বুদ্ধিজীবির পরিমাপ কি আশি(৮০) বছরে হয়?
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৬:২৮:০৫ সন্ধ্যা
যেসব বিষয় মানুষকে অন্যান্য প্রাণিকুল থেকে নির্বাচিত করে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন করে, বাক ও বোধশক্তি এর অন্যতম। সৃষ্টিজগতের মধ্যে মানুষেরই কেবল বাকশক্তি রয়েছে। মনের ভেতরের ঘূর্ণায়মান কল্পনা-অনুভূতিকে মানুষ বাকযন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই অন্যের কাছে প্রকাশ করে। নিজের প্রয়োজনের কথা, হৃদয়ের গহিনে থাকা অনুভূতির কথা এবং নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামতও প্রকাশ করার উত্তম মাধ্যম হলো বাকযন্ত্র। ভাষার সর্বোত্তম ব্যবহারে মুহূর্তের মধ্যে কারো মন জয় করা যায়। আবার এ ভাষা দিয়েই অন্যের হৃদয়ে কম্পন ও রক্তক্ষরণ করা যায়। গালাগাল, বল্গাহীন কথাবার্তা, বাচালতা, যাচ্ছেতাই বলে যাওয়া কেবল ধর্মবিরোধীই নয়; যেকোনো সভ্যতা, আদর্শ ও সুরুচিপূর্ণ ব্যক্তির দৃষ্টিতেও নিন্দনীয়। শাশ্বত জীবনব্যবস্থা ইসলামে পারস্পরিক বাক্য বিনিময়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে।মুমিনদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তারা অহেতুক কম ও কথা থেকে বিরত থাকেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ, যারা নিজেদের নামাজে বিনয়ী, যারা অসার ক্রিয়াকলাপ বা অনর্থক কথাবার্তা থেকে বিরত থাকে।' (সুরা - মুমিনুন, আয়াত ১-৩)। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'ব্যক্তির জীবনে ইসলামের সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তার অহেতুক কথা ও কর্ম ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে।'
মূলত সাবলীল, প্রাঞ্জল কথাবার্তা আভিজাত্যের পরিচায়ক। উত্তম কথায় মানব মর্যাদা উন্নত হয়। ব্যক্তিত্বের স্তরও নির্ধারিত হয় এ কথার মাধ্যমে। যদিও কখনো কখনো এ কথাই বহু বিপদ টেনে আনে, মানব মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, নিজের জীবন-জীবিকার মাধ্যমগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই ইসলামে বাক সংযমের কথা বলা হয়েছে। 'মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তা সংরক্ষণের জন্য তার নিকটেই তৎপর প্রহরী রয়েছে।' (সুরা ক্বাফ, আয়াত ১৮)।ধর্ম-বর্ণ-ভাষা এবং চিন্তা ও আদর্শগত পার্থক্য আল্লাহর অসীম কুদরতের পরিচায়ক। সৃষ্টির এ বৈচিত্র্য প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও আদর্শিক ফারাক থাকলেও মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে নম্র, কোমল, শালীন ও শিষ্টাচারপূর্ণ পন্থায়। আল্লাহদ্রোহী ফেরআউনের কাছে যখন মুসা ও হারুন (আ.)-কে পাঠানো হয়, তখন এ বিশেষ হেদায়েত দেওয়া হয়েছিল, 'তোমরা তার সঙ্গে নম্র ভাষায় কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।' (সুরা ত্ব-হা, আয়াত ৪৪)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'তোমরা উত্তম পন্থায় (সৌজন্যের সঙ্গে ও যুক্তিসংগতভাবে) আহলে কিতাবের সঙ্গে তর্ক করবে।' (সুরা আনকাবুত, আয়াত ৪৬)।বড় ও সম্মানিত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের ক্ষেত্রে একটি হাদিস খুবই প্রসিদ্ধ। 'যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ করে না, বড়দের সম্মান করে না, সে আমার উম্মত নয়।'অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, " 'কাব্বির', 'কাব্বির'- বড়কে শ্রদ্ধা করো। বড়কে শ্রদ্ধা করো।" (বোখারি ও মুসলিম)।অন্যকে কটাক্ষ করা, উপহাস করা, কারো দিকে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করা এবং মন্দ বিশেষণে কাউকে ভূষিত করা ইসলামে খুবই গর্হিত অপরাধ। 'তোমরা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না; ইমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা অতি নিন্দনীয়।' (সুরা হুজুরাত, আয়াত ১১)।সম্প্রতি আমাদের দেশে মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি, তাদের ব্যাপারে অশালীন বাক্য ব্যবহারের প্রবণতা বেড়ে গেছে। অথচ একাধিক হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা আছে, 'তোমরা মৃতদের গালি দিয়ো না।' অন্য হাদিসে এসেছে 'ভালো বিষয় ব্যতীত মন্দ বিষয়ে মৃতদের নিয়ে আলোচনা করো না।' মুসলিমপ্রধান এ দেশের নেতা-নেত্রীরা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলবেন, এমনটাই সবার কাম্য। আর তাঁদের মধ্যকার ক্রমসম্প্রসারমাণ বিরোধ নিরসনেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, শালীন আচরণ, সংযত বাক্য বিনিময় সময়ের অপরিহার্য দাবি।
এতো গেল আলকুরআন ও হাদিসের কথা।আমাদের দেশে গনতন্ত্রের নামে হচ্ছেটা কি? যারা দেশের কথা ভাবেন, দেশ নিয়ে চিন্তা করেন ও দেশের জন্য কাজ করেন তারা মুল্যহীন।চারদিকে কেমন যেন হাহাকার চলছে।স্বাধীন একটি দেশ আজ বহুভাগে বিভক্ত।কারো কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।মিডিয়াতে যে সমস্ত দলকানা বুদ্ধিজীবি কথা বলছে তারা ডাহা মিথ্যা কথা বলছে কিন্তু মানুষ শুনে যাচ্ছে কিন্তু কোন প্রতিবাদ করছে না।মানুষ কি সত্যের প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছে না? আপনি আপনার কাজ করুন,আপনার সত্য কথাটি পৌঁছে দিন তাহলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।এভাবে যদি ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে অন্তত ৫কোটি মানুষও কথা বলেতে শিখতো তাহলে তো অনাচার বাড়তো না।আমি আর আপনি শিক্ষিত এর মানে কি চোখ বুঝে সব সহ্য করা? আমরা কেন এত নির্বোধ হয়ে যাচ্ছি জানি না।কেয়ামতের উপর অনেক হাদিস আছে তাতে বর্নীত হয়েছে,যখন ব্যাভিচার ও অশ্লিলতায় সমাজ ভরে যাবে তখন কেয়ামত নিকটবর্তী।আজকে আমাদের সমাজে ব্যাভিচার ও অশ্লিলতা ব্যাপক প্লাবিত।সবচেয়ে বড় যেটি আকার ধারন করেছে তা হলো আমাদের রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও তথাকথিত লেজুড় বুদ্ধিজীবিরা যে সমস্ত শব্দচয়ন করছেন তা আগামি সমাজ ব্যাবস্হাকে অচিরেই ভংগুর করে দিবে।
গত কিছুদিন আগে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে তারেক রহমান একটি বক্তব্য পেশ করেছেন, যা দেশের সবগুলো পত্রিকা হুবহু ছেপেছে। সবগুলো টিভি চ্যানেল সেদিনের অনুষ্ঠানের চৌম্বক অংশের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে। ফেইস বুকের মাধ্যমে পুরো ভিডিও পৌছে গেছে কোটি মানুষের কাছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধের পূর্বাপর ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেনা তারা কিন্তু তারেকের বক্তব্য শুনেছে ও পড়েছে। তারেক রহমান যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে তার বক্তব্যকে ওজনদার এবং মূল্যবান করার জন্য বেশ কিছু তথ্য, প্রমান, প্রাসঙ্গিক উদাহরণ এনেছেন। বিভিন্ন বই, সংবাদপত্র, কোটেশন, বিদেশী নামকরা কু’টনীতিক এবং সাংবাদিকের বক্তব্যকে তার বক্তব্যের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে তিনি যা বলছেন তা সঠিক। ফলে সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকরা যেমন মনোযোগ দিয়ে তারেকের বক্তব্য শুনেছেন তদ্রুপ অনুষ্ঠানের বাইরের লোকের দৃষ্টিও আকর্ষিত হয়েছে সমানতালে।তারেকের বক্তব্যের পর আওয়ামী মহলে হৈচৈ পড়ে যায়। এক মন্ত্রী বলেছেন- তারেককে জুতা পেটা করা উচিত। অন্যমন্ত্রী বললেন-সরকারের দয়ায় খালেদা এখনো জেলের বাইরে আছে। তারেক যদি এমনতরো বক্তব্য দেয় তবে সরকার খালেদার ওপর থেকে তার দয়া উঠিয়ে নিয়ে যাবে। আরেক মন্ত্রী বললেন-বিশ্ব বেয়াদব তারেক পাগল হয়ে গেছে। সকলের সকল কথার ওপর ঠাই পেলো প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য। তিনি বললেন- একটা জানোয়ার পয়দা হয়েছে । মানুষতো হয়নি একটা জানোয়ার হয়েছে। তিনি খালেদা জিয়াকে বললেন- আপনার জানোয়ার পুত্রের ঠোট এবং জিহ্বা সামলাতে বলেন । নইলে খবর আছে, বাংলার মানুষ জানে- জানোয়ারকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয়। সরকার সমর্থক পত্রিকাগুলো খবর ছাপালো- তারেকের বক্তব্যে বিএনপি নেতারা পর্যন্ত বিব্রত। এই ঘটনার পর মির্জা ফখরুল সহ বিএনপি নেতারা বললেন- তারেক যা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন। তিনি সব কথা বলেছেন তথ্য ও প্রমান সহ । পারলে তারেকের বক্তব্য খন্ডান। যুক্তিতর্ক না মেনে কেবল অসভ্যের মতো গালাগাল না করার জন্য তিনি আওয়ামীলীগ নেতাদেরকে আহবান জানালেন। এরপর স্বয়ং খালেদা জিয়া মুখ খুললেন-তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বললেন- চুপ! আগে নিজের মুখ সামলান।
পরস্পর বিরোধী বাকযুদ্ধে জনজীবন যখন বিপন্ন এবং বাংলার ইতিহাসকে যখন একে অন্যে কলঙ্কিত করছে, ঠিক তখন কিছু আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবি তারেকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কাহিনী উপস্থাপন শুরু করলো। কারো বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশ না পেলেও প্রবীণ আওয়ামী সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বরাবরের মতো অদ্ভুত এক তথ্য হাজির করলেন। তিনি বললেন-তিনি নাকি একদিন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জিয়াউর রহমানের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখলেন জিয়াউর রহমান নাকি কোমরের বেল্ট খুলে একটি ছেলেকে বেদম প্রহার করছেন। তিনি দয়া পরবশ হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন-মেজর সাহেব, বালকটি কে এবং তাকে এভাবে মারছেনই বা কেনো ? জিয়াউর রহমান উত্তর করলেন- আরে বলবেন না। ও বদমাশ স্কুলে মারাত্মক এক অপকর্ম করেছে আর সে কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে বের করে দিয়েছে। গাফ্ফার সাহেব পরে জেনেছেন- তারেক নাকি তার কোন সহপাঠী বালিকাকে চুম্বন করেছিলো।আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর গল্প সম্পর্কে অয়ামিলীগের প্রাক্তন এমপি গোলাম মাওলা রনি বলেছেন,"আমি টেলিভিশনে দেখলাম এবং শুনলাম-কিছু সাংবাদিক বা উপস্থিত দর্শক- আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর বক্তব্যের মাঝে টিপ্পনী কেটে বললো- আপনিতো শেখ হাসিনার দালাল। গাফ্ফার সাহেব বক্তব্যরত অবস্থাতেই টিপ্পনীর উত্তরে বললেন- ডঃ কামাল ও ডঃ ইউনুস যেসব লোকের দালালী করে তাদের চেয়ে শেখ হাসিনার দালালী করা আমার কাছে অনেক বেশী সৌভাগ্য আর গৌরবের বিষয় বলে মনে হয়। উপস্থিত সবাই তার জবাব শুনে লা জবাব হয়ে পড়েন । টেলিভিশনের সামনে বসে গাফ্ফার সাহেবের বক্তব্য শুনে আমার মন রীতিমতো খারাপ হয়ে গেলো। আমি ভেবে পেলাম না তিনি কেনো এমন সময় এমন অদ্ভুত কথাগুলো বলতে গেলেন। কারণ একজন সাধারণ মানুষও বুঝতে পারবেন-তিনি কতটা অসত্য বলেছেন। প্রথমতঃ স্বাধীনতার পর পর অর্থাৎ ১৯৭২ সালেই জিয়া ব্রিগেডিয়ার হয়ে যান । সেনাবাহিনীতে তখন মাত্র দুইজন ব্রিগেডিয়ার ছিলো। একজন হলেন সেনা প্রধান শফিউল্লাহ এবং আরেকজন হলেন জিয়াউর রহমান। এর কিছুদিন পরই তিনি মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পান। গাফ্ফার সাহেব যদি কোনদিন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জিয়াউর রহমানের বাসায় গিয়েও থাকেন তখন তিনি হয় ব্রিগেডিয়ার অথবা মেজর জেনারেল ছিলেন। সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির বাসায় তারমতো একজন লোক হুট করে ঢুকে পড়বেন এবং ঢুকেই দেখবেন জিয়া তার ছেলেকে বেল্ট দিয়ে পেটাচ্ছেন- এমন কাহিনী কতটা স্থুল এবং অবাস্তব তা কেনো গাফ্ফার সাহেব ভেবে দেখলেন না ? বর্তমানে তার বয়স ৮০ বছর । যে সময়ের কথা বলছেন তখন তার বয়স ৩৫/৩৬ বছর। সাংবাদিক হিসেবে তখন তিনি কি এমন পর্যায়ে ছিলেন যে, একজন ব্রিগেডিয়ার বা মেজর জেনারেলের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর রেফারেন্সে ঢুকে - তাকে বলতে পারবেন- কিগো মেজর সাব! ছেলেকে মারছেন কেনো ?"
শুনেছি ৬০ বছর হলে কোন ব্যাক্তিকে আদালতে সাক্ষী নেয়া হয় না।এরকম বুদ্ধিজীবি আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীরা দেশকে যে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে তা দেশের কর্নধারেরা বুঝতে পারছেন না বরং চাটুকারদের পুরস্কৃত করছেন।শুনেছি আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী শেখ মুজিবুর রহমানের বদৌলতে লন্ডনে স্হায়ী আস্তনা গেড়েছেন।যদি বুদ্ধিজীবিদের আশি(৮০) বছর বয়স দিয়ে পরিমাপ করা হয় তাহলে জাতির জীবনে সন্কট আসন্ন।কে বুদ্ধিজীবি আর কে বুদ্ধিজীবি নয় তার পার্থক্য নিরুপন করার কি আমাদের সময় এখনো আসে নি?
বিষয়: বিবিধ
১১৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন