
রাত তখন ৩টার মতো। বাসভরা মানুষ ঘুমিয়ে। জেগে আছেন শুধু মাঝ বয়সী মাফরুহা বেগম। পাশে তাঁর স্বামী ও কিশোরী মেয়েটিও ঘুমে। বাস ছুটছে ঢাকার দিকে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে আসার পর হঠাৎ মাফরুহা দেখেন, রাস্তার বাঁ পাশ থেকে এক দল লোক কিছু একটা ছুড়ে মারল। জিনিসটা জানালার কাচ ভেঙে বাসের মধ্যে ঢুকেই সশব্দে বিস্ফোরিত হলো, আর সঙ্গে সঙ্গে গোটা বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ল। চালক বাস থামিয়ে পাশের জানালার কাচ ভেঙে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে চিৎকার দিতে থাকেন। আর বাসের ভেতরে চলে অগ্নিদগ্ধ যাত্রীদের আর্তনাদ, ছোটাছুটি। মাফরুহা বেগম দেখলেন, তাঁর স্বামী ও মেয়ের গায়ে আগুন ধরে গেছে। তাদের বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে থাকলেন। কিন্তু ততক্ষণে গোটা বাসে দাউদাউ আগুন। লেলিহান শিখার কাছে অসহায় মাফরুহা জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে জ্ঞান হারালেন। তিনি জানতেও পারলেন না, অনেক আবদার ধরে কক্সবাজার থেকে সমুদ্র দেখে আসা আদরের মেয়েটি তাঁর পুড়ে শেষ আর ওর বাবা পুড়ে অঙ্গার। একই সঙ্গে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আরো পাঁচটি প্রাণ। গুরুতর দগ্ধ হয়েছে ১৩ যাত্রী; বাঁচার জন্য জানালা ভেঙে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছে আরো ১৬ জন। আর এই পৈশাচিক কাণ্ড করেছে সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ-হরতালের সমর্থক একদল দুর্বৃত্ত পেট্রলবোমা ছুড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী রমজান মিয়া জানান, ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের বাসটিতে যাত্রী ছিলেন ৪০ জনের মতো। গভীর রাতে যাত্রীদের বেশির ভাগই ঘুমিয়ে ছিলেন। নৈশ বাস হওয়ায় বাসের দরজাও ছিল তালাবদ্ধ।
জেগে থাকা যাত্রী মাফরুহা বেগমের কাছ থেকে জানা যায়, বাসটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে আসার পর তিনি দেখতে পান বাঁ পাশ থেকে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। বোমাটি বাসের জানালার কাচ ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিস্ফোরিত হলে পুরো বাসে আগুন ধরে যায়। তখন বাসচালক নোয়াখালীর মাইজদীর সোনাপুরের দুলাল মিয়া গ্লাস ভেঙে লাফিয়ে পড়ে চিৎকার দিতে থাকেন। এ সময় মাফরুহা বেগম তাঁর স্বামী ঠিকাদার নুরুজ্জামান পপলু ও মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী মাইশা তাসমিনের শরীরে আগুন দেখে তাদের বাঁচাতে তৎপর হন। কিন্তু বাসে আগুনের লেলিহান শিখার কাছে অসহায় হয়ে এক সময় তিনি জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান।প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, খবর পেয়ে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায় সাত যাত্রী। এদের মধ্যে আবু ইউসুফ, আবু তাহের ঢাকার পথে যাত্রা করেছিলেন কাতার যাওয়ার উদ্দেশে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মনির হোসেন জানান, দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় বাসে আগুন লাগার ঘটনা চৌদ্দগ্রাম ফায়ার স্টেশন জানতে পারে রাত ৩টা ১২ মিনিটে। খবর পেয়ে ওই স্টেশনের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হতাহতের ঘটনা ঘটে যায়।মনির হোসেন আরো বলেন, তাঁরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছেন তখন আগুন নিয়ন্ত্রণে ছিল। সামান্য ধোঁয়া উড়ছিল। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগলেও এর মধ্যে পুরো বাসই পুড়ে যায়। ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাসের ভেতরে সাতজন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করেন এবং বাসের বাইরে ১৪ জন আহত যাত্রীকে দ্রুত চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।এ ঘটনাগুলোর প্রতিকার কি বা কে জবাব দিবে? সরকার না বিরোধীদল।আমরা দু'জোটকেই দায়ী করবো।যারা অপরাধগুলো করছে তাদের কি আইনশৃংখলা বাহিনী ধরতে পারছে? তাদের বিচার হচ্ছে কি? দেশে আইনের শাসন নেই ও কোন বিচার ও নেই।বিচারকরা সব সময়ই ক্ষমতাবানদের হাতের পুতুল তারা নীরপেক্ষ ভাবে কাজ করেনা ও করতে পারে না।ইংল্যান্ডের বিখ্যাত বিচারক লর্ড টার্নিং বলেছেন,অভিনেতাদের মত অন্যদের খুশি করার জন্য বিচারকরা কথা বলে না।বিচারকরা উকিলদের মত বিচার জিতার জন্য কথা বলে না।ঐতিহাসিকদের মত অতীতকে জানার জন্য বিচারকরা কথা বলে না।বিচারকরা কথা বলে রায় দেয়ার জন্য।বিচারকদের কাজ হলো মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলা।কোন অন্যায় হলে অন্যায়ের পক্ষে কথা বলা ও সঠিক রায় দেয়া তাদের কাজ।যদি বিচারকরা সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা না বলে তাহলে মানুষের পক্ষে কথা বলার আর কে আছে?আমাদের কাছে এখন প্রমানিত সত্য, এখন সন্ত্রাসীদের ভায়োলেন্সের জবাব দিতে গিয়ে দেশের সরকার আরো বেশী ভায়োলেন্সের জন্ম দেয় ও এভাবে ভায়োলেন্স বাড়তে থাকে।এ দেশ তো রাজনীতিবিদদের একার নয়,এদেশ আমার ও আপনার।আমাদের সবারই দায়িত্ব নিতে হবে কিন্তু আমরা তো বিভক্ত সেজন্য আমাদের সুন্দর স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারছিনা। মহাকবি স্যার ড. আল্লামা মুহম্মদ ইকবাল ছিলেন একজন বহুমুখী প্রতিভার বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি ছিলেন একাধারে মহাকবি, বিশ্বনন্দিত দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ও আইনজীবি (ব্যারিস্টার)।তিনি তার মুখনি:সৃত অমর বানীতে বলেছিলেন-‘আরব আমার, ভারত আমার, চীনও আমার-নহে তো পর-মুসলিম আমি,- জাহান জুড়িয়া ছড়ানো রয়েছে আমার ঘর।’ভারতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এপিজে আব্দুল কালাম আজাদ একবার ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে সংক্ষিপ্ত একটি ভাষনে বলেছিলেন,'I am the bold citizen.every citizen is my kith & kin.where there is richestness in the heart,there is beauty in the character,when there is beauty in the character ,there is harmony in the home,when there is harmony in the home, there is order in the nation,when there is order in the nation,there is peace in the world.'
আমি সেকুলার ও জাতীয়তাবদের রাজনীতির পক্ষে নই যদিও তারা দেশ শাসন করছে।তারা যতটুকু ভাল করে তার সাথী আর যা খারাপ করে তাকে ঘৃনা ও প্রতিবাদ করি। আমি একজন ইসলামপ্রিয় মুসলমান এবং এটিই আমার বড় পরিচয়।আমাদের দেশে ইসলামের কাজ হচ্ছে অনেক কিন্তু ইসলামের কাজগুলো করতে যে মুলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে হয় সেটি অনুপস্হিত।আমাদের ইসলামের বিজ্গ অনেক ব্যাক্তিত্ব রয়েছেন,ইসলামের পক্ষে রাজনীতি করেন এমন ব্যাক্তিত্ব ও রয়েছেন তাদের প্রতি সম্মান এবং বিনয় রেখেই বলছি আপনারা একটু ভেবে দেখুন দেশে যে বিপর্যয় চলছে গত ৪৩ বছর ধরে এর দায় ভাগ কি আমাদের সবার নয়? সেকুলার ও জাতীয়তাবাদের জন্য ইসলামটি এক রকম।সেকুলার ও জাতীয়তাবাদিরা ইসলামকে ভালবাসে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার ভিত্তিতে।এটি তাদের নিছক একটি ভোটব্যাংক যা তারা হারাতে চায় না।এজন্য তারা ইসলামি দলগুলোকে বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে হাত করতে চায় এবং অনেকে বড় দু'দলে বিভক্ত।তারা কি ইসলামকে নিয়ে চিন্তা করেছে কিভাবে রাসুল সা: ইসলামের বিজয় করেছেন? ইসলামের অনেক দল আছে যারা সেকুলার ও জাতীয়তাবাদীদলের চোখের শূল নয় কারন তারা শাসন ক্ষমতায় যেতে চায় না কিন্তু জামাতে ইসলাম তাদের চোখের শূল কারন তারা তাদের ক্ষমতায় ভাগ বসাতে যায় ও শাসন ক্ষমতা চায়।আর তারা মনে করে এরা ক্ষমতায় আসলে কুরআন ও সুন্নাহের আইন বাস্তবায়ন করবে যদিও ইসলামের পূর্ন বাস্তবায়ন তাদের পক্ষে সম্ভব নয় আমাদের সংবিধান পরিবর্তন করে।তবে ইসলামের মৌলিক কাজটি বাস্তবায়ন করতে পারলেও সমাজ স্হিতিশীল থাকবে।আল্লাহ পাক সুরা হজ্জের ৪১ আয়াতে বলেছেন,'আমরা যদি এদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করি তাহলে এরা নামাজ কায়েম করবে ,যাকাত আদায় করবে,সৎ কাজের আদেশ করবে ও অসৎ কাজের নির্দেশ দিবে।' জন্মভূমির জন্য যাদের ভালবাসা নেই ,যাদের প্রান কাঁদে না,মানুষের দু:খ দুর্দশা দেখে যারা বিচলিত হয় না তাদের মানুষ বলে আখ্যায়িত করা যায় কিভাবে।আবার কিছু আত্মস্বার্থের মানুষকে দেখছি তারা দেশ নিয়ে ভাবে না।তল্পি তল্পা সহ বিদেশে আরামে বাস করছে।দেশ থেকে আয়ের অংশ বিদেশে বসে খরচ করছে।আমরা যারা বিদেশে থাকি তাদের ঈমান অনেক দুর্বল বলেই থাকি।আর একটি কারন হলো আর্থ সামাজিক অবস্হা।কিন্তু আমরা যদি দেখি রসুল সা: যখন হিজরত করে মদিনায় গেলেন তখন ফিরে ফিরে মক্কার দিকে তাকালেন এবং বললেন যদি আমি বাধ্য না হতাম তাহলে মক্কা ছেড়ে যেতাম না।আমরা যদি ঈমানের কিছু অংশও ধারন করি তাহলে যে যার যায়গা থেকে দেশের কল্যানে কাজ করতে পারি।যারা অনেকে ইসলামের আত্মত্যাগের কথা বলছেন তারা তাদের পরিবারকে ইহুদি খৃষ্টানের দেশে রেখে দেশে রাজনীতি করছেন।তাদের ঈমান যদি এত শক্তই হয় তাহলে কেন তাদের পরিবার সে সব দেশে থাকবে? আমাদের মুসলিমদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে ইসলামের কাজ করা তার বিজয়কে চিনিয়ে আনার জন্য।তবে পথটি কি? পথটি হলো রসুল সা: এর প্রদর্শিত পথে।বাংলাদেশে দীন বিজয়ের ইসালমি একটি দলও নেই ,একমাত্র জামাত ছাড়া।জামাত কেন এগুতে পারছে না তার কিছু কারন রয়েছে।এগুলো আমার ব্যাক্তিগত পর্যালোচনা একটি দল সম্পর্কে।জামাতের নেতৃবৃন্দ যদি তাদের ভিশনকে সামনে নিয়ে আসেন তাহলে খুঁজে পাবেন আশা করি।নীরপেক্ষভাবে যদি দেখা যায় জামাতের কর্মসূচিতে ইসলামের অনেক কাজ রয়েছে।সৎ মানুষ তৈরি করার কাজ রয়েছে তবে সেটি আরো বেগবান করতে হবে নিরেট চরিত্র গঠনের মাধ্যমে।ব্যাঘাতটি ঘটেছে জোট বেঁধে।জামাত যদি তার আত্মপ্রতিষ্ঠার দলে পরিনত হতো তাহলে আজ মানুষের মনে নেতিবাচক ধারনা আসতো না।গত ৪৩ বছর ধরে এই নতুন প্রজন্মতো যুদ্ধ অপরাধি ছিল না।আমি ধরে নেই কেউ যুদ্ধ অপরাধি ছিল।তাদের যদি বিচার হয়ে যেত তাহলে তো আর কেউ তাদের নিয়ে কথা বলতে পারতো না।কিন্তু সেকুলাররা প্রথমেই বিচারে যায় নি তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের কারনে।আর তারাতো নীরপেক্ষ বিচারের দিকে এগিয়ে যায় নি।তারা তাদের দলের যুদ্ধাপরাধীদের তো চিহ্নিত করেনি।তাদের ভোটব্যাংক দরকার ছিল তারা ব্যাবহার করেছিল এবং জামাতও তাদের বিশ্বাস করেছিল।নৈতিক দিক থেকে একটি বিপরীত দলকে বিশ্বাস কিভাবে করা যায়? এটা ছিল জামাতের নিছক অদূরদর্শিতা।ক্ষমতার রাজনীতিতে মানুষ যোগ্যতা অর্জন যেমন করতে পারে না তেমনি তাদের দিয়ে দেশের কল্যানও আসে না।ক্ষমতা কায়েম হয় মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি ও দেশ গড়ার জন্য।আজকে বাংলাদেশের মুল সমস্যা এখানে।এই সমস্যাটির সমাধান না করে মানুষ ভাবছে বাঁকা পথের কথা।আমরা শুধু একটি নির্বাচনের কথা চিন্তা করি।নির্বাচনই কি সব সমস্যার সমাধান করে দিবে? দলগুলো কাকে নোমিনিশন দিচ্ছে? যারা সমাজে কালো টাকার মালিক,মাস্তান,যারা ভোট চিন্তাই করে জিতে আসতে পারবে এবং যারা নিজেদের আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনে যায় তাদেরই নোমিনেশন দেয়া হয়।আর এরা যখন পার্লামেন্টে আসে তখন শুরু হয়ে যায় দেশে অরাজকতা।সমাজে ভাল মানুষদের ডাকলে আসে না এবং তাদের কেউ ভোটও দেয় না।এটা ঠিক জামাতের কোন নেতা আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য অন্য দলে গিয়ে নোমিনেশন নেয় নি।আত্মত্যাগ থাকলে তারা দলের জন্যই করে।
আমি বলবো জামাতকে যে কোন উপায়ে এ দুজোট থেকে সরে আসতে হবে।দেশ গড়ার জন্য সৎ মানুষ তৈরি করতে হবে ও প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে।এই সৎ মানুষগুলোর মধ্যে কোন লোভলালসা কাজ করবে না।জামাতের আজকের যে সদস্য রয়েছে তা থেকে যদি ১০হাজার ডেডিকেটেড সদস্য তৈরি হয় যারা বুলডোজারের নিছে যেতে রাজি হয় আমি আশা করি ইসলাম তারা কায়েম করতে পারবে কিন্তু আমি সন্দিহান এরকম সদস্য খুব কম আছে।তাদের জনকল্যানমুলক কাজ হাতে নিতে হবে যাতে করে সমাজের কোন মানুষ বন্ছিত না থাকে আর এর সফল বাস্তবায়ন হবে যখন ক্ষমতা হাতে আসবে।যতসব কল্যানকর কাজ আছে তা নেতা নেত্রীদের দ্বারা সমাজে বাস্তবায়ন করা এবং অকল্যানজনক কাজকে ক্ষমতানুযায়ি বাধা দেয়া।এগুলো সুরা হজ্জের ৪১ আয়াতেরই কথা।তবে রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকলে পুরাপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে আর না থাকলেও দলের চেষ্টায় কাজ করে যেতে হবে।শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আজ যে আন্দোলন চলছে তা জামাতকে পিছনেই টেনে নিয়ে যাবে।তাদের ভাবতে হবে সেকুলার ও জাতীয়তাবাদীরা কখনো তাদের বিপদে এগিয়ে আসবে না ,তাদের তারা সর্বোচ্চ ব্যাবহার করবে।জামাতকে এখন থেকে দলের নেতা কর্মিদের ব্যাপারে হিসেব নিকেশ কষতে হবে।আজকে যে সহিংসতা চলছে এবং যারা করছে তারা কুরআন ও সুন্নাহের শিক্ষিত সেই সব কর্মী নয়।এরা ট্রেইনড হয়ে এসেছে ও জামাতে যোগদান করেছে ইসলামের কর্মী হিসেবে যারা অন্যসব দলে আগেও এ কাজই করতো।সৎ ও যোগ্য লোকের সংখ্যা যদি কমও হয় তাদের জন্য বিজয় রয়েছে।সমাজের একটি বিশেষ অংশ রয়েছে যারা এ দলটিকে সাপোর্ট করে কিন্তু সরাসরি আসতে চায় না এই জোটভুক্ত হওয়ার কারনে।এদের মধ্যে সৎ রাজনীতিবিদ রয়েছেন,আমলা রয়েছেন,শিক্ষক রয়েছেন এবং লেখক ও কবি সাহিত্যিক রয়েছেন।নেতৃবৃন্দকে আমি দলে দাওয়াত দেয়ার ব্যাপারে ডাকতে দেখি কিন্তু আত্মসমালোচনা ও দলের সংস্কারের ব্যাপারটি লক্ষ্য করা যায় না।দেশে যে সমস্ত সৎ লোকেরা প্রতিবাদমুখী হয় না তারা কি ভেবে দেখেছে তাদের আল্লাহর সামনে জবাবদীহিতা আছে? যদি জালেমরা অত্যাচার করে আর এ সমস্ত সৎ লোকেরা ঘরে বসে থাকে আর শুধু নামাজ রোজা করে এটি যথেষ্ঠ নয়।আল্লাহর রসুল সা: সৎ লোকদের অর্গানাইজ করেছেন ও দীন প্রতিষ্ঠিত করেছেন।পরিশেষে জামাতের নেতৃবৃন্দকে একটি কথা বলতে চাই সমাজের একটি বিশেষ শ্রেনী পেশার লোক রয়েছেন যাদের নেতিবাচক একটি দিক রয়েছে জামাতের কর্মকান্ডের ব্যাপারে সে দিক গুলোর পর্যালোচনা করে এদের সম্পৃক্ত করতে পারলে দীনের অনেক কল্যান বয়ে আনবে।দীন কায়েমের জন্য সময় লাগবে তবে সেই বাগানটি তৈরি করার জন্য যে প্রশিক্ষিত মালী দরকার তার কাজে হাত দিতে হবে সর্বাগ্রে।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর এই পৈশাচিক কাণ্ড করেছে সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ-হরতালের সমর্থক একদল দুর্বৃত্ত পেট্রলবোমা ছুড়ে।
কিসের ভিত্তিতে আপনি বিষয়টি নিশ্চিত হলেন বুঝতে পারলামনা।
পরিশেষে জামাতের নেতৃবৃন্দকে একটি কথা বলতে চাই সমাজের একটি বিশেষ শ্রেনী পেশার লোক রয়েছেন যাদের নেতিবাচক একটি দিক রয়েছে জামাতের কর্মকান্ডের ব্যাপারে সে দিক গুলোর পর্যালোচনা করে এদের সম্পৃক্ত করতে পারলে দীনের অনেক কল্যান বয়ে আনবে।
নেতিবাচক দিকটি কি আর জামাআতের কর্ম-কান্ড বলতেই বা আপনি কি বুঝাচ্ছেন তা আপনি কেন উল্লেখ করেননি জানিনা। এদের দ্বারা দ্বিনের কল্যাণ হবে আপনি এবিষয়টিই বা এত নিশ্চয়তার ভিত্তিতে কিভাবে লিখলেন জানি না। তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি আল্লাহর দ্বিনের কল্যাণে কারোরই প্রয়োজন নেই। ওরা যেন নিজেদের কল্যাণের জন্যই দ্বিনের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহন করে। জামাআতের কাছ থেকে আমি এ আশাটুকুই করি যে,শত বাধাঁর মাঝেও মানুষকে তারা কল্যাণের দিকে আহবান করা অব্যাহত রাখুক।
সরাতে হবে হাসিনাকে। জামাত কি করছে তারা তার ফল পাবে ভোটে।
কিন্তু এখন দল মত নির্বিশেষে এনাকন্ডা হাসিনাকে পাঠাতে হবে সীমানার ওপারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন