স্বাধীন সোনার বাংলা জ্বলছে আগুনে-গনতন্ত্র রক্ষায় না ধ্বংসে।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ১০ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৮:২২:৪০ রাত
বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি ক্ষুদ্র ও স্বাধীন রাষ্ট্র।১৯৭১ সালে লক্ষ প্রানের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।যে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করেছিল তা আজ ৪৩ বছর পরও কোন রাজনৈতিক শক্তিই সমাধান দিতে পারেনি।শুধু এতটুকু আমরা স্বাধীন দেশের আলো বাতাসে চলছি ফিরছি মাত্র।অনেকে বলে দেশের উন্নতি হয়েছে।হাঁ-এত ঝড়ঝন্জার মধ্যেও দেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে।যারা দেশ শাসন করছে তাদের দায়িত্ব ছিল দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু তারা তাদের মিশন নিজেদের কল্যানের জন্য ব্যাপ্ত করেছে,দেশের মানুষের জন্য নয়।উন্নয়নের কৃতিত্ব এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের ,দেশপ্রেমি উদো্ক্তাদের , বিদেশ থেকে আগত রেমিটেন্স এবং আমাদের গারমেন্টস কন্যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, যারা নিজ নিজ প্রচেষ্টায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।এ দেশের প্রতিথযশা কবি সাহিত্যিকরা এদেশকে নিয়ে কত কি না লিখেছেন ও সাহস যুগিয়েছেন।কেউ বিদ্রোহের গান গেয়েছেন , কেউ গাঁ-গ্রামের অকৃত্রিম প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন তাদের শানিত লেখায়।কেন জানি আমরা দেশপ্রেমে উজ্জিবিত হতে পারি না।দেশকে ও দেশের মানুষকে ভাল বাসতে পারিনা।বৃটিশের শৃংখল ভাংগার জন্য মাত্র ২২ বছর বয়সে কবি নজরুল ইসলাম রচনা করেছেন তার অমর কবিতা "বিদ্রোহ"। যা আজো শিহরিত করে ও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার প্রেরনা যোগায়।অতীত ও আজকের প্রজন্ম এ সব ভুলতে বসেছে।তারা যদি একটিবার আমাদের সেই সোনালী রেনেসাঁর কবিদের কবিতা ও সাহিত্যকে চর্চা করতো ও হৃদয়ংগম করতো তাহলে এ সমাজ সুন্দর হয়ে যেতো-কবির সেই অমর কবিতাটি এখনো আমাদের রক্তের ধমনীকে নাড়া দেয় এভাবে-
বল বীর -
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমারি, নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর -
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া,
খোদার আসন "আরশ" ছেদিয়া
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!
মম ললাটে রুদ্র-ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
বল বীর -
আমি চির-উন্নত শির!
আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,
মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর!
আমি দুর্ব্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ'লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃংখল!
আমি মানি নাকো কোনো আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম,
ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জ্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর!
আমি বিদ্রোহী আমি বিদ্রোহী-সূত বিশ্ব-বিধাত্রীর!
বল বীর -
চির উন্নত মম শির!
বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমরা আলোর মুখ দেখছি মনে হলেও এদেশের প্রান্তিক মানুষের জীবন মান দেখে কি তাই মনে হয়? বরং মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকজনও সমাজের নিম্মশ্রেনীর সাথে দিন দিন মার্জ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়।যারা চাকুরি নির্ভর তাদের পরিসংখ্যান নিয়ে দেখুন, সকালে হাঁপাতে হাঁপাতে ঘর থেকে বের হন আবার বিকেলে হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে ফিরেন।আয়ের সাথে খরছের হিসেব মিলাতে পারেন না।সেদিন এক বন্ধু বলললেন আর পেরে উঠছিনা এক লাখ টাকা আয়েও চলতে পারছিনা।কোথাও দাওয়াত এলেও এডিশনাল ৪/৫ হাজার টাকা খরচ করার কোন উপায় খুঁজে পাই না।তাই বলে দিতে হয় আমাকে মাপ করুন আমি ব্যাস্ত আছি।যদি বন্ধুটি তার এই আয়ে না চলতে পারে তাহলে যাদের আয় ২০/৩০ এর মধ্যে বা তারও নিছে, তাদের অবস্হান কি? এটা ঠিক আমাদের জীবন মানের উন্নতি হয়েছে কিন্তু সে সাথে আয়ের তেমন উন্নতি হয় নি।আজকাল যারা মাল্টিনেশনাল কোম্পানিগুলোতে বেশী সুবিধা পাছ্ছেন তাদের এই শ্রেনীর অনুপাত জনসংখ্যার অনুপাতে অনেক নগন্য।আর নিশ্পেশিত মানুষের সংখ্যাই অধিক।এর মুল যে কারন সেটা হলো আমাদের গনতান্ত্রিক পদ্ধতি ও সংসদের অকার্যকারিতা ও রাজনৈতিক অস্হিরতা।
আমাদের স্বাধীনতার অল্প সময় হলেও উন্নয়নের জন্য ৪৩ বছর অনেক।আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই দেখবো কত অল্প সময়ে তারা এগিয়ে গিয়েছে।আমরা স্বাধীনতা অর্জন করছি ঠিক কিন্তু সে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য যে রোড মেপ করা দরকার সেটা সব সরকারই করতে ব্যার্থ হয়েছে অনৈতিকতার কারনে।পৃথিবীতে নানা ধরনের গণতন্ত্রিক পদ্ধতি আছে যেমন -সংসদীয় ও রাষ্ট্রপতি শাসিত পদ্ধতি। আবার যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মতো অনেক দেশে রাষ্ট্রপতি-পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও সংসদ যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্র বরাবরই ব্যক্তিনির্ভর। পৃথিবীর সব দেশে জাতীয় সংসদের কাছে মন্ত্রিসভা দায়ী থাকলেও বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দায়বদ্ধ।বাংলাদেশে যখন রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা ছিল, তখন রাষ্ট্রপতিই ছিল সর্বে সর্বা। সংসদ ছিল নামমাত্র।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই রাষ্ট্রপতিই ছিলেন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা জারি নেই। আছে প্রধানমন্ত্রী শাসিত ব্যবস্থা। ১৯৯১ সালে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মিলেই এটি করেছিল এবং সেটি করা হয়েছিল ব্যক্তিকে সামনে রেখে। অর্থাৎ দুই নেত্রীর যিনিই ক্ষমতায় থাকুন না কেন, তাঁর হাতেই থাকবে মুল চাবিকাঠি। তিনি একাধারে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান।আমাদের নেতা-নেত্রীরা প্রায়ই অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের উদাহরণ দিয়ে কথা বলেন কিন্তু তাদেরকে ঐ আদলে সংসদ কার্যকর করতে দেখা যায় না। অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রিক দেশে জাতীয় সংসদই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়। সাংসদরা স্বাধীনভাবে সংসদে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এমনকি দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ দ্বারা সাংসদদের সেই অধিকার পুরোপুরি হরণ করা হয়েছে।
দেশে দুই দশকের বেশি সময় ধরে সংসদীয় গণতন্ত্র বহাল থাকলেও সাধারণ রীতি হলো, নির্বাচনের পর যে কোন দলই বিরোধী দলে আসলে ভোট কারচুপির অজুহাত দেখিয়ে সংসদ বর্জন করতে থাকে।বর্জন করতে করতে যখন সদস্যপদ শূন্য হওয়ার উপক্রম হয়, তখনই তারা এক দিন সংসদে থাকার পরিবেশ নেই বলে আবার আওয়াজ তুলে বেরিয়ে আসে।আর সরকারি দলও তাদের সংসদে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা না করে ইচ্ছামতো সংসদ চালাতে থাকে।বিরোধি দলকে ছাড়াই সংসদে বিভিন্ন ইস্যুতে এ্যামেন্ডমেন্ট নিয়ে আসে।আর বিরোধী দল তখন আন্দোলন করার ইস্যু পেয়ে রাজপথ কাঁপাতে শুরু করে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারন মানুষ।অথচ তাদের কাজ ছিল সংসদকে কার্যকর করা।আন্দোলন করার দরকার থাকলে সংসদে বুঝাপড়া করাই উচিত।আর জন গনের একটা অংশও না বুঝে তাদের সাথে যোগ দেয়।জন গনকে বলা উচিত আমরা আপনাদের পাঠিয়েছি সংসদে,সেখানে আপনারা দেশের উন্নয়নের জন্য বুঝাপড়া করুন।যদি জন গন তাদের রাস্তায় বর্জন করতো তাহলে কোন সরকারের সময় তারা রাস্তায় নামতে পরতোনা।এদিক থেকে আমরা জন গনই তাদের সেল্টার দিয়ে সংসদ অকার্যকর করার জন্য সহযোগিতা করছি।আবার সরকারি দল বিরোধী দলে থাকতে তারা যে আইনের প্রতিবাদে রাজপথ কাঁপাত, ক্ষমতায় গিয়ে তার চেয়েও কঠোর আইন অবলীলায় পাস করে। আর এসব আইনের খসড়া নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে তেমন আলোচনারও দরকার পড়ে না।স্বয়ংক্রিয় ভাবে আইনটি সংশোধিত হয়ে যায়।পরদিন থেকে কমিটির সদস্যরা, মন্ত্রীরা সেই সংশোধনের পক্ষে জোরালো আওয়াজ তুলেন। এখানে ভিন্নমতের বা ভিন্নচিন্তার অবকাশ নেই। ভিন্নমত পোষন করা হলে তাদের আর দলে কার্যকারিতা থাকে না যা আমরা বড় দু'দলের সংস্কারপন্থিদের দেখেছি অবমুল্যায়িত হতে।সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ থাকায় সংসদে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কথা বললে সদস্যপদ চলে যাওয়ার ভয় আছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলে তো সেই ভয় থাকার কথা নয়। দল তো আইন প্রণয়ন করে না। কিন্তু আমাদের দেশে দলীয় প্রধানের কথাই আইন। অতএব তাঁর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করার সুযোগ নেই।মজার ব্যাপার হলো আমাদের দেশে দলগুলোর যে প্রবনতা তা হলো, এখানে বংশ পরম্পরায় চলবে দলীয় প্রধানের কতৃত্ব এবং দেশের সর্বোচ্চ পদের জন্য দলে কোন যোগ্য লোক থাকলেও সে আমৃত্যু আশা করতে পারবে না।এতে হতাশাগ্রস্ত হয় নেতৃবৃন্দ।যার ফলে দলে যেমন তার কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যায় না তেমনি সংসদে আসলেও তিনি ভূমিকা রাখতে পারেন না আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাতি।এই রোগ ছোট বড় সব দলেই রয়েছে।আমরা বাইরে থেকে বুঝলেও উনারা বুঝেন কিনা জানিনা। তবে এই আচরন গুলো সংস্কার করে উদার হলে জাতীয় জীবনে আপামর মানুষ উপকৃত হবে।ভিন্নমত পোষন করলেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যদি বহিষ্কৃত হতে হয় তাহলে ব্যাক্তিত্বের বিকাশ হবে কেমন করে? আর এখন তো প্রসংগ ভিন্ন।২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারি প্রহসনের যে নির্বাচন হয়েছে এবং সংসদে কার্যকরি বিরোধী দল-তো নেই বরং তারা সরকারে থেকেও ভোগ করছে বিরোধীদলে থেকেও ভোগ করছে।এই অবস্হার গনতন্ত্র সভ্য দুনিয়ার কোথাও যে নেই তা সরকারি দল বুঝেও না বুঝার ভান করছে।এক ভদ্রলোক একটি মেয়েকে জিজ্গেস করছিলেন ঐ মেয়ে তুমি কাঁদছ কেন? সে উত্তর দিল স্যার আমার চেহারাটাই এমন।আমরা জনসাধারন যা-ই বলি না কেন,তাদের দরকার ক্ষমতা,আমরা পিষ্ট হই বা না হই তাতে তাদের কিছু যায় আসেনা।
গনতন্ত্র চর্চার ব্যাপার।পক্ষে বিপক্ষে কথা হলে আসল জিনিস বেরিয়ে আসে।আর যদি এ না হয় তাহলে জন্ম নিবে ডিক্টেটরের।ক্ষমতার কেন্দ্রিকরনের কারনেই পৃথিবীতে ডিক্টেটরের জন্ম নিয়েছে।আমাদের দেশে যারা দল থেকে বেরিয়ে গেছে তাদেরও একই ভাগ্য বরন করতে হয়েছে।
আবার অনেকে ইছ্ছা থাকলেও দল ছুটে যাবে বলে সত্য কথা বলতে পারেন না।সুতরাং সংসদে হাওয়ার আগে দলকে কার্যকর করা জরুরি।অনেকে বলেন নির্বাচন হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।আমি মনে করিনা তাতে। আমরা আমাদের অতীত দেখেছি।সংসদকে কার্যকর করতে হলে সাংসদদের প্রথমেই ভুলক্রুটির সমাধান করে নিতে হবে।সাংসদরা যে অঙিকার করে সংসদে যান পরে তারা তা রক্ষা করেন না।সংসদে গোটা জাতির আশা আকাংখ্যার প্রতিফলন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক।সে জন্য উন্নত দেশ গুলোর সাথে সামন্জস্য রেখে কিভাবে গনতন্ত্রের প্রকৃত রুপ দেয়া যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা অতি জরুরি হয়ে পড়ছে।জাতি একটি স্বাচ্ছ নির্বাচন দেখতে চায়।স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য দরকার স্বচ্ছ ও চরিত্রবান রাজনীতিবিদ তৈরি করা।প্রতিটি দল তৃনমুল থেকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যদি নেতা তৈরি করে তাহলে এক যুগ পরে হলেও দেশে নেতা তৈরি হবে।এখন তো নেতা তৈরি হচ্ছে না।কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের অবস্হান পাকাপোক্ত করার জন্য অনৈতিক লোভ লালসার মাধ্যমে তৃনমুলকে ব্যাবহার করে আর এজন্যই তাদের পদস্খলন হয়।ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে যদি পাঠ্য বিষয়ে রাজনৈতিক কারিকুলাম কিছুটা জুড়ে দেয়া যায় তাহলে শিক্ষা সমাপন করে তারা রাজনীতিতে যোগ দিতে পারে।এখন দেশে যে অবস্হা চলছে এভাবে চলতে থাকলে দেশ গৃহযু্দ্ধের দিকে অল্পদিনেই ধাবিত হবে।রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে একে অন্যের সাথে বৈরিতা না রেখে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে একমত পোষনের অঙিকারে আবদ্ধ হতে হবে।সমস্ত অরাজকতা বন্ধ করার জন্য সরকার , বিরোধীদল ও জন গন একসূত্রে যদি গ্রথিত না হয় তাহলে আমরা প্রকৃত উন্নয়নের শিখরে আরোহন করতে পারব বলে আমার মনে হয় না।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন