মাদকের কু-প্রভাবে সয়লাভ দেশের আগামী প্রজন্ম।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৫৭:৪৩ বিকাল
বাংলাদেশের সমাজ টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া আজ এক ভয়াভহ অবস্হার সম্মুখীন।মাদকের বিস্তার কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।যদিও প্রশাসন বলছে তারা তাদের নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এই মাদক প্রচারকারীরা ধরা পড়ার পরই জামিন পেয়ে যাচ্ছে।সাধারন পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের উঁচু পরিবারের সন্তানেরা আজ এই কু-ফলের গ্রাস থেকে বাঁচতে পারছে না।তার সাথে রয়েছে আরো শ্রেনী পেশার মানুষ যারা রয়েছে এর বিপনন কাজের সাথে সম্পৃক্ত।মাদকের ছোবলে মেধাশুন্য হয়ে চলেছে তরুন সমাজ এবং লোপ পাচ্ছে বিবেক বুদ্ধি ও মনুষ্যত্ব।মায়ের কাছ থেকে সন্তান,বোনের কাছ থেকে ভাই এবং বন্ধুর কাছ থেকে বন্ধু হয়ে যাচ্ছে বিচ্ছিন্ন।পরম আদর ও ভালবাসায় যে সন্তানকে তিলে তিলে গড়ে তোলেন পিতামাতা সে সন্তানেরই হাতে তাদের জীবন দিতে হয়েছে যা আমাদের পত্রিকায় ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে।পরিসংখ্যানে দেখা যায় দেশে বর্তমানে ৭০ লাখ মাদকাসক্তের অধিকাংশই তরুন তরুনী এবং ৬ লাখেরও বেশী নারী।মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে কেন আমরা রক্ষা করতে পারছিনা গোটা সমাজকে? কেন রোধ করা যাচ্ছে না মাদকের বিস্তার? যে তরুনরা একাত্তরে জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছে,দেশের যে কোন ক্রান্তিকালে যে তরুন সমাজ এগিয়ে এসেছে সে তরুন সমাজ কেন আজ মাদক সেবন করছে তা আজ আমাদের জরুরী ভিত্তিতে খতিয়ে দেখার দাবি রাখে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সম্ভাবনার জন্য।মাদকামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের সবার দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার উপায় আছে কি?
মাদক দ্রব্য অধীদপ্তরের সাময়িক একটি পরিসংখ্যানের মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি, ৭০ লাখ মাদকাসক্তের অধিকাংশই তরুন তরুনী এবং ৬ লাখেরও বেশী নারী।কিন্তু বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী এটি এককোটি ছাড়িয়ে গেছে।এই নারীরা বিশেষ করে প্রেগনেন্ট মেয়েরা এই মাদক প্রচারের সাথে জড়িত।নেপাল এবং মায়ানমার থেকে এ সমস্ত প্রেগনেন্ট মেয়েরা বা আমাদের দেশ থেকে ও এ সমস্ত মেয়েরা মাদক প্রচার করে।সামপ্রতিক কালে ঐশির ঘটনাটি আমাদের ঘরে ঘরে একটি বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি করেছে কিন্তু তার প্রভাব সমাজে পড়েছে কি? এত কম বয়সে একটি মেয়ে কি করে মাদকাসক্ত হয়ে পড়লো? অনেক পর্যবেক্ষক বলেছেন পরিবারের দায় নিয়ে।একটি শিশু যখন বড় হতে থাকে,সেখানে বাবা মা'র শিশুর প্রতি পর্যবেক্ষন আছে কিনা? শিশুটি বিদ্যালয়ে কোন বন্ধুদের সাথে মিশছে? শিশুর মনজগতে প্রতিদিনের প্রভাব বাবা মা জানতে পারছেন কিনা? কোন ক্রুটি ধরা পড়লে তা শোধরানোর জন্য শিশুটির বাবা মা একজন চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করছেন কিনা? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর সমাধানের দাবি রাখে।আমাদের শিক্ষায়তন গুলোর দিকে আজ তাকালে দেখা যায় এক বিভৎস অবস্হা।শিক্ষা ব্যাবস্হার দৈন্যতা রয়েছে যে,আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্হা এখন একটি ইউনিফর্ম না হয়ে প্রায় বহু রকমের শিক্ষা ব্যাবস্হা রয়েছে।এতে বিভক্তি এসেছে শিশুদের মননশীলতায়।আমরা যারা আমাদের সন্তানদের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছি,তারা মনে করছি আমাদের আর কোন চিন্তা ভাবনা নেই।আমার লিখার কারনে আমাকে প্রতিদিন দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পরিসংখ্যানের দারস্হ হতে হয়।কয়েক মাস পূর্বে আমি মাত্র ঢাকা শহরে বড় ও ছোট স্কুলগুলোর অবস্হা সরজমিনে দেখার জন্য কেম্পাসে গিয়েছিলাম এবং বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাফে বারগুলো ও ফাষ্টফুডের রেষ্টুরেন্ট গুলোর প্রায় ২০টির মত তদন্ত করেছিলাম।সেখানে দেখেছিলাম ৮০% টিন এজার আড্ডারত যারা কোন স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।তারা অনায়াসে ৫০০ টাকা বিল পেমেন্ট করছে।আমার প্রশ্ন জেগেছে তারা তো ছাত্র এবং এ সময়গুলোতে তারা আড্ডারত কেন এবং কোথা থেকে তারা বিল পেমেন্ট করার জন্য এ টাকা পায়? সে পরিবারগুলো কি সন্তানদের স্কুল কলেজে পাঠিয়ে তাদের খোঁজ রাখেন বা মনিটির করেন? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন নৈতিক-মানুষ তৈরি করে তেমনি করে অনৈতিক মানুষও।তা দেখা যায় সে প্রতিষ্ঠাংনগুলোতে ভিজিট করলে।আমার বসবাস ঢাকার উত্তরাতে।ইন্জিনিয়ার নাসের নামক একজন প্রবীন ভদ্রলোক একদিন বললেন বাসায় আর থাকা যাচ্ছে না।জিজ্গেস করলাম কেন? তার বাসা সংলগ্ন অন্য বাড়িটিতে মাইলষ্টোন নামক স্কুলের একটি শাখা।ছাত্রদের অত্যাচারে অনেকবারই নাকি স্কুলকতৃপক্ষকে জানিয়েছে।স্কুলটির মালিক হলেন কর্নেল নুরুন্নবি সাহেব।তিনি একজন আর্মি অফিসার।আইনশৃংখলা ও নিয়মনীতির মধ্যেই তিনি ছিলেন সারাজীবন।তাহলে জীবনের শেষে তিনি ইন্জিনিয়ার নাসের সাহেবের ভাষায় বে-আইনি কাজ করছেন কেন? আমাদের দেশে আজ হয়েছে তা হলো-টাকা উপার্জনের জন্য আমরা যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারি।রেসিডেন্সিয়েল এলাকাগুলোতে যেভাবে ব্যাংগের ছাতার মত স্কুল নামক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গজিয়েছে তা আজ আর মানুষ তৈরি করছে না।এ সব স্কুলের অনেক ছাত্র ছাত্রী এখন মাদকাসক্ত অথচ শিক্ষকরাই জানে না তাদের ছাত্রদের বাস্তব অবস্হা সম্পর্কে।
এই মাদক দ্রব্য বিস্তার লাভের প্রধান একটি কারন হলো মাদকের সহজলভ্যতা।কারা এটিকে সহজলভ্য করে দিয়েছে? এক শ্রেনীর শিক্ষিত ও অশিক্ষিত ব্যাবসায়িক সম্প্রদায় তাদের অনৈতিক অর্জনের জন্য এখন ব্যাবহার করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের।শুধু এরাই নয়,সমাজের পথশিশু ও নিম্ন আয়ের লোকদের তারা সম্পৃক্ত করে সমাজের সর্বস্তরে এর বিস্তার ঘটিয়ে দিয়েছে।একসময় পেনসিডিল ও গাঁজা ছিল একটি ব্রান্ড যা সবযায়গায় পাওয়া যেতো।পরবর্তী সময়ে পেনসিডিলের সংক্ষিপ্ত নাম দেখা গেল 'ডাইল' নামে পরিচিত লাভ করলো।দোকানে গিয়ে তারা পেনসিডিল চাইতো না,বলতো 'ডাইল' আছে কিনা।এখন এগুলোকে সুপারসিড করে ইয়াবার সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের মাহাপরিচালক বলেছেন কেন ইয়াবা সেবন বেড়ে গিয়েছে।সময়ের সাথে সাথে মাদক দ্রব্যের ও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।পেনসিডিলের তুলনায় ইয়াবা সহজভাবে বহন যোগ্য।এ কারনে এর বিস্তার দ্রুত বিস্তার লাভ করছে।আমাদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোতে এর প্রভাব লক্ষ্য করার মত।অনেকের জানা না থাকলেও এখন আধুনিক একটি উপায়ে এর সেবন চলছে তা হলো-সিগারেটের ভিতর গাঁজা সেবন ও শিশার সাথে ব্যাবহার।আশির দশকে এর বিস্তার শুরু হলেও আজ পর্যন্ত তেমন ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারে নি।এর অন্যতম আর একটি কারন হলো-এর সাথে জড়িত রয়েছে প্রশাসনের একটি অনৈতিক স্তর।আইন যতই বড় করে তোলা হয় এরা আইনের ফাঁক দিয়ে এই অনৈতিক কাজ চালিয়ে যায়।এত বেশী তরুন সমাজ মাদকে আসক্ত হওয়ার আরো কিছু কারন রয়েছে।আমরা যদি উন্নত দেশগুলোর দিকে দেখি তাহলে এর কিছু নজির পাওয়া যায়।নগরায়িত সমাজে এর প্রভাব অনেক বেশি।নগরায়িত জীবনে মানুষের প্রতিযোগিতা থাকে প্রকট।নিজেকে বিশেষ কিছু করার জন্য যখন প্রতিযোগিতায় মানুষ নেমে পড়ে তখন নৈতিকতার ধস নামে।পারিবারিক যে বন্ধন তার লোপ পেতে থাকে।সুদূর অতীতের দিকে যদি আমরা তাকাই তখন এ রকম অবস্হা আমরা দেখতে পাই না।আমরা আজ যে সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথাগুলো বলি আসলে সে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কতটা আমাদের উন্নতি দিচ্ছে? আমরা আমাদের সন্তানদের স্বাধীন করে দিচ্ছি অনেকে।যে বয়সে তাদের নৈতিকতার ভীত গেঁড়ে দেয়া দরকার সে বয়সে তার হাতে তুলে দিচ্ছি মোবাইল ফোন,ফেসবুক,টুইটারের মত সামাজিক মাধ্যম।এ নয় যে তারা এগুলো থেকে ভাল কিছু শুখছে। যাদের রাত জেগে পড়ার কথা তারা বসে থাকে ফেস বুকে।এর মাধ্যমে যোগাযোগ হয়ে যায় বিভিন্ন চক্রের সাথে।যৌনতা এবং মাদকের মত বিষয়গুলো তখন তাদের নিয়ে যায় অন্য জগতে।এভাবে ছিঁটকে পড়ে তরুন তরুনীর একটি বিশেষ অংশ।পরিবারের বড় সন্তানটি যখন এ রকম একটি দুরারোগ্য ব্যাধির শীকার হয় তখন পরিবারের অন্যরা বিপর্যস্ত হতে থাকে।আমাদের অনেক পরিবারে দেখেছি কাউন্সিলিং এর ব্যাপারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন কিন্তু বাস্তবতা যেখানে বিপরীত মুখি সেখানে কাউন্সিলিংও অনেক সময় কাজে আসে না।আমরা ইসলামি অনেক দেশের দিকে লক্ষ্য করলেও দেখবো এর নিয়ন্ত্রন রয়েছে।সেখানে দেখা যায় আইনের শাসনটা মুখ্য থাকে।জনসাধারন দেখতে পায় নিষিদ্ধ কাজটি করলে তাকে তার বিচার হয় ও দন্ড দেয়া হয়।সৌদি আরব,দুবাই,মালেশিয়া বা টার্কির দিকে দেখলে সামাজিক এই অনাচার কম দেখতে পাই।মাদকের এই ব্যাবহারটি মানুষের একটি প্রবনতা যা ইসলামের প্রাথমিক যুগেও আমরা দেখেছি কিন্তু একমাত্র ইসলামই এর দিক নির্দেশনা দিয়েছে নিম্নতম পর্যায়ে কিভাবে নিয়ে আসতে হয়।
মাদক দ্রব্য অধিদপ্তর বলেছে গত বার বছরে ৯৮০০০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিন্তু আইনের ফাঁকফোকরে ৯৬০০০ আসামি বের হয়ে গিয়েছে।চমৎকার এই তথ্য বিশ্লেষন করলে বুঝা যায় এ সমস্ত কেন ও কিভাবে বেরিয়ে গেল? এই অবৈধ মাদক ব্যাবসাটিকে বৈধতা দিয়েছে আমাদের সব সরকার।প্রধান এজেন্টদের অনেকে বসে আছেন পার্লামেন্টে।আর তাদের সাব এজেন্টরা রয়েছে দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ব্যাবসায়ি হিসেবে।আসামি ধরা পড়লে একটি মামলা হয়।এই মামলায় একটি বিচারিক কার্য সম্পাদন হয়।যারা এ ব্যাবসাগুলোর সাথে জড়িত থাকে তাদের থাকে পূর্ব প্রস্তুতি।কৌশূলিদের সাথে তাদের যোগাযোগ এবং তারা সেই অনৈতিক কৌশুলিদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে আইনের ফাঁকে বেরিয়ে আসে।আমরা যদি দেখি একজন হিরোইন যিনি বহন করেন তার বিচার হওয়া উচিত মৃত্যুদন্ডের মাধ্যমে।কিন্তু সে বিচারিক কার্যের মাধ্যমে বেরিয়ে যায় ও এর মাধ্যমে আরো একটি বড় ঘটনা ঘটায়।এর কারন হলো একটি গ্রুফ এর সাথে কাজ করে।সেখানে থাকে প্রশাসনের লোকজন,কৌশুলি ও বিচারিক প্রতিষ্ঠান যারা আইনের শাসনকে বৃদ্ধাংগুলি প্রদর্শন করে কোটি কোটি টাকা আয় করে থাকেন।
বিবিসির এক জরিপে এসেছে আমাদের দেশে দুই লাখের মত পথশিশু রয়েছে যারা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত।এরা ডান্ডি নামক এক প্রকার মাদক দ্বারা আসক্ত।আমরা যদি বস্তি এলাকাগুলো বা শহরের ঘিন্জি এলাকাগুলোর দিকে দেখি সেখানে দেখতে পাই যে শিশুরা একটি পলিথিনের ভিতর থেকে নিশ্বাসের সাথে কিছু সেবন করে।এর আশে পাশেই দেখা যায় আইনশৃংখলার সদস্যরা টহল দিচ্ছেন কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোন ভূমিকা নেই।তাছাড়া সমাজে আমাদের মত বিবেকবান মানুষেরাও তাদের এ কাজগুলোর ব্যাপারে উদাসীন থাকছি,মনে হয় আমরা দেখেও দেখছিনা। কথা হলো এই যে শোষিত একটি জনগোষ্ঠি তার দায় ভার কে নিবেন? আমি এদের দায়ভার প্রথমত সরকারকে দিতে চাই।কারন যাদের আমরা টোকাই বলি তারা সমাজের একটি অংশ এবং এদের অনেকের পারিবারিকভাবে দেখাশুনার কেউ নেই।এ ক্ষেত্রে সরকার হলো তাদের অভিভাবক।কিন্তু আমরা সরকারকে তাদের এই বিপর্যয়ের ব্যাপক কোন পদক্ষেপ নিতে দেখি না।দ্বিতীয়ত: সমাজের যে দায়বদ্ধতা আছে তা আমরা এড়িয়ে চলছি।আমরা বিভিন্ন সংঘের মাধ্যমে সরকারের সহযোগিতায় এই সংকট অনেকটা নিরসন করতে পারি।দারিদ্রতা নিরসন যদি না হয় অর্থাৎ ধনী ও দরিদ্রের ব্যাবধান যদি কমিয়ে না আনা যায় তাহলে মাদকের অবস্হান অনড়ই থাকবে।আমরা যদি 'who' এর জরীপ দেখি তাহলেও দেখবো সেখানে হতাশা থেকে মানুষ মাদকাসক্ত হয়।আমাদের দেশে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে চাকুরি পাচ্ছে না।এর ফলে তাদের জীবনের গতি থেমে যাচ্ছে।প্রাপ্ত বয়সে চাকুরি পাচ্ছে না বা বিয়ে করতে পারছে না।তখন তারা পথ বেচে নেয় অবৈধ যৌনতা ও মদসেবনের দিকে।আর বন্ধুদের মাধ্যমেই প্রথমে জড়িয়ে পড়ে পরে অন্য বড় অপরাধের দিকে যায়।
তাহলে তরুন সমাজকে বিশেষ বাঁচাতে হলে প্রথমেই আমাদের দরকার শিশু বয়স থেকে পারিবারিক নার্সিং।ধর্মের নৈতিক দিকগুলো তাদের তুলে ধরা।একটি শিশু তার পরিবার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে সুস্হ একটি মননশীল শিশু হিসেবে তৈরি করার দায়িত্ব নিতে হবে পরিবার,স্কুল ও রাষ্ট্রকে।সরকারকে বলবো- মাদকের যে সিন্ডিকেট রেয়েছে সেটির উপর নজর দেয়ার আগে প্রশাসনকে নৈতিক দিক থেকে ঢেলে সাঝাতে হবে।মাদক যেহেতু নিষিদ্ধ একটি বিষয় তার আমদানি ও উৎপাদন বন্ধের ব্যাবস্হা নিতে হবে।আমাদের বেকার যুবকযুবতীদের তাদের নিজের স্বার্থেই এর কু-ফল থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।যুবতীদের ৬৪% এখন এই মাদক বিপননে জড়িত বলে পরিসংখ্যানে এসেছে।এই ভয়াবহ অবস্হা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন