কোচিং নির্ভর শিক্ষা-ব্যাবস্হা----।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৩ জানুয়ারি, ২০১৫, ১০:১১:৩৫ রাত
রাজধানীর নামি-দামি স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রিরা বিপর্যয়ের মুখে পতিত। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চলে যায় কোচিংয়ে, কোচিং শেষে বাসায় এসে কিছু মুখে দিয়েই আবার স্কুল। স্কুল শেষ করে এসে কোনভাবে কিছু মুখে দিয়ে আবার অন্য স্যারের কোচিং। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে বিকাল থেকে আবারো কোচিং। সর্বশেষ সন্ধ্যার পর কোচিং শেষ করে ক্লান্তিভরা শরীর নিয়ে পরের দিনের প্রস্তুতি নিতে নিতেই আবার সকাল। শুধু রাজধানীতেই নয়, প্রত্যন্ত গ্রামেও শহরের শিশুদের মতো শিশুদের ব্যস্ত থাকতে হয় কোচিং নিয়ে। তবে কোচিংনির্ভর এই শিক্ষা কেবল প্রাথমিকেই নয়, বরং প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত আষ্টেপৃষ্ঠে গেঁথে গেছে এটি। বুঝে হোক কিংবা না বুঝেই হোক সচেতন অথবা অসচেতন অভিভাকবৃন্দ ভালো ফলাফলের জন্য তাদের সন্তানদের নিয়ে কোচিং সেন্টারের দ্বারস্থ হচ্ছেন।আবার গ্রামের অনেক পরিবার এখন আর গ্রামের স্কুলে পড়াচ্ছেন না।নিজের বাড়িতে তালা লাগিয়ে পাশের উপজেলায় ভাড়া বাসায় এসে থাকছেন ও ভর্তি করছেন উপজেলায় কিন্ডারগর্টেন স্কুলগুলোতে,কারন সেখানে কোচিং সেন্টার আছে।কোচিং সেন্টারগুলোও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা প্রস্তুতি, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট কোচিং কিংবা এসএসসি প্রস্তুতি কোচিং এবং ছাড়ে ভর্তি’র মতো আকর্ষণীয় অফার সংবলিত লেখা ব্যানার ও পোস্টার ছড়িয়ে দিচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশের শহরগুলোতে। নোট, সাজেশন আর নিয়মিত পরীক্ষার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। ভালো ফল এবং কোচিংয়ে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখাতে প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে অনেক কোচিংয়ের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরাও ভালো ফলের আশায় ছুটছে এসবের দিকে। নিশ্চিত জিপিএ-৫ (এ-প্লাস), শতভাগ পাসের নিশ্চয়তার মতো নজরকাড়া বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আকৃষ্ট করছে কোচিং সেন্টারগুলো। শিক্ষার্থীর মেধা থাকুক কিংবা নাই থাকুক, এ নিয়ে কেউ বিচলিত নন। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কোচিংয়ে পড়লেই পরীক্ষায় পাস কিংবা জিপিএ-৫ পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের নামে এটি এখন পরিণত হয়েছে চাতুরি ব্যবসায়। লাভজনক এই ব্যবসার কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাঙের ছাতার মতোই গজিয়ে ওঠেছে বিভিন্ন নামে বেনামে শত শত কোচিং সেন্টার। পিছিয়ে নেই স্কুলগুলোও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক মডেল টেস্ট, স্পেশাল পাঠদান, দুর্বল শিক্ষার্থীদের ইনটেনসিভ কেয়ারের আড়ালেও চলে কোচিং বাণিজ্য। পাশাপাশি স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও সংশ্লিষ্ট শহরের ব্যস্ততম কিংবা স্থানে রুম ভাড়া করেই গড়ে তোলা হয়েছে প্রাইভেট সেন্টার। ক্লাসের শিক্ষকরাই পরামর্শ দিচ্ছেন কোচিংয়ে ভর্তির। অনেক ক্ষেত্রে মার্কসের ভয়ভীতি দেখিয়েও ভর্তি হতে বলা হয় কোচিং সেন্টারে। প্রসপেক্টাস আর নজরকাড়া বিজ্ঞাপননির্ভর কোচিং সেন্টারের আড়ালে প্রশ্নফাঁসের ব্যবসা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্নফাঁসে শিক্ষামন্ত্রণালয় গঠিত বিভিন্ন সময়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তেও প্রশ্নফাঁসে কোচিং সেন্টার জড়িত থাকার তথ্য ওঠে এসেছে। তারপরও ফ্রি স্টাইলে এবং কর্তৃপক্ষের নাকের ডগার উপর এই বাণিজ্য চললেও নীরব থাকছে মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শহর এলাকার বিভিন্ন অলি-গলিতে ছোট ছোট ভাড়া বাসা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে কোচিং সেন্টার। এসব কোচিংয়ের বিজ্ঞাপন ও ব্যানার-পোস্টারগুলো থাকছে বেশ চটকদার এবং আকর্ষণীয়। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নামেও চলে কোচিং বাণিজ্য। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই জানান, ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও তাদের কোচিংগুলোতে ভর্তি হতে হচ্ছে। অনেক অভিভাবকরা ভালো ফলাফলের আশায় জোর করে ভর্তি করছেন তাদের সন্তানদের। কোচিং সেন্টারগুলোতে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্লাস চলে বলে তারা জানায়। একদিকে স্কুলের পড়ার চাপ তার উপর কোচিংগুলোর প্রতিদিনের পড়ার চাপ এতে করে মানসিক, শারীরিক দু’ভাবেই ভেঙে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের ২০ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বন্ধে একটি নীতিমালা জারি করে। ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে শিক্ষকরা নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং করাতে পারবেন না। তবে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জনকে কোচিং করাতে পারবেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনাকে থোড়ায় কেয়ার করছেন সংশ্লিষ্টরা। বরং পুরো শিক্ষাব্যবস্থা এখন কোচিংনির্ভর হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা কোন মতে স্কুল-কলেজে হাজিরা দিয়েই ছুটছে কোচিং হোমে। শহরাঞ্চলে কোচিং প্রাথমিক শিক্ষাস্তর হতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত আষ্টেপৃষ্ঠে গেঁথে ফেলেছে। এছাড়া যেন লেখাপড়াই হয় না। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে একবার কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত শিক্ষকদের নামের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয় এবং যারা এর সাথে জড়িত এমন শিক্ষকদের বদলি এবং প্রথম দফায় তাদের সতর্ক করে দেয়ার উদ্যোগও নেয়া হয়। কিন্তু সেসব উদ্যোগ যেখানে ছিল এখনো সেখানেই রয়েছে। কোচিংয়ের কুফল সম্পর্কে প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, পরীক্ষা এখন বাণিজ্য হয়ে গেছে। টাকার বিনিময়ে সবকিছু হচ্ছে। কোচিং ব্যবসায়ীরা সেটাই করছে। কোচিং সেন্টার যে কারণে চলছে সেগুলো তুলে দিতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসনির্ভর হতে হবে। পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন দরকার।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও শিক্ষাব্যবস্থায় কোচিংনির্ভরতা ও অসহায়ত্ব স্বীকার করে বলেন, কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষাক্ষেত্রে বড় একটা বাধা। এর মাধ্যমে ৩২ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। এতে গরিব শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে রাষ্ট্রের চেয়ে কোচিং সেন্টার বেশি শক্তিশালী কি না এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে গেছেন।
আর কোন ধরনের আইনি জটিলতা এড়াতে এবং প্রভাব বজায় রাখতে কোচিং মালিকরাও নেয় নানা কৌশল। কোচিংনির্ভর নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এলাকার উচ্চ পর্যায়ের সরকারি আমলা, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও এমপি-মন্ত্রীদের প্রধান-বিশেষ অতিথি রেখে কার্যক্রম চালায় এবং তাদের মূল্যবান উপহারসামগ্রী ছাড়াও নানা অনুষঙ্গে পদকের ব্যবস্থা রাখে চতুর কোচিং মালিকরা। এমনকি কোনো কোনো কোচিং দেশের রাঘব বোয়ালদের উপদেষ্টা বা কার্যকরী কমিটিতেও স্থান দেয়। এতে যেমন কোচিং ব্যবসা রাজনৈতিক রোষানলমুক্ত ও অবস্থানগতভাবে সুদৃঢ় হয়, অপরদিকে নেতাকর্মীরা থাকেন তুষ্ট।
প্রিপারেশন কোচিং/মডেল টেস্ট প্রেগ্রাম : কোচিংয়ে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে প্রিপারেশন কোচিং/মডেল টেস্ট প্রোগ্রাম নামে একধরনের প্যাকেজ দেয়া হয়। সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার (প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি) আগের আড়াই-তিনমাস ধরে এই কোচিংগুলো পরিচালিত হয়। প্রতিটি কোচিং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করে এই কোর্সের জন্য। অথচ এই অল্প সময়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুরো বইয়ের উপর থাকে ১০ থেকে ১৫টি রিভাইজ ক্লাস। এরপর নেয়া হয় মডেল টেস্ট। যেখানে পরীক্ষার নামে চলে রমরমা ব্যবসা। বোর্ডের স্যারের খাতা দেখবেন এবং প্রশ্ন করবেন চালানো হয় এই জাতীয় প্রচারণা।
রাজধানীর অলিগলিতে কোচিং সেন্টার : কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে স্কুল শিক্ষকদের নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই বিষয়ে একটি নিদের্শনাও জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু তারপরও বন্ধ হচ্ছে না এই কোচিং ব্যবসা। প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল থেকে শুরু করে রাজধানীর নামি-দামি স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে সরকারি নির্দেশনা না মেনে কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করার। এমনকি অনেকটা ফ্রি স্টাইলেই চলছে এই বাণিজ্য। প্রকাশ্যে এই কোচিং ব্যবসা চললেও অজানা কারণেই নিশ্চুপ রয়েছে মন্ত্রণালয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে যে, রাজধানী ঢাকাসহ গ্রামাঞ্চলের অলিগলিতে এখন ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠছে কোচিং সেন্টার। অভিভাবকরাও বাধ্য হচ্ছেন এসব কোচিংয়ে তাদের সন্তানদের পাঠাতো। খবরে প্রকাশ রাজধানীর আজিমপুরের চায়না বিল্ডিং-এর গলির ভেতরে তেমন কোনো স্কুল না থাকলেও সকাল থেকে রাত-অবধি ওই গলিতে সারাক্ষণ চলাচল করে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। ওই গলিতে স্কুল কিংবা অন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চোখে না পড়লেও কয়েক গজ পর পরই চোখে পড়ে বিন্নি নামধারী কোচিং সেন্টার। ওই গলির একটি বাসায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীদের কোচিং করান একই স্কুলের এক শিক্ষক। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাই বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের আসতে দেখা যায় সেখানে। একই গলির অপর এক কোচিং সেন্টারে স্কুল শেষ করেই দুপুর বেলা পড়তে আসে অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ক্লাসে শিক্ষকরা ভালোভাবে পড়ান না, এ জন্য কোচিং করতে হয়। অন্যদিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ক্লাসের পর ওই শিক্ষক তার কাছে পড়তে বলেছেন। একই অবস্থা রাজধানীর অন্যান্য এলাকা ও এসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
রাজধানীর বাইরে : কোচিং বিষয়টি এখন আর কেবল রাজধানী কিংবা বড় বড় শহরকেন্দ্রিক সীমাবদ্ধ নেই। এটি ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি জেলা শহর এমনকি উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও। সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলার ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কিংবা নিম্নমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও চালিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যবসা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক মডেল টেস্ট, স্পেশাল পাঠদান, দুর্বল শিক্ষার্থীদের ইনটেনসিভ কেয়ারের নামেও চলে কোচিং বাণিজ্য। পাশাপাশি স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও সংশ্লিষ্ট শহরের ব্যস্ততম কিংবা স্থানে রুম ভাড়া করেই গড়ে তোলা হয়েছে প্রাইভেট সেন্টার। শিক্ষার্থী ও অসহায় অভিভাবকদের জিম্মি করে দিনের পর দিন চলছে এই ব্যবসা। সন্তানদের শিক্ষাজীবনের কথা ভেবে প্রতিবাদ করতে পারছেন না অভিভাবক মহল। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের কিছু করার নেই। স্কুলগুলোতে আলাদাভাবে বিশেষ ক্লাস নেয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকরা আমাদের ক্লাস না নিয়ে শহরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলোতে ভর্তির পরামর্শ দেন। আর এসব স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে কোচিংয়ের জন্য মাসে অতিরিক্ত গুনতে হয় ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। অভিভাবকদের অভিযোগ কোচিং-এ ভর্তি না হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্কুলের পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়ার ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীদের। তাই অনেকেই ভালো নম্বরের জন্য হুমড়ি খেয়ে ভর্তি হচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলোতে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ সাদিক বলেছেন, কোচিং বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর। যারা এর সাথে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কতৃপক্ষের নজরে আনার পরে যে আইনি ব্যাবস্হার কথা বলা হয় সেটি একটি প্রচলিত কথায় পরিনত হয়েছে।আমাদের দেশে আইনের শাসন এখন কোথায় আছে? সাধারন মানুষ এখন আইনের কাছে যেতেও ভয় পাচ্ছে কারন উল্টো তাকেই পাষানো হয় বলে।এমতাবস্হায় জনজীবন পুষে উঠছে।একেতো দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি তার উপর এই কোচিং নির্ভর শিক্ষা ব্যাবস্হা যদি চলতে থাকে তাহলে জাতির ভবিষ্যত জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।তাই কতৃপক্ষকে এর আশু সমাধানে এগিয়ে আসা জরুরি এবং তার সাথে অভিভাবকদেরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে এই রোগটি আর প্রসারিত না হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাল ভাল ছাত্ররা এখন আর শিক্ষকতায় আসতে চায় না কারণ এখানে বেতন তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আর যারা আসে তারা স্কুল/কলেজ লাইফে মোটেই ভাল ছাত্র ছিল না এবং এদের বেশীর ভাগই বেকিংয়ে এসেছে ও পরিমল টাইপের ।
আর এখন শিশুদের অতিরিক্ত নম্বর পাইয়ে দিয়ে এদের শেখার ও জানার স্পৃহাকে দমিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষাতে এরই মধ্যে এসবের কুফল দেখা দিতে শুরু করেছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন